26 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 25, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে হলে আত্মার মধ্যে জ্ঞানের পেট্রোল ভরতে থাকো, ভোরবেলা উঠে বাবাকে স্মরণ করো, কোনো বিপরীত চলনে চলো না"

প্রশ্নঃ --

বাবা প্রত্যেক বাচ্চার জন্ম পত্রিকা জেনেও শোনান না, তা কেন ?

উত্তরঃ -:-

কেননা, বাবা বলেন আমি শিক্ষক, বাচ্চারা, আমার কাজ হলো তোমাদের শিক্ষা দান করে শুধরানো, বাকি তোমাদের ভিতরে কি আছে, তা আমি তোমাদের শোনাবো না । আমি এসেছি আত্মাকে ইঞ্জেকশন লাগাতে, শারীরিক অসুস্থতা ঠিক করতে নয় ।

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমরা এখন কোন্ বিষয়কে ভয় পাও না, তা কেন ?

উত্তরঃ -:-

তোমরা এখন এই পুরানো শরীরকে ত্যাগ করতে ভয় পাও না, কেননা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে – আমি আত্মা হলাম অবিনাশী । বাকি এই পুরানো শরীর যদি শেষও হয়ে যায়, আমাকে তো ঘরে ফিরে যেতেই হবে । আমি হলাম অশরীরী আত্মা । বাকি এই শরীরে থেকে আমি জ্ঞান অমৃত পান করছি, তাই বাবা বলেন বাচ্চারা, সদা অমর থাকো, সেবা পরায়ণ হলে তোমাদের আয়ুও বৃদ্ধি পেতে থাকবে ।

গান:-

শৈশবের দিন ভুলে যেও না..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা এই গান শুনেছে । যাঁদের এখন মাম্মা – বাবা বলা হয়, তাঁদের ভুলে গেলে চলবে না । যারা এই গীত রচনা করেছে, তারা তো অর্থ বুঝতেই পারেনি । তাদের এই নিশ্চয়ই নেই যে, আমরা সেই পরমপিতা পরমাত্মার সন্তান । সেই পরমপিতা পরমাত্মাকে পতিতকে পবিত্র বানানোর জন্য আসতে হয় । তিনি কতো উচ্চ সেবা করতে আসেন । তাঁর কোনো অহংকার নেই, তাঁকে বলা হয় নিরহংকারী । তাঁর নিশ্চয়বুদ্ধি বা দেহী অভিমানী হওয়ার দরকার নেই । তিনি কখনোই সংশয়ে আসেন না । তিনি কখনোই দেহ বোধেও আসেন না । মানুষ দেহ বোধে আসে, তারপর তাদের দেহী অভিমানী করাতে কতো পরিশ্রম লাগে । বাবা বলেন, তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করো । মানুষ তো বলে দেয়, নিজেকে পরমাত্মা মনে করো । এ কতো তফাৎ । একদিকে পতিত পাবনকে স্মরণ করে, আবার বলে দেয়, সকলের মধ্যেই পরমাত্মা বিরাজমান । তাদের গিয়ে বোঝাতে হবে । তোমরা দেখো, বাবা কোথা থেকে এসেছেন তোমাদের মতো বাচ্চাদের পরিবর্তন করার জন্য । যাদের দৃঢ় নিশ্চয় আছে, তারা তো বলে দেয়, তুমিই আমাদের মাতা – পিতা । আমরা তোমার শ্রীমতে চলে শ্রেষ্ঠ দেবতা হওয়ার জন্য এখানে এসেছি । পরমাত্মা তো সর্বদাই পবিত্র । তাঁকে ডাকা হয় – তুমি এই পতিত দুনিয়াতে এসো । তাহলে অবশ্যই তাঁকে পতিত শরীরেই আসতে হবে । পতিত দুনিয়াতে তো পবিত্র শরীর থাকেই না । তাহলে দেখো, বাবা কতো নিরহংকারী, তাঁকে পতিত শরীরেই আসতে হয় । আমরা নিজেদের এখনো সম্পূর্ণ বলবো না, আমরা সম্পূর্ণ তৈরী হচ্ছি ।

অসীম জগতের পিতা এখন বলছেন – বাচ্চারা, তোমরা শ্রীমতে চলো । বাবা শ্রীমৎ প্রদান করেন – তোমরা ভোরবেলায় উঠে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ ভস্ম হয়ে যাবে । শ্রীমতে না চললে তোমাদের পাপ ভস্ম হবে না । বানর, বানরের মতোই থেকে যাবে, তখন অনেক কঠিন সাজা ভোগ করতে হবে । জানোয়ার ইত্যাদিরা তো আর সাজা ভোগ করে না । এই শাস্তি মানুষের জন্যই । ষাঁড় যদি কাউকে মারে, তাহলে সে মারা গেলেও তো ষাঁড়কে জেলে দেওয়া হয় না । মানুষের তো সঙ্গে সঙ্গেই জেল হয়ে যায় ।বাবা বোঝান যে, এই সময় মানুষ তো তার থেকেও খারাপ হয়ে গেছে । তাদের এখন মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে । বাবা বোঝান যে, এই লক্ষ্মী – নারায়ণও গীতার জ্ঞান জানেন না । ওখানে এই জ্ঞানের প্রয়োজনই নেই, কেননা বাবা হলেন রচয়িতা । ওখানে কেউই ত্রিকালদর্শী হয় না । এখন এরা ত্রিকালদর্শী না হয়েও বলে দেয়, আমিই ভগবান । তাহলে বড় বড় অক্ষরে লিখে দাও, গীতার ভগবান পরমপিতা পরমাত্মা, নাকি শ্রীকৃষ্ণ ? মূলত এই একটি ভুলটাই যে ঘটেছে সেটা কারোর বুদ্ধিতে বসে না । না বাচ্চারা তা কাউকে বুঝিয়ে বুদ্ধিতে বসাতে পারে । ভারতই স্বর্গ ছিলো, তা মানুষ ভুলে গেছে । কল্পের আয়ুই লক্ষ বছর বলে দিয়েছে, তাই কোনো পুরানো জিনিস দেখলে বলে দেয়, এ লক্ষ বছরের পুরানো । কেউ কেউ বলে – ক্রাইস্টের তিন হাজার বছর পূর্বে ভারত স্বর্গ ছিলো । তোমরা জানো যে, আমরাই দেবতা ছিলাম । মায়া তোমাদের সম্পূর্ণ কড়ি তুল্য করে দিয়েছে । কোনো মূল্যই নেই । তাই বাচ্চারা, তোমাদের তাদেরকে এখন এই ঘোর অন্ধকার থেকে বের করানো উচিত । কখনো এমন কোনো কর্তব্য করা উচিত নয়, যাতে তোমাদের না বলতে হয় যে, তুমি বাঁদরের মতো । আমি কতো দূর দেশ থেকে আসি তোমাদের নোংরা কাপড় (দেহ বোধ) ধুয়ে পরিস্কার করার জন্য, তোমাদের আত্মা সম্পূর্ণ ময়লা হয়ে গিয়েছে এখন তোমরা আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের আত্মজ্যোতি জাগ্রত হয়ে যাবে । তোমরা জ্ঞানের পেট্রোল ভরতে থাকো । তাহলে ওখানেও কিছু পদ প্রাপ্ত করবে । ওখানে গিয়ে দাস – দাসী হলে, এ তো কোনো ভালো কথা নয় । এ হলো রাজযোগ, তাই তোমাদের উচ্চ পদ প্রাপ্ত করা চাই । যদি দাস – দাসী হও, তাহলে ভগবানের থেকে কি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করলে, কিছুই নয় । বাবাকে কেউ জিজ্ঞেস করলে বাবা তো চট করে বলে দিতে পারেন । ইশারা বুঝে নিয়েই তোমাদের কাজ করা উচিত । বলার আগেই যে বুঝতে পেরে কাজ করতে থাকে, সে হলো দেবতা….। বললে যে করে, সে হলো মানুষ । তোমরা এখন দেবতা হওয়ার জন্য শ্রীমৎ পাও । তোমাদের শ্রেষ্ঠ যিনি বানান, সেই বাবা বলেন, প্রদর্শনীতে বড় – বড় অক্ষরে এমন বোর্ড লাগিয়ে দাও যাতে সবার চোখ খুলে যায় যে শ্রীকৃষ্ণ ভগবান নন, তিনি তো পুনর্জন্মতে আসেন । ওরা মনে করে, শ্রীকৃষ্ণ জনম – মরণে আসেন না, তিনি তো হাজিরা – হুজুর (সর্বত্র )। হনুমানের পূজারী বলবে, হনুমান সর্বত্র । এখানে তো একমাত্র বাবার থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে । গীতার ভগবান তোমাদের হীরের মতো বানান । তাঁর নাম পরিবর্তন করে দেওয়াতে আজ ভারতের এই অবস্থা । এই কথা এখনো এতো দৃঢ়ভাবে বোঝানো হয়নি । জ্ঞানের সাগর তো একজনই । তিনিই হলেন পতিত পাবন । ওরা তো আবার গঙ্গাকে পতিত – পাবণী বলে দেয় । এখন সাগর থেকে তো গঙ্গা নির্গত হয়েছে, তাহলে কেন কেন সাগরে গিয়ে স্নান করে না । ওদের বোঝানোর জন্য বাচ্চাদের মধ্যে পরীসুলভ গুণ চাই । সবাইকে বোঝানো উচিত – আমরা তো বাবারই মহিমা করছি । নিরাকার পরমাত্মাকে তো সবাই মানে, কিন্তু ওরা কেবল সর্বব্যাপী বলে দেয় । আবার এমনও বলে – হে রাম, হে পরমাত্মা । মালা জপ করে, মালার উপরে থাকে ফুল । এর অর্থও মানুষ বোঝে না । ফুল, মেরু হলো যুগল দানা । মাতা – পিতা তো প্রবৃত্তি মার্গের, তাই না । রচনা রচিত করার জন্য অবশ্যই তো মাতা – পিতাকে চাই । তাই তিনি এনার দ্বারা বসে তোমাদের উপযুক্ত তৈরী করেন, যার স্মরণ পরে মালায় করা হয় । পরমাত্মা এবং আত্মার রূপ কি ? এও মানুষ জানে না । তোমরা এখন নতুন কথা শুনেছো । পরমাত্মা এক ছোটো বিন্দু । এ তো আশ্চর্য, তাই না ! এতো ছোটো বিন্দুকে কেউ জ্ঞানের সাগর মানবে ? তারা মানুষকে মানে, কিন্তু সে তো মানুষের কাছ থেকেই মানুষ জ্ঞান প্রাপ্ত করে – যাতে দুর্গতি তো হয়েই গেছে । এখানে তো ভগবান নিজে এসে জ্ঞান প্রদান করে সদগতি করেন অর্থাৎ রাজার রাজা বানান । তোমরা তো আশ্চর্য হয়ে যাও । আত্মা হলো ছোটো বিন্দু, অতি সূক্ষ্ম । তাহলে বাবাও তো এমনই হবেন, তাই না । আর তিনি হলেন কতো বড় অথরিটি । তিনি কিভাবে পতিত দুনিয়াতে পতিত শরীরে এসে পড়ান । মানুষ কি জানবে এই কথা ! তারা তো উল্টো ঝুলে (উল্টো জ্ঞান) রয়েছে । বাবা এখন আদেশ দিচ্ছেন, যে আমার মতে চলবে, সে-ই স্বর্গের মালিক হবে, এতে ভয় পাওয়ার কিছুই নেই । আমি আত্মা হলাম অশরীরী । এখন আমাকে ঘরে ফিরে যেতে হবে । আমি তো অবিনাশী আত্মা । বাকি এই পুরানো শরীর যদিও শেষ হয়ে যাবে । এখানে বাবা তোমাদের জ্ঞান অমৃত পান করান, তাই তোমরা অমর হয়ে থাকো । তাও যারা সেবা পরায়ণ হবে, তাদের আয়ুই বৃদ্ধি পাবে । প্রদর্শনীতে অনেক সেবা হয়, সেখানে প্রভূত উন্নতি হবে । শ্রীকৃষ্ণের মহিমা আর পরমাত্মার মহিমার মধ্যে অনেক তফাৎ । বাবা বলেন, তোমরা স্বর্গতে পবিত্র ছিলে । এখন কিভাবে পতিত হলে, সে তো জানা চাই, তাই না । বাবা এসে পাথর তুল্য বুদ্ধিকে পরশ পাথর তুল্য করেন ।

ঈশ্বরীয় সন্তানদের কখনোই কাউকে মন – বাণী এবং কর্মে দুঃখ দেওয়া উচিত নয় । বাবা বলেন – দুঃখ দিলে তোমরা মহান দুঃখী হয়ে মরবে । সর্বদা সবাইকে সুখ দান করা উচিত । ঘরে অতিথিদের খুব যত্ন করে সেবা করা হয় । এ হলো পুরানো শরীর, কর্ম ভোগ করে হিসেব – নিকেশ শোধ করতে হবে, এতে ভয় পেলে চলবে না । না হলে পরে সাজা ভোগ করতে হবে । তোমাদের খুবই মাধুর হতে হবে । বাবা কতো ভালোবেসে বোঝান । এই উপার্জনে কখনোই হাই তোলা বা ঝিমিয়ে পড়া উচিত নয় । বাবা বলেন – তোমরা আমাকে স্মরণ করলে সদা নিরোগী হয়ে যাবে । আমি তোমাদের স্বর্গে নিয়ে যেতে এসেছি, তাই কোনো কুকর্ম করো না । সঙ্কল্প তো অনেকই আসবে – অমুক জিনিস না বলে নিয়ে খেয়ে নিই । এই জিনিস গ্রহণ করি । আরে, বাবা তো বাচ্চাদের জন্মপত্রিকা জানেন, তাই সুন্দর স্বভাব ধারণ করতে হবে । বাবা বলেন, আমি সকলের জন্মপত্রিকা জানি, কিন্তু এক একজনকে বসে শোনাবো নাকি যে তোমাদের ভিতরে কি আছে । আমার কাজ হলো শিক্ষা প্রদান করা । আমি তো টিচার । এমন নয়, বাবা তো জানেনই, আমাদের ওষুধ নিজেই পাঠিয়ে দেবেন । বাবা বলবেন – অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যাও । হ্যাঁ, সবথেকে ভালো ওষুধ হলো যোগ । বাকি আমি তো কোনো ডাক্তার নই যে, বসে ওষুধ দেবো । হ্যাঁ, কখনো দিয়েও দিই, ড্রামাতে নির্ধারিত আছে তো । বাকি, আমি তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের ইঞ্জেকশন লাগাতে এসেছি । ড্রামাতে থাকলে কখনো ওষুধও দিয়ে দিই । বাকি এমন নয় যে, বাবা তো সমর্থ, আমাদের অসুস্থতা কেন দূর করছেন না । ভগবান তো যা চায় তাই করতে পারেন । তা নয়, বাবা তো এসেছেন পতিতকে পবিত্র করতে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মন – বাণী এবং কর্মে কখনোই কাউকে দুঃখ দেওয়া উচিত নয় । কর্ম ভোগকে ভয় পেও না । খুশীর সঙ্গে পুরানো হিসেব – নিকেশ শোধ করতে হবে ।

২ ) সঙ্কল্পের বশীভূত হয়ে কোনো কুকর্ম ক’রো না । সুন্দর স্বভাব ধারণ করতে হবে । দেবতা হওয়ার জন্য প্রতিটি কথা ইশারাতেই বুঝে যেতে হবে । বলার প্রয়োজন নেই ।

বরদানঃ-

বর্তমান সময় তোমরা বাচ্চারা এমন শ্রেষ্ঠ সম্পূর্ণ অধিকারী হও যে, স্বয়ং অলমাইটি অথরিটির উপর তোমাদের অধিকার । পরমাত্ম অধিকারী বাচ্চারা সর্ব সম্বন্ধের এবং সর্ব সম্পত্তির অধিকার প্রাপ্ত করে নেয় । এই সময়ই বাবার কাছে ‘সর্বশ্রেষ্ঠ সম্পতিবান ভব’ এই বরদান প্রাপ্ত হয় । তোমাদের কাছে সর্ব গুণের, সর্ব শক্তির আর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানের অবিনাশী সম্পত্তি আছে, তাই তোমাদের মতো সম্পতিবান আর কেউই নেই ।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য

“পরমাত্মার সম্বন্ধে অনেক মানুষের মতের সর্বশেষ সমাধান”

এখন তো এই সম্পূর্ণ দুনিয়া জানে যে, পরমাত্মা এক, সেই পরমাত্মাকে কেউ শক্তি রূপে মানে, কেউ বলে প্রকৃতি, এর অর্থ তারা কোনো না কোনো রূপে অবশ্যই মানে । তাহলে যেই বস্তুকে মানে, অবশ্যই তা কোনো বস্তু হবে, তাই তো তাঁর নাম রাখা হয়েছে, কিন্তু সেই এক বস্তুর সম্বন্ধেই এই দুনিয়াতে যত মানুষ আছে, ততই মত, কিন্তু জিনিস তো সেই একই । এরমধ্যে মুখ্য চার মতো শোনাচ্ছি – কেউ বলে ঈশ্বর সর্বত্র, কেউ বলে ব্রহ্ম সর্বত্র । কেউ বলে ঈশ্বর সত্য, মায়া মিথ্যা ? কেউ আবার বলে ঈশ্বর নেই, চারিদিকে প্রকৃতিই প্রকৃতি । তারা আবার ঈশ্বরকে মানে না । এখন এই হলো অনেক মত । ওরা তো মনে করে, জগৎ হলো প্রকৃতি, বাকি আর কিছুই নেই । এখন দেখো, জগৎকে তো মানে, কিন্তু যেই পরমাত্মা এই জগৎ রচনা করেছেন, সেই জগতের মালিককে মানে না । দুনিয়াতে যতো মানুষ আছে, তাদের এতো মত, অবশেষে এই সমস্ত মতের সমাধান পরমাত্মা স্বয়ং এসে করেন । এই সমস্ত জগতের নির্ণয় পরমাত্মা এসে করেন, অথবা যিনি সর্বোত্তম শক্তিমান, তিনিই তাঁর রচনার নির্ণয় বিস্তার করে বোঝাবেন, তিনিই আমাদের রচয়িতার পরিচয় প্রদান করেন, তারপর নিজের রচনার পরিচয়ও দেন । আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top