22 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
21 March 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার সাথে যদি মিলিত হতে হয়, পবিত্র যদি হতে হয় তাহলে প্রকৃত আশিক (প্রেমী) হও, এক বাবা ছাড়া আর কাউকেই স্মরণ ক'রো না"
প্রশ্নঃ --
ব্রাহ্মণ, যারা দেবতা হয়, সেই ব্রাহ্মণদের পদ দেবতাদের থেকে উঁচু, তা কীভাবে ?
উত্তরঃ -:-
ব্রাহ্মণরা হলো এই সময় প্রকৃত আত্মারূপী সমাজ সেবক । মানুষকে তারা আত্মিক পবিত্রতা, যোগের ইঞ্জেকশন লাগায় । ভারতের ডুবন্ত নৌকাকে তারা শ্রীমতের আধারে পারে নিয়ে যায় । নরকবাসী ভারতকে স্বর্গবাসী বানায় । এমন সেবা দেবতারা করবে না । তারা তো এই সময়ের সেবার প্রালব্ধ ভোগ করে, তাই ব্রাহ্মণরা দেবতাদের থেকেও উঁচু ।
গান:-
আমাদের তীর্থ পৃথক….
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গীত শুনেছে । আমরা হলাম জীব আত্মা । আত্মা আর শরীর, আত্মাকে আত্মা আর শরীরকে জীব বলা হয় । আত্মারা পরমধাম থেকে আসে । এখানে এসে তারা শরীর ধারণ করে । এ হলো কর্মক্ষেত্র, যেখানে এসে আমরা ভূমিকা পালন করি । বাবা বলেন, আমাকেও ভূমিকা পালন করতে হবে । আমি তো পতিতকে পবিত্র করতে এসেছি । এই সময় এই পতিত দুনিয়াতে একজনও পাবন নেই । আবার পাবন দুনিয়াতে একজনও পতিত থাকবে না । সত্যযুগ, ত্রেতা পাবন, দ্বাপর আর কলিযুগ পতিত । পতিত পাবন বাবা এসে সবাইকে শিক্ষা দেন যে – হে আত্মারা, তোমরা এই শরীরের সঙ্গে ৮৪ জন্মের পার্ট সম্পূর্ণ করেছো । এতে অর্ধেক সময় সুখ আর অর্ধেক সময় দুঃখ পেয়েছো । দুঃখও ধীরে ধীরে শুরু হয় । এখন অনেক দুঃখ । আরো অনেক বিপর্যয় আসবে । এই সময় সকলেই ভ্রষ্টাচারী । কারোর যোগই বাবার সঙ্গে নেই । আত্মা নিজেকে ভুলে গিয়েছে । বাবা এখন বসে বোঝাচ্ছেন, যেমন প্রেমিক – প্রেমিকা (আশিক – মাশুক) হয় না ? যেমন দেখো, ছেলে আর মেয়ে, একে অপরকে একদম জানেই না । এদের দু’জনে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তখন প্রেমিক – প্রেমিকা ( আশিক – মাশুক ) হয়ে যায় । ওই বিবাহ বন্ধন হয় বিকারের জন্য । তাদের বিকারী – পতিত আশিক – মাশুক বলা হবে । দ্বিতীয় আশিক – মাশুক হয়, যারা কেবল চেহারা দেখেই প্রেমিক হয়, যেমন লায়লা – মজনু ইত্যাদি, যারা একে অপরের চেহারাই দেখতে থাকে । তারা বিকারে যায় না । কাজ করতে করতেই মাশুক তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে যাবে । মীরার সামনে যেমন কৃষ্ণ উপস্থিত হয়ে যেত । এখন ইনি হলেন পরমপিতা পরমাত্মা মাশুক, যাঁর আশিক আমরা আত্মারা সকলেই হয়েছি । সবাই তাঁকে স্মরণ করে । আশিক অনেক, কিন্তু মাশুক সকলেরই একজন । সমস্ত মনুষ্য মাত্র ওই একজনের আশিক । মানুষ ভক্তি করে ভগবানের সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য । ভক্তরা হয় আশিক আর ভগবান হলেন মাশুক । এখন কীভাবে মিলন হবে ? তাই সকলের যিনি মাশুক, সেই পরমাত্মা এখন আসেন । তিনি এখন আসেন আর বলেন, বাচ্চারা তোমাদের যদি আমার সঙ্গে মিলিত হতে হয়, তাহলে নিরন্তর আমি এই ‘এক’কে স্মরণ করো । আমার সঙ্গে যোগযুক্ত হয়ে আমার আশিক হও । এই রাবণ রাজ্যে দুঃখই দুঃখ । এখন এর বিনাশ হতে হবে । আমি তোমাদের পবিত্র বানাতে এসেছি । তোমাদের এই হলো অন্তিম জন্ম, তাই স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে । তোমরা ধর্মরাজের দণ্ডের হাত থেকেও মুক্ত হবে । ওই নিরাকার বাবা বলেন, – আমার অতি প্রিয় বাচ্চারা, এখন হলো অন্তিম সময়, তোমাদের শিরে পাপের বোঝা । তোমাদের এখন পুণ্য আত্মা হতে হবে । যোগের দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে । বাবা বলেন, তোমরা ৬৩ জন্ম এই রাবণ রাজ্যে পাপ আত্মা ছিলে । বাবা এখন তোমাদের পাপাত্মা থেকে পুণ্যাত্মা বানান । দেবতারা হলেন পুণ্য আত্মা । পাপ আত্মারাই পুণ্য আত্মাদের পূজন করে । এখন এ হলো অন্তিম জন্ম, মরতে তো সবাইকেই হবে, তাহলে কেন না আমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে নিই । কেন না পুণ্য আত্মা হয়ে যাই । সবথেকে বড় পাপ হলো বিকারে যাওয়া । বিকারীকে পতিত আর নির্বিকারীকে পাবন বলা হয় । সন্ন্যাসীরাও পতিত ছিলো তাই তো তারা পাবন হওয়ার জন্য ঘরবাড়ি ত্যাগ করে । তারপর যখন পাবন হয় তখন সকলেই তাদের সামনে মাথা নত করে । প্রথমে যখন তারা পতিত ছিলো, তখন কেউই মাথা নত করতো না । এখানে তো মাথা নত করার কোনো কথাই নেই । বাবা বাচ্চাদের শ্রীমৎ প্রদান করেন, নিজেকে আত্মা মনে করো আমরা এখানে এসেছি ভূমিকা পালন করতে, এরপর আমাদের বাবার কাছে যেতে হবে । এখন জাগতিক তীর্থ যাত্রা সব বন্ধ হয়ে যাবে । তোমাদের নিজের ঘর শান্তিধামে ফিরে যেতে হবে । মানুষ যখন তীর্থ যাত্রায় যায়, তখন সেই সময় পবিত্র থাকে । তারপর ঘরে ফিরে এসে আবার পতিত হয়ে যায় । এ হলো অল্পকালের জন্য দেহের যাত্রা । বাবা এখন তোমাদের আত্মিক যাত্রা শেখান । বাবা বলেন – তোমরা যদি আমার শ্রীমতে চলো তাহলে অর্ধেক কল্প অপবিত্র হবে না । সত্যযুগে রাধা – কৃষ্ণের বিবাহ তো পতিত হওয়ার জন্য হয়ই না । ওখানে তো সকলেই পবিত্র । যোগবলের দ্বারা ওখানে সন্তানের জন্ম হয় । যোগবলের দ্বারা তোমরা বিশ্বের মালিক হও । ওখানে বাচ্চারা কখনোই শয়তানী করে না, কেননা মায়া ওখানে থাকে না । বাচ্চারা ওখানে ভালো কর্মই করবে । ওই কর্ম অকর্ম হয়ে যাবে । এখানে রাবণ রাজ্যে তোমাদের কর্ম বিকর্ম হয়ে যায় । এই খেলা তৈরীই আছে । তোমরা সকল কুমার – কুমারীরা নিজেদের মধ্যে হলে ভাই – বোন । শিব বাবার পৌত্র হয়ে গেলে । স্বর্গের বাদশাহীর উত্তরাধিকার ঠাকুরদাদার কাছ থেকে পাওয়া যায় । বাবা এখন এসে মেল – ফিমেল উভয়ের যোগই নিজের সঙ্গে লাগান । তিনি বলেন, গৃহস্থ জীবনে থেকে তোমরা পবিত্র থাকো । এই বাহাদুরী দেখাও । একত্রে থেকে কাম অগ্নি যেন না লাগে, এমনভাবে থেকে যদি দেখাতে পারো তাহলে উঁচু পদ পাবে । ভীষ্ম পিতামহের মতো ব্রহ্মচারী হতে হবে, এতেই পরিশ্রম । মানুষ মন করে এ খুবই মুশকিল কিন্তু এই উপায় তো বাবাই শেখান ।
শিব ভগবান উবাচঃ – কৃষ্ণ কোনো ভগবান নন । তিনি তো দৈবী গুণ সম্পন্ন মানুষ । ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করও সূক্ষ্মবতন নিবাসী । ব্রহ্মার পদ বিষ্ণুর থেকে উঁচু । ব্রাহ্মণদের পদ যেমন দেবতাদের থেকে উঁচু, কেননা এই সময় তোমরা হলে আত্মা রূপী সমাজ সেবক । তোমরা মানুষকে আত্মিক পবিত্রতা এবং যোগের ইঞ্জেকশন লাগাও । তোমরাই এই ভারতকে স্বর্গ বানাও, তাই যারা বানায় তাদের মহিমা বেশী । যদিও তোমরাই দেবতা হও, কিন্তু এই সময় তোমরা ব্রাহ্মণ হয়ে সেবা করো, দেবতা রূপে তোমরা সেবা করবে না । ওখানে তো তোমরা রাজত্ব করবে । তোমাদের সেবা হলো নরকবাসী ভারতকে স্বর্গবাসী করা, এইজন্য বন্দে মাতরম বলা হয় । শিব শক্তি সেনা । মাম্মাকে সিংহবাহিনী দেখানো হয়, কিন্তু এমন কিছু নয় । তোমরা হলে সিংহী, কেননা তোমরা পাঁচ বিকারকে জয় করো । ভারতকে তোমরা স্বর্গ বানাও । এ হলো উচ্চ সেবা, তাই শক্তিদের মন্দির অনেক আছে । মূখ্য হলেন এক । শক্তি প্রদানকারী হলেন শিব বাবা । সমস্ত মহিমাই তাঁর । এরপর যারা যারা সাহায্যকারী, তাদেরও নাম আছে । মেল পাণ্ডবদেরও মহারথী বলা হয় । মেল – ফিমেল উভয়কেই প্রয়োজন । প্রবৃত্তি মার্গ তো, তাই না । কখনোই কোনো বিকারী গুরু করা উচিত নয় । গৃহস্থীকে গুরু করলে তো কোনো লাভই নেই । গৃহস্থী অথবা পতিত, পতিতকে পেয়েছে, সে কখনোই পাবন করতে পারবে না । নিজেদের সন্ন্যাসীদের অনুসরণকারী বলে কিন্তু নিজে সন্ন্যাসী হয় না, তাহলে এও মিথ্যাই হলো । আজকাল তো অনেকেই ঠগবাজ । গৃহস্থীরা গুরু হয়ে বসে যায়, তারা পবিত্রতার কথা তোলেই না । বাবা তো এখানে বলেন, পবিত্র হলেই তোমাদের বাচ্চা বলা হবে । পবিত্র হওয়া ব্যতীত তো রাজত্ব পাওয়াই যাবে না । তাই অবশ্যই বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হতে হবে । এরপর যারা যাঁকে মানবে, মনে করো যারা গুরু নানককে মানবে তারা তাঁর ঘরানাতেই যাবে । স্বর্গে সেই আসবে, যে এই সময় শিক্ষা নিয়ে পবিত্র হবে । গুরু নানককে কোনো দেবতা বলা হবে না । দেবতা থাকে সত্যযুগে । ওখানে অনেক সুখ, অন্য ধর্মের যারা, তারা তো স্বর্গ সুখ জানেই না । স্বর্গে ভারতবাসীরাই থাকে । বাকিরা তো পরে আসে । যারা যারা দেবতা হয়েছিলো, আবার তারাই হবে । এই সময় মানুষ দেবতাদের পূজা করে, লক্ষ্মী – নারায়ণের পূজা করে, আর নিজের ধর্ম হিন্দু বলে দেয়, কেননা মানুষ পতিত হয়ে গেছে তাই নিজের পবিত্র ধর্মকে ভুলে নিজেদের হিন্দু বলে দেয় । আরে, তোমরা তো দেবী – দেবতা ধর্মের, তাহলে কেন নিজেদের হিন্দু বলে পরিচয় দাও । হিন্দু কোনো ধর্ম নয়, হিন্দু অর্থাৎ নেমে গেছে । দেবতারা তো খুবই অল্প হয়, যারা এসে এখানে শিক্ষা নেয় – তারাই আবার মানুষ থেকে দেবতা হয় । অল্প শিক্ষা গ্রহণ করলে সাধারণ প্রজাতে আসবে । বাবার হতে পারলে বিজয় মালাতে আসবে । এখন তো তোমাদের রুহানী আশিক – মাশুক হতে হবে । সত্যযুগে দেহের হবে, কলিযুগেও দেহের । এখন এই সঙ্গম যুগে রুহানী আশিক হতে হবে এক মাশুকের ।
বাবা বলেন, তোমরা আমাকে স্মরণ করতে থাকো । বিকারে গেলে শত গুণ দণ্ড ভোগ করতে হবে, বিকারে নেমে গেলে লেখা উচিত যে, বাবা আমি মুখ কালো করে দিয়েছি । বাবা বলেন – বাচ্চারা, এখন তোমাদের গৌর অর্থাৎ সুন্দর হতে হবে । কৃষ্ণকে শ্যাম সুন্দর বলা হয়, তাঁর আত্মা এই সময় কালো হয়ে গেছে । এরপর জ্ঞান চিতায় বসে সুন্দর হয়ে যাবে । ২১ জন্মের জন্য সুন্দর হয়ে যাবে তারপর আবার শ্যাম হবে । এই শ্যাম এবং সুন্দরের খেলা তৈরী হয়ে আছে । শ্যাম থেকে সুন্দর হতে এক সেকেণ্ড, আর সুন্দর থেকে শ্যাম হতে অর্ধেক কল্প লেগে যায় । অর্ধেক কল্প শ্যাম আর অর্ধেক কল্প সুন্দর । এক মুশাফির হলেন শিব বাবা, বাকি সব সজনীরা হলো কালী । বাবা তোমাদের সুন্দর করার জন্য যোগ শেখান । সত্যযুগে একনম্বর ন্যাচারাল বিউটি থাকে কেননা পাঁচ তত্ব সতোপ্রধান হওয়ার কারণে শরীরও সুন্দর হয় । এখানে তো নকল সৌন্দর্য । পবিত্রতা তো খুবই সুন্দর । বাবার কাছে অনেকেই আসে, পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করে, কিন্তু কেউ কেউ ফেল করে যায়, আবার কেউ পাশ করে । তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে, আমরা স্বর্গে গিয়ে হীরে – জহরতের মহল বানাবো । এই শরীর ত্যাগ করে প্রিন্স – প্রিন্সেস হবো । যারা বাবার বাচ্চা হবে তাদেরই এমন খেয়াল চলতে থাকবে । এ হলো ঈশ্বরীয় দরবার বা ঈশ্বরীয় পরিবার । গাওয়া হয় – তুমি মাতা – পিতা, আমি তোমার বালক, তাহলে তো পরিবার হয়ে গেলো, তাই না । ঈশ্বর হলেন ঠাকূরদাদা আর ব্রহ্মা হলেন বাবা । তোমরা হলে ভাই – বোন । স্বর্গের উত্তরাধিকার তোমরা ঠাকুরদাদার থেকে নাও, তারপর হারিয়ে ফেলো, আবার বাবা ফিরিয়ে দিতে আসেন । উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য তোমরা প্রত্যক্ষভাবে বাবার হয়েছো । তোমরা প্রত্যক্ষ ভাবে ব্রহ্মার সন্তান এবং শিব বাবার পৌত্র । তাই একে ঈশ্বরীয় দরবারও বলা হয়, আবার ঈশ্বরীয় কুটুম্বও বলা যেতে পারে । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের জন্য মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) জ্ঞান চিতায় বসে সম্পূর্ণ পাবন ( গোরা ) হতে হবে । পবিত্রতাই হল এক নম্বর বিউটি (সৌন্দর্য), এই সৌন্দর্যকে ধারণ করে বাবার বাচ্চা বলার অধিকারী হতে হবে ।
২ ) এই অন্তিম সময়ে মাথার উপর যে পাপের বোঝা আছে, তা এক বাবার স্মরণে ভস্ম করতে হবে । পুণ্য আত্মা হওয়ার জন্য শ্রেষ্ঠ কর্ম করতে হবে ।
বরদানঃ-
শরীর এবং আত্মা যেমন কম্বাইন্ড, ভবিষ্যৎ বিষ্ণু স্বরূপও কম্বাইন্ড, তেমনই বাবা এবং আমি আত্মাও কম্বাইন্ড, এই স্বরূপের স্মৃতিতে থেকে স্ব সেবা এবং সর্ব আত্মাদের সেবা সাথে সাথে করো, তাহলে সফলতা মূর্তি হয়ে যাবে । এমন কখনোই বলো না যে, সেবাতে খুব ব্যস্ত ছিলাম তাই স্ব স্থিতির পার্ট ঢিলে হয়ে গিয়েছিলো । সেবাতে বৃদ্ধির সাধনই হলো স্ব এবং সর্বের সেবা যেন কম্বাইন্ড হয় ।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য — নিরাকারী দুনিয়া আর সাকারী দুনিয়ার বিস্তার
স্বয়ং পরমাত্মার কাছে আমরা জানতে পেরেছি যে, এক হলো নিরাকারী দুনিয়া, দ্বিতীয় হলো সাকারী দুনিয়া । এখন নিরাকারী দুনিয়াকে বলা হয় ব্রহ্মাণ্ড অর্থাৎ জ্যোতি মহাতত্ত্ব, যা আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের আর পরমপিতা পরমাত্মার নিবাস স্থান । ওই নিরাকারী দুনিয়া থেকেই পরমাত্মা আমাদের মতো আত্মাদের অভিনয় করার জন্য সাকার সৃষ্টিতে পাঠান । ব্রহ্মাণ্ডে যেমন আত্মাদের বৃক্ষ আছে, তেমনই সাকার সৃষ্টিতে আত্মাদের শরীর সহিত বৃক্ষ আছে । জড় ঝাড়ের যেমন উদাহরণ দেওয়া হয়, কিভাবে বৃক্ষের মূল নীচে থাকে, তেমনই এই মনুষ্য সৃষ্টিকেও উল্টো ঝাড় বলা হয়, কেননা মনুষ্য সৃষ্টির বৃক্ষের মূল উপরে নিরাকারী দুনিয়াতে আছে । ওখানেও প্রত্যেক ধর্মের আলাদা – আলাদা সেকশন, ওই দুনিয়াতে কোনো চন্দ্র – সূর্যের প্রকাশ নেই, বরং ওই দুনিয়া তো স্বয়ং অখণ্ড জ্যোতি তত্ত্ব, যা স্থূল তত্ত্ব থেকে অতি সূক্ষ্ম । সাকার সৃষ্টি যেমন পাঁচ তত্ত্বের বানানো, আকাশ, বায়ু, অগ্নি, জল এবং পৃথিবী, তাতেও পৃথিবী হলো স্থূল তত্ত্ব, তারমধ্যে সূক্ষ্ম হলো জল, তার থেকে সূক্ষ্ম তত্ত্ব হলো অগ্নি, তার থেকে সূক্ষ্ম তত্ত্ব হলো বায়ু, তারপর আকাশ তত্ত্ব । এখন এই পাঁচ তত্ত্ব থেকেও অতি সূক্ষ্ম এই অখণ্ড জ্যোতি মহাতত্ত্ব, যা এই স্থূল সৃষ্টির থেকে ওই পারে, নিরাকার দুনিয়া, যেখানে আমরা আত্মারা ডিমের আকারে (জ্যোতি বিন্দু রূপ ) আমাদের পরমপিতা পরমাত্মার সঙ্গে থাকি, তাই ব্রহ্মাণ্ডের থেকে পৃথক হলো এই সাকার সৃষ্টি ।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!