25 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

25 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

24 October 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- এই পুরোনো দুনিয়ার এখন অন্তিম-চরণ, সেইজন্য সঙ্গমযুগে তোমাদের ভবিষ্য রাজত্বের জন্য সুযোগ্য হয়ে উঠতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চাদের কোন্ শখ থাকলে তবেই সিংহাসনের অধিকারী হতে পারে ?

উত্তরঃ -:-

অলরাউন্ড(সর্ব বিষয়ে) সার্ভিস করার শখ থাকলে তবেই সিংহাসনের অধিকারী হতে পারবে, যারা অলরাউন্ড সার্ভিস করে তারা অনেককে সুখ দেয়, তারা তাদের ফলও প্রাপ্ত করে। বাচ্চারা সর্বদা প্রতিটি সার্ভিসে উপস্থিত থাকা উচিত। এমন হুশিয়ার হও যাতে মা-বাবাকে শো করতে পারো। মাম্মা-বাবা বলো তাহলে তাঁদের মতন হয়ে দেখাও।

গান:-

এই পাপের দুনিয়া থেকে দূরে নিয়ে চলো…

ওম্ শান্তি । কেবল মিষ্টি-মিষ্টি ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরাই জানে যে পাপের দুনিয়া আর পুণ্যের দুনিয়া কাকে বলা হয়। কাকে পতিত দুনিয়া, কাকে পবিত্র দুনিয়া বলা হয়ে থাকে। যদিও মানুষ বলে যে — হে পতিত দুনিয়াকে পবিত্র সৃষ্টিকারী এসো, কিন্তু তাঁকে তারা জানে না। এও আত্মাই বলে — হে পতিত-পাবন…… সকল মানুষমাত্রই ডাকতে থাকে। কিন্তু এ’টা কেউ জানে না যে পবিত্র দুনিয়া কাকে বলে। তা কবে এবং কিভাবে স্থাপিত হবে। এখন তোমরা নলেজফুল বাবার হয়ে গেছো, সেইজন্য নলেজফুল জ্ঞানসাগর বাবাকে কেবল তোমরাই জানো। আর কেউ একদমই জানে না যে পবিত্র দুনিয়া পরে পতিত কিভাবে হয়। পতিত দুনিয়া কিভাবে পবিত্র হয়ে যায়। পতিত দুনিয়ায় কারা থাকে আর পবিত্র দুনিয়ায় কারা থাকে। এ’সমস্ত কথা তোমরা এখন জেনেছো। পবিত্র দুনিয়া সত্যযুগকে বলা হয়। অবশ্যই পবিত্র দুনিয়া ভারতেও এক আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের রাজ্য ছিল, সেইজন্য সবচেয়ে প্রাচীন দেশ বলে ভারতের গায়ন-কীর্তন করা হয়ে থাকে। এখন তোমরা বোঝ যে পুনরায় পবিত্র দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য পতিত-পাবন বাবা আমাদের যুক্তি বলে দিচ্ছেন। বাবা বলেন — এক সেকেন্ডে যুক্তি বলে দিই। বাবা আসেনই নতুন দুনিয়ার রাজ্য-ভাগ্য প্রদান করতে। এ হলো অসীম জগতের পিতার অসীম জগতের উত্তরাধিকার। বাবা-ই এসে রাজযোগ শিখিয়ে থাকেন। আমরা রাজযোগ শিখছি। বাবা বলেন — তোমরাই সতোপ্রধান ছিলে পুনরায় সতোপ্রধান হতে হবে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, হিন্দু ছিল না। ভারতেই সর্বপ্রথমে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। পুনরায় অবশ্যই পুনর্জন্ম নিয়েছে। যেমন খ্রীস্টানরাও পুনর্জন্ম নিয়ে বৃদ্ধি পেতে থাকে। বৌদ্ধদের ধর্ম স্থাপনকারী বুদ্ধ, তিনি হয়ে গেলেন ধর্ম-স্থাপক। একজন বুদ্ধ থেকে কত অসংখ্য বৌদ্ধ বেরিয়েছে। খ্রাইস্ট একজন। এখন দেখো কত খ্রীস্টান হয়ে গেছে। সব ধর্মেই এই রকম হয়ে আসছে। এমনিতে যখন আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল তখন এ’সব আর কিছুই ছিল না। অন্যদের গুলো (ধর্ম) তো জানা আছে। খ্রীস্টান ধর্ম খ্রাইস্ট, ইসলাম ধর্ম ইব্রাহিম স্থাপন করেছে। আচ্ছা, সত্যযুগে যে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, তা কে স্থাপন করেছে? সত্যযুগে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব চলেছে, তাই না! তাহলে অবশ্যই কেউ তো রাজ্য স্থাপন করেছে। সত্যযুগে দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, তা বাবা এখন স্থাপন করেন সেইজন্যই তাঁকে সঙ্গমে আসতেই হয়। এখন সব মানুষমাত্রেই পতিত দুনিয়ায় বসে রয়েছে। পুরোনো দুনিয়ায় কোটি-কোটি মানুষ। নতুন দুনিয়ায় তো এত মানুষ থাকতে পারে না। ওখানে এক ধর্ম ছিল। ইসলামী, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ইত্যাদি কেউ ছিল না। সেই দেবতা ধর্ম এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। সে’সমস্ত কিভাবে ভগবান স্থাপন করেছিলেন, তা কেউ জানে না। দেবতা ধর্ম নামই ভুলে গেছে, হিন্দু ধর্ম বলে দেয়। এখন বাবা বোঝান যে বাবা আসেনই তখন, যখন পুরোনো দুনিয়াকে বদল করতে হয়। এখন এই পুরোনো দুনিয়ার সমাপ্তি। তা কেবল তোমরা ব্রাহ্মণরাই জানো। এই অতি ভীষণ যুদ্ধেই পুরোনো দুনিয়া সমাপ্ত হয়েছিল। গীতায় দেখানো হয়েছে, সব শেষ হয়ে গেছে। কেউই (জীবিত) থাকে নি। পঞ্চ পান্ডব জীবিত ছিল, তারাও পাহাড়ে গিয়ে পঁচে-গলে মারা গিয়েছিল। কিন্তু এরকম কোনকিছু হয় না। এ তো বাবা-ই স্থাপন করেন। প্রলয় বা জলমগ্ন তো হয় না। বাবাকে ডাকে, হে পতিত-পাবন এসো, আমাদের দুঃখ হরণ করে সুখ প্রদান করো কারণ এখন রাবণ-রাজ্য। রাম-রাজ্য চাই, তাহলে অবশ্যই এখন রাবণ-রাজ্য, তাই না! বাবা বোঝান, এখন রাম-রাজ্যের স্থাপনা এবং রাবণ-রাজ্যের বিনাশ হয়ে যায়। আমি যে যুক্তি শেখাই, যে শেখে সে নতুন দুনিয়ায় রাজ্য করে। এই জ্ঞানের কিছুই ওখানে থাকবে না। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সমগ্র জ্ঞান রয়েছে। যার বুদ্ধিতে থাকে সে অন্যান্যদেরও বোঝায়। নম্বরের অনুক্রম তো রয়েছেই, তাই না! সার্ভিসেবেল বাচ্চাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান অবিরাম বর্ষিত হয়ে থাকে। অবশ্যই সত্যযুগে সর্বপ্রথমে দেবী-দেবতা ধর্মাবলম্বীরাই ছিল। এও তোমরাই জানো। বাবা সর্বপ্রথমে প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদেরই রচনা করে থাকেন। এ হলো জ্ঞান-যজ্ঞ, তাই না! তাহলে অবশ্যই ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের প্রয়োজন। ব্রাহ্মণ অবশ্যই সঙ্গমেই হবে। আসুরীয় সম্প্রদায় হলো কলিযুগে, দৈবী সম্প্রদায় হলো সত্যযুগে। তাহলে অবশ্যই সঙ্গমেই দৈবী-সম্প্রদায়ের স্থাপনা হবে। যখন ডিগবাজি খায় (বাজোলি) তখন পা আর কেশ-শিখা মিলিত হয়। তোমরা ব্রাহ্মণ তখন স্মরণে আসে। বিরাট রূপের চিত্রও আবশ্যক। এর বোঝানো অত্যন্ত ভাল। বলেও যে, বাবা আমরা তোমার ৬ মাসের বাচ্চা। আমরা ৪ দিনের বাচ্চা। কেউ বলে আমি এক দিনের বাচ্চা অর্থাৎ আজই বাবার হয়েছি। মুখ-বংশী হয়েছি। যারা জীবিত অবস্থায় বাবার হয়ে যায় তখন বলে, বাবা আমরা তোমার। ছোট বাচ্চা তো (এমন) বলতে পারে না। এই জ্ঞান হলো বড়দের জন্য। বলে থাকে যে, বাবা আমরা তোমার ছোট বাচ্চা। ছোট বাচ্চাদের চিত্রের উপর বোঝানো সহজ। দিনে-দিনে বোঝানো বিস্তার প্রাপ্ত করতে থাকে। এই চিত্রগুলির যুক্তি ড্রামা প্ল্যান অনুসারে ৫ হাজার বছর পূর্বের মতোই বেরিয়েছে। এতে এমন কোনো প্রশ্ন উঠতেই পারে না যে শুরুতে কেন বেরোয়নি, এখন কেন ? ড্রামানুসারে যে যুক্তি যখন বেরোবার তখনই বেরোবে। স্কুলে পড়ায় নম্বরের ক্রমানুসারেই স্থান প্রাপ্ত হয়। এরকম আবার হয় নাকি যে প্রথমেই বড় পরীক্ষা পাশ করে যাবে। প্রথমে কেবল বাবা(অল্ফ) আর বাদশাহী(বে) পড়ানো হয়ে থাকে, তাই না! সে তো বাবার বাচ্চা হলেই বাবা স্বর্গের রাজত্ব দিয়ে দেন। বাবাকে বাবা বলার পর পুনরায় নিশ্চয় ভেঙে যায় নাকি! এখানে তো বাবা-বাবা বলতে-বলতে নিশ্চয় ভেঙে যায়। তোমরা জানো, ইনি তো অসীম জগতের বাবা। তোমরা অসীম জগতের পিতার কাছ থেকে অসীম জগতের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো, সে’জন্য ওঁনার শ্রীমতে চলতে হবে। বাবা বলেন — আর সকল কথা ছেড়ে আমায় স্মরণ করো আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। চলতে-ফিরতে এ’কথা স্মরণে থাকলে খুশিও বজায় থাকবে। কিন্তু এই স্মরণ দাঁড়ায় না কেন ? তোমাদের তো গ্যারান্টি রয়েছে — বাবা আমরা তোমার হয়ে যাবো তখন আমাদের আর কারোর প্রতি মমত্ব থাকবে না। আমরা তোমার মতানুসারেই চলব। বাবাও বলেন, শ্রীমতে না চললে ভুল হতে থাকবে। শ্রীমতে চললে খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হবে। আত্মা অতীন্দ্রিয় সুখ প্রাপ্ত করে তখন কত খুশি হয়। আত্মা জানে, পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের রাজ্য-ভাগ্য দিয়েছিলেন, যা ৮৪ জন্ম নিতে-নিতে হারিয়ে ফেলেছি, পুনরায় বাবা দিচ্ছেন। তবে তো অপার খুশিতে থাকা উচিৎ, তাই না! অন্তরের খুশিও দেখা যায়, তাই না! এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চেহারাতেই দেখা যায়, তাই না! যদিও অজ্ঞানকালে কেউ-কেউ অত্যন্ত খুশিতে থাকে, ভালভাবে কথাবার্তাও বলে থাকে। মনুষ্য সৃষ্টিতে সর্বাপেক্ষা উচ্চ মর্যাদাসম্পন্ন কে ? এমনিতে সবচেয়ে উঁচু হলেন শিববাবা যাঁকে সকলে ফাদার বলে সম্বোধন করে থাকে। কিন্তু তাঁর পেশা কি তা জানে না। যখন বাবা আসেন তখন এসে নিজের পরিচয় দেন। বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে বাবার থেকে আমরা বৈকুন্ঠের রাজত্ব পাই। খুশি হওয়া উচিত, তাই না ! আমরা নর থেকে নারায়ণ হয়ে যাই। যদিও কেউ-কেউ হাত তুলে দেয় কিন্তু বোঝে না কিছুই। যাদের নিশ্চয় আছে তারা এই খুশিতে থাকে যে আমরা এখন ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি। এখন আমরা বাবার মতানুসারে চলে বিশ্বের মালিক হয়ে যাই। পড়া এই নেশা কতটা পরিমাণে থাকা উচিত। প্রেসিডেন্ট, গভর্নর ইত্যাদিদের নেশা তো থাকে, তাই না! বড়-বড় ব্যক্তিরা আসে তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে। পদমর্যাদা সম্বন্ধে জ্ঞাত না হয়ে কখনো কেউ কারোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারে না। বাবাও কখনো সাক্ষাৎ করেন না। বাবার পদমর্যাদাকে কেবল তোমরা বাচ্চারাই জানো, তাও আবার পুরুষার্থের নম্বরের অনুক্রমে জেনে থাকো। যদিও ব্রহ্মাকুমার বলা হয় কিন্তু বুদ্ধিতে এ’কথা থাকে না যে আমরা শিববাবার সন্তান। ওঁনার থেকে আমরা স্বর্গের উত্তরাধিকার গ্রহণ করছি। না বাবাকে, না উত্তরাধিকারকে স্মরণ করতে পারে। স্মরণ থাকলে অন্তরে খুশিও থাকবে, তাই নয় কি ! যেমন কন্যার বিবাহ দিলে তখন তাকে গুপ্তদান দেওয়া হয়। বাক্স বন্ধ করে হাতে চাবি দিয়ে দেওয়া হয়। বাবাও তোমাদের বিশ্বের বাদশাহীর চাবি হাতে দিয়ে দেন। তোমরা সত্যযুগীয় বিশ্বের উদঘাটন করো। স্বর্গেও তোমরাই যাবে। বাবা তোমাদের সুযোগ্য করে তোলেন। ভক্তরা তো স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য হতে পারে না। যতক্ষণ পর্যন্ত বাবা জ্ঞান প্রদান না করছেন, পবিত্র না হচ্ছে সেইজন্য নারদের উদাহরণ দেওয়া হয়ে থাকে। যদিও ভাল-ভাল ভক্ত তো অনেক আছে, কিন্তু আত্মা তো অপবিত্র, তাই না! জন্ম-জন্মান্তর ধরে তারা পতিত হয়ে এসেছে, যতক্ষণ না পর্যন্ত বাবাকে পায় ততক্ষণ স্বর্গে যেতে পারে না। বাবা তোমাদের ব্রহ্মার দ্বারা অ্যাডপ্ট করেছেন, তোমরাই গিয়ে নতুন দুনিয়ায় রাজত্ব করবে। অন্য কেউ রাজত্ব স্থাপন করেই না। না কেউ জানে। বাবা-ই সঙ্গমযুগে এসে ভবিষ্য ২১ জন্মের জন্য রাজত্ব স্থাপন করছেন। এইরূপ বাবাকে কেউ জানেই না। এখন তোমরা বোঝ যে অবশ্যই ৫ হাজার বছর পূর্বে ভগবান এসেছিলেন। গীতার জ্ঞান শুনিয়েছিলেন, যার ফলে মানব দেবতায় পরিনত হয়েছিল। গীতা হলো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্র। সত্যযুগে তো কোনো শাস্ত্রাদি থাকেই না। বাবা বলেন — আমি সঙ্গমযুগেই আসি। পুনরায় এসে সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শুনিয়ে থাকি, তারাই দেবী-দেবতা হয় যারা পুনরায় ৮৪-র চক্র পরিক্রমা করে এখন অন্তিমলগ্নে এসেছে তাই এসে তাদেরকেই বুঝিয়ে থাকি। মাঝখানে আমি আসিই না। এরকম হয় নাকি যে খ্রাইস্ট মাঝখানে চলে আসবে! আর যারাই ধর্ম স্থাপন করতে আসে তা এই দুনিয়ার জন্য। আমি আসিই সঙ্গমে নতুন দুনিয়া স্থাপন করতে। খ্রাইস্টের আত্মা এসে প্রবেশ করে নিজের ধর্ম স্থাপন করে। এই বাবা তো রাজত্ব স্থাপন করেন। এ’কথা কেউ জানে না যে এই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজধানী কবে আর কে স্থাপন করেছিল। এই যে লক্ষ্মী-নারায়ণ ইত্যাদিদের মন্দির নির্মাণ করে, তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত। তোমরা সভাতেও জিজ্ঞাসা করতে পারো। এই রহস্য তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। বাবা, প্রতিকল্পে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন, এ’কথা আর কেউ জানতে পারে না। অক্ষরও রয়েছে, কিন্তু যথার্থভাবে কারোর বুদ্ধিতে বসে না। কোন-কোন বাচ্চার উপর গ্রহের দশা বসে যায়। দেহ-অভিমান হলো প্রথম নম্বরের গ্রহদশা। বাবা বলেন — বাচ্চারা, দেহী-অভিমানী ভব। এই লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র আর সিড়ির চিত্র বোঝানোর জন্য বড় ভাল জিনিস। অনেকের এতে কল্যাণ হতে পারে। কিন্তু ড্রামায় বোধহয় রাজধানী স্থাপিত হতে দেরী আছে তাই বিঘ্ন ঘটে। স্বয়ং বাবা বলেন, প্রচুর বিঘ্ন ঘটে। মায়া অতি সামর্থ্যবান(শক্তিশালী)। ঝট করে আমার বাচ্চাদের নাক, কান ধরে ফেলে( মুলে দেয়)। একে বলে রাহুর দশা। ভারতে বিশেষভাবে এইসময় বিকার-রূপী রাহুর দশা বসে রয়েছে। তোমরা সেকেন্ডে প্রমাণ করতে পারো যে এই ভারতই পবিত্র হীরে-তুল্য ছিল। এখন বিকারী কড়ি-তুল্য হয়ে গেছে, পুনরায় হীরে-তুল্য হতে হবে। সমগ্র কাহিনী ভারতেরই। বাবা এসে হীরে-তুল্য বানান। তবুও কতরকমের বিঘ্ন পড়ে। দেহ-অভিমানের জন্য অতি বড় বিঘ্ন ঘটে। লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্রের উপরেও কাউকে বোঝানো অতি সহজ। বাচ্চাদের সার্ভিসের অত্যন্ত শখ থাকা উচিত। সার্ভিসও অনেক রকমের হয়, তাই না! অনেককে সুখ দেয়, সেইজন্য তার ফলও প্রচুর পরিমাণে পায়। কেউ অলরাউন্ড হাড় গলানো(প্রচুর) সেবা করে। খুশি থাকা উচিত যে আমাদের অলরাউন্ড অর্থাৎ সর্ববিষয়ে দক্ষ হতে হবে। বাবা আমরা সেবায় উপস্থিত। ভাল-ভাল আধ্যাত্মিক সেবাদানকারী বাচ্চারা ভোজন নিজের হাতে তৈরী করে। তোমরাও জানো যে বাচ্চারা এতটাই হুশিয়ার হয়ে যায় যে সিংহাসন প্রাপ্ত করে নেয়। এখানে তো ঘরের দেখভাল করা মাতারা রয়েছে। এখন মাতাদের, কুমারীদের তো এই সার্ভিস করতে দাঁড়িয়ে পড়া উচিত। মাম্মার মতন সার্ভিস করে দেখাতে হবে। প্রদর্শন(শো) করা উচিত। এছাড়া কেবল মাম্মা-মাম্মা করে কি লাভ! ওঁনার মতন হতে হবে। আচ্ছা।

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ-অভিমানের গ্রহের দশাই যজ্ঞে বিঘ্ন রূপ ধারণ করে, সেইজন্য যতখানি সম্ভব দেহী-অভিমানী হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে।

২ ) নিজের পড়া এবং সত্যযুগীর পদমর্যাদার খুশি বা নেশায় থাকতে হবে, শ্রীমতে চলতে হবে। কোনো ভুল করবে না।

বরদানঃ-

সদা এই ঈশ্বরীয় মর্যাদায় থাকো যে আমি বাপদাদার নয়নজ্যোতি, আমাদের নয়নে বা নজরে কোনো বস্তু সমাহিত হতে পারে না। এই মর্যাদায় থাকলে বিভিন্ন ধরণের দুশ্চিন্তা স্বতঃ-ই সমাপ্ত হয়ে যাবে। কোনো প্রকারের অভিযোগ থাকতে পারে না। যে যত নিজের উচ্চ মর্যাদায় অবস্থান করে তাদের মান-সম্মানও স্বতঃ-ই প্রাপ্ত হয় এবং তাদের প্রতিটি কর্ম চমৎকারভাবে সুসম্পন্ন হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top