21 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
20 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের মতো সৌভাগ্যবান কেউ নয়, কারণ বাবা, যাঁকে সারা দুনিয়া আহ্বান করছে তিনি তোমাদের পড়াচ্ছেন, তোমরা তাঁর সঙ্গে কথা বলছো"
প্রশ্নঃ --
যে বাচ্চারা বিচার সাগর মন্থন করতে পারে, তাদের লক্ষণ কি হবে ?
উত্তরঃ -:-
তাদের বুদ্ধিতে সারাদিন এই চিন্তন চলতে থাকে যে, কীভাবে সবাইকে রাস্তা বলে দেওয়া যায় ! কীভাবে কারও কল্যাণ করা যায় ! তারা সার্ভিসের জন্য নতুন নতুন প্ল্যান বানাতে থাকে। তাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ জ্ঞান চলতে থাকে। তারা নিজেদের সময় নষ্ট করে না।
ওম্ শান্তি । বাচ্চাদের সামনে নিরাকার পরমপিতা পরামাত্মা কথা বলছেন, এটা কেবল বাচ্চারাই জানো। ভগবানকে উচ্চ বলা হয়। ওঁনার নিবাসস্থানও উচ্চ। ওঁনার নিবাসস্থান তো খুব বিখ্যাত। বাচ্চারা তোমরা জানো, আমরা হলাম মূলবতনের নিবাসী। মানুষ এ’সকল বিষয় জানে না। গড ফাদার বলছেন। তোমরা বাচ্চারা ছাড়া এমন কোনো মানুষ নেই যে জানে নিরাকার ভগবান বলছেন। নিরাকার হওয়ার কারণে কারো বুদ্ধিতে আসে না যে, ভগবান কীভাবে বলতে পারেন। এটা না জানার কারণে গীতাতে কৃষ্ণের নাম রেখে দিয়েছে। এখন বাচ্চাদের সামনে তিনি বলছেন। সম্মুখে না থাকলে তো শুনতে পারবে না। দূর থেকে যদিও শোনে কিন্তু নিশ্চয় হয় না। শোনে তো ভগবানের কথা। তোমরা যথার্থ রীতিতে জানো। ভগবান তো শিববাবা। প্রাক্টিক্যালে জানো, বাবা আমাদের জ্ঞান শোনাচ্ছেন। তোমাদের বুদ্ধি দ্রুত উপরে চলে যায়। শিববাবা উচ্চ থেকে উচ্চ স্থানে থাকেন। যেমন কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি, রানী ইত্যাদি যখন আসেন, জানো যে এনারা অমুক জায়গার নিবাসী, এখন এখানে এসেছেন। তোমরা বাচ্চারাও জানো বাবা এসেছেন – আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য। আমরাও বাবার সঙ্গে ঘরে ফিরে যাব। আমরা পরমধামের নিবাসী। তোমাদের এখন বাবা এবং ঘর স্মরণে আসে। বাবা, তিনিই হলেন সৃষ্টির রচয়িতা। বাচ্চারা, বাবা এসে তোমাদের মূলবতন, সূক্ষ্মবতন এবং স্থূলবতনের রহস্য বুঝিয়েছেন। যাদের বুদ্ধিতে আছে কেবল তারা’ই বুঝতে পারবে, বরাবর আমরা পুরুষার্থ করছি – ভবিষ্যতের ২১ জন্মের জন্য, বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছি। পুরুষার্থ তো করতেই হবে। পুরুষার্থকে কখনোই ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। স্কুলের বাচ্চারা জানে, পরীক্ষা না হওয়া পর্যন্ত আমাদের পড়াশোনা করতে হবে। এইম অবজেক্ট থাকে, আমরা সর্বোচ্চ পরীক্ষা পাশ করবো। তারা একটা কলেজ ছেড়ে দ্বিতীয়, তৃতীয় উচ্চতর কলেজে যায়। অর্থাৎ, পড়াশোনা চালিয়ে যেতে হবে। কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তির সন্তান হলে তো অবশ্যই উচ্চতর পরীক্ষা পাশ করার লক্ষ্য থাকে। তোমরা জানো, আমরা অনেক উচ্চতর বাবার সন্তান। দুনিয়াতে কেউ জানে না – আমরা সবাই শিববাবার সন্তান। তোমরা সর্বশ্রেষ্ঠ উঁচু থেকে উঁচু বাবার সন্তান। অনেক উচ্চতর পড়াশোনা করছো। জানো যে, এটা উচ্চ থেকে উচ্চতর অধ্যয়ন। বাবা পড়াচ্ছেন, তাই কত উৎসাহ এবং খুশিতে থাকা উচিত ! এ’কথা যে কাউকে বোঝাতে পারো, আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ বাবার সন্তান। আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ সদগুরুর নির্দেশ অনুসরণ করছি। টিচার, গুরুর নির্দেশ অনুসরণ করে চলতে হয়, তাই না ! তাদের ফলোয়ার বলে। এখানে বাবার নির্দেশ অনুসরণ করে চলতে হবে, টিচারের নির্দেশও অনুসরণ করে চলতে হবে এবং গুরুর নির্দেশও অনুসরণ করে চলতে হবে। তোমরা জানো, উঁনি আমাদের বাবা, টিচার এবং সদগুরু। ওঁনার নির্দেশ অবশ্যই অনুসরণ করে চলতে হবে। তিনি তো কেবল একজন – উঁচু থেকে উঁচু হলেন শিববাবা, তিনি বলছেন। বাবা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন, শিববাবা কি কথা বলেন ? আচ্ছা, শঙ্কর কি কথা বলে ? ব্রহ্মা কথা বলে ? বিষ্ণু কথা বলে ? ( কেউ একজন বললো শিব এবং ব্রহ্মা কথা বলেন – বিষ্ণু এবং শঙ্কর কথা বলে না ) বিষ্ণুর দুটি রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ বলে থাকো, তাহলে তারা কি কথা বলে না ? তারা কি বোবা ? ( তারা জ্ঞানের কথা বলে না ) আমি জ্ঞানের কথা’ই বলছি না, তারা কথা বলে কিনা জিজ্ঞাসা করছি। বিষ্ণু, লক্ষ্মী-নারায়ণ কি কথা বলে ? শঙ্কর কথা বলে না – এটা ঠিক। বাকি তিনজন কেন কথা বলবে না ? বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ, সুতরাং তারা অবশ্যই কথা বলবে, তাই না ! মানুষ মনে করে শিববাবা তো নিরাকার, তাহলে তিনি কীভাবে কথা বলতে পারেন ! তোমরা বাচ্চারা জানো, শিববাবাও এঁনার ( ব্রহ্মা ) মধ্যে প্রবেশ করে কথা বলেন। ব্রহ্মাকেও কথা বলতে হয়, কারণ তিনি তো অ্যাডাপ্টেড। সন্ন্যাসীরা সন্ন্যাস গ্রহণের পর নিজেদের নাম পরিবর্তন করে। তোমরাও সন্ন্যাস করেছো, তাই তোমাদেরও নাম পরিবর্তন করা উচিত। শুরুতে বাবা নাম রেখেছিলেন। কিন্তু দেখলেন যাদের নাম রেখেছিলেন তারাও মারা যায় – আশ্চর্য হয়ে শুনে, ভালো ভালো বলে, তারপর পালিয়ে যায়। এইজন্য বাবা কতজনের নাম রাখবেন ! আজকাল তো মায়াও অনেক শক্তিশালী। বুদ্ধি বলে যে, যখন লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল তখন এটিকে বিষ্ণুপুরী বলা হত। এই এইম অবজেক্ট বুদ্ধিতে রয়েছে। বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ রাজত্ব করে, তাহলে তারা কথা বলবে না কেন ! বাবা এখানের কথা বলছেন না। মানুষ তো জিজ্ঞাসা করে, নিরাকার কীভাবে কথা বলতে পারেন ! তারা এটা জানেই না যে, নিরাকার কীভাবে আসেন। ওঁনাকে পতিত-পাবন বলা হয়। তিনি জ্ঞানেরও সাগর, চৈতন্যও এবং প্রেমেরও সাগর। কিন্তু ভালোবাসা তো অনুপ্রেরণার দ্বারা হয় না, তিনিও এঁনার মধ্যে প্রবেশ করে বাচ্চাদের ভালোবাসেন, তাই না ! তাই বলো, আমরা পরমপিতা পরমাত্মার কোলে আসি। বাবা কেবল তোমার সাথেই খাব, তোমার থেকেই শুনব… বুদ্ধি ওইদিকে চলে যায়, শ্রীকৃষ্ণ বুদ্ধিতে আসে না। বাবা বাচ্চাদের বসে বোঝাচ্ছেন। তোমাদের মতো সৌভাগ্যবান কেউ নয়। তোমরা জানো যে, তোমরা কত উঁচু পার্টধারী। এটা তো নাটক, তাই না। এর আগে তো তোমরা কিছু জানতে না। এখন বাবা প্রবেশ করেছেন তাই ড্রামা প্ল্যান অনুসারে ওঁনার থেকে শুনছো। বাবা বলেন – মিষ্টি-মিষ্টি বাচ্চারা তোমরা জানো বাবা হলেন নিরাকার। তিনি আমাদের ( আত্মাদের ) বাবা। এ’কথা কোনও শাস্ত্র ইত্যাদিতে লেখা নেই। এখন তোমাদের বিশাল বুদ্ধি হয়ে গেছে। স্টুডেন্টরা যখন পড়ে, বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি এসে যায়। কিন্তু এটা কারও বুদ্ধিতে নেই – বাবা কোথায় আছেন ! যথার্থ রীতিতে তোমরা বাচ্চারা’ই বুঝতে পারো এবং প্রাক্টিক্যালে এই খুশি আছে, বাবা পরমধাম থেকে আসেন, আমাদের পড়ান। সারাদিন নিজেদের মধ্যে এই আত্মিক বার্তালাপ হওয়া উচিত। এই জ্ঞান ছাড়া বাকি সব কথাই হলো বিনাশী। শরীর নির্বাহের জন্য তোমাদের কাজ-কর্ম ইত্যাদিও করতে হবে এবং একইসাথে এই রুহানী সার্ভিসও করতে হবে।
তোমরা জানো যে, বরাবর এই ভারত স্বর্গ ছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। দেবী-দেবতাদের যত চিত্র রয়েছে, তার যথার্থ জ্ঞান বুদ্ধিতে এসে গেছে। নম্বরওয়ান লক্ষ্মী-নারায়ণের চিত্র নাও, বিচার করো – তারা বরাবর ভারতে রাজত্ব করেছে, তাহলে এক ধর্ম ছিল। রাত শেষ হয়ে দিন শুরু হলো অর্থাৎ কলিযুগ শেষ হয়ে সত্যযুগ শুরু হলো। কলিযুগ হলো রাত এবং সত্যযুগ হলো সকাল। বিচার সাগর মন্থন করতে হবে, যে ওনারা কীভাবে এই রাজ্য পেয়েছিলেন। যেমন বলা হয় সাগরে পাথর ছুঁড়লে ঢেউ উঠবে। সেইরকম তোমরাও পাথর নিক্ষেপ করো, মানুষকে বোঝাও। এটা খেয়াল করো, ভারতে তো দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, তারা’ই আবার ভক্তিমার্গে মন্দির বানিয়েছে, তারপর সেগুলি লুট হয়ে গেছে। এগুলো কালকের বিষয়। এখন ভক্তিমার্গ, তাহলে অবশ্যই এর আগে জ্ঞানমার্গ ছিল। এইসমস্ত বিষয় এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। বাবাও এসে নিজের জীবন কাহিনী বলেন। তোমাদের এগুলো স্মরণ আসে না কেন ? বাবা এসে আমাদের এই সমস্ত নলেজ শোনাচ্ছেন, বোঝা উচিত তাই না ! যে কাউকেই এ’কথা শোনাও। এই চিত্র হল এম্ অবজেক্ট। এই লক্ষ্মী-নারায়ণ তো সর্বশ্রেষ্ঠ রাজা-রানী ছিলেন। ভারত স্বর্গ ছিল, তাই না ! এগুলো কালকের বিষয়। তারপর কীভাবে তারা তাদের রাজ্য হারালো। তোমরা বাচ্চারা যদিও এ’সব শোনো কিন্তু কখনো বুদ্ধিতে চিন্তন চলে না। বুদ্ধিতে স্মরণও আসে না। যদি স্মরণ আসে তাহলে অন্যদেরও বোঝাতে পারবে। এটা তো খুবই সহজ বিষয় ! তোমরা এখানে এসেছো লক্ষ্মী-নারায়ণের মতো হওয়ার জন্য। বোঝানো হয়েছে ৫ হাজার বছরের বিষয়। এর চেয়ে অনেক আগে কিছু হতে পারে না। সবথেকে পুরানো হলো এই ভারতের কাহিনী। বাস্তবে, এটাই সত্যিকারের কাহিনী হওয়া উচিত। এটাই সবথেকে মহান কাহিনী। তাঁদের রাজ্য ছিল কিন্তু এখন সেই রাজ্য নেই, কেউ এ’সম্পর্কে কিছুই জানে না। তোমাদের বুদ্ধিতে ক্রমানুসারে আসে। বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করো, এটাও কেউ সম্পূর্ণ রীতিতে স্মরণ করে না। বাবা বিন্দু, আমরাও বিন্দু – এটাও বুদ্ধিতে থাকে না। কারো কারো বুদ্ধিতে তো ভালোভাবে চলতে থাকে। কাউকে বসে বোঝালে তো ৪-৫ ঘন্টাও লেগে যায়। এটা খুব ওয়ান্ডারফুল বিষয় ! যেমন সত্য-নারায়ণের কথা বসে শোনে, তাই না ! ২-৩ ঘন্টা বসে শোনে, যাদের মনে আগ্রহ থাকে। এখানেও সেরকম, যাদের এই বিষয়ে অনেক আগ্রহ আছে তাদের অন্য কিছুর চিন্তন আসবে না। কেবল এই বিষয়গুলো বুঝতে ভালো লাগে, এই কথাগুলো ভালো লাগে। তারা ভাবে যে, কেবল এই সার্ভিসেই যুক্ত হয়ে যাই, অন্যান্য সমস্ত কাজকর্ম ছেড়ে দিই। কিন্তু এভাবে তো কেউ বসে থাকতে পারে না। তোমরা বাচ্চারা তো এই সত্য-নারায়ণের কাহিনী শুনছো। এখন তোমাদের বুদ্ধিতে কত ভালো বিষয় মন্থন হচ্ছে। আমরা এই সামগ্রী ডেলিভারি করার জন্য এভাররেডি হয়ে আছি। সামগ্রী সবসময় রেডি থাকা উচিত। তোমরা কাউকে এই চিত্র দেখিয়েও বোঝাতে পারো – লক্ষ্মী-নারায়ণ কীভাবে এই রাজ্য প্রাপ্ত করেছিল, কত বছর আগে তারা বিশ্বের মালিক ছিল ? সেই সময়ে সৃষ্টিতে কত সংখ্যক মানুষ ছিল, এখন কত আছে। কিছু না কিছু পাথর নিক্ষেপ করতে হবে, তবে বিচার সাগর মন্থন হতে থাকবে। যদি এই কুলের হয় তাহলে দ্রুত প্রভাবিত হবে। এই কুলের নাহলে কিছুই বুঝবে না, চলে যাবে। নাড়ি দেখে দেখে বুঝতে হবে। তোমরা এই মিষ্টি-মিষ্টি জ্ঞান ছাড়া আর কিছু বলবে না। যদি জ্ঞান ছাড়া আর কিছু বলে তাহলে বুঝতে হবে এটা ইভিল, এর মধ্যে কোনো সার নেই। আমার কাছে এমন অনেক বাচ্চারা আছে যাদের শোনার অনেক আগ্রহ রয়েছে। বাবা বোঝাচ্ছেন – খারাপ ( ইভিল ) কথাবার্তা কখনো শোনা উচিত নয়। কল্যাণের কথাই শোনো। নইলে মিছি মিছিই নিজেদের অনেক ক্ষতি করে ফেলবে। বাবা তো এসে তোমাদের জ্ঞান’ই শোনাচ্ছেন। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বোঝাচ্ছেন। তিনি বলছেন অন্য কোনো কথাবার্তা বলবে না। এ’ সবে তোমরা অনেক সময় নষ্ট করে ফেলো। অমুকে এইরকম, সে ওইকম করে… এ’কে ইভিল বলা হয়। দুনিয়ার কথা আলাদা, তোমাদের তো এক এক সেকেন্ড সময় অনেক মূল্যবান। তোমরা কখনো এরকম কথাবার্তা শুনবে না, বলবে না। তার চেয়ে বরং, তোমরা বেহদের বাবাকে স্মরণ করো, এতে তোমাদের অনেক উপার্জন হবে। যেখানে সেখানে গিয়ে বাবার পরিচয় দাও, এই রুহানী সার্ভিস করতে থাকো। সত্যিকারের মহাবীর হলে তোমরা। সারাদিন কেবল এই চিন্তন চলা উচিত – কেউ আসলে তাকে কীভাবে এই পথ বলে দেওয়া যায়। বাবা বলছেন – অল্ফ’কে (আমাকে) স্মরণ করো তাহলে বে বাদশাহী প্রাপ্ত হয়ে যাবে। কত সহজ বিষয় ! এরকমভাবে গিয়ে সার্ভিস করা উচিত। বাচ্চাদের সার্ভিসের প্রতি অনেক মনোযোগ দেওয়া উচিত। নিজের এবং অন্যের কল্যাণ করা উচিত। বাচ্চারা, বাবাও তোমাদের বোঝানোর জন্য এসেছেন, তাই না ! তোমরা বাচ্চারাও এসেছো পড়াশোনা করতে এবং তারপর অন্যদেরও পড়াতে। সময় নষ্ট করতে অথবা কেবল রুটি বানাতে তো আসোনি। সারাদিন বুদ্ধি সার্ভিসে চলা উচিত।
আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) যে বিষয় নিজের কাজের নয়, সেই বিষয় শোনার এবং বলার জন্য সময় নষ্ট করবে না। যতখানি সম্ভব পড়ার উপরে সম্পূর্ণ মনোযোগ দিতে হবে।
২ ) সর্বদা খুশি এবং উৎসাহে থাকতে হবে যে, আমাদের কে পড়াচ্ছেন ! পুরুষার্থকে কখনো ছেড়ে দেওয়া উচিত নয়। মুখ থেকে জ্ঞান রত্নই নির্গত করতে হবে।
বরদানঃ-
সর্বদা নিজের সতোপ্রধান সংস্কারে স্থির থেকে সুখ-শান্তির অনুভব করা – এটাই প্রকৃত অহিংসা। হিংসা অর্থাৎ যার দ্বারা দুঃখ-অশান্তির প্রাপ্তি হয়। তাই চেক করো, সারাদিনে কোনো প্রকারের হিংসা করিনি তো ! যদি কোনো শব্দ দ্বারা কারো স্থিতিকে উপর-নীচে করে দাও, এটাও অহিংসা। ২ – যদি নিজের সতোপ্রধান সংস্কারকে দমন করে অন্য সংস্কারকে প্রাক্টিক্যালে রাখো তাহলে এটাও হিংসা। এইজন্য সূক্ষ্মতায় গিয়ে মহান আত্মার স্মৃতির দ্বারা ডবল অহিংসক হও।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!