24 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

24 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

23 January 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ২১ জন্মের জন্য সদা সুখী হওয়ার জন্য এই অল্প সময়ে দেহী-অভিমানী হওয়ার অভ্যাস করো"

প্রশ্নঃ --

দৈবী রাজধানী স্থাপন করার জন্য প্রত্যেকের কোন্ শখ থাকা উচিত ?

উত্তরঃ -:-

সার্ভিসের। জ্ঞান-রত্নের দান কীভাবে করবে সেই শখ রাখো। তোমাদের মিশন হলো এটাই যে – পতিতদের পবিত্র করা, তাই রাজধানী বৃদ্ধি করার জন্য বাচ্চাদের প্রচুর সার্ভিস করতে হবে। যেখানেই মেলা ইত্যাদি হয়, মানুষ স্নান করতে যায় সেখানে পরচা (পরিচয়-জ্ঞাপক অনুলিপি) ছাপিয়ে বিলি করতে হবে। ঢাক বাজাতে (ঘোষনা করতে) হবে।

গান:-

তোমায় পেয়ে আমরা সারা জগৎ পেয়ে গেছি….

ওম্ শান্তি । নিরাকার শিববাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান যে বাচ্চারা ‘দেহী-অভিমানী ভব’। নিজেকে আত্মা মনে করো আর বাবাকে স্মরণ করো। আমরা হলাম আত্মা, আমাদের বাবা পড়ান। বাবা আমাদের বোঝান – সমস্ত সংস্কার আত্মাতেই থাকে। যখন মায়া রাবণের রাজ্য থাকে অথবা ভক্তিমার্গের সূচনা হয় তখন দেহ-অভিমানী হয়ে যায়। পুনরায় যখন ভক্তিমার্গের অন্ত হয় তখন বাবা এসে বাচ্চাদের বলেন — এখন দেহী-অভিমানী হও। তোমরা যে জপ-তপ, দান-পুণ্যাদি করেছো তাতে কিছুই লাভ হয় নি। ৫ বিকার তোমাদের মধ্যে প্রবেশ করার জন্য তোমরা দেহ-অভিমানী হয়ে গেছো। রাবণই তোমাদের দেহ-অভিমানী করে দেয়। বাস্তবে তোমরাই আসলে দেহী-অভিমানী ছিলে, এখন পুনরায় এই অভ্যাস করানো হয়ে থাকে যে নিজেকে আত্মা মনে করো। এই পুরোনো শরীর পরিত্যাগ করে গিয়ে নতুন নিতে হবে। সত্যযুগে এই ৫ বিকার থাকে না। দেবী-দেবতা, যাঁদের শ্রেষ্ঠ পবিত্র বলা হয় তারা সদা আত্ম-অভিমানী হওয়ার কারণে ২১ জন্ম সদা সুখী থাকে। আবার যখন রাবণ রাজ্য হয় তখন তোমরা পরিবর্তিত হয়ে দেহ-অভিমানী হয়ে যাও। এঁদের আত্ম-অভিমানী (সোল কনশিয়াস) আর ওদের দেহ-অভিমানী(বডি কনশিয়াস) বলা হয়। নিরাকারী দুনিয়ায় তো বডি কনশিয়াস আর সোল কনশিয়াসের প্রশ্নই ওঠে না, ও’টা হলোই সাইলেন্স ওয়ার্ল্ড। এই সংস্কার এই সঙ্গমযুগেই হয়। তোমাদের দেহ-অভিমানী থেকে দেহী-অভিমানীতে পরিনত করা হয়। সত্যযুগে তোমরা দেহী-অভিমানী হওয়ার কারণে দুঃখ ভোগ করো না কারণ জ্ঞান রয়েছে যে আমরা আত্মা। এখানে সকলেই নিজেকে দেহ মনে করে। বাবা এসে বোঝান — বৎস, এখন দেহী-অভিমানী হও তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। তারপর তোমরা বিকর্মাজীত হয়ে যাও। শরীরও রয়েছে, রাজ্যও করো তাহলে আত্ম-অভিমানী হয়েছো। এই শিক্ষা যা তোমরা পেয়েছো এতেই তোমরা আত্ম-অভিমানী হয়ে যাও। সদা সুখী থাকো। আত্ম-অভিমানী হলেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়, সেইজন্য বাবা বুঝিয়ে থাকেন – আমায়কে স্মরণ করতে থাকো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে। ওরা গিয়ে গঙ্গা-স্নান করে, কিন্তু সে(গঙ্গা) তো পতিত-পাবনী নয়, না যোগ অগ্নি যার দ্বারা বিকর্ম ভস্মীভূত হয়। বাচ্চারা, এ’রকম-এ’রকম অনুকুল সময়ে তোমরা সার্ভিসের সুযোগ পাও। যেমন সময় তেমনই সেবা। কত অসংখ্য মানুষ স্নান করতে যেতে থাকে। কুম্ভমেলার সব জায়গায় স্নান করে। কেউ সাগরে, কেউ নদীতেও স্নান করে থাকে। তাই সকলকে বিলি করার জন্য কত পরচা ছাপাতে হবে। অনেক বন্টন করা চাই। পয়েন্টই কেবল এ’টাই হোক — বোনেরা এবং ভাই-য়েরা, বিচার করুন পতিত-পাবন, জ্ঞান-সাগর আর তার থেকে নির্গত হওয়া জ্ঞান-নদীদের দ্বারা আপনারা পবিত্র হতে পারবেন নাকি এই জলের সাগর এবং নদীর দ্বারা আপনারা পবিত্র হতে পারবেন ? এই ধাঁধার সমাধান করলে তখন সেকেন্ডে তোমরা জীবনমুক্তি পেয়ে যেতে পারো। রাজ্য-ভাগ্যের উত্তরাধিকারও পেতে পারো। এ’রকম-এ’রকম পরচা প্রত্যেক সেন্টারই ছাপিয়ে নিক। নদী তো সর্ব জায়গায় রয়েছে। নদী নির্গত হয় অনেক দূর থেকে। যেখানে-সেখানে নদী তো অনেক রয়েছে। তাহলে কেন বলে যে এই নদীতেই স্নান করলে পবিত্র হবে। বিশেষ একটি জায়গায় এত খরচ করে, কষ্ট করে কেন যায়! এমনও তো নয় যে একদিন স্নান করলেই কেউ পবিত্র হয়ে যাবে। স্নান তো জন্ম-জন্মান্তর ধরে করে। সত্যযুগেও স্নান করে থাকে। ওখানে তো থাকেই পবিত্র। ঠান্ডায় এখানে কত কষ্ট করে স্নান করতে যায়। তাই তাদের বোঝাতে হবে যে অন্ধের লাঠি হতে হবে। সজাগ করতে হবে। পতিত-পাবন এসে পবিত্র করেন। তাই দুঃখীদের রাস্তা বলে দেওয়া উচিত। ছোট-ছোট এই পরচা সব ভাষায় ছাপানো উচিত। লাখ-দু’লাখ ছাপানো উচিত। যাদের বুদ্ধিতে জ্ঞানের নেশা চড়ে রয়েছে, তাদের বুদ্ধি কাজ করবে। এই চিত্র ২-৩ লাখ সকল ভাষাতেই থাকা উচিত। জায়গায়-জায়গায় সার্ভিস করতে হবে। একটি পয়েন্টই মুখ্য, এসে বোঝ যে সেকেন্ডে মুক্তি-জীবনমুক্তি কীভাবে প্রাপ্ত হয়। মুখ্য সেন্টারের ঠিকানা দিয়ে দাও, তারপর পড়ুক বা না পড়ুক। বাচ্চারা, তোমাদের ত্রিমূর্তির চিত্রের উপর বোঝানো উচিত যে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা অবশ্যই হতে হবে। দিনে-দিনে মানুষ বুঝতে পারবে যে অবশ্যই বিনাশ সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই ঝগড়া ইত্যাদি বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। ধন-সম্পদের উত্তরাধিকার নিয়েও কত ঝামেলা হয়ে থাকে। নয়তো আবার মারামারিও করে ফেলে। বিনাশ তো সামনে রয়েছেই। যে সঠিকভাবে গীতা ভাগবত ইত্যাদি পড়ে থাকে সে বুঝবে যে অবশ্যই এ তো পূর্বেও হয়েছিল। বাচ্চারা, তাই তোমাদের ভালভাবে বোঝানো উচিত যে জলে স্নান করলেই কি মানুষ পতিত থেকে পবিত্র হয়ে যাবে নাকি যোগ অগ্নির দ্বারা পবিত্র হবে। ভগবানুবাচ — আমায় স্মরণ করলেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। যেখানে-যেখানে তোমাদের সেন্টার্স রয়েছে সেখানে বিশেষ অনুষ্ঠানে এ’রকম পরচা বিতরণ করা উচিত। মেলাও অনেক হয়, যেখানে অসংখ্য মানুষ আসে। কিন্তু মুশকিলই কেউ বুঝবে। পরচা বিলি করার জন্যও অনেককে চাই, যারা আবার বোঝাতেও পারবে। সেইরকম বিশেষ বিশেষ স্থানে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। এ হলো জ্ঞান রত্ন। সেবার অত্যন্ত শখ রাখা উচিত। আমরা নিজেদের দৈবী রাজত্ব স্থাপন করছি, তাই না! এ হলোই মানুষ থেকে দেবতা অথবা পতিতকে পবিত্র বানানোর মিশন। এও তোমরা লিখতে পারো যে বাবা বুঝিয়েছেন ‘মন্মনাভব’। পতিত-পাবন অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করো তাহলেই বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে। বাচ্চারা, (রুহানী) যাত্রার পয়েন্টও তোমাদের বোঝানো হয়ে থাকে। বাবাকে বারংবার স্মরণ করো। স্মরণ করে-করে সুখ প্রাপ্ত করো, শরীরের সমস্ত কলহ-ক্লেশ(দুঃখ-কষ্ট) দূর হয়ে যাবে অর্থাৎ তোমরা এভার-হেল্দী হয়ে যাবে। বাবা মন্ত্র দিয়েছেন যে আমার চিন্তন করো অর্থাৎ স্মরণ করো, এ’রকম নয় যে বসে-বসে শিব-শিব স্মরণ করতে থাকো। শিবের ভক্তরা এ’ভাবে শিব-শিব বলে মালা জপ করতে থাকে। বাস্তবে হয় রুদ্রমালা। শিব আর শালগ্রাম। উপরে থাকেন শিব। আর বাকি সব ছোট-ছোট দানা অর্থাৎ আত্মারা। আত্মা হলো ছোট এতটুকু বিন্দু। কালো দানারও মালা হয়। আবার শিবের মালাও তৈরী হয়ে রয়েছে। আত্মাকে নিজের বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাকি মুখে শিব-শিব বলতে হবে না। শিব-শিব বললে তখন আবার বুদ্ধিযোগ মালার দিকে চলে যায়। অর্থ তো কেউ বোঝে না। শিব-শিব জপ করলে বিকর্ম বিনাশ হবে নাকি! মালা জপকারীদের কাছে এই জ্ঞান নেই যে বিকর্ম বিনাশ তখনই হয় যখন সঙ্গমে শিববাবা ডায়রেক্ট এসে মন্ত্র দেন যে মামেকম্ স্মরণ করো। এছাড়া কেউ বসে যতই শিব-শিব বলুক, বিকর্ম বিনাশ হবে না। কাশীতে গিয়ে বসবাস করে। তখন শিবকাশী-শিবকাশী বলতে থাকে। বলে যে, কাশীতেই শিবের প্রভাব রয়েছে। শিবের অত্যন্ত আভিজাত্যপুর্ণ মন্দির নির্মাণ করা রয়েছে। এ’সমস্ত হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী। তোমরা বোঝাতে পারো যে অসীম জগতের বাবা বলেন — আমার সাথে যোগ-যুক্ত হলেই তোমরা পবিত্র হবে। বাচ্চাদের সার্ভিসের শখ থাকা উচিত। বাবা বলেন — আমাকে পতিতদের পবিত্র করতে হবে। বাচ্চারা, তোমরাই পবিত্র বানানোর সেবা করো। পরচা নিয়ে গিয়ে বোঝাও। বলো, এ’টা ভালভাবে পড়ো। মৃত্যু সম্মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। এ হলো দুঃখধাম। এখন যখন একবার স্নান করলেই সেকেন্ডে জীবনমুক্তি পাওয়া যায় তখন আবার নদীতে স্নান করে, এ’দিক-ও’দিক ঘুরে বেড়ানোর দরকার কি ! আমাদের সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয় তখন ঢাক বাজিয়ে থাকে। নাহলে কেউ এ’রকম পরচা ছাপাতে পারে নাকি ! বাচ্চাদের সার্ভিসের অত্যন্ত শখ থাকা উচিত। ধাঁধাও যা তৈরী করা হয়েছে তা সার্ভিসের জন্য। অনেকেই আছে যাদের সার্ভিসের শখও নেই। খেয়ালেই আসে না যে কিভাবে সার্ভিস করবো, এতে বড় ভাল বিস্ময়কর বুদ্ধি চাই, যাদের পায়ে দেহ-অভিমানের শিকল পড়ে গেছে তখন তারা দেহী-অভিমানী হতে পারে না। বোঝা যায় যে গিয়ে কি পদ প্রাপ্ত করবে। দয়া হয়। সব সেন্টারেই দেখা যায় – কে কে পুরুষার্থে তীব্রবেগে যাচ্ছে। কোনো তো আকন্দ ফুলও রয়েছে, কোনো গোলাপ ফুলও রয়েছে। আমরা হলাম অমুক ফুল। আমরা বাবার সার্ভিস করি না তাহলে বোঝা উচিত আমরা গিয়ে আকন্দ ফুল হবো। বাবা তো অত্যন্ত ভালভাবে বোঝাচ্ছেন। তোমরা হীরের মতন হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। কেউ হলো সত্যিকারের হীরে, কেউ তো কালো নিস্তেজও। প্রত্যেকেরই নিজেদের খেয়াল রাখা উচিত। আমাদের হীরের মতন হতে হবে। নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে যে আমরা হীরের মতন হয়েছি কি ? আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) দেহ-অভিমানের শিকল ছিঁড়ে দেহী-অভিমানী হতে হবে। আত্ম-সচেতন(সোল কনশিয়াস) থাকার সংস্কার তৈরী করতে হবে।

২ ) বেশি করে সার্ভিসের শখ রাখতে হবে। বাবার সমান পতিত থেকে পবিত্র করার সেবা করতে হবে। প্রকৃত হীরে হয়ে উঠতে হবে।

বরদানঃ-

কর্মাতীত অর্থাৎ পৃথক এবং প্রিয়। কর্ম করা আর করার পর এমন অনুভব হওয়া যেন কিছু করিইনি। যিনি করান (করাবনহার) তিনিই করিয়ে নিয়েছেন। এ’রকম স্থিতির অনুভব করলে সদা হাল্কাভাব থাকবে। কর্ম করেও শরীরের হাল্কাবোধ, মনের স্থিতিতেও হাল্কাবোধ, যতই কার্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে ততই হাল্কাবোধও বৃদ্ধি পেতে থাকবে। কর্ম যেন নিজের দিকে আকৃষ্ট না করে, মালিক হয়ে কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্ম করানো আর সঙ্কল্পেও হাল্কাভাব অনুভব করা – এ’টাই হলো কর্মাতীত হওয়া।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজী-র মূল্যবান মহাবাক্য — “ভাগ্য গঠনেরকারী হলেন পরমাত্মা, ভাগ্য নাশকারী হলো স্বয়ং মানুষ”

এখন এ তো আমরা জানি যে মনুষ্য আত্মার ভাগ্য গঠনকারী কে ? আর ভাগ্য নাশকারী কে ? আমরা এরকম বলবো না যে ভাগ্য গঠনকারী, নাশকারী সেই পরমাত্মাই। এছাড়া এ তো অবশ্যই যে ভাগ্য গঠনকারী হলেন পরমাত্মা আর ভাগ্য নাশকারী হলো স্বয়ং মানুষ। এখন এই ভাগ্য গঠন হয়েছে কিভাবে ? আর পুনরায় পতন হয়েছে কিভাবে ? এর উপরেই বোঝানো হয়ে থাকে। মানুষ যখন নিজেকে জানতে পারে আর পবিত্র হয় তখন পুনরায় সে নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাগ্যকে তৈরী করে নেয়। এখন আমরা যখন নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাগ্য বলি তখন এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে কোনো সময় আমাদের ভাগ্য সুনির্মিত ছিল, যা পরে দুর্ভাগ্যে পরিনত হয়ে গেছে। এখন পুনরায় সেই দুর্ভাগ্যকে স্বয়ং পরমাত্মা এসে গঠন করছেন। এখন কেউ বলে পরমাত্মা স্বয়ং তো নিরাকার তাহলে তিনি কিভাবে ভাগ্য গঠন করবেন। এই বিষয়ে বোঝানো হয়, নিরাকার পরমাত্মা কিভাবে নিজে সাকারী ব্রহ্মার দ্বারা, অবিনাশী জ্ঞানের দ্বারা আমাদের নষ্ট হয়ে যাওয়া ভাগ্যকে গঠন করেন। এখন এই জ্ঞান প্রদান করা ঈশ্বরের কাজ, বাকি মনুষ্য আত্মারা একে-অপরের ভাগ্যকে জাগরিত করতে পারে না। ভাগ্য জাগরণকারী হলেন অদ্বিতীয় পরমাত্মা তবেই তো ওঁনার স্মৃতি-স্মারকরূপে মন্দির নির্মিত হয়েছে। আচ্ছা!

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

যে সময়ে যে সম্বন্ধের আবশ্যকতা রয়েছে, সেই সম্বন্ধের মাধ্যমেই ভগবানকে আপন করে নাও। হৃদয় থেকে বলো ‘আমার বাবা’ আর বাবা বলবেন ‘আমার বাচ্চারা’, সেই স্নেহের সাগরে সমায়িত হয়ে যাও। এই স্নেহ ছত্রছায়ার কাজ করে, এর অভ্যন্তরে মায়া প্রবেশ করতে পারে না।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top