22 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 21, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা এসেছেন বাচ্চারা তোমাদের থেকে দান নিতে। তোমাদের কাছে পুরানো যা কিছু আবর্জনা আছে তাকে দান করে দাও, তবে পুণ্য আত্মা হয়ে যাবে"

প্রশ্নঃ --

পুণ্যের দুনিয়াতে যে বাচ্চারা যাবে তাদের প্রতি বাবার শ্রীমৎ কী ?

উত্তরঃ -:-

মিষ্টি বাচ্চারা – পুণ্যের দুনিয়াতে যেতে হলে সবার থেকে মমত্ব (আসক্তি) দূর করো। পাঁচ বিকারকে ত্যাগ করো। এই অন্তিম জন্মে জ্ঞান চিতাতে বসো। পবিত্র হও তবে পুণ্য আত্মা হয়ে পুণ্যের দুনিয়াতে চলে যাবে। জ্ঞান যোগকে ধারণ করে নিজের দৈবী আচরণকে তৈরি করো। বাবার সাথে সত্যিকারের সওদা করো। বাবা তোমাদের থেকে কিছুই নেন না। কেবল যাতে আসক্তি দূর হয়ে যায় তার যুক্তি বলে দেন। বুদ্ধির দ্বারা সব কিছু বাবার অধীন করে দাও।

গান:-

এই পাপের দুনিয়ার থেকে..

ওম্ শান্তি । জগতের মানুষ বা রাবণ রাজ্যের মানুষ আহ্বান করে যে হে পতিত পাবন এসো। পবিত্র দুনিয়া বা পুণ্যের দুনিয়াতে নিয়ে চলো। যারা এই গীত বানিয়েছে তাদের এই বিষয়টি জানা নেই। আহ্বান করে – রাবণ রাজ্যের থেকে রামরাজ্যে নিয়ে চলো। কিন্তু তারা নিজেকে কেউই পতিত বলে মনে করে না। নিজের বাচ্চাদের সম্মুখে তো বাবা’ই বসে রয়েছেন। রাম রাজ্যে যাওয়ার জন্য, শ্রেষ্ঠ হওয়ার জন্য তিনি শ্রীমৎ দিচ্ছেন। ভগবানুবাচ – রম ভগবানুবাচ নয় । ভগবান তো হলেন নিরাকার। নিরাকারী, আকারী আর সাকারী তিনটি দুনিয়া আছে না ! নিরাকার পরমাত্মা নিরাকারী বাচ্চাদের (আত্মাদের) সাথে নিরাকার দুনিয়াতে থাকেন। এখন বাবা এসেছেন স্বর্গের রাজ্য ভাগ্য দিতে। আমাদেরকে পুণ্য আত্মা বানাতে। রাম রাজ্য মানে দিন আর রাবণ রাজ্য মানে হল রাত। এই সব কথা আর কেউই জানে না। তোমাদের মধ্যে বিরলই কেউ জানে। এই জ্ঞানের জন্যও পবিত্র বুদ্ধির প্রয়োজন । মূল কথাই হল স্মরণ। ভালো জিনিস সব সময় স্মরণে থাকে। তোমাদের কী পুণ্য করতে হবে ? তোমাদের কাছে যে যে আবর্জনা রয়েছে সে’সব আমার অধীনে করে দাও। মানুষ মারা গেলে তার জামা কাপড়, বিছানা পত্র সব অগ্রদানী (করনীঘোর) ব্রাহ্মণকে দিয়ে দেয়। তারা হল অন্য প্রকারের ব্রাহ্মণ । এখন বাবা এসেছেন তোমাদের থেকে দান নেওয়ার জন্য। এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো শরীর সব কালজীর্ন হয়ে গেছে। এট’ সব আমরাকে দিয়ে দাও আর এর থেকে মমত্ব দূর করে দাও। হয়ত ১০ – ২০ কোটিই আছে। বাবা বলেন এদের সকলের থেকে বুদ্ধিকে সরিয়ে নাও। এর বদলে নতুন দুনিয়াতে তোমরা সব কিছু নতুন পাবে। কতো সস্তা সওদা এটা। বাবা বলেন যার মধ্যে আমি প্রবেশ করেছি সে সবের সওদা করে ফেলেছে। এখন দেখো – এর বদলে কতো বড় রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত হবে ! কুমারীদেরকে তো কিছুই দিতে হবে না। বাচ্চারা যখন উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে তখন সম্পদের মালিকানার নেশা থাকে। আজকাল বাচ্চাদেরকে কী হাফ পার্টনার বানায় নাকি, সব বাচ্চাদেরকে দিয়ে দেয়। পুরুষ মারা গেলে স্ত্রীদের খবরই আর কেউ রাখে না। এখানে তো তোমরা বাবার কাছ থেকে ফুল বর্সা নিয়ে থাকো। এখানে তো মেল ফিমেলের কোনো প্রশ্নই নেই। সকলেই উত্তরাধিকারের অধিকারী । মাতাদের, কন্যাদের অধিকার তো আরও বেশি। কেননা কন্যাদের তো লৌকিক বাবার সম্পত্তির প্রতি কোনো মোহই থাকে না । বাস্তবে তোমরা সবাই কুমার কুমারী হয়ে গেছো। বাবার কাছ থেকে তোমরা কতো সম্পদ পেয়েছো। একটা কাহিনী রয়েছে – রাজা তার মেয়েদেরকে জিজ্ঞাসা করলেন তোমরা কার খাও ? তো একজন বললো আমার ভাগ্যের। তো রাজা তাকে রাজ্য থেকে বের করে দিলেন। সে বাবার থেকেও অনেক বেশি বড়লোক হয়ে গেল। বাবাকে তার রাজ্যে আমন্ত্রণ জানিয়ে বললো, কার খাই দেখো। তো বাবাও বলেন, বাচ্চারা, তোমরা সবাই তোমাদের ভাগ্যকে তৈরি করছো।

দিল্লিতে একটা গ্রাউন্ড আছে – রামলীলা গ্রাউন্ড। বাস্তবে রাখা উচিত রাবণ লীলা। কারণ এই সময় সমগ্র বিশ্বে রাবণের লীলা চলছে। বাচ্চারা তোমাদের রামলীলা ময়দানে গিয়ে সেখান গিয়ে চিত্র লাগানো উচিত। একদিকে থাকবে রামের চিত্র আর নীচে বড় করে রাবণের চিত্র থাকবে। অনেক বড় সৃষ্টিচক্র বা গোলা যেন হয়। মাঝখানে লিখে দেওয়া উচিত – এটা হল রাম রাজ্য, এটা রাবণ রাজ্য। তাহল বুঝতে পারবে। দেবতাদের দেখো কত মহিমা – সর্বগুণ সম্পন্ন….। অর্ধ কল্প হল কলিযুগী ভ্রষ্টাচারী, রাবণ রাজ্য… তাতে সব এসে যায়। এখন রাবণ রাজ্যের সমাপ্তি তো রামই করবেন। এই সময় রামলীলা নেই, সমগ্র দুনিয়া হল রাবণ লীলা। রামলীলা হয় সত্যযুগে। কিন্তু মানুষ এখন নিজেদেরকে খুব বুদ্ধিমান বলে মনে করে। নিজেদেরই শ্রী শ্রী’র টাইটেল রেখে দেয়। এই টাইটেল তো হল নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মার। যার দ্বারা শ্রী লক্ষ্মী-নারায়ণও রাজ্য প্রাপ্ত করে। এখন বাবা এসেছেন, তোমাদেরকে ভক্তি রূপী অন্ধকার থেকে ছাড়িয়ে উজ্জ্বলতায় (আলোতে) নিয়ে যেতে। যার মধ্যে জ্ঞান – যোগ থাকবে তার আচরণও দৈবী হবে। আসুরিক আচরণ যাদের তারা কারো কল্যাণ করতে পারবে না। চট করে বুঝতে পারা যায় যে, এর মধ্যে আসুরিক গুণ আছে নাকি দৈবী গুণ ! এখনও পর্যন্ত কেউ সম্পূর্ণ তো হয়নি। এখন তৈরি হচ্ছে তো বাবা তো হলেন দাতা, তোমাদের থেকে কি নেবেন। যা কিছু নেন, সেটাও তোমাদের সেবাতেই লাগিয়ে দেন। বাবা এনাকেও স্যারেন্ডার করিয়েছেন – ভাট্টি বানাতে হবে, বাচ্চাদেরকে পালন করতে হবে। টাকা পয়সা ছাড়া এতজনের পালনা কিভাবে হবে। প্রথমে বাবা এনাকে অর্পণ করিয়েছেন পরে যারা এসেছেন তাদেরকেও অর্পণ করিয়েছেন। কিন্তু সকলের একরস অবস্থা তো হয়নি, অনেকেই চলে গেছে। (বিড়াল ছানার ভাট্টিতে বসেও বেঁচে যাওয়ার কাহিনী) নম্বরের ক্রমে পুরুষার্থ অনুসারে সবাই পরিপক্ক হয়ে বেরিয়ে আসবে। বাবা তো পুণ্যের দুনিয়াতে নিয়ে যাচ্ছেন। কেবল বলেন যে ৫ বিকারকে ত্যাগ করো। আমি তোমাদেরকে প্রিন্স প্রিন্সেস বানাবো। ব্রহ্মার সাক্ষাৎকার ঘরে বসে অনেকেরই হয়ে যায়। সেখান থেকেই লিখে পাঠিয়ে দেয় – বাবা আমি আপনার হয়ে গেছি, আমার সবকিছুই আপনার। বাবা কিছুই নেন না। বাবা বলেন – সবকিছু নিজের কাছে রাখো। এখানে মহল তৈরি করে, কেউ জিজ্ঞাসা করে টাকা পয়সা কোথা থেকে পেয়েছ। আরে এত অধিক বাচ্চা আছে বাবার। প্রজাপিতা ব্রহ্মার নাম শুনেছো তাই না। তিনি বলেন যে কেবল মমতা সরিয়ে নাও, তোমাদেরকে বাড়ি ফিরে যেতে হবে। বাবাকে স্মরণ করো। আমাদেরকে ভগবান পড়াচ্ছেন তাই খুশির পারদ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া চাই। লক্ষ্মী নারায়ণকে ভগবান বলা যায়না, দেবী-দেবতা বলা হবে। ভগবানের কাছে ভগবতী থাকেন না। কতোই না যুক্তির কথা। সম্মুখে ছাড়া এই কথা কেউ বুঝতে পারবে না। গাইতেও থাকে যে ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা… জ্ঞান না হওয়ার কারণ লক্ষ্মী-নারায়ণের সামনে, হনুমানের সামনে, গণেশের সামনে গিয়ে এই মহিমা গায়। আরে তারা তো সাকারী ছিলেন, তাকে তো তাদের বাচ্চারাই মাতা পিতা বলবে। তোমরা তার বাচ্চা কোথায় হলে ? তোমরা তো রাবণের রাজ্যে আছো। এই ব্রহ্মাও হলেন মাতা। এনার দ্বারা বাবা বলেন যে তোমরা আমার বাচ্চা হয়েছ। কিন্তু মাতাদের কন্যাদের দেখাশোনা করার জন্য মাতা চাই। অ্যাডপ্টেড কন্যা হলেন – বি. কে সরস্বতী। কতইনা গুপ্তকথা। বাবা যে জ্ঞান প্রদান করেন সেসব কোনও শাস্ত্রে নেই। ভারতের একটি মুখ্য শাস্ত্র হল গীতা, সেখানে জ্ঞানের পড়াশোনার কথা আছে। সেখানে চরিত্রের কোনও কথা নেই। জ্ঞানের দ্বারা পদ প্রাপ্ত হয়।

বাবা হলেন জাদুকর। তোমরা গেয়ে থাকো রত্নাকর, জাদুকর… তোমাদের ঝুলি পূর্ণ করে দেন স্বর্গের জন্য। সাক্ষাৎকার তো ভক্তি মার্গেও করে থাকে, কিন্তু তাতে কোনো লাভ নেই। লিখবে, পড়বে, হয়ে যাবে নবাব… সাক্ষাৎকারের দ্বারা তোমরা তা হতে পেরেছ কী ? সাক্ষাৎকার আমি করাই। পাথরের মূর্তি কি কখনো সাক্ষাৎকার করাতে পারবে নাকি ? নবধা ভক্তিতে তো শুদ্ধ ভাবনা রেখে থাকে। তার প্রতিদান আমি দিই। কিন্তু তমোপ্রধান তো হতেই হবে। মীরা সাক্ষাৎকার করেছিল কিন্তু জ্ঞান তো কিছুই ছিল না। মানব তো দিদ দিন তমোপ্রধান হতে যেতেই থাকবে। এখন তো সব মানুষই পতিত। গায়ও আমাদের এমন জগতে নিয়ে চলো, যেখানে গেলে সুখ শান্তি মেলে।

তোমরা ভারতবাসীরা সত্যযুগে খুব সুখী ছিল। সত্যযুগের অনেক নাম রয়েছে। স্বর্গ তো ভারতই ছিল – কিন্তু বুঝতে কিছুই পারেনা। এটাও জানে যে ভারতই হল প্রাচীন, স্বর্গ ছিল। সেখানে আর অন্য কোনো ধর্ম ছিল না। এই সব কথা একমাত্র বাবা’ই বোঝান। তোমরা সবাই এখন শ্রবণ কুমার কুমারী হয়ে উঠছো। তোমরা সবাইকে জ্ঞানের বাঁখে বসাচ্ছো। তোমাদের সকল আত্মীয় পরিজনকে জ্ঞান প্রদান করে ওঠাতে হবে। বাবার কাছে যুগলরাও আসে। আগে তো জাগতিক ব্রাহ্মণদেরকে দিয়ে দুই হাত এক করতো। এখন তোমরা রুহানী ব্রাহ্মণ কাম চিতার সাথে বন্ধন ছিন্ন করছো। বাবার কাছে এসে তারা বলে বাবা আমরা স্বর্গে যেতে চাই। আবার কেউ কেউ বলে আমাদের কাছে স্বর্গ হল এটাই। আরে এটা হল অল্প কালের স্বর্গ। আমি তোমাদেরকে ২১ জন্মের জন্য স্বর্গ প্রদান করবো।কিন্তু তার জন্য আগে পবিত্র থাকতে হবে। ব্যস্ এই একটা কথাতেই দুর্বল হয়ে পড়ে। আরে অসীম জগতের পিতা বলছেন – এই অন্তিম জন্ম তো জ্ঞান চিতাতে বসো। তো দেখা যায় যে স্ত্রীরা চট করে চলে আসে। আবার কেউ কেউ বলে পতি পরমেশ্বরকে অসন্তুষ্ট করবো কী করে !

বাবার হয়ে গেলে প্রতিটি পদক্ষেপ শ্রীমৎ অনুসারে চলতে হবে। এখন বাবা এসেছেন স্বর্গের মালিক বানাতে। পবিত্র হওয়া তো ভালো। কুল কলঙ্কিত ক’রো না। বাবা’ ই তো বলবেন। লৌকিক বাবা তো (কুল কলঙ্কিত করলে) চড়ই মেরে দেবে। মাম্মা তো খুবই মিষ্টি স্বভাবের। খুব মিষ্টি দয়া ভাবাপন্ন হতে হবে। বাবা বলেন বাচ্চারা, তোমরা আমাকে অনেক গালি দিয়ে থাকো। এখন আমি তো অপকারীর উপরেও উপকার করি। আমি জানি যে রাবণের মতে চলে তোমাদের এই হাল হয়েছে। আগের সেকেন্ডে যা পাস হয়ে গেছে সেটা হল ড্রামা। কিন্তু পরবর্তী কালের জন্য সতর্ক থাকতে হবে যে, আমাদের কর্মের খাতা যেন খারাপ না হয়। প্রত্যেককে নিজের প্রজা বানাতে হবে, উত্তরাধিকারীও বানাতে হবে। কোনো মুরলীই মিস করা উচিত নয় । কোনো পয়েন্ট যেন মিস না হয়ে যায়। ভালো ভালো জ্ঞান রত্ন মিস হয়ে গেল, শুনলে না, তবে ধারণা কীভাবে হবে ? রেগুলার স্টুডেন্ট মুরলী কখনোই মিস করবে না। চেষ্টা রাখতে হবে প্রতিদিনের বাণী পড়বার। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা বাচ্চারা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) নিজের কর্মের খাতা যাতে খারাপ না হয় তার জন্য অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে। কখনোই কুল কলঙ্কিত করবে না। প্রতিদিন পড়াশোনা করতে হবে, মিস করবে না।

২ ) শ্রবণ কুমার – কুমারী হয়ে জ্ঞান বাঁখে সবাইকে বসাতে হবে। আত্মীয় পরিজনদেরকে জ্ঞান প্রদান করে তাদেরও কল্যাণ করতে হবে।

বরদানঃ-

অমৃতবেলায় তথা সারাদিনে মাঝে মাঝেই নিজের অক্যুপেশনকে স্মৃতিতে নিয়ে আসো যে আমি হলাম রাজযোগী। রাজযোগীর সীটে সেট হয়ে থাকো। রাজযোগীর অর্থ হল রাজা, তার মধ্যে রুলিং আর কন্ট্রোলিং পাওয়ার থাকে। সে এক সেকেন্ডে নিজের মনকে কন্ট্রোল করতে পারে। সে কখনও নিজের সংকল্প, বোল আর কর্মকে ব্যর্থ হতে দেয় না। নিজের অগোচরে যদি ব্যর্থ হয়ে যায় তবে তাকে নলেজফুল বা রাজা বলা যাবে না।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরী জীর অমূল্য মহাবাক্য – “এই অবিনাশী জ্ঞানের অনেক নাম রাখা হয়েছে”

এই অবিনাশী ঈশ্বরীয় জ্ঞানের উপরে অনেক নাম রাখা হয়েছে। কেউ এই জ্ঞানকে অমৃতও বলে থাকে, কেউ আবার অঞ্জনও বলে। গুরু নানক বলেন, জ্ঞান অঞ্জন গুরু দিয়েছেন। কেউ জ্ঞান বর্ষা বলেছে। কেননা এই জ্ঞানের দ্বারাই সমগ্র সৃষ্টি সজীব হয়ে ওঠে। যত তমোপ্রধান মানব রয়েছে তারা সতোগুণী মানব হয়ে যায় আর জ্ঞান অঞ্জনের দ্বারা অন্ধকার দূর হয়ে যায়। এই জ্ঞানকেই আবার অমৃত বলা হয়, যার দ্বারা পাঁচ বিকারের অগ্নিতে যে জ্বলছে তার থেকে শীতল হয়ে যায় ।দেখো গীতাতে পরমাত্মা পরিস্কার বলে দিয়েছেন যে, কামেষু, ক্রোধেষু। এর মধ্যে প্রথম হল কাম, যা কিনা পাঁচ বিকারের মধ্যে হল মুখ্য বীজ। বীজ হওয়ার ফলে তখন লোভ, মোহ, অহংকার ইত্যাদির বৃক্ষের উৎপত্তি হয়, তার ফলে মানুষের বুদ্ধি ভ্রষ্ট হয়ে যায়। এখন সেই বুদ্ধিতেই জ্ঞানের ধারণা হয়ে থাকে। যখন জ্ঞানের ধারণা পূর্ণ রূপে বৃদ্ধি হতে থাকে তখনই বিকারের বীজ নষ্ট হয়ে যায়। বাকি সন্ন্যাসীরা তো মনে করে বিকার গুলিকে বশে আনা খুবই কঠিন বিষয় । এখন এই তো সন্ন্যাসীদের মধ্যেই নেই। তবে এই সব শিক্ষা দেবে কীকরে ? তারা কেবল এইটুকুই বলে দেয় যে, মর্যাদার মধ্যে থাকো। কিন্তু আসল মর্যাদা কী ছিল ? সেই স্ব মর্যাদা তো আজকাল ছিন্ন হয়ে গেছে। কোথায় সেই সত্যযুগী, ত্রেতাযুগী মর্যাদা যে, গৃহস্থে থেকে কীভাবে নির্বিকারী প্রবৃত্তিতে তারা থাকত। এখন সেই সত্যিকারের মর্যাদা কোথায় ? আজকাল তো উল্টে বিকারী মর্যাদা পালন করছে। একে অপরকে এমনিই শেখায় যে, মর্যাদার মধ্যে চলো। মানুষের প্রধান দায়িত্ব কোনটি ? সেটা তো কেউই জানে না। কেবল এটাই প্রচার করতে থাকে যে মর্যাদার মধ্যে থাকো। কিন্তু এটাও জানে না যে মানুষের প্রধান মর্যাদা কোনটি ? মানুষের প্রধান মর্যাদা হল নির্বিকারী হওয়া। এখন কাউকে যদি এটা জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তোমরা এই মর্যাদাতে থাকো ? তখন বলবে আজকাল এই কলিযুগী সৃষ্টিতে নির্বিকারী হওয়ার মতো সাহস নেই। এখন মুখে বলে দেওয়া যে মর্যাদার মধ্যে থাকো, নির্বিকারী হও, এ দ্বারা তো কেউই নির্বিকারী হতে পারবে না। নির্বিকারী হওয়ার জন্য আগে এই জ্ঞান তলোয়ার দিয়ে এই পাঁচ বিকারের বীজকে খতম করো। তবেই বিকর্ম ভষ্ম হয়ে যাবে । আচ্ছা । ওম্ শান্তি ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top