22 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
21 August 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"ভাগ্যবান বাচ্চাদের শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের লিস্ট"
আজ ভাগ্যবিধাতা বাপদাদা তাঁর ভাগ্যবান বাচ্চাদেরকে দেখছেন । প্রতিটি ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের ভাগ্য জগতের সাধারণ আত্মাদের থেকেও অতি শ্রেষ্ঠ । কেননা প্রত্যেক ব্রাহ্মণ আত্মা কোটির মধ্যেও কতিপয় তার মধ্যেও কেউ। কোথায় সাড়ে পাঁচশো কোটি আত্মা আর কোথায় তোমরা ব্রাহ্মণদের ছোট্ট সংসার ! তাদের তুলনায় কতোই সামান্য তোমরা সংখ্যায় ! সেইজন্য অজ্ঞানী, বাবাকে না জানা আত্মাদের মধ্যে তোমরা সকল ব্রাহ্মণরা হলে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান। বাপদাদা দেখছিলেন যে, প্রতিটি ব্রাহ্মণের ললাটে ভাগ্য-রেখা অত্যন্ত স্পষ্ট তিলক সম উজ্জ্বল। জাগতিক দুনিয়ার জ্যোতিষীরা হাতের রেখা দেখে, কিন্তু এই দিব্য ঈশ্বরীয় ভাগ্যের রেখা প্রত্যেকের ললাটে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। যতখানি শ্রেষ্ঠ ভাগ্য, ততখানিই ভাগ্যবান বাচ্চাদের ললাট সদা অলৌকিক লাইটে উজ্জ্বল। ভাগ্যবান বাচ্চাদের আর কোন্ লক্ষণ দেখতে পাওয়া যাবে ? সর্বদা ঈশ্বরীয় রুহানী হাস্যোজ্জ্বল মুখাবয়ব পরিলক্ষিত হবে। ভাগ্যবানের নয়ন অর্থাৎ দৃষ্টি যে কোনো কারোর মধ্যেই সদা খুশির ঢেউ উৎপন্ন করানোর নিমিত্ত হয়ে যাবে । যে সেই দৃষ্টি লাভ করবে, সে আত্মিক ভাব এবং আত্মিক সৌরভের, রুহানী বাবার, পরমাত্ম – স্মরণের অনুভব করবে। ভাগ্যবান আত্মার সম্পর্কে প্রত্যেক আত্মার হাল্কা ভাব অর্থাৎ লাইটের অনুভূতি হবে। ব্রাহ্মণ আত্মাদের মধ্যেও নম্বর অনুক্রমে তো অন্তিম সময় পর্যন্ত থাকবেই, কিন্তু লক্ষণ গুলি নম্বর অনুক্রমে সকল ভাগ্যবান বাচ্চাদের আছেই। পরে আরওই প্রত্যেক্ষ হতে থাকবে।
এখন কিছুটা সময়কে যেতে দাও। কিছুকাল পরে যখন অতি আর অন্ত দুটোই অনুভব হবে আর যে সব আত্মারা এখনও বাবাকে চেনেনি, তারা হদের বৈরাগ্য বৃত্তিতে আসবে আর তোমরা ভাগ্যবান আত্মারা বেহদের বৈরাগ্য বৃত্তির অনুভবে থাকবে। এখন তো দুনিয়ার মানুষের মধ্যেও বৈরাগ্য নেই। যদিওবা অল্প বিস্তর রিহার্সাল হয়ও, তা সত্ত্বেও আরোই উদাসীনতার নিদ্রায় নিদ্রিত হয়ে যায় যে, এ তো হয়েই থাকে। কিন্তু যখন ‘অতি’ আর ‘অন্তে’র দৃশ্যাবলী সামনে আসতে থাকবে, তখন স্বতঃতই হদের বৈরাগ্য বৃত্তি উৎপন্ন হবে আর অত্যন্ত টেনশন হওয়ার কারণে সকলের অ্যাটেনশন এক বাবার দিকেই যাবে। সেই সময় সকল আত্মাদের অন্তর থেকে আওয়াজ ধ্বনিত হবে – সকলের রচয়িতা, সকলের পিতা এক আর তখন সব তরফ থেকে বুদ্ধি স্বতঃতই এক দিকে সরে আসবে। এই রকম সময়ে তোমরা ভাগ্যবান আত্মাদের বেহদের বৈরাগ্য বৃত্তির স্থিতি স্বাভাবিক আর নিরন্তর হয়ে যাবে আর প্রত্যেকের ললাট থেকে ভাগ্যের রেখা গুলি স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে। এখনও শ্রেষ্ঠ ভাগ্যবান বাচ্চাদের বুদ্ধিতে সদা কী থাকে ? ‘ভগবান’ আর ‘ভাগ্য’।
অমৃতবেলা থেকে নিজের ভাগ্যের লিস্ট বের করো। ভাগ্যবান বাচ্চাদের অমৃতবেলায় বাবা স্বয়ং ঘুম থেকে জাগান আর আহ্বানও করেন। অত্যন্ত স্নেহী বাচ্চা যারা তাদের অনুভব রয়েছে যে, ঘুমিয়ে থাকতে চাইলেও শুয়ে থাকতে দিচ্ছে না, কেউ যেন উঠিয়ে দিচ্ছে, ডাকছে। এই রকম অনুভব হয়, তাই না ! অমৃতবেলার থেকে নিজের ভাগ্যকে দেখেছো ? ভক্তিতে দেবতাগণকে ভগবান মনে করে ভক্তরা ঘন্টা বাজিয়ে জাগায় আর তোমাদেরকে স্বয়ং ভগবান জাগান, কতখানি ভাগ্য তোমাদের ! অমৃতবেলার থেকে শুরু করে বাবা বাচ্চাদের সেবাধারী হয়ে সেবা করেন এবং তারপর আহ্বান করেন – “এসো, বাবার সমান স্থিতির অনুভব করো, আমার সাথে এসে বসো।” বাবা কোথায় বসে আছেন ? উঁচু স্থানে আর উঁচু স্থিতিতে। যখন বাবার সাথে তোমরা বসে যাবে, তাহলে তোমাদের স্থিতি কেমন হয়ে যায় ? যোগ লাগাতে হয় নাকি যোগ লেগেই থাকে ? তখনই তো এখানে বেশী সময় থাকতে ইচ্ছে করে, তাই না ? এখন যখন সবাইকে বলা হয় – আরো দিন ১৫ থেকে যাও, শুনেই আনন্দে নাচতে থাকবে তাই তো ? তাই যেমন স্থানের প্রভাব স্থিতির উপরে পড়ে, তেমনই অমৃতবেলায় হয় পরমধামে নয়তো সূক্ষ্ম লোকে চলে যাও, বাবার সাথে বসে যাও। অমৃতবেলা শক্তিশালী হলে সারাদিন স্বতঃতই সহায়তা প্রাপ্ত করবে। অতএব নিজের ভাগ্যকে স্মৃতিতে রাখো – “বাঃ আমার ভাগ্য !” দিনচর্যাই ভগবানকে দিয়ে শুরু হয়।
এরপর নিজের ভাগ্যকে দেখো – বাবা স্বয়ং শিক্ষক হয়ে কতো দূর দেশ থেকে তোমাদেরকে পড়াতে আসেন ! লোক তো ভগবানের কাছে যাওয়ার জন্য কতো প্রচেষ্টা করে। আর ভগবান স্বয়ং তোমাদের কাছে শিক্ষক হয়ে পড়াতে আসেন, কতখানি ভাগ্য তোমাদের ! আর কতো সময় ধরে সেবার ডিউটি পালন করছেন তিনি ! কখনো ক্লান্ত হয়েছেন ? কখনো অজুহাত দেখিয়েছেন যে – আজকে মাথার যন্ত্রণা, আজ রাত্রে ঘুম হয়নি ? তো বাবা যেমন অক্লান্ত সেবাধারী হয়ে সেবা করেন, তাই বাবার সমান বাচ্চারাও হল অক্লান্ত সেবাধারী। নিজের দিনচর্যাকে দেখো, কতো বড় ভাগ্য তোমাদের ? বাবা সর্বদা স্নেহী, হারানিধি বাচ্চাদেরকে বলে থাকেন – যে সেবাই করো না কেন, তা সে লৌকিক হোক কিম্বা অলৌকিক, পরিবারেই হোক অথবা সেবাকেন্দ্রে – যে কর্মই করো, যে ডিউটিই করো, কিন্তু সদা এই অনুভব করো যে করাবনহার করাচ্ছেন আমি নিমিত্ত করনহারের দ্বারা, আমি সেবা করবার জন্য নিমিত্ত হয়েছি, করাবনহার করাচ্ছেন। এখানেও তোমরা একা নও, করাবনহারের রূপে বাবা কর্ম করবার সময়ও সাথে রয়েছেন। তোমরা তো কেবল নিমিত্ত। ভগবান হলেন বিশেষ করাবনহার। একা একা তাহলে করোই বা কেন ? আমি একা করি – এই ভান থাকলে এই ‘আমিত্ব’ হল মায়ার দরজা। তাই তো তোমরা বলো – মায়া এসে গেছে। যখন দরজা খোলা রয়েছে, তবেই তো মায়া অপেক্ষায় রয়েছে আর তোমরা যখন সব ব্যাবস্থা খুব ভালো ভাবেই করে রেখেছ, তাহলে আসবে না কেন ?
এও নিজের ভাগ্য স্মৃতিতে রাখো যে, বাবা করাবনহার সকল কর্মই করাচ্ছেন । তাহলে কোনো বোঝা থাকবে না। বোঝা তো মালিকের উপরে থাকে, যারা সাথী থাকে, তাদের উপরে বোঝা থাকে না। মালিক হয়ে যাও বলেই তো বোঝা এসে যায়। আমি বালক আর মালিক হলেন বাবা, মালিক বালককে দিয়ে করাচ্ছেন। বড় হয়ে বসো বলেই তো অনেক বড় দুঃখ এসে যায় । বালক হয়ে, মালিকের ডাইরেকশন অনুসারে করো। কত বড় ভাগ্য এটা ! সকল কর্মে বাবা সব দায়িত্ব নিয়ে হাল্কা বানিয়ে ওড়াচ্ছেন। কিন্তু কী হয়, যখন কোনো সমস্যা চলে আসে, তখন তোমরা বলো যে – বাবা, এখন তুমি জানো। আর যখন সমস্যা সমাপ্ত হয়ে যায়, তখন আনন্দে মশগুল হয়ে যাও। কিন্তু এই রকম করো কেন যাতে সমস্যা চলে আসে ? করাবনহার বাবার ডাইরেকশন অনুসারে সকল কর্ম করতে থাকো, তাহলে কর্মও শ্রেষ্ঠ আর শ্রেষ্ঠ কর্মের ফল হল – সদা খুশী, সদা হাল্কা ভাব, ফরিস্তা জীবনের অনুভব করতে থাকবে। ‘ফরিস্তা কর্মের সম্বন্ধে আসবে কিন্তু কর্ম বন্ধনে আবদ্ধ হবে না।’ আর বাবার সম্বন্ধ করাবনহার রূপে যুক্ত রয়েছে, সেইজন্য নিমিত্ত ভাবে কখনো ‘আমিত্ব’ ভাবের অহমিকা (অভিমান) আসে না। সদা নির্মান (নিরহংকারী/নম্রচিত্ত) হয়ে নির্মাণ কার্য করবে। তাহলে কতখানি ভাগ্য তোমাদের, তাই না !
আর তারপর ব্রহ্মা – ভোজন কে খাওয়ান তোমাদের ? নামই তো হল ব্রহ্মা ভোজন – ব্রহ্ম – ভোজন নয়, ব্রহ্মা ভোজন। তো ব্রহ্মা হলেন এই যজ্ঞের সদা রক্ষক। প্রত্যেক যজ্ঞ বৎস বা ব্রহ্মা বৎসের জন্য ব্রহ্মা বাবার দ্বারা ব্রহ্মা ভোজন প্রাপ্ত হয়ই।লোকে তো এমনিই বলে দেয় যে, আমাদেরকে ভগবান খাওয়াচ্ছেন। তাদের তো জানাই নেই যে ভগবান কী, কিন্তু খাওয়াচ্ছেন ভগবান। কিন্তু ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরকে তো বাবা’ই খাওয়ান। সে তোমরা লৌকিক রোজগার করেই পয়সা জমা করছো, তা দিয়েই খাবার আনছো ঠিকই, কিন্তু প্রথমে তো তোমাদের রোজগারের টাকা বাবার ভান্ডারীতেই দিচ্ছো। বাবার ভান্ডারী ‘ভোলানাথের ভান্ডারী’তে পরিণত হয়ে যায়। কখনোই এই বিধিকে ভুলবে না। নাহলে ভাবতে পারো – আমি নিজেই রোজগার করি নিজেই খাই। এমনিতে তো তোমরা হলে ট্রাস্টি, ট্রাস্টির কোনো কিছুই হয় না। আমরা আমাদের পয়সায় খাই – এই সংকল্পও যেন না ওঠে। তোমরা যখন ট্রাস্টি, তখন সব কিছুই বাবর কাছে সঁপে দিয়েছ। তোমার হয়ে গেছে, আমার নয়। ট্রাস্টি অর্থাৎ তোমার আর গৃহস্থী অর্থাৎ আমার। তোমরা কারা ? গৃহস্থী তো নও তাই না ? ভগবান খাওয়াচ্ছেন, ব্রহ্মা ভোজন পাচ্ছ তোমরা – ব্রাহ্মণ আত্মাদের এই নেশা স্বতঃই থাকে আর বাবার গ্যারান্টি হল – ২১ জন্ম ব্রাহ্মণ আত্মা কখনো অভুক্ত থাকবে না, ভগবান অত্যন্ত ভালোবাসার সাথে ডাল – রুটি, সব্জি খাওয়াবেন। এই জন্মও ডাল – রুটি ভালবাসার খাওয়াবেন, পরিশ্রমের না। সেই কারণেই সদা এই স্মৃতি রাখো যে, অমৃতবেলা থেকে কি কি ভাগ্য প্রাপ্ত হয়েছে। সমস্ত দিনচর্যাটিকে মনে করো।
ঘুমও পাড়ান বাবা ঘুম পাড়ানি গান শুনিয়ে। বাবার কোলে ঘুমিয়ে পড়ো, তাহলে সব পরিশ্রম অসুখ বিসুখ সব কিছু ভুলে যাবে, আরামে ঘুমাবে। কেবল আহ্বান করো – ‘আ রাম’, আর আরাম এসে যাবে। একা ঘুমাও বলেই তো নানা রকমের সংকল্প চলতে থাকে। বাবার সাথে ‘স্মরণের কোলে’ ঘুমিয়ে পড়ো। ‘মিষ্টি বাচ্চা’, ‘প্রিয় বাচ্চা’র ঘুম পাড়ানি গান শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়ো। দেখো কতখানি অলৌকিক অনুভব হয় ! তাই অমৃতবেলা থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত সব ভগবান করাচ্ছেন, যিনি চালাবার তিনিই চালাচ্ছেন, যিনি করাবার তিনিই করাচ্ছেন – সদা এই ভাগ্যকে স্মৃতিতে রাখো, ইমার্জ করো। কোনো জাগতিক নেশাও যতক্ষণ না নেশার বস্তুকে পান করছে ততক্ষণ পর্যন্ত নেশা চড়বে না। সেইরকমই কেবল বোতলেই সেটা যদি থাকে, তবে কি নেশা চড়বে ? এও বুদ্ধিতে সমায়িত হয়ে তো আছে, কিন্তু তাকে ইউজ করো। স্মৃতিতে নিয়ে আসা অর্থাৎ পান করা, ইমার্জ করা। একে বলা হয় – স্মৃতি স্বরূপ হও। এই রকম বলা হয়নি যে, বুদ্ধিতে সমায়িত করে রাখো। স্মৃতি স্বরূপ হও। কতখানি ভাগ্যবান তোমরা ! রোজ নিজের ভাগ্যকে স্মৃতিতে রেখে সমর্থ হও আর উড়তে থাকো। বুঝতে পেরেছ, কী করতে হবে ? ডবল বিদেশি জাগতিক নেশার তো অনুভবী, এখন অসীম জগতের নেশা স্মৃতিতে রাখো, তাহলে সদা ভাগ্যের শ্রেষ্ঠ রেখা ললাটে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে, স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে। এখন কারোরটা সুপ্ত, কারোরটা স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যাবে। কিন্তু সদা স্মৃতিতে যদি থাকে, তবে ললাটে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে, অন্যদেরকেও অনুভব করাতে থাকবে। আচ্ছা !
সদা ভগবান আর ভাগ্য – এই রকম স্মৃতি স্বরূপ সমর্থ আত্মাদেরকে, সদা প্রতিটি কর্মে করনহার হয়ে কর্ম করিয়ে থাকা শ্রেষ্ঠ বাচ্চাদেরকে, সদা অমৃতবেলায় বাবার সাথে উচ্চ স্থান, উচ্চ স্থিতিতে স্থিত থাকা ভাগ্যবান বাচ্চাদেরকে, সদা নিজের ললাট দ্বারা শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রেখা গুলি অন্যদেরকে অনুভব করাতে পারা বিশেষ ব্রাহ্মণদেরকে বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।
বিদায়ের সময় দাদী জানকী বম্বে তথা কুরুক্ষেত্রে সেবার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে অনুমতি নিচ্ছেন
মহারথীদের পায়ে সেবার চাকা তো লাগানোর রয়েছে। তোমরা যেখানেই যাও সেবা ছাড়া তো আর কিছু হয়ই না। তা সে যে কারণেই যাও না কেন তাতে সেবা সমায়িত হয়ে থাকে । প্রতিটি কদমে সেবা ছাড়া আর কিছুই নেই। যদি হাটাচলাও করো, চলাফেরাতেও সেবা। খাবারও যদি খায়, কাউকে ডেকে এনে খাওয়ায়ও, সেও তখন ভালোবেসে গ্রহণ করে – তবে সেটাও সেবা হয়ে গেল । উঠতে বসতে, চলতে ফিরতে সেবা’ই সেবা। সেবার চান্স পাওয়াও তো ভাগ্যের লক্ষণ। বড় চক্রবর্তী হতে হলে সেবার চক্রও বড় হবে। আচ্ছা !
বরদানঃ-
দিন দিন পরিস্থিতি গুলি অতি তমোপ্রধান হতে থাকবে। বায়ুমণ্ডল আরও খারাপের দিকে যেতে থাকবে। এই রকম পরিবেশে পদ্ম ফুলের মতো নির্লিপ্ত থাকা, নিজের স্থিতিকে সতোপ্রধান বানানো – এর জন্য অনেকখানি সাহস বা শক্তির প্রয়োজন । যখন এই বরদান স্মৃতিতে থাকে যে, আমি হলাম মাস্টার সর্বশক্তিমান, তখন পরিস্থিতির দ্বারাই হোক কিম্বা লৌকিক সম্বন্ধের দ্বারা অথবা দৈবী পরিবারের দ্বারা, যে পরীক্ষাই আসুক না কেন – তাতে সদা একরস, অচল – অটল থাকবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!