25 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

24 June 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সত্য পিতাকে নিজের কর্মের সত্য চার্ট (পোতা মেল) দাও, প্রতিটি বিষয়ে শ্রীমৎ নিত থাকো, এতেই তোমাদের কল্যাণ নিহিত আছে”

প্রশ্নঃ --

এখন তোমরা কোন্ সওদা কোন্ বিধির দ্বারা করো ?

উত্তরঃ -:-

স্যারেন্ডার (সমর্পিত) বুদ্ধি হয়ে বলো বাবা আমি তোমার, এই তন-মন-ধন সবই তোমার। বাবা তখন বলেন বাচ্চারা স্বর্গের বাদশাহী তোমাদের। এই হল সওদা (লেন দেন) । কিন্তু এর জন্য সৎ হৃদয়ের হতে হবে। নিশ্চয়ও দৃঢ় থাকা চাই। নিজের কর্মের সত্য চার্ট ( পোতামেল) বাবাকে দিতে হবে।

গান:-

তুমিই মাতা পিতা..

ওম্ শান্তি । বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান – বাচ্চারা জানে এখন আমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারীরা শ্রীমতের অর্থ তো জেনেছি। শিববাবার মতানুসারে আমরা পুনরায় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছি। এই কথা তোমরা প্রত্যেকে জানো – অবশ্যই প্রত্যেক কল্পে পরম পিতা পরমাত্মা এসে ব্রহ্মার দ্বারা বাচ্চাদেরকে অ্যাডপ্ট করেন। তোমরা হলে অ্যাডপ্টেড ব্রাহ্মণ। দত্তক নেওয়া হয়েছে। আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম যা লুপ্ত প্রায় হয়েছে, আমরা শ্রীমৎ অনুসারে পুনরায় সেই ধর্মের স্থাপনা করছি এবং হুবহু পূর্ব কল্পের মতন। যে অ্যাক্ট গুলি চলে, শিক্ষা প্রাপ্ত হয়, কল্প পূর্বের মতন ড্রামা অনুসারে আমরা অ্যাক্ট করছি। আমরা জানি শ্রীমৎ অনুসারে আমরা নিজেদের দৈবী স্বরাজ্য স্থাপন করছি। যারা যতখানি পুরুষার্থ করবে, কারণ সৈন্য বাহিনীতে কেউ সতোপ্রধান পুরুষার্থী, কেউ সতঃ, রজঃ পুরুষার্থী আছে। কেউ মহারথী, কেউ অশ্বারোহী, কেউ পদাতিক এইরূপ নাম দেওয়া রয়েছে । বাচ্চাদের খুশীর অনুভূতি হয় যে আমরা হলাম গুপ্ত সেনা। স্থূল অস্ত্র ইত্যাদি কিছুই ব্যবহার করতে হয় না আমাদেরকে। দেবীদের হাতে যে অস্ত্র গুলি দেখানো হয়েছে সেসব হল জ্ঞানের অস্ত্র শস্ত্র। অস্ত্রের অর্থ তো দৈহিক বাহু বল হয়ে যায়। মানুষ জানেনা যে স্থূল তলোয়ার ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় না, এগুলিকে জ্ঞানের বাণ বলা হয়। চতুর্ভুজের চিত্রে যে অলঙ্কার দেখানো হয়েছে, তাতেও জ্ঞানের শঙ্খ আছে। জ্ঞানের চক্র, জ্ঞানের গদা। সবই জ্ঞানের কথা। বোঝানোও হয়েছে, গৃহস্থে কমল ফুলের মতন থাকো, তাই পদ্ম ফুলও দেওয়া হয়েছে। এখন তোমরা প্রাক্টিক্যাল অ্যাক্টে আছো। পদ্ম ফুলের মতন গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান রয়েছে যে আমরা এক পিতাকে স্মরণ করি। এ হল কর্মযোগ সন্ন্যাস। নিজের রচনার প্রতিপালনও করতে হবে। এখন তোমরা বুঝেছো যে, পূর্বে দুঃখের কর্ম ব্যবহারই ছিল। একে অপরকে দুঃখই প্রদান করা হয়েছে। এই দুনিয়ার সুখ তো কাক বিষ্ঠার সমান, ছিঃ ছিঃ নোংরা। বিষ্ঠার কীট সম হয়েছে মানুষ। বাচ্চারা বুঝেছে রাত দিনের তফাৎ আছে। বাবা আমাদের স্বর্গের মালিক করেন। এখন আমরা নরকের মালিক। নরকে কি বা সুখ থাকবে! তোমরা বাচ্চারা এখন শুনছো এবং বুঝতে পারছো। বাবা বাচ্চাদের এই নলেজ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। বাচ্চাদের জন্যই স্বর্গ। বাচ্চারাই ভালো ভাবে বুঝবে নম্বর অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। সর্ব প্রথমে তো দৃঢ় বিশ্বাস বা নিশ্চয় থাকা উচিত। নিশ্চয় বুদ্ধি বিজয়ন্তী। নিশ্চয় দৃঢ় থাকলে সেই জ্ঞান নিশ্চয়ের মধ্যেই পরিলক্ষিত হবে। এক তো শিববাবার স্মরণ থাকবে এবং খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে। স্যারেন্ডার বুদ্ধি হবে। বলে বাবা আমি তো তোমার। এই দেহ মন ধন সবই তোমার। বাবাও বলেন এই স্বর্গের বাদশাহী তোমাদের। দেখো, সওদাটি কেমন। সত্য প্রকৃত সন্তান হতে হবে। বাবা সব জানবেন যে বাচ্চাদের কাছে কি আছে ? আমরা কি দিয়েছি ! তোমাদের কাছে কি আছে ? বাবা ভালো ভাবে বোঝান। আমি হলাম দীনের নাথ। ধনী বিত্তবান মানুষের স্যারেন্ডার হতে হৃদয় বিদীর্ণ হবে। গরিব মানুষ শীঘ্র জানিয়ে দেয়। ব্যবসা যারা করে, চাকরি বাকরি যারা করে তারাও নিজের উপার্জন থেকে এই দু’চার পয়সা বের করে । যারা দান করতে ভালোবাসে তারা বেশি দান করে। যা কিছু কর্তব্য করে, বলে ঈশ্বর অর্পণম্, তাই অল্পকালের জন্য সুখ পরের জন্মে প্রাপ্ত করে। কেউ কলেজ, ধর্মশালা, হসপিটাল ইত্যাদি নির্মাণ করেছে তো পরের জন্মে তার ফল প্রাপ্ত করে। পুণ্য আত্মা হয় । তাদের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। কলেজে ভালো ভাবে পড়াশোনা করবে। সেসব কিছু আমিই প্রদান করি। সাক্ষাৎকারও আমি করাই। প্রত্যেকের হিসাবপত্র আমার কাছে আছে। ড্রামা অনুসারে পূর্ব থেকেই নির্ধারিত রয়েছে । ধন বেশি থাকলে মন্দির ইত্যাদিও নির্মাণ করে, তা হল পরমার্থের উদ্দেশ্যে ধন ব্যয় করা। নিজের কারখানা ইত্যাদি থেকে কিছু উপার্জন নিয়ে মন্দির নির্মাণ করে, কেউ কলেজ ইত্যাদি বানায়। বলবে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে দান করলে ঈশ্বর রিটার্ন দেবেন। অনেক মানুষ বলে আমরা নিষ্কাম রূপে সেবা করি। কিন্তু নিষ্কাম তো হয় না। নিষ্কাম শব্দটি কোথা থেকে এসেছে ? বাবা বুঝিয়েছেন – নিষ্কাম সেবা হতে পারে না। ফল অবশ্যই প্রাপ্ত হয়। এখন তোমাদেরকে গৃহস্থ ব্যবহারে তো থাকতেই হবে। চাকরীও করতে হবে, পরিবার প্রতিপালনও করতে হবে। বাচ্চাদের তো বাবাকে কর্মের চার্ট ইত্যাদি দিতে হবে। কতটা বেঁচেছে। বাবা বলেন তোমরা গরিব, আমদানি ইত্যাদি হয় না। নিজের রচনার দেখভালও ঠিক করে করতে পারো না। আচ্ছা, তোমরা এক পয়সা দিও। এ হল তোমাদের ২১ জন্মের অবিনাশী উপার্জন। ওই উপার্জন ছিল অল্পকালের সুখের জন্য আর এ হল ২১ জন্মের জন্য। এই হল ডাইরেক্ট। বাবা বলেন, তোমাদের বীজ বপন তো করতেই হবে। সুদামা এক মুঠো চাল দিয়ে ২১ জন্মের জন্য মহল প্রাপ্ত করেছিল কারণ গরিব ছিল। ধনী এক মুঠো হীরে দিলে কথাটি এক সমানই হবে। বাবা কিছু বলেন না। প্রত্যেককে তাদের নিজের নিজের মতো ডাইরেকশন দেন। তোমরা এটাকরো। জিজ্ঞাসাও করেন খরচ চলে কীভাবে ? স্বল্প আয় থাকলে সেই অনুসারে পরামর্শ দেন। অসময়ের জন্য রাখা উচিত। ডাইরেকশন দেন যে এতটা করো, বাকিটার জন্য আমি রেস্পন্সিবল (দায়ী) । আচ্ছা বাড়িতে একটি হলঘর বানাও, যেখানে কন্যারা গিয়ে সেবা করতে পারে। হসপিটাল বিশাল তৈরি কর, সেবাকেন্দ্রও বিরাট তৈরি করতে হবে । অনেকে আসবে। যদি অত্যধিক ধন আছে তো এই হসপিটাল, কলেজ খোলো। তাতে গ্রাম গঞ্জের কল্যাণ হবে । অনেক বাচ্চারা এসে বর্সা নেবে – হেলথ ওয়েলথের। এখন তোমরা এইরূপ কর্তব্য করলে রাজত্ব প্রাপ্ত হবে, অনেকের কল্যাণ হবে। ২১ জন্মের জন্য তোমরা এই রকম হবে। বাচ্চাদের সম্পূর্ণ রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে। সাধু সন্ন্যাসীদের এই চিন্তা থাকে না। তাদের যা দেবে তারা নিজেদের কাজে লাগাবে। নিজেদের সন্ন্যাস কুলের বৃদ্ধি করবে, আখড়া ইত্যাদি বানাবে। এখানে যে যতখানি পরিশ্রম করবে সে ততই উঁচু গদিতে বসার মালিক হবে। এই বর্সা প্রাপ্ত হয়। যত বাচ্চা আছে সব বাচ্চার বাবার কাছে বর্সা প্রাপ্ত হয়। বাবা কেবল এ’টুকু বলেন যে, বাচ্চারা তোমরা আমাকে ভুলে গেছো তাই না! তোমরা অনেক পথভ্রান্ত হয়েছো। নুড়ি পাথরে খুঁজে খুঁজে নিজের পা দুটিকেই ক্লান্ত করেছ। এইসবই ড্রামাতে ফিক্সড রয়েছে, এমন হতেই হবে হবে। সূর্যবংশী এলো, চন্দ্রবংশী এলো তারপরে কীভাবে বৃদ্ধি হতে থেকেছে। জন্ম নিতে থেকেছে। এইসব তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। ভক্তিমার্গেও ফল প্রদান করি আমি। পাথরের জড় মূর্তি কি দেবে। এখন তোমরা শূদ্র বর্ণ থেকে ব্রাহ্মণ বর্ণে পরিণত হয়েছো।

তোমরা জানো আমরা শ্রীমৎ অনুসারে পুনরায় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা করছি। কল্প পূর্বেও এমন করেছিলাম। আমরা ৮৪ জন্মের চক্রে এসেছি। ইসলাম, বৌদ্ধ ইত্যাদি সবই হল বাই প্লটস। সম্পূর্ণ নাটকটি ভারতকে কেন্দ্র করে। তোমরাই দেবতা ছিলে, তোমরাই অসুর হয়েছো। রাবণের প্রবেশ হওয়ার কারণে বাম মার্গে গিয়ে তোমরা বিকারী হয়েছো। ভ্রষ্টাচারী কর্ম আরম্ভ হয়ে যায়। ভ্রষ্টাচারও প্রথমে সতোপ্রধান পরে সতঃ, রজঃ তমো হয়। বাবা বোঝান এই সময় সম্পূর্ণ বৃক্ষটি জরাজীর্ণ অবস্থায়। এখন এই বৃক্ষের বিনাশ হবে। যে দেবতা ধর্ম এখন নেই, তা পুনরায় স্থাপন হবে। কল্প কল্প স্থাপন হয়েছে। কিন্তু এর বর্ণনা কোনোখানেই নেই। নম্বর ওয়ান কথা হল ভগবানুবাচ। ভগবান তো হলেন এক তাইনা। সর্বব্যাপীর জ্ঞানের দ্বারা ভক্তিও চলতে পারে না। ও গড কাকে বলা হয়, সর্বব্যাপী যদি হয় তবে ‘ও গড ‘ বলা যাবে না। সতোপ্রধান থেকে সতঃ, রজঃ, তমোতে আসতেই হবে, তাই সবাই পতিত হয়েছে। গানও করে পতিত-পাবন এসো। বাবা আসেন পবিত্র করতে। তোমরা পবিত্র হচ্ছো। দুঃখে স্মরণ সবাই করে। যখন বিপদ আসে তখন স্মরণ করে, হে ভগবান, কিন্তু জানেনা। তোমরা নলেজ প্রাপ্ত করছো। বাচ্চারা, তোমাদের দেবী দেবতা হতে হবে। এখন হল কয়ামতের (বিনাশের) সময়, সকলের হিসেব নিকেশ পরিশোধ হবে। এখন সকলে কবরে রয়েছে, বাবা এসে কবর থেকে জাগান। এই জ্ঞান অন্য কারো কাছে নেই। আসতে থাকবে, বাবার হতে থাকবে, বৃদ্ধি হতে থাকবে। বাবাকে জিজ্ঞাসা করতে পারো আমি এই অবস্থায় কোন্ পদ প্রাপ্ত করবো! যদিও নিজের অবস্থা দেখে বুঝতে পারবে। এখন মার্জিন অনেক আছে। বাবাকে স্মরণ করার ব্যাপারে তোমরা সবাই হলে পুরুষার্থী। পরিপূর্ণ (সম্পূর্ণ) শেষ সময়ে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। যখন তোমরা সম্পূর্ণতার সমীপে থাকবে, তখন সব সাক্ষাৎকার হতে থাকবে। একে অপরকে দেখে বুঝতে পারবে যে সে কোন্ পদ প্রাপ্ত করবে ! বোঝার মতো বিষয়, তাইনা। আত্মা অবুঝ হয়ে গেছে। এখন পুনরায় বাবা কড়ি থেকে হীরে সম বানানোর জন্য বুদ্ধিমান সমঝদার বানাচ্ছেন। বাবা বলেন – বাচ্চারা, এ হল যুদ্ধের ময়দান, ঝড় ঝঞ্ঝা তো অনেক আসবে। সব রোগ ইত্যাদি বাইরে বেরিয়ে আসবে। নিজের নিজের দক্ষতাকে আরও বাড়াও।

ওস্তাদ (বাবা) সাহায্য করবেন না । হার বা জিত তোমাদের হাতে। ওস্তাদ (বাবা) বলেন এ হল মায়ার যুদ্ধ। মায়া অনেক আছাড় মারবে। না চাইলেও ৫-৬ বছর ভালো ভাবে চলতে চলতে তারপর এমন জোরে ঝড় তুফান আসবে যে চোখের ঘুম উড়ে যাবে। বীর বাহাদুর কখনও ক্লান্ত হবে না। ফেল হবে না। এই বিষয়ে অনেক ছোট ছোট নাটকও দেখানো হয়েছে যে কীভাবে ভগবান নিজের দিকে, রাবণ নিজের দিকে টানছে। তোমরা স্মরণে থাকতে চাও তবুও মায়া ঝড়ের কবলে এনে দেয়, এইসব তো হতেই থাকবে। যুদ্ধ করতে থাকতে হবে। তোমরা হলে কর্ম যোগী। সকালে উঠে প্র্যাক্টিস করো, বাবাকে স্মরণ করো। তোমাদের সবই হল গুপ্ত। গুপ্ত সেনারও গায়ন আছে আননোন ওয়ারিয়ার্স, বাট ভেরি ওয়েল নোন। তোমাদের স্মরণিক হল এই দিলওয়ারা মন্দির, আননোন ওয়ারিয়ার্সদের স্মরণিক মন্দির। লক্ষ্মী-নারায়ণের নয়। এরাই পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। তোমাদের সবকিছুই হল গুপ্ত। স্থূল তলোয়ার ইত্যাদি তোমাদের কিছুই নেই, এতে শুধুমাত্র বুদ্ধির কাজ আছে। গানও করে আত্মা পরমাত্মা আলাদা থেকেছে বহুকাল….. মানুষ তো গুরু হয়। সদগুরু তো হলেন একমাত্র নিরাকার। তাঁকে পতিত-পাবন বলে তো, তিনি হলেন সদগুরু, তাইনা। বাকি সব হল কলিযুগী কর্মকান্ডের। সবাই আহবান করে করতালি দেয় পতিত-পাবন… সব সীতাদের রাম একজনই। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে সব নলেজ এসেছে। নিজের অবস্থাকে দেখতে হবে যে আমার মধ্যে কোনো অবগুণ তো নেই। ক্রোধের ভূত বা কাম বিকারের ভূত থাকা উচিত নয়। বাচ্চারা লেখে, জানিনা কি হয় ! অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা আসে। বাবা বলেন সেসব তো আসবেই, অনেক পরিশ্রান্ত করবে। কিন্তু তোমাদের সাবধান হয়ে থাকতে হবে। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা তোমারই কামাল। কেউ জানেনা বাবা কীভাবে রাজধানী স্থাপন করছেন। আমরা ভারতের খোদাই খিদমতগার (ঈশ্বরীয় সেবাধারী) । নিরাকার শিবের জয়ন্তী পালন করে। কিন্তু কবে এবং কীভাবে এলেন তিনি, তা জানেনা। তোমরা জানো যে শিববাবা আমাদের প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা বর্সা প্রদান করছেন। এ হল দাদুর সম্পত্তি। তাঁকেই বাবা বাবা বলা হয়। দাদা এবং বাবা। বাবা হলেন আত্মিক, দাদা হলেন দৈহিক। উনি সুপ্রিম রূহ অর্থাৎ পরম আত্মা ব্রহ্মার দ্বারা অবিনাশী উত্তরাধিকার দিচ্ছেন, এই কথা বুদ্ধিতে থাকা উচিত। শ্রীমৎ অনুসরণ করে চলতে হবে। মন্মনাভব এবং চক্রের রহস্যও খুব সহজ। স্বদর্শন চক্রধারী হতে হবে। তোমরা হলে স্বদর্শন চক্রধারী কিন্তু অলঙ্কার ইত্যাদি বিষ্ণুকে প্রদান করা হয়েছে কারণ এখন তোমরা সম্পূর্ণ হওনি। প্রথমে তো এই নিশ্চয় চাই যে উনি হলেন আমাদের পিতা, টিচার, উনি আমাদের শিক্ষা প্রদান করেন। সদ্গুরু সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। তাঁর পিতা টিচার গুরু কেউ নেই। কতখানি ক্লিয়ার করে বোঝানো হয়, তবুও বুদ্ধিতে বসে না। গৃহস্থে থেকে নির্মোহী (মোহ হীন) হতে হবে। আমরা তো এক বাবার আপন হয়েছি, এই কথাই বুদ্ধিতে থাকা উচিত। তোমাদেরকে অন্ধের লাঠি হতে হবে। নিজের আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে কথা বলতে বলতে জিজ্ঞাসা করো যে পতিতপাবন পরম পিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? তোমাদের লৌকিক পিতা তো আছেন, তাই না। তাহলে পরম পিতা পরমাত্মা কাদের পিতা ? অবশ্যই উত্তর দেবে আমাদের। আচ্ছা, বাবা তো হলেন স্বর্গের রচয়িতা। ভারত স্বর্গ ছিল, এখন নেই। পুনরায় অসীম জগতের পিতার কাছে বর্সা প্রাপ্ত করো, এ হল তোমাদের অধিকার। স্মরণ করলে তোমরা সেখানে পৌঁছে যাবে। অনেক পয়েন্টস আছে যা বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) অন্তরে কোনো কাম বা ক্রোধের বিকার যুক্ত অবগুণ থাকলে তা দূর করে প্রকৃত সত্য ঈশ্বরীয় সেবাধারী হতে হবে। ঝড় ঝঞ্ঝা থেকে সতর্ক থাকতে হবে। পরাজিত হবে না।

২ ) বাবার নির্দেশ অনুসারে সুদামার মতন এক মুঠো চালের পরিবর্তে ২১ জন্মের বাদশাহী নিতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন বাবার হল বিশাল বড় পরিবার কিন্তু যত বিশাল পরিবার, ততই ডিট্যাচ এবং সকলের প্রিয়, এমনভাবে ফলো ফাদার করো। সংগঠনে থেকে সদা নির্বিঘ্ন ও সন্তুষ্ট থাকার জন্য যতখানি সেবায় লিপ্ত ততখানি পৃথক স্থিতিও যেন থাকে। যে যতই অশান্ত করার চেষ্টা করুক এক দিকে একজন ডিস্টার্ব করবে, অন্য দিকে আরেকজন। কোনো ভাবেই স্যালভেশন পাওয়া যাচ্ছে না, কেউ ইনসাল্টও করুক, কিন্তু সঙ্কল্পেও যেন স্থিতি অচল থাকে, তবেই বলা হবে নির্বিঘ্ন আত্মা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top