25 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 25, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এ হলো তোমাদের বানপ্রস্থী অবস্থা, তাই এক বাবাকে স্মরণ করতে হবে, নির্বাণধামে যাওয়ার জন্য নিজেকে তৈরী করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাবার কাছে কীসের মধ্যে কোনো প্রভেদ নেই ?

উত্তরঃ -:-

গরীব আর বিত্তবানের । প্রত্যেকেরই স্ব পুরুষার্থের দ্বারা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করার অধিকার আছে । ভবিষ্যতে সকলেরই নিজের পদের সাক্ষাৎকার হবে । বাবা বলেন, আমি গরীবের ভগবান, তাই এখন গরীব বাচ্চাদের সব আশা পূরণ হয় । এ হলো অন্তিম সময় । কারোর সম্পদ ধুলায় চাপা পড়ে যাবে, কারোরটা গ্রাস করে নেবে রাজা… কিন্তু যে বাবাকে ইন্সিওর করে, তার সব সফল হয় ।

গান:-

অবশেষে সেই দিন এলো আজ..

 

ওম্ শান্তি । এর অর্থ তো খুবই সাধারণ । প্রতিটি কথাই এক সেকেণ্ডে বোঝার মতো । সেকেণ্ডে বাবার থেকে উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে হবে । বাচ্চারা জানে যে, অসীম জগতের পিতা এসে গেছেন, কিন্তু এই নিশ্চয়ও কারোর স্থায়ী ভাবে বসে না । লৌকিক সম্বন্ধে যেমন যখন মা সন্তানের জন্ম দেবে, তখন সাথে সাথেই বুঝতে পারা যায় যে, ইনি জন্ম দেবেন এবং পালনও করবেন । তাই এখানেও তো চট করে বোঝা উচিত, তাই না । বাচ্চারা, এখন তোমরা জানো যে, ভক্তির পরেই ভগবান আসেন । এখন ভক্তি কতো সময় ধরে চলে, কখন শুরু হয়, এ কথা এই দুনিয়াতে তোমরা বাচ্চারা ছাড়া আর কেউই জানে না । তোমরা বলে দিতে পারো — কবে ভক্তি শুরু হয়েছিলো । মানুষ তো বলে দেয় যে, পরম্পরা ধরে চলে আসছে । জ্ঞান আর ভক্তি, দুই জিনিস অবশ্যই আছে । মানুষ বলে যে, এ অনাদি কাল থেকে চলে আসছে, কিন্তু অনাদির অর্থও বুঝতে পারে না । এই ড্রামার চক্র অনাদি কাল থেকে ঘুরতে থাকে । এর আদি – অন্ত নেই৷ মানুষ তো গল্পগাথা বানাতে থাকে । কখনো বলে এতো বছর হয়েছে, আবার কখনো বলে এতো বছর । বাবা এসে সব সিদ্ধ করে বলে দেন । শাস্ত্র ইত্যাদি পড়লে বাবাকে তো পাওয়া যাবে না । বাবাকে তো সেকেণ্ডে পাওয়া যায় । সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি… এও কেউ জানে না যে, বাবা কখন আসেন । কল্পের আয়ু লম্বা করে দিয়েছে । এখন বাবা তো সবই জানেন, আর বাচ্চারাও সবকিছুই জানে। কিন্তু আশ্চর্য এটাই যে, ১০ – ২০ বছরেও কারোর সম্পূর্ণ নিশ্চয় হয় না । নিশ্চয় আসার পরে তো কখনো বলবে না যে, ইনি আমাদের বাবা নন । এ হলো খুবই সহজ । তোমাদেরই নিজেদেরই তো বাবার বাচ্চা হয়ে উঠতে অনেক সময় লেগেছে । ১০ – ২০ বছরেও সম্পূর্ণ নিশ্চয় আসেনি । এখন তোমরা যদি কাউকে পরিচয় দাও, তাহলে সেকেণ্ডে তারা নিশ্চিত হয়ে যায় । জনকের কথাও পরের দিকেই, কেননা দিনে – দিনে খুবই সহজ হয়ে যায় । এমন ভালো ভালো পয়েন্টস বের হয় যাতে চট করে কেউ নিশ্চিত হয়ে যাবে ।

বাবা বলেন – বাচ্চারা, অশরীরী ভব। এই যে অনেক দেহের ধর্ম আছে, এসব ত্যাগ করো । প্রকৃতপক্ষে তো একটাই ধর্ম ছিলো, তাই না । এক থেকেই তো বৃদ্ধি হবে, তাই না । এ হলোই বিভিন্ন মনুষ্য সৃষ্টির ঝাড়, এ হল মনুষ্যদের কথা । এই বিভিন্ন ধর্মের বৃক্ষকেও জানতে হবে । ধর্ম সম্মেলন হয়, কিন্তু তারা জানেই না যে, সর্ব প্রথম পূজ্য ধর্ম কি ছিলো ! একথা বুদ্ধিতে আসা চাই । ভারতে হলো প্রাচীন ধর্ম, তাই অবশ্যই প্রাচীন ধর্ম পরমপিতা পরমাত্মাই রচনা করবেন । ভারতে শিব জয়ন্তীর গায়নও আছে । মন্দিরও অনেকই আছে, তবুও সবথেকে বড় মন্দির হলো বাবার – নির্বাণধাম । যেখানে আমরা আত্মারাও বাবার সঙ্গে থাকি । মন্দির থাকার স্থান তো থাকবে, তাই না । তাই এই মহাতত্ব কতো বড় মন্দির ! তোমাদের বুদ্ধিতে আসা উচিত যে, এই ব্রহ্ম তত্ব, যা সবথেকে উঁচুর থেকেও উঁচু মন্দির, আমরা সবাই ওখানেই থাকি । ওখানে সূর্য – চন্দ্র থাকে না, কেননা ওখানে রাত-দিন হয় না । প্রকৃতপক্ষে আমাদের আত্মিক মন্দির হলো নির্বাণধাম । ওটা হলো শিবালয়, যেখানে আমরা শিববাবার সঙ্গে থাকি । শিববাবা বলেন, আমি ওই শিবালয়ে থাকি । সেটা হলো অসীম জগতের শিবালয় । তোমরা শিবের সন্তানরাও ওখানেই থাকো । ওটা হলো নিরাকারী শিবালয় । তারপর তোমরা যখন সাকারী দুনিয়াতে আসো, তখন এখানে থাকার জায়গা তৈরী হবে । শিববাবা এখন এখানে আছেন, এই শরীরে বসে আছেন । এ হলো চৈতন্য শিবালয়, যার আধারে তোমরা কথাবার্তা বলতে পারো । ওই নির্বাণধামও শিব বাবার শিবালয়, যেখানে আমরা আত্মারা থাকি । ওই ঘর সকলেরই স্মরণে আসে । ওখান থেকে আমরা আসি অভিনয় করতে । সতো, রজো, তমোতে প্রত্যেকের আসতেই হবে । এইসব বিষয় দুনিয়াতে কারোর বুদ্ধিতেই নেই, যে আত্মারা আছে, তারা প্রত্যেকেই নিজের নিজের অনাদি পার্ট পেয়েছে, যার না আছে আদি, আর না আছে অন্ত । বাচ্চারা, তোমরা জানো যে, আমরা প্রকৃতপক্ষে ওই শিবালয়েই থাকি । শিববাবা যে স্বর্গ স্থাপনা করেন, তাকেও শিবালয় বলা হয় । শিববাবার স্থাপন করা স্বর্গ । ওখানেও বাচ্চারাই থাকে । তারা এই রাজ্যভাগ্য কিভাবে পেয়েছে ! সেটা হলো সত্যযুগের আদি, আর এ হলো কলিযুগের অন্ত । তাহলে সত্যযুগে দেবী – দেবতাদের স্বর্গের মালিক কে বানিয়েছে ? এখানেও কতো সুন্দর সুন্দর খণ্ড আছে । আমেরিকা সবথেকে একনম্বর খণ্ড । ওখানে অনেক অর্থবান এবং ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ আছে । এইসময় সবথেকে হাইয়েস্ট । ওখানে বৃহস্পতির দশা বসে আছে, কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে রাহুর দশাও বসে আছে । এইসময় রাহুর দশা তো সকলের উপরই বসে আছে । বিনাশ তো সকলেরই হতে হবে । ভারত, যা সবথেকে বিত্তবান ছিলো, তা আজ গরীব হয়ে গেছে । এ সবকিছুই মায়ার জৌলুস । এখানে মায়ার ফুল ফোর্স আছে, তাই মানুষ একেই স্বর্গ মনে করে । আমেরিকাতে দেখো, কি লেগে আছে । মানুষ সেখানে আকৃষ্ট হয়ে যায় । বোম্বেকেও দেখো কতো আধুনিক হয়ে গেছে । আগে তো এমন ছিলোই না । এ হলো সম্পূর্ণ মায়ার জৌলুস । মানুষ আট – দশ তলার কতো বাড়ি বানায় । স্বর্গে তো এতো উঁচু মহল হয়ই না । ওখানে দুই তলাও হয় না । এখানে তো বানানো হয় কারণ বেশী জমি নেই । জমির দাম অনেক বেড়ে গেছে । তাই মানুষ মনে করে, এখানেই স্বর্গ । মানুষ প্ল্যান তৈরী করতে থাকে । বলা হয় – মানুষ চায় এক, আর হয় অন্যকিছু। মানুষ কতো চিন্তায় থাকে । মৃত্যু তো সকলের হবে । সকলের গলায়ই মৃত্যুর ফাঁসি । তোমরাও এখন ফাঁসিতে আছো । তোমাদের বুদ্ধি ওখানে নতুন দুনিয়াতে লেগে আছে । এখন সকলেরই বানপ্রস্থ অবস্থাতে যাওয়ার সময়, তাই বাবা বলেন, তোমরা এখন আমাকে স্মরণ করো । আমি নিজে তোমাদের নির্দেশ দিচ্ছি যে, তোমাদের এখন বানপ্রস্থ অবস্থা, আমি তোমাদের সকলকে নিতে এসেছি । তোমাদের সকলকে মশার মতো যেতে হবে । তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে, এখন জীবন্মৃত অবস্থায় আমাকে স্মরণ করো । আমরা জীবন্মৃত অবস্থায় স্বর্গে যাওয়ার জন্য তৈরী হয়ে বসে আছি । আর কেউই স্বর্গে যাওয়ার জন্য তৈরী হয় না । যদি স্বর্গে যাওয়ার জন্য খুশী হয়, তাহলে অসুস্থ অবস্থায় ওষুধ খেতো না । তোমরা জানো যে, ওরা তো স্বর্গে যায় না । আমরা এখন সুইট হোমে যাচ্ছি । সে হলো গড ফাদারের হোম অথবা আত্মিক শিবালয় । এরপর সত্যযুগকে দেহের শিবালয় বলা হয় । ওই স্বর্গে যাওয়ার জন্যই আমরা পুরুষার্থ করছি । বাবা বুঝিয়েছেন যে, ব্রহ্মার দিন আর ব্রহ্মার রাত বিখ্যাত । রাত যখন সম্পূর্ণ হয়, তখন আমি আসি । লক্ষ্মী – নারায়ণের দিন আর রাত, একথা বলা হবে না । যদিও তাই, তবুও ব্রহ্মার দিন আর রাতের জ্ঞানই আছে । ওখানে লক্ষ্মী-নারায়ণের এই জ্ঞান নেই, ব্রহ্মা আর ব্রাহ্মণ – ব্রহ্মাণীরাই বুঝতে পারে যে শিবের রাত্রি কখন হয় । দুনিয়া তো এই কথা জানেই না । শিব হলেন নিরাকার, তিনি কীভাবে এলেন — এও তো জিজ্ঞেস করতে হবে, তাই না । শিব জয়ন্তীতে তোমরা অনেক সেবা করতে পারো । এখন রাজধানী স্থাপন হচ্ছে । এখন বৃক্ষ অনেক ছোটো, আর এই বৃক্ষে অনেক ঝড় আসে, অন্য বৃক্ষে এত ঝড় আসে না । এতে তো একের পিছনে অন্য সবাই আসতে – যেতে থাকে । এখানে তোমাদের নতুন জন্ম । মায়ার তুফানও সামনে উপস্থিত, আর কাউকেই এই তুফানের সম্মুখীন হতে হয় না । এখানে ধর্মের স্থাপনাতে মায়ার তুফান আসে । এ হলো অনেক উচ্চ লক্ষ্য । বিশ্বের বাদশাহ হওয়া, এ কোনো নতুন কথা নয় । তোমরা অনেকবার এই তুফান অতিক্রম করে নিজের রাজ্য – ভাগ্য নিয়েছো । যে যেই রীতিতে পুরুষার্থ করে, তার সেভাবেই সাক্ষাৎকার হয় । যত এগিয়ে যেতে থাকবে, তোমাদের তত সাক্ষাৎকার হবে যে, এ কোন পদ প্রাপ্ত করবে । জানতে তো পারা যায় না, এ কেমন পুরুষার্থ করছে । গরীব অথবা বিত্তবানের কথা নয় । তোমরা গীতও শুনেছো – অবশেষে সেই দিন এলো…. গরীবের ভগবান বাবা এসেছেন । বাবা বলেন, আমি কোনো বিত্তবানকে ধন দেবো না । সে তো বিত্তবানই । ওদের জন্য তো এখানেই স্বর্গ । এখন অনেকেই কোটিপতি, আগে কোটিপতি খুব কমই হতো । এখন তো অনেক মানুষের কাছেই কোটি টাকা দেওয়ালের ভিতরে লুকানো রয়েছে, কিন্তু এ কারোরই কাজে আসবে না । কতো আর খাবে । যারা ঠকিয়ে অর্থ একত্রিত করবে, তাদের রাতে ঘুম আসবে না । কি জানি, গভর্নমেন্ট না হানা দেয় । বাবা বলেন — তোমরা মনে রেখো, এ হলো অন্তিম সময় । এখন কারোর অর্থ মাটির তলায় চাপা পড়ে যাবে…. তাদেরই সফল হবে যারা বাবার সেবায় খরচ করবে । ধনী (বাবা) তো তোমাদের স্বর্গের মালিক বানান । তোমরা এখন বাবার কাছে নিজেকে ইন্সিওর করো । মৃত্যু তো সামনে উপস্থিত । তোমাদের সমস্ত আশা এখন পূর্ণ হয় । বাবা গরীবদের তুলে ধরেন । বিত্তবানের এক হাজার, আর গরীবের এক টাকা — এক সমান । বেশীরভাগ গরীবরাই এখানে আসে । কারোর ১০০ টাকা উপার্জন, কারোর ১৫০ টাকা, দুনিয়াতে মানুষের কাছে তো কোটি টাকা আছে, তাদের জন্য এটাই হল স্বর্গ । তারা কখনোই আসবে না । না তাদের বাবাকে দরকার আছে । বাবা বলেন, তোমরা যদি নিজের বাড়িঘর ইত্যাদিও তৈরী করো, সেন্টার খোলো, আমি পয়সা দিয়ে কি করবো । সন্ন্যাসীরা তো অনেক ফ্ল্যাট ইত্যাদি তৈরী করে, তাদের কাছে অনেক সম্পত্তি থাকে । এই রথও অনুভাবী । এখন আমি এসেছি গরীবকে বিত্তবান করতে, তাই এখন তোমরা সাহস করো । যারা কোটিপতি, তাদের অর্থ কোনো কাজে আসবে না । এখানে পয়সা ইত্যাদির কোনো কথা নেই । বাবা কেবল বলেন – মন্মনাভব ( মন আমাতে লাগাও )। এখানে খরচের কোনো কথা নেই । এই যে বাড়ি বানানো হয়েছে, তাও খুব সাধারণ, তাও অন্তিম সময় তোমাদের থাকার জন্যই । তোমাদের স্মরণিক এখানেই উপস্থিত । এখন আবার চৈতন্যতে স্থাপনা করছো । এরপর এই জড় স্মরণিক শেষ হয়ে যাবে । তোমাদের একথা লেখা উচিত যে, আবুতে এসে যারা এই মন্দির দেখেনি, আর এঁদের কর্তব্য সম্বন্ধে জানেনি, তাহলে তারা কিছুই দেখেনি — তোমরা বলবে, আমরা এখন সেই চৈতন্য রূপেই বসে আছি । তোমরা এই জড় চিত্রের রহস্য বুঝিয়ে বলতে পারো । বলবে, এঁরা হলেন আমরা । আমাদের জড় স্মরণিক বানানো আছে । এ হলো আশ্চর্যজনক মন্দির, আশ্চর্য তাই না । মাম্মা, বাবা আর বাচ্চারা এখানে চৈতন্য রূপে বসে আছে । ওখানে জড় চিত্র দাঁড়িয়ে আছে । মূখ্য হলেন এই শিব । তারপর ব্রহ্মা, জগদম্বা আর লক্ষ্মী – নারায়ণ । বাবা কতো ভালোভাবে বুঝিয়ে বলেন । তবুও মানুষ বাবার হয়েও আবার বাবাকেই তালাক দিয়ে দেয় । এও কোনো নতুন কথা নয় । বাবার হয়ে আবার ভাগন্তি হয়ে যায় । ভাগন্তিদের চিত্রও আমরা রাখতে পারি । যদি দৃঢ় নিশ্চয় থাকে তাহলে নিজের রাজত্বের চিত্র বানিয়ে নাও, তাহলে স্মৃতি থাকবে যে, আমরা ভবিষ্যতে ডবল মুকুটধারী স্বর্গের মালিক হবো । বাবাকে যদি ছেড়ে দাও তাহলে মুকুট পড়ে যাবে । এ হলো বোঝার মতো খুব আশ্চর্যজনক কথা । তোমরা বাবাকে স্মরণ করো । তাঁর থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । একেই সেকেণ্ডে জীবনমুক্তি বলা হয় । বাবা তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য উপযুক্ত তৈরী করছেন । মানুষ পরবর্তী জন্মের জন্য দান – পুণ্য করে । সে হলো অল্পকালের প্রাপ্তি । তোমাদের তো এই পড়ার দ্বারা ভবিষ্যৎ ২১ জন্মের জন্য প্রালব্ধ তৈরী হয় । কেউ যদি এই মাতা – পিতার আজ্ঞায় সম্পূর্ণ চলে তাহলে উদ্ধার হয়ে যাবে । মাতা – পিতাও খুশী হবেন । আসলে সম্পূর্ণ চলতে পারো না বলেই পদ কম হয়ে যায় । শিব বাবা বলেন — আমি নিষ্কামী, অভোক্তা, আমি এই প্রসাদ ইত্যাদি কিছুই খাই না । এই বিশ্বের বাদশাহীও তোমাদের জন্যই । এই খাওয়া – দাওয়াও তোমাদের জন্যই, আমি তো সার্ভেন্ট । আমার আসার সময়ও নির্ধারিত । কল্পে – কল্পে আমি আমার বাচ্চাদের রাজ্য – ভাগ্যের অধিকার দান করে নির্বাণধামে গিয়ে বসে যাই । বাবাকে কেউ যেন ভুলে না যায় । বাবা তো তোমাদের স্বর্গের বাদশাহী দিতে এসেছেন, তাও তোমরা তাঁকে ভুলে যাও । কাউকে বাবার পরিচয় দানেরও খুব সহজ উপায় বলে দিয়েছেন — তোমরা জিজ্ঞেস করো, পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? প্রজাপিতা ব্রহ্মার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? দুজনেই বাবা । উনি হলেন নিরাকার, আর ইনি সাকার । বাবাকে সর্বব্যাপী বলে দিলে উত্তরাধিকার কিভাবে প্রাপ্ত করবে ? শ্রীমৎ তো ভগবানের কাছেই প্রাপ্ত হয় শ্রীমতের দ্বারাই তোমরা শ্রেষ্ঠর থেকেও শ্রেষ্ঠ হও । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) মায়ার তুফানকে পার করে বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার গ্রহণ করতে হবে, মাতা – পিতার আজ্ঞা পালনকে অভ্যাসে আনতে হবে ।

২ ) পুরানো দুনিয়াকে ভুলে নতুন দুনিয়াকে স্মরণ করতে হবে । মৃত্যুর পূর্বে বাবার কাছে নিজেকে ইন্সিওর করতে হবে ।

বরদানঃ-

সদা এই স্মৃতি যেন থাকে যে, মালিকের সঙ্গে সঙ্গে বালকও, আর বালকের সঙ্গে মালিকও । বালক হলে সদা নিশ্চিন্ত, ডবল লাইট থাকবে, আর মালিক অনুভব করলে মালিক ভাবের আধ্যাত্মিক নেশা থাকবে । রায় দেওয়ার সময় মালিক, আর যখন কোনো বিষয় মেজরিটি ফাইনাল করবে, তখন সেই সময় বালক, এই হলো বালক আর মালিক হওয়ার এক সিঁড়ি । এই সিঁড়ি কখনো উত্তরণ করো, কখনো অবতরণ করো, কখনো বালক হয়ে যাও, কখনো মালিক হয়ে যাও, তাহলে কোনো প্রকারের বোঝা থাকবে না ।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

সেবা বা নিজের চড়তি কলাতে সফলতার মূখ্য আধার হলো – এক বাবার সঙ্গে অটুট প্রেম । বাবা ছাড়া আর কিছুই যেন দেখা না যায় । সঙ্কল্পেও বাবা, বাণীতেও বাবা, কর্মতেও বাবার সাথ, এমন প্রেমমগ্ন স্থিতিতে থেকে একটি শব্দও যদি বলো, তাহলে সেই স্নেহের বাণী অন্য আত্মাকেও স্নেহের বাঁধনে বেঁধে ফেলবে । এমন লভলীন আত্মার এক ‘বাবা’ শব্দই জাদুর কাজ করবে ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top