22 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

June 21, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা স্বর্গের ফাউন্ডেশন স্থাপন করছেন, তোমরা বাচ্চারা সহযোগী হয়ে নিজেদের অংশ জমা করো, ঈশ্বরীয় মতে চলে শ্রেষ্ঠ প্রালব্ধ বানাও"

প্রশ্নঃ --

বাপদাদা খোঁজ কোন্ বাচ্চাদের জন্য সবসময় থাকে ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা অত্যন্ত মিষ্টি শীতল (ঠান্ডা) স্বভাবের সার্ভিসেবল হয়। এমন বাচ্চাদের খোঁজ বাবার সব সময় থাকে। সার্ভিসেবল বাচ্চারাই বাবার নাম প্রসিদ্ধ করবে। যত বেশি বাবার সহযোগী হবে, আজ্ঞাকারী, বিশ্বস্ত হবে, ততই সে উত্তরাধিকারের অধিকারী হয়।

গান:-

ওম্ নমঃ শিবায়ঃ…

ওম্ শান্তি । ওম্ শব্দের অর্থ কে বলেছেন ? বাবা বলেছেন। যখন বাবা বলা হচ্ছে নিশ্চয়ই তাঁর নাম থাকা উচিত। সাকার হোক বা নিরাকার, নাম অবশ্যই থাকবে। অন্যান্য আত্মা যারা আছে তাদের নাম রাখা হয় না। আত্মা যখন জীব আত্মা হয় তখনই শরীরের নাম রাখা হয়। ব্রহ্মা দেবতায় নমঃ বলা হয়, বিষ্ণুকেও দেবতা বলে কেননা আকারী যখন আকারী শরীরের নাম রাখা হয়। নাম সবসময় শরীরেরই রাখা হয়। একজনই নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা, যাঁর নাম শিব। ইনি একজনই যাঁর আত্মার নাম আছে, বাকি সবারই দেহের নাম রাখা হয়। শরীর ত্যাগ করার পর নামও বদলে যায়। পরমাত্মার একটাই নাম, কখনও সেই নামের পরিবর্তন হয়না। এর থেকেই প্রমাণ হয় যে তিনি জন্ম-মৃত্যুর আবর্তে আসেন না। যদি স্বয়ং জন্ম-মৃত্যুর আবর্তে আসেন তবে অন্যদের জনম-মরণ থেকে মুক্ত করতে পারবেন না। অমরলোকে কখনও জন্ম-মৃত্যু বলা হয় না। ওখানে খুব সহজ রীতিতে এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে থাকে। মৃত্যু তো এখানে হয়। সত্যযুগে এমনটা বলা হয় না যে অমুকে মারা গেছে। মৃত্যু শব্দটা দুঃখের। ওখানে তো পুরানো শরীর ত্যাগ করে দ্বিতীয় কিশোর শরীর ধারণ করে থাকে। খুশি উদযাপন করে। পুরানো দুনিয়াতে এতো মানুষ, সব শেষ হয়ে যাবে। দেখানো হয়েছে যে যাদব আর কৌরব, লড়াইতে শেষ হয়ে গিয়েছিল। তবে কি পান্ডবদের দুঃখ হয়েছিল ? না। পান্ডবদের রাজ্য স্থাপন হয়েছিল। এই সময় তোমরা হলে ব্রহ্মা বংশী ব্রাহ্মণ, ব্রহ্মাকুমার এবং কুমারী। ব্রহ্মার এতো অসংখ্য বাচ্চা, সুতরাং অবশ্যই তিনি প্রজাপিতা ব্রহ্মা হবেন। ব্রহ্মা, বিষ্ণু শঙ্করের পিতা হলেন শিব। ওঁনাকেই ভগবান বলা হয়। এই সময় তোমরা জানো যে আমরা ঈশ্বরীয় কুলের। আমরা বাবার সাথে, বাবার ঘর নির্বাণধামে যাব। বাবা এসেছেন, ওঁনাকে সাজনও বলা হয়। কিন্তু অ্যাকুরেট সম্বন্ধে উনি আমাদের পিতা কেননা উত্তরাধিকার সজনীরা পায় না। উত্তরাধিকার গ্রহণ করে বাচ্চারা সুতরাং বাবা বলাই সঠিক। বাবাকে ভুলে গিয়ে মানুষ নাস্তিক হয়ে গেছে। কৃষ্ণের কার্যকলাপের (চরিত্রের) গায়ন আছে। কিন্তু কৃষ্ণের তো কোনো কার্যকলাপ (বাবা যে কর্তব্য করেন) নেই। ভাগবতে কৃষ্ণের কার্যকলাপ আছে কিন্তু কার্যকলাপের কথা থাকা উচিত ছিল – শিববাবার। তিনিই বাবা, টিচার এবং সদ্গুরু, এখানে কার্যকলাপের কোনো প্রশ্নই আসে না। কৃষ্ণেরও কার্যকলাপ নেই। সেও বাচ্চা, যেমন ছোট বাচ্চা হয়। বাচ্চারা সবসময় চঞ্চল হয়, সুতরাং সবারই ভালো লাগে। কৃষ্ণের জন্য যে দেখানো হয় যে মটকা ভেঙেছে, এইরকম কিছুই হয়নি। শিববাবার কার্যকলাপ কি ? তা তো তোমরা দেখছ যে তিনি ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠনের দ্বারা পতিতদের পবিত্র করে তোলেন। তিনি বলেন ভক্তি মার্গে আমিই তোমাদের ভাবনা (ইচ্ছা) পূর্ণ করি। এখানে এসে তো তোমাদের জ্ঞান প্রদান করে থাকি। এই সময় যারা আমার সন্তান, তারাই আমাকে স্মরণ করে। সবার স্মরণ ভুলে গিয়ে একমাত্র বাবাকে স্মরণ করার প্রচেষ্টা করে চলে। এমন নয় যে আমি সর্বব্যাপী। আমাকে যে স্মরণ করে, আমিও তাকে স্মরণ করি। স্বরণ তো বাচ্চাদেরই করবেন। প্রধান বিষয় তো একটাই। বাহাদুর তো তাকেই বলা হবে যখন কোনো নামজাদা মানুষকে বুঝিয়ে দেখাবে। সব কিছু তো গীতাকে কেন্দ্র করেই । গীতা নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মার গায়ন, কোনো মানুষের নয় । ভগবানকে রুদ্রও বলা হয়। কৃষ্ণকে রুদ্র বলা হয় না। রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের দ্বারাই বিনাশের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হয়েছে।

কিছু মানুষ পরমাত্মাকে মালিক বলে স্মরণ করে। ওরা বলে ঐ মালিকের নাম নেই। আচ্ছা ঐ মালিক কোথায় আছেন ? উনি কি বিশ্বের, সম্পূর্ণ সৃষ্টির মালিক ? পরমপিতা পরমাত্মা সৃষ্টির মালিক হন না, সৃষ্টির মালিক হয় দেবী-দেবতারা। পরমপিতা পরমাত্মা তো ব্রহ্মান্ডের মালিক। ব্রহ্ম তত্ত্ব হল বাবার ঘর সুতরাং আমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদেরও ঘর। ব্রহ্মান্ড হল বাবার ঘর, যেখানে আত্মাদের ডিম্বাকৃত দেখানো হয়। এই রকম কিছু নেই । আমরা আত্মারা জ্যোতির্বিন্দু, ওখানে থাকি। তারপর ব্রহ্মান্ড থেকে আমরা নীচে নামি ভূমিকা পালন করার জন্য, একের পর এক আসতে থাকি। ঝাড় বৃদ্ধি পেতে থাকে। বাবা হলেন বীজরূপ, ফাউন্ডেশন তৈরী হচ্ছে দেবী-দেবতাদের বলো কিম্বা ব্রাহ্মণদের। ব্রাহ্মণ বীজ রোপণ করে। তারপর ব্রাহ্মণরাই দেবতা হয়ে রাজত্ব করে থাকে। এখন আমাদের দ্বারা শিববাবা ফাউন্ডেশন তৈরি করছেন। ডিটিজম অর্থাৎ স্বর্গের ফাউন্ডেশন তৈরী হচ্ছে। যে যত সহযোগী হবে ততই নিজের ভাগ প্রাপ্ত করবে। তা না হলে সূর্য বংশীয় কীভাবে হবে! এখন তোমরা ঐ উচ্চ প্রালব্ধ তৈরি করছ। প্রতিটি মানুষ পুরুষার্থের দ্বারাই প্রালব্ধ তৈরি করে থাকে। প্রালব্ধের জন্য ভালো কাজ করতে হয়। দান-পুণ্য করা, ধর্মশালা ইত্যাদি তৈরী করা। সব ঈশ্বরার্থেই করা হয়, কেননা ফল তো দেবেন উনি। তোমরা এখন শ্রীমত অনুসারে পুরুষার্থ করছো। সম্পূর্ণ দুনিয়া মানুষের মতে পুরুষার্থ করছে, তাও আবার আসুরি মতে। ঈশ্বরীয় মতের পর দৈবী মত, তারপর হয়ে যায় আসুরি মত। এখন তোমরা বাচ্চারা ঈশ্বরীয় মত পেয়ে থাকো। বাবা মাম্মাও ওঁনার মতে চলে শ্রেষ্ঠ হন। কোনো মানুষ দেবতাদের মতো শ্রেষ্ঠ হতেই পারে না। দেবতাদের শ্রেষ্ঠ করে তোলেন কে ? এখানে তো শ্রেষ্ঠ কেউ-ই নেই। শ্রী শ্রী একজনই – সবচেয়ে উচ্চ থেকে উচ্চতম বাবা, টিচার এবং সদ্গুরু। তিনিই শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণকে রচনা করেন। রাম এবং সীতাকে বলা হয় শ্রী রাম, শ্রী সীতা। কিন্তু তাদের টাইটেল যুক্ত হয় ক্ষত্রিয়, চন্দ্রবংশীয় রূপে। লক্ষ্মী-নারায়ণ তো ১৬ কলা সম্পূর্ণ সূর্য বংশীয় দেবতা কুলের আর রাম সীতা ১৪ কলা চন্দ্রবংশীয়। দুই কলা কমে গেল না ! এটা তো অবশ্যই হবে। মানুষ এটা জানে না যে সৃষ্টিতে পতনের কলাও হয়। ১৬ কলা থেকে ১৪ কলা হয়ে গেল সুতরাং ডিগ্রেড (পতন) হলো তাইনা। এই সময় তো সম্পূর্ণ রূপে অধঃপতিত হয়ে গেছে। এ’হলো রাবণ সম্প্রদায়। রাবণের রাজ্য না ! রাবণের মতকে বলা হয় আসুরি মত। সবকিছু পতিত হয়ে গেছে। পবিত্র কেউ এই পতিত দুনিয়াতে হতেই পারে না। ভারতবাসী যারা পবিত্র ছিল তারাই আবার পতিত হয়ে গেছে সুতরাং আমি এসে তাদের পবিত্র করে তুলি। পতিত-পাবন কৃষ্ণ গাওয়া হয় না। না চরিত্রের কোনো বিষয় আছে। পতিত-পাবন একমাত্র পরমাত্মাকেই বলা হয়। শেষে গিয়ে সবাই বলবে হে প্রভু তোমার গতি মতি (লীলা) সবই অনুপম। তোমার রচনাকে কেউ-ই জানে না। তোমরা এখন জেনেছ। এই জ্ঞান সম্পূর্ণ রূপে নতুন। নতুন জিনিস যখন বের হয় প্রথমে সেটা কম হয়, পরে সেটা বৃদ্ধি পেতে থাকে। তোমরাও প্রথমে এক কোণে পড়ে ছিলে। এখন দেশ-দেশান্তরে প্রচারিত হয়ে বৃদ্ধি পেতে চলেছে। রাজধানী অবশ্যই স্থাপন হবে। প্রধান বিষয় তো এটাই প্রমাণ করতে হবে যে গীতার ভগবান শ্রী কৃষ্ণ নয়। উত্তরাধিকার বাবা দেবেন, কৃষ্ণ নয়। লক্ষ্মী-নারায়ণও নিজের সন্তানকে উত্তরাধিকার দেবেন। সেটাও এখানকার পুরুষার্থ অনুযায়ী প্রালব্ধ প্রাপ্তি হয়ে থাকে। সত্যযুগে, ত্রেতায় অসীমের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। সেখানে গোল্ডেন, সিলভার জুবিলি উদযাপন করা হয়। এখানে তো একদিন পালন করা হয়। আমরা ১২৫০ বছর গোল্ডেন জুবিলি পালন করে থাকি। খুশি উদযাপন করা হয় তাইনা। ধন-ঐশ্বর্যে ভরপুর হয়ে যায়। সুতরাং অন্তরে খুব খুশি থাকে। এমন নয় যে আলো দিয়ে বাহ্যিক সাজসজ্জা করা হয়। স্বর্গে আমরা সম্পত্তিবান, এবং অতীব সুখী হই। দেবতা ধর্মের মতো সুখী আর কেউ হয়না। সিলভার জুবিলি ইত্যাদি কি সেটাও সম্পূর্ণ রূপে কেউ জানেনা। এখন তোমরা অর্ধকল্পের জুবিলি উদযাপন করার জন্য বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে চলেছ। সুতরাং মুখ্য বিষয় এটাই যে গীতার ভগবান হলেন শিব। উনিই রাজযোগ শিখিয়েছিলেন, আবারও শেখাচ্ছেন। রাজযোগ তখনই শেখান যখন সিংহাসন থাকে না। প্রজার উপর প্রজাই রাজত্ব করে। একে অপরের টুপি কেড়ে নিতেও দেরি করে না। তোমরা বাচ্চারা বাবার মতে চললে সুখধামের মালিক হতে পারবে। এমন অনেকেই আছে যারা জ্ঞান সম্পূর্ণ রূপে ধারণ করেনা,কিন্তু সেন্টারে আসে। অন্তর চায় একটা সন্তান হয় যেন। মায়ার প্রলোভনে মনে হয় বিবাহ করে একটা বাচ্চার সুখ অনুভব করতে। এর কোনো নিশ্চয়তা আছে যে বাচ্চা সুখ দেবে। দুই চার বছরের মধ্যে বাচ্চা মারা গেলে আরও দুঃখের মধ্যে পড়তে হবে। আজ বিবাহ করে কাল চিতায় উঠলে তখন কান্নাকাটি শুরু হয়ে যায়। এটা হচ্ছে দুঃখধাম। দেখ, কীভাবে খাবার খায় ? সুতরাং বাবা বোঝান বাচ্চারা আশা রেখো না। মায়া বড় তুফান নিয়ে আসবে। ঝট করে বিকারগ্রস্ত করে তুলবে। তারপর আসতেও লজ্জা বোধ হবে। সবাই বলবে কুলকে কলঙ্কিত করেছে সুতরাং উত্তরাধিকার কীভাবে নেবে। বাবা মাম্মা বলছ যখন ব্রহ্মাকুমার কুমারীরা নিজেদের মধ্যে হয়ে গেল ভাই-বোন। তারপর যদি বিকারগ্রস্ত হয়ে নীচে নেমে যাও তবে এমন কুল কলঙ্কিতকারী আরও শত গুণ কড়া সাজা ভোগ করবে আর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। কেউ-কেউ তো বিকারে যায় কিন্তু না বললে অনেক দন্ডের ভাগিদার হয়ে যাবে। ধর্মরাজ বাবা কাউকে ছাড়বেন না। ওরা (লৌকিকে) তো সাজা খেয়ে হাজতবাস করে থাকে। কিন্তু এখানে অনেক কড়া সাজা ভোগ করতে হবে। এমন অনেকেই সেন্টারে আসে। বাবা বোঝান এমন কাজ করবে না। তোমরা বলে থাকো আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান তারপরও বিকারে যাওয়া, এটা তো নিজের সর্বনাশ ডেকে আনা। কোনো ভুল হলে সাথে-সাথে বাবাকে বলে দাও। বিকার ছাড়া থাকতে না পারলে এখানে না আসাই ভালো। তা না হলে বায়ুমণ্ডল খারাপ হয়ে যাবে। তোমাদের মধ্যে যদি কোনো বক বা অশুদ্ধ খাদ্য গ্রহণকারী কেউ বসে কেমন খারাপ লাগবে। বাবা বলেন এমন কাউকে নিয়ে আসলে যে আনে তার উপর দোষ এসে পড়ে। দুনিয়াতে এমন অনেক সৎসঙ্গ আছে, সেখানে গিয়ে ভক্তি করুক। ভক্তি করার জন্য আমি নিষেধ করিনা। ভগবান আসেন পবিত্র করে তোলার জন্য, পবিত্র বৈকুন্ঠের উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য। বাবা বলেন শুধু বাবা আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। খাদ্য-পানীয়ের ব্যাপারে সতর্ক হওয়ার অনেক যুক্তি বলে দেন। সংযমী হওয়ার জন্য অনেক রকম যুক্তি রাখতে পারো। শরীর ঠিক নেই, ডাক্তার বারণ করেছে। আচ্ছা তুমি যখন বলছ আমি ফল খেয়ে নিচ্ছি। নিজেকে রক্ষা করার জন্য এমন বলাটা কোনো মিথ্যা নয়। বাবা মানা করেন না। বাবা এমন বাচ্চাদের খোঁজ করেন, যারা খুব মিষ্টি। কোনো পুরানো স্বভাব থাকা উচিত নয়। এমনই সার্ভিসেবল, বিশ্বস্ত, আজ্ঞাকারী হতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই মায়াবী দুনিয়াতে সব বিষয়েই দুঃখ, সেইজন্যই এই পুরানো দুনিয়ার প্রতি কোনো আশা রাখা উচিত নয়। যতই মায়ার তুফান আসুক না কেন, কখনও কুল কলঙ্কিত করা উচিত নয়।

২ ) খাদ্য-পানীয়ের প্রতি অত্যধিক সতর্ক হতে হবে, পার্টি ইত্যাদি অনুষ্ঠানে গেলে যুক্তি সহকারে চলতে হবে।

বরদানঃ-

সব কিছু যত মন্দই হোক, তার মধ্যেও একটি দুটি জিনিস অবশ্যই ভালো থাকবে। সবকিছুর মধ্যেই পাঠ শেখানোর মতো কল্যাণ রয়েছে। কেননা প্রতিটি বিষয় অভিজ্ঞ করে তোলার সহায়ক করে তোলে। এই পাঠ তোমাদের ধৈর্য শেখায়। যখন কেউ অন্য রকম ব্যবহার করছে তোমরা কিন্তু সেই সময়ে ধৈর্য বা সহনশীলতার পাঠ পড়ছো, সেইজন্যই বলা হয় যা হচ্ছে ভালো হচ্ছে এবং যা হবে আরও ভালো হবে। ভালোকে গ্রহণ করার মতো কেবল বুদ্ধিটুকু থাকা চাই। মন্দ না দেখে শুধুমাত্র ভালোকে গ্রহণ করো তবেই প্রথম নম্বরে স্থান পাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top