24 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
23 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
(মাম্মার পুণ্য স্মৃতি দিবসে প্রাতঃ ক্লাসে শোনানোর জন্য মাতেশ্বরীজীর মধুর মহাবাক্য)
“কর্মই হল সুখ আর দুঃখের কারণ”
এটা তো সকল মানুষ জানে যে জীবনে দুঃখ আর সুখ কর্মের আধারে প্রালব্ধ রূপে চলতে থাকে। অবশ্যই পূর্বে এমন কোনো কর্ম করেছে যার প্রালব্ধ (ফল স্বরূপ) দুঃখ বা সুখের রূপে ভুগতে হয়। তো সুখ আর দুঃখের সম্বন্ধ হয়ে গেল কর্মের সাথে। কর্মকে ভাগ্য বলা যায়না। কেউ কেউ এমন মনে করে যে, যা ভাগ্যে আছে… এইজন্য দুঃখ আর সুখকে ভাগ্য মনে করে, এটা তো এমন হয়ে গেল যেন এই ভাগ্য ভগবান বানিয়েছেন বা অন্য কেউ বানিয়েছে, এইজন্য বলে দেয় যে যেটা ভাগ্যে আছে… কিন্তু এটা বোঝাও অত্যন্ত জরুরী যে ভাগ্যও কে বানিয়েছে ? ভাগ্য পরমাত্মা বানায়নি। এমনও নয় যে ভাগ্য পূর্বে থেকেই তৈরী হয়েছিল, না। এই দুঃখ বা সুখ যেটা মানুষ ভোগ করে, এই দুঃখ-সুখের নির্মাণকর্তাও হল মানুষ নিজেই, কেননা কর্ম মানুষই করে, এই জন্য এই দায়িত্ব নিজেরই হয়ে গেল। যেমন বীজ বপন করে সেই রকমই বৃক্ষ জন্ম নেয়, এটা তো হল প্রচলিত প্রবাদ আর যে করবে, সেই পাবে। গীতাতেও বর্ণনা আছে যে জীবাত্মা নিজেরই মিত্র হয় আবার নিজের শত্রু হয়। এমন বলা নেই যে আমিই তোমার শত্রু আবার আমিই তোমার মিত্র। না জীবাত্মা নিজের শত্রু আবার নিজের মিত্র হয়। এইজন্য নিজের সাথেই মিত্রতা আর নিজের সাথেই শত্রুতা, দুঃখ আর সুখের কারণ হল মানুষ নিজেই। তো এই কথা এতটাই স্পষ্ট যে দুঃখ আর সুখের কারণ মানুষ নিজেই এইজন্য যখন কোনও রূপে দুঃখ আসে তো তাকে বিদূরিত করার জন্য প্রচেষ্টা করতে থাকে। কোনো লড়াই ঝগড়া হচ্ছে দেখতে পেলে মানুষ তাকে থামিয়ে বা মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। কারো যদি অকালে মৃত্যু হয় তখনও দুঃখ হতেই থাকে। তখন বুঝতে পারে যে, জানা নেই আমার সাথেই এমন কেন হয় ? তখন ক্ষোভের বশে (জোশে এসে) ভগবানকে গালি দিতে থাকে। এখন তোমাদের সামনে এই যে পরিস্থিতি আসছে এটা কে করেছে ? এই যে অকাল মৃত্যু হয় বা এই যে রোগ ইত্যাদির রূপে দুঃখ আসে, এসব কি ভগবান করছেন ? এই যে লড়াই ঝগড়া অশান্তি সংসারের যত দুঃখের কারণ, এইসব কি ভগবান করেছেন ? আরে! ভগবান, যাকে তোমরা বলো দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী, এইজন্য যখন কোনও দুঃখ আসে তখন তাঁকে স্মরণ করতে থাকো। শরীর রোগাগ্রস্ত হলে তখনও বলে থাকো যে – হে ভগবান! দুঃখে তাঁকেই স্মরণ করতে থাকো, যদি তিনিই দুঃখ দিয়ে থাকেন তাহলে যে দুঃখ দিয়েছে তার কি করা উচিত বলো ? এটাও তো ভেবে দেখতে হবে যে দুঃখের সময় যার কথা স্মরণে আসে, তার বিষয়ে তো এটা বলতে পারি না যে – ইনি দুঃখ দিয়েছেন। এটাও তো বোঝার মতো বিষয় । যখন স্মরণ করে, তখন অবশ্যই তাঁর সাথে আমাদের সম্বন্ধ নিশ্চয়ই অন্য কোনো কারণের জন্য, নাকি দুঃখ দেওয়ার জন্য ! এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে দুঃখের কারণ অথবা এর জন্য রেস্পন্সিবল (দায়ী) অন্য কেউ । এর মধ্যে আবার তৃতীয় তো কেউ নেই। এক হলো আমি, দ্বিতীয় হলো আমার রচয়িতা, ব্যস্। এই দুটোই জিনিস আছে তাই না। এক আমি হলাম তার রচনা বা তার সন্তান… যেটাই বলো আর দ্বিতীয় হলেন বাবা। তো, বাবা এই দুঃখের জন্য রেস্পন্সিবল নাকি আমি রেস্পন্সিবল ! কিন্তু যখন আমার কাছে দুঃখ আসে তখন এমন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যেন এই রচয়িতাই আমাকে দুঃখ দিয়েছেন। এদিকে আবার অন্তর থেকে এটাও মনে হয় যে তিনি হলেন আমার সুখ দাতা। যেরকম সুখের জন্য আশ্রয় প্রার্থনা করে যে হে ভগবান এই দুঃখ দূর করো, ভগবান আমার আয়ু বৃদ্ধি করাে। দেখো, আয়ুর জন্যও প্রার্থনা করতে থাকে। তো আয়ুরও, দুঃখেরও, শরীরের রোগ ইত্যাদিরও আর যা কিছু লড়াই ঝগড়া বা এইরকম কোনও অশান্তির কারণ আসে, তখন ভগবানের কাছেই প্রার্থনা করে। কোনো কোনো বাচ্চা এমনও হয় যে বলে, ভগবান, একে সুমতি দাও, তো মতিও তাঁর কাছেই প্রার্থনা করে। কোনও কথাতে যখন দুঃখ বা কষ্ট হয়, তখন কষ্টতে স্মরণও তাঁকেই করে আর মনের কামনা তাঁর কাছেই রাখে। যখন তাঁর কাছেই প্রার্থনা করে তখন অবশ্যই তিনি হলেন তার মনোবাঞ্ছা পূরণকারী আর তিনিই আমাদেরকে সুখ প্রদান করেন, মানে এইসব সমস্যার সমাধান কেবল তাঁর কাছেই আছে। এইজন্য শুধু শুধু তাঁকে স্মরণ করেনা, তাঁর কাছে সব সমাধানও আছে। তো এই সবই আমাদের যা কিছু ব্যবহারিক কার্য চলে, জেনেই হোক কিম্বা না-জেনে, কিন্তু ভগবানকে দুঃখের সময় স্মরণ অবশ্যই করে। কোনও পরিস্থিতি এলে তো মুখ থেকে বেরিয়ে আসে – “ও মাই গড”! যদিও কেউ জানুক কিম্বা নাও জানুক যে সেই গড কে, তিনি কিরকম, তবুও মুখ থেকে অবশ্যই বেরিয়ে আসে। তো এটাও বোঝার কথা যে, আমরা যাঁকে স্মরণ করি, তাঁর সাথে আমাদের সকল দুঃখের কি কোনও কানেকশন আছে! উনিই কি আমাদের দুঃখ দাতা নাকি ওঁনার কানেকশন সুখ দেওয়ার সাথে আছে! এটা তো আমাদের স্মরণের দ্বারাই প্রমাণিত হয়ে যায় যে তাঁর কোনও দুঃখ দেওয়ার কাজই নেই। যদি দিতেন তাহলে স্মরণ কেন করতে ? দুঃখ দাতার জন্য তো অন্তরে রাগ আসে, চিন্তা করে এর জন্য জানিনা কি করবো… কিন্তু ভগবানের প্রতি তো সর্বদা আর বিশেষ করে দুঃখের সময়ে প্রেম উৎপন্ন হয়। অন্তরে মনে হয় যে, যেন তিনি হলেন আমাদের সবচেয়ে বড় মিত্র। অন্তরে সেই খুশি আসে। তো অবশ্যই তাঁর সাথে আমাদের সুখের সম্বন্ধে আছে। তো দুঃখের কারণ অবশ্যই অন্য কেউ! এখন অন্য কেউ তৃতীয় তো নেই, এক আমি, দ্বিতীয় তিনি, তো অবশ্যই আমিই এর জন্য দায়ী হলাম।
তো যে জিনিসের জন্য আমি নিমিত্ত হয়েছি আর আমিই দুঃখে দুঃখী হই, আর দুঃখের জন্মও আমি নিজের মধ্যে নিজেই করে থাকি, তবে দেখো কতখানি অবুঝের মতো কথা। যে জিনিসের থেকে মুক্তি পেতে চাইছি, সেই জিনিস আমি নিজের জন্য নিজেই তৈরী করছি, আশ্চর্যের কথা না ? মানুষ চায় না তবুও দুঃখ তৈরী হয়ে যায়, তো অবশ্যই সে কোনও কথাতে অজ্ঞানী বা অবুঝ। তো যে কথার বিষয়ে জানা নেই সেই বিষয়ে আগে জেনে নেওয়া উচিত তাইনা। অবশ্যই আমার সেই বিষয়ের কিছু জ্ঞান থাকা দরকার। তো এই বোধগম্যতার বিষয়ে আগে খোঁজ করা দরকার । কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই যে বর্তমানে এই সব বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করতেও দেখো বেচারারা কত অজুহাত দেখায় । বলে, সময় নেই। কি করবো ঘর গৃহস্থ, কাজকর্ম ইত্যাদি করবো নাকি এই সব করবো, ওই সব করবো, কি করবো…। সেইজন্যই তারা ঘর গৃহস্থ আলী কাজকর্ম দেখাশোনা করা সত্ত্বেও দুঃখী হয়ে পড়েছে। এখন যখন আমিই ‘আমার-আমার’ বলে এই দুঃখের রূপকে তৈরী করে ফেলেছি, তাকে দুঃখের রূপে নিয়ে এসেছি তো প্রথমে সেই বিষয়ের খোঁজ হওয়া দরকার । তৈরি করার পূর্বে সেই বিষয়ে জানতে হবে, এই যেটা তৈরি করে আমি দুঃখী হচ্ছি তার কারণ কি! প্রথমে আমাকে এই বিষয়ে জ্ঞাত হতে হবে যে আমি দুঃখী কেন হয়েছি ? আমার জন্য কি সুখ নেই ? এই বিষয়েও তো জ্ঞাত হতে হবে।
এই বিষয়ে জানার জন্য এখানে বলা হয় যে, যে জিনিসকে তোমরা ‘আমার’ মনে করো, এটাই হলো দুঃখের কারণ। দুঃখকে দূর করার সমাধান কি, সেটাও জীবনের জন্য জানা অত্যন্ত আবশ্যক। কিন্তু জানার পরেও বলে যে কি করব, কীভাবে করব, আমি কি আমার গৃহস্থ ব্যবহার ছেড়ে দেবো! তো আশ্চর্য লাগে যে, দেখো মানুষের বুদ্ধি, বোধ বুদ্ধি থাকা সত্ত্বেও তাকে ধারণ করতে অক্ষম। আমি অনুভবের দ্বারা সেই কথাগুলিকে বুঝে আর ধারণ করে বলছি যে এটা হল অনুভবের জিনিস। অনুভব অবশ্যই হয়েছে তবেই তো বলছি যে প্র্যাক্টিক্যালে কীভাবে সুখ প্রাপ্ত হতে পারে। অনেক জন্ম ধরে যে আশা করে এসেছো, এখন সেই সুখদাতা যিনি স্বয়ং আমাদেরকে নিজের এই পরিচয় দিচ্ছেন যে হে বাচ্চারা, তোমরা দুঃখী কেন ? কারণ তো তোমরাই, কিন্তু তোমাদের মধ্যে এমন কি কথা আছে যেটা তোমরা নিজেরাই জানো না, যার জন্য দুঃখী হচ্ছো। তোমাদের কর্মই কি তোমাদের দুঃখের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে না! সেটা এসে বোঝো, দেখো, আমি এতখানি অফার করছি। তবুও আশ্চর্যের কথা দেখো, এটা শুনেও বেচারারা বলে, হয়ত এরকমই চলতে হবে। একেই বলা যায় অহো মম মায়া! একদম মায়া চেপে ধরে বসে আছে। আর যাকে পাওয়ার জন্য সারাদিন মাথা খারাপ করতে থাকে, সেই ঈশ্বর বাবা সামনে থেকে বলছেন যে তোমাদের সুখের কারণ আর দুঃখের কারণ কি।
বাবা স্বয়ং বলেন যে, আমি তোমাদের সকল দুঃখ হরণ করতে আর তোমাদেরকে সুখ প্রদান করতে এসেছি, তবেই তো গাইতে থাকো তোমরা যে দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী। কখনো এইরকম বলে না যে আজ দুঃখ প্রদানকারী সুখ হরণকারী। না। তো প্রতিটি দুঃখের তিনিই হলেন হরণকারী। বাবা বলেন যে, বাচ্চারা আমি এসেছি তোমাদের দুঃখ হরণ করতে। কিন্তু তার জন্য তোমাদেরকে এমন কর্ম করতে শেখাবো যার দ্বারা তোমাদের দুঃখ নষ্ট হয়ে যাবে। কেবল আমি যা শেখাই, বোঝাই, সেগুলিকে বুঝে সেই মতো পুরুষার্থ করো, যার দ্বারা দুঃখ নষ্ট হয়ে যাবে। তোমাদের দুঃখ নষ্ট করার জন্যই আমি শিক্ষা দিয়ে থাকি, এটাকে ধারণ করে নাও। কেননা এটা যে তোমাদের জন্যই । কিন্তু বেচারারা এমন কারণ দেখায় তারাই যেন ভগবানের উপরে দয়া করছে। কেউ আবার বলে দেয় যে সময় হলে করে নেব! আরে ভাই! এই যে খাওয়ানো দাওয়ানো সব যে ব্যাপার, সেই কর্মের দ্বারা তৈরি হওয়া কর্মের খাতাতেই তো তোমরা নাজেহাল হয়ে পড়েছো, সে কারণেই তো তোমরা দুঃখী হয়েছো। যখন একদিকে বলছো যে দুঃখ থেকে মুক্ত হতে চাই আবার অন্য দিকে এইসব দুঃখ থেকে মুক্ত হওয়ার রাস্তা যখন বাবা নিজেই বোঝাচ্ছেন তখন দেখো কারোর বুদ্ধিতে খুব কমই ধারণা হচ্ছে । এইভাবে মায়া এই ৫ বিকারকে বলা হয়, কিন্তু মানুষ বেচারা পুনরায় ধন-সম্পত্তিকে মায়া মনে করে। কেউ আবার শরীরকেও মায়া বলে দেয়। তার থেকে বাঁচার উপায় বের করতে থাকে, কিন্তু বাবা বলেন তোমাদের দুঃখের কারণ হল অন্য কিছু। এই প্রকৃতি তো হল আমার রচনা, যেটা অনাদি সেটা কখনো দুঃখের কারণ হতে পারে না। তোমাদের মধ্যে এক্সট্রা আলাদা ভাবে কোনও জিনিস এসেছে, যেটা দুঃখের কারণ হয়েছে, তাকেই ৫ বিকার (মায়া) বলা হয় । শরীর কখনো বিকার নয়, সংসারও কখনো বিকার নয়, ধন-সম্পত্তিও বিকার নয়। বিকার হল এক আলাদা জিনিস, যেটা আসার ফলে এইসব কিছুই দুঃখের কারণ হয়ে গেছে। না হলে তো এইসকল পদার্থ হল আত্মার সুখে জন্য । তার জন্য এই সম্পত্তি, ধন ইত্যাদি যা কিছু আছে, সেইসব সুখের কারণ ছিল। কিন্তু এই সকল কথার পূর্ণ জ্ঞান না হওয়ার কারণে এইসব জিনিস দুঃখের কারণ হয়ে গেছে। এমনও নয় যে আমি এই যে অনাদি রচনা রচিত করেছি, সেসব কোনও দুঃখের কারণ, না। দুঃখের কারণ তোমরাই, তোমাদের মধ্যে কোনো আলাদা জিনিস এসেছে। সেই আলাদা জিনিস হল এই পাঁচ বিকারের মায়া, এখন সেগুলিকে তোমাদেরকেই বের করতে হবে। মানুষ পুনরায় বলে দেয় যে, এইসব ভগবান দিয়েছেন, যদি ভগবান দিয়ে থাকেন তবে তিনি সুখের জিনিসই দেবেন তাই না। এতে তোমরা বিকার মিশিয়ে এইসব জিনিস গুলিকে খারাপ করে দিয়েছো, এই জন্য বাবা বলেন যে তোমরা এই বিকার গুলিকে বের করে দাও তাহলে সদাকালের জন্য সুখী হয়ে যাবে। এই সমস্ত কথাগুলিকে বুঝতে হবে। এর জন্য অল্প একটু সময় তো দিতেই হবে। দুঃখকে বিনাশ করার বিধি শিখতে হবে। এর জন্য বলা হয় বারংবার এখানে আসো, কিছু তো অন্তত বোঝো। কিন্তু এমন নয় যে এখানে এসে শুনলে আর বাইরে গেলে ব্যস্ কথা শেষ। কেউ কেউ আবার বলে দেয় যে এসব তো বয়স্ক বা বৃদ্ধদের কাজ। সুখময় জীবন বানানো কেবল বৃদ্ধদের জন্যই জরুরী? বৃদ্ধ তো সে, যে উল্টো সিঁড়ি চড়ে পুনরায় দেখে নেমে আসে, তার থেকে তো ভালো যে সিঁড়ি চড়ার পূর্বেই সাবধান হয়ে যাওয়া, আমাকে আমার জীবন কীভাবে পরিচালনা করতে হবে। এর জন্য তাদেরকে রায় দিতে হবে যে এই কথাগুলোকে বুঝে নিজের জীবনে দুঃখের যে মূল আছে, দুঃখের যা কিছু কারণ আছে, সেগুলিকে নির্মূল করার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা (পুরুষার্থ) করতে হবে।
ভগবান বাবা যিনি হলেন সকলের পিতা, তাঁর উপর আমাদের যে অধিকার আছে, তাঁকেও বুঝতে হবে আর সেই অধিকার নিতে হবে। কেবল এইরকম থোড়াই তাঁকে বাবা বলবে ? তাঁর দ্বারা আমাদেরকে কি কি প্রাপ্ত করতে হবে, সেটাও তো কেউ এসে বুঝবে আর শুনবে। আমি সবাইকে অফার তো দিতেই থাকি। পরবর্তীকালেও নিমন্ত্রণ আর সন্দেশ দিতেই থাকব। তথাপি কোটির মধ্যে কয়েকজন জাগবে। আগেও এইরকম হয়েছে তবেই তো ভগবান নিজে বলেছেন যে কোটির মধ্যে কয়েকজনই আমাকে জানে। তো এখানে এসে এই জিনিস গুলিকে বুঝে আর কিছু ধারনা করার কথা বলো। একই দিনে এইসব কথা বোঝানো সম্ভব নয়। আচ্ছা। মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের প্রতি স্মরণের স্নেহ সুমন আর নমস্কার।
বরদানঃ-
ব্রাহ্মণ জীবনের মজা হল জীবন্মুক্ত স্থিতিতে । যার নিজের পূজ্য স্বরূপ সদা স্মৃতিতে থাকে তার চোখ কেবল বাবাকে ছাড়া অন্য কোথাও ডুবতে পারে না। পূজ্য আত্মাদের সামনে আপনা থেকেই সকল ব্যক্তি আর বৈভব মাথা নত করে। পূজ্য আত্মা কারো প্রতি আকৃষ্ট হয় না। দেহ, সম্বন্ধ, পদার্থ বা সংস্কার গুলিতেও তার মন বুদ্ধি আসক্ত হয় না। সে কখনো কোনো বন্ধনে আবদ্ধ হয় না। সর্বদা জীবন্মুক্ত স্থিতির অনুভব করতে থাকে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!