26 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

 Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 25, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার শ্রীমৎ হল, এই পুরানো দুনিয়ার থেকে তোমার মুখ ফিরিয়ে নাও, জীবনমুক্তির জন্য তোমরা দৈবী ম্যানার্স (সহবত) ধারণ করো"

প্রশ্নঃ --

কোন্ ম্যানার্স বাবা ব্যতীত আর কেউই শেখাতে পারে না ?

উত্তরঃ -:-

পবিত্র হওয়া আর পবিত্র বানানো – এটাই হল সব থেকে বড় দৈবী ম্যানার্স। তোমরা ঘর গৃহস্থীতে থেকে পবিত্র থাকো, এই শিক্ষা একমাত্র বাবা’ই দেন, অন্য কেউই দিতে পারে না। বাচ্চারা তোমাদের হল বেহদের (অসীমিত) সন্ন্যাস। তোমরা এই পুরানো দুনিয়াকেই বুদ্ধি দ্বারাই ভুলে থাকো। তোমরা জানো যে, পবিত্রতার ধারণার দ্বারাই বাকি সব ম্যানার্স স্বতঃতই এসে যায়।

গান:-

আজ অন্ধকারে রয়েছে মানুষ…

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গানের একটা লাইন শুনল। এক দিকে সমগ্র জগৎ – ভক্তি মার্গের লোকজন আর অন্যদিকে হলে তোমরা জ্ঞান মার্গের বাচ্চারা। তারা ভক্তির সিঁড়ি চড়তে থাকে আর তোমরা বাচ্চারা জ্ঞানের সিঁড়ি চড়ো। ভক্তির সিঁড়ি নামোও তোমরা। বাচ্চারা জানে – অর্ধ কল্প ধরে ভক্তির সিঁড়ি চড়তে হয়। ভক্তিও প্রথমে অব্যভিচারী থাকে, পরে ব্যভিচারী হয়ে যায়। একেবারে অন্ধশ্রদ্ধাতে গিয়ে পড়ে। মানুষ কিছুই বোঝে না। গেয়েও থাকে – আমরা রয়েছি তিমিরে…। সদ্গুরুর অভাবে ঘোর অন্ধকারে তারা। গুরু তো এখানে অনেক রয়েছে। কিন্তু প্রকৃত গুরু কে ? সাধু সন্তরা, মহাত্মারা, ভক্তরা সবাই সাধনা করে কিম্বা স্মরণ করে। শাস্ত্র, বেদ, উপনিষদ ইত্যাদি পড়ার পরেও তারা বলে – ভগবান যখন আসবেন তখনই এসে আমাদের সদ্গতি করবেন। সদ্গতি দাতাকেই পতিত পাবন বলা হয়। এখন তোমরা বাচ্চারা আর গভীর অন্ধকারে নেই। তোমরা এখন জ্ঞানের আলোকে এসেছ। পতিত পাবন বাবাকে তোমরা এখন জানো এবং তাঁকে স্মরণ করো। যে বাচ্চা যত স্মরণ করে আর জ্ঞানেয ধারণা করে, ততই তার মধ্যেকার অন্ধকার নাশ হয়ে যায় । এখন সেই আলোতে নিয়ে যেতে পারেন একমাত্র বাবা’ই। জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দিয়েছেন… কোনো সুরমা টুরমা দেননি। এ হল জ্ঞানের কথা। জ্ঞানের সাথে যোগও থাকে। অবশ্যই যে মানুষ ভক্তি শেখায়, তার সাথেই যোগ থাকে। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিযোগ যুক্ত হয়ে থাকে নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মার সাথে । তোমাদের মধ্যেও নম্বর অনুসারে রয়েছে। আর কোনো মানুষেরই পরমাত্মা সর্বশক্তিমানের সাথে যোগই নেই, কেবল তোমাদের ছাড়া। তোমাদেরকে বাবার সাথে আর মুক্তি, জীবনমুক্তির সাথে যোগ লাগাতে হয়। জীবনমুক্তির জন্য দৈবী ম্যানার্সও খুব ভালো থাকতে হবে। এই সময় তো সকলের ম্যানার্স হল আসুরি। পরমপিতা পরমাত্মার গুণও তো কীর্তন করা হয়, তাই না ! মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ তিনি, সৎ তিনি, চৈতন্য তিনি, আনন্দের সাগর, জ্ঞানের সাগর তিনি ।পবিত্রতার সাগর হলেন ফর এভার। ওঁনার এই পদ হল অবিনাশী, কোনো মানুষেরই এইরকম অবিনাশী পদ হতে পারে না। যদিও এখন তোমরা জ্ঞানের সাগর, পবিত্রতার সাগর হয়ে উঠছো, কিন্তু তাও লিমিটেড হয়ে থাকো। বাবা বলেন – আমি হলাম আনলিমিটেড। তোমাদেরকে আনলিমিটেড বানাতে পারি না । নইলে সৃষ্টির খেলা কীভাবে চলবে ? ৮৪ জন্ম কীভাবে ভোগ করবে ? তোমরা ফর এভার হতে পার না। তোমাদেরকে লিমিটেড বানাই, ২১ জন্মের জন্য তোমরা আনলিমিটেড হতে পার। ২১ কুলের কথা (শাস্ত্রে) লেখা আছে। তোমরা ফর এভার হবে ড্রামাতে এর মঞ্জুরী নেই। আমি তো হলামই এভার পিওর। আমি থাকি পরমধামে। আমার কাছে জ্ঞান, পবিত্রতা ইত্যাদিই রয়েছে। তোমরা ভুলে যাও, তাই এই সময় বাবা এসে বাচ্চাদেরকে ঘোর অন্ধকার থেকে বের করে জ্ঞান আর যোগের দ্বারা পবিত্র বানান। আর কেউই এ’কথা বলতে পারে না যে, আমি পরমধাম থেকে এসেছি, এখন আমাকে স্মরণ করো। আমার এই মহাবাক্য যাকে কেউই কপি করতে পারে না। আমি আসিই বাচ্চারা তোমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য রাজাদের রাজা বানাতে। তাহলে হওয়া উচিত তাই না ! হবে তারাই যারা কল্প পূর্বে হয়েছিল।

তোমরা জানো – কতো কতো বাচ্চা পবিত্রও হয় আবার কতো কতো বাচ্চা অজামিলের মতো পাপীও হয়ে যায়। কতখানি অশুদ্ধ অপরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। বাবাকে এসে অপরিস্কার বস্ত্রকে সাফ করতে হয়। আত্মাই ময়লা হয়। বাবা আত্মাকে বোঝান, তোমাকে মায়া কতখানি ময়লা বানিয়ে দিয়েছে, এ কেবল এক জন্মের ব্যাপার নয়। এ হল জন্ম জন্মান্তরের ব্যাপার। এই আত্মাকে পরিস্কার করার জন্য আমি তোমাদেরকে লক্ষ্য (এইম) সাবান দিই। আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের আত্মা যা এতদিন নিষ্প্রভ হয়ে ছিল, তা যোগের দ্বারা প্রজ্জ্বলিত হয়ে উঠবে – যত যত আমাকে, তোমাদের প্রকৃত পিতাকে স্মরণ করবে। স্মৃতি জাগিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, তোমাদেরকে আমি স্বর্গে পাঠিয়েছিলাম, এরপর মায়া আবার তোমাদেরকে ময়লা বানিয়ে দিয়েছে। এখন আবার আমি তোমাদেরকে স্বর্গের বানাতে এসেছি। আমি এই ব্রহ্মা তনের দ্বারা শিক্ষা দিচ্ছি তোমাদেরকে। আত্মাদের সাথে আমি কথা বলি, হে বাচ্চারা তোমরা তোমাদের লৌকিক পিতাকে বিস্মৃত করো। দেহ সহ দেহের সকল সম্বন্ধকে ভুলে আমাকে তোমাদের নিজের পিতাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের আত্মা সাফ হতে থাকবে। তারপর ভবিষ্যতে তোমরা পবিত্র শরীর পাবে। তখন তত্ত্ব ইত্যাদি সব নতুন সতোপ্রধান হয়ে যায়। বাবা বলেন – এখন এই পুরানো দুনিয়াকে ভুলতে থাকো। আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা আমার কাছে এসে তারপর স্বর্গে যাবে। এটা হল পুরানো দুনিয়া। এখানে কোনো জিনিস বানালে তার নতুন নাম রেখে থাকে । যেমন নয়া দিল্লি, পুরানো দিল্লি বলা হয়। কিন্তু দুনিয়া তো পুরোনোই, তাই না ! এখন বাচ্চারা তোমাদের এই পুরানো দুনিয়ার থেকে বুদ্ধিযোগ একেবারেই সরে যাওয়া উচিত। আমরা আত্মাদের সুইট হোম বা নির্বাণধামে রয়েছে, সেখানে আমাদেরকে যেতে হবে। নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করতে হবে। বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করলে অন্তিম কালে যেমন মতি তেমনই গতি হয়ে যাবে। মানুষ তো অনেককে স্মরণ করে থাকে, কেউ কোনো গুরুকে, কেউ কৃষ্ণকে। কৃষ্ণ ইত্যাদিরা কোথায় গেল ? সে’কথা কেউই জানে না। এটা বোঝে না – পুনর্জন্মে সবাইকেই আসতে হবে। এই রীতি রেওয়াজ সৃষ্টির আদি থেকে চলে আসছ। সত্যযুগ ইত্যাদিতে হল দেবী দেবতারা, নিশ্চয়ই পুনর্জন্ম সেখান থেকেই শুরু হয়ে থাকবে। সবার প্রথমে হল শ্রীকৃষ্ণ ফার্স্ট পবিত্র মানব। তারই মহিমা বেশী, লক্ষ্মী-নারায়ণেরও এত নয় । কারণ ছোট বাচ্চা পবিত্র সতোপ্রধান হয়ে থাকে বলেই বাচ্চাদের মহিমা গাওয়া হয়। কৃষ্ণের মহিমা অনেক। কিন্তু মানুষ এ’কথা জানে না যে কৃষ্ণপুরী কোথায়। বৈকুণ্ঠ বলে থাকে সত্যযুগকে, কিন্তু তারপরেও কেন জানি না কৃষ্ণ দ্বাপরে ছিলেন বলে দিয়েছে। একই জিনিস অন্য কোনো নাম, রূপ, দেশে আসতে পারে না, সেই নাম, রূপ অন্য কোনো জন্মে হতে পারে না। কৃষ্ণ তো সত্যযুগে ছিল। তোমরা জানো যে, এই জগৎ অম্বা, জগৎ পিতা গিয়ে লক্ষ্মী-নারায়ণ হন। সত্যযুগকে কৃষ্ণপুরী বলা হয় ।এখন হল কংস পুরী। এ’সব হল আসুরি নাম। সেখানে ছিল দৈবী সম্প্রদায়, এখানে হল আসুরিক সম্প্রদায়। বাবা বসে বাচ্চাদেরকে সঙ্গমে এসে বোঝান, এই বাবা হলেন রচয়িতা । তাঁকে বলা হয় মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, যিনি নিশ্চয়ই নতুন মনুষ্য সৃষ্টি রচনা করবেন ! তোমরা গেয়েও থাকো – বাবা তুমি হলে পতিত পাবন। এই পতিত সৃষ্টিকে এসে পবিত্র বানাও। পবিত্র সৃষ্টি রচনা করে পতিত সৃষ্টির বিনাশ ঘটাও। বরাবর ব্রহ্মার দ্বারা পবিত্র সৃষ্টি রচনা শংকরের দ্বারা পতিত সৃষ্টির বিনাশ করান। এই সব কথা আর কেউই জানে না। এখন তোমরা বাচ্চারা বাবার সাথে যোগ যুক্ত হও । তোমরা দেখো যে, বাবা অপরিস্কার কাপড় চোপড়কে মুগুর মেরে পরিস্কার করতেন। কোনো কোনো কাপড় ফেঁসে যেত, কোনোটা একেবারেই ফেটে যেত। (তেমনই) কেউ কেউ তো খুব ময়লা, অজামিলের মতো পাপী, যার একেবারেই ধারণা হয় না। বাবা কত ভালো ভালো কথা বোঝান। মিষ্টি আদরের বাচ্চারা – আমাকে তোমাদের মোস্ট বিলাভড বাবাকে স্মরণ করো। মোস্ট বিলাভড সুখধামকে স্মরণ করো। এও তোমরা এখন জানো। দুনিয়ার কারোরই তা জানা নেই । এটা তো হল অতি দুঃখধাম। মানুষ ত্রাহি ত্রাহি করতে থাকে, একে অপরকে মারতে থাকে। তারপর বলতে থাকে – হে ভগবান রক্ষা করো, এ’কথাও অবশ্যই মুখ থেকে বেরোবে। বাবা তো হলেন লিবারেটর।

তোমরা জানো যে – বাবা এসেছেন আমাদেরকে, বাচ্চাদেরকে ইন্ পার্টিকুলার আর সবাইকে ইন্ জেনারেল সুখধামে নিয়ে যাওয়ার জন্য। তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের মধ্যেও নম্বর অনুসারে রয়েছে, যাদের মধ্যে এই নেশা আছে। এই ঈশ্বরীয় পাঠ কোনো কম ব্যাপার নয়। তিনি পড়ানও কাদেরকে দেখো ! অজামিলের মতো পাপ আত্মাদেরকে পড়িয়ে স্বর্গের মালিক বানিয়ে দেন। তমোপ্রধান তো সবাই, তাদেরকে সতোপ্রধান দুনিয়ায় নিয়ে যেতে হয়। বাচ্চাদেরকে বাবা বারেবারে বোঝান যে, এখানে দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে। এখানে এইম অব্জেক্ট তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। এই পবিত্রতার ম্যানার্স আর কেউই শেখায় না। সন্ন্যাসীরা তো ঘর পরিবার ছাড়িয়ে থাকে। এখানে বাবা বলেন – তোমাদেরকে ঘর পরিবারকে ছাড়তে হবে না। তোমাদের তো এই পুরানো দুনিয়াকে ত্যাগ করতে হবে। ওটা হল সীমিত বিষয়ের সন্ন্যাস আর এ হল অসীম বিষয়ের সন্ন্যাস । সেই সব সন্ন্যাসীদেরও কতো সম্মান করা হয় ! সাধু সমাজ গভর্নমেন্টকেও অভিমত প্রদান করে থাকে। এরপর এমন সময় আসবে যখন এই সন্ন্যাসীরাও তোমাদের, অর্থাৎ মাতাদের চরণে এসে পড়বে। মাতা’রা ছাড়া তাদের উদ্ধার হওয়া সম্ভব নয়, কারণ তোমরা নলেজ প্রদান করে থাকো। এ কোনো স্থূল অর্থে চরণে পড়ার কোনো ব্যপার নেই। হ্যাঁ, কেউ কেউ নমস্কার বা রাম – রাম বলে থাকে, তখন রেসপন্স তো করতে হয়। বাবাও বলে থাকেন, বাচ্চারা নমস্কার। আমি বাচ্চারা তোমাদেরকে নিজের থেকেও উচ্চ বানিয়ে থাকি। তোমাদেরকে ব্রহ্মান্ড এবং সৃষ্টি দুয়েরই মালিক বানাই আর আমি বাণপ্রস্থে চলে যাই। কিন্তু অবশ্যই শ্রীমতের উপরেও চলতে হবে। এই পুরানো দুনিয়ার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে হবে। রাম, রাবণ আর সীতার খেলনা আছে না ! সীতা রাবণের দিকে পিঠ হয়ে যায়, রামের দিকে মুখ ঘুরিয়ে নেয়। কৃষ্ণেরও একটা চিত্র রয়েছে – নরককে লাথি মারছে আর স্বর্গের গোলক তার হাতে। বাবা খুবই ভালো করে বুঝিয়ে থাকেন, কিন্তু বিরলই এমন ব্যাপারী আছে, যে এমন ব্যাপার (ব্যবসা) করবে। বাবাকে নিজের পুরনো তন – মন – ধন দিয়ে নতুন নাও। এ হল অনেক বড় ফার্স্ট ক্লাস ইন্সিওরেন্স। বাবা বলেন – তোমরা নিজের আত্মাকে বানালে তখন শরীরও পবিত্র পাবে। তারপর তোমরা স্বর্গের রাজত্ব করবে, সেইজন্য ওঁনাকে সওদাগর, জাদুকর বলা হয়। পতিতকে পবিত্র করা – এটাকে ঈশ্বরীয় জাদুকরীই তো বলা হবে, তাই না ! বাবা বলেন, নরকবাসীদেরকে স্বর্গবাসী বানাও, কেমন ফার্স্ট ক্লাস জাদু এটা। এতে প্রাপ্তি অনেক। বাবা বলেন – রাজাদের রাজা হও, ফলো করো। বাবা বসে আছেন না! ইনি (ব্রহ্মা বাবা) হলেন অধর কুমার, মাম্মা হলেন কুমারী কন্যা। অতএব ফলো করতে হবে। উত্তরাধিকার বাবার থেকেই প্রাপ্ত হয় । তোমরা বলবে আমরা ভাই – বোনেরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। এমনিতে তো লৌকিক মতে বোনেরা উত্তরাধিকার পায় না, ভাই পেয়ে থাকে। এখানে তো তোমরা সবাই পাও। কেননা তোমরা সবাই হলে আত্মা । বাবা বলেন – তোমাদের সবাইকে আমার কাছে আসতে হবে। তখন তো এই ভাই বোনের সম্পর্কও ছিন্ন হয়ে যায়। সেখানে হল বাবা আর বাচ্চাদের সম্পর্ক, নির্বাণধামে এই কারণেই বলা হয়, উই আর অল ব্রাদার্স। যদি ঈশ্বরকে সর্বব্যাপী বলা হয়, তাহলে তো তখন ফাদারহুড হয়ে যাবে। এই সর্বব্যাপীর জ্ঞান অনেক ক্ষতি করে দিয়েছে।

এখন তোমরা বাচ্চাদের কাছে বাবার স্মরণ রয়েছে। বাবাকে স্মরণ করার ক্ষেত্রেই পরিশ্রম বেশী। এমনও নয় যে, তোমাদেরকে কোনো সম্পূর্ণ ধ্যানে (নেষ্ঠাতে) বসানো হবে। তোমরা তো লক্ষ্য পেয়েছো। এখানে তো তোমরা মুরলী তো কেবল বসে শোনাও। যোগ তো তোমাদের সর্বদা চলতে থাকে। মুরলী শুনলে তারপর চলতে ফিরতে স্মরণে থাকতে হবে । আমরা একটি যাত্রাতে চলেছি। যতখানি সম্ভব যোগে থাকতে হবে। ৮ ঘন্টা সার্ভিস করো, তাতে ছাড় আছে। বাকি টাইমটা দিতে হবে। মূল কথাই হল পবিত্রতার। তোমরা জানো যে এটা হলো কাঁটার ফরেস্ট। একে অপরকে কাঁটা লাগাতে থাকে। এখন বাবা বলেন – শ্রীমত অনুযায়ী চলো। শিববাবাও কথা বলেন, ব্রহ্মাও কথা বলেন কিন্তু তোমরা জানো যে শিববাবা আমাদের পড়ান, তোমরা হলে স্টুডেন্টস। তোমরা বলো যে তিনি হলেন আমাদের বাবা, টিচার আর সদ্গুরুও। গ্যারান্টি করছি তোমাদেরকে আমি ফিরিয়ে নিয়ে যাবো। আর কেউই এইরকম গ্যারান্টি করতে পারবে না। এটা একমাত্র বাবা বলেন – গড ফাদারই সুখ প্রদানকারী ধর্ম স্থাপন করেন। সেই বাবাকে কেউ জানে না। যদি বাবাকে জানে তো বাবার প্রপার্টির কথাও জানতে পারবে। আচ্ছা!

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এইম্ অবজেক্টকে সর্বদা সাথে রেখে দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে। সতোপ্রধান দুনিয়াতে চলার জন্য পবিত্রতার ম্যানর্সকে গ্রহণ করতে হবে। বুদ্ধির দ্বারা অসীম জগতের সন্ন্যাস নিতে হবে।

২ ) মোস্ট বিলাভড্ (অত্যন্ত প্রিয়) বাবাকে আর সুখধামকে স্মরণ করতে হবে। এই দুঃখধামের থেকে বুদ্ধির যোগ সরিয়ে দিতে হবে।

বরদানঃ-

যে যত যোগী ততই তার সকলের সহযোগিতা অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। যোগীর কানেক্শন অথবা স্নেহ বীজ থেকে হয় বলে স্নেহের রিটর্নে সকলের সহযোগিতা প্রাপ্তি হয়ে যায়। তাই বীজের সাথে যারা যোগ যুক্ত হয়, বীজকে স্নেহের জল সিঞ্চনকারী, সকল আত্মাদের দ্বারা সহযোগ রূপী ফল প্রাপ্ত করে নেয়। কারণ বীজের সাথে যোগ যুক্ত হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ বৃক্ষের সাথে কানেক্শন হয়ে যায়।

 

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top