23 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 22, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - এই ড্রামাতে তোমরা হলে হিরো - হিরোইন পার্টধারী, সম্পূর্ণ কল্পে তোমাদের মতো হিরোর পার্ট আর কারোরই নেই"

প্রশ্নঃ --

মনুষ্য থেকে দেবতা হওয়ার পরীক্ষায় কারা পাস করতে পারে ?

উত্তরঃ -:-

যারা বাবাকে অনুসরণ করে বাবার সমান পবিত্র হয়, তারাই এই পরীক্ষায় পাস করতে পারে । ২১ জন্মের জন্য অসীম জগতের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়, তাহলে অবশ্যই কিছু পরিশ্রম করতে হবে । এখন পরিশ্রম না করলে কল্প – কল্পান্তরও করবে না, তখন উচ্চ পদ কিভবে পাবে ? পবিত্র হলে তখন ভালো পদ পাবে । না হলে সাজা ভোগ করতে হবে ।

ওম শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি আধ্যাত্মিক বাচ্চাদের সঙ্গে বাবা সম্মুখে বসে কথা বলছেন । বাচ্চারা বুঝতে পারে যে, আমাদের সঙ্গে অসীম জগতের বাবা কথা বলছেন । যিনি সবথেকে বেশী মিষ্টি । বাবাও মিষ্টি, টিচারও মিষ্টি, কেননা দুজনের থেকেই উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । গুরুর থেকে ভক্তির আশীর্বাদ পাওয়া যায় । এখানে তো একজনের সঙ্গেই তিন মিলে আছেন । খুশীও অনেক হয় । তোমরা তাঁর সম্মুখে বসে আছো । তোমরা জানো যে, অসীম জগতের পিতা, যাঁকে পতিত পাবন বলা হয়, তিনিই হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ । ওই বীজ জড় থাকে । ইনি হলেন চৈতন্য । এনাকে সৎ t- চিৎ – আনন্দ স্বরূপ বলা হয়, আবার এনার আরো মহিমা আছে । তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, কিন্তু তাঁর থেকে কি জ্ঞান পাওয়া যায়, এ কেউই জানে না । তোমরা জানো, যাদের বাবা এই জ্ঞান দান করছেন, তারাই ভক্তিমার্গে তাঁর মন্দির, শাস্ত্র ইত্যাদি বানায় । এও তোমরা জানো যে, বরাবর প্রতি পাঁচ হাজার বছর পরে কল্পের এই সঙ্গম যুগ আসে । একে বলা হয় আধ্যাত্মিক অবিনাশী পুরুষোত্তম সঙ্গম যুগ । এমনিতে তো উত্তম পুরুষ অনেকেই হন, কিন্তু উনি এক জন্মে উত্তম পুরুষ হন, তারপর মধ্যম – কনিষ্ঠ হয়ে যান । এই লক্ষ্মী – নারায়ণকে দেখো কতো উত্তম পুরুষ । এঁরা হলেন পুরুষোত্তম পুরুষোত্তমনী । কে তাঁদের এমন উত্তম বানিয়েছেন ? এমন গায়ন আছে যে, উঁচুর থেকে উঁচু হলেন ভগবান, তিনি উপরে থকেন । মনুষ্য সৃষ্টিতে উঁচুর থেকেও উঁচু হলেন এই বিশ্ব মহারাজা – মহারাণী । উঁচুর থেকেও উঁচু এনারা ভারতে রাজত্ব করতেন । এখন এই রাজ্য তাঁরা কিভাবে পেয়েছেন ! একথা কেউই জানে না । এমন বাবা, যিনি তোমাদের এতো উচ্চ বানান, তাঁকে কতো মিষ্টি লাগা উচিত । তাঁর মত অনুযায়ী চলা চাই । এমন উচ্চ বিশ্বের মালিক যিনি বানান, সেই বাবা কিভাবে সাধারণ রীতিতে তোমাদের পড়ান । তোমরা এও জানো যে, অসীম জগতের বাবা এই ভারতেই আসেন । জীব জয়ন্তীও পালন করা হয় । তিনি এসে ভারতকে স্বর্গ বানান । তোমাদের এখন স্মৃতি ফিরে এসেছে যে, আমরা স্বর্গবাসীরা ৮৪ জন্ম ভোগ করে নরকবাসী হয়েছি । আবার বাবা এখন এসেছেন আমাদের স্বর্গবাসী বানাতে । বাবা এখন বলছেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের আত্মা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে । সতোপ্রধান হওয়া ব্যতীত কেউই ফিরে যেতে পারবে না । না হলে সাজা ভোগ করতে হবে । সাজাও তো আত্মাই ভোগ করে, তাই না । গর্ভ জেলে শরীর ধারণ করিয়ে তারপর সাজা দেওয়া হয় । বাচ্চাদের অনেক দুঃখ ভোগ করতে হয় । তারা ত্রাহি – ত্রাহি করতে থাকে । তারা তখন বলে – আর পাপ করবো না । বাচ্চারা, তোমরা তো গর্ভ জেলে যাবে না । ওখানে হলো গর্ভ মহল, কেননা ওখানে পাপ হয় না । এখানে রাবণ রাজ্যে পাপ হয়, তাই তো মানুষ রাম রাজ্য চায় কিন্তু তারা জানেই না যে, রাবণ রাজ্য কি জিনিস । জ্বালিয়ে দিলে তো শেষ হয়ে যাওয়া উচিত । আবারও জ্বালায়, কিন্তু মরেই না । তাহলে আবার এইসব করে লাভ কি ? ওরা গিয়ে লঙ্কা লুণ্ঠন করে আসে । সাউথ ইন্ডিয়াতে এক বিশেষ ধরনের গাছে যখন সোনার মতো পরগাছা জন্ম হয়, তখন তাকে সোনা মনে করে নিয়ে আসে । বাস্তবে তোমরা এই সময় রাবণকে জয় করো, আর স্বর্ণযুগের মালিক হও । আজমীরে বৈকুন্ঠের মডেল বানানো আছে । তোমরা এখন জানো, বাবা এসেছেন আবার বাচ্চাদের স্বর্গের মালিক বানাতে । আমরা হীরে – জহরতের মহলে রাজত্ব করবো ।

বাচ্চারা, তোমরা এখন যোগবলের দ্বারা নির্বিকারী সতোপ্রধান হও । আত্মা সম্পূর্ণ নির্বিকারী হয়ে শান্তিধামে চলে যাবে, ওখানে দুঃখের কোনো কথা নেই । বাবা বুঝিয়েছেন, এই নাটকে তোমাদের সবথেকে বড় হিরো – হিরোইনের মুখ্য পার্ট । রাজ্য নেওয়া — আবার হারিয়ে ফেলা – এই হলো খেলা । তোমরাই হলে হিরো – হিরোইন । হিরোর অর্থ হলো মুখ্য পার্টধারী । তোমরা স্বর্ণ যুগে পবিত্র গৃহস্থ আশ্রমে থাকো । আয়রন যুগে হলো অপবিত্র গৃহস্থ জীবন । বাবা এখন গোল্ডেন এজে নিয়ে যাবেন । ওখানে লক্ষ্মী – নারায়ণ সূর্যবংশীদের রাজ্য হবে । তারাই পুনর্জন্মে চন্দ্রবংশে আসবে, বৃদ্ধি হতে থাকবে । এখন কতো কোটি হয়ে গেছে । এখন বলছে, জন্ম কম হোক । যাদের একটা – দুটো সন্তান হবে, তারা তো বন্ধ করবেই না । তোমরা তো এখন ঘোষণা করতে পারো, এই জনসংখ্যা কমানো, এ তো বাবার উপর । বাবা জানেন, বেশী মানুষ হলেই মৃত্যু হবে । আমি এসেছি সবকিছুর অবসান করে এক ধর্মের স্থাপনা করতে । ওখানে ৯ লাখ জনসংখ্যা থাকবে । ছু মন্ত্র হলো, তাই না । কলিযুগ রূপী রাত সম্পূর্ণ হয়ে দিন শুরু হয়ে যাবে । জন্ম – নিয়ন্ত্রণের উপর কতো খরচ করা হয় । বাবার কোনো খরচ নেই । প্রাকৃতিক বিপর্যয় হবে, সব শেষ হয়ে যাবে, এ ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে । ওরা যে প্ল্যান বানাচ্ছে, তাও ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে । ইউরোপবাসী হলো যাদব, আর ভারতবাসী কৌরব আর পাণ্ডব । ওরা সব একদিকে, আর এইদিকে দুইই ভাই – ভাই । ভারতে সবাই ভাই – ভাই । ওরা এখনো আয়রন এজের ভাই – ভাই, তোমরা সব বেড়িয়ে এসেছো সঙ্গম যুগে । কৌরব আর পাণ্ডবরা একই ঘরের ছিলো । আত্মা প্রকৃতপক্ষে ভাই – ভাই । তোমাদের মতো আত্মাদের সঙ্গেই বাবা প্রথম – প্রথম মিলিত হয়েছেন । রেসে যারা প্রথমে যায় তারাই প্রাইজ নেয় । তোমাদের হলো স্মরণের দৌড় । এ কোনো শাস্ত্রে নেই । বাবা বলেন, আমার সঙ্গে যোগ রাখো । এই যোগের যাত্রা এই সময়ই হয় । এই যাত্রা আর কেউই শেখাতে পারে না । সত্যযুগে না আধ্যাত্মিক যোগ থাকে, আর না শরীরের যোগ থাকে — ওখানে প্রয়োজনই নেই । একথা এই সময়ই তোমাদের বুদ্ধিতে বসে । ড্রামাতে এক একটি সেকেণ্ডের অভিনয় বোঝানো হয়েছে, একে স্বদর্শন চক্র বলা হয় । বাস্তবে তোমরাই এখন স্বদর্শন চক্রধারী হও । ৮৪ জন্মের আর সৃষ্টিচক্রের জ্ঞান তোমাদেরই আছে । স্ব অর্থাৎ আত্মা । আত্মার এই জ্ঞান আছে যে, এখন তোমরা বাচ্চারা স্বদর্শন চক্রধারী হয়েছো । আমি তোমাদের বলবো আধ্যাত্মিক বাচ্চা । স্বদর্শন চক্রধারী ব্রাহ্মণ কুলভূষণ । এই অক্ষরের অর্থ নতুন কেউই বুঝতে পারবে না । এই অলংকার তোমাদের দেওয়া হয় না কেননা তোমাদের মধ্যে কেউ – কেউ ভাগন্তী হয়ে যায় । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন ৮৪ চক্রের জ্ঞান আছে । তোমরা এখন এক নম্বরে যাবে । প্রথমে ঘরে যাবে তারপর দেবতা হবে । তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র হবে । এ কতো বোঝার মতো কথা । এতটুকুও যদি কেউ স্মরণ করে তাহলে আহা কি সৌভাগ্য ! অল্প কিছু সময় বাকি আছে তারপর আমরা স্বর্গে যাবো । বাকি শাস্ত্রে তো অনেক দন্ত কথা লিখে দিয়েছে । কৃষ্ণ, যে সকলের প্রিয়, তাঁর সম্বন্ধেও লিখে দিয়েছে সর্প দংশন করেছিলো, এই – ওই হয়েছিলো… । কৃষ্ণকে রাধার থেকেও প্রিয় লাগে কারণ সে মুরলী বাজিয়েছিলো । বাস্তবে এ হলো জ্ঞানের কথা । তোমরা এই সময় হলে জ্ঞান – জ্ঞানেশ্বরী । তারপর এই ঈশ্বরীয় পড়া পড়ে রাজ – রাজেশ্বরী হও । এই হলো এইম অবজেক্ট । তোমাদের যদি কেউ জিজ্ঞেস করে, এখানের উদ্দেশ্য কি ? বলো, মনুষ্য থেকে দেবতা হওয়া । আমরাই সেই দেবতা ছিলাম । ৮৪ জন্ম অতিক্রম করে শূদ্র হয়ে গেছি, এখন আবার ব্রাহ্মণ হয়েছি, এরপর দেবতা হবো আমাদের পড়ান জ্ঞানের সাগর, নাকি কৃষ্ণ ? এই রাজযোগ আর কেউই শেখাতে পারে না । তোমরা বলো — বাবা, আমরা কল্প – কল্প এসে তোমার কাছ থেকে রাজ্য – ভাগ্যের অধিকার লাভ করি । এও তোমরাই জানো । এই মহাভারী লড়াই থেকেই স্বর্গের গেট খুলবে । বাবা এসে রাজযোগ শেখান, তাই অবশ্যই স্বর্গের প্রয়োজন । নরকের সমাপ্তি হওয়া উচিত । এই মহাভারী লড়াইয়ের কথা শাস্ত্রে লেখা আছে ।

(কাশি এলো ) এ কার হয় ? শিব বাবার, নাকি ব্রহ্মা বাবার ? ব্রহ্মা বাবার, কারণ এ হলো কর্মভোগ । অন্ত পর্যন্ত হতে থাকবে । যখন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে, তখন এই শরীর আর থাকবে না । ততক্ষণ কিছু না কিছু হতেই থাকবে, একে কর্মভোগ বলা হয় । সত্যযুগে কর্মভোগ থাকে না । কোনো রোগ ইত্যাদি হয় না । আমরা এভার হেলদি, এভার ওয়েলদি হয়ে যাই । সর্বদা হর্ষিত থাকি কেননা অসীম জগতের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায় তারপর অর্ধেক কল্প পরে আবার দুঃখ শুরু হয় । তাও ভক্তি যখন ব্যভিচারী হয়ে যায়, তখন দুঃখ বেশী হয়, তখন সবাই ত্রাহি – ত্রাহি করতে থাকে, তারপর বিনাশ হয়ে যায় । তোমরা এখন সম্মুখে বসে শুনছো তাই কতো মজা পাও । তোমরা জানো যে, ইনি হলেন আমাদের প্রকৃত বাবা, প্রকৃত টিচার, আর প্রকৃত সদ্গুরু । এই মহিমা একই নিরাকার বাবার । তিনি হলেন উঁচুর থেকেও উঁচু ভগবান । ওই বাবাকে স্মরণ করলে উঁচু পদ পাবে । কোনো সাধু – সন্ত – মহাত্মা তো আর তোমাদের এই আসনে বসাবেন না । কখনো পা ফেলতেও দেন না । বাবা বলেন – আমি তোমাদের অনুগত সেবক । আমার পা কোথায় ? তোমরা কার কাছে মাথা ঠুকবে ? অনেক গুরুদের কাছে মাথা ঠুকতে ঠুকতে তোমাদের কপাল ঘসে জরাজীর্ণ হয়ে গেছে । ভক্তিমার্গে যা হয়, তা জ্ঞানমার্গে চলতে পারে না । ভক্তিমার্গে বলে থাকে – হে রাম, বাবা বলেন, এখানে কোনো আওয়াজ করতে হবে না । নিজেকে আত্মা মনে করে গুপ্ত বাবাকে স্মরণ করতে হবে । হে শিব — এমনও বলা উচিত নয় । তোমাদের আওয়াজের ঊর্ধ্বে যেতে হবে । বাচ্চাদের মনে বাবার কথা স্মরণে থাকে । আত্মা জানে যে, ইনি আমাদের বাবা । তোমাদের মনে মনে গুপ্ত স্মরণ করতে হবে, একে অজপা স্মরণ বলা হয় । তোমাদের জপ করতে হবে না । মালা ভিতরে করো বা বাইরেই করো, বিষয় একই । হাতে মালা ঘোরানো গুপ্ত কিছু নয় গুপ্ত বিষয় হলো — নিজেকে আত্মা জ্ঞান করে বাবাকে স্মরণ করা । উনি হলেন শিব বাবা আর ইনি হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা । শৃঙ্গার করানোর জন্য তোমরা ডবল ইঞ্জিন পাও । এনার আত্মাও সুসজ্জিত হচ্ছে । তারপর সবাই বাবার ঘরে চলে যাবে । ওখান থেকে আবার শ্বশুর ঘর বিষ্ণুপুরীতে যাবে । এ হলো অলৌকিক ডবল বাবার ঘর, আর ও হলো লৌকিক আর ওটা পারলৌকিক । এই অলৌকিক বাবাকে কেউই জানে না, তাই বলে থাকে, এই দাদাকে কেন বসানো হয়েছে । একথা কেউই জানে না যে, এই তনের মাধ্যমে পরমাত্মা পড়ান । ইনি অনেক জন্মের অন্তিমে পূজ্য থেকে পূজারী হয়েছেন । রাজা থেকে ভিখারী হয়েছেন । বাবা বোঝান – আমি এই শরীরে প্রবেশ করি । তবুও কারোর বুদ্ধিতে একথা বসে না । মানুষ মন্দিরে ষাঁড় রেখে দিয়েছে । এখন শঙ্কর তো হলো সূক্ষ্মবতন বাসী । সূক্ষ্ম বতনে তো ষাঁড় ইত্যাদি থাকেই না । ষাঁড় অর্থাৎ পুরুষ । ভাগীরথকে পুরুষ দেখানো হয় । মানুষ তো সম্পূর্ণ অবুঝ হয়ে পড়ে আছে । বাবা বলেন – রাবণ তোমাদের অবুঝ করে দিয়েছে । নিজেরাই বলে – রাম রাজ্য চাই । এখন রামরাজ্য তো সত্যযুগে হয় । কলিযুগে হলো রাবণ রাজ্য । রাম আর রাবণ ভারতেই হয় । শিব জয়ন্তীও ভারতেই পালন করা হয়, রাবণ জয়ন্তী পালন করা হয় না, কারণ রাবণ হলো শত্রু । জয়ন্তী তাঁর পালন করা হয় যে সুখদান করে । এখন শিব বাবা এসে জ্ঞান শোনাচ্ছেন, আর রাবণকে জয় করতে শেখান । তোমরা এখন জানো যে, রাবণ কি জিনিস ! সে কখন আসে ! তোমাদের সঠিক হিসাব বলা হয় । এই কথা খুব ভালোভাবে ধারণ করো । ভুলে যেও না । তোমরা জ্ঞান সাগরের কাছে বাদল হয়ে এসেছো । তোমাদের ভরপুর বর্ষণ করতে হবে, তাই খুব ভালো ধারণার প্রয়োজন । তোমরা এখানে সম্মুখে বসে আছো । তোমাদের অনুভব হয় যে, আমরা অসীম জগতের পিতার সম্মুখে, নিজের ঘরে বসে আছি । ব্রাহ্মণ কুল ভূষণরাও আছে । মাম্মা – বাবাও আছে । বাবা আমাদের টিচার রূপে পড়াচ্ছেন । সদ্গুরু রূপে তিনি সাথে করে নিয়ে যাবেন । ওই গুরুরা সাথে করে নিয়ে যায় না । গুরুর কাজ হলো অনুসরণকারীদের সাথে করে নিয়ে যাওয়া । বাস্তবে ওরা অনুসরণকারীও নয় । ওরা সন্ন্যাসী, আর এই গৃহস্থীরা ওদের অনুসরণকারী কিভাবে হবে ! তোমরা শিব বাবাকে অনুসরণ করো, ব্রহ্মা বাবাকেও অনুসরণ করো । ইনি যেমন হন, তোমরাও তেমনই হও । আমরা আত্মারা পবিত্র হয়ে বাবার কাছে চলে যাবো । বাবা বলেন – আমাকে ( মামেকম ) স্মরণ করো । প্রকৃত অনুসরণকারী হলে তোমরাই ।

বাবা বলেন – আমি এসেছি তোমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য । তোমরা এখন জ্ঞান চিতায় বসো তাহলে নিয়ে যাবো । সত্যযুগে লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্য ছিলো, ওই সময় আর সব ধর্মের আত্মারা শান্তিধামে ছিলো । এই কথা খুবই সহজ । তোমরা বাবার অনুসরণকারী হও । যতো পবিত্র হবে, তত উচ্চ পদ পাবে, না হলে সাজা ভোগ করতে হবে । যেতে তো অবশ্যই হবে, ২১ জন্মের উত্তরাধিকার যখন পাওয়া যায়, কেন পরিশ্রম করবে না । এখন পরিশ্রম না করলে কল্প – কল্পান্তরও করবে না । তখন উচ্চ পদ কিভাবে পাবে । এ হলো খুব বড় অসীম জগতের ক্লাস । এখানে একটাই পরীক্ষা । মনুষ্য থেকে দেবতা হতে হবে । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ – সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এক বাবার প্রকৃত অনুসরণকারী হয়ে সম্পূর্ণ পবিত্র হতে হবে । ২১ জন্মের উত্তরাধিকার নেওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে ।

২ ) মুখে ‘হে শিব বাবা’ বলবে না । আওয়াজের ঊর্ধ্বে যেতে হবে । নিজেকে আত্মা মনে করে অন্তরে বাবাকে স্মরণ করতে হবে ।

বরদানঃ-

স্থূল নির্দেশ পালন করার শক্তি সেই বাচ্চাদের মধ্যে আসতে পারে, যারা সূক্ষ্ম নির্দেশ পালন করে । সূক্ষ্ম আর মুখ্য নির্দেশ হলো নিরন্তর স্মরণে থাকো আর মন – বাণী এবং কর্মে পবিত্র হও । সঙ্কল্পেও অপবিত্রতা বা অশুদ্ধতা যেন না থাকে । সঙ্কল্পেও যদি পুরানো অশুদ্ধ সংস্কার স্পর্শ করে তাহলে সম্পূর্ণ বৈষ্ণব বা সম্পূর্ণ পবিত্র বলা হবে না, তাই কোনো একটি সঙ্কল্পও যে নির্দেশের বাইরে চলবে না, তাকেই বলা হবে সম্পূর্ণ আজ্ঞাকারী ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top