23 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

23 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

23 December 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - এটা হল সুন্দর কল্যাণকর সঙ্গমযুগ, যে যুগে স্বয়ং বাবা এসে পতিত ভারতকে পবিত্র বানিয়ে দেন”

প্রশ্নঃ --

সঙ্গমযুগে যখন বাবা আসেন, তখন ওঁনার আসা মাত্রই কোন্ ইশারা পাওয়া যায় ?

উত্তরঃ -:-

এই পুরাতন দুনিয়ার বিনাশের ইশারা সকলেরই প্রাপ্ত হয়ে যায়, কারণ বাবা আসেনই পতিত সৃষ্টির বিনাশ করতে। তাই বিনাশের দৃশ্যের দিব্য দর্শনও হয়ে থাকে। এখন তোমরা সামনেই নতুন দুনিয়ার বৃক্ষ দেখতে পাচ্ছ।

গান:-

তোমাকে পেয়ে আমরা…

ওম্ শান্তি । বাস্তবে বলা উচিত যে আত্মা রূপী সন্তানদের উদ্দেশ্যে আত্মাদের পিতা গুড মর্নিং করছেন, কারণ বাচ্চারা জানে যে বাবা রাত্রিকে দিন বানানোর জন্যই আসেন। এটা নিয়ে হিসাব করা হয়। বাবা ঠিক কোন সময় আসেন ? কোনো তিথি বা তারিখ জানা নেই। অবশেষে বাবা আসেন কোন্ সময়ে ? নিশ্চয়ই যখন ১২টা বেজে ১ মিনিট হয়েছিল, তখন বাবা এই শরীরে প্রবেশ করেছিলেন। এটা হলো অসীম রাত্রি এবং দিন। এর কোনো তিথি বা তারিখ বলা সম্ভব নয়। তিনি কেবল নিজের সন্তানদেরকে বলেন যে আমি এসে রাত্রিকে দিন, নরককে স্বর্গ বা পতিত দুনিয়াকে পবিত্র দুনিয়া বানিয়ে দিই। বোঝা যায় যে রাত্রিকেই বাবার আগমনের সময় বলা হয়। শিবরাত্রি বলা হয়। তিনি রাত্রিকে দিন বানানোর জন্য আসেন। তাঁর কি কোনো ঠিকুজি কুষ্ঠী আছে ? কৃষ্ণের জন্মেরও তিথি তারিখ কেউ জানে না, কারণ তাকে অনেক দূরে নিয়ে গেছে। এইসব কথা কেউই জানে না। কৃষ্ণের জন্ম কবে হয়েছিল ? সাল, তিথি, তারিখ কিছুই জানা নেই। কেবল রাত্রে পালন করা হয়। বাস্তবে শিববাবা রাত্রেই আসেন। তোমরা বাচ্চারা বলো যে শিববাবার রাত্রি। ভারতেই শিবরাত্রি পালিত হয়। শিবজয়ন্তীও বলা হয়, কিন্তু বাস্তবে শিব জয়ন্তী বলা উচিত নয়। কারণ তাঁর তো মৃত্যু হয় না। মানুষের জন্ম মৃত্যু হয়। তাঁর তো মৃত্যুই হয় না। তাই শিব জয়ন্তী বলা ঠিক নয়। শিবরাত্রি বলাটাই সঠিক। এইসব কথা শিববাবাই বলছেন। অন্য কেউ এভাবে বলতে পারবে না। অনেকেই শিবোহম বলে, কিন্তু কেউই বলতে পারবে না যে আমি কখন আসি। এসে কোন্ কর্তব্য করি ? শিববাবা বলছেন এখন অর্ধেক কল্পব্যাপী রাত্রি শেষ হয়ে দিনের শুরু হচ্ছে। এখন গীতার পর্ব রিপিট হচ্ছে। মৃত্যুর ঝড় খুব নিকটে এসে হাজির। এটা পতিত দুনিয়া, কলিযুগের অন্তিম সময়। সামনেই বিপদ। বোঝা যায় যে এটাই সেই মহাভারতের যুদ্ধ যার উদ্দেশ্যে শাস্ত্রে লেখা আছে যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের দ্বারা পুরাতন দুনিয়ার বিনাশ হয়। তাহলে অবশ্যই গীতার ভগবান এসেছেন। কলিযুগের অন্তিমেই আসবেন। সত্যযুগের প্রথম রাজকুমার কখনোই দ্বাপর যুগে থাকতে পারেন না। মানুষ ৮৪ টা শরীর পায়। প্রত্যেক জন্মেই চেহারা বদলে যায়। এক জন্মের সাথে অন্য জন্মের চেহারা মিলবে না। হয়তো এখন কৃষ্ণের পূজা করে কিন্তু হুবহু একই চেহারা বানাতে পারবে না। তাঁর ছবি তোলাও সম্ভব নয়। এমনি আন্দাজে মাটির কিংবা কাগজের ওপর ছবি বানিয়ে নেয়। যখন তোমাদের দিব্য দর্শন হয়, তখন তোমরা একদম একই চেহারা দেখতে পাও। কিন্তু ছবি তোলা সম্ভব নয়। মীরা তো কৃষ্ণের সঙ্গে নাচ করত। সে খুব বিখ্যাত ছিল। প্রধান ভক্তদের মধ্যে তার নাম করা হয়। কৃষ্ণকে স্মরণ করার সঙ্গে সঙ্গেই কৃষ্ণের দর্শন পেত। কৃষ্ণের সাথেই ভালোবাসা ছিল। এইভাবে দিব্য দর্শন হত বলে সে পবিত্র থাকতে চাইত। জানত যে ঐ দুনিয়ায় বিকার থাকে না। কৃষ্ণকে ভালোবাসলে অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। কোনো পতিত ব্যক্তির সাথে কৃষ্ণের দেখা হবে না। মীরা পবিত্র ছিল বলেই তার এত মহিমা। বাবাই এইসব রহস্য বলছেন। ভক্তিমার্গে ওদের অল্প সময়ের জন্য কিছু ক্ষণস্থায়ী ভাবনা পূরণ হয়ে যায়। দর্শন হয়, যা মনস্কামনা থাকে, সেগুলো অল্প সময়ের জন্য পূরণ হয়ে যায়। অনেক রকমের দেবতা আছে। তাদের দর্শন পেতে চায়। ড্রামার প্ল্যান অনুসারে সেইসব মনস্কামনা পূরণ হয়ে যায়। এগুলো ভক্তিমার্গেই আছে। বেদ শাস্ত্র পড়লে কিংবা মাথা ঠুকলে মুক্তি কিংবা জীবন মুক্তি পাওয়া যায় না। আগে বেনারসে গিয়ে কাশী কলবট খেত। মনে করত যে শিবপুরীতে যাবে অর্থাৎ মুক্তি পেয়ে যাবে। কিন্তু যেতে পারে না। কেবল বাবাই মুক্তিতে নিয়ে যেতে পারেন। তাঁকেই মুক্তি এবং জীবন মুক্তির দাতা বলা হয়। অন্য কেউ নিয়ে যেতে পারে না। সত্যযুগে যখন লক্ষ্মী নারায়ণের রাজত্ব ছিল, তখন জীবন মুক্তি ছিল। জীবন বন্ধন ছিল না। খুব কম মানুষ ছিল। এখন কত কোটি কোটি মানুষ আছে। সত্যযুগে এত মানুষ ছিল না। তখন বাকি সবাই কোথায় ছিল ? এইসব এখন তোমরা জেনেছ। এখন তোমরা সৃষ্টির আদি মধ্য এবং অন্তিমের জ্ঞান পেয়েছ। কেউই রচয়িতা এবং রচনার আদি মধ্য এবং অন্তিমের কাহিনী জানতে পারে না। এখন তোমরা জেনেছ যে এখন এই পতিত সৃষ্টির অন্তিম সময়। ওরা মনে করে যে কলিযুগের এখনো ৪০ হাজার বছর বাকি আছে। কিন্তু তোমরা জানো যে কলিযুগের এখন বিনাশ হবে। তাই বাবা এসে সমস্ত জ্ঞান শোনাচ্ছেন। ভগবান হলেন সর্বশ্রেষ্ট। এখানেই তাঁর জন্ম হয়। তিনি সঙ্গমযুগে আসেন এবং বিনাশ হওয়ার ইশারা দেন। বিনাশের দিব্য দর্শনও করিয়ে দেন। দেখানো হয়েছে যে অর্জুনের দিব্য দর্শন হয়েছিল। তোমরা বাচ্চারাও অনেকে দর্শন করেছ। যত নিকটে আসবে, তত বেশি দেখতে পাবে। মানুষ যখন ঘরের নিকটে আসে, তখন সব কথা মনে পড়ে। তোমাদেরও অনেক দিব্য দর্শন হবে। মুক্তিধামে গিয়ে, তারপর সেখান থেকে জীবন মুক্ত অবস্থায় আসতে হবে। তোমরা জানো যে আমরা বরাবর বিশ্বের মালিক ছিলাম। বাবা বলেন, আমি প্রতি ৫ হাজার বছর পর এসে তোমাদেরকে রাজযোগ শেখাই। এখন ভবিষ্যতের নতুন দুনিয়ার জন্য স্থাপন কার্য চলছে, যা সঙ্গমযুগেই হয়। ওরা শুদ্র, তোমরা ব্রাহ্মণ। আর এরা দেবতা। কোনো শাস্ত্রে এইসব কথা লেখা নেই। মানুষ জানেই না যে কাকে সঙ্গমযুগ বলা হয়। একেই বলা হয় সুন্দর কল্যাণকর সঙ্গমযুগ। এই যুগেই পতিত ভারত পবিত্র হয়ে যায়। বাবাও কল্যাণকারী। তিনি ভারতেই আসেন। বাবা বলছেন, এখন তোমাদের ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন তোমরা পতিত হয়ে গেছ। একজনও পবিত্র নেই। সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে গেছে। বিকারের দ্বারা জন্ম নেয়। তোমরা শ্রেষ্ঠ দেবী দেবতা ছিলে। তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র হয়েছ। এখন ব্রাহ্মণ হয়েছ, এরপর দেবতা হবে। অন্তিম সময়ে তিনি এসে প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ দ্বারা স্থাপন করেন। কি স্থাপন করেন ? স্বর্গ। দেবী দেবতা ধর্ম স্থাপন করেন। তোমরা এখানে দেবী দেবতা হওয়ার জন্য এবং দিব্য গুন ধারণ করার জন্যই এসেছ। তোমরা বাচ্চারা জানো যে ওখানে কোনো বিকারগ্রস্ত মানুষের প্রবেশাধিকার নেই। প্রথমেই পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা নিতে হবে। একবার প্রতিজ্ঞা করে যদি প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করো, তাহলে রসাতলে চলে যাবে। চন্ডাল হয়ে জন্ম নেবে। কোনো পতিত এখানে বাবার সামনে আসতে পারে না। যদি কোনো ব্রাহ্মণী ভুল করেও নিয়ে চলে আসে, তাহলে তার ওপরেও অনেক দোষ লেগে যায়। দুজনেই চন্ডাল হয়ে যায়। যে পবিত্র হতে পারে না, তার এখানে আসার অনুমতি নেই। পার্সোনাল ভাবে এসে বুঝতে পারে, কিন্তু সভার মধ্যে আসতে পারে না। যদি ভুল করে নিয়ে চলে আসে, তাহলে বড়ই দোষ হয়ে যায়। এখানে আসে তো অনেকেই । সকলেই জানে যে অসীম জগতের বাবার কাছে যাচ্ছি। তাই অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। মীরা পবিত্র ছিল বলে তার কত সম্মান। এখন তোমরা জ্ঞান অমৃত পান করাচ্ছ আর ওরা বলছে আমাদের বিষ চাই। বিষের (বিকার) জন্য অবলাদের ওপর কত অত্যাচার করে। এখানে কৃষ্ণের কোনো ভূমিকাই নেই। এটা খুব বড় ভুল যে ভগবানের বদলে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। বাবা বোঝাচ্ছেন, ভক্তরা বলে যে ভক্তি করার পর ভগবান এসে ফল দেন। তাহলে এখন ভক্তি করে তো আর কোনো লাভ নেই। কিন্তু কিছুই বোঝে না। ভারত একসময় গোল্ডেন এজেড ছিল। এখন আয়রন এজেড হয়ে গেছে। মানুষ বলে – হে পতিত পাবন, তুমি এসো। এর অর্থ এটাই যে নিজেদের পতিত বলে মনে করে। কিন্তু কাউকে যদি তুমি পতিত বা নরকবাসী বলো, তাহলে সে বুঝতে পারবে না। বাবা যখন বুদ্ধিমান বানিয়ে দিয়েছিলেন, তখন স্বর্গ ছিল। এখন অবুঝ হয়ে যাওয়ার জন্য কাঙাল হয়ে গেছে। যখন দেবী দেবতাদের রাজত্ব ছিল, তখন ভারত কত শ্রেষ্ঠ ছিল। বলা হয়, স্বর্গ ছিল, লক্ষ্মী নারায়ণের রাজত্ব ছিল। কিন্তু তারপরেও শাস্ত্রে এমন সব কথা লিখে দিয়েছে যে মানুষ ভাবে ওখানেও অসুর ছিল। এইসব শাস্ত্রের দ্বারা কারোর সদগতি হয় না। বাবা এসেই সদগতি করান। এটা রাবণ রাজ্য। সেইজন্যই মানুষ রাম রাজত্ব চায়। কিন্তু মানুষ জানে না যে কবে থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয়েছিল। জ্ঞানের সাগর বাবা সবাইকে সদগতিতে নিয়ে যান। এই কথাগুলো ভালো করে বুঝতে হবে। প্রত্যেক আত্মাই অবিনাশী ভূমিকা পেয়েছে। শান্তিধাম থেকে আত্মা এই পৃথিবীতে অভিনয় করতে এসেছে। আত্মাও অবিনাশী, ড্রামাও অবিনাশী। সেই ড্রামাতে আত্মা হলো অবিনাশী এক্টর। আত্মা পরমধামে থাকে। ৮৪ জন্মের গায়ন আছে। ওরা তো ৮৪ লক্ষ বলে দেয়। পরমাত্মা প্রতিটি কণায় কণার আছে বলে দিলে অনেক গ্লানি করা হয়। তিনি তো ভারতের অনেক উপকার করেন, স্বর্গ বানিয়ে দেন। রাবণ এসে অপকার করে নরক বানিয়ে দেয়। এটাই হলো সুখ দুঃখের খেলা। এখন এটা কাঁটার জঙ্গল হয়ে গেছে। বাবা এসে কাঁটা থেকে ফুল বানিয়ে দিচ্ছেন। সবথেকে বড় কাঁটা হলো কাম বিকার। এখন বাবা বলছেন, আমি পবিত্র বানাতে এসেছি। যে পবিত্র হবে, সে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। বাবা সহজ যোগ শেখাতে এসেছেন। তিনি বলছেন, আমাকে অর্থাৎ নিজের প্রেমিককে স্মরণ করো। সব আত্মাই সেই অদ্বিতীয় প্রেমিকের প্রেমিকা। তিনি এসে সবাইকে মুক্তিধামে নিয়ে যান। কিন্তু বাবা বলছেন, তোমরা পতিত হয়ে গেছ, তাই যেতে পারবে না। আমাকে স্মরণ করলে সেই খাদ বেরিয়ে যাবে। ড্রামা অনুসারে যখন সময় আসে, তখন আমি তোমাদের মতো সন্তানদেরকে পবিত্র বানানোর জন্য আসি। এটাই সেই মহাভারতের যুদ্ধ। এই মৃত্যুপুরীতে এটাই শেষ যুদ্ধ। অমরপুরীতে কোনো যুদ্ধ হয় না। ওটা তো রাম রাজ্য। ওখানে ধর্মাত্মারা থাকে। এখানে পাপ আত্মারা আছে। তারা পাপ করতে থাকে। পুণ্য আত্মাদের দুনিয়াকে স্বর্গ বলা হয়। বাবা বলেন – আমি এক সেকেন্ডে তোমাদের উত্তরণ কলায় নিয়ে যাই। এ’তে কেবল একটা অন্তিম জন্ম লাগে এবং অবতরণের সময় ৮৪ জন্ম লেগে যায়। তাই বাবা বলছেন, উঠতে-বসতে আমাকে স্মরণ করো। এই সাধু-সন্ন্যাসীদেরও উদ্ধার করার জন্য আমাকে আসতে হয়। তমোপ্রধান বুদ্ধিসম্পন্ন লোকেরা যা শোনে সেটাই সত্যি সত্যি বলতে থাকে। তারা অন্ধশ্রদ্ধা করে তাই না ! এ’কে বলা হয় অন্ধবিশ্বাস, তারা পুতুলের পূজা করতে থাকে, তাদের বায়োগ্ৰাফিকে জানে না। এখন বাবা এসে এ’সবের জ্ঞান প্রদান করেন, এ’কে রুহানী স্পীরিচুয়‍্যাল নলেজ বলা হয়। ওইসব হলো শাস্ত্রের ফিলোজফি। এটাও বাবা-ই এসে বাচ্চাদের বোঝান। দুনিয়াতে তো এমন একজন মানুষও নেই, যে পরমপিতা পরমাত্মাকে যথার্থ রীতিতে জানে ! মানুষ হয়ে যদি বাবাকে না জানে তাহলে তো পশুর চেয়েও খারাপ। দেবতাদের সামনে গিয়ে মহিমা গায়ন করা হয়, তুমি সর্বগুণসম্পন্ন… দুজনেই মানুষ কিন্তু এখানে হলো কাঁটায় ভরা জঙ্গল। বাবা তোমাদের কাঁটা থেকে ফুল বানান। ভারত সত্যের দেশ ছিল, তারপর রাবণ এসে মিথ্যের দেশ বানিয়ে দিয়েছে। একমাত্র পরমপিতা পরমাত্মা সত্যের দেশ বানান। বাবা-ই এসে পরিচয় দেন, ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের। এই জ্ঞান তখন থাকবে না। তোমরা বাচ্চারা যোগবলের দ্বারা বিশ্বের মালিক হও। বাহুবলের দ্বারা কখনো কেউ বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করতে পারে না। ভারত বিশ্বের মালিক ছিল, ভারতই এখন কাঙাল হয়ে গেছে। মানুষের বুদ্ধি এমন যে, বাইরে বোর্ডেও দেখে লেখা রয়েছে প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারী… তবুও বোঝে না যে এটা একটা ঈশ্বরীয় পরিবার। অনেক বি. কে রয়েছে, এতে অন্ধশ্রদ্ধার বিষয় থাকতে পারে না। এটা হলো ঈশ্বরীয় পরিবার। ওরা মনে করে এটা কোনো ইনস্টিটিউশন। আরে, এটা তো ফ্যামিলি না ! কুমার, কুমারী… এটা তো হলো ঘর তাই না ! তোমরা এত প্রদর্শনী করো, বোঝাও, তবুও খুব কমজনই বুঝতে পারে। তারা যখন সাত দিনের কোর্স করে এবং খুব স্পষ্টভাবে বুঝতে পারে তখনই তাদের বুদ্ধিতে বসতে পারে, বাবা পুনরায় এসেছেন অসীমের উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) উত্তরণ কলায় যাওয়ার জন্য উঠতে-বসতে এক বাবার স্মরণে থাকতে হবে। বাবার সমান সবার উপকার করতে হবে।

২ ) জ্ঞান অমৃত পান করতে হবে এবং অন্যদেরও পান করাতে হবে। কাঁটাদের ফুল বানানোর সেবা করতে হবে।

বরদানঃ-

যারা প্রাপ্তির দ্বারা সম্পন্ন হয়, তাদের প্রতিটি আচরণে, চোখে মুখে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়। কিন্তু সাহস এবং উৎসাহ উদ্দীপনার অবিনাশী স্ট্যাম্প লাগানোর জন্য নিজের অতীতের এবং ঈশ্বরীয় মর্যাদার বিপরীত যে সংস্কার, স্বভাব, সংকল্প এবং কর্ম হয় তার প্রতি জীবন্মৃত হও। প্রতিজ্ঞা রূপী সুইচকে সেট করে প্রাক্টিক্যালে প্রতিজ্ঞা অনুসারে চলতে থাকো। সাহসের সাথে উৎসাহ উদ্দীপনা থাকলে তবেই প্রাপ্তির ঝলক দূর থেকেই দেখা দেবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top