23 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 22, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ঈশ্বরীয় জন্মগত অধিকার (বার্থ রাইট) প্রাপ্তকারী উত্তরাধিকারী (ওয়ারিশ) বাচ্চাদের লক্ষণ শোনাও?

গান:-

মাতা ও মাতা, তুমি সকলের ভাগ্যবিধাতা…

ওম্ শান্তি। বাচ্চারা এই গান শুনেছে। জগদম্বা কামধেনুর বর্ণন তো রয়েছেই। এই মহিমা হলো জগদম্বার। বাস্তবে গুপ্তরূপে তো এই ব্রহ্মাপুত্র নদীও রয়েছে। গাওয়াও হয় যে তুমি মাতা-পিতা….শিববাবা ব্রহ্মার মুখ-কমল দ্বারা সন্তানের জন্ম দেন। তাহলে ইনি হলেন মাতা, তাই না! এ হলো গুপ্ত কথা। এ’কথা শাস্ত্রে নেই। বাবা বুঝিয়েছেন যে শাস্ত্র হলো ভক্তিমার্গের সামগ্রী। বাবা বসে সর্ব শাস্ত্রের সারকথা বুঝিয়ে থাকেন। এমন নয় যে গীতার উপর বোঝান। না, বাবা স্বয়ং-ই হলেন জ্ঞানের সাগর। যদিও এঁনার গীতা, ভাগবত ইত্যাদি পড়া আছে। শিববাবার উদ্দেশ্যে এ’রকম বলা হবে না যে ওঁনার সব পড়া আছে। না, তিনি হলেন নলেজফুল। তিনি বলেন – আমি হলাম এই মনুষ্য সৃষ্টির বীজ। আমার মধ্যেই সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান রয়েছে। বাবা বলেন, আমি এর বর্ণনা করে থাকি – এই ব্রহ্মার মাধ্যমে। তারপর এই বর্ণনা প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাবে। প্রকৃত এই গীতা যা এখন তোমরা রচনা করো, তাও হাতে আসবে না। গীতা ইত্যাদি হলো ভক্তিমার্গের শাস্ত্র, সে’সবই পুনরায় বেরিয়ে আসবে। এই শাস্ত্র ইত্যাদি পড়ে কেউই সদ্গতি পায় না। বাচ্চারা, তোমরা জানো এই (সৃষ্টি নাটকের) যে’সব অ্যাক্টররা রয়েছে, প্রথমে সকলেই শরীর বিহীন মুক্তিধামে ছিল, তারপর এখানে এসে শরীর ধারণ করে (নিজ-নিজ) ভূমিকা পালন করে। সেই আত্মায়ও তো অবিনাশী পার্ট ভরা রয়েছে। এই সৃষ্টির চক্রও এক, এর রচয়িতাও এক। একটি সৃষ্টির চক্রই আবর্তিত হতে থাকে। এ হলো অবিনাশী পূর্ব-নির্ধারিত ড্রামা। সত্যযুগে দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। এখন তোমরা পুনরায় গড়ে উঠছো। পরমপিতা পরমাত্মা সর্বপ্রথমে ব্রহ্মার মুখের দ্বারা ব্রাহ্মণ সৃষ্টি রচনা করেন। সর্বপ্রথমে নতুন সৃষ্টি হয় সঙ্গমের। পুরোনো আর নতুন। ব্রাহ্মণ হলো কেশ-শিখা। পা আর কেশ-শিখা, একেই সঙ্গম বলে। তোমরা ব্রাহ্মণরা বাবার সাথে বিশ্বের রুহানী(আত্মিক) সেবা করো। বাবাও আত্মাদের সেবা করে থাকেন। তোমরাও আত্মাদের সেবা করো অর্থাৎ যারা তমোপ্রধান হয়ে গেছে তাদের সতোপ্রধান করে তোলো। সেইজন্য বাবার শ্রীমতে যারা চলবে তারাই উচ্চপদ লাভ করবে। শ্রীমতের দ্বারাই বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ হতে হবে। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে আমরাই দেবী-দেবতা, সূর্যবংশীয়-চন্দ্রবংশীয় ছিলাম, তারপর মায়া আমাদের মান-সম্ভ্রম নিয়ে নিয়েছে। পূজ্য থেকে পূজারী, পতিত করে দিয়েছে। শ্রীমতের দ্বারা মানুষ শ্রেষ্ঠ হয়ে যায়, তারপর রাবণের মতে সমস্ত ইজ্জত মাটিতে মিশে যায়। পুনরায় এখন শিববাবার মতানুসারে চলে নতুন দুনিয়ায় দেবতা হবে। প্রতিটি পদক্ষেপে শ্রীমতানুসারে চলতে হবে। গান্ধীজীও নতুন ভারত, নতুন রাজ্য চাইতেন। কিন্তু নতুন দুনিয়া তো সত্যযুগকে বলা হয়ে থাকে। এখানে তো দিনে-দিনে দুঃখ বাড়তেই থাকে। বাবা বলেন – দুঃখ তো বাড়বেই, তবেই তো আমি আসি। আমি আমার প্রতিজ্ঞানুসারে পুনরায় এসে সহজ রাজযোগ শিখিয়ে থাকি। শাস্ত্র তো পড়ে তৈরী হয়। এই গীতা ইত্যাদিও সেখানেই তৈরী হবে। এখন এই বিনাশ অগ্নিতে সবকিছু সমাপ্ত হয়ে যাবে। তোমরা এই চক্রকে জানো। বাচ্চারা, তোমাদের স্কুলে গিয়ে বোঝাতে হবে। তোমাদের হলো পার্থিব জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী, একে কেউ ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী বলবে না। বাচ্চাদের তো অসীমের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী শেখানো উচিত। তবেই তারা উচ্চ পদ প্রাপ্ত করতে পারবে। পার্থিব জগতের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী দ্বারা পার্থিব জগতের পদ পাওয়া যায়, এ হলো অসীমের। এরমধ্যেই তিন লোকের জ্ঞান চলে আসে। আদিতে নিরাকারী দুনিয়ায় অনেক আত্মারা থাকতো। আবার অন্তে সমস্ত আত্মারা নীচে চলে আসে। সূক্ষ্মলোক নিবাসী ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করের ভূমিকাও এখনই থাকে। তাহলে তোমরা ওদেরকে জিজ্ঞাসা করতে পারো যে তোমরা কি জানো যে সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। তারপর কি হলো? ত্রেতার অন্ত পর্যন্ত কি একজন লক্ষ্মী-নারায়ণেরই রাজ্য ছিল। কত সময় পর্যন্ত রাজত্ব করেছে আর কতখানি এরিয়া জুড়ে ছিল। এখন তো আকাশ-মাটিও ভাগাভাগি হয়ে গেছে। ওখানে এ’রকম ব্যাপার থাকে না। ওখানে ভারতে অসীম জগতের রাজ্যপাট চলতে থাকে। এখন তো কত টুকরো হয়ে গেছে। এইসব মিলিত হয়ে এক হোক, সে তো হতে পারে না। এখন বাবা অসীমের হিস্ট্রি-জিওগ্রাফী শুনিয়ে থাকেন। ৮৪-র চক্রে ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী চলে আসে। আর সাথে পবিত্রতাও অবশ্যই থাকা উচিত। এখন না আছে পবিত্রতা, না আছে শান্তি, না আছে সমৃদ্ধি। মানুষ মনে করে সন্ন্যাসীদের কাছে গেলে শান্তি পাওয়া যায়। বাবা বলেন, শান্তি তোমাদের গলার হার। বাস্তবে অহম্ (আমি) আত্মার স্বধর্মই হলো শান্ত। আত্মা কোথাকার অধিবাসী ? তখন বলবে নির্বাণধামের। যখন আত্মার স্বধর্মই শান্ত তখন গুরু ইত্যাদিদের কাছ থেকে কী শান্তি পাওয়া যাবে ? অশান্ত করে দেয় মায়া। যখন শ্রীমতে এই মায়ার উপর বিজয়প্রাপ্ত করবে তখন সত্যযুগে পবিত্রতা, সুখ, শান্তির উত্তরাধিকার পাবে। ওখানে কখনো কেউ বলবে না যে আমি অশান্ত, আমার শান্তি চাই। ভারতেই পবিত্রতা, সুখ, শান্তি ছিল। এখন তোমরা শূদ্র থেকে পরিবর্তিত হয়ে ব্রাহ্মণ হয়েছো। এইসময় ভারতবাসীদের এও জানা নেই যে আমরা কোন্ ধর্মের। আমাদের ধর্ম কে এবং কখন রচনা করেছিল? আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম সম্পর্কে কেউই জ্ঞাত নয়। আর্য আর অনার্য। দেবতাদের ভগবান-ভগবতী বলা হয়ে থাকে, কারণ ভগবান স্বয়ং স্বর্গের স্থাপনা করেন। কিন্তু ওনাদের নাম আবার দেবী-দেবতাও। ভারতের হলো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম, হিন্দু নয়। বাবা এই সমস্ত কথা বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারা, এও তোমাদের বুদ্ধিতে নম্বরের অনুক্রমেই বসে। অনেক বাচ্চা আছে যারা মুশকিলই সপ্তাহে একবারও শিববাবাকে স্মরণ করে থাকে। সঙ্গ বাবার সাথে না হওয়ার কারণে স্মরণ করতে ভুলে যায়। এতে ব্রাহ্মণদের সঙ্গ চাই। যারা একে-অপরকে সতর্ক করতে থাকে। শূদ্রের সঙ্গ হলে কিছু প্রভাব অবশ্যই পড়বে। বাবার থেকে পুরোপুরি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য ফলো করা উচিত। কাজে-কর্মে থেকেও বাবাকে সত্য (কথা) লেখে যে বাবা আমরা গৃহস্থ জীবনে থেকে, ফ্যাক্টরী ইত্যাদিতে থেকেও কতখানি সময় স্মরণে থেকেছি। নিজের নিজের স্মরণের চার্ট পাঠানো উচিত, তাহলে বাবাও বুঝতে পারবে যে এ হলো ভাল পুরুষার্থী। এখানে তো অনেকেই বাপদাদাকে পত্রও লেখে না। বাবা বোঝেন যে কেউ সতোপ্রধান পুরুষার্থ করে, কেউ রজো, কেউ তমো। যে তমো পুরুষার্থী হবে সে সূর্যবংশীয়দের কাছে এসে কাজ-কর্ম (চাকরি) করবে। ধনবান প্রজার (দরিদ্রের) কাছে গিয়ে চাকরি করবে। এর থেকেও কম পদ তাদের হবে যারা বাবার হয়ে গিয়ে আশ্চর্যবৎ শোনে, অন্যদেরকে শোনায়, তারপর ছেড়ে চলে যায়….. তাদের দুর্গতি সবচেয়ে খারাপ হয়। পুরোপুরি বাবার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হলে পোতামেল পাঠাও তবেই বাবা রেজাল্ট দেবেন। সম্পূর্ণরূপে পুরুষার্থ না করলে তখন মায়া একদম গ্রাস করে নেয়। সেইজন্য বাবা বলেন, সঙ্গ অত্যন্ত জরুরী। সঙ্গ হলে তখন মনে করবে আমরা ঈশ্বরীয় কুলের। বাবা বোঝান, স্ত্রী-পুরুষ হয়ে অবশ্যই সাথে থাকো, কিন্তু যদি আগুন (কামাগ্নি) লেগে যায় তাহলে শেষ হয়ে যাবে। বাবার তো অগণিত সন্তান। আসবেও আর মরবেও। ঈশ্বরীয় জন্ম আসুরীয় জন্মের থেকে উচ্চ। আজকাল অনেক আসুরীয় বার্থ-ডে পালন করা হয়। সেইসব ক্যান্সেল করে ঈশ্বরীয় বার্থ ডে পালন করা উচিত তাহলে পাক্কা হয়ে যাবে। বাবা রায় দেন যে পুরোনো জন্মদিন পালন ক্যান্সেল করে নতুন পালন করো। আজকাল বিবাহের দিনও পালন করা হয়। সে’টাও ক্যান্সেল করে দেওয়া উচিত। পরিবর্তন আসা উচিত। বাবা বহুদিনের হারিয়ে যাওয়া আদরের বাচ্চাদের (সিকিলধে) বলেন যে এ কোনো নতুন কথা নয়। তোমরা অনেকবার রাজ্য-ভাগ্য হারিয়েছো আর প্রাপ্তও করেছো। প্রতি কল্পে বাবার কাছে এক জন্ম সমর্পণ (স্যাক্রিফাই) করে ২১ জন্মের সুখ পেয়েছি তাহলে আমরা কেন পবিত্র হবো না। বাবা তোমার শ্রীমতে চলবো। অর্ধকল্প ধরে আসুরীয় মতে চলেছি, তাই এখানে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। উত্তরাধিকার অনেক বড় মাপের, সে’কথা আর জিজ্ঞাসা কোরো না। স্কুলে পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হলে তখন মুখ হলুদ-বর্ণ হয়ে যায়। এখানে অনেক সাজা ভোগ করতে হয়। বাবা সাক্ষাৎকার করান। আমি স্বয়ং তোমাদের পড়াতাম আর বলতাম শ্রীমতে চলো তবুও মানো নি। কত অপরাধ করেছো, শতগুণ দন্ড দেয় কারণ বাবার সার্ভিসে বিঘ্ন ঘটায়। বাবার নিন্দা করায়। শ্রীমৎ অনুসরণকারীরা সর্বদা মিষ্টি হবে। কারোর উপর ক্রোধ করা তবে তা হলো আসুরীয় মৎ। কেউ মনে করে যে বাবা সভায় আমার সম্মানহানী করেছে, সকলের সামনে শুনিয়েছে। আরে! অসীম জগতের পিতা তো সকলের মান-সম্মান বাড়ায়। বাবার এত অসংখ্য বাচ্চা রয়েছে। এক-একজনকে আড়ালে বোঝাবেন কি? বাবা তো সকলের সামনে বলে দেন। বাবার শ্রীমতেই শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ হতে হবে। আপন মতে চললে পড়ে যাবে। পড়তে-পড়তে মরে যাবে। এখানে হলো চিন্তার চিতা। বাবা তো সেখানে নিয়ে যান যেখানে চিন্তার নাম নেই। সেইজন্য শ্রীমতে চলতে হবে। তারপর যা চাও তাই-ই হয়ে যাও। শ্রীলক্ষ্মীকে বরণ করার জন্য শক্তি চাই। নিজেদের মুখ আয়নায় দেখা উচিত — আমরা কতখানি উপযুক্ত হয়েছি। যতদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকবে ততদিন পর্যন্ত নলেজ নিয়ে যেতে হবে। তোমরা হলে জগদম্বার সন্তান। বাচ্চারা, যে মহিমা মাম্মার সেই মহিমাই তোমাদের। সেইজন্য জগদম্বা হয়ে যান মুখ্য। ১৬ হাজার, ১০৮-এরও মালা হয়। রুদ্র যজ্ঞ যখন রচিত হয় তখন লক্ষ শালগ্রাম আর একটি শিবের চিত্র তৈরী করা হয়। তাহলে তারাও সহযোগী হবে, তাই না!

তোমরা সকলেই হলে রুহানী যাত্রী, ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত, সঙ্গমযুগীয় ব্রাহ্মণ। পরমপিতা পরমাত্মা ব্রহ্মার দ্বারা নতুন রচনা রচে থাকেন। ধর্ম-সন্তান রচনা করেন। তোমরা শূদ্র ধর্ম থেকে বদল হয়ে এসে ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত হয়ে যাও। মায়া হলো বড় শত্রু। যোগ-যুক্ত হতে দেয় না। বাবা বলেন, এ’রকম কখনও বলবে না যে আমাকে যোগে বসাও। এক জায়গায় বসে যোগ করার অভ্যাস হয়ে যাবে, তখন আবার চলতে-ফিরতে যোগ লাগবে না। বলবে যে আমি দিদির কাছে গিয়ে যোগে বসবো। বাবা বলেন, চলতে-ফিরতে বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। ব্যস। গীতা যারা শোনায় তারা এ’রকমভাবে বলতে পারে না। এই বাবাও বলেন — মামেকম্ (একমাত্র আমাকেই) স্মরণ করো। তোমরা স্বর্গের সাক্ষাৎকারও করেছো। এখন বাবা বেশীকিছু করান না, নাহলে নতুন লোকেরা মনে করবে যে এ হলো জাদু। গানটি ছিল মাম্মার মহিমা কীর্তনের। মাম্মা তো ইনিও(ব্রহ্মা)। কিন্তু মাতাদের দেখভালের জন্য জগদম্বাকে নিযুক্ত করা হয়েছে। ড্রামায় নির্ধারিত করা রয়েছে। সকলের থেকে নিপুণও। ওঁনার মুরলী অতি আকর্ষণীয় (রসালো)। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে এই শ্রীকৃষ্ণ এখন প্রিন্স থেকে বেগার হয়ে গেছে। (শ্রীকৃষ্ণের চিত্র দেখে) বলো তুমি কি কর্ম করেছো যে স্বর্গের প্রিন্স হয়ে গেছো? অবশ্যই পূর্বজন্মে রাজযোগ শিখেছিলে। অবশ্যই স্বর্গের রচয়িতা বাবা, তিনিই হয়তো শিখিয়েছিলেন। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার সেবায় বিঘ্ন-রূপ হয়ে দাঁড়াবে না। শ্রীমতানুসারে চলে অনেক-অনেক মিষ্টি হতে হবে, কারোর উপরেই ক্রোধ করা উচিত নয়।

২ ) মায়ার থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য সঙতের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে, শূদ্রের সঙ্গ করা উচিত নয়। বাবাকে নিজের পোতামেল দিতে হবে। ঈশ্বরীয় বার্থ ডে পালন করা উচিত, আসুরীয় নয়।

বরদানঃ-

সময়ের পরিস্থিতি অনুসারে, স্ব-উন্নতি বা তীব্র গতিতে সেবা করা তথা বাপদাদার স্নেহের রিটার্ন দেওয়ার জন্য বর্তমান সময়ে তপস্যার অত্যন্ত আবশ্যকতা রয়েছে। বাবার প্রতি বাচ্চাদের ভালবাসা আছে কিন্তু বাপদাদা স্নেহের রিটার্ন স্বরূপ বাচ্চাদেরকে নিজের সমান দেখতে চান। সমান হওয়ার জন্য তপস্বী-মূর্তি হও। এরজন্য চারিদিকের কিনারা (পার) ছেড়ে অসীমের বৈরাগী হও। কিনারাকে সাহারা ক’রো না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top