21 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 20, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"শুভ ভাবনা আর শুভ কামনার সূক্ষ্ম সেবা"

আজ, বিশ্ব-কল্যাণকারী বাপদাদা তাঁর নিজের বিশ্ব-কল্যাণকারী সাথীদের দেখছেন। বাচ্চারা সবাই বাবার বিশ্ব-কল্যাণের কার্যে নিমিত্ত হওয়া সাথী। সকলের মনে সদা এই সঙ্কল্প থাকে যে বিশ্বের অধীর আত্মাদের কল্যাণ হোক। চলতে-ফিরতে, কোনও কার্য করার কালে তাদের মনে এই শুভ ভাবনা থাকে। ভক্তি মার্গের তাদেরও এই ভাবনা থাকে। কিন্তু ভক্ত আত্মাদের বিশেষভাবে অল্পকালের কল্যাণের জন্য ভাবনা থাকে। তোমরা ‘জ্ঞানী তু আত্মা’ বাচ্চাদের জ্ঞানযুক্ত কল্যাণের ভাবনা সব আত্মার জন্য সদকালীন আর সর্বকল্যাণকারী ভাবনা। তোমাদের ভাবনা বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য থাকে, সব আত্মা যেন অনেক জন্মের জন্য সুখী হয়, প্রাপ্তিতে সম্পন্ন হয়, কেননা অবিনাশী বাবা দ্বারা তোমরা সব আত্মারও অবিনাশী উত্তরাধিকারের প্রাপ্তি হয়েছে। তোমাদের শুভ ভাবনার ফল বিশ্বের আত্মাদের পরিবর্তন করে চলেছে আর তোমাদের আরও অগ্রগতির সাথে সাথে প্রকৃতিও পরিবর্তন হয়ে যাবে। তোমরা সব আত্মার শ্রেষ্ঠ ভাবনা এমনই যে শ্রেষ্ঠ ফল প্রাপ্ত করায় ! সেইজন্য বিশ্ব-কল্যাণকারী আত্মা হিসেবে তোমাদের মহিমা গাওয়া হয়ে থাকে। তোমাদের শুভ ভাবনার এত মাহাত্ম্য তা’ তোমরা জান ? নিজেদের শুভ ভাবনা সাধারণ ভাবে কার্যে প্রয়োগ করে চলেছ নাকি সে’সবের মহত্ত্ব জেনে চলছ ? দুনিয়ার লোকেও শুভভাবনা শব্দ বলে, কিন্তু তোমাদের শুভভাবনা শুধু শুভ নয়, শক্তিশালীও। কারণ তোমরা সঙ্গমযুগী শ্রেষ্ঠ আত্মা, ড্রামা অনুসারে সঙ্গমযুগের প্রত্যক্ষ ফল প্রাপ্ত হওয়ার বরদান আছে, সেইজন্য তোমাদের ভাবনার প্রত্যক্ষ ফল সব আত্মার প্রাপ্ত হয়। যে আত্মারাই তোমাদের সম্বন্ধ-সম্পর্কে আসে, তারা সেই সময়ই শান্তি এবং স্নেহের ফলের অনুভূতি করে।

শুভ ভাবনা, শুভ কামনা ব্যতীত হতে পারে না। সব আত্মার প্রতি সদাসর্বদা কৃপার কামনা থাকে যে এই আত্মাও যেন অবিনাশী উত্তরাধিকারের অধিকারী হতে পারে। সব আত্মার প্রতি আধ্যাত্মিক আকাঙ্ক্ষা (করুণা) থাকে যে এই আত্মা আমাদের ঈশ্বরীয় পরিবারের, তাহলে এর থেকে কেন সে বঞ্চিত থাকবে ? তোমাদের এই শুভ কামনা তো থাকে, তাই না ! শুভ কামনা আর শুভ ভাবনা – এই হ’ল সেবার ফাউন্ডেশন। যখন তুমি কোনও আত্মাদের সেবা করছ, অথচ তোমার ভিতরে শুভ ভাবনা, শুভ কামনা নেই, তাহলে আত্মাদের প্রত্যক্ষ ফলের প্রাপ্তি হতে পারে না। এক ধরনের সেবা হয় শৃঙ্খলা মেনে, নিয়ম অনুযায়ী – যা শুনেছ তা’ শোনানো। আরেক ধরনের সেবা হয় নিজের শুভ ভাবনা, শুভ কামনা দ্বারা। তোমাদের শুভ ভাবনার দ্বারা তাদেরও বাবার প্রতি আস্থা জন্মায় আর বাবার দ্বারা ফল প্রাপ্ত হওয়ার নিমিত্ত হয়ে যাও তোমরা । “শুভভাবনা” – কোথাও দূরে অবস্থিত কোনো আত্মাকেও ফলের প্রাপ্তি করানোর নিমিত্ত হতে পারে, ঠিক যেমন সায়েন্সের সাধন দূরে থাকা আত্মাদের সাথে নিকটে থাকা সম্বন্ধ করানোর নিমিত্ত হয়, তোমাদের আওয়াজ তাদের কাছে পৌঁছে যায়, তোমাদের বার্তা পৌঁছে যায়, দৃশ্য পৌঁছে যায়। তাহলে যখন সায়েন্সের শক্তি অল্পকালের জন্য নৈকট্যের ফল দিতে পারে, তো তোমাদের সাইলেন্সের শক্তিশালী শুভভাবনা দূরে বসেও আত্মাদের ফল দিতে পারবে না ? কিন্তু এর আধার হ’ল, নিজের মধ্যে অনেক শান্তির শক্তি জমা থাকলে সাইলেন্সের শক্তি এই অলৌকিক অনুভব করাতে পারে। তোমাদের উন্নতির সাথে সাথে এই প্রত্যক্ষ প্রমাণ অনুভব করতে থাকবে।

শুভভাবনা অর্থাৎ শক্তিশালী সঙ্কল্প। সব শক্তির থেকে সঙ্কল্পের গতি তীব্র। সায়েন্স যতই তীব্রগতির উপকরণ বানিয়েছে, সে’সব থেকে তীব্রগতি সঙ্কল্পের। কোনো আত্মার প্রতি বা অসীম বিশ্বের আত্মাদের প্রতি তোমাদের শুভভাবনা থাকে অর্থাৎ তোমাদের শক্তিশালী শুভ আর শুদ্ধ সঙ্কল্প থাকে যে এই আত্মার কল্যাণ হোক। তোমাদের সঙ্কল্প বা ভাবনা উৎপন্ন হওয়া মানে সেই আত্মার অনুভূতি হবে যে আমি আত্মার কোনো বিশেষ সহযোগে শান্তি এবং শক্তি প্রাপ্ত হচ্ছে। যেমন, এখন অনেক বাচ্চা অনুভব করে যে, অনেক কিছু কার্য তারা করেছে যাতে তাদের সাহস বা যোগ্যতা এত ছিল না, কিন্তু বাপদাদার এক্সট্রা সহযোগে এই কার্য সহজেই সফল হয়ে গেছে আর এই বিঘ্ন সমাপ্ত হয়ে গেছে। এইভাবে তোমরা সব মাস্টার বিশ্বকল্যাণকারী আত্মার সূক্ষ্ম সেবা প্রত্যক্ষ রূপে অনুভব করবে। এতে সময়ও কম আর সাধনও কম, অর্থও কম লাগবে। সেইজন্য মন আর বুদ্ধি সদা ফ্রি থাকতে হবে। ছোট ছোট বিষয়ে মন আর বুদ্ধিকে খুব বিজি রাখো, সেইজন্য সেবার সূক্ষ্ম গতির লাইন ক্লিয়ার থাকে না। সাধারণ বিষয়েও তোমাদের মন আর বুদ্ধির লাইন অনেকভাবে এনগেজ রাখ, সেই কারণে এই সূক্ষ্ম সেবা তীব্রগতিতে চলছে না। তার জন্য বিশেষ অ্যাটেনশন – “একান্ত আর একাগ্রতা।”

একান্তপ্রিয় আত্মারা যতই বিজি হোক, তবুও মাঝে মাঝে দু’- এক মুহূর্ত বের করে একান্তের অনুভব করতে পারে।একান্তপ্রিয় আত্মা এমন শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে নিজের সূক্ষ্ম শক্তি – মন, বুদ্ধিকে তারা যে সময়ে, যেখানে চায় একাগ্র করতে পারে। হতে পারে বাইরের পরিস্থিতি চাঞ্চল্যকর, কিন্তু একান্তপ্রিয় আত্মা একের অন্তে সেকেন্ডে একাগ্র হয়ে যাবে। ঠিক যেমন, সাগরের উপরে তরঙ্গের কতো আওয়াজ হয়, কতো ওঠাপড়া হয়, কিন্তু সাগরের অন্তে (গভীরে) হিল্লোল হয় না। সুতরাং যখন একের অন্তে, জ্ঞান-সাগরের অন্তে চলে যাবে তখন চঞ্চলতা সমাপ্ত হয়ে একাগ্র হয়ে যাবে। শুনলে, সূক্ষ্ম সেবা কি ! “শুভভাবনা” “শুভকামনা” শব্দ সবাই বলতে থাকে, কিন্তু এর মহত্ত্বকে জেনে প্রত্যক্ষ রূপে রেখে অনেক আত্মাকে প্রত্যক্ষ ফলের অনুভূতি করানোর নিমিত্ত হও। আচ্ছা !

টিচারদের কাজই হ’ল সেবা। সেবাতেই টিচারদের মহত্ত্ব। যদি সেবার প্রত্যক্ষ প্রমাণ দৃশ্যগোচর না হয় তাহলে তাকে যোগ্য টিচারের লিস্টে গণ্য করা যায় না। টিচারদের মাহাত্ম্য তাদের সেবাতে, তাই না ! তো সেবার সূক্ষ্ম রূপ তোমাদের শোনানো হয়েছে। মুখের সেবা তো তোমরা সবসময় করো, কিন্তু সাথে সাথে মুখ আর মনের শুভভাবনার সেবা কার্যত: হওয়া প্রয়োজন। বোল আর ভাবনা ডবল কাজ করবে। এই সূক্ষ্ম সেবার অভ্যাস বহুকাল অর্থাৎ এখন থেকে প্রয়োজন, কেননা

পরবর্তীতে তোমাদের আরও অগ্রগতির হিসেবে সেবার রূপরেখা অবশ্যই বদলে যাবে। তখন সেই সময় সূক্ষ্ম সেবায় নিজেকে বিজি রাখতে পারবে না, বাইরের পরিস্থিতি তোমাদের বুদ্ধিকে আকর্ষণ করে নেবে। রেজাল্ট কী হবে ? স্মরণ আর সেবার ব্যালেন্স রাখতে পারবে না, সেইজন্য এখন থেকে নিজের মন-বুদ্ধির সেবার লাইন চেক কর। টিচার্স ! কীভাবে চেক করে তা’ তো তোমরা জান, জান তো না ! টিচার্স অন্যদের শেখায়, সুতরাং নিশ্চয়ই নিজে জানে তবেই তো শেখায়, তাই না ! সবাই যোগ্য টিচার্স তোমরা, তাই তো ! যোগ্য টিচারের বিশেষত্ব এটাই যে নিরন্তর হয় মন্সা, অথবা বাচা, অথবা কর্মণা সেবায় বিজি থাকে। সেইজন্য অন্য সব বিষয় থেকে আপনা হতেই খালি হয়ে যাবে। আচ্ছা ! কুমারীরাও এসেছে। কুমারী অর্থাৎ উদীয়মান টিচার্স। সেইজন্যই তো তোমাদের বলা হয় ব্রহ্মাকুমারী। যদি তোমরা যোগ্য সেবাধারী নও তো পাই পয়সার যোগ্য কুমারী। কুমারীরা কী করে ? চাকরির টুকরি বয়, পাই পয়সার জন্য, তাই না ! বাপদাদার হাস্যপ্রদ লাগে – কুমারীরা টুকরির বোঝা বওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যায় কিন্তু ভগবানের ঘরে অর্থাৎ সেবাস্থানে থাকার সাহস রাখে না। এ’রকম দুর্বল কুমারী তো নও তোমরা, তাই না ! হতে পারে তোমরা লেখাপড়া করছ, তবুও লক্ষ্য তো আগে থেকেই রাখতে হয় যে চাকরি করবে নাকি বিশ্ব সেবা করবে ! চাকরি করা অর্থাৎ নিজেকে পালন করা। তোমাদের ছেলেপুলে তো নেই, যাদের পালন করতে হবে ! চাকরি এইজন্য করে যে আরামে নিজেদের লালন পালন করতে থাকবে, চলতে থাকবে। বিশ্বের আত্মাদের বাবার পালনা দেওয়ার লক্ষ্য রাখ। যখন অনেক আত্মাদের নিমিত্ত হতে পার, তাহলে শুধু নিজ আত্মাকে পালন – সেই তুলনায় কী হ’ল ? অনেকের আশীর্বাদ নেওয়া – এই উপার্জন কতো বড় ! সে’ আয়ে হয়তো পাঁচ হাজার বা পাঁচ লাখও উপার্জন হতে পারে, কিন্তু অনেক আত্মার এই আশীর্বাদ – এ’ কতো বড় উপার্জন ! আর অনেক জন্মের জন্য এটাই সাথে যাবে। সেই উপার্জনের পাঁচ লাখ কোথায় যাবে ? হয় ঘরে কিংবা ব্যাংকে থেকে যাবে। লক্ষ্য সদা উঁচু রাখা উচিত, সাধারণ নয়। সঙ্গমযুগে, এই এক জন্মে এখন তোমাদের এত গোল্ডেন চান্স প্রাপ্ত হয়, অসীম সেবায় নিমিত্ত হওয়ার ! সত্যযুগেও এই অফার পাওয়া যাবে না। চাকরির জন্যও তো তোমরা সংবাদপত্র দেখতে থাক যে যদি কোনো অফার পাওয়া যায় ! স্বয়ং বাবা সেবার অফার করছেন। সুতরাং যোগ্য রাইট হ্যান্ড হও। অবশ্যই সাধারণ ব্রহ্মাকুমারী হ’য়োনা। যোগ্য সেবাধারী যদি না হও তো সেবা করার পরিবর্তে তোমরা সেবা নিতে থাক। যোগ্য সেবাধারী হওয়া কোনো কঠিন বিষয় নয়। যখন যোগ্য সেবাধারী না হও তো তখন তোমরা ভয় পাও, কীভাবে হবে, এগিয়ে যেতে পারবে কি না ! যোগ্যতা যদি না থাকে তাহলে ভয় লাগে। যে যোগ্য সে “বেপরোয়া বাদশাহ”। হয় স্থূল যোগ্যতা, নয়তো জ্ঞানের যোগ্যতা মানুষকে ভ্যাল্যুয়েবল (মূল্যবান) বানায়। যোগ্যতা না থাকলে ভ্যাল্যুও থাকে না। সেবার যোগ্যতা সবচাইতে বড়। এ’ রকম যোগ্য আত্মাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। যোগ্য হওয়া মানে আমার তো এক বাবা। ব্যস্, আর কোনো কিছুই নেই। কুমারীরা শুনেছ ! আচ্ছা !

অনেক কুমারও এসেছে। কুমাররা খুব দৌড় করে। সেবাতেও তোমরা অনেক উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে দৌড়াতে থাক। কিন্তু কুমারদের বিশেষত্ব আর মহত্ত্ব এ’টাই যে আদি থেকে এখন পর্যন্ত নির্বিঘ্ন কুমার হয়েছ। কুমার যদি নির্বিঘ্ন কুমার হয়, তো সে’ রকম কুমার খুব মহান হিসেবে গায়ন হয়ে থাকে। কেননা, দুনিয়ার লোকেও মনে করে কুমারদের জন্য এ’টা কঠিন কুমারীদের তুলনায় যোগ্য হওয়া। যাই হোক, কুমাররাই বিশ্বকে চ্যালেঞ্জ করুক যে তোমরা তো অসম্ভব বলো, কিন্তু আমরা নির্বিঘ্ন কুমার। এমন কুমার যারা বিশ্বকে স্যাম্পল দেখায় তারাই মহান কুমার। বাপদাদা এমন কুমারদের সদাই তাঁর হৃদয়ের অভিনন্দন জানান। বুঝেছ ! এখন এখন খুব ভালো, এখন এখন কোনো বিঘ্ন এলো তো উপর-নিচে হয়ে গেলে – তোমরা তো এ’ রকম নও। কুমার অর্থাৎ না তো সমস্যা হয় আর না সমস্যায় পরাজিত হয়। কুমার, কুমারীদের থেকেও সামনের নম্বরে যেতে পারে। কিন্তু হতে হবে নির্বিঘ্ন কুমার, কেননা কুমারদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই বিঘ্ন আসে যে কোনো সাথী নেই, কোনো সাথীর প্রয়োজন, কম্প্যানিয়ন প্রয়োজন। সে’হেতু কোনো না কোনও উপায়ে তারা সেই কম্প্যানি বানিয়ে নেয়। কোনো কোনো কুমার তো কম্প্যানিয়ন তৈরিও করে নেয়, কেউ আবার কম্পানীতে আসে – কথাবার্তা বলা, ওঠা-বসা তারপর তাদেরও মনে কম্প্যানিয়ন বানানোর সঙ্কল্প আসে। কিন্তু এমনও কুমার আছে যারা বাবা ব্যতীত না অন্য কম্পানী বানায়, না কম্প্যানিয়ন বানায়। সদা বাবার কম্পানীতে থাকা কুমার সর্বদা খুশি থাকে। তাহলে তোমরা কোন্ কুমার ? একটু আধটু কম্পানী কি তোমাদেরও চাই ? পুরো পরিবার তোমাদের কম্পানী কী ? তবে তো ঠিকই আছে, কিন্তু দুই তিনজন বা কোনো এক এর বিশেষ কোনো কম্পানী প্ৰয়োজন হলে সেটা রং।

তাহলে, তোমরা কারা ? তোমরা নির্বিঘ্ন, তাই না ! নতুন কুমাররাও চমৎকার করে দেখাবে। শেষমেশ তো তোমাদের নিজেদের সামনে, বাবার সামনে বিশ্বকে ঝুঁকাতে হবে, তাই না ! সুতরাং এই চমৎকার কুমারদের, বিশ্বকে তারা ঝুঁকাবে। বিশ্ব তোমাদের গুণ-গান করবে, চমৎকারিত্ব কুমারদের ! কুমারীদের মেজরিটি তবুও সেবার কম্পানীতে থাকে। কিন্তু কুমারদের কম্পানির সঙ্কল্প একটু আধটু আসে। পাণ্ডব ভবন বানিয়ে তোমরা নিজেদেরকে সেফ রেখেছো। এই রকম করে দেখাও। কিন্তু আজ পাণ্ডব ভবন বানাও আর কাল এক পাণ্ডব ইস্টে চলে গেল, আরেকজন ওয়েস্টে চলে গেল – এমন পাণ্ডব ভবন বানিও না।

বাপদাদা কুমারদের জন্য বিশেষ গর্বিত, তারা একলা থেকেও পুরুষার্থে এগিয়ে চলেছে। কুমাররা, নিজেদের মধ্যে দু’-তিন কুমার সাথী হয়ে তো চলতে পারো ! কেবল ফিমেল সাথীর প্রয়োজন কেন হবে, দুই কুমারও একসাথে থাকতে পারে। কিন্তু একে অপরের নির্বিঘ্ন সাথী হয়ে থাকতে হবে। এখনো পর্যন্ত সেই আশ্চর্য কেউ দেখাওনি। সময়কালে একে অন্যের সহযোগী যদি হও তো কী না হতে পারে ! আরো অনেক কিছু চলে আসে, তাই বাপদাদা পাণ্ডব ভবন বানানোর জন্য মানা করছেন ! কিন্তু কেউ কেউ স্যাম্পল হয়ে দেখাতে পারে । এমন নয় যে পাণ্ডব ভবন বানিয়ে তারপর যে নিমিত্ত দাদি-দিদিরা আছেন তাদের টাইম নিতে আসবে। নির্বিঘ্ন হও, পরস্পর পরস্পরের থেকে যোগ্য কুমার হও, তারপরে দেখো তোমাদের নাম কতো গৌরবান্বিত হয় ! শুনেছ, কুমাররা ! যোগ্য কুমার হও, নির্বিঘ্ন কুমার হও। সেবাক্ষেত্রে নিজেরা সমস্যা হয়োনা, বরং সমস্যা সমাপ্তকারী হও, তখন দেখো কুমারদের অনেক ভ্যাল্যু হবে কারণ কুমারদের ব্যতীত সেবা হতে পারে না। কুমার, তাহলে তোমরা কী করবে ? সবাই বলো- “নির্বিঘ্ন কুমার হয়ে দেখাব।” (কুমাররা বাপদাদার সামনে দাঁড়িয়ে প্রতিজ্ঞা করেছে) এখন সবার ফটো বেরিয়ে এসেছে। এমন ভেবো না যে আমি উঠেছি তা’ কেউ দেখেনি। ফটো তোলা হয়ে গেছে। ভালোই হয়েছে –

“সাহসী বাচ্চা, বাবা সহায়” আর সারা পরিবার তোমাদের সাথে আছে। আচ্ছা !

চারিদিকের সব বাচ্চাকে বাপদাদা সদা আপন স্নেহের সহযোগের ছত্রছায়া সহ হৃদয় থেকে তাদের সেবার জন্য অভিনন্দন জানাচ্ছেন। দেশ-বিদেশের সেবার বার্তা বাবার কাছে পৌঁছাতে থাকে। প্রত্যেক বাচ্চাও নিজেদের হৃদয়ের স্বচ্ছ সংবাদ দিতে থাকে। বিশেষভাবে বিদেশের পত্র বেশি আসে। সুতরাং সেবার সংবাদ দেওয়া বাচ্চাদেরকে বাবা অভিনন্দনও জানাচ্ছেন আর সেইসঙ্গে সদা স্ব-সেবা আর বিশ্ব-সেবায় “সফলতা ভব”-র বরদান দিচ্ছেন। যারা স্ব-পুরুষার্থের সংবাদ দিচ্ছে তাদেরকে বাবা এই বরদানই দিচ্ছেন যে যেভাবে স্বচ্ছ হৃদয়ে বাবাকে তুষ্ট করতে থাক, সে’ভাবে সদা নিজেও নিজের সব সংস্কারের সাথে, সংগঠনের সাথে রাজযুক্ত অর্থাৎ সন্তুষ্ট থাক। একে অপরের সংস্কারের রহস্য জানা, পরিস্থিতি জানা – এটাই রাজযুক্ত স্থিতি। আর রইল স্বচ্ছ হৃদয়ে আপন স্বীকারোক্তি (পোতামেল) দেওয়া আর স্নেহের অধ্যাত্ম আলাপচারিতার পত্র লেখা অর্থাৎ অতীত সমাপ্ত করা এবং স্নেহের অধ্যাত্ম আলাপচারিতা সদা কাছাকাছির অনুভব করাতে থাকবে। এ’ হ’ল তোমাদের পত্রের রেসপন্স।

পত্র লেখায় বিদেশিরা খুব সতর্ক। তারা প্রায়শঃই লেখে। ভারতবাসীও লম্বা লম্বা পত্র লিখতে শুরু ক’র না। বাপদাদা বলে দিয়েছেন শুধু দু’ শব্দের পত্র লেখ – “ও. কে.” (সম্পূৰ্ণরূপে ঠিক আছে)। সেবার সংবাদ যদি হয় তাহলে লেখ- বাকি অন্য কিছু “ও. কে.”। এতে সবকিছু অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। এই পত্র পড়া যদি সহজ হয় তো লেখাও সহজ। কিন্তু যদি “ও. কে.” না হও তাহলে “ও. কে.” লিখ না। যখন ও. কে. হয়ে যাবে তখন লিখ। পোস্ট পড়তেও তো টাইম লাগে, তাই না ! যে কোনো কার্য কর, তা’ সদা শর্টও যেন হয়, আর যেন সুইটও হয়। কেউ যদি পড়ে, তো তার খুশি যেন হয়, সেইজন্য রামকথা লিখে পাঠিও না। বুঝেছ ! সংবাদ দিতে হবে কিন্তু সংবাদ দেওয়া শিখতেও হবে। আচ্ছা !

শুভভাবনা আর শুভকামনার সূক্ষ্ম সেবার মহত্ত্বকে জানা সকল মহান আত্মাকে বাপদাদার স্মরণ-স্নেহ আর নমস্কার।

বরদানঃ-

যেমন নিরন্তর যোগী হয়েছ, তেমনই নিরন্তর বিজয়ী হও, তবেই প্রকৃত সেবাধারী হয়ে যাবে। কারণ বিজয়ী আত্মা, যখন প্রতিটা সঙ্কল্পে, প্রতিটা পদে বিজয়ের অনুভব করে, তখন তাদের সেই রূপান্তর দেখে অনেক আত্মার সেবা আপনা থেকেই হয়। তাদের নয়ন অলৌকিকতার অনুভব করে, তাদের আচরণ বাবার চরিত্রের সাক্ষাৎকার করায়, মস্তক থেকে মস্তকমনির সাক্ষাৎকার হয়। এইভাবে নিজের অব্যক্ত মূর্তি দ্বারা যে সেবা করে সেই বিশেষ আত্মাকেই প্রকৃত সেবাধারী বলা হয়।

স্লোগানঃ-

সূচনাঃ- নভেম্বর মাসের এটা তৃতীয় রবিবার, ইউনাইটেড নেশন দ্বারা সড়ক দুর্ঘটনায় পীড়িতদের জন্য স্মৃতি দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। সুতরাং, সব রাজযোগী ভাই-বোনেরা সন্ধ্যা ৬:৩০ থেকে ৭:৩০ পর্যন্ত পরমাত্মা পিতার স্মৃতিতে থেকে নিজের মাস্টার করুণা-হৃদয় স্বরূপ দ্বারা সড়ক দুর্ঘটনায় পীড়িত আত্মাদের শান্তির সকাশ দিন, নিজের স্নেহ শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করুন।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top