22 February 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

21 February 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা সবাইকে প্রকৃত গীতা শুনিয়ে সুখ প্রদানকারী প্রকৃত ব্যাস, তোমাদের নিজেদের ভালোভাবে পড়ে সবাইকে পড়াতে হবে, সুখ দান করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

সবথেকে উঁচু লক্ষ্য কি, তোমরা যেখানে পৌঁছানোর পুরুষার্থ করো ?

উত্তরঃ -:-

নিজেকে অশরীরী মনে করা, এই দেহ বোধকে জয় করা — এ হলো উচ্চ লক্ষ্য, কেননা সবথেকে বড় শত্রু হলো দেহ – বোধ । তোমাদের এমন পুরুষার্থ করতে হবে যাতে অন্তিম সময় বাবা ছাড়া আর কেউই যেন স্মরণে না আসে । এই শরীর ত্যাগ করে বাবার কাছে যেতে হবে । এই শরীরও যেন স্মরণে না থাকে । এই পরিশ্রমই করতে হবে ।

গান:-

এই পাপের দুনিয়া থেকে…

ওম্ শান্তি । জীব আত্মারা বা বাচ্চারা মনে অনুভব করতে পারে যে, এই সময় বাবা আমাদের কোথায় নিয়ে চলেছেন । বরাবর যেখান থেকে আমরা এসেছি, সেখানেই নিয়ে যাবেন । তারপর আমাদের পুণ্য আত্মাদের সৃষ্টিতে, জীব আত্মাদের দুনিয়াতে পাঠিয়ে দেবেন । শ্রেষ্ঠ আর ভ্রষ্ট শব্দ ব্যবহৃত হয়, তা অবশ্যই জীব আত্মাদেরই বলা হবে । আত্মা যতক্ষণ শরীরে থাকে, ততক্ষণই সুখ বা দুঃখের ভোগ হয় । বাচ্চারা জানে যে, এখন বাবা এসেছেন । বাবার নাম সর্বদাই শিব । আমাদের নাম শালগ্রাম । শিবের মন্দিরে শালগ্রামেরও পূজা হয়, বাবা বুঝিয়েছিলেন — এক হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ, দ্বিতীয় হলো রুদ্র যজ্ঞ । ওতে বিশেষ করে বেনারসের ব্রাহ্মণদের আর পণ্ডিতদের ডাকা হয় – এই রুদ্র যজ্ঞের পূজার জন্য বেনারসেই শিবের থাকার জন্য অনেক মন্দির আছে । একে শিবকাশী বলা হয়, প্রকৃত নাম ছিলো কাশী । তারপর ইংরেজরা বেনারস নাম রেখে দিয়েছে। বারাণসী নাম এখন রাখা হয়েছে । ভক্তিমার্গে তো আত্মা – পরমাত্মার জ্ঞান নেই । দুইয়ের পূজা পৃথক ভাবে করা হয় । এক বড় শিবলিঙ্গ বানায়, বাকি ছোটো – ছোটো শালগ্রাম অনেক বানায় । তোমরা জানো যে – আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের নাম শালগ্রাম, আর আমাদের বাবার নাম শিব । শালগ্রাম সব এক সাইজের বানায়, তাই বরাবর বাবা আর বাচ্চাদের সম্বন্ধ । আত্মা স্মরণ করতে থাকে – হে পরমপিতা পরমাত্মা । আমরা পরমাত্মা নই । পরমাত্মা আমাদের বাবা, এই কথা বোঝানোর মত তোমাদের দেওয়া হয়েছে । প্রতিদিন তোমরা শ্রীমৎ পাও যে, কাউকে প্রথমে বাবার পরিচয় প্রদান করে উত্তরাধিকারের অধিকারী করতে হবে । প্রথমে তোমাদের যুক্তি দিয়ে প্রমাণের সাথে বোঝাতে হবে যে, তিনি হলেন নিরাকার বাবা । এই প্রজাপিতা হলেন সাকার । উত্তরাধিকার নিরাকারের থেকেই পাওয়া যায় । বাবা এখন বোঝাচ্ছেন — আমার একটাই নাম, শিব । আমার দ্বিতীয় কোনো নাম নেই । সমস্ত আত্মাদের শরীরের নাম অনেক হয় । আমার কোনো শরীর নেই । আমি হলাম সুপ্রীম আত্মা ।

বাবা জিজ্ঞেস করেন – বাচ্চারা, তোমাদের সবথেকে বড় শত্রু কে ? যারা বুদ্ধিমান হবে তারা বলবে, দেহ বোধ হলো সবথেকে বড় শত্রু, যার দ্বারা কামের উৎপত্তি হয় । এই দেহ বোধ দূর করাতেই খুব পরিশ্রম হয় । দেহী অভিমানী হওয়াতেই পরিশ্রম । জন্ম – জন্মান্তর তোমরা দেহের সম্বন্ধে চলেছো । তোমরা এখন জানো যে, বরাবর আমি আত্মা অবিনাশী, যার আধারে এই শরীর চলতে থাকে । যারা রিলিজিয়াস মাইণ্ডেড (ধার্মিক ) তারা জানে যে, আমি হলাম আত্মা, দেহ নই । আত্মার নাম একই থাকে । দেহের নাম পরিবর্তন হয় । আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । বাবা আমাদের বলেন – তোমাদের পুণ্য আত্মাদের দুনিয়াতে যেতে হবে । এ হলো পাপ আত্মাদের দুনিয়া । রাবণ তোমাদের ভ্রষ্টাচারী তৈরী করে । দশ মাথার কোনো মানুষই হয় না, কিন্তু এই কথা কোনো মানুষই জানে না । সবাই রামলীলা ইত্যাদিতে অভিনয় করতে থাকে । সকলে এক মতেরও নয় । কেউ কেউ এইসব বিষয়কে কল্পনা মনে করে, কিন্তু এই কথা জানেই না যে, ভ্রষ্টাচারীকেই রাবণ বলা হয় । অন্যের স্ত্রীকে অপহরণ করা, এ তো ভ্রষ্টাচার হলো, তাই না । এই সময় সকলেই ভ্রষ্টাচারী কেননা সকলেই বিকারে আছে । যে বিকারে যায় না তাকে নির্বিকারী বলা হয়, আর সে হলো রামরাজ্য । এ হলো রাবণ রাজ্য । এই ভারতেই রামরাজ্য ছিলো । ভারত সবথেকে প্রাচীন দেশ ছিলো। এই সৃষ্টিতে সূর্যবংশী দেবী – দেবতাদের পতাকা প্রথম নম্বরে উচ্চ ছিলো । সেই সময় চন্দ্রবংশীরাও ছিলো না । বাচ্চারা, এখন তোমাদের সামনে হলো সূর্যবংশীর পতাকা । তোমাদের লক্ষ্য কি তা তোমরা জানতে পেরেছো, তবুও ভুলে যাও । স্কুলে বাচ্চারা কখনো এইম অবজেক্টকে ভুলতে পারে না । স্টুডেন্ট টিচারকে বা পড়াকে কখনোই ভুলতে পারে না । এখানে কিন্তু ভুলে যায় । এ কতো বড় শিক্ষা, যাতে তোমরা ২১ জন্মের জন্য রাজ্যভাগ্য লাভ করো । এমন স্কুলে রোজ কতো সুন্দর করে পড়া উচিত । এই কল্পে যদি পাস করতে না পারো তাহলে কল্পে – কল্পেও ফেল করতে থাকবে । তখন কখনোই আর পাস করতে পারবে না । তাই তোমাদের কতটা পুরুষার্থ করা উচিত । তোমাদের শ্রীমতে চলতে হবে । শ্রীমৎ বলে যে, খুব ভালোভাবে ধারণা করো এবং করাও । তোমরা যদি ঈশ্বরীয় নির্দেশে না চলতে পারো তাহলে উচ্চ পদও লাভ করতে পারবে না । নিজের মনকে জিজ্ঞেস করো, আমরা শ্রীমতে চলছি তো ? নিজেকে কখনোই অতি চালাক মনে করবে না । এখন তোমরা নিজেকেই জিজ্ঞেস করো, যেমন ব্রহ্মা – সরস্বতী শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতেন, আমরা সেভাবে চলছি কি ? নিজে পড়ে তারপর পড়াচ্ছি কি ? কেননা তোমরাই সত্য গীতা শোনানো ব্যাস । সুখদেব শিব বাবা হলেন গীতার ভগবান তোমরা হলে তাঁর সন্তান কথক ব্যাস ।

এ হলো স্কুল, স্কুলে বাচ্চাদের পড়াশোনা দেখে নম্বর সম্বন্ধে জানা যায় । জাগতিক স্কুল গুলি হলো প্রত্যক্ষ আর এ হলো গুপ্ত । এটা বুদ্ধির দ্বারা জানা যায় যে, আমরা কতখানি উপযুক্ত হয়েছি । কাউকে পড়ানোর প্রমাণ পাওয়া যায় । বাচ্চারা লেখে যে — বাবা, অমুকে আমাকে এমন তীর লাগিয়েছে যে, আমি আপনার হয়ে গেছি আবার কেউ তো সামনে থেকেও বলতে পারে না যে, বাবা আমি আপনার হয়ে গেছি । কোনো কোনো বাচ্চা পবিত্রতার কারণে মারও খেতে থাকে । কেউ কেউ তো আবার বাবার বাচ্চা হয়ে আবার ভেঙ্গেও পড়ে, কেননা তারা ভালোভাবে পড়ে না । না হলে বাবা কতো ভালোভাবে বোঝান যে বাচ্চারা, তোমরা কেবল আমাকে স্মরণ করো আর পড়ো, এই জ্ঞানের দ্বারা তোমরা চক্রবর্তী রাজা হতে পারবে । তোমরা ঘরের বাইরেও লিখে দাও — এক সেকেণ্ডে জনকের মতো ২১ জন্মের জন্য জীবনমুক্তি পাওয়া সম্ভব । তোমরা এক সেকেণ্ডে বিশ্বের মালিক হতে পারো । বিশ্বের মালিক তো দেবতারাই হবেন, তাই না । তাও নতুন বিশ্ব, নতুন ভারতের । যে ভারত নতুন ছিলো তা এখন পুরানো হয়ে গেছে । ভারত ছাড়া আর কোনো খণ্ডকেই নতুন বলা যাবে না । যদি নতুন বলা হয়, তাহলে আবার পুরানোও বলতে হবে । আমরা সব ফুল, যারা নতুন ভারত খণ্ডে যাই । ভারতই ১৬ কলা সম্পূর্ণ হয়, আর কোনো খণ্ডই পূর্ণ চন্দ্র হতে পারে না । সে সব তো অর্ধেক থেকেই শুরু হয় । এ কতো সুন্দর রহস্য পূর্ণ কথা । আমাদের ভারতকেই সত্যখণ্ড বলা হয় । সত্যের পিছনে আবার মিথ্যাও আছে । ভারত প্রথমে পূর্ণ চন্দ্র হয় । পরের দিকে অন্ধকার হয়ে যায় । প্রথম পতাকা হলো স্বর্গের । এমন গায়নও আছে – ভারত স্বর্গ ছিলো, আমরা খুব ভালোভাবে বুঝতে পারি কারণ আমাদের সমস্ত অনুভব আছে । সত্যযুগ আর ত্রেতাতে আমরা কীভাবে রাজত্ব করেছিলাম, তারপর দ্বাপর আর কলিযুগে কি হয়েছিলো, এইসব বুদ্ধিতে আসলে আমাদের কতটা খুশী হওয়া উচিত । সত্যযুগকে প্রভাত আর কলিযুগকে অন্ধকার বলা হয়, তাই তো বলা হয়, জ্ঞান অঞ্জন সদ্গুরু দেন… বাবা কীভাবে এসে তোমাদের মতো অবলাদের, মাতাদের জাগিয়েছেন । বিত্তবানদের উপস্থিত হতে খুব কমই দেখা যায় । এই সময় বাবা সত্যিই গরীবের ভগবান । গরীবই স্বর্গের মালিক হয়, সাহুকার নয় । এরও গুপ্ত কারণ আছে । এখানে তো বলিহারি বা সমর্পণ করতে হয় । গরীবদের বলিহারি যেতে দেরী হয় না, তাই সুদামার উদাহরণের গায়ন আছে । বাচ্চারা, তোমরা এখন আলোর দিশা পেয়েছো, তবুও তোমাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রমানুসার আছে । আর সকলের জ্যোতি এখন নিষ্প্রভ । এতো ছোটো আত্মার মধ্যে অবিনাশী পার্ট নিহিত আছে । এ তো আশ্চর্যের, তাই না । এ কোনো সায়েন্সের শক্তি নয় । তোমরা এখন বাবার কাছ থেকে শক্তি পাও, বরাবর এই যে অবিনাশী চক্র, তা ঘুরতে থাকে, তার কোনো আদি – অন্ত নেই । নতুন কেউ এই কথা শুনলে যাঁতাকলে পড়বে । এখানে ১০- ২০ বছরও যারা আছে, তারাও সম্পূর্ণ বুঝতে পারে না, না কাউকে বোঝাতে পারে । ভবিষ্যতে তোমরা সবই জানতে পারবে যে, অমুকে অমুকের কাছে জন্ম নেবে, এই হবে… যারা মহাবীর হবে তাদের ভবিষ্যতে সব সাক্ষাৎকার হতে থাকবে । ভবিষ্যতে তোমরা সত্যযুগের ঝাড় খুব নিকটে দেখতে পাবে । মহাবীরদেরই তো মালা তৈরী হয়, তাই না । প্রথমে ৮ মহাবীর, তারপর ১০৮ মহাবীর । ভবিষ্যতে তোমাদের এক নম্বর সাক্ষাৎকার হবে । গায়নও আছে — পরমপিতা পরমাত্মা বাণ মারিয়েছিলেন । নাটকে অনেক তথ্য বানানো হয়েছে । বাস্তবে এ কোনো স্থূল বাণের বিষয় নয়, কন্যারা, মাতারা বাণের কথা কি জানবে । বাস্তবে এ হলো জ্ঞান বাণ, আর এদের জ্ঞান দান করেন অবশ্যই পরমপিতা পরমাত্মা । এ কতো আশ্চর্যের কথা, কিন্তু বাচ্চারা একই মুখ্য কথা বার বার ভুলে যায় । সবথেকে কড়া ভুল হয়, যে – দেহ বোধে এসে নিজেকে আত্মা নিশ্চিত করে না । সত্য কেউই বলে না । সত্যি হলো, কেউ আধ ঘণ্টা, কেউ এক ঘণ্টা সারাদিনে অতি কষ্টে স্মরণে থাকতে পারে । আবার কেউ কেউ তো বুঝতেই পারে না যে, যোগ কাকে বলা হয় । এই লক্ষ্যও খুবই উচ্চ । নিজেকে অশরীরী মনে করতে হবে, যতটা সম্ভব ততটা পুরুষার্থ করতে হবে, যাতে পরের দিকে অন্য কেউই স্মরণে না আসে । কোনো ভালো তত্ত্ব জ্ঞানী, ব্রহ্ম জ্ঞানী তাদের গদিতে বসে অনুভব করে যে, আমরা তত্ত্বে লীন হয়ে যাবো । তাদের দেহের বোধ থাকে না । তারপর তারা যখন দেহত্যাগ করে তখন আশেপাশের চারিদিক নিঃস্তব্ধ হয়ে যায় । মানুষ মনে করে যে, কোনো মহান আত্মা দেহ ত্যাগ করেছেন ।

বাচ্চারা, তোমরা যখন স্মরণে থাকবে তখন চারিদিকে কতো শান্তি ছড়াবে । এই অনুভব তাদেরই হবে যারা তোমাদের কুলের হবে । বাকি সকলের মৃত্যু তো মশার মতো হবে । তোমাদের অশরীরী হওয়ার অভ্যাস হয়ে যাবে । এই অভ্যাস তোমরা এখানেই করো । ওখানে সত্যযুগে তো আত্মা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করে । এখানে তো তোমরা জানো যে, এই শরীর ত্যাগ করে তোমাদের বাবার কাছে যেতে হবে, কিন্তু পরের দিকে যেন কেউই স্মরণে না আসে । শরীরই যদি স্মরণে না থাকে তাহলে বাকি আর কি রইলো । এতেই পরিশ্রম । পরিশ্রম করতে করতে পরের দিকে পাস করে বেরিয়ে যাবে । যারা পুরুষার্থ করে তাদের কথাও তো জানা যায়, তাদেরও শো বের হতে থাকবে । বন্ধনে আবদ্ধ গোপিনীরাও এমনভাবে পত্র লেখে যে, যারা মুক্ত তারাও এভাবে লেখে না । তাদের তো সময়ই নেই । বন্ধনে আবদ্ধ যারা, তারা মনে করে, শিব বাবা এই হাতের লোন নিয়েছেন, তাই শিব বাবার পত্র আসবে । এমন পত্র তো আবার পাঁচ হাজার বছর পরে আসবে । বাবাকে রোজ পত্র লিখি না কেন। নয়নের কাজল দিয়েও লিখি, এমন – এমন খেয়াল আসবে । আরো লেখে যে, বাবা আমি সেই পূর্ব কল্পের গোপিকা । আমি অবশ্যই আপনার সঙ্গে মিলিত হবো আর অবশ্যই উত্তরাধিকার গ্রহণ করবো । যোগবল থাকলে নিজেকে বন্ধন থেকে মুক্ত করতে থাকবে । তখন মোহও আর কারোর প্রতিই থাকবে না । খুব বুদ্ধি করে বোঝাতে হবে । নিজেকে রক্ষা করতে হবে, সম্পর্কে পৃথক থেকে কর্তব্য পালনের প্রয়াস করতে হবে । মাতা’রা মনে করে যে, আমরা পতিকেও সঙ্গে করে নিয়ে যাই । আমাদের দায়িত্ব হলো ওদের বুঝিয়ে বলা । পবিত্রতা তো খুবই ভালো । বাবা নিজেই বলেন, কাম মহাশত্রু, একে জয় করো । তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক করবো । এমন বাচ্চারাও আছে যারা নিজের পতিকে বুঝিয়ে নিয়ে আসে । বন্ধনে আবদ্ধ যারা, তাদেরও এখানে পার্ট আছে । অবলাদের উপর অত্যাচার তো হয়ই । শাস্ত্রেও এই গায়ন আছে যে — কামেষু, ক্রোধেষু… এ কোনো নতুন কথা নয় । তোমরা তো ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার পাও, তাই তোমাদের অল্পকিছু তো সহ্য করতেই হয় । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ – সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যোগবলের দ্বারা নিজের সমস্ত বন্ধনকে ছিন্ন করে বন্ধনমুক্ত হতে হবে, কারোর প্রতি মোহ রাখবে না ।

২ ) যে ঈশ্বরীয় নির্দেশ পাও, তাতে সম্পূর্ণ চলতে হবে । খুব ভালোভাবে পড়তে আর পড়াতে হবে । অতি চালাক হয়ো না ।

বরদানঃ-

সম্পূর্ণ বিশ্বের আত্মারা পরমাত্মাকে বাবা বলে, কিন্তু পালনা আর পড়ার জন্য উপযুক্ত পাত্র তৈরী হয় না । সম্পূর্ণ কল্পে তোমরা অল্প কিছু আত্মারা এখনই এই ভাগ্যের উপযুক্ত পাত্র হয়ে ওঠো । তাই এই পালনার প্রত্যক্ষ স্বরূপ হলো – সহজ যোগী জীবন । বাবা, বাচ্চাদের কোনো সমস্যাই দেখতে পারেন না । বাচ্চারা নিজেরাই চিন্তা করতে করতে সমস্যা তৈরী করে ফেলে, কিন্তু স্মৃতি স্বরূপের সংস্কারকে তোমরা ইমার্জ করো তাহলেই সমর্থ ভাব এসে যাবে ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top