21 March 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

March 20, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদের কাছে যাকিছু আছে, তা ঈশ্বরীয় সেবায় অর্পণ করে সফল করে নাও, কলেজের সাথে হাসপাতালও খুলতে থাকো"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, শিববাবার সঙ্গে তোমাদের এমন কোন্ একটি অত্যন্ত রম্য এবং গুপ্ত সম্পর্ক রয়েছে ?

উত্তরঃ -:-

তোমরা বলো যে শিববাবা আমাদের বাবাও আবার বাচ্চাও, কিন্তু বাবা আবার বাচ্চা কীভাবে হন, এ হলো অতি রমণীয় এবং গোপন কথা। তোমরা ওঁনাকে বালকও মনে করো কারণ ওঁনার উপর সম্পূর্ণরূপে সমর্পিত হয়ে যাও। সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রথমে তোমরা ওঁনাকে দাও। যে শিববাবাকে নিজের উত্তরাধিকারী করে, সে-ই ২১ জন্মের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে। এই সন্তান(শিববাবা) বলেন যে তোমাদের ধন-দৌলত আমার চাই না। তোমরা কেবল শ্রীমতে চলো তাহলেই তোমাদের বাদশাহী প্রাপ্ত হয়ে যাবে।

গান:-

মাতা ও মাতা..

ওম্ শান্তি । ওম্ শান্তি কে বলছে ? শরীর বলছে, নাকি আত্মা বলছে ? এ’ টা বাচ্চাদের ভালভাবে বুঝতে হবে। এক হলো আত্মা, দ্বিতীয় হলো শরীর। আত্মা হলো অবিনাশী। এই আত্মা স্বয়ং নিজের পরিচয় দেয় যে আমি হলাম বিন্দু-স্বরূপ আত্মা। যেমন পরমাত্মা বাবা নিজের পরিচয় দেন যে আমায় পরমাত্মা কেন বলা হয়ে থাকে ? কারণ আমি হলাম সকলের পিতা। সকলেই বলে – হে পরমপিতা পরমাত্মা, হে ভগবান, এ’সব বুঝবার মতন বিষয়(কথা)। অন্ধশ্রদ্ধার কোনো কথা নেই। যেমন আর যা শোনানো হয়ে থাকে তা সত্য নয়, মানুষ যা ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে বলে থাকে তা সবই অসত্য। একমাত্র ঈশ্বরই সত্য, তিনিই সত্য বলবেন। বাকি মানুষমাত্র সকলেই ওঁনার বিষয়ে অসত্য বলবে সেইজন্য বাবাকে সত্য বলা হয়ে থাকে, সত্য ভূখন্ডের রচনাকার। ভারতই সত্য ভূখন্ড ছিল, বাবা বলেন — আমিই সত্য ভূখন্ড রচনা করেছিলাম। সেইসময় ভারত ব্যতীত আর কোনো ভূখন্ড ছিল না। এ’সকল সত্য-স্বরূপ বাবাই বলতে পারেন। পূর্বের ঋষি, মুনিরা সকলেই বলে গেছেন যে আমরা রচয়িতা ঈশ্বর এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি না। না-না করে গেছেন। কোনো পরিচয় দিতে পারেননি। বাবার পরিচয় বাবাই দেন। আমি হলাম তোমাদের পিতা। আমিই এসে নতুন দুনিয়ার স্থাপনা এবং পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ করি – শঙ্করের দ্বারা। নতুন সৃষ্টি ব্রহ্মার দ্বারা রচনা করি। আমিই তোমাদের নিজের সত্য পরিচয় দিয়ে থাকি। বাকি যারা আমার বিষয়ে তোমাদেরকে শোনাবে সে’সব মিথ্যাই শোনাবে। যারা বসবাস করে চলে গেছে, তাদের কেউ জানেনা। সত্যযুগীয় লক্ষ্মী-নারায়ণ সর্বোচ্চ ছিলেন। নতুন দুনিয়া যা উচ্চ ছিল সেখানকার মালিক ছিলেন। তাহলে এত উচ্চ দুনিয়া কে রচনা করেছিলেন এবং তার মালিককেও কে গড়ে তুলেছিলেন! তা কেউ জানে না। বাবা জানেন, যারা স্বর্গের রাজত্বের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিল তাদের বুদ্ধিতেই এ’কথা বসবে। গায়নও রয়েছে – ‘তুমি মাতা-পিতা আমরা বালক তোমার, তোমার কৃপায় সুখ প্রগাঢ়’। এ’টা কার উদ্দেশ্যে গাওয়া হয়ে থাকে ? লৌকিকের উদ্দেশ্যে, নাকি পারলৌকিকের উদ্দেশ্যে? লৌকিকের তো এ’রকম মহিমা হতে পারে না। সত্যযুগেও এই মহিমা কারোর থাকতে পারে না। তোমরা এখানে এসেছো সেই মাতা-পিতার থেকে ২১ জন্মের জন্য গভীর সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে, রাজ্য-ভাগ্যের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে। ভগবানই হলেন রচয়িতা আর ওঁনার সাথে মাতাও থাকবেন, তাই না! বাচ্চারা, এখানে তোমরা মাতা-পিতার কাছে এসেছো। এখানে কোনো গুরু-গোঁসাই নেই। বাবা বলেন, তোমরা আমার থেকে পুনরায় স্বর্গের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। সত্যযুগে লক্ষ্মী-নারায়ণই রাজত্ব করতো। শ্রীকৃষ্ণকে সকলেই ভালবাসে, তাহলে রাধাকে কেন করে না? ছোটবেলায় লক্ষ্মী-নারায়ণ কে ছিল ? তা কেউ জানে না। লোকেরা মনে করে যে এঁনারা দ্বাপরযুগে ছিলেন। মায়া রাবণ সম্পূর্ণ তুচ্ছবুদ্ধিসম্পন্ন করে দিয়েছে। তোমরাও প্রথমে প্রস্তরবুদ্ধিসম্পন্ন ছিলে। বাবা তোমাদের পারশবুদ্ধিসম্পন্ন বানিয়ে দিয়েছেন। একমাত্র বাবা-ই পারশবুদ্ধিতে পরিনত করেন। স্বর্গে সোনার মহল থাকবে। এখানে তো সোনা কেন তামাও পাওয়া যায় না। তামার পয়সাও তৈরী করা হয় না। ওখানে তামার কোনো মূল্য নেই। এই যে গায়ন করা হয় — কারোর ধন ধূলোয় মিশে যাবে, কারোর রাজা গ্রাস করে নেবে… তা পুনরায় অবশ্যই ফিরে আসবে। অবশ্যই আগুন লেগেছিল। বিনাশ হয়েছিল, তা পুনরায় হবে। অবশ্যই ৫ হাজার বছর পূর্বের মতন দৈবী-স্বরাজ্য স্থাপন হতে চলেছে। বাচ্চারা, তোমাদের রাজত্ব প্রদান করি, এখন যে যতখানি পড়বে। বিচার করা উচিত যে এখানে সত্যযুগের লক্ষ্মী-নারায়ণের মতন রাজা-রানী তথা প্রজা কোথা থেকে আসবে ? তারা রাজ্য কোথা থেকে প্রাপ্ত করেছে ? একে-অপরের থেকে নিয়েছে নাকি সূর্যবংশীয়দের থেকে চন্দ্রবংশীয়রা নিয়েছে ! চন্দ্রবংশীয়দের থেকে আবার বিকারী রাজারা নেয়, রাজাদের থেকে আবার কংগ্রেস সরকার নিয়েছে। এখন আর কোনো রাজত্ব নেই। লক্ষ্মী-নারায়ণ স্বর্গের মালিক ছিলেন, তাই না! – ৮ টি বংশ চলেছে। ত্রেতায় সীতারামের রাজ্য ছিল। তারপর মায়ার রাজ্য শুরু হয়ে থাকে। বিকারী রাজারা, নির্বিকারী রাজাদের মন্দির নির্মাণ করে পূজা করতে থাকে। যারা পূজ্য ছিল তারাই পূজারী হয়ে গেছে। এখন তো বিকারী রাজারাও নেই। পুনরায় এখন নতুন দুনিয়ার হিস্ট্রি রিপীট হবে। নতুন দুনিয়ার জন্য বাবা তোমাদের রাজযোগ শিখিয়েছিলেন। অসীম জগতের বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। যে পরীক্ষায় পাশ করবে সে-ই প্রতিকল্পে উচ্চপদ লাভ করবে। এ হলো পড়া, গীতা পাঠশালা। বাস্তবে এ’টিকে গডফাদারলী ইউনিভার্সিটি বলা উচিত কারণ এর মাধ্যমেই ভারত স্বর্গ হয়ে যায়। কিন্তু এ’কথা সকলেই বোঝে না। একটু দেরী রয়েছে। ভবিষ্যতে এর প্রভাব দেখা যাবে। এ’সব শিববাবাই বুঝিয়ে থাকেন। শিববাবাই বলো বা শিব-বালকই বলো ? তিনি হলেন শিববাবাও আবার তিনি মাতাও। এখন বলো শিবের কি মা আছে ? শিব কি তোমাদের সন্তান ? যারা বলে শিব আমাদের বাবাও, বাচ্চাও তারা হাত তোলো ! এ হলো অত্যন্ত রমণীয় এবং গোপন কথা। বাবা আবার বাচ্চা কীভাবে হতে পারে ? বাস্তবে কৃষ্ণ তো গীতা শোনায়নি। সে তো মা-বাবার একমাত্র সন্তান ছিল। সত্যযুগে তাই কলসী ইত্যাদি ভেঙ্গে ফেলার কোনো কথাই নেই। গীতা শুনিয়েছেন শিব। ওঁনাকে বালকও মনে করা হয়, কারণ ওঁনার উপর সমর্পিত হয়ে যায়। সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার তাঁকেই দিয়ে থাকে। তোমরা গাইতেও থাকো যে শিববাবা যখন তুমি আসবে তখন সমর্পিত হয়ে যাব। এখন বাবা বলেন — তোমরা আমায় উত্তরাধিকারী করলে, আমি তখন তোমাদের ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকারী বানিয়ে দেব। লৌকিক বাচ্চারা তোমার থেকে নেবে, কিন্তু দেবে না কিছুই। দেখো, ইনি তো কত দেন। হ্যাঁ, আপন সন্তানদের দেখভাল অবশ্যই করো কিন্তু শ্রীমতে চলো। এইসময়ের বাচ্চারা বাবার ধন-সম্পদ দিয়ে পাপই করবে। এই সন্তান(শিব) বলেন যে – আমি তোমার ধন-দৌলত দিয়ে কি করবো। আমি তোমাদের বাদশাহী (রাজত্ব) দিতে এসেছি, কেবল শ্রীমতানুসারে চলো। যোগের দ্বারা ২১ জন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য, আর অধ্যয়নের মাধ্যমে রাজত্ব প্রাপ্ত হবে। এ’রকম কলেজ কাম ইউনিভার্সিটি খোলো। শিববাবা হলেন দাতা, আমি নিয়ে কি করবো! হ্যাঁ, যুক্তি বলে যে ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে সেবায় নিয়োজিত করো। শ্রীমতে চলো। শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যে অর্পণ করে, তিনি তো প্রিন্স ছিলেন, তিনি অভুক্ত ছিলেন নাকি! পরিবর্তে শিববাবা তোমাদের অনেক কিছু দেন। ভগবান ভক্তির ফল প্রদান করেন। উনি হলেন দুঃখহরণকারী, সুখপ্রদানকারী। তোমাদের সদ্গতি প্রদান করার আর কেউ নেই। বাচ্চারা, আমি তোমাদের সদ্গতি করি। আচ্ছা বাবা, তবে দুর্গতি কে করে ? হ্যাঁ বৎস, রাবণের প্রবেশতার কারণে, রাবণের মতের জন্য সকলেই তোমাদের দুর্গতিই করে এসেছে। রাবণের মতানুসারে সম্পূর্ণ ভ্রষ্টাচারী হয়ে গেছে। এখন আমি তোমাদের শ্রেষ্ঠাচারী বানিয়ে স্বর্গের মালিক করে দিই। এখানে তোমরা যাকিছুই করবে তা আসুরীয় মতানুসারেই করবে। এখন দেবতা হতে চাও তো আর সঙ্গ পরিত্যাগ করে একমাত্র আমার সঙ্গেই যোগসূত্র স্থাপন করো। আমার মতে যত চলবে ততই উচ্চপদ লাভ করবে। না পড়লে প্রজাতেও কম পদ লাভ করবে। একবার শুনে, ধারণ করলে তখন স্বর্গে যাবে কিন্তু পদপ্রাপ্তি কম হবে। দিনে-দিনে উপদ্রব অনেক আসবে। যাতে মানুষও বুঝতে পারবে যে এ তো হলো সেই সময়কাল। কিন্তু অনেক দেরীতে আসার জন্য অত উচ্চপদ প্রাপ্ত করতে পারবে না। যোগ ব্যতীত বিকর্ম বিনাশ হবে না। এখন সবকিছুরই বিনাশের সময়। হিসেব-নিকেশ চুক্ত করতে হবে। এখানে তোমাদের কর্ম বিকর্ম হয়ে যায়। সত্যযুগে কর্ম অকর্ম হয়ে যায়। কর্ম তো অবশ্যই সকলে করবে। কর্ম ব্যতীত কেউ থাকতে পারবে না। আত্মা বলে – আমি এই কাজ করছি। ক্লান্ত হয়ে পড়ার জন্য রাতে বিশ্রাম নিয়ে থাকি। এই কর্মেন্দ্রিয়কে পৃথক মনে করে শুয়ে পড়ি, যাকে নিদ্রা বলা হয়ে থাকে। এখন বাবা বলেন – হে আত্মা, আমি তোমাদের শুনিয়ে থাকি, তাই ধারণ করো। গৃহস্থী জীবনে থেকে পড়াও করো। পড়াশোনার মাধ্যমেই উচ্চপদ প্রাপ্ত হবে। পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত এই জ্ঞান বুদ্ধিতে বসবে না। মায়া বুদ্ধিকে অপবিত্র করে দেয় সেইজন্যই বাবার নাম পতিত-পাবন। গায়ন করে যে তুমি মাতা-পিতা আমরা বালক তোমার…. কিন্তু এখন তোমরা প্র্যাকটিক্যালি সন্তান হয়েছো, জানো যে এই সহজ রাজযোগের বলেই ২১ জন্মের জন্য আমরা স্বর্গের মালিক হয়ে যাব সেইজন্যই তোমরা এসেছো। ভক্তিমার্গে তোমরা গাইতে (কীর্তন করতে), এখন গায়ন বন্ধ হয়ে গেছে। স্বর্গে গায়ন হয়ই না, পুনরায় ভক্তিতে হবে। বাবা বলেন, আমি তোমাদের মাতা-পিতা হয়ে তোমাদের স্বর্গবাসী বানিয়ে দিই। মায়া পুনরায় নরকবাসী করে দেয়, এ হলো খেলা। এ’টা বুঝে মৃত্যুর পূর্বে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে নাও। নাহলে রাজ্য-ভাগ্য হারিয়ে ফেলবে। পতিতরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে পারে না। তারা পুনরায় প্রজায় চলে যাবে। এতেও পদমর্যাদা নম্বরের অনুক্রমেই পায়।

বাবা বলেন, এই মৃত্যুলোকে এ’টাই তোমাদের অন্তিম জন্ম। এখন আমার মতানুসারে চলো তবেই তরী পার হয়ে যাবে, এখানে অন্ধশ্রদ্ধার কোনো কথাই নেই। পড়ায় কখনো অন্ধশ্রদ্ধা থাকে না। পরমাত্মা পড়ান। নিশ্চয় ব্যতীত পড়বে কীভাবে ? পড়তে-পড়তে পুনরায় মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে দেয়, তখন পড়া ছেড়ে দেয় সেইজন্য গাওয়া হয় যে আশ্চর্য হয়ে শোনে, অন্যদেরকে জ্ঞান শোনায়….. তারপর বাবাকে পরিত্যাগ করে দেয়। কিন্তু তবুও ভালবাসা থাকলে তখন বাবার সাথে এসে সাক্ষাৎ করে। ভবিষ্যতে অনুতাপ করবে যে বাবার বাচ্চা হয়ে তারপর বাবাকে ছেড়ে দিয়েছি। মায়ার হয়ে গেলে তখন তাদের সাজাও অনেক হয়ে যায় আর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যায়। কল্প-কল্পান্তরের জন্য আপন রাজ্য ভাগ্য হারিয়ে ফেলবে। সাজা ভোগ করে প্রজা পদ প্রাপ্ত করলে তাতে লাভ কি! বাবার সম্মুখে এসে অনেকেই শোনে – পুনরায় জটিল কাজ-কর্মে ব্যস্ত হয়ে ভুলে যায়। প্রথম সারির (নম্বরের)পাপ হলো কাম-কাটারী চালানো সেইজন্য বাবা বলেন, পূতিগন্ধময় কখনও হয়ো না। বাবা এসে সকলের বস্ত্র পরিষ্কার করে থাকেন। বাবাই সকল পতিতদের পবিত্র করে দেবেন। সত্যযুগে কোনো পতিত থাকবে না। তোমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে বিশ্বের মালিক হয়ে যাবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এখন রাবণের মত ত্যাগ করে শ্রীমতে চলতে হবে এবং আর সব সঙ্গ পরিত্যাগ করে একমাত্র বাবার সঙ্গেই জুড়ে থাকতে হবে।

২ ) নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে পড়াশোনা অবশ্যই করতে হবে। কোনো বিঘ্নতেই বাবার সঙ্গ ত্যাগ করবে না। যোগের দ্বারা সুস্বাস্থ্য এবং পড়ার মাধ্যমে রাজত্ব প্রাপ্ত করতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন হাঁস সর্বদা জলে সাঁতারও কাটে আবার উড়ন্তও হয়ে থাকে তেমনই তোমরা প্রকৃত হোলি-হংস বাচ্চারাও উড়তে এবং সাঁতার কাটতেও জানো। জ্ঞানকে মনন করা অর্থাৎ জ্ঞান-অমৃত বা জ্ঞান-জলে সাঁতার কাটা আর উড়তে থাকা অর্থাৎ উচ্চ স্থিতিতে অবস্থান করা। এ’রকম জ্ঞান মনন করা অথবা উচ্চ স্থিতিতে অবস্থানকারী হোলি-হংস কখনও হৃদয় কখনো মুষড়ে পড়তে বা নিরাশ হতে পারে না। সে অতীতে বিন্দু লাগিয়ে কখন, কেন-র জাল থেকে মুক্ত হয়ে উড়ে যেতে এবং উড়ে নিয়ে যেতে থাকে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top