25 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
26 August 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা এই অসীমের লীলা রূপী নাটকটি জানো, তোমরা হলে হিরো পার্টধারী, তোমাদেরকে বাবা এসে এখন জাগ্রত করেছেন"
প্রশ্নঃ --
বাবার আদেশ (ফরমান) কি? যা পালন করলে তোমরা বিকারের পীড়া থেকে মুক্ত হতে পারবে?
উত্তরঃ -:-
বাবার আদেশ হল – প্রথমে ৭ দিনের ভাট্টিতে বসো। বাচ্চারা, তোমাদের কাছে ৫ বিকারে পীড়িত কেউ এলে তাদেরকে বলো যে, ৭ দিন সময় চাই। কম পক্ষে ৭ দিন দাও তবে আমরা বোঝাবো যে, ৫ বিকারের অসুখ কীভাবে দূর হয়। বেশি প্রশ্ন-উত্তর যারা করবে তাদেরকেও বলতে পারো যে, প্রথমে ৭ দিনের কোর্স করো।
গান:-
ওম্ নমো শিবায় …
ওম্ শান্তি । আত্মা রূপী বাচ্চারা পিতার মহিমা শুনলো। এই যে অসীম জগতের লীলা রূপী নাটকটি রয়েছে, তার লীলার আদি মধ্য অন্তের কথা তোমরা বাচ্চারা জানো। তারা ভাবে যে, ঈশ্বরের মায়া হল অপরমঅপার। এখন তোমাদের বুদ্ধির জাগরণ ঘটেছে আর তোমরা সম্পূর্ণ অসীম জগতের লীলার কথা জেনেছো। কিন্তু যথার্থ রূপে যেমন করে বাবা বোঝাচ্ছেন তেমন করে বাচ্চারা ক্রম অনুসারে পুরুষার্থ অনুযায়ী বোঝাতে পারে। মানুষ জাগতিক দুনিয়ার অভিনেতাদের দেখার জন্য ছুটে যায়। তোমরা বুঝেছো এ হল অসীম জগতের ড্রামা, যা দুনিয়ার মানুষ জানে না। গাওয়া হয়ে থাকে যে মানুষ কুম্ভকর্ণের আসুরিক নিদ্রায় নিদ্রিত রয়েছে । এখন যখন জ্ঞানের আলো প্রাপ্ত হয়েছে তখন তোমরা জেগে উঠেছো। এই কথাও বলা হবে আমরা সবাই অজ্ঞানতার নিদ্রায় আচ্ছন্ন ছিলাম। এখন তোমাদের পুরুষার্থ করতে হবে। তারা তো বলে দেয় ঈশ্বর হলেন সর্বব্যাপী। তারা নিজের সঙ্গে এমন কথা বলতে পারে না। তোমাদেরকে নিজের সঙ্গে কথা বলতে হবে। আমরা আত্মারা পিতার সঙ্গে মিলিত হয়েছি, বাবা আমাদের কতখানি জাগ্রত করে দিয়েছেন। এ হল অসীম জগতের লীলা। তাতে মুখ্য অ্যাক্টর্স, ডাইরেক্টর, ক্রিয়েটর কারা, সে’সব তোমরা জানো, তাই তোমরা জিজ্ঞাসা করো যে, এই নাটকে মুখ্য অ্যাক্টর্স কারা। শাস্ত্রে লিখে দিয়েছে কৌরব সেনায় বরিষ্ঠকে, পাণ্ডব সেনায় বরিষ্ঠকে। এখানে হল অসীম জগতের কথা। মূল লোক, সূক্ষ্ম লোক, স্থূল লোক এর আদি, মধ্য, অন্তের কথা জানতে হবে। ব্রহ্মা এবং বিষ্ণুর পার্ট এখানে প্লে হয়। বিষ্ণুর স্বরূপ হল মুখ্য লক্ষ্য। এই পদ প্রাপ্ত করতে হবে। গায়নও করা হয় ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ …. তারপরে বলা হয় শিব পরমাত্মায় নমঃ, তাঁকেই নিরাকার বলা হয়। পরম পিতা পরমাত্মা বলা হয়, অর্থাৎ উনি হলেন পিতা, তাইনা ! শুধুমাত্র পরমাত্মা বলে দিলে পিতা শব্দটি আসে না। তখন সর্বব্যাপী বলে দেয়। তাই মানুষ কিছুই বুঝতে পারে না, যেমন পূর্বে তোমরাও বুঝতে না। বাবা এসে পতিতদের পবিত্র বানান, এই কথা কেউ জানেনা। তোমরা বাচ্চারা এখন কতখানি বুদ্ধিমান হয়েছো। আদি থেকে অন্ত পর্যন্ত তোমরা সম্পূর্ণটা জেনে গেছো। ড্রামা দেখতে যারা যাবে তারা তো অবশ্যই আদি-মধ্য-অন্ত পুরোটাই দেখবে এবং বুদ্ধিতে থাকবে আমরা এই-এই দেখেছি। তবুও যদি দেখবার ইচ্ছে থাকে, দেখতে পারো। সেসব হল জাগতিক দুনিয়ার নাটক। তোমরা তো অসীম জগতের নাটকের কথা জেনেছো। সত্যযুগে গিয়ে প্রালব্ধ প্রাপ্ত করবে। তখন এই নাটকের কথা ভুলে যাবে। পরে সঠিক সময়ে এই জ্ঞান প্রাপ্ত হবে। সুতরাং এই কথাটিও বুঝতে হবে। কোনো কথায় প্রশ্ন উত্তর ইত্যাদি করার দরকার নেই। ৭ দিনের ভাট্টির জন্য বলা হয়। কিন্তু ৭ দিন বসাও হয়ে যায় খুব কঠিন। শুনেই অশান্ত হয়ে যায়। যদিও বোঝানো হয় – এইরকম কেন বলা হয় ? কারণ অর্ধেক কল্প ধরে তোমরা রুগী হয়েছো। ৫ বিকার রূপী ভূতে ধরেছে, এখন তাদের দ্বারা তোমরা আক্রান্ত। তোমাদেরকে যুক্তি বলে দেওয়া হবে যে কীভাবে এই দুঃখ থেকে মুক্ত হতে পারো। বাবাকে স্মরণ করতে হবে, যার দ্বারা তোমাদের দুঃখ সদাকালের জন্য শেষ হয়ে যাবে। বাবার আদেশ বা ফরমান হল, ৭ দিন ভাট্টিতে বসতে হবে। গীতার ভাগবত পাঠ যেখানে আয়োজিত হয় সেখানে ৭ দিনের জন্য আয়োজন রাখা হয়। এ হল ভাট্টি। সবাই তো বসতে পারবে না। প্রত্যেকে নানান জায়গায় রয়েছে । ভবিষ্যতে অনেক বৃদ্ধি পাবে। এই সব হল রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের শাখা। যেমন বাবার অনেক নাম রাখা হয়েছে, তেমনই এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞেরও অনেক নাম রেখে দিয়েছে। রুদ্র বলা হয় পরমপিতা পরমাত্মাকে, সে কথা তোমরা জানো। রাজস্ব অশ্বমেধ অর্থাৎ এই রথ (দেহ টি) এই যজ্ঞে স্বাহা করতে হবে। আত্মারা গিয়ে বাস করে। সবার শরীর স্বাহা হবে। হোলিকা হয়, তাই না। বিনাশের সময় সবার শরীর এই যজ্ঞে স্বাহা হবে। সবার শরীরের আহূতি দিতে হবে। কিন্তু তোমরা বাবার কাছে প্রথমে বর্সা অর্থাৎ অসীম উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। যেতে তো সবাইকে হবে। রাবণের বিশাল পরিবার । তোমাদের হল ছোট দৈবী পরিবার। আসুরিক পরিবার হল বিশাল পরিবার। তারা দেবতায় পরিণত হবে না। যারা অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে তারাও জ্ঞানে আসবে। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার মুখের দ্বারা মুখবংশী রচনা করেন। বাবা বুঝিয়েছেন সর্বদা প্রথমে স্ত্রীকে অ্যাডপ্ট করেন, তারপরে রচনা করেন। তারা তো হল – কুখবংশী অর্থাৎ গর্ভজাত বংশধর। এই সম্পূর্ণ রচনা হল – মুখ বংশী। তোমরা হলে উত্তম কারণ তোমরা শ্রেষ্ঠাচারী হও। তোমাদের, শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে কারণ বাবার কাছে ব্রাহ্মণদের আসতেই হবে।
তোমরা জানো ঘরে (পরমধাম) ফিরে গিয়ে পুনরায় সত্যযুগে এসে প্লে করতে হবে, সুখের পার্ট। অনেকে বুঝতেও পারে, তবুও ৭ দিনের সময় দেয় না। তখন বুঝতে হয় তারা আমাদের বংশের অনন্য সদস্য নয়। অনন্য হলে তাদের খুব ভালো লাগবে এই জ্ঞান। অনেকে ৫-৮-১৫ দিনও থেকে যায়। পরে সঠিক সঙ্গ না পেয়ে হারিয়ে যায়। বিনাশ যখন নিকটে আসবে তখন সবাইকে এখানে আসতে হবে। রাজধানী স্থাপন হবে ই। ক্রম অনুযায়ী যেভাবে কল্প পূর্বে পুরুষার্থ করেছে তারা এখনও করবে। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে আমরা পিতার কাছে বর্সা অর্থাৎ অসীম উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি পুরুষার্থ অনুসারে। আমরা যতখানি স্মরণ করবো, ততই উঁচু পদের অধিকারী হবো। সর্ব প্রথমে সৃষ্টি সতোপ্রধান ছিল। এখন তো তমোপ্রধান হয়েছে। ভারতকেই প্রাচীন বলা হয়। তোমরা জানো আমরাই দেবতা ছিলাম পরে ৮৪ জন্ম পার করি। এখন পুনরায় বাবার কাছে এসেছি বর্সা প্রাপ্তির জন্য। বাবা এসেছেন পবিত্র করতে। পতিত বানায় রাবণ। আমরা অসীম জগতের মুখ্য অলরাউন্ড পার্টধারী। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী…. চক্র পরিক্রমা করে এখন সূর্যবংশী থেকে পুনরায় ব্রাহ্মণ বর্ণে এসেছি। ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই চাই, তাইনা। ব্রাহ্মণ হল শিখা (উচ্চ স্থান ধারী)। তাই ব্রাহ্মণদের কেশশিখা বা টিকি রাখা হয়ে থাকে । দেবতা ধর্মও হল বড় । এই কথা তো বুদ্ধিতে আছে, তাইনা। আমরা অসীম জগতের ড্রামায় অলরাউন্ড পার্ট প্লে করি। এই বর্ণ গুলির ভারতের জন্যই । বর্ণের বিষয়ে ছবিতে বিষ্ণুকেই দেখানো হয়। তাতে শিববাবা এবং ব্রাহ্মণ শিখা লুপ্ত । ছবিতে দেখানো হয় না। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে ৮৪ জন্মের রহস্য আছে । তোমরা কত গুলি জন্ম গ্রহণ করো, অন্য ধর্মের লোক কত জন্ম নেয়। একরকম জন্ম তো হবে না। যারা পরে জন্ম নেবে তাদের জন্ম কম হতে থাকবে। সর্ব প্রথমে যাদের জন্ম হয় তাদেরই ৮৪ জন্ম বলা হয়। সবাই তো সূর্যবংশে আসবে না। এই হল হিসেব, একেই ডিটেল বলা হয়। অনেক বাচ্চারা ভুলে যায়। স্কুলেও ফার্স্ট, সেকেন্ড গ্রেড তো হয়, তাইনা। টিচারের দৃষ্টি প্রথমে ফার্স্ট গ্রেডের স্টুডেন্টদের দিকেই যাবে। তাই তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞানের আলো আছে। যদিও এক একটি ডিটেলে তো যাওয়া সম্ভব নয়। মুখ্য ধর্মের বিষয়ে বোঝানো হয়। সম্পূর্ণ ড্রামার লীলার জ্ঞান বুদ্ধিতে থাকা সত্ত্বেও তোমরা বুঝেছো যে আমাদের এখন ফিরে যেতে হবে। যখন আমরা কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করবো তখনই গোল্ডেন যুগের যোগ্য হবো। বাবাকে স্মরণ করলে আমাদের আত্মা পবিত্র হয়ে যাবে, তখন বস্ত্রটিও পবিত্র প্রাপ্ত হবে। বাবাকে স্মরণ করতে করতে আমরা স্বর্ণযুগে চলে যাবো। নিজের টেম্পারেচার দেখতে হয়, যত উঁচুতে যাবে ততই খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে উঠতে থাকবে। নীচে নামলেই খুশীর পারদও নীচে নেমে যায়। সতোপ্রধান স্থিতি থেকে নীচে নামতে নামতে এখন একেবারেই তমোপ্রধান হয়েছো। এখন বাবা বুঝিয়ে দিচ্ছেন কিন্তু মায়া ক্ষণে ক্ষণে ভুলিয়ে দেয়। এ হল মায়ার সাথে যুদ্ধ। অনেকে মায়ার বশীভূত হয়ে যায় । বাবা বলেন সত্য হৃদয়ের প্রতি সাহেব রাজী থাকেন। অনেক অবলা নারী সত্য হৃদয় দিয়ে বাবার স্মরণে থাকে। তারা প্রতিজ্ঞা করেছে যে, আমরা কখনও বিকারগ্রস্ত হবো না। বিঘ্ন সৃষ্টি হয় অনেক। প্রদর্শনী ইত্যাদিতে অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি করে। অনেক নেশার সাথে আসে, তাই খুব ভালোভাবে দেখাশোনা করতে হয়। মানুষের বৃত্তি (মনোভাব) খুব খারাপ থাকে। পঞ্চায়েত রাজত্ব । পরে সত্য যুগে থাকে একশ’ শতাংশ রিলিজিয়াস, রাইটিয়াস, ল’ফুল, সলভেন্ট, ডিটি গভর্নমেন্ট। অতএব বাচ্চারা, তোমাদের অনেক পরিশ্রম করতে হবে, চিত্রও অনেক তৈরি হতে থাকে। এমন বিশাল চিত্র থাকা উচিত যাতে মানুষ দূর থেকে পড়তে পারে। এই কথাটি খুব ভালোভাবে বুঝতে হবে এবং বোঝাতে হবে, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে, অবশ্যই আমরা স্বর্গবাসী ছিলাম, এখন নরকবাসী হয়েছি, পুনরায় পবিত্র হতে হবে। ড্রামার রহস্যও বোঝাতে হবে। এই চক্র কীভাবে আবর্তিত হয়, কতখানি সময় লাগে। আমরাই বিশ্বের মালিক ছিলাম, আজ তো একদম কাঙাল হয়েছি। রাত-দিনের তফাৎ আছে। এইসব নিজেরই বিকর্মের ফল যা ভোগ করতে হয়। এখন বাবা এসেছেন কর্মাতীত অবস্থা বানানোর জন্য। ভারত কীরূপ ছিল, এখন কীরূপে পরিণত হয়েছে। এখন এই যুদ্ধে সম্পূর্ণ দুনিয়া স্বাহা হবে। এই কথাও তোমরা বাচ্চারা জানো। বাবা বলেন অনেক পুরুষার্থ করে মহারাজা মহারানী হয়ে দেখাও। চিত্রের উপরে খুব ভালো ভাবে বোঝাতে হবে। বুদ্ধিতে এই কথা যেন স্মরণে থাকে যে, আমরা অনেক উঁচুতে ছিলাম, এখন অনেক নীচে নেমেছি। পতিত মানুষ অনেকে এখন তোমাদের কাছে আসবে। গণিকা, অহল্যাদের উদ্ধারও করতে হবে। তাদের যখন তোমরা উদ্ধার করবে তখনই তোমাদের নাম বিখ্যাত হবে। এখনও কারো বুদ্ধিতে নেই। দিল্লী থেকে আওয়াজ ধ্বনিত হলেই, অতি শীঘ্র নাম প্রখ্যাত হবে। কিন্তু এখনও বিলম্ব আছে । অবলা, গণিকাদেরকে সর্বোচ্চ পিতা এসে উদ্ধার করেন। তোমরা তাদের যখন উদ্ধার করবে তখন নাম প্রখ্যাত হবে। বাবা বলেন – আত্মা এখনও পর্যন্ত রজঃ স্থিতি পর্যন্ত পৌঁছেছে, এখনও সতঃ স্থিতিতে আসতে হবে। বাবা তো বলেন কিছু করে দেখাও। বাচ্চারা, তোমাদের অনেক সার্ভিস করতে হবে। কিন্তু চলতে চলতে কিছুটা গ্রহের দশা এসে যায় । উপার্জনে গ্রহের দশা বসে, তাইনা। মায়া বেড়াল জ্ঞান শূন্য করে দেয়। গুলবকাবলীর খেলা দেখানো হয়, তাইনা। বাচ্চারা তো নিজেরাই বুঝতে পারে যে, বাপদাদার হৃদয়ে কারা স্থান অর্জন করতে পারে। সংশয়ের কোনো কথা নেই। অনেকে প্রশ্ন করে – এমন কীভাবে হতে পারে? আরে, তোমরা সব কিছু সাক্ষী হয়ে দেখো। ড্রামায় যা নির্দিষ্ট আছে সেসব চলবে। ড্রামার সোজা পথ থেকে বিচ্যুত হয়ে যায়। যারা বুঝতে পারে তারা পতিত হয় না। তোমরা পতিত কেন হও, ড্রামায় যা নির্দিষ্ট আছে, সবই হয় তাইনা। ভারতে হাজার হাজার মানুষের সাক্ষাৎকার হয়। এইসব কি? এতজন আত্মা কি বেরিয়ে আসে? এই সব ড্রামার খেলা বুঝতে হবে, এতে সংশয়ের কোনো কথা নেই। অনেকে সংশয় গ্রস্ত হয়ে ঈশ্বরীয় পড়াশোনা ত্যাগ করে। নিজের ভাগ্য খারাপ করে ফেলে। কোনও রকম পরিস্থিতিতেই সংশয়বুদ্ধি হবে না। বাবার পরিচয় পেয়ে বাবার প্রতি সংশয় প্রকাশ করা যায় কি? বাচ্চারা জানে আমরা পতিত-পাবন পিতার কাছে যাই, পবিত্র হতে। সুতরাং গায়ন আছে – পতিত-পাবনকে আসতে হবে এবং পতিতদের পবিত্র করতে হবে। যারা হবে তারাই পবিত্র দুনিয়ায় যেতে পারবে এবং অমর হবে। বাকি যারা পবিত্র হবে না তারা অমর হবে না। তোমরা অমর দুনিয়ার মালিক হও। বাবা অনেক উঁচু বর্সা প্রদান করেন। আমরা এমন পবিত্র হই যে, ২১ জন্ম পবিত্র থাকি। সন্ন্যাসীদেরও তো বিকারের দ্বারা জন্ম হয়। অমরপুরীতে যাওয়ার যোগ্য নয় তারাও। অমরপুরীতে যাওয়ার যোগ্যতা বাবা প্রদান করেন। এই অমর কাহিনী পার্বতীদের অমরনাথ বাবা শিবই শোনাচ্ছেন। বাচ্চারা এসেছে অসীম জগতের পিতার কাছে, অসীম উত্তরাধিকার তো প্রাপ্ত করতেই হবে, তাইনা। এখানে সাগরের কাছে আসো রিফ্রেশ হওয়ার জন্য। পরে গিয়ে নিজ সম বানাতে হবে। অতএব এ হল আত্মা রূপী বাচ্চাদেরও কর্মকর্তব্য। আচ্ছা!
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) কোনও কথায় সংশয় প্রকাশ করবে না। ড্রামাকে সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে। কখনও নিজের রেজিস্টার খারাপ করবে না।
২ ) কর্মাতীত অবস্থায় পৌঁছাতে হলে স্মরণে থাকার পুরোপুরি পুরুষার্থ করতে হবে। সত্য হৃদয় দিয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। নিজের স্থিতির টেম্পারেচার নিজেই চেক করতে হবে।
বরদানঃ-
যাদের কাছে সন্তুষ্টতার ঐশ্বর্য আছে তাদের কাছে সব কিছু আছে। যারা একটুতে সন্তুষ্ট থাকে তাদের সর্ব প্রাপ্তির অনুভূতি হয়। আর যাদের কাছে সন্তুষ্টতা নেই তাদের সব কিছু থাকা সত্ত্বেও কিছুই নেই, কারণ অসন্তুষ্ট আত্মা সদা ইচ্ছার বশীভূত থাকে, তার একটি ইচ্ছা পূর্ণ হলে আরও ১০ টি ইচ্ছা উৎপন্ন হয় যাবে, তাই জাগতিক ইচ্ছা মাত্রম্ অবিদ্যা….. তখন বলা হবে সন্তুষ্টমণি।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!