23 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 22, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদেরকে নিজের চিন্তন করতে হবে, অন্যের চিন্তন নয়, কারণ ড্রামা অনুসারে যে করবে সে পাবে”

প্রশ্নঃ --

ত্রিকালদর্শী হয়ে আত্মার কোন্ কথাটি স্মরণে এসেছে ?

 

উত্তরঃ -:-

আত্মার স্মৃতি জাগ্রত হয়েছে যে – আমরা প্রকৃত রূপে মূল বতনের নিবাসী এই ড্রামাতে পার্ট প্লে করতে এসেছি, আমরা মুখ্য অভিনেতা রূপে ৮৪ জন্মের পার্ট প্লে করেছি, এখন বাবার সম্মুখে আছি, পুনরায় বাবার সঙ্গে ঘরে ফিরে যাব। পবিত্র হয়ে ঘরে ফিরতে হবে তারপরে সুখধামে আসতে হবে। এই সম্পূর্ণ খেলাটি ভারতকে নিয়েই রচনা করা হয়েছে। এই সমগ্র জ্ঞান ত্রিকালদর্শী হওয়ার জন্যই স্মরণে এসেছে।

গান:-

মরবো তোমার পথে, বাঁচবো তোমার পথে….

 

ওম্ শান্তি । এই গীত কে গেয়েছে ? বাচ্চারা গেয়েছে। কি বলে বাচ্চারা ! বাবা এখন তোমার গলার মালা হবো। এই শরীর তো এইখানে ত্যাগ করে দেব। বাচ্চারা জানে শান্তিধাম বা নির্বাণধামে পিতা ও আমরা আত্মা রূপী সন্তানরা থাকি। এখন বাবা ক্ষণে ক্ষণে বলেন নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করো। তোমরা জানো আমরা আত্মারা বাবার সঙ্গে নির্বাণধামে থেকেছি, পরে এই শরীর ধারণ করে ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করেছি। বাচ্চারা জানে আমরা হলাম যথাযথভাবে পরমধামের নিবাসী। পুনরায় বাবা এসেছেন এখন। তোমরা বসে আছো, দেখছো বাবা সামনে বসে আছেন। এখানে হল লৌকিক দেহের সম্বন্ধ। আমরা প্রকৃত রূপে ছিলাম আত্মা, পরে লৌকিক সম্বন্ধে সুখ ও দুঃখের জীবন যাপন করেছি। এখন তোমরা আত্মারা ত্রিকালদর্শী হয়েছো। বাবাও তিন কাল, তিন লোকের বিষয়ে জানেন। তোমরাও জানো ক্রম অনুযায়ী পুরুষার্থ অনুসারে। পড়াশোনার স্মৃতি তো থাকাই উচিত তাইনা। এখন স্মরণে এসেছে। বাবা বুঝিয়েছেন – তোমরা হলে মূল লোকের নিবাসী এখন তোমরা বাপদাদার দ্বারা ত্রিকালদর্শী হয়েছো। তোমরা জানো – এই ড্রামাতে আমরা হলাম মুখ্য অভিনেতা। সম্পূর্ণ ড্রামার নলেজ এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। স্মরণে এসেছে – আমরা অর্ধকল্প সুখধামে থাকি। সেখানে রাবণ নেই। আমরা আত্মারা সম্পূর্ণ ৮৪ জন্মের চক্র পরিক্রমা করি। এখন বাবা সম্মুখে বসে আছেন। বাবা তোমার শ্রীমৎ অনুসারে চলে আমরা তোমার সঙ্গে যাবো। যতখানি সম্ভব তোমাকে স্মরণ করবো। বাচ্চারা, তোমাদের সারাদিন এই চিন্তনে থাকা উচিত, কারণ তোমরা ত্রিকালদর্শী হয়েছো। উঁচু থেকে উঁচুতে হলেন ভগবান। তাঁর সঙ্গে তোমরা বাচ্চারাও উঁচু থেকে উঁচুতে থাকো। এখন বাচ্চারা তোমাদের নিজ পরমধামের কথা স্মরণে এসেছে। আমরা পবিত্র হয়ে নিজের পরমধাম গৃহে ফিরে যাব। পিতা শিবের পূজা হয় তো শালগ্রামেরও পূজা হয়। বাবা স্বয়ং এসে আত্মাদেরকে পবিত্র করেন। আত্মাদের পবিত্র করেন একমাত্র শিববাবা, অন্য কেউ পবিত্র করতে পারে না। এখন তোমরা সম্পূর্ণ ড্রামার খেলা জেনেছো। তোমরা বুঝেছো ভারতকে নিয়েই খেলাটি রচনা করা হয়েছে। অতএব বাচ্চারা, এখন বাবা তোমাদেরকে সম্মুখে বসে বোঝাচ্ছেন। প্রত্যেক জীব আত্মা জানে বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। তাঁকে ভক্তি মার্গে আত্মারা স্মরণ করেছে এবং তাঁর কাছে প্রতিজ্ঞাও করে এসেছে। বাবা তুমি এলে আমরা অবশ্যই তোমার শ্রীমৎ অনুসারে চলবো। এই কথাটি কোনো লৌকিক সম্বন্ধের কথা নয়। তোমাদেরকে দেহী-অভিমানী হয়ে এই চিন্তন করতে হবে যে, আমাদেরকে একমাত্র অসীম জগতের পিতার শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। তাঁর কথাই মেনে চলতে হবে। তিনি তো খুব সহজ করে বুঝিয়ে দেন। তোমাদের তৃতীয় নেত্র এখন খুলেছে। এই জ্ঞান তোমাদের এখনই আছে। মূল বতনে বাবা ও বাচ্চারা থাকেন। সেখানে এই কথা কারো নলেজে থাকে না। এখন বাচ্চারা, তোমাদেরকে বাবা নিজের অন্ত অর্থাৎ নিজের সকল রহস্য প্রদান করেন। তিনিই হলেন জ্ঞানের সাগর অন্য কোনো সৎসঙ্গে এমন বলবে না যে, বাবা আত্মাদেরকে অর্থাৎ আমাদেরকে পড়ান। এই কথা তোমরা জানো। ক্ষণে ক্ষণে তোমাদেরকে বলতে হয়, দেহী-অভিমানী হও। আত্মা হল এই ড্রামাতে একটি অভিনেতা, পার্ট প্লে করে। আমরা আত্মারা দেহ রূপী বস্ত্র ধারণ করেছি আর ওই অভিনেতারা (স্থূল) পোশাক বদলায়।

তোমরা আত্মারা নিরাকারী দুনিয়া থেকে এখানে এসে এই দেহ রূপী বস্ত্র ধারণ কর। তারা শুধু নিজের পোশাক বদলায়। আমরা আত্মা, আমাদেরকে বাবা পুনরায় এসে রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করছেন। এখন তোমরা বাচ্চারা বুঝেছো – বাবা এসেছেন তাই নিশ্চয়ই আমরা বাবার সহযোগী হবো। পবিত্র হয়ে সম্পূর্ণ ভারতকে পবিত্র বানাবো। আমাদেরকে শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। শ্রীমৎ বলে – বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যে করবে সে পাবে। সবাই তো এসে পুরুষার্থ করবে না। যারা কল্প পূর্বে পুরুষার্থ করেছে, তারা ই করবে। এখন ফিরে যেতে হবে তাই পুরুষার্থ করে পবিত্র নিশ্চয়ই হতে হবে। আমরা উপরে মূল লোকের নিবাসী। সর্ব প্রথমে আমরা স্বর্গে এসেছিলাম তারপরে সিঁড়ি বেয়ে নীচে নেমেছি। বাবা বোঝান ভারতবাসীদের। ভারতেই আসেন। স্মরণও ভারতে করে যে, এসে আমাদের পবিত্র করো। শরীর ধারণ করে আমাদের শ্রেষ্ঠ কর্ম শেখাও। শরীরের নামও বিখ্যাত । এ হল ভাগ্যশালী রথ। বাবাও বলেন আমি সাধারণ দেহে প্রবেশ করি। আগেও বলা হয়েছিল – বাচ্চারা তোমাদের স্মরণে এসেছে যথাযথভাবে ৫ হাজার বছর পূর্বেও বাবা এই কথাই বলেছিলেন অন্য কেউ এই কথা বলতে পারে না। একমাত্র বাবা বলেন ৫ হাজার বছর পূর্বেও আমি এই শরীরে এসে তোমাদেরকে বুঝিয়ে ছিলাম।বাচ্চারা, এখন আবার তোমাদেরকে বলি – আত্ম-অভিমানী হও। যেমন নাটকের পাত্রদের জ্ঞান থাকে – আমাদেরকে কোন্ পোষাকটি পরিধান করে, কি-কি পার্ট প্লে করতে হবে। কিন্তু তারা তো হল দেহ-অভিমানী। এ হল অসীম জগতের কথা। দেহী-অভিমানী হতে হবে। আমরা প্রকৃত রূপে হলাম আত্মা। এখন আমাদের পার্ট পূর্ণ হচ্ছে। বাবা সম্মুখে বসে সব কিছু তোমাদেরকে বোঝাচ্ছেন, এই কথাটি ভুলে যাবে না। মায়া অনেক বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বাবা বোঝান – বাচ্চারা, তোমরা কোনো রকম বিকর্ম করবে না। মনে ঝড় অনেক আসবে। নিজের পরীক্ষা নিতে হবে। আমাদের কর্মেন্দ্রিয় গুলি চলমান হয় না তো ? আমরা কাম বিকারকে জয় করতে পারি কি ? তোমাদের জন্য তো খুব সহজ। আমরা আত্মা, এক পিতার সন্তান। বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হতে হবে। কর্মেন্দ্রিয়গুলি চলমান হওয়া অর্থাৎ দেহ-অভিমানে থাকা তাইনা। তোমরা কাউকে ভয় করবে না। নির্ভয় হতে হবে। যেখানেই যাও সাক্ষী স্বরূপে দেখতে হবে। আমরা তো আত্মা। এই খেলাটি তোমরা পুরোপুরি জেনে গেছো। উঁচু থেকে উঁচু হলেন বাবা, এই কথাটি বুদ্ধিতে আছে, তাঁকে বিন্দু বলা হয়। নিরাকারী দুনিয়ায় আত্মাদের বৃক্ষ আছে। বীজ থেকে বৃক্ষ উৎপন্ন হয় তারপরে ক্রম অনুসারে পাতা বেরোয়, এও ঠিক সেই রকম। উপরের থেকে ক্রম অনুসারে আত্মারা নীচে নেমে আসে। আত্মা কীভাবে প্রবেশ করে, কীভাবে বেরিয়ে যায়, তা কেউ দেখতে পায় না। এখন বাবা বোঝাচ্ছেন তোমাদের আত্মা পতিত হয়েছে, তাকে পবিত্র করো। ব্রহ্মার দ্বারা শিববাবা বসে বোঝান। বাবা কর্মেন্দ্রিয়ের সাহায্যে তো কথা বলেন তাইনা। আত্মা বিন্দু যদি এর ভিতরে না থাকে তবে কর্মেন্দ্রিয় কিছু করতে পারবে না। এত সূক্ষ্ম বিন্দু কতখানি পাওয়ারফুল, এতেই সম্পূর্ণ নলেজ ভরা আছে। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর উনি বসে তোমাদেরকে বোঝান। ওঁনার মধ্যে সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে। তাঁর এই পার্টও ড্রামাতে নির্দিষ্ট আছে। তোমাদের আত্মাতেও ৮৪ জন্মের পার্ট আছে। তোমরা দুঃখ-সুখের পার্ট প্লে কর। দুঃখে অনেক কষ্ট কর। বাবা বলেন – আমি তো পুনর্জন্মে আসি না, তোমরা ৮৪ জন্ম গ্রহণ কর। আমি জন্ম গ্রহণ করি না। বাচ্চারা, আমি এসে তোমাদেরকে সহজ যুক্তি বলি যে, আমাকে স্মরণ করো তাহলে পবিত্র হবে। অর্ধকল্প তোমরা কাম চিতায় বসে তমোপ্রধান হয়েছো। আত্মাদের সঙ্গেই বাবা কথা বলেন। আত্মার অর্গ্যান্স বা কর্মেন্দ্রিয় গুলি প্রথমে ছোট থাকে পরে বড় হয়। আত্মা তো ছোট বড় হয় না। আত্মা ই বলে পতিত পাবন এসো। আত্মা বাবাকে ডাকে। বাবা বলেন – আমি কল্প-কল্প আসি, তোমরা পতিত তোমাদেরকে পবিত্র করতে। এখন তোমরা জানো আত্মা কীভাবে আসা যাওয়া করে। মানুষ খুব বুদ্ধি খাটায় যে, আত্মা কীভাবে বের হচ্ছে, দেখি, কিন্তু কেউ জানতে পারে না কারণ আত্মা হল অতি সূক্ষ্ম। ছোট আত্মাতে কতখানি পার্ট ভরা থাকে। যেমন বীজের ভিতরে সম্পূর্ণ নলেজ থাকে, ওই বীজ তো হল জড়। বট গাছের বীজ কত ছোট হয়, গাছ বের হয় বিশাল। কোলকাতায় যে বট গাছ আছে অনেকেই দেখেছে। বিশাল বট বৃক্ষ। বর্তমানে সেই বৃক্ষের ফাউন্ডেশন অর্থাৎ শেকড় নষ্ট হয়ে গেছে। বাদ বাকি গাছ টা দাঁড়িয়ে আছে। এও সেইরকম ই। দেবতা ধর্মের ফাউন্ডেশন নেই। বৃক্ষটি এখন জর্জরিত অবস্থায় আছে। এই কথাও তোমরা জানো তবেই তো গভর্নমেন্টকেও বলো যে আমরা এই সময়ের মধ্যে দুনিয়াকে পবিত্র করে দেখবো। মানুষ এইসব কথা বোঝে না। তোমাদের তো নিশ্চয় আছে যে, আমরা এই ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী অবশ্যই বানাবো, তখন ভ্রষ্টাচারী দুনিয়ার বিনাশ হবে। এই যে সবাই চায় শান্তি স্থাপন হোক। আত্মা পার্ট প্লে করে ক্লান্ত হয়েছে, তাই আহবান করে – হে শান্তি দেবা। এই কথা তো বোঝে না যে, আত্মা হল শান্ত স্বরূপ। কিন্তু এখানে আত্মাকে কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্ম তো নিশ্চয়ই করতেই হবে। আত্মা বলে শান্তি দাও। এই কথা কেউ জানেনা যে, শান্তিধাম আলাদা, সুখধাম আলাদা। সুখধামে অল্প সংখ্যায় মানুষ থাকে। ওই হল পবিত্র দুনিয়া। সেখানে কেউ শান্তি চায় না। কর্ম তো সেখানেও করে, কিন্তু সেখানে অশান্তি হয় না। জীবন মুক্তিধাম অথবা শান্তিধাম দুই ই হল আলাদা। সত্য যুগে জীব আত্মাদের কাছে সুখও থাকে শান্তিও থাকে। এভারহেলদি ওয়েলদি থাকে।

এখন তোমরা জানো স্বর্গ কাকে বলা হয়। দুনিয়ায় এই কথা কেউ জানে না যে স্বর্গ কি । এরা (লক্ষ্মী – নারায়ণ) তো সন্তান তাইনা। এই বাচ্চাদেরকে সুখ দিয়েছে কে ? কেউ সুখ প্রদান করেছে তাইনা। এদের রাজ্য কি আবার আসছে ? স্বর্গ অবশ্যই রিপিট হবে। স্বর্গে যখন থাকবে তখন এমন বলবে না যে নরক আবার রিপিট করবো। এখন বলছো যে, পবিত্রতা সুখ-শান্তির নতুন দুনিয়া রিপিট হবে। এই হল পুরানো দুনিয়া দুঃখ ধাম, একেই বলা হয় আয়রন ইয়েজ অর্থাৎ লৌহ যুগ। নতুন দুনিয়াও ছিল তাইনা! যাকে স্বর্গ বলে। এই জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। যথাযথভাবে আমরা পুনরায় দেবী-দেবতায় পরিণত হচ্ছি। তোমাদের এই হল এইম অবজেক্ট হল । আমরা পুনরায় স্বর্গের বাদশাহী প্রাপ্ত করি। অসীম জগতের পিতার কাছে স্বর্গের অধিকার অবশ্যই নেব। এই কথাটি ভালোভাবে স্মরণ করতে হবে। আমরা আত্মারা সেখানে বাস করি, পরে এইখানে আসি পার্ট প্লে করতে। এখন স্মরণে এসেছে – ৮৪ জন্ম কীভাবে গ্রহণ করি। বাবা বোঝানও তোমাদেরকে অর্থাৎ ব্রহ্মা মুখবংশী ব্রাহ্মণদেরকে। ব্রাহ্মণ না হয়ে, প্রজাপিতা ব্রহ্মার সন্তান না হয়ে শিববাবার কাছে স্বর্গের অধিকার কীভাবে প্রাপ্ত করবে । প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন বিখ্যাত, তাইনা। ব্রহ্মার দ্বারা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা করেন। সুতরাং নতুন দুনিয়ার রাজ্যও নিশ্চয়ই তারাও প্রাপ্ত করেন। ৫ হাজার বছর পূর্বেও ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণু পুরীর স্থাপনা করেছিলেন। এখন পুনরায় রিপিট হবে। তার জন্য তোমরা প্রস্তুতি নিচ্ছ। অনেক বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে – ড্রামাকে বড় মনে করবো নাকি পুরুষার্থকে ? বোঝানো হয় পুরুষার্থ তো অবশ্যই করতে হবে। পুরুষার্থ না করলে প্রালব্ধ কীভাবে প্রাপ্ত হবে । সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে। কেউ ভালো ভাবে পুরুষার্থ করে তখন বুঝতে পারা যায় যে ড্রামা অনুসারে এনার পুরুষার্থ ভালো ভাবেই চলছে। পদও ভালো প্রাপ্ত হবে। তাদের পুরুষার্থ খুব তীব্র গতিতে চলে। চলতে চলতে অনেকের আবার পদ কমও হয়ে যায়। ব্রাহ্মণীরা জানে, ব্রাহ্মণীদের কাছে যারা আসে তারাও জানে। অমুক ভালো পুরুষার্থ করতো, আজকাল আসে না। তারা বলে আমাদের বুদ্ধিতে কেন ঢোকে না, বাবাকে আমরা স্মরণ করতেই পারি না। তাই আমরা আর চলতে পারবো না। এটা হল উঁচু লক্ষ্য । এমন এমন কথা লিখে দেয়। মুখ্য কথা হল নির্বিকারী হওয়া। বিকার ত্যাগ করা খুব কঠিন। তোমরা জানো ড্রামা অনুসারে কল্প পূর্বের মতন এদের এমন অবস্থা চলছে। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই বেহদের খেলাটিকে সাক্ষী হয়ে দেখতে হবে। কাউকে ভয় পাবে না। নির্ভয় হওয়ার জন্য “আমি আত্মা” এই পাঠ পরিপক্ক করতে হবে।

২ ) নিজের চেকিং করে নিজেরই পরীক্ষা নিতে হবে যে কোনও কর্মেন্দ্রিয় চলমান হয় না তো ? কাম বিকারকে জয় করেছো ? দেহী-অভিমানী হয়েছো কতখানি ?

বরদানঃ-

“আমি ও আমার বাবা” – এই স্মৃতিতে কম্বাইন্ড থাকো এবং এই শ্রেষ্ঠ পজিশনে সদা স্মৃতি যেন থাকে যে আমরা আজ ব্রাহ্মণ কাল হবো দেবতা। আমরা-ই সেই (ব্রাহ্মণ), সে-ই আমরাই (দেবতা) – এই মন্ত্র সদা স্মরণে থাকলে তো এই নেশা ও খুশীতে পুরানো দুনিয়া সহজেই ভুলে যাবে। সর্বদা এই নেশাই থাকবে যে, আমরাই হলাম কল্প-কল্পের অধিকারী আত্মা। আমরাই ছিলাম, আমরাই আছি এবং আমরাই কল্প-কল্প থাকবো।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top