21 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
20 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - দেবতাদের থেকেও উচ্চ হলো তোমাদের এই ব্রাহ্মণ জীবন, কেননা এই সময় তোমরা তিন লোক আর তিন কালকে জানতে পারো, তোমরা হলে ঈশ্বরীয় সন্তান"
প্রশ্নঃ --
বাচ্চারা, তোমরা এখন কোন্ উচ্চ চড়াই চড়ো ?
উত্তরঃ -:-
মনুষ্য থেকে দেবতা হওয়া, এ হলো উচ্চ চড়াই, যে উত্তরণের পথে তোমরা চলেছো । এমন বলাও হয়ে থাকে যে — ‘চড়লে চেখে দেখবে প্রেম রস……’ এ হলো অনেক লম্বা উত্তরণ, কিন্তু আশ্চর্যের কথা হলো, তোমরা উত্তরণ করো এক সেকেন্ডে, আর নামতে সময় লাগে ।
প্রশ্নঃ --
পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে ভেঙ্গে গেলেই জয়জয়াকার হয়, ভক্তিমার্গে এর কী নিদর্শন রয়েছে ?
উত্তরঃ -:-
ভক্তিমার্গে দেখানো হয় যে, ঘড়া থেকে সীতার জন্ম হয়েছিলো, অর্থাৎ যখন পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়ে ভেঙ্গে যায়, তখনই সীতা আর রাধার জন্ম হয় ।
গান:-
এই পাপের দুনিয়ার থেকে….
ওম শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা ভক্তিমার্গের এই গীত শুনেছে । মানুষ ডাকতে থাকে যে — এই পতিত দুনিয়ার থেকে পাবন দুনিয়াতে নিয়ে চলো । অশান্তির দুনিয়া থেকে শান্তির দুনিয়ায় নিয়ে চলো । বুদ্ধিতে থাকে যে, অন্য কোনো দুনিয়া আছে, যেখানে শান্তিও ছিলো, আবার সুখও ছিলো । সেখানে মহারাজা – মহারানী, লক্ষ্মী – নারায়ণের রাজ্য ছিলো, যার চিত্রও এখানে আছে । মানুষ যে হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি পড়ে, সে তো কোয়ার্টার দুনিয়ার । অর্ধেক কল্পেরও নেই তাতে । সত্যযুগ আর ত্রেতার কথা তো কেউই জানে না । মানুষের তো চোখই বন্ধ । মানুষ যেন অন্ধ । এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি কেউই জানে না । এই ওয়ার্ল্ড কতো বড় । কখন নতুন ওয়ার্ল্ড শুরু হয়েছে, তারপর তা আবার পুরানো হয়, আবার পুরানো থেকে কবে নতুন হয়, এসব কথা তোমরা বাচ্চারাই জানো । তৈরী তো অবশ্যই হবে, তাই না । গোল্ডেন, সিলভার, কপার, আয়রনে আসতেই হবে । কলিযুগের পরে সত্যযুগ আবারও অবশ্যই হবে । সঙ্গম যুগে সত্যযুগ স্থাপনকারী আসবেন । একথা বোঝার জন্য অনেক সূক্ষ্ম বুদ্ধির প্রয়োজন । কলিযুগকে সত্যযুগ তৈরী করেন বাবা-ই । এতো সহজ কথাও কারোর বুদ্ধিতে আসে না, কেননা বুদ্ধিতে মায়ার তালা লেগে গিয়েছে । মানুষ পরমপিতা পরমাত্মার মহিমাও করে – হে পরমপিতা পরমাত্মা, তুমিই বুদ্ধিমানের বুদ্ধি । আর সকলেই আসুরী মত প্রদানকারী, শ্রেষ্ঠ মত একমাত্র বাবা-ই প্রদান করেন । মানুষ মহিমা করে থাকে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না ।
বাচ্চারা, তোমরা এখন তিন লোকের জ্ঞান পেয়েছো । এমন নয় যে, তোমাদের কেবল এই জগতের জ্ঞান আছে, তোমরা এখন অসীম জগৎকেও জানো । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন মূলবতন, সূক্ষ্মবতন এবং স্থূলবতন, এই তিন লোকের জ্ঞান আছে । যারা খুব ভালোভাবে পড়ে, তাদের বুদ্ধিতেই এই জ্ঞান থাকে । তোমরা যখন স্কুলে পড়াশোনা করো, তখন সেই পড়া তো সম্পূর্ণভাবে বুদ্ধিতে থাকা চাই । এই তিন কালের জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতেই আছে । তোমরা ত্রিকালদর্শী হও । তোমাদের ত্রিলোকীনাথ বলা হবে না । ত্রিলোকীনাথ কেউ হয় না । ত্রিকালদর্শী শব্দটা সঠিক । তিন লোক আর তিন কালকে তোমরাই জানো । বরাবর আমরা মূলবতনে থাকতাম । আমরা আত্মারা ওখানে নিবাস করি । এই জ্ঞান আর কারোর বুদ্ধিতেই নেই । একথা তোমরা জানো যে, পরমপিতা পরমাত্মা হলেন ত্রিকালদর্শী । তিনি আদি – মধ্য এবং অন্তকে, আর ত্রিলোককে জানেন । লক্ষ্মী – নারায়ণকে বৈকুণ্ঠনাথ বলা যেতে পারে, কিন্তু ত্রিলোকীনাথ নয় । তাঁরা হেভেন বা স্বর্গের মালিক । বাবাকে স্বর্গ বা প্যারাডাইসের মালিক বলা হবে না । তাই এও হলো বোঝার মতো কথা । পরমাত্মার মতো কোনো মানুষ হতে পারে না । এমন বলাও হয় যে, পরমাত্মা জানিজাননহার অরিসর্বজ্ঞ । তিনি নলেজফুল, কিন্তু অর্থ কিছুই জানে না । মানুষ মনে করে, তিনি জানিজাননহার, তাই মানুষের মনের কথা জানতে পারবেন । সর্বব্যাপী বলেও মানুষ তাঁর গ্লানি করে দেয় ।
তোমরা তো এখন ঈশ্বরীয় বংশাবলী, এরপর দৈবী বংশাবলী হবে । ঈশ্বর বড়, নাকি সত্যযুগের দেবতারা বড় ? ওই দেবতাদের থেকে বড় হলো সূক্ষ্মবতনবাসী দেবতা । সূক্ষ্মবতনবাসী ব্রহ্মাকে তো বড় বলা হবে, তাই না ! তিনি হলেন-ই অব্যক্ত । ইনি তো ব্যক্ত, তাই না । ইনি যখন পাবন – ফরিস্তা হন, তখনই মহিমা । ব্রাহ্মণদের যদি এখন অলংকার দেওয়া হয়, তাহলে সেই অস্ত্রশস্ত্র এখন শোভা দেবে না । তাই বিষ্ণুকে স্বদর্শন চক্রধারী দেখানো হয় । শঙ্খ, চক্র, গদা, পদ্ম – এর অর্থও তোমরা এখন জেনে গেছো । সত্যযুগে লক্ষ্মী – নারায়ণকে তো আর অস্ত্রশস্ত্র দেবে না । এ হলো এখনকার কথা । বাস্তবে এ হলো জ্ঞানের অস্ত্রশস্ত্র । এখানে স্থূল হাতিয়ারের কোনো কথা নেই । শাস্ত্রতে তো স্থূল হাতিয়ার ইত্যাদি দেখানো হয়েছে । পাণ্ডব আর কৌরবদের দেখানো হয়েছে, কিন্তু ওখানে নারীদেরকে দেখানো হয়নি । পাণ্ডব সেনাতে পুরুষ দেখানো হয়েছে, বাকি শক্তি সেনারা কোথায় গেলো ? এ হলো গুপ্ত । কেউই জানে না যে, এই শিব শক্তিরা কোথায় গেলো । এদের বৃত্তান্ত কিছুই দেখানো হয় না । শক্তিরা কিভাবে লড়াই করেছিলো । সেনা তো দেখানো হয়, তাই না । কেউই বুঝতে পারে নি, যে যা কিছুই বলেছে, সে সব লিখে দিয়েছে । যথার্থ ভাবে তোমরাই এখন জানো । আমরা সবাই হলাম অভিনেতা । প্রত্যেক আত্মাই তার নিজস্ব পার্ট পেয়েছে । বাবা, যাঁকে ক্রিয়েটর, ডায়রেক্টর এবং মুখ্য এক্টর বলা হয়, তাঁর কাছ থেকেই তোমরা সমস্ত ড্রামার রহস্য জানতে পারো । এখানে চার যুগ আছে, অথবা চার ভাগ আছে, যাকে যুগ বলা হয় । বাস্তবে হলো পাঁচ, পাঁচ নম্বর হলো এই কল্যাণকারী যুগ । সত্যযুগ আর ত্রেতার সঙ্গমকে কল্যাণকারী বলা হবে না, কেননা তখন অবতরণের কলা হতে থাকে । সতোপ্রধান, সতঃ, রজঃ, তমঃ – এই হলো সিঁড়ি । তাই এই সিঁড়ি দিয়ে নামতেই হয় । জ্ঞানে তোমরা একবারই লাফ দাও, তারপর উপরে চড়ে যাওয়া সিঁড়ি দিয়ে আবার নামতে থাকো । সিঁড়ি দিয়ে নামা খুবই সহজ হয়ে যায় । চড়া খুবই মুশকিল হয় । তোমরা কতো পরিশ্রম করো মনুষ্য থেকে দেবতা হওয়া, এ তো উঁচু সিঁড়ি, তাই না । এমন তো বলা হয় যে – চড়লে প্রেম রস চাখবে…। তোমরা জানো যে, এখন আমরা উত্তরণের কলাতে আছি এরপর যখন নেমে যাও, তখন চুরমার হয়ে যাও । কতো সময় লাগে । এ অনেক লম্বা আরোহণ । তোমরা জানো যে, এখন আমরা আরোহণ করছি, এরপর নামতে থাকবো । এই আরোহণ করতে এক সেকেন্ড সময় লাগে, পরের দিকে যারা আসবে তারা এক সেকেন্ডে চড়তে পারবে । অবলা মাতাদের উপর কতো অত্যাচার হয় । বাচ্চারা ডাকতে থাকে — বাবা, নগ্ন হওয়া থেকে রক্ষা করো । অনেক বাচ্চা আছে । অবলাদের উপর অনেক অত্যাচার হয়, মারধোর করে, তখন তাদের পাপের ঘড়া পূর্ণ হয়, পূর্ণ হয়ে তা ফেটে যায় । এমন দেখানো হয় তো, ঘড়া থেকে সীতা নির্গত হয়েছিলো । এখন তোমরা বাচ্চারা প্রকৃত সীতা রূপে বের হচ্ছো । রাধাও যেমন নির্গত হয়েছিলো, সীতাও তেমন নির্গত হয়েছিলো । রঘুপতি রাঘব রাজা রাম এই গানে সীতার নাম দিয়ে দিয়েছে । জগদম্বা – জগৎ পিতাই আবার রাজ – রাজেশ্বর, রাজ – রাজেশ্বরী হন । এনারা লক্ষ্মী – নারায়ণ ছিলেন, তারপর অন্তিমে দেখো কি হয়ে যান । সত্যযুগে এতো ৩৩ কোটি মানুষ ছিলো না । ওখানে তো খুব অল্পসংখ্যক থাকে । পরে বৃদ্ধি পায় । দৈবী সম্প্রদায়ই পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে করতে আবার আসুরী সম্প্রদায় হয়ে যায় । এখন বাবা আবার আসুরী সম্প্রদায়কে দৈবী সম্প্রদায় তৈরী করছেন । তিনি কল্পে – কল্পে তৈরী করেন । তোমাদের বুদ্ধিতে এখন সম্পূর্ণ জ্ঞান এসে গেছে । তোমরাই ত্রিকালদর্শী হও । তোমরা তিন লোকের নলেজও প্রাপ্ত করেছো । তোমরা বলবে, আমরাই পূজ্য বৈকুণ্ঠ নাথ ছিলাম, এখন পূজারী নরকের নাথ হয়ে গেছি । ‘আমিই সেই’ – এই নামের যথার্থ অর্থ না জানার কারণেই ‘আত্মাই পরমাত্মা’ এমন বলে দেয় । কতো তফাৎ করে দিয়েছে । তোমাদের এখন বোঝানো হয়েছে, এ হলো ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি । তোমরা অসীম জগতের এই চক্রকেও জেনে গেছো । তিন লোক, তিন কালকেও তোমরাই জানো ।
বাবা এই গুপ্ত বিষয় পড়ান । কেউই জানে না — গীতাতে এমন কথাই নেই । এই জ্ঞান যাঁর কাছে আছে, তিনিই শেখাবেন । আবার নিজের পার্ট সেই একই সময় রিপিট করবেন । ক্রাইস্টও নিজের পার্ট নিজের সময়েই রিপিট করবেন । তোমরা জানো যে, আমরাই সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী, বৈশ্য এবং শূদ্রবংশী হই । এই চক্র ঘুরতে থাকে । ইসলামীরা, বৌদ্ধরাও তাদের পার্ট রিপিট করবে । যখন এক দেবী – দেবতা ধর্ম থাকে, তখন অন্য সব ধর্ম থাকে না । ওয়ার্ল্ড তো একটাই । বাবা রচয়িতা আর রচনার রহস্য বুঝিয়ে বলেছেন, এই জগতের প্রত্যেক মানুষই ব্রহ্মা । বাচ্চাদের জন্ম দেয় এবং তাদের পালনা করে । রচনা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করে তার রচয়িতা বাবার থেকে । ভাই, ভাইকে উত্তরাধিকার দেয়, এমন কথা কবে শুনেছো ? বাচ্চারা জানে যে, এক তো হলো জাগতিক পিতা, এ তো সবাই জানে । জাগতিক পিতার কাছ থেকে এই জগতের উত্তরাধিকার পাওয়া যায় । লৌকিক টিচারও শিক্ষা দেয়, তার পড়ানোতে কেউই সম্পূর্ণ সৃষ্টির মালিক হয় না, এ হলো অসীম জগতের কথা । জগতের সবাই ওই অসীম জগতের বাবাকে স্মরণ করে । তাঁকে বলা-ই হয় বাবা, শিব বাবা । রচয়িতাকে তো বাবা বলা হবে, তাই না । কেবল বাবা হলো হালকা নাম, তাই শিব বাবা বলা হয় । তিনি হলেন নিরাকার । তোমাদের জিজ্ঞেস করা হয় – শিব বাবার সঙ্গে তোমাদের কি সম্বন্ধ ? মানুষ বলে থাকে – শিব বাবা, ঝুলি ভরে দাও । বাবার শিব নাম হলো যথার্থ । শঙ্করের চিত্র আলাদা । শিব আর শঙ্কর, এদের দুজনকে মিলিয়ে শিব – শঙ্কর বলা, এ তো অনেক বড় ভুল । মানুষ উঁচুর থেকেও উঁচু বাবাকে ভুলে গিয়েছে । শিব খুবই সুন্দর । ব্রহ্মার দ্বারা এখন স্থাপনা হচ্ছে । জ্ঞানও এখনই প্রাপ্ত হবে । তোমরা এখনই ব্রাহ্মণ হয়েছো । ব্রাহ্মণ কোথা থেকে এসেছে ? আমিই তাদের দত্তক নিই । ব্রহ্মাকেও আমি দত্তক নিয়েছি । ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণদের জন্ম হয়েছে । তোমরা জানো যে, এখন আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মাকুমার – ব্রহ্মাকুমারী । প্রজাপিতা অক্ষর অবশ্যই দিতে হবে । কেবল ব্রহ্মা বললে হবে না, ব্রহ্মা নাম তো অনেকেরই আছে । প্রজাপিতা ব্রহ্মা নাম তো কারোরই হবে না । ইনি তো মনুষ্য, তাই না । রুদ্র শিব বাবা এই যজ্ঞের রচনা করেছেন । তাহলে অবশ্যই ব্রাহ্মণের প্রয়োজন । তোমরা জানো যে, কিভাবে ব্রাহ্মণ হয় । ব্রাহ্মণদের দ্বারাই যজ্ঞ রচনা করা হয় । তোমরা ব্রাহ্মণ, এরপর তোমাদের দেবতা হতে হবে । এই সৃষ্টিতেই আবার আসতে হবে, তাহলে এরা সবাই কোথায় যাবে ? এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে সবাই স্বাহা হয়ে যায় । এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞে পুরানো দুনিয়ার আহুতি হয়ে যায় । এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ থেকেই বিনাশ জ্বালা প্রজ্জ্বলিত হয়েছে । শঙ্করের দ্বারা বিনাশ, এমন গায়ন আছে । তোমরা এর নমুনাও বরাবর দেখতে পাও । এ হলো হুবহু সেই সময় । গায়ন আছে যে, ইউরোপবাসী যাদব, কৌরব আর পাণ্ডব । ভারতবাসী তার নিজের ধর্মকেই ভুলে গেছে । চিত্রও আছে, কিন্তু কেউই জানে না । দেবী – দেবতাদের রাজ্য ছিলো, কিন্তু সেই রাজ্যকে এমন রাজ্য কে করে দিলো ? দেবী – দেবতা ধর্মের স্থাপনা কিভাবে হলো ? একথা কিছুই জানে না । যে ধর্ম স্থাপন করে, সেই বুঝিয়ে বলে । আর কেউই এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি বুঝিয়ে বলতে পারবে না । তিন লোকের জ্ঞানও কেউ দিতে পারবে না । তোমরা সকলের পার্টকেই বুঝে গেছো । এরা সবাই আবার নিজের সময়ে অভিনয় করতে আসবে । ভবিষ্যতে তোমাদের মহিমাও বৃদ্ধি পেতে থাকবে । এই বৃদ্ধিও শীঘ্রই হবে । কতো বড় বাড়ি তৈরী করতে হবে । এও ড্রামাতেই আছে । তোমরা বুঝতে পারো যে, কতো বাচ্চা আসবে । বৃদ্ধি তো পেতেই থাকবে । এরা আসবেও শিক্ষা গ্রহণ করার জন্য । বাকি তো এমনিতেই অনেকে ঘুরতে আসে ।মনে করো যদি কোনো এডুকেশন মিনিস্টার আসে, তাকেও এই জ্ঞান বোঝাতে হবে । আমাদের হলো এই ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি । সম্পূর্ণ কল্পের চক্রকে কেউই জানে না । তোমরা এখন জ্ঞানের সাগরের দ্বারা মাস্টার জ্ঞান সাগর হয়েছো । আচ্ছা !
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) অসীম জগতের এই হিস্ট্রি – জিওগ্রাফি পড়তে এবং পড়াতে হবে । সর্ব অলংকার ধারণ করার জন্য পবিত্র ফরিস্তা হতে হবে ।
২ ) বুদ্ধিমানের বুদ্ধি হলেন এক বাবা, তাঁর শ্রীমতে চলেই বুদ্ধিমান হতে হবে । এই ব্রাহ্মণ জীবন হলো অমূল্য – এই নেশাতেই থাকতে হবে ।
বরদানঃ-
ব্রাহ্মণ হওয়ার কারণে সকলের মধ্যেই রং এসে গেছে আর রূপও পরিবর্তন হয়ে গেছে, কিন্তু সুগন্ধ নম্বরের ক্রমানুসারে আছে । আকর্ষণমূর্তি হওয়ার জন্য রং আর রূপের সাথে সাথে সম্পূর্ণ পবিত্রতার সুগন্ধ প্রয়োজন । পবিত্রতা অর্থাৎ কেবল ব্রহ্মচারী নয়, কিন্তু দেহের আকর্ষণ থেকেও মুক্ত । মন বাবা ছাড়া অন্য কারোর প্রতি আকর্ষণে যেন না যায় । তন থেকেও ব্রহ্মচারী, সম্বন্ধতেও ব্রহ্মচারী আর সংস্কারেও ব্রহ্মচারী – এমন সুগন্ধ যুক্ত আধ্যাত্মিক গোলাপই আকর্ষণমূর্তি হয় ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!