22 September 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

September 21, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা — এই অনন্ত ড্রামাতে হিরো হিরোইনদের ভূমিকা তোমাদের পালন করতে হবে, বাবাকে নয়। বাবার কাছে শুধুমাত্র পতিতদের পবিত্র করে তোলার দক্ষতা আছে"

প্রশ্নঃ --

ব্রহ্মার চিত্র দেখে যারা প্রশ্ন করে, তাদের কোন্ রহস্যটিকে বুঝিয়ে বলতে হবে?

উত্তরঃ -:-

তাদের বোঝাতে হবে যে ইনিই আদি থেকে অন্তিম পর্যন্ত ভূমিকা পালনকারী আত্মা। যিনি প্রথমে রাজকুমার শ্রী কৃষ্ণ, ওনারই অন্তিম জন্মে বাবা আসেন। এনারও শরীর পতিত হয়ে যায়, এনাকেও পবিত্র হতে হয়। ইনি কোনো ভগবান নন। ভগবান তো চির-পবিত্র হন। ভগবানকে এনার শরীরের আধার নিতে হয়।

গান:-

চেহারা দেখে নে রে প্রাণী তোর মন রূপী দর্পণে…

ওম্ শান্তি । বাবা বাচ্চাদের বুঝিয়েছেন যে শান্তির জন্য বাইরে গিয়ে দরজায়-দরজায় ধাক্কা খাওয়া উচিত নয়। হঠযোগী সন্ন্যাসীরা যেমন মনে করে – ঘর পরিবারে থেকে শান্তি পাওয়া যায় না। শান্তি জঙ্গলেই পাওয়া যায়। কিন্তু বাবা বোঝাচ্ছেন শান্তি সেখানেও পাওয়া যায় না। এই প্রসঙ্গে একটি গল্প আছে যে রাণীর গলায় হার ছিল কিন্তু বাইরে খুঁজে ফিরছিল….এরকমই শান্তি তো তোমাদের গলাতেই আছে। বাইরে কোথায় খুঁজে বেড়াচ্ছ। বাবা এসে বোঝান বাচ্চারা, তোমরা আত্মাদের স্বধর্মই হলো শান্তি। এই শরীর তো তোমাদের কর্মেন্দ্রিয়, যার মাধ্যমে তোমাদের ভূমিকা পালন করতে হয়। আত্মা তো অবিনাশী। আত্মা ছোট-বড় হয়না, না বিনাশ হয়। তবে হ্যাঁ আত্মা পতিত হয়ে যায়, একেই পবিত্র হতে হয়। আত্মা প্রথমে কিশোর শরীর পেয়ে থাকে তারপর যৌবন এবং শেষে বৃদ্ধ হয়। আত্মা তো একই। সর্বপ্রথম আত্মাকে জানতে হয়। আমি আত্মাই ব্যারিস্টার ইত্যাদি হই (প্রফেশনাল)। একে বলা হয়-আত্ম অভিমানী ভব। বাবা বোঝান বাচ্চারা তোমরা দেহ-অভিমানী হয়ে পড়েছ সেইজন্যই নিজেকে শরীর বলে মনে কর, এটা ভুলে যাও যে আমি আত্মা, এটা আমার শরীর। সুতরাং রিয়েলাইজ করতে হবে। আত্মাই ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে থাকে। এখন বাবা বুঝিয়েছেন যারা ব্রাহ্মণ হয়েছে তারাই দেবতা হবে। এমনটা নয় যে সবাই ৮৪ জন্ম নেবে। কেউ প্রথমেই আসবে, কেউ ৫০-১০০ বছর পরেও আসতে থাকবে। কারো আবার ৮০-৮২ জন্ম হবে। কারো যতবারই জন্ম হোক না কেন, মানুষ তো ৮৪ লক্ষ জন্ম বলে থাকে, এতেও সন্তুষ্ট না হয়ে বলে থাকে প্রতিটি কণায়-কণায় ভগবানের বাস। ভগবান বলছেন আমি কোনো মনুষ্য শরীরেই থাকিনা, সুতরাং জন্তু জানোয়ার, নুড়ি পাথর, প্রতিটি কণায় কিভাবে থাকতে পারি। বাবা বুঝিয়েছেন ক্রম অনুসারে লাস্ট নম্বরই তমোপ্রধান হয়ে যায়। আমি স্বয়ং বলে থাকি আমি অনেক জন্মের অন্তিমে এক সাধারণ শরীরে প্রবেশ করে থাকি। যে সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম গ্রহণ করেছে সে তো অবশ্যই পতিত হবে তাইনা। পবিত্র তো হতে পারে না। বাবা স্বয়ং বলেন প্রথম নম্বরে শ্রী কৃষ্ণ, প্রথম প্রিন্স। শ্রী নারায়ণ তো পরে হয়, যখন বড়ো হয়। সেও ২০-২৫ বছর কম হয়ে যায়। তাকে সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম বলা যায় না। প্রথম নম্বরেই হলেন শ্রী কৃষ্ণ। যদিও স্বয়ম্বরের পর নারায়ণ হয়ে যায়। কিন্তু হিসেব তো বাচ্চা বয়স থেকেই করতে হবে না! সম্পূর্ণ ৮৪ জন্ম,৫ হাজার বছরের জন্য শ্রী কৃষ্ণকেই বলা হয়। সুতরাং বাবা বসে বোঝান আমি কল্পে-কল্পে ঐ শরীরেই আসি, যার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পার্ট আছে। দ্বিতীয় আর কারো মধ্যে আসতে পারব না। হিসেব আছে না ! ব্রহ্মাই প্রথম নম্বর, আমি অন্য কারো মধ্যে কিভাবে আসতে পারি। তোমাদের মধ্যেও অনেকেই জিজ্ঞাসা করে এক ব্রহ্মার মধ্যেই কেন আসেন! কিন্তু এটাই তো হিসেব তাইনা। এটাই বোঝার বিষয়। গাওয়াও হয়ে থাকে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করেন। বিষ্ণু বা শঙ্কর দ্বারা স্থাপনা করেন না। এই কাজ অন্য কারো নয়। মানুষ রচনা আর রচয়িতাকে জানে না। এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। তৈরী করাই আছে… চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ’সবই এখনকার জন্য, যা ঘটার সেটা ঘটবেই। পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। আজ যা কিছু হচ্ছে আবারও ৫ হাজার বছর পরে হবে। বাবা তো বলেও দিয়েছেন – এইরকম কোনো বিষয়কে যদি দেখো, তাহলে বলো এটা নতুন কিছু নয়। ৫ হাজার বছর আগেও হয়েছিল। এভাবেই লিখে দাও। লিখলে কোনো ক্ষতি নেই। এই লড়াই আগেও হয়েছিল, নতুন কিছুই নয়। আবারও কল্প শেষে এমনটাই হবে। এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফীর পুনরাবৃত্তি হতেই থাকে। এখন পুনরায় আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের স্থাপনা হচ্ছে। যার ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে সেই প্রথম লক্ষ্মী-নারায়ণ হবে। এইসব রহস্য বাবাই বসে বোঝান। বাবা বলেন – আমি মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ, একে উল্টো বৃক্ষ বলা হয়। এই কল্প বৃক্ষের আয়ু ৫ হাজার বছর। স্বস্তিকাতেও ৪ টি ভাগ একইরকম দেখতে। যুগও একরকম, এর মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই। বাবা বোঝান বাচ্চারা দেখো, দুনিয়াতে কত কিইনা হচ্ছে। কেউ চাঁদে যাচ্ছে, কেউ আগুনের ওপর দিয়ে, কেউ আবার জলের উপর দিয়ে চলতে শেখে ।এসবই অযৌক্তিক, এসব করে কোনো লাভ নেই। মানুষ পবিত্র হয়ে মুক্তি-জীবনমুক্তিতে তো যেতে পারে না। যা কিছুই করুক না কেন ঘরে ফিরে যেতে পারবে না। আত্মা নিজের ঘর আর বাবার ঘরকে ভুলে গেছে। আত্মা নিজেকেই ভুলে দেহ-অভিমানী হয়ে গেছে। তারপর মন্দিরে গিয়ে মহিমা করে থাকে। তুমি সর্বগুণসম্পন্ন, আমি নীচ পাপী। নিজেকেই গ্লানি করে থাকে। বাবা কখনোই পূজারী হন না। তারপর বলে থাকে শঙ্করও চির পূজ্য। সে কখনোই পূজ্য হয়না। এখানে তার কোনো ভূমিকাই নেই। এই স্টেজে এখন ব্রহ্মা আর বিষ্ণুর ভূমিকা আছে। ব্রহ্মা আর বিষ্ণুর কি ভূমিকা আছে, তা দুনিয়ার কেউ-ই জানে না। ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা বলে থাকে, কিন্তু অর্থ কিছুই জানে না। গেয়েও থাকে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। কিন্তু কে তিনি তার কোনো চিত্র নেই। মুখেই বলে থাকে। শিব কে, তাও জানা নেই কারো। আত্মার বিষয়ে বলা হয়ে থাকে ভ্রুকুটির মাঝখানে ঝলমলে এক নক্ষত্র…. আমি আত্মা অবিনাশী, শরীর বিনাশী। কত শরীর ধারণ করে থাকে, কিছুই জানা নেই। মানুষ কত দুঃখী, মাথা ঠুকতে থাকে – ও গড ফাদার! যখন থেকে দুঃখ শুরু হয়েছে, আহ্বান করে এসেছে। এটাও বোঝানো হয়েছে ভারতে যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয়েছিল এমন নয় যে অন্যান্য ধর্মওরাবণ রাজ্য হয়ে গেছে। তা নয়, ওদের তো নিজেদের সময়ানুসারে সতঃ, রজঃ, তমঃতে আসতেই হবে। এই কাহিনী সম্পূর্ণ ভারতবর্ষের জন্য। বাকি সবকিছু ফিক্সড। ভারত যখন তমোপ্রধান হয়ে যায় তখন সম্পূর্ণ সৃষ্টি রূপী বৃক্ষও তমোপ্রধান হয়ে যায়। ভারতকেও সুখ দুঃখ ভোগ করতে হয়। ঝাড় থেকে নতুন-নতুন পাতা বেরোলে অতি শোভনীয় হয়। নতুনকেও সতঃ, রজঃ, তমঃর মধ্য দিয়ে অবশ্যই আসতে হবে। শেষে যারা আসে তাদের কিছু মূল্য থাকে। এক জন্মেই সতঃ রজঃ তমঃ অতিক্রম করতে পারে, কিন্তু তাদের কোনো মূল্য থাকে না। মূল্য তো তাদের যারা হিরো-হিরোইনদের ভূমিকা পালন করে। এমনটা বলা হয় না যে বাবাই হিরো-হিরোইনদের ভূমিকা পালন করে থাকেন। বাবার জন্য একথা বলা হয় না। তিনি তো এসে পতিতদের পবিত্র করে তোলেন। স্বয়ং পতিত হন না। তোমরা পতিত থেকে পাবন হওয়ার জন্য পুরুষার্থ কর। শ্রীমতের আধারে রাজযোগ দ্বারাই রাজ্য প্রাপ্ত করেছিলে। এখন তোমরা পুনরায় নিতে চলেছ। বাবা বলেন – আমি তো রাজত্ব করিনা, তোমাদের রাজারও রাজা করে তুলি। এখন দুনিয়াতে মানুষ অনেক কিছু বলে থাকে। ভগবানুবাচ — আমি তোমাদের রাজারও রাজা করে তুলি, কিন্তু এর অর্থ না নিজে বুঝেছে, না অন্য কাউকে বোঝাতে পেরেছে। ভগবানুবাচ, যখন নিশ্চয়ই ভগবান এসেছিলেন তবেই তো বলেছেন হে বাচ্চারা, ভারতেই শিব জয়ন্তী, শিবরাত্রি পালন করা হয়। বাবা আসেন ভারত খন্ডে। ভারতই অবিনাশী খন্ড। এর মহিমা অতি প্রসিদ্ধ। যেমন বাবার মহিমা অপরম অপার, তেমনই ভারতের মহিমাও অপরম অপার। ভারতেই পরমপিতা পরমাত্মা এসে সব মানুষ মাত্রেরই সদ্গতি করিয়ে থাকেন। সবাইকে সুখ প্রদান করেন। ওঁনার বার্থপ্লেস ভারত। ভারতই প্রাচীন দেশ। ভগবান রাজযোগ শেখাতে ভারতেই এসেছিলেন। কিন্তু কৃষ্ণকে ভগবান বলার জন্য তাঁর মহিমা রইল না। ভগবান একজনই, তাঁকেই সদ্গুরু বলা হয়। এছাড়া তো অসংখ্য গুরু আছে। কেউ কাজ কারবার শেখালে তাকেও গুরু বলে থাকে। আজকাল তো সবাইকে অবতার মনে করে। কিছুই বোঝেনা। যখন সম্পূর্ণ পতিত হয়ে যায় তখনই আহ্বান করে – বাবা তুমি এসে আমাদের পবিত্র করে তোলো।

বাবাই এসে প্রকৃত অমরকথা শুনিয়ে থাকেন। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমরা ৮৪ জন্মের মধ্যে কিভাবে আসি। প্রথমে সুন্দর জন্ম তারপর নীচে অবতরণ করবে। দুনিয়াতেও অবতরণের কলা শুরু হয়। মানুষের বুদ্ধি সতঃ, রজঃ, তমঃ হয়ে পড়ে। সত্যযুগ থেকে একটু-একটু করে অবতরণের কলা শুরু হয়ে যায়। উত্তরণের কলা সবার জন্য মঙ্গলময়। সবার সদ্গতি দাতা একজনই বাবা। ঐ গুরুরা শুধুমাত্র শাস্ত্রই শোনাতে থাকে। শাস্ত্রের কথা শুনতে-শুনতে নীচেই নামতে থাকে। অসীম জগতের পিতা এসে বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন, আমি তোমাদের এতো বিত্তবান করে তুলেছিলাম, হীরে জহরতের মহল দিয়ে গিয়েছিলাম, সেইসব কোথায় ? লৌকিক পিতা বাচ্চাদের টাকাপয়সা দিয়ে থাকে কিন্তু বাচ্চারা টাকাপয়সা নষ্ট করে ফেলে তখন বাবা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করে এতো পয়সা কিভাবে নষ্ট করেছ ? বাচ্চাদের কাছে টাকাপয়সা থাকার কারণে উড়িয়ে (অপ্রয়োজনীয় খরচ) নষ্ট করে ফেলে। বাবা ধর্মাত্মা, বাচ্চারা বিদেশে গিয়ে লক্ষ টাকা উড়িয়ে নষ্ট করে। বাবা কিছুই করতে পারে না। বাবা ফাঁকিও দিতে পারেনা কারণ পৈতৃক সম্পত্তি। কিন্তু অন্তর্মনে দগ্ধ হতে থাকে। বাবার মৃত্যুর পরে কেউ-কেউ তো এতো জঘন্যতম হয়ে যায়, ১২ মাসের মধ্যে সমস্ত সম্পত্তি উড়িয়ে দেয়। ওটা হলো সীমিত দুনিয়ার কথা। এটা অসীমিত দুনিয়ার কথা। অসীম জগতের পিতা বলেন তোমরা কতো ধনবান ছিলে, বিশ্বের মালিক ছিলে। তারপর কাঙাল কীভাবে হয়েছ ? এতো ধন-সম্পত্তি কি করেছ? বাচ্চাদেরই বাবা জিজ্ঞাসা করেন — ভারতকে এতো বিত্তবান বানিয়েছিলাম, সব টাকাপয়সা কোথায় গেল? তারপর বাবাই বসে বোঝান

ভক্তি মার্গে কত খরচ করেছ, শাস্ত্র ইত্যাদির পেছনেও কত খরচ হয়েছে। মাথাও নিচু হয়ে গেল, টিপও লেপটে গেল। টাকাপয়সা ইত্যাদি যা কিছু ছিল সব শেষ হয়ে গেল, এটাই ড্রামা। আমি তোমাদের বিত্তশালী করে তুলি। রাবণ তোমাদের কাঙাল বানিয়ে ছাড়ে। ভারতবাসীদেরই তো বাবা বোঝাবেন তাইনা। ভারত ছিল সোনার পাখি, এতো ধন-সম্পত্তি ছিল যে, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরা লুঠ করে নিয়ে গেছে। চিন্তন করো‐ভারত কি ছিল ! এটাও ড্রামায় নির্ধারিত। ভারতই স্বর্গ ছিল, ভারতই নরক। এখন হল নরক, সেইজন্যই বাবা সিঁড়ি এমনই তৈরি করেছেন যে কেউ-ই বুঝতে পারবে আমরা পতিত। ছোট-ছোট বাচ্চাদেরও চিত্র দ্বারা বোঝানো যায় তাইনা। চিত্র ছাড়া বাচ্চারা কি বুঝবে। বাবাই এসে পতিত থেকে পাবন হওয়ার যুক্তি বলে দিয়ে থাকেন। সহজ থেকে সহজতর এবং কঠিন থেকে কঠিনতর। সত্যযুগে সবাই দেহী-অভিমানী থাকে। আত্মা বুঝতে পারে এখন শরীর বড় হয়ে গেছে, এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করতে হবে। ঠিক যেমন সাক্ষাত্কার হয়ে যায় — এখন আবার বাচ্চা হতে হবে, পুরানো খেলা ছেড়ে দেয়। এখানে কেউ মারা গেলে কান্নাকাটি করে। সত্যযুগে খুশি মনে এক শরীর ছেড়ে অন্য শরীর ধারণ করে। সুতরাং খুশি উদযাপন করে থাকে। এখানে মৃত্যু হলে কত দুঃখ প্রকাশ করে থাকে। কেউ মারা গেলে বলা হয় স্বর্গে গেছে। সুতরাং এর অর্থ হলো মৃত ব্যক্তি নিশ্চয়ই নরকে ছিল। এখন তোমরা পুরুষার্থ করছ – স্বর্গবাসী হওয়ার জন্য। বাবা তোমাদের স্বর্গবাসী করে তুলছেন। বাবা আসেনই জীবনমুক্তি দিতে। রাবণের বন্ধন থেকে মুক্ত করে জীবনমুক্তি দিয়ে থাকেন। বাবা বলেন – আমি পূর্ব কল্পের মতোই এসে তোমাদের রাজযোগ শিখিয়ে থাকি। কল্পে-কল্পে ব্রহ্মা শরীরেই আসি। তোমাদের অবশ্যই ব্রাহ্মণ হতে হবে। যজ্ঞতে ব্রাহ্মণ তো অবশ্যই প্রয়োজন, তাইনা। এ’হল রাজস্ব অশ্বমেধ অবিনাশী জ্ঞান যজ্ঞ। এই রথকে (শরীর)স্বাহা করতে হবে । অশ্ব এই রথকে বলা হয়। রাজস্ব, স্বরাজ্য অধিকারের জন্য এই অশ্বকে স্বাহা হতে হবে। আত্মা তো স্বাহা হবে না। আত্মা হিসেব-নিকেশ মিটিয়ে চলে যাবে। তারপর নতুন রূপে সবার ভূমিকা শুরু হবে। একেই বলা হয় ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি-জিয়োগ্রাফীর পুনরাবৃত্তি। বাবা আসেন নতুন দুনিয়া স্থাপন করে পুরানো দুনিয়ার বিনাশ ঘটাতে। এটা একটাই মহাভারতের লড়াই, যা শাস্ত্রে গায়ন আছে। সুতরাং বোঝানো উচিত – এই যুদ্ধের দ্বারাই স্বর্গের গেট খুলে থাকে, সেইজন্যই এর গায়ন শাস্ত্রে আছে। আচ্ছা!

মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পুরানো বিষয় নিয়ে কখনোই চিন্তা করা উচিত নয়। যা হয়ে গেছে, এটা নতুন কিছুই নয় এই ভেবেই ভুলে যেতে হবে ।

২ ) এই রাজস্ব অশ্বমেধ যজ্ঞে নিজের তন-মন-ধন সবকিছু স্বাহা করে সফল হতে হবে। এই অন্তিম জন্মে সম্পূর্ণ পবিত্র হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

যে সঙ্কল্পই, বলা বা কর্ম দ্বারা করে থাকো, সেটা মাস্টার ত্রিকালদর্শী হয়ে করলে কোনো কর্ম ব্যর্থ বা অনর্থ হতে পারে না। ত্রিকালদর্শী অর্থাত্ সাক্ষীদ্রষ্টার স্থিতিতে স্থিত হয়ে কর্মের গুহ্য গতিকে জেনে এই কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা কর্ম করলে কর্মের বন্ধনে আবদ্ধ হবে না। প্রতিটি কর্ম করার সময় কর্মবন্ধন মুক্ত, কর্মাতীত স্থিতির অনুভব করতে থাকবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top