23 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

October 22, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - রাবণের মত অনুসারে কোনো প্রকারেরই বিকর্ম ক'রো না, পতিতদেরকে পবিত্র বানানোর রাস্তা বলে দাও"

প্রশ্নঃ --

জ্ঞানী সেন্সিবল বাচ্চারা কোন্ পুরুষার্থ করবার সময় একমাত্র শ্রীমতের প্রতি ধ্যান অবশ্যই রাখবে ?

উত্তরঃ -:-

সেন্সিবল বাচ্চারা উচ্চ পদ পাওয়ার জন্য নিরন্তর স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করবার সময় সর্বদা এই শ্রীমতের ধ্যান রাখবে যে, আমাদেরকে নিমিত্ত হয়ে আত্মাদের কল্যাণ করতে হবে । যারা অনেকের কল্যাণ করে, তাদের কল্যাণ স্বতঃতই হয়ে যায় ।

গান:-

ভাগ্য জাগিয়ে এসেছি…

ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এখন নতুন দুনিয়া আর পুরানো দুনিয়া দুইই রয়েছে, কেননা বাচ্চারা জানে পুরানো দুনিয়ার বিনাশ এখন হতে চলেছে আর নতুন দুনিয়ার রচনা বাবাই করেন। বাচ্চারা জানে, শিব জয়ন্তীও পালন করে, রাত্রিও পালন করে। এই দুই এর অর্থ দুনিয়ার কোনও মানুষই জানে না। শিব জয়ন্তী অর্থাৎ শিবের জন্ম। এখন তো মানুষের জন্মদিন পালন করে, শিবের তো জন্মই হয় না। মানুষ বোঝেই না যে তিনি কীভাবে জন্ম নেন। শ্রীকৃষ্ণের বিষয়ে তো বলাই হয় যে তার জন্ম হয়েছে। শিব জয়ন্তীর বিষয়ে কোনো বর্ণনাই নেই। গাওয়াও হয়ে থাকে, পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন। উপরে সূক্ষ্ম লোকে বসে বসেই কি তিনি প্রেরণা দিয়ে স্থাপনার কাজ করবেন ? এটা তো হওয়া সম্ভব নয়। মানুষ তো স্মরণ করেই পতিত-পাবন বাবাকে। যখন বাবা নিজে এসে বোঝাবেন তখন মানুষের বুদ্ধিতে বসবে। এটা ড্রামাতে থাকার কারণে বাবাকে আসতেই হয় সঙ্গমযুগে। তোমরা বাচ্চারা জানো যে বাবা এসেছেন, তবে সেটা খুবই কম জন বুঝতে পারে। ওপিনিয়ন লেখার সময় কেউই এটা লেখে না যে হ্যাঁ, পরমপিতা ব্রহ্মার দ্বারা ভারতকে পুনরায় শ্রেষ্ঠাচারী, সত্যযুগী দুনিয়া বানাচ্ছেন। যথার্থ ভাবে কেউই বোঝে না যে বাবা এসেছেন, স্বর্গের রাজত্বের উত্তরাধিকার দিচ্ছেন। রাজযোগ শেখাচ্ছেন । হাজার সংখ্যক আসে কিন্তু থেকে যায় খুবই কম সংখ্যক তাও আবার কমতে কমতে টিকে যায় অল্পই। মানুষের বুদ্ধি কতো তমোপ্রধান হয়ে গেছে যে এতো সহজ কথাও বুঝতে পারে না। বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । এ হল যোগ অগ্নি, যার দ্বারা তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। কোনো প্রকারের বিকর্ম করবে না। বিকর্ম করিয়ে থাকে রাবণ, রাবণের মত অনুসারে চলবে না। কাউকেই দুঃখ দেবে না। বাবা এসেছেন পতিতদেরকে পবিত্র বানাতে। বাবা বলেন, তোমাদের কর্তব্যও হল এটাই। দিন রাত এই চিন্তনই করো, আমরা পতিতদেরকে পবিত্র বানাবো কীভাবে ? রাস্তা তো খুবই সহজ। যোগবলের দ্বারাই তোমরা সতোপ্রধান হয়ে যাবে । এ হল অবিনাশী সার্জেনের ঔষধী। এ কোনো মন্ত্র টন্ত্র নয় । এ তো কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে। কতো ক্লিয়ার করে তিনি বোঝান। প্রতি কল্পে তিনি এ’সব শিখিয়েছেন। গাওয়াও হয় জ্ঞান, ভক্তি, বৈরাগ্য। কীসের বৈরাগ্য ? এই পুরানো ছিঃ ছিঃ দুনিয়ার। পুরানো দুনিয়াতে সব একেবারে পাপ আত্মা হয়ে গেছে । বলাও হয় পতিত-পাবন লিবারেটর এসো। কীসের থেকে লিবারেট করতে হবে ? দুঃখের থেকে। রাবণ রাজ্যের থেকে। রাবণকে ইংরেজীতে ইভিল (শয়তান) বলা হয়। তো বলা হয় শয়তানের রাজত্বের থেকে মুক্ত করে ঘরে নিয়ে চলো। আমাদের গাইড হয়ে ঘরে নিয়ে চলো। যেমন কেউ জেল থেকে ছাড়িয়ে অত্যন্ত আদরের সাথে বাড়িতে নিয়ে যায়। বেহদের বাবা সব বাচ্চাদেরকে যত্ন করে বলেন – তোমাদেরকে আমি জেল থেকে ছাড়াতে এসেছি। মেলা, প্রদর্শনী ইত্যাদিতেও এই রকম মডেল রূপে দেখানো হয়েছে। কীভাবে সবাই জেলে পড়ে রয়েছে, এতৎ সত্বেও মানুষ থোড়াই কিছু বোঝে ? বাবা কতো সহজ ভাবে বুঝিয়ে স্বর্গের মালিক বানান। তিনি বলেন, আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমাদের পাপ কেটে যাবে। তোমরা সত্যযুগের মালিক হয়ে যাবে । কতো সহজ বিষয়। যে কোনো ধর্মের মানুষই বুঝতে পারবে। তাদেরকে বলে দিতে হবে অমুক অমুক ধর্ম কখন স্থাপন হয় ? অন্তিমে সব আত্মারা নিজের নিজের সেকশনে চলে যাবে। তারপর শুরু হবে দেবী-দেবতা ধর্ম। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, এ’কথা লেখা রয়েছে। ত্রিমূর্তির চিত্র হল নম্বর ওয়ান। ত্রিমূর্তি আর গোলার (সৃষ্টিচক্র) চিত্রের উপরে ক্লিয়ারলি বোঝানো যেতে পারে। এও বোঝানো হয়েছে এক হল শান্তিধাম, দ্বিতীয় হল সুখধাম আর এটা হল দুঃখধাম। এই দুঃখধামের থেকে বৈরাগ্য আসা চাই। এখন ভক্তির রাত সম্পূর্ণ হয়েছে, সত্যযুগ, ত্রেতাযুগের দিন শুরু হবে।

বাবা বলেন – এখন পুরানো দুনিয়ার অবসান হবে, সেইজন্য এর থেকে বৈরাগ্য আসতে হবে। সেটা হল হদের বৈরাগ্য, এ হল বেহদের বৈরাগ্য। সন্ন্যাসীরা কোনো নতুন দুনিয়ার নির্মাণ করে না, ক্রিয়েটর হলেন বাবা। তাঁকেই বলা হয় হেভেনলি গড ফাদার, হেভেন স্থাপন করেন তিনি। দ্বিতীয় আর তো কেউ নেই। পড়াশোনা হল সত্যযুগী রাজধানী প্রাপ্ত করবার জন্য। জ্ঞানের সাগর এসে জ্ঞান প্রদান করেন। জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন তাঁকেই বলা হয়। নলেজ কিসের জন্য ? ব্যারিস্টার, সার্জন হওয়ার জন্য নলেজ ? এর মধ্যেই সব নলেজ এসে যায় – ব্যারিস্টারী, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি সবের মাখন হল গডলি নলেজ । তারা জাগতিক নলেজ পড়ে, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি হওয়া কোনো বড় ব্যাপার নয়। এ তো তোমরা জানো যে, সত্যযুগী নতুন দুনিয়ার যা কিছু রীতি নীতি সে সবই সেখানে চলবে। আমরা পূর্ব কল্পে যেমন মহল ইত্যাদি বানিয়েছিলাম, সে সবই আবার রিপিট করবো, তাকে বলাই হয় সত্যযুগ। সেখানকার রীতি নীতির বিষয়ে মানুষ জানেই না। সেখানে কীভাবে হীরে জহরতের প্রাসাদ মহল এ’সব তৈরী হয়। সেখানকার বিষয়ে গাওয়াও হয় ১৬ কলা সম্পূর্ণ, সম্পূর্ণ নির্বিকারী যেমন রীতি নীতি হবে সেই অনুসারেই রাজত্ব চলবে। সে সব ড্রামাতে লিপিবদ্ধ রয়েছে। আত্মারা নিজের নিজের পার্ট প্লে করবে। বাড়ি ঘর কীভাবে বানাবে, কীভাবে থাকবে, সে সব ফিক্সড রয়েছে। যেমন এই পুরানো দুনিয়ার চলে সেই রকমই সেই দুনিয়ারও চলবে। এখানে হল অসুর, ওখানে হল দেবতা। শাস্ত্রে এ’সব কিছুই লেখা নেই। জ্ঞান আর ভক্তি, গাওয়াও হয় – ব্রহ্মার দিন, ব্রহ্মার রাত। ব্রহ্মারই নাম নেয়, বিষ্ণুর নেয় না। ব্রহ্মাই বিষ্ণু হয়ে যায় । ব্রহ্মা – সরস্বতী বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ, সেইজন্য বাবা বুঝিয়েছেন যে, লক্ষ্মী-নারায়ণই ৮৪ জন্মের পরে এই রকম হয়। রাজযোগের তপস্যা এখানেই করে, সূক্ষ্ম লোকে করে না। যজ্ঞ ইত্যাদিও এখানে রচিত হয়। বাবা বোঝান যে, এ হল অন্তিম যজ্ঞ, এরপর সত্য ত্রেতাতে কোনো যজ্ঞ হয় না। নানান রকমের যজ্ঞ রচনা করে – বৃষ্টি হল না তো যজ্ঞ করবে, কোনো দুঃখ বিপদ এল তো যজ্ঞ করবে। ভাবে যজ্ঞ করলে বিপদ টলে যাবে। এ হল সব থেকে বড় যজ্ঞ, যে জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারা সমগ্র সৃষ্টির দুঃখ টলে যাবে । এ হল রাজস্ব অশ্বমেধ অবিনাশী জ্ঞান যজ্ঞ। সব কিছু এতে স্বাহা হয়ে যাবে। কতো ভাবে বোঝানো হয়ে থাকে।

দিল্লিতে মন্ডপ বানিয়ে তোমরা মেলা করলে, সেটাও ভালো। মন্ডপ বানানোতে আর কতক্ষণ লাগে। হল নেওয়ার জন্য খুবই হয়রান হতে হয়, এর চেয়ে তো নিজেদের মন্ডপই নিয়ে নাও। ছোট ছোট গ্রামের জন্য ছোট ছোট মন্ডপ বানিয়ে নাও। গ্রামে গঞ্জে লাইট না থাকলে দিনেও প্রদর্শনী করতে পারো। নিজেদের জিনিসপত্র থাকলে ভাড়ায় কেন নেবে ? বাবা ডাইরেকশন দিচ্ছেন – প্রদর্শনী কমিটিকে। ওয়াটার প্রুফ মন্ডপ বানিয়ে নাও। বৃষ্টি হলেও অসুবিধা হবে না। বাবা যখন দিল্লি গিয়েছিলেন তখন ঠান্ডার মধ্যে গিয়েও ভাষণ করতেন। শীতের জন্য তো সকলের গরম বস্ত্র রয়েছে। প্রদর্শনীর জন্য তো যত খুশী মন্ডপ বানাতে পারো। কেউ যাতে বিঘ্ন সৃষ্টি করতে না পারে সেটা ইনসিওর করে নাও। সার্ভিস তো করতেই হবে, তাই না ! বোঝাতে হবে, বাবার সম্পূর্ণ পরিচয় দিতে হবে। এখন তো আমরা বাবার সাথে রয়েছি। জ্ঞান সাগর বাবার কাছ থেকে আমরা জ্ঞান প্রাপ্ত করছি। সত্যযুগে জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। বাবা বলেন – আমি সদ্গতি করবার জন্য এসেছি, তারপর রাবণের দ্বারা দুর্গতি হয়। সদ্গতি দাতা তো হলেন একমাত্র বাবা। কতখানি ক্লিয়ারলি বোঝানো হয়। কিন্তু নিজেরা বোঝেনা, বলার তাই বলে দেয় যে, এসব কথা মানুষের জন্য খুব প্রয়োজনীয়। কিন্তু তাদের নিজেদের জন্য সময় নেই। বড় বড় ব্যক্তিত্বদেরকে গিয়েও তো কতো বোঝানো হয়। কেবলমাত্র এটা বোঝো যে – বাবা কীভাবে শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়া বানাচ্ছেন । শ্রেষ্ঠাচারী বানানো হল বাবার কাজ, তবেই মানুষ বাবাকে আহ্বান করে। গাইতে থাকে দুঃখ হরো, সুখ দাও। এটাও বোঝে যে, বাবা এলে আমরা বলিহার যাবো। শ্রীমৎ অনুসারে সম্পূর্ণ রূপে চলবো। তারপরেও বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলে না। মানুষের তো জানা নেই যে ভগবান কি জিনিস। বলে দেয় সর্বব্যাপী। আরে পতিত-পাবন ভগবান তো হলেন কেবল একজনই। তিনি সর্বব্যাপী কীকরে হবেন ? তাহলে তো সবাই ভগবান হয়ে যাবে। ভগবান কী কখনো ছোট বড় হতে পারেন ? প্রদর্শনীতে এটাও দেখানো হয়েছে – কেউ মাছ-মাংস খায়, কেউ ঝগড়া করে…. এগুলো করতে কী ভগবান বলেন ? সেই সময় তো মানুষ শুনে খুশী হয়ে চলে যায়, বাইরে যাওয়ার পর যে কে সেই। কেবল প্রজা তৈরী হয়। রাজা হওয়ার জন্য কতো পরিশ্রম করতে হয় ! হাত তুলতে বললে সবাই হাত তুলে দেয় – রাজা হওয়ার জন্য । তারপর ৫ – ৭ দিন পরে দেখো হাওয়া। মায়া কতো জবরদস্ত, নিমেষের মধ্যে ফাঁসিয়ে দেয়। রাজধানী স্থাপন করা কতখানি ডিফিকাল্ট। ধর্ম স্থাপন করতে কোনো ডিফিকাল্টি নেই। সেখানে অসুরদের তো কোনো বিঘ্ন পড়ে না। এখানে বাচ্চারা যদি বলে বিবাহ করবে না, তাদের বাবা বলবে বিবাহ করতেই হবে। বিয়ে না করলে দুনিয়া চলবে কী করে ? আরে বিবাহ না করা তো ভালো কথা। বিবাহ না করলে সন্তানাদিও হবে না। বার্থ কন্ট্রোল হয়ে যাবে । বাবা বোঝান, এখন যেমন করবে তেমন পাবে। পরে গিয়ে খুব তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে যাবে । তোমরা বাচ্চারা জানো যে, কল্প পূর্বে যেমন স্থাপনা হয়েছিল তেমনই হবে। দিন যেভাবে অতিবাহিত হল কল্প পূর্বেও একই ভাবে অতিবাহিত হয়েছিল। রাতে শুয়ে শুয়ে মনে মনে চলতে থাকে – আজকে সারাদিন যেভাবে অতিবাহিত হল তা ড্রামা অনুসারেই হল, কাল যেভাবে যাবে ড্রামা অনুসারেই যাবে। তোমরা ছাড়া আর কারোরই জানা নেই যে এ হল ড্রামা। তার আদি – মধ্য – অন্ত কেমন ? কিছুই জানা নেই তাদের। তোমাদের জানা আছে – তোমরা পুরুষার্থ করছো আর বাকি সবাই হল ঘোর অন্ধকারে। যা কিছু পার্ট চলছে সবই ড্রামা অনুসারে। আজ এখানে বসে আছে, কাল অসুস্থ হয়ে যায়, সেও বলা হবে ড্রামা অনুসারে ভোগ তো ভুগতেই হবে। কল্প কল্প ধরে এই রকমই হবে । ড্রামা বুদ্ধিতে রয়েছে, সেইজন্য কোনো কিছু চিন্তা হয় না । বিঘ্ন সৃষ্টি হয়, কাজ দেরীতে হয় মনে করে কল্প পূর্বেও দেরী হয়েছিল নিশ্চয়ই । দেখে এমনই আভাস হয়। উঁচু পদ পাওয়ার জন্য অনেক পুরুষার্থ করতে হয়। দেখতে হবে যে আমি উপরে চড়ছি তো ? বাবার সার্ভিস করছি নাকি এক জায়গাতেই দাঁড়িয়ে আছি ? আমরা কি কারো কল্যাণ করছি ? অনেকের কল্যাণ করলে আমাদেরও কল্যাণ হবে। পরীক্ষা যখন পুরো নেওয়া হয়ে যাবে, তখন জানতে পেরে যাবে যে আমরা কি পদ পাবো। কল্প কল্পান্তরের বাজী। তারপর অনেক অনুতাপ হবে যে, আমি এতটা সময় পুরুষার্থ করিনি কেন ? বাবার শ্রীমৎ অনুসারে চলিনি কেন ? বাবা কেবল বলেন মন্মনাভব, ব্যস্। তিনি কতো ভালোবাসার সাথে বলেন বাচ্চারা আমাকে স্মরণ করো। অন্যদেরকেও রাস্তা বলে দেওয়ার সার্ভিস করো। পুরুষার্থ করে উঁচু পদ প্রাপ্ত করি না কেন ! তাদেরকে বলা হবে জ্ঞানী সেন্সিবল বাচ্চা। যিনি পড়াচ্ছেন তিনিও বুঝে যান যে এ শ্রীমৎ অনুসারে চলে না, কারো কল্যাণ না করলে অবশ্যই পদও কম প্রাপ্ত হবে। যত বেশী অন্যদেরকে রাস্তা বলে দেবে, ততই উঁচু পদ পাবে। নিজের জন্য সার্ভিস করতে হবে। যেমন করবে তেমন পাবে। সুতরাং পুরুষার্থ করা উচিত যে আমিও এই রকম সার্ভিস করি । কোথাও প্রদর্শনী হলে তখন হাফ ছুটি নিয়েও অবশ্যই সার্ভিস করতে হবে। কেউ কেউ তো পুরো দিনের ছুটি নিয়েও সার্ভিস করে। বাবা বলেন – তোমাদের বাচ্চাদের যদি কিছু প্রয়োজন হয় পাঠিয়ে দাও। শরীর নির্বাহের জন্য চাইলে হাজার টাকাতেই করো কিম্বা চাইলে ১০ টাকাতেই করো। কারো কাছে অনেক টাকা থাকলে তারা লাখ লাখ খরচ করে। বাবা বলেন তুমি যদি ঘাসও কাটো, তখনও কেবল বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে । আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সব দুশ্চিন্তার থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য ড্রামাকে বুদ্ধিতে যথার্থ ভাবে রাখতে হবে। যা হয়ে গেছে তা কল্প পূর্বের মতো।

২ ) রাত – দিন এই চিন্তাই করতে হবে যে, পতিতদেরকে পবিত্র বানানোর রাস্তা কীভাবে বলতে পারি। শ্রীমতের আধারেই নিজের আর অন্যদের কল্যাণ করতে হবে ।

বরদানঃ-

সঙ্গমযুগে সদা নিজেকে দ্বি মুকুটধারী মনে করে চলো – একটি লাইট অর্থাৎ পিউরিটির মুকুট আর দ্বিতীয় হল দায়িত্বের মুকুট । পিউরিটি আর পাওয়ার – লাইট আর মাইটের ক্রাউন ধারণ যারা করবে তাদের মধ্যে ডবল ফোর্স সদা বজায় থাকে। এইরূপ ডবল ফোর্স সম্পন্ন আত্মারা সদা শক্তিশালী থাকে । তাদের সার্ভিস বা পুরুষার্থে সদা সফলতা প্রাপ্ত হয়ে থাকে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top