21 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
20 May 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - শ্রীমতে কখনও মনমত মিক্স করবে না, মনমত অনুসারে চলা অর্থাৎ নিজের ভাগ্যে দাগ টেনে দেওয়া”
প্রশ্নঃ --
বাবার কাছে কোন্ আশা বাচ্চাদেরকে করা উচিত নয় ?
উত্তরঃ -:-
অনেক বাচ্চারা বলে বাবা আমাদের শরীরের অসুখ ঠিক করে দাও, একটু কৃপা করো। বাবা বলেন এই শরীর তো তোমাদের পুরানো অর্গ্যান্স। একটু আধটু কষ্ট তো থাকবেই, তাতে বাবা কি করবেন। কেউ মারা গেলে, কেউ দেউলিয়া হলে বাবার কাছে কৃপা প্রার্থনা করে, এইসব তো তোমাদের হিসেব-নিকেশ। হ্যাঁ, যোগবলের দ্বারা তোমাদের আয়ু বৃদ্ধি পাবে, যতটা সম্ভব যোগবলের দ্বারা কাজ করো।
গান:-
তোমরা রাত্রি কাটিয়েছ ঘুমিয়ে ..
ওম্ শান্তি । বাচ্চাদেরকে ওম্ শব্দের অর্থ তো বলা হয়েছে। এমন নয় যে ওম্ অর্থাৎ ভগবান। ওম্ অর্থাৎ অহম্ অর্থাৎ আমি। আমি কে ? এই অর্গ্যান্স গুলি হল আমার । বাবাও বলেন অহম্ আত্মা, কিন্তু আমি পরম আত্মা অর্থাৎ আমি পরমাত্মা। উনি হলেন পরম ধাম নিবাসী পরম পিতা পরমাত্মা। বলেন আমি এই শরীরের মালিক নই। আমি ক্রিয়েটর, ডাইরেক্টর, অ্যাক্টর কীভাবে হই – সেই কথা গুলি বুঝতে হবে। আমি অবশ্যই স্বর্গের রচয়িতা । সত্য যুগের রচনা করে কলিযুগের বিনাশ অবশ্যই করতেই হবে। আমি করনকরাবনহার (কর্ম করান যিনি) হওয়ার দরুন আমি করাই। এই কথাটি কে বলেন ? পরমপিতা পরমাত্মা। তারপরে বলেন আমি ব্রহ্মান্ডের মালিক। ব্রহ্মান্ডের মালিক তোমরা বাচ্চারাও, যখন বাবার সঙ্গে থাকো। তাকে সুইট হোমও বলা হয়। পুনরায় যখন সৃষ্টির রচনা করা হয় তখন সর্ব প্ৰথমে ব্রাহ্মণদের রচনা করা হয় পরে তারা দেবতায় পরিণত হয়। তারা পুরোপুরি ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে। শিববাবা হলেন এভার পূজ্য। আত্মাকে তো পুনর্জন্ম নিতেই হবে। যদিও ৮৪ লক্ষ তো হতে পারে না। বাবা বলেন তোমরা নিজেদের জন্ম গুলির বিষয়ে জানো না, আমি এসে বলি। ৮৪-র চক্র বলা হয়। ৮৪ লক্ষ নয়। এই চক্রকে স্মরণ করলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হও। এখন বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো। দেহ সহ দেহের সব সম্বন্ধ গুলি ভুলে যাও। এখন তোমাদের হল অন্তিম জন্ম। যতক্ষণ এই কথা বুদ্ধিতে আসছে ততক্ষণ বুঝবে না। এ হল পুরানো শরীর, পুরানো দুনিয়া। এই শরীর তো শেষ হয়ে যাবে। কথায় আছে না আমি মরলে আমার কাছে এই দুনিয়াও মৃত হয়ে যায় । এই ছোট সঙ্গমের সময় হল পুরুষার্থ করার সময়। বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে বাবা এই জ্ঞান কত দিন পর্যন্ত চলবে ? যতক্ষণ দৈব রাজধানী স্থাপন হয়ে যায় ততক্ষণ জ্ঞান শোনাবেন। পরীক্ষা সম্পূর্ণ হলে তারপরে ট্রান্সফার হবে নতুন দুনিয়ায়। ততক্ষণ শরীরে কিছু না কিছু হতেই থাকবে। এই শারীরিক অসুস্থতা হল কর্মভোগ। বাবার এই শরীরটি কত প্রিয়। তবুও কাশি ইত্যাদি হলে বাবা বলেন তোমার এই অর্গ্যান্স গুলি পুরানো হয়েছে তাই কষ্ট হচ্ছে। এই বিষয়ে বাবা সাহায্য করবেন এমন আশা রাখা উচিত নয়। দেউলিয়া হওয়া, অসুস্থ হওয়া বাবা বলেন এইসব তো তোমাদের কর্মের হিসেব-নিকেশ। হ্যাঁ, তবুও যোগের দ্বারা আয়ু বৃদ্ধি পায়, তোমাদেরই লাভ আছে। নিজের পরিশ্রম করো, কৃপা প্রার্থনা করবে না। বাবার স্মরণেই কল্যাণ আছে। যতখানি সম্ভব যোগবলের দ্বারা কার্য উদ্ধার করো। গায়ন আছে না – আমায় চোখের পলকের মধ্যে লুকিয়ে রাখো…. প্রিয় বস্তুকে নূরে রত্ন, প্রাণ প্রিয় বলা হয়। বাবা তো হলেন অতি প্রিয়, কিন্তু উনি হলেন গুপ্ত তাই বাবার প্রতি ভালোবাসা স্থির থাকে না। তা নাহলে বাবার প্রতি ভালোবাসা এমন হওয়া দরকার যে বলে বোঝানো যাবে না। বাচ্চাদেরকে বাবা চোখের পাতায় লুকিয়ে রাখেন। চোখের পাতার অর্থ এই চোখ নয়, বুদ্ধিতে স্মরণ রাখতে হবে আমাদের জ্ঞান কে প্রদান করছেন ? মোস্ট বিলাভেড নিরাকার পিতা, যাঁর মহিমাই হল – পতিত-পাবন, জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। তাঁকে মানুষ আবার সর্বব্যাপী বলে দিয়েছে। তবে তো প্রত্যেকটি মানুষই জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর হওয়া উচিত। কিন্তু নয়, প্রত্যেকটি আত্মার নিজস্ব অবিনাশী পার্ট প্রাপ্ত হয়ে আছে। এই গুলি হল খুবই গুপ্ত কথা। প্রথমে তো বাবার পরিচয় দিতে হবে। পারলৌকিক পিতা স্বর্গের রচনা করেন। সত্যযুগ সত্যখণ্ডে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব থাকে, যে নতুন দুনিয়া বাবা রচনা করেন, কীভাবে রচনা করেন তা তো তোমরা বাচ্চারা জানো। উনি বলেন আমি আসি পতিতদের পবিত্র করতে। অতএব পতিত সৃষ্টিতে এসে পবিত্র তো বানাতে হবে তাইনা। গায়নও আছে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। তাই ব্রহ্মার মুখের দ্বারা জ্ঞান প্রদান করি এবং শ্রেষ্ঠ কর্ম করার শিক্ষা দিয়ে থাকি। বাচ্চাদেরকে বলেন আমি তোমাদের এমন কর্ম শেখাই যে সেখানে (স্বর্গে) তোমাদের কর্ম গুলি বিকর্মে পরিণত হবে না কারণ সেখানে মায়াই নেই, তাই তোমাদের কর্ম হয় অকর্ম । এখানে মায়া আছে তাই তোমাদের কর্ম বিকর্মে পরিণত হয়ে যায়। মায়ার রাজ্যে যা করবে সবই উল্টো করবে।
এখন বাবা বলেন আমার দ্বারা তোমরা সব কিছু জেনেছো। সাধু সন্ন্যাসীরা সাধনা ইত্যাদি করে – পরমাত্মার সাথে মিলিত হওয়ার জন্য, অনেক রকমের হঠযোগ ইত্যাদি শেখায়। এখানে তো শুধুমাত্র এক বাবাকে স্মরণ করতে হবে। মুখে শিব-শিব বলতেও হবে না। এ হল বুদ্ধির যাত্রা। যত যত স্মরণ করবে ততই রুদ্র মালার দানা হবে, বাবার সমীপে আসবে। শিববাবার গলার হার হওয়া বা রুদ্র মালায় কাছে আসা, তারই হল রেস। চার্ট রাখলে তো অন্তিম সময়ে যেমন মতই সেই অনুসারে গতি প্রাপ্ত হয়ে যাবে। দেহটিও যেন স্মরণে না আসে, এমন অবস্থা চাই।
বাবা বলেন এখন তোমাদের হীরে সম জন্ম প্রাপ্ত হয়েছে। অতএব আমার প্রিয় বাচ্চারা, নিদ্রাজিত বাচ্চারা, মিনিমাম ৮ ঘন্টা আমার স্মরণে থাকো। এখনও সেই অবস্থা বা স্থিতি আসেনি। চার্ট রাখো যে আমরা সারাদিন কতক্ষণ সময় স্মরণের যাত্রায় ছিলাম। কোথাও থেমে যাও না তো। বাবাকে স্মরণ করলে বর্সাও বুদ্ধিতে থাকবে। প্রবৃত্তি মার্গ তাইনা। এক নম্বরে হল বাবার দ্বারা স্থাপন করা – স্বর্গের দেবী-দেবতা ধর্ম । বাবা রাজযোগের শিক্ষা প্রদান করে স্বর্গের মালিক করেন, পরে এই জ্ঞান লুপ্ত প্রায় হয়ে যায়। তাহলে এই জ্ঞান শাস্ত্রে আসে কোথা থেকে ? রামায়ণ ইত্যাদি তো পরে বসে তৈরি করেছে। সম্পূর্ণ দুনিয়াই তো হল রাবণের লঙ্কা। রাবণের রাজত্ব তাইনা। বানর সম মানুষকে পবিত্র মন্দিরের মতন উপযুক্ত বানিয়ে রাবণের রাজত্ব শেষ করে দেন। সদ্গতি দাতা হলেন একমাত্র বাবা জ্ঞান প্রদান করেন সদগতির জন্য। তাঁকে সদ্গতি করতে হবে শেষ সময়ে।
এখন বাবা বলেন বাচ্চারা অন্য সব কিছু ত্যাগ করে একমাত্র আমার কাছে শোনো। আমি কে, প্রথমে এই নিশ্চয় থাকা উচিত। আমি তোমাদের সেই পিতা। আমি তোমাদের পুনরায় সকল বেদ শাস্ত্র ইত্যাদি সার অর্থ বোঝাই। এই জ্ঞান তো বাবা সম্মুখে প্রদান করেন। পরে তো বিনাশ হয়ে যায়। তারপরে যখন দ্বাপরে খোঁজে তখন সেই গীতা শাস্ত্র ইত্যাদি বেরিয়ে আসে। ভক্তি মার্গের জন্য সামগ্রী তো অবশ্যই চাই। তোমরা যা এখন দেখছো, অন্যদের জ্ঞান তো পরম্পরা অনুসারে হয়ে এসেছে। এই জ্ঞান তো এখানেই শেষ হয়ে যায়। পরে যখন খোঁজা হয় তখন এই শাস্ত্র ইত্যাদি হাতে উঠে আসে, তাই একে অনাদি বলে দেয়। দ্বাপরে সব ওই শাস্ত্র গুলি বেরোয়। তাই তো আমি এসে পুনরায় সব শাস্ত্র গুলির সার অর্থ বুঝিয়ে বলি, সেসব আবার রিপিট হবে। কেউ রিপিটিশনকে স্বীকার করে, কেউ আবার অন্য কিছু বলে। অনেক মতামত আছে। বিশ্বের ইতিহাস – ভূগোল তো তোমরা বাচ্চারাই জানো, অন্য কেউ জানেনা। তারা তো কল্পের আয়ু লক্ষ বছরের বলে দিয়েছে। এমনও অনেক লোকেরা বলে যে মহাভারতের যে যুদ্ধ হয়েছিল, তার ৫ হাজার বছর হয়েছে। এ হল সেই লড়াই। সুতরাং নিশ্চয়ই গীতার ভগবানও থাকবেন ! যদি কৃষ্ণ হয় তবে ময়ূর মুকুটধারী হওয়া উচিত। কৃষ্ণ তো সত্যযুগেই থাকেন। সেই কৃষ্ণ তো এখন থাকতে পারে না। তার দ্বিতীয় জন্মে সেই কলা বা কোয়ালিটি তো থাকতে পারে না। ১৬ কলা থেকে ১৪ কলা হতেই হবে সুতরাং জন্ম জন্ম একটু একটু তফাৎ হয়েই যাবে তাইনা। যদিও ময়ূর মুকুটধারী তো অনেকেই আছে। কৃষ্ণ যে প্রথম নম্বরের, ১৬ কলা সম্পূর্ণ, কৃষ্ণের তো পুনর্জন্ম হওয়ায় একটু একটু কলা কম হতে থাকে। এ হল খুবই গূহ্য রহস্য।
বাবা বলেন এমন নয় চলতে ফিরতে, ঘুরতে বেড়াতে সময় নষ্ট করবে। এটা হল উপার্জনের সময়। যাদের কাছে অনেক ধন আছে তারা তো ভাবে তাদের জন্য এখানেই স্বর্গ, বাবা বলেন তাদের এই স্বর্গ তাদের জন্য অভিনন্দন। বাবা তো হলেন দীনের নাথ। গরিবদের দান দিতে হবে। গরিব মানুষের স্যারেন্ডার হওয়া সহজ । হ্যাঁ, কেউ কেউ বিরল ধনবান মানুষও জ্ঞানের পথে আসে। এই সব কথা বুঝতে হবে। দেহ বোধের ভাব ত্যাগ করতে হবে। এই দুনিয়া তো শেষ হবেই, তখন আমরা বাবার কাছে চলে যাব। সৃষ্টি নতুন হয়ে যাবে। কেউ তো অ্যাডভান্সেও যাবে । শ্রীকৃষ্ণের মাতা পিতারও অ্যাডভান্সে যাওয়া উচিত, যারা সেখানে কৃষ্ণকে কোলে নেবে। কৃষ্ণ থেকেই সত্যযুগ আরম্ভ হয়। এ’গুলি খুবই গূহ্য কথা। এই কথা তো বুঝতে হবে যে – কে হবেন মাতা পিতা ? কে সেকেন্ড নম্বরে আসার উপযুক্ত। সার্ভিসের দ্বারাও তোমরা বুঝতে পারো। ভাগ্যের দ্বারাও কেউ গ্যালপ করে আগে এসে যাবে। এমন তো হচ্ছে, শেষের দিকে যারা এসেছে তারা ফার্স্টক্লাস সার্ভিস করছে। রূপ বসন্ত হলে তোমরা বাচ্চারা। বাবাকেও বসন্ত বলা হয়। তিনি হলেন স্টার। এমন বিশাল তো নয় তাঁর রূপ। পরম আত্মা অর্থাৎ পরমাত্মা। আত্মার রূপ বিশাল নয়। কিন্তু মানুষ যাতে সংশয়গ্রস্ত না হয় তার জন্য বিশাল রূপ দেখানো হয়েছে। উঁচু থেকে উঁচুতে হলেন শিববাবা। তারপরে হলেন ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শঙ্কর। ব্রহ্মাও ব্যক্ত থেকে অব্যক্ত হন, এর কোনো চিত্র নেই। বিষ্ণুর দুই রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ । শঙ্করের পার্ট সূক্ষ্মবতন পর্যন্ত থাকে। এখানে স্থূল সৃষ্টিতে এসে পার্ট প্লে করার পার্ট নেই, আর না পার্বতীকে অমরকথা শোনান। এইসবই হল ভক্তিমার্গের কাহিনী। এই সব শাস্ত্র ইত্যাদি তবুও তৈরি হবে। তাতে সত্য আছে আটায় লবণ সম। যেমন শ্রীমৎ ভগবৎ গীতা শব্দটি রাইট। তারপরে বলে দেয় শ্রীকৃষ্ণ ভগবান…. তা একেবারেই ভুল। দেবতাদের মহিমা আলাদা, উঁচু থেকে উঁচু হলেন পরম পিতা পরমাত্মা। যাঁকে সবাই স্মরণ করে, তাঁর মহিমা আলাদা। সবাই একরকম কীভাবে হতে পারে। সর্বব্যাপীর কোনো অর্থ নেই।
তোমরা হলে রূহানী স্যালভেশন আর্মি, কিন্তু গুপ্ত। স্থূল অস্ত্র ইত্যাদি তো থাকতে পারে না। এই সব হল জ্ঞানের বাণ, জ্ঞানের কাটারী সম কথা। পরিশ্রম আছে, পবিত্রতায়। বাবার কাছে সম্পূর্ণ প্রতিজ্ঞা করতে হবে। বাবা আমরা পবিত্র হয়ে স্বর্গের অধিকার অবশ্যই প্রাপ্ত করব। বর্সা বাচ্চাদেরই প্রাপ্ত হয়। বাবা এসে আশীর্বাদ করেন, মায়া রাবণ তো অভিশপ্ত করে। সুতরাং এমন মোস্ট বিলাভেড পিতার সঙ্গে কত ভালোবাসা থাকা উচিত। বাচ্চাদের নিঃস্বার্থে সেবা করেন। পতিত দুনিয়া, পতিত শরীরে আসেন বাচ্চারা তোমাদের হীরে সম গড়ে তোলেন এবং নিজে নির্বাণধামে গিয়ে বসেন। এই সময় তোমাদের সবার হল বাণপ্রস্থ অবস্থা তাই বাবা এসেছেন, সবার জ্যোতি প্রজ্বলিত হয় তখন সবাই মিষ্টি হয়ে যায়। বাবার মতন মিষ্টি হতে হবে। গায়নও আছে না – কত মিষ্টি কত প্রিয় … কিন্তু বাবা কতখানি নিরহঙ্কারিতার সাথে বাচ্চারা তোমাদের সেবা করেন । বাচ্চারা তোমাদেরও এতখানি রিটার্ন সার্ভিস করা উচিত। এ হল হসপিটাল কাম ইউনিভার্সিটি তাই ঘরে ঘরে থাকা উচিত। যেমন ঘরে ঘরে মন্দির থাকে। তোমরা কন্যারা ২১ জন্মের জন্য হেলথ ওয়েলথ প্রদান করো শ্রীমৎ অনুসারে। বাচ্চারা তোমাদেরও চলতে হবে শ্রীমৎ অনুসারে। কোথাও নিজের মতানুসারে চললে ভাগ্যে দাগ পড়ে যাবে। কাউকে দুঃখ দেবে না। যেমন মহারথী বাচ্চারা সার্ভিস করছে তেমনই ফলো করতে হবে। সিংহাসনাসীন হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে। আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বাবার মতন নিরহংকারী হয়ে সেবা করতে হবে। বাবার সেবা যা প্রাপ্ত হচ্ছে সে’সব সত্য হৃদয়ের সঙ্গে রিটার্ন দিতে হবে, খুব মিষ্টি হতে হবে।
২ ) চলতে ফিরতে নিজের সময় নষ্ট করবে না…. শিববাবার গলার হার হওয়ার জন্য রেস করতে হবে। দেহের কথাও যেন স্মরণে না আসে… এমন অভ্যাস করতে হবে।
বরদানঃ-
যে বাচ্চারা নলেজফুল, ত্রিকালদর্শী হয় তারা কখনও নারাজ অর্থাৎ বিরক্ত হয় না। যতই কেউ গালাগালি করুক অপশব্দ বলুক, অপমান করুক তা সত্ত্বেও সে খুশীতে থাকে। কারণ ড্রামার সকল রহস্যকে যে জানে সে কখনও রাগ অভিমান করে না। রাগ সে করে, যে রহস্যকে জানেনা। তাই সর্বদা এই স্মৃতি রাখো যে ভগবান পিতার সন্তান হয়েও যদি রাজি না হবে তবে কবে হবে। সুতরাং যে এখন খুশীও আছে ভরপুরো আছে, সে-ই বাবার সমীপ এবং সমান ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!