26 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 25, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"তপস্যার প্রত্যেক্ষ ফল - খুশী"

আজ বাপদাদা তাঁর সকল তপস্বীরাজ বাচ্চাদেরকে দেখছেন। তোমরা তপস্বীও আবার রাজ্য অধিকারীও, সেই কারণেই তোমরা হলে তপস্বীরাজ। তপস্যা অর্থাৎ রাজ্য অধিকারী হওয়া। তপস্যা রাজা বানিয়ে দেয়। সুতরাং তোমরা সবাই রাজা হয়ে গেছ তো তাই না ? তপস্যার বল কোন্ বল প্রদান করে ? অধীন থেকে অধিকারী অর্থাৎ রাজা বানিয়ে দেয়, সেইজন্য এই কথা প্রসিদ্ধও রয়েছে যে, তপস্যার দ্বারা রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হয় । তাহলে ভাগ্য কতখানি শ্রেষ্ঠ ! এমন ভাগ্য সমগ্র কল্পে কারোরই প্রাপ্ত হওয়া সম্ভব নয়। এত বড় ভাগ্য যে ভাগ্য বিধাতাকে নিজের বানিয়ে দিয়েছে । এক এক ভাগ্যকে আলাদা আলাদা করে চাওয়ার প্রয়োজন নেই। ভাগ্য বিধাতার থেকে সকল ভাগ্য উত্তরাধিকার রূপে নিয়ে নিযেছো। উত্তরাধিকার কখনো চাইতে হয় না। সকল ভাগ্য, ভাগ্য বিধাতা স্বয়ং দিয়ে দিয়েছেন। তপস্যা অর্থাৎ আত্মা বলে আমি তোমার আর তুমি আমার, একেই তপস্যা বলা হয় । এই তপস্যার বলের দ্বারা ভাগ্য বিধাতাকে তোমার নিজের বানিয়ে দিয়েছে । ভাগ্য বিধাতা বাবাও বলেন – আমি তোমার। তাহলে কতখানি শ্রেষ্ঠ ভাগ্য হয়ে গেল ! ভাগ্যের সাথে সাথে স্বরাজ্যও এখন প্রাপ্ত হচ্ছে। ভবিষ্যতের বিশ্ব রাজ্য হল স্বরাজ্যেরই আধারে, সেই কারণে তোমরা হলে তপস্বীরাজ। বাপদাদারও তাঁর প্রত্যেক রাজ্য অধিকারী বাচ্চাদেরকে দেখে আনন্দ হয়। ভক্তিতে অনেক জন্ম ধরে বাপদাদার কাছে কী বলেছো ? মনে আছে নাকি ভুলে গেছো ? বার বার নিজেকে আমি গোলাম, আমি গোলামই বলেছো। আমি তোমার গোলাম। বাবা বলেন আমার বাচ্চা আর গোলাম ! সর্ব শক্তিবানের সন্তান কিনা গোলাম ! এটা শোভা পায় ? সেইজন্য বাবা, আমি তোমার গোলাম – এর বদলে কি অনুভব করালেন ? আমি তোমার । তাহলে গোলাম থেকে রাজা হয়ে গেলে ! এখনও কখনো গোলাম হয়ে যাও না তো ? গোলাম ভাবার পুরানো সংস্কার কখনো ইমার্জ তো হয়ে যায় না ? মায়ার গোলাম হয়ে যাও ? রাজা কখনো গোলাম হতে পারে না। গোলামী ঘুচে গেছে নাকি কখনো কখনো ভালো লাগে ? তো তপস্যার বল হল অত্যন্ত শ্রেষ্ঠ আর তোমরা কী তপস্যা করো ? তপস্যাতে পরিশ্রম করো ? বাপদাদা তো আগেই বলেছেন যে তপস্যা মানে কী ? আনন্দ উদযাপন করা। তপস্যা অর্থাৎ খুবই সহজ নাচা আর গান গাওয়া ব্যস্। নাচা গাওয়া তো সহজই, কঠিন কী ? মনোরঞ্জন হয় নাকি পরিশ্রমের ? তো তপস্যাতে তোমরা কী করো ? তপস্যার প্রত্যেক্ষ ফল হল খুশী। তাহলে খুশীতে তোমরা কী হয়ে থাকে ? নাচা। তপস্যা অর্থাৎ খুশীতে নাচা এবং বাবা আর নিজের আদি অনাদি স্বরূপের গুণ গাওয়া। তো এই গীত কতো বড় আর কত সহজ। এর জন্য গলা ঠিক আছে কি ঠিক নেই এরই দরকার নেই। নিরন্তর এই গীত গাইতে পারো। নিরন্তর খুশীতে নাচতে থাকো। তাহলে তপস্যার অর্থ কী দাঁড়াল ? নাচা আর গাওয়া কত সহজ হয়ে গেল। মাথা ভারী তারই হবে যে ছোটখাটো ভুল করতে থাকে। ব্রাহ্মণ জীবনে কখনোই মাথা ভারী হতে পারে না। যারা হসপিটাল বানালো তাদের মাথা ভারী হল ? ট্রাস্টি তো সামনেই বসে আছেন। মাথা ভারী ? যখন করনকরাবনহার বাবা রয়েছেন তবে তোমার মাথায় বোঝা রয়েছে ? এ তো নিজেকে নিমিত্ত বানিয়ে ভাগ্য বানানোর সাধন তৈরী করছো। তোমাদের দায়িত্ব কী ? বাবার পরিবর্তে নিজের দায়িত্ব মনে করে নিচ্ছো, তাই মাথা ভারী হয়ে যাচ্ছে। বাবা সর্ব শক্তিমান হলেন আমার সাথী, তবে ভারী ভাব থাকবে কী ? ছোট্ট একটা ভুল করে ফেলো তোমরা, আমার দায়িত্ব মনে করলেই মাথা ভারী হয়ে যায়। তো ব্রাহ্মণ জীবনই হল নাচো গাও আর আনন্দ করো। সেবা, তা সে বাচাই হোক কিম্বা কর্মণা – এই সেবাও হল একটা খেলা। সেবা আর অন্য কিছুই নয়। কোনোটা বুদ্ধির খেলা, কোনোটা হাল্কা খেলা হয়ে থাকে। কিন্তু খেলাই তো হল। বুদ্ধির খেলাতেও মাথা ভারী হয়ে যায় কি ? তো এই সব খেলা করে থাকো তোমরা। সুতরাং যত বড়ই চিন্তা ভাবনা করার মতো কাজ হোক, অ্যাটেনশন দেওয়ার মতো কাজ হোক কিন্তু মাস্টার সর্বশক্তিবান আত্মার কাছে সবই হল খেলা, এই রকম হয়েছে ? নাকি একটু একটু করতে করতে শ্রান্ত হয়ে পড়ো ? মেজরিটি সময় অক্লান্ত, কিন্তু কখনো কখনো একটু ক্লান্ত হয়ে যাও। এই যোগের প্রয়োগ সকল খাজানাকে, তা সেটা সময়েরই হোক অথবা সংকল্পের অথবা জ্ঞানের খাজানা কিম্বা স্থূল ধনও যদি যোগের প্রয়োগের রীতিতে প্রয়োগ করো, তবে প্রতিটি খাজানার বৃদ্ধি হতে থাকবে। এই তপস্যা বর্ষে তোমরা যোগের প্রয়োগ করেছো, তাই না ? কী প্রয়োগ করেছো ? এই এক একটি ঐশ্বর্যকে প্রয়োগ করো। কীভাবে প্রয়োগ করবে ? যে কোনো খাজানাকে কম খরচ করে প্রাপ্তি অধিক। পরিশ্রম কম অধিক সফলতা – এই বিধিতে প্রয়োগ করো। যেমন সময়কে বা সংকল্পকেই ধরো – এগুলি হল শ্রেষ্ঠ খাজানা। তো সংকল্পের খরচ কম হবে কিন্তু প্রাপ্তি বেশী যেন হয় । সাধারণ ব্যক্তি দুই চার মিনিট সংকল্প চালানোর পরে, চিন্তা ভাবনা করার পরে সফলতা কিম্বা প্রাপ্তি লাভ করতে পারে, সেটাই তোমরা এক দুই সেকেন্ডেই করতে পারো। যাকে সাকার বাবা বলতেন – কম খর্চা বালা নশীন (কম খরচে অধিক লাভ)। খরচ কম করো কিন্তু প্রাপ্তি হবে ১০০ গুণ । এর ফলে কী হবে ? সঞ্চয় যেটা হবে, সময়ই হোক বা সংকল্পের, তাহলে সেই সঞ্চয়কে সেবাতে আরও বেশী নিয়োজিত করতে পারবে। দান পুণ্য কে করতে পারে ? যার ধনের সঞ্চয় হয়ে থাকে । যদি নিজের জন্য খরচ করা আর খাওয়ার মতোই রোজগার করলে, তবে দান পুণ্য করতে পারবে না। যোগের প্রয়োগ হল এটাই। কম সময়ে বেশি রেজাল্ট, কম সংকল্পে অনুভূতি বেশী, তবেই প্রতিটি খাজানাকে অন্যদের জন্য ইউজ করতে পারবে। সেই রকমই বাণী আর কর্ম, কম খরচ আর অধিক সফলতা, তবেই বিস্ময়কর বলা হবে। বাপদাদা বিস্ময়কর কী করেছিলেন ? কত অল্প সময়ে কী থেকে কী বানিয়ে দিয়েছেন ! তারজন্যই তো তোমরা বলে থাকো যে বাবার কামাল ! এক এর পদ্ম গুণ প্রাপ্তির অনুভব করে থাকো। কেবল এই গীত নয় যে “বাবা আপনি কামাল করে দিলেন.. (বাবা আপনে কমাল কর দিয়া)”। তোমরাও তো বিস্ময় সৃষ্টি করতে চলেছো। করেও চলেছো। কিন্তু তপস্যা চলাকালীন সময়ে মেজরিটির রেজাল্ট কী দেখলেন ?

তপস্যার উৎসাহ উদ্দীপনা ভালো। অ্যাটেনশনও রয়েছে, সফলতাও রয়েছে কিন্তু নিজের প্রতি সকল ঐশ্বর্যকে তোমরা ইউজ বেশী করছো। নিজে অনুভূতি করা সেটা তো খুব ভালো কথা। কিন্তু তপস্যা বর্ষ নিজের জন্য আর বিশ্ব সেবার জন্যই দেওয়া হয়েছে। তপস্যার ভাইব্রেশন বিশ্বে আরও তীব্রগতিতে ছড়িয়ে দাও। আগেও যেটা বলেছিলাম যে, যোগের প্রয়োগকে আর অনুভবের প্রয়োগশালাতে প্রয়োগের গতিকে বৃদ্ধি করো। বর্তমান সময়ে তোমাদের শক্তিশালী ভাইব্রেশনের দ্বারা বায়ুমণ্ডলের দ্বারা সকল আত্মাদের পরিবর্তন হওয়ার প্রয়োজন। সেইজন্য প্রয়োগকে আরও বাড়াও। অনেক সহযোগী বাচ্চাও রয়েছে । এই সহযোগিতাই যোগে বদলে যাবে। এক হল স্নেহী সহযোগী দ্বিতীয় হল সহযোগী যোগী। আর তৃতীয় হল নিরন্তর যোগী প্রয়োগী। এখন নিজেকে জিজ্ঞাসা করো যে আমি কে। কিন্তু বাপদাদার তিন প্রকারের বাচ্চারাই হল প্রিয় । অনেক বাচ্চাদেরই ভাইব্রেশন বাপদাদার কাছে পৌঁছে যায়। নানান রকমের ভাইব্রেশন। তোমরা কি জানো যে বাবার কাছে কোন্ কথাটা পৌঁছে যায় ? ইশারাতেই তো তোমরা বুঝে যাও তাই না ? এই তপস্যা বর্ষে যা কিছু হচ্ছে এর কারণ কী ? বড় বড় প্রোজেক্টরের সাহায্যে সেবা করছো এর কারণ কী ? কেউ মনে করে এটাই হল তপস্যার ফল। কেউ মনে করে তপস্যা বর্ষে এ’সব কেন ? উভয় ভাইব্রেশনই আসে। কিন্তু এই সময়ের তীব্রগতি আর তপস্যার ভাইব্রেশনের দ্বারা আবশ্যকতার পূর্তি হওয়া, এ হল তপস্যারই ফল। ফল তো খেতে হবে তাই না ! এই ড্রামা দেখায় যে তপস্যা সকল আবশ্যকতাকে সময় মতো সহজেই পূর্তি করতে পারে । বুঝেঝো ? এই কোশ্চেন উঠতে পারে না যে, এটা কেন হচ্ছে। তপস্যা অর্থাৎ সফলতা সহজে অনুভূত যেন হয়। যত দিন যাবে অসম্ভব কীভাবে সম্ভব হয়ে যায় সেটাই বেশী বেশী করে অনুভব করতে পারবে। বিঘ্নের আসা এও ড্রামাতে আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত নির্ধারিত রয়েছে । এই বিঘ্নও অসম্ভব থেকে সম্ভবের অনুভূতি করায়। আর তোমাদের সকলের তো অনুভব হয়েই গেছে, সেইজন্য বিঘ্নকেও খেলা বলে মনে হয়। যেমন তোমরা ফুটবল খেলে থাকো। তো কী করো ? বল আসে আর ঠুকরে পাঠিয়ে দাও। বলই যদি না আসে তবে কিক লাগাবে কী করে ? খেলাটা কীকরে হবে ? এও হল ফুটবল খেলা। খেলা খেলতে মজা লাগে নাকি বিভ্রান্তিতে পড়ে যাও ? এই চেষ্টাই তো করো তাই না যে বল আমার পায়ে আসুক আর আমি কিক মারবো। এই খেলা তো হতেই থাকবে। নাথিং নিউ। ড্রামাও খেলা দেখায় আর সম্পন্ন সফলতাও দেখায়। এটাই হল ব্রাহ্মণ কুলের রীতি বা আচার। আচ্ছা।

এই গ্রুপ অনেক চান্স পেয়েছে। কোনো কার্যের জন্য নিমিত্ত হওয়া, কোনো প্রকারের বিধির দ্বারা নিমিত্ত হওয়া অর্থাৎ চান্স নিয়ে নেওয়া চ্যান্সেলর হওয়া। আজকের বিশ্বে অগাধ সম্পত্তি আছে এমন তো অনেকেই আছে, কিন্তু তোমাদের কাছে সব থেকে বড়’র থেকেও বড় কোন্ সম্পত্তি রয়েছে যা কিনা বিশ্বের কারো কাছেই নেই ? আর তা ধনীরও যেমন প্রয়োজন তেমনি গরীবেরও প্রয়োজন ? কোন্ সম্পত্তি সেটি ? সব থেকে বড়’ র থেকেও বড় আবশ্যক সম্পত্তি হল সিম্প্যাথি । গরীব হোক কিম্বা ধনী, কারো জন্যই কারো সিম্প্যাথি নেই। সিম্প্যাথির সম্পত্তি হল সব থেকে বড়’র চেয়েও বড় সম্পত্তি। আর কিছু যদি না ও দাও, কিন্তু সিম্প্যাথির দ্বারা সবাইকে সন্তুষ্ট করতে পারো। আর তোমাদের সিম্প্যাথি হল প্রকৃত সিম্প্যাথি, ঈশ্বরীয় পরিবারের সাথে সম্পর্কিত। অল্পকালের সিম্প্যাথি নয়। পারিবারিক সিম্প্যাথি হল সব থেকে বড়’ র থেকেও বড় সিম্প্যাথি। আর এটা সকলের প্রয়োজন । তোমরা তা সকলকে দিতে পারো। আত্মিক সিম্প্যাথি তন মন এবং ধনেরও পরিপূর্তি করতে পারে। আচ্ছা এই বিষয়ের উপরে পরে আবার বলবো।

চতুর্দিকের তপস্বীরাজ শ্রেষ্ঠ আত্মারা, সদা যোগকে প্রয়োগের দ্বারা কম খরচে শ্রেষ্ঠ সফলতা অনুভবকারী, সদা আমি তোমার তুমি আমার এই তপস্যাতে মগ্ন থাকা, সদা সকল সময়ে তপস্যার দ্বারা খুশীতে নাচতে আর বাবা আর নিজের গুণ গাইতে থাকে, এই রকম দেশ বিদেশের সকল স্মৃতি স্বরূপ বাচ্চাদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।

বরদানঃ-

তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরকে ডাইরেক্ট অনাদি পিতা আর আদি পিতার দ্বারা অলৌকিক জন্ম প্রাপ্ত হয়েছে । যার জন্মই ভাগ্যবিধাতার দ্বারা হয়েছে, সে নিজে কতখানি ভাগ্যবান হয়ে গেল ! নিজের এর শ্রেষ্ঠ ভাগ্যকে সদা স্মৃতিতে রেখে উৎফুল্ল থাকো। প্রতিটি আচরণ আর চেহারাতে এই স্মৃতি স্বরূপ প্রত্যক্ষ রূপে নিজেরই অনুভব যাতে হয় আর অন্যরাও যেন সেটা দেখতে পায়। তোমাদের কপালের মাঝখানে ভাগ্যের এই রেখাকে ঝলমল করতে দেখা গেলে – তখনই বলা যাবে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান আত্মা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top