24 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
23 August 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - যতদিন পর্যন্ত জীবিত থাকবে পবিত্রতার ব্রতকে পাকাপোক্ত করে রাখতে হবে কারণ এ হলো অন্তিম জন্ম, পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ায় যেতে হবে"
প্রশ্নঃ --
বাবার ভালোবাসা বা অধিকার কোন্ কোন্ বাচ্চাদের জন্য থাকে?
উত্তরঃ -:-
যারা ভালো ভাবে (সঠিকভাবে) পড়ে এবং পড়ায়, তার প্রমাণ দিয়ে থাকে – তাদের প্রতি বাবার সবচেয়ে বেশী ভালোবাসা থাকে। যারা ভালোভাবে পড়বে তারাই মালায় গাঁথা হয়ে যাবে।
প্রশ্নঃ --
ভবিষ্যতের দিব্যপদ প্রাপ্ত করার জন্য নিজের ক্ষেত্রে কি চেক করতে হবে?
উত্তরঃ -:-
চেক করো যে দৈবগুণ ধারণ করার ক্ষেত্রে কোন্ কোন্ বিঘ্ন আসে, সেই বিঘ্নগুলিকে যুক্তি সহকারে উড়িয়ে (পার করে) দিতে হবে। নিজেকে দেখতে হবে যে আমি কতখানি পবিত্র হয়েছি। কোনো কাঁটা বিঘ্ন সৃষ্টি করে না তো!
গান:-
ছেড়ে দাও ঐ আকাশ সিংহাসন…
ওম্ শান্তি । ভক্ত ভগবানকে অর্থাৎ বাবাকে ডাকে, কেন ডাকে? কারণ তারা দুঃখী। এও তোমরা বোঝো যে দুঃখের পর সুখ অবশ্যই আসবে। সুখ ছিল, এখন নেই তাই ডাকে যে এসে সহজ রাজযোগ শেখাও। অবশ্যই শিক্ষা দানকারী বাবাকে চাই। বাবা বোঝান – যেমন তোমরা আত্মারা গর্ভে এসে শরীর ধারণ করো সে’রকম আমি নিই না। আমাকে তো পতিতদেরকে পবিত্র করতে হবে, সেইজন্য বড় শরীর চাই। আমায় আসতেই হয় পবিত্র বানানোর জন্য। মায়া রাবণ তোমাদের পতিত করে দিয়েছে, সেইজন্য এখন ৫ বিকার দানে দিয়ে দাও তবেই গ্রহণ মুক্ত হয়ে যাবে। প্রথমেই মুখ্য হলো দেহ-অভিমান। এখন নিজেদের দেহী-অভিমানী মনে করো। আমি এই দেহে বসবাসকারী আত্মাদের সঙ্গে কথা বলে থাকি, তাদের জ্ঞান প্রদান করে থাকি। ৫ হাজার বছর পূর্বেও এই জ্ঞান শুনিয়েছিলাম। রাজযোগ শিখিয়েছিলাম। প্রতি কল্পে শিখিয়ে থাকি। আমার আসাই পতিত থেকে পবিত্র করার কাজের জন্য। বাবার ভূমিকা হলো, এসে বাচ্চাদের পতিত থেকে পবিত্র করা। তোমরা জানো যে আমরাই পবিত্র দেবতা ছিলাম পুনরায় পবিত্র হতে হবে। দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে তোমরা সূর্যবংশীয়, চন্দ্রবংশীয় প্রিন্স-প্রিন্সেস হয়ে যাবে। এই নলেজ হলোই প্রিন্স-প্রিন্সেস হওয়ার। তাই যখন দৈবগুণ ধারণ করবে তখন প্রিন্স-প্রিন্সেস হবে। নিজেকে দেখতে হবে, আমি ধারণ করি কী ? কি কি বিঘ্ন আসে ? যুক্তি দিয়ে সেই বিঘ্নকে উড়িয়ে দিতে হবে। বাবার স্মরণেই কর্মাতীত অবস্থা প্রাপ্ত করতে হবে। যে কাঁটাই আসবে তাকে সরিয়ে সরিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। দেহ-অভিমান ত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হয়ে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যত স্মরণ করবে ততই রাস্তা পরিষ্কার হতে থাকবে। গৃহস্থী জীবনে থেকে পদ্মফুল-সম হতে হবে। কখনো বিকারে লিপ্ত হবে না। মূলকথাই হলো বিকারের। বিকারে লিপ্ত হওয়া বন্ধ করতে হবে। যদিও কতই না বিঘ্ন আসে কিন্তু পবিত্র অবশ্যই হতে হবে। অধিক বিঘ্ন আসে স্ত্রীয়েদের উপর। তারা চায় যে আমরা পবিত্র থাকি। কৃষ্ণপুরীতে যেতে চায়। কৃষ্ণ-জয়ন্তীতে অতি প্রেমপূর্বক শ্রীকৃষ্ণকে (দোলনায়) দোলায়। পূজা করে, ব্রত ইত্যাদি রাখে। সে তো হলো কেবল ৭ দিনের ব্রত, উপবাস। বাবা বলেন যে এখন তোমরা এই ব্রত রাখো যে বিকারে কখনোই লিপ্ত হবো না। যতদিন জীবিত থাকবো পবিত্রতার ব্রত রাখবো।
তোমরা জানো যে পুরোনো দুনিয়ায় এ হলো আমাদের অন্তিম জন্ম। না কেবল আমাদের অবশ্যই সমগ্র দুনিয়ারও অন্তিম জন্ম। তোমরা তো বোঝো যে এখন আমরা পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ায় চলে যাই। পরের জন্ম আমাদের পবিত্র দুনিয়ায় হবে। ওই হঠযোগী সন্ন্যাসীরা এইরকম কোনো ভাবনা চিন্তায় পবিত্র হয় না যে এ হলো আমাদের অন্তিম জন্ম। এখানে তো পরিশ্রম আছে। সাথে থেকেও কখনো বিকারে লিপ্ত হবে না। দু’জনকেই ব্রত রাখতে হবে। অবলাদের উপরে কত অত্যাচার হয়। তারাই আহ্বান করে। পুরুষরা কখনো আহ্বান করে না যে প্রভু আব্রু (লজ্জা) রক্ষা করো। আমাদের নগ্ন হওয়া থেকে বাঁচাও, এ হলো মায়েদের আহ্বান। মাতা’রা বাবাকে আহ্বান করে যে বাবা আমাদের নগ্ন হওয়া থেকে রক্ষা করো। এ হলো সেই গীতা ভাগবত-সম্বন্ধীয় কথা, কেবল ভুলবশতঃ নাম শ্রীকৃষ্ণের করে দেওয়া হয়েছে। শ্রীকৃষ্ণ তো পতিত-পাবন নয়। পতিত-পাবন হলেন একমাত্র বাবা। তোমরা জানো যে পবিত্র হওয়ার জন্য মারধোরও খেতে হয়। কল্প পূর্বেও এমনই হয়েছিল। এখন পুনরায় হচ্ছে। একজন দ্রৌপদী নয়, তোমরা কত দ্রৌপদীরা রয়েছো। অসংখ্য পতিতদের পবিত্র করতে হবে। মায়েরা তোমরা নিমিত্ত হয়েছো – পবিত্র হয়ে, পবিত্র বানানোর। তোমাদের আরও বেশী করে পড়ায় ধ্যান দিতে হবে। নিজের স্বজাতীয়দের (হামজিন্স) তুলতে হবে। সন্ন্যাসীদের হলো নিবৃত্তিমার্গ। এ হলো প্রবৃত্তিমার্গ। গৃহস্থী জীবনে থেকে পবিত্র হতে হবে, পড়তে এবং পড়াতে হবে, যাতে পদ উচ্চ হয়ে যায়। পড়া হলো অতি সহজ। বোঝাতে হবে, যে ভারত হীরেতুল্য ছিল, লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, এখন এত নীচে নেমে গেছে কেন? আমরা তোমাদের অসীম জগতের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী বলবো। তারপর স্বর্গ কেমন হবে, মানুষের তো তা চিন্তাতেও নেই। এ তো কারোর জানা নেই যে লক্ষ্মী-নারায়ণ যাঁরা পূজ্য ছিলেন তাঁরাই পূজারী হয়ে গেছেন। নিজেই পূজ্য…. এ’কথা পরমাত্মার জন্য নয়। এ তো কারোর জানা নেই, যিনি পূজ্য ছিলেন তিনিই পূজারী তমোপ্রধান হয়েছেন। পূজ্য ছিলেন, অবশ্যই পুনর্জন্ম নিয়েছেন ।
বাবা বসে বোঝান যে সত্যযুগে যারা যায় তাদের পুনর্জন্ম নিতে হয়। আমরা প্রথমে সূর্যবংশীয়, পরে চন্দ্রবংশীয় হয়েছি, পরে ব্রাহ্মণবংশীয়, তারপর দেবতাবংশীয় হবে। যেমন বাবা এঁনাকে দত্তক নিয়ে ব্রহ্মা বানিয়েছেন। তোমরা কীভাবে হয়েছো? কেউ জিজ্ঞেস করলে বলো, ব্রহ্মার মুখ দ্বারা পরমপিতা পরমাত্মা আমাদের আপন করে নেন। বাবা-ই পতিতদের পবিত্র করেন। এখন তোমরা পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করো। বাবাকে স্মরণ করলেই আমরা পবিত্র হয়ে যাই। বাবা কৃপা করবেন ? কৃপা তো করেছেন, তাই না! পরমধাম থেকে পতিত দুনিয়ায়, পতিত দেহে এসেছেন। বাবা বলেন – এখন আমি এসেছি তাই যা শেখাই তা শেখো, আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমরা শক্তি পাবে। বিকর্ম বিনাশ হবে, এতে আশীর্বাদের তো কথাই নেই। টিচারকে বলবে কি যে আপনি কৃপা করুন তাহলে আমি ১০০ নম্বরে পাশ হয়ে যাবো। ইনিও হলেন অসীম জগতের শিক্ষক – পড়িয়ে থাকেন। কেউ নলেজ ধারণ না করতে পারলে তখন কি করবে! টিচার সকলের উপর কৃপা করলে তখন সকলেই পাশ করে যাবে, তাহলে রাজধানী কীভাবে হবে? বাচ্চারা, তোমাদের তো পুরুষার্থ করতে হবে। মা-বাবাকে ফলো করো। বাবাকে স্মরণ করো, আর কোনো উপায় নেই। নাহলে বাবাকে কেন ডাকো ! সাধু-সন্তাদিরা সকলেই বলে, এসে আমাদের দুঃখ থেকে মুক্ত করো। মহাসঙ্কট আসবে। যখন বিনাশ শুরু হয়ে যাবে তখন মনে করবে যে ভগবান এখন কোথাও গুপ্তবেশে রয়েছেন। শ্রীকৃষ্ণ যদি থাকতেন তবে সমগ্র দুনিয়ায় ঢাকঢোল বেজে (সারা পড়ে যাওয়া) যেত। শ্রীকৃষ্ণ তো আসতে পারে না। সে তো বাবাকেই আসতে হয়। শেষ পর্যন্ত বাবাকে জ্ঞান শোনাতে হয়। আসেনই গুপ্তরূপে। শ্রীকৃষ্ণ তো হতে পারে না। নিরাকার বাবা সকলেরই এক। তিনি এসেছেন পতিতদের পবিত্র করে উত্তরাধিকার প্রদান করতে। তোমাদেরও কর্তব্য রয়েছে – সকলকে বলা। জিজ্ঞাসা করতে হবে যে পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে তোমাদের কীসের সম্বন্ধ? বাবার তো অসংখ্য বাচ্চা রয়েছে। পরমপিতার ডায়রেক্শন হলো – এক তো আমাকে স্মরণ করো আর ভালোভাবে পড়ো। বাবাকে সঠিকভাবে স্মরণ করে উচ্চ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। তোমাদের অসীম জগতের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী বোঝাতে থাকেন। চিত্রের উপরেও তোমরা বোঝাতে পারো। সত্যযুগে ভারত মাথার মুকুট ছিল। সূর্যবংশী দেবী-দেবতারা রাজ্য করতেন, তারপর চন্দ্রবংশীয় রাজ্য হয়েছে, কলা কম হতে থেকেছে। এও তো দেখতে হবে, তাই না! ভালভাবে পড়লে তখন শিখবেও। না পড়লে অনুত্তীর্ণ হয়ে যাবে। সাবধান কে করবে? আজকাল মায়া অনেক রকমভাবে অসতর্ক করে দেয়। এখানে মিথ্যা গুপ্ত থাকতে পারে না। কোনো বিকর্ম করলে তা জমা হতে থাকবে। পাপ অথবা পুণ্য, জমা তো অবশ্যই হয়। সেই অনুসারেই পরের জন্ম হয়ে থাকে। কোনও পাপ করলে তখন জন্মও তেমনই প্রাপ্ত হবে। সেইজন্য বাবা বলেন – কোনো পাপ করলে তৎক্ষণাৎ বলে দাও। এমন নয় যে ইশ্বর তো সবই জানেন। বাবাকে বলতে হবে। এই জন্মে যে পাপ কর্ম করা হয়েছে, সে তো আত্মা জানে। সবকিছুই স্মরণে থাকে যে আমি কি কি কর্ম করেছি। বাপদাদাকে বলো যে আমরা কি কি করেছি। মুখ্য কথা হলো বিকারের। চুরি করা, ঠকানো, এ’সব হলো ছোট ছোট বিষয়। মুখ্য বিষয়ই (কথা) হলো বিকার, কাম হলো মহাশত্রু। বিকারে লিপ্ত হয় যারা, তাদেরকেই পতিত বলা হয়ে থাকে। এই বিকারের উপর প্রথমে বিজয়প্রাপ্ত করতে হবে। তোমাদের শত্রুই হলো রাবণ, যে পতিত করে দেয়। সেইজন্য পবিত্র হওয়ার জন্য বাবাকে স্মরণ করো। বাবার হয়ে গিয়ে আবার যদি বিকারে যাও তবে অনেক চোট পাবে। প্রথমে দেহ-অভিমান ত্যাগ করতে হবে, এছাড়া কামও হলো মহাশত্রু। সবরকমের যুদ্ধই এর জন্য। সে’জন্য এ’সমস্ত বুঝে তারপর অন্যান্যদের বোঝাতে হবে। বাবা জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা কতজনকে প্রকৃত গীতা বা সত্যনারায়ণের কথা, অমরকথা শুনিয়েছো! পাপাত্মা তো প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। তাহলে এই পোতামেলও (দিনলিপি) বলো তবেই বুঝব যে তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছো। কতজনকে নিজের সমান করে গড়ে তুলেছো। এ হলো সহজ রাজযোগের কথা। বাপদাদার পরিচয় দিতে হবে। দুনিয়ায় এ তো কেউ জানেই না। বাবার কাছে অনেকের সার্টিফিকেটও আসে। লেখে যে অমুকে এরকম বুঝিয়েছে, সেই গুরুই নিমিত্ত হয়েছে স্বর্গের মালিক বানিয়ে দেওয়ার জন্য। বি.কে.-রা প্রমাণ দেয়। কিন্তু যে তৈরী হয়, সে কাকে বোঝায় ?কাউকে নিয়ে আসে কী? নিয়ে তো আসতে হবে, তাই না! যার নিশ্চয় থাকবে সে তৎক্ষণাৎ বলবে, প্রথমে বাবার কোলে তো যাই। খ্রিস্টানদের মধ্যে বাচ্চার জন্ম হলে তখন খ্রিস্টীয়করণ (ব্যাপটাইস) করায়। আমরাও তো ঈশ্বরের দত্তক সন্তান হয়েছি। সদ্গুরুর কোলে তো যাও ! দত্তক নেন, বাবার সঙ্গে মিলন হয় তখন এ হয়ে গেলো আমাদের উত্তরাধিকার। এত সহজেই কেউ বেরিয়ে আসবে সে’টা কঠিন। বোঝাতে তো হবে, তাই না! ভবিষ্যতে সঠিকভাবে বুঝবে। তোমাদের মধ্যে এই শক্তি আসবে। তারপর বাবার সঙ্গে মিলন না হওয়ার জন্য ঠিকে থাকতে পারবে না। পুরোপুরি পালিয়ে যাবে। ইনি হলেন মাতা-পিতাও, শিক্ষকও, আবার গুরুও। মা-বাবার কোলে তো এসো। গুরুর কাছে যায় কিন্তু সে কোনো স্বর্গের রাজত্ব (বাদশাহী) দিতে পারে না। রাজত্ব বাবার থেকেই প্রাপ্ত হয়। বাবা-ই হলেন শিক্ষক, গুরুও তাহলে কেন তিনজনের থেকেই উত্তরাধিকার নেব না। এ হলো বিস্ময়কর, তাই না! শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে বলবে নাকি উনিই বাবা শিক্ষক, গুরু, না তা বলবে না। উনি হলেন ছোট্ট প্রিন্স। বাচ্চারা, এখানে তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে ইনি হলেন বাবাও, শিক্ষকও, গুরুও। এঁনার কোনো পিতা, শিক্ষক, গুরু নেই। শ্রীকৃষ্ণের তো মা-বাবা ছিল, তাই না! পতিত-পাবন হলেন অদ্বিতীয় পিতা, যাঁর মাতা-পিতা থাকে সে কখনো পতিত-পাবন হতে পারে না। তাকে ভগবান বলতে পারো না। ঈশ্বরের কোনো মাতা-পিতা থাকে না। গডফাদারের কোনো ফাদার থাকতে পারে না। গডফাদারকেই পতিত-পাবন, লিবারেটর বলা হয়ে থাকে। ওঁনাকে লিবারেট (মুক্ত) করার মতন কেউ নেই। এ হলো বাবার-ই কাজ। মানুষকে ঈশ্বর বলতে পারা যায় না। ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্করেরও রচনাকার হলেন সেই পিতা, তিনিই হলেন রচয়িতা। সর্বোচ্চ ঈশ্বরের গায়ন করা হয়ে থাকে। তিনি হলেন আমাদের সকলের বাবা। শ্রীকৃষ্ণকে সকলের বাবা বলবে নাকি! না তা বলবে না। আমরা সকলেই হলাম অদ্বিতীয় নিরাকার পিতার সন্তান। তিনিই হলেন নতুন দুনিয়ার রচয়িতা। নতুন দুনিয়া সুখধামকে বলা হয়ে থাকে। তারপর নতুন থেকে পুরোনো দুনিয়া হয়ে যায়। রাবণ রাজ্য তো, তাই না! রাবণকে জ্বালিয়েও থাকে কিন্তু জানে কিছুই। যে উৎসবই পালন করে থাকুক, তার অর্থ কিছুই বোঝে না। বাবা বোঝান, এ হলো তোমাদের অনেক জন্মের অন্তেরও অন্তিম জন্ম। রাবণেরও এখনই অন্ত হয় তারপর সত্যযুগে বানাবে নাকি ! এই শত্রু কি ধরণের যাকে দহন করা হতেই থাকে। এর জন্ম কবে হয়েছে? কারোর জানা নেই। শিবজয়ন্তী তো পালন করো তাহলে রাবণ জয়ন্তীও পালন করো, তাই না! বোঝে না কিছুই। তোমাদের বোঝানো হয়ে থাকে – এ হলো বিস্তারিত তথ্য (কথা)। এও বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে। ক্লাসেই আসবে না তাহলে কি পড়বে ? পড়বে না, পড়াবে না তাহলে কি পদ পাবে? সেই বাচ্চারাই ভালো যারা (স্বয়ং) পড়ে পড়ায়। প্রমাণ দেয়। বাচ্চা তো সকলেই। বোঝা উচিৎ যে আমরা অনেক সার্ভিস করবো, অনেককে নিজের সমান তৈরী করবো, তবেই বাবার অনেক ভালোবাসা থাকবে। বাবা তো স্নেহপূর্ণ আলিঙ্গন করে থাকেন। বলেন, বাচ্চারা ভালভাবে পড়ো। তোতাও তো একটি কথা বলা পাখি, যার কন্ঠী(গলায় মালার মতন রিং) হয়। এখানেও তেমনই যে ভালোভাবে পড়বে সে-ই মালায় গাঁথা হবে। পড়েই না তাই তো জংলী হয়ে যায়। তারা বিজয়মালায় আসতে পারে না। বাচ্চারা, তোমাদের ভালোভাবে পড়তে এবং পড়াতে হবে। এ হলো সত্যিকারের কথা, যা সত্য বাবাই শুনিয়ে থাকেন। সত্য ভূখন্ডের স্থাপনা করেন। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্যে কখনো মিথ্যা কথা বলা হয় না। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) গৃহস্থী জীবনে থেকেও কমলফুলের মতন থাকতে হবে। যতদিন জীবিত থাকবে, পবিত্রতার ব্রত অবশ্যই রাখতে হবে।
২ ) কৃপা চাওয়ার পরিবর্তে মাতা-পিতাকে ফলো করতে হবে। পড়া ধ্যান সহকারে পড়তে এবং পড়াতে হবে।
বরদানঃ-
কর্মে যোগ আর যোগে কর্ম – এমন কর্মযোগী অর্থাৎ শ্রেষ্ঠ স্মৃতি, শ্রেষ্ঠ স্থিতি, শ্রেষ্ঠ বায়ুমন্ডল গঠনকারী, সকলের দোয়ার(আশীর্বাদ) অধিকারী হয়ে যায়। কর্ম আর যোগের ব্যালেন্সের দ্বারা প্রতিটি কর্মে বাপদাদার ব্লেসিংস্ (আশীর্বাদ) তো প্রাপ্ত হয়ই উপরন্তু যার সাথেই সম্বন্ধ-সম্পর্কে আসে তার থেকেও দোয়া প্রাপ্ত হয়, সকলেই তাকে ভালো মনে করে, এই ভালো মনে করাই হলো দোয়া। সেইজন্য যেখানে দোয়া রয়েছে সেখানেই সহযোগিতা আছে আর এই দোয়া বা সহযোগই সফলতা-মূর্তি বানিয়ে দেয়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!