24 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

 Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 23, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

মাতেশ্বরী জীর পূণ্য স্মৃতি দিবসে ক্লাসে শোনানোর জন্য জগদম্বা সরস্বতী জীর মধুর মহাবাক্য

গান:-

জগতের থেকে সম্পর্ক ত্যাগ করো….

 

যদি আমরা জগতের থেকে সকল সম্পর্ক ত্যাগ করে দিই তাহলে জগৎ কিসের জন্য? যদি সম্পর্ক ভেঙে দেওয়ারই কথা হয় তাহলে এই সম্পর্ক তৈরি হয়েছে কেন? পতি-পত্নী, বাবা-ছেলে, রাজা-প্রজা ইত্যাদি অনেক রকমের যে সম্বন্ধ আছে, এই সকল সম্বন্ধ ভগবান রচনা করেছেন, এই রকম বলে থাকে তাই না! তো যখন ভগবান রচনা করেছেন তাহলে কেনই বা তিনি বলেন যে, ত্যাগ করো! নাকি এই গানটিই হল ভুল।

ভগবান কি রকম জগৎ রচনা করেছিলেন? জগৎ বলো বা দুনিয়া বলো, ভগবান যে জগৎ রচনা করেছিলেন সেই দুনিয়া থোড়াই এইরকম রচনা করেছিলেন, যেটা ত্যাগ করতে হবে। এখনকার যেরকম সম্বন্ধ, তা তিনি রচনা করেননি। এখন এই জগতে দেখো, তোমাদের সম্বন্ধ কিরকম হয়ে গেছে! কর্মের কারণে তমোপ্রধান হতে হতে আজ কি হয়ে গেছে! কর্মের বন্ধন একে অপরকে দুঃখ দিতে থাকে। সকল সম্পর্ক এই কর্মের হিসাবের কারণে তমোপ্রধান হয়ে পরস্পরকে দুঃখ দিতে থাকে। ভগবান নিজে বলেন, আমি তো তোমাদের এই দুঃখের সম্বন্ধ রচনা করিনি। আমি তোমাদের যে সম্বন্ধ জুড়ে দিয়েছিলাম, সেটা বন্ধন ছিলো না। আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠ সম্বন্ধ জুড়ে দিয়েছিলাম, সেই সম্বন্ধের কারণে তোমরা সর্বদা সুখী ছিলে। তোমাদের সকল সম্বন্ধ খুবই স্বচ্ছ ছিল, এইজন্য স্মরণ করো তাই না যে, রাম রাজত্বে প্রজারও বিত্তশালী তথা সকল নাগরিকের মধ্যেই দাতার সংস্কার থাকার কারণে ধর্মের উপকার হয়। তাই তো বলা হয় গার্হস্থ আশ্রম। সেইজন্য ধর্ম-পতি, ধর্ম-পত্নী ধর্মের নামের কারণেই হয়ে থাকে, তাই না! কিন্তু এখন তো সেই ধর্মের সম্বন্ধ আর নেই। বাস্তবে সেই জীবন-যাপন এখন আর নেই, এইজন্য বাবা বলেন, এই যে তোমরা নিজেদের স্বার্থে এই জগৎ বানিয়ে, সেই জগতে যা কিছু সম্বন্ধ আছে, সেই সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমি যে জগৎ তৈরি করেছিলাম সেখানে তোমাদের সম্বন্ধ কতই না সুন্দর ছিল, কতইনা প্রিয় ছিল, কতইনা এক অপরকে সুখ প্রদান করতে! সম্বন্ধ তো অবশ্যই ছিল, এমন নয় যে ভগবান সম্বন্ধ রচনা করেননি। সম্পর্ক তো ছিল কিন্তু সেই সম্পর্ক কর্ম বন্ধন-রহিত ছিল, এই জন্য তাদেরকে বলা যেত জীবনমুক্ত। জীবনে থেকেও এই কর্মের বন্ধন (দুঃখ) থেকে মুক্ত ছিলে, এইজন্য তাকে বলা হতো জীবনমুক্ত। এখন তোমাদের সম্পর্ক জীবন-বন্ধের মতো হয়ে গেছে, এইজন্য বলে যে এখন এর থেকে মুক্ত কিভাবে হব! বাবা বলেন যে, তাদের সাথে সম্পর্ক ত্যাগ করে এক আমার সাথে যুক্ত করো। শেষের এই একটা জীবন তোমরা আমাকে দিয়ে দাও। আমাকে দিয়ে দেওয়ার অর্থ, যেরকম স্ত্রী তার পতিকে সবকিছু দিয়ে দেয়, পতিও তার নিজের সবকিছু তার স্ত্রীকে দিয়ে দেয়। বাবা বৃদ্ধ বয়সে তার নিজের সবকিছু ছেলেকে দিয়ে দেয়, ছেলে তার সবকিছু বাবাকে দিয়ে দেয়…. এই অভ্যাস তো খুব ভালোভাবে আছে তাইনা! আমি তোমাদেরকে কোনো নতুন কথা শোনাচ্ছি না। কিভাবে করব, কি করব -তোমরা এইসব প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করতে পারো না। তোমরা নিজেদের জীবন এক পরস্পরের প্রতি দিয়ে এসেছো, তোমরা কি তোমাদের বাচ্চার প্রতি নিজের জীবন উৎসর্গ না করেই বসে আছো? নিজের শরীর, মন, ধন যা কিছু আছে, তোমরা তাদের প্রতি তো সব কিছু উৎসর্গ করেই বসে আছো তাই না! নিজের-নিজের তো বলেই থাকো, তাইনা! সারাটা জীবন তাদের জন্য ব্যয়িত করো। তাহলে আমি তোমাদেরকে কোনো নতুন কথা থোড়াই বলি যে, এই সব কিছু আমাকে উৎসর্গ করো। যেরকম এখনো পর্যন্ত তোমরা এক পরস্পরের প্রতি করে এসেছ, সেই রকমই এখন বলছি, তোমরা আমার হও। তারপর আমার হয়ে সেগুলিকে নিমিত্ত হয়ে দেখাশোনা করো। তোমরা ভক্তি মার্গেও বলে এসেছো, ভগবান এই সবকিছু তোমার, আমিও তোমার…. কিন্তু তাকে সবকিছু সমর্পন করে দাও নি। শুধু এই রকমই বলেছ যে, সবকিছু তোমার…। তোমারও যা কিছু আছে, সেসব আমার, আমারও সবকিছু আমার… এই রকমই সবাই বাস্তবে করেছিলে। কিন্তু এখন সেই ঠকবাজি তো আর চলবে না, তাই না! তোমারও যা কিছু আছে সব আমার, তো আমারও সবকিছু আমার। না। এরকম চলবে না। এখন এই তোমার-আমার সমাপ্ত করতে হবে। এখন আমি তোমার, তো সেখানে সবকিছুই এসে গেছে। ব্যস্, আমি তোমার। তাছাড়া এইরকম থোড়াই হয় যে, তার সবকিছু আমার, নিজেরও সবকিছু আমার… এইরকম ঠকবাজি করে কি লাভ! কেননা এরদ্বারা আমরা নিজেদেরকেই ঠকাচ্ছি, সেই পরমাত্মাকে তো কেউ ঠকাতে পারে না। প্রথমে নানারকমভাবে ঠকবাজি করতে থাকে, কিন্তু ঠকাতে ঠকাতে নিজেই দুঃখী অশান্ত হয়ে যায়, কেননা তোমরাই তো ধোঁকা খাও, এই জন্য এখন বাবা বলেন যে সেই সবকিছু ত্যাগ করো। দেহের সাথে সব সম্বন্ধের থেকে বুদ্ধি সরিয়ে এখন আমার সাথে যুক্ত করো। তারপর আমারত্ব আর থাকবে না।

এতদিন পর্যন্ত আমার-আমার বলে দুঃখী হতে থেকেছো। পুনরায় বুদ্ধি ওইদিকে যায় তো বলে, কি করব, কীভাবে করব… যদি তোমরা কারোর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ো তাহলে তোমাদের কিরকম দশা হবে! এটাই হল মোহ, এর কারণেই তোমরা দুঃখী হয়ে যাও এইজন্য বাবা বলছেন যে তোমরা এই জগতের থেকে সম্পর্ক ভেঙে এখন আমার হও। তো এই যে তোমাদের নিজেদের দেহের বন্ধন, জীবনের বন্ধন বানিয়েছ, তার থেকেও বেরিয়ে এখন আমার হয়ে যাও। পুনরায় আমি তোমাদের সাথে জন্ম-জন্মান্তর ধরে থোড়াই চলতে থাকবো! না। এখন আমার তোমাদের সাথে কাজ আছে, ব্যাস। তারপর তো তোমরা আত্মারা নিজেদের মধ্যে সর্বদা সুখে থাকবে। তাই তোমাদের দুঃখের বন্ধন ভেঙে ফেলে, সুখের সম্বন্ধ তৈরি করে দিই, তারপর তোমরাই নিজেরা সুখ ভোগ করবে। এখন দেখো তোমরা কতইনা বিপথে চলে গেছ এজন্য দুঃখী হয়ে পড়েছ। তারপর আমি তোমাদেরকে বিপথে যাওয়া থেকে বাঁচিয়ে সঠিক পথ দেখাই, তারপর তোমরাই সুখে থাকবে। আমি থোড়াই জন্ম-জন্মান্তর তোমাদের সাথে চলতে থাকব! আমি তো কেবল তোমাদের বিপথে যাওয়া থেকে শোধরানোর জন্য বলি যে, এখন আমার হও। সেটাও কেন বলি? কেননা আমার নির্দেশে চললে তোমাদের জন্য সবকিছু সহজ হয়ে যাবে। আমি তোমাদেরকে এই সহজ যুক্তি প্রদান করি। তোমরা বাস্তবে আমার হয়ে চলো, তাহলে এই যুক্তি কাজে আসবে। যেরকম কারোর কোলের বাচ্চা থাকলে, তারই নাম প্র্যাক্টিক্যালি চলতে থাকে, তাই না। এই রকম তোমরাও প্র্যাকটিক্যালে আমার হয়ে চললে তোমাদেরই ভাগ্য তৈরি হবে। বাবা তো বড় সোজা, সহজ একদম সাধারণ কথা বলছেন, তাতেও দেখো কোটির মধ্যে কয়েকজন ধারণ করার জন্য বেরিয়ে আসে।

বাবা বলছেন, এই ছোট সঙ্গম যুগে তোমাদের দেশে, এই সাকার দুনিয়াতে তোমাদের জন্যই এসেছি, তো ন্যূনতম যতটা সময় আছে, ততটা সময়ে তো আমার চিন্তা করো! বাবার হয়েছো তো ন্যূনতম এতটা সময় তো শুদ্ধ থাকো। তারপর তোমাদের এইরকম প্রালব্ধ হয়ে যাবে যে তোমাদেরকে সেই দুনিয়াতে পরিশ্রম করতেই হবে না। এখন অল্প একটু পরিশ্রমের কথা আছে, এখন তোমরা যে করেই হোক, এমনকি যদি মরতেও হয় তবুও পবিত্র থাকার প্রতিজ্ঞা করো। নিজের মধ্যে দৃঢ়তা রাখো, নিজের ধারণাতে থাকার সম্পূর্ণ প্রচেষ্টা করো। বাবা তোমাদেরকে পরিষ্কার করে বলে দিচ্ছেন যে, তোমরা কেবল এতটা সময়ের জন্য পরিশ্রম করো। আমি তোমাদেরকে আর কোনও পরিশ্রম করাই না, তোমাদের যা কিছু প্রাপ্ত হচ্ছে তার পরিবর্তে সেরকম পরিশ্রম তোমাদের করতেই হয় না।

এখন ঘিয়ের ঘড়া তৈরি ক’রো না… এটা করব, ওটা করব, দুনিয়া কি বলবে, তারা কি বলবে, আরে দুনিয়া কি বলবে… ছেড়ে দাও এসব কথা। এখন এই দুনিয়াই বিনাশ হয়ে যাবে। কিন্তু সেই বেচারাদের এটা থোড়াই জানা আছে, এইজন্য বাবা বলেন, এসব চিন্তা ক’রো না। এখন তো মৃত্যু সামনে দাঁড়িয়ে আছে। তোমরা এত লম্বা-চওড়া যা কিছু বানিয়ে বসে আছো, এই সবকিছু ব্যর্থ ব্যয় করছো। এখন বাবা বলছেন যে, সেই ব্যর্থকে সমর্থ করো। এই শরীর নির্বাহের জন্য যতটা চাই ততটা করো, যতটা তোমাদের রচনার সাথে হিসাব-নিকাশ আছে, ততটাই করো, আমি কিভাবে তাদেরকে দেখাশুনা করব? এদেরকে তোমাকেই দেখাশোনা করতে হবে। যা কিছু আবশ্যক আছে, সেসব তোমাদেরকে ফ্রি করে দিচ্ছি কিন্তু এখন এই যে এক্সট্রা রচনা রচিত করছো, তার জন্য মানা করছি। কেননা এখন তো সেই সব কিছুই ভেঙে পড়বে, কেন নিজেদের ফালতু সময় নষ্ট করছো। এই ফালতু ঝঞ্ঝাটের কারণেই তোমরা দুঃখী হয়ে গেছো, এই ঝঞ্জাট থেকে তোমরা কিভাবে মুক্ত হবে, সেটাই তো তোমাদেরকে বলতে এসেছি। তবুও বসে বসে অনেক অজুহাত দেখানো, এটা কোথাকার রীতি? তথাপি বাবা বলছেন যে, দেখে নিও, এখন যদি আমাকে সোজা আঙ্গুল না দাও, তোমার হাত আমাকে সমর্পণ না করো, তাহলে আমি এমনভাবে নাকটা চেপে ধরে নিয়ে যাবো। নাক চেপে ধরলে তো দম বন্ধ হয়ে যাবে, তখন দুঃখ হবে, শাস্তি পেতে হবে, তাইনা! এইজন্য বাবা বলছেন, এখন হাতে হাত দিয়ে সহজভাবে চলার সময় এসে গেছে। যদি সোজাসুজিভাবে না চলতে পারো তাহলে আমার হাতে তোমার নাকও তো এসে যায়, তারপর দেখে নিও। তখন সেই সময় আর কিছুই হবে না। না কিছু করতে পারবে, এইজন্য বাবা বলছেন, বাচ্চারা এখন তোমরা আমার হয়ে, আমার কাছে এসে, আমার কথাগুলিকে শুনে, যদি পুনরায় কিছু না করো তাহলে তার জন্য অনেক কড়া শাস্তি ভোগ করতে হবে, এইজন্য যাদের এই বিষয়ে জানা নেই তাদের কথা তো আলাদা। এরা ছাড়া যাদের জানা আছে, যারা বসে, শুনে পুনরায় এইসব কথা গুলিতেই ভুল করে তাহলে তাদের জন্য তো আর কিছুই করার থাকবে না। যেরকম দশগুণ লাভ, সেইরকম দশগুণ ক্ষতি হয়ে যায়। তখন বলা যায় যে, নিজের ক্ষতিকে, অপচয়কে…. ভালো করে বোঝো। ভালোভাবে কিছু তো নিজের বুদ্ধি খাটাও। এখন বাবার সাথে বুদ্ধির যোগ লাগাবে তো শক্তি প্রাপ্ত হবে। তাই এই সকল কথা গুলিকে বোঝো, ভুলে যেও না।

এখন এই যে সময় চলছে, একে চেনো, একটু চোখ খোলো, বুদ্ধি খোলো আর সময়ের সম্পূর্ণ লাভ নাও। নিজের সম্পূর্ণ ভাগ্য জাগ্রত করো। বলেও যে, যেরকম সঙ্গ, সেই রকম রঙ হয়ে থাকে, এই জন্য যার মধ্যে এখন এই ধারণা সম্পূর্ণ থাকবে না, তখন মায়ার সঙ্গের রঙ লেগে যাবে। তখন তো বলবে যে খারাপ কিছু শোনো না, খারাপ কিছু দেখো না, খারাপ কিছু ব’লো না… এমনও কিছু খারাপ আছে যেটা এখানকারও অনেককেই ছাড়ে না, তারপর এক পরস্পরের সঙ্গদোষে এসে যায়। তখন বলে যে এইরকম সঙ্গদোষ থেকে নিজেকে রক্ষা করো। এরকম মনে করো না যে, সঙ্গদোষ বাইরে আছে, এখানে নেই। না, এখানেও সে ঘুরতে থাকে, কেননা তারই তো রাজ্য তাইনা। এইজন্য বাবা বলছেন যে ভালোভাবে কবচ পড়ে থাকো। কবচ থাকলে তো তাতে গুলি লাগবে না। যোগেরই কবচ আছে, জ্ঞান তো হলো তলোয়ার। এইসব অস্ত্রশস্ত্রকে নিজের কাছে ভালো ভাবে সুরক্ষিত রেখো।

বলা হয়ে থাকে, যে যা’ করে সেটাই পায়, এতো ভবিষ্যৎ প্রালব্ধ বানানোর বিষয় l তোমরা তো এখানে প্রালব্ধ ভোগ করতে যাচ্ছ না, এখানে তো নিশ্চয়ই কোনো গুরু হয়ে বসার ব্যাপার নেই l এতে কেউ যেন মিসআন্ডারস্ট্যান্ড না করে, সেইজন্য এই সবই তোমাদের বুঝিয়ে দেওয়া হয় l সুতরাং এই সব বিষয়ে অ্যাটেনশন দিয়ে নিজেকে সেফ রাখতে হবে l এখানে কোনো রকম খরচাপাতির আলোচনা হবে না l এই সব খরচা এখন অন্যদের কল্যাণার্থেই ইউজ করতে হবে l প্রতিটি পাই পয়সা সব এই কার্যে ব্যবহার করতে হবে l আচ্ছা !

দ্বিতীয় মুরলী:-

“উত্তরণের কলায় যেতে হলে নিজের জীবনের সমস্ত উত্তরদায়িত্ব তাঁর হাতে সমর্পণ করে দাও”

অনেক মানুষ এমন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করে এত জ্ঞান শুনেও আমাদের অবস্থার কেন উন্নতি হয় না ? এগিয়ে যাওয়ায় কেন বাধার সৃষ্টি হয় ? এখন তাদেরকে এই ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, তোমরা এই মার্গে চলার জন্য কদম রেখেছ, কিন্তু যতক্ষণ না পর্যন্ত মন-বাণী-কর্ম সহ নিজের জীবন সারেন্ডার করে এঁনার না হও, ততক্ষণ সেই অতীন্দ্রিয় সুখ অনুভব হতে পারে না l এ’ এক ঈশ্বরীয় ল’, যখন তাঁর সহায়তা নিয়েছ তখন হৃদয় থেকে তাঁর কাছে জীবন অর্পণ করে দিতে হবে অর্থাৎ সম্পূৰ্ণ অধিকারী হয়ে উত্তরাধিকার নিতে হবে l সুতরাং এই নেশায় থাকলে তোমাদের সেই অবস্থা প্রসন্নতায় ভরে যায় আর তারপরে জ্ঞানের ধারণা হওয়ায় অন্যদের নিজসম বানানোর মনঃশক্তি আসে l তাছাড়া, মনে এমন ভেবো না যে আমি তো সমর্পণ হয়ে গেছি, না ! এ তো নিজেকে ঠকানো l যখন বাবা এখানে প্র্যাকটিক্যালি এসেছেন তখন তোমাদেরও প্র্যাকটিক্যালি তাঁর বাচ্চা হতে হবে, তারপরে বাবা বাচ্চার জন্মপত্রিকা জেনে যেভাবেই হোক ডিরেকশন দিয়ে চালাবেন l প্রথমে ঝিমুনি আসবে, কিন্তু অন্তে বোধগম্য হবে এতেই তাদের উত্তরণের কলা l সুতরাং নিজের জীবনের সমস্ত উত্তরদায়িত্ব তাঁর হাতে সমর্পণ করতে হবে l তাছাড়া, গুরুর পর গুরু হয়ে কেউ তাঁর আসনে বসবে না l এখন এই সব বিষয়কে যদি বুদ্ধিতে রাখো তবেই উত্তরণের অবস্থায় যেতে পারো l যদি উঁচুতে না ওঠো তবে অবশ্যই তোমাদের নিজেরই হৃদয় অথবা ধারণায় কোনও কালিমা আছে l বুঝেছ ? আচ্ছা ! মিষ্টি মিষ্টি বাচ্চাদের স্মরণ-স্নেহ, গুড মর্নিং l

বরদানঃ-

যেভাবে নক্ষত্রদের সংগঠনে বিশেষ নক্ষত্রদের ঝলকানি দূর থেকেই স্বতন্ত্র অথচ প্রিয় লাগে, সেইভাবে তোমরা নক্ষত্ররা সাধারণ আত্মাদের মাঝে এক বিশেষ আত্মারূপে প্রতীয়মান হও, সাধারণ রূপে থেকে অসাধারণ ও অলৌকিক স্থিতি হলে তাহলে সংগঠনের মাঝে আল্লার লোক হিসেবে দেখা দেবে l সেইজন্য অন্তর্মুখী হয়ে তারপরে বহির্মুখিতায় আসার অভ্যাস হোক l সদাই নিজের শ্রেষ্ঠ স্বরূপ বা নেশায় স্থিত হয়ে নলেজফুলের সাথে পাওয়ারফুল হয়ে নলেজ দাও, তখন অনেক আত্মাকে অনুভাবী বানাতে পারবে l

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top