21 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
21 June 2021 Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
20 June 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা -- পবিত্র হওয়ার একমাত্র উপায় হলো -- বাবাকে স্মরণ করা, অন্তিম সময়ে স্মরণই কাজে আসবে"
প্রশ্নঃ --
সঙ্গমে কোন্ তিলক লাগালে তবেই স্বর্গের রাজত্বের তিলক প্রাপ্ত হবে ?
উত্তরঃ -:-
সঙ্গমে এই তিলক পড়ো যে আমরা বিন্দু, আমরা শরীর নই। অন্তরে এই মননই করতে থাকো যে আমরা আত্মা, আমাদের বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। বাবাও বিন্দু, আমরাও বিন্দু। এই তিলকের দ্বারা স্বর্গের রাজত্বের তিলক প্রাপ্ত হবে। বাবা বলেন, আমি গ্যারান্টি করছি — তোমরা স্মরণ করো তবেই অর্ধেককল্পের জন্য ক্রন্দন মুক্ত হয়ে যাবে।
ওম্ শান্তি । এই চিন্তা থাকা উচিত যে আত্মা-রূপী আমায় অবশ্যই বাবাকে স্মরণ করতে হবে তবেই পবিত্র হতে পারব। যা কিছু পরিশ্রম তা হলো এই, যে পরিশ্রম বাচ্চাদের কাছ থেকে পৌঁছয় না। মায়া অত্যন্ত বিরক্ত করে। অদ্বিতীয় পিতার স্মরণ ভুলিয়ে দেয়, অন্যান্যদের স্মৃতি চলে আসে। বাবা অথবা প্রিয়তমকে স্মরণ করে না। এমন প্রিয়তমের জন্য তো কমপক্ষে ৮ ঘন্টা সার্ভিস দিতে হবে অর্থাৎ প্রিয়তমকে সহায়তা প্রদান করতে হবে — স্মরণ করার। অথবা বাচ্চাদের বাবাকে স্মরণ করা উচিত — এ হলো অত্যন্ত কঠিন পরিশ্রম। গীতাতেও রয়েছে মন্মনাভব । বাবাকে স্মরণ করতে থাকো। উঠতে-বসতে, চলতে-ফিরতে একমাত্র বাবাকেই স্মরণ করতে থাকো আর কিছু নয়। ভবিষ্যতে এই স্মরণই কাজে আসবে। নিজেকে অশরীরী আত্মা মনে করো, এখন আমাদের ঘরে ফিরে যেতে হবে। এই পরিশ্রম অধিকমাত্রায় করতে হবে। সকালে স্নানাদি সেরে নিভৃতে উপরে ছাদে বসে বা হলঘরে এসে বসে পড়ো। যত একান্ত হবে ততই ভাল। সর্বদা এই চিন্তনই করো যে আমাদের বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবার থেকে সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। এই পরিশ্রম প্রতি ৫ হাজার বছর পর তোমাদের করতে হয়। সত্যযুগ, ত্রেতা, দ্বাপর, কলিযুগ — কোথাও তোমাদের এই পরিশ্রম করতে হবে না। এই সঙ্গমেই বাবা তোমাদের বলেন যে আমায় স্মরণ করো, ব্যস্। এ’টাই সময় যখন বাবা বলেন — আমায় স্মরণ করো। বাবা আসেনও সঙ্গমে আর কখনও বাবা আসেনই না। তোমরাও পুরুষার্থের নম্বরের অনুক্রমে জানতে পারো। অনেক বাচ্চারা বাবাকে ভুলে যায় সে’জন্য অনেক প্রতারিত হয়ে থাকে, রাবণ অতি প্রবঞ্চক। এই(রাবণ) হলো অর্ধেককল্পের শত্রু সে’জন্য বাবা বলেন, প্রত্যহ সকালে উঠে এইভাবে বিচারসাগর মন্থন করো আর এই চার্টই রাখো — কতটা সময় পর্যন্ত আমরা বাবাকে স্মরণ করেছি ! কতখানি মরচে নিষ্কাশিত হয়েছে ! স্মরণই হলো সবকিছুর আধার। সম্পূর্ণমাত্রায় বাচ্চাদের প্রচেষ্টা করতে হবে, নিজেদের সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য। নর থেকে নারায়ণ হতে হবে। এ হলো সত্যিকারের সত্যনারায়ণের কথা। ভক্তরা পূর্ণিমার দিন সত্যনারায়ণের কথা পাঠ করে। এখন তোমরা জানো যে ১৬ কলা-সম্পূর্ণ হতে হবে। তা হবে সত্য-স্বরূপ বাবাকে স্মরণ করলে। বাবা হলেন শ্রীমত প্রদানকারী। বাবা বলেন, গৃহস্থী জীবনে থাকো, কাজ-কর্মাদি যাকিছু করো, বাবাকে স্মরণ অবশ্যই করতে হবে আর পবিত্র হতে হবে। ব্যস। স্মরণ না করলে কোথাও না কোথাও রাবণের থেকে প্রতারিত হতে হবে, সেইজন্য বোঝান হয় স্মরণই হলো মুখ্য কথা (বিষয়)। শিববাবাকে স্মরণ করতে হবে। দেহ-সহ দেহের যেসকল সম্বন্ধ রয়েছে তা ভুলে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করতে হবে। বাবা বারংবার বোঝান — নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। তা নাহলে অন্তিমে আবার অধিকমাত্রায় পশ্চাতাপ করতে হবে। ভীষণভাবে প্রতারিত হবে। সজোরে এমন কোনো থাপ্পড় লাগবে যে মায়া সম্পূর্ণরূপে মুখ কালো করে দেবে। বাবা এসেছেন মুখ সুন্দর (ফর্সা) করে দিতে। এইসময় সকলেই একে-অপরের মুখ কালো করে দিতে থাকে। ফর্সা অর্থাৎ সুন্দর করে দেন একমাত্র বাবা, যাঁকে স্মরণের মাধ্যমে তোমরা সুন্দর, স্বর্গের মালিক হয়ে যাবে। এ হলোই অপবিত্র দুনিয়া। বাবা আসেনই পতিতদের পবিত্র করতে। এছাড়া তোমাদের কাজ-কর্মাদির (ধান্ধা-ধরি, বৈষয়িক কাজকর্ম) সঙ্গে বাবার কোনো সম্বন্ধ নেই। শরীর নির্বাহের জন্য যা করতে হবে তা করো। বাবা কেবল বলেন — মনমনাভব। তোমরা বলেও থাকো যে আমরা কিভাবে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হবো। বাবা বলেন — কেবল আমায় স্মরণ করো। পবিত্র হওয়ার আর কোনো উপায় নেই। যতই দান-পুণ্যাদি করো, যতই পরিশ্রম করো। চাইলে আগুনের উপর দিয়ে হাটতে পারো, কোনো কিছুই কাজে আসবে না — অদ্বিতীয় পিতার স্মরণ ব্যতীত। অত্যন্ত সহজ কথা, একে বলা হয় সহজযোগ। নিজেকে জিজ্ঞাসা করো যে আমরা সারাদিনে আমাদের মিষ্টি-মিষ্টি বাবাকে কতখানি সময় স্মরণ করি ! নিদ্রাকালে কোনো পাপ হয় না। অশরীরী হয়ে যায়। বাকি দিনে অনেক পাপ হতে থাকে আর পুরোনো পাপও অনেক রয়েছে। স্মরণের জন্য পরিশ্রম করতে হবে। এখানে এলে এই পরিশ্রম করতে হবে। বাইরের ব্যর্থ সঙ্কল্পকে উড়িয়ে দাও। তা নাহলে বায়ুমন্ডল অত্যন্ত খারাপ করে দেয়। ঘরের, কৃষিকার্যের চিন্তা চলতে থাকে। কখনো বাচ্চারা স্মরণে আসবে, কখনো গুরু স্মরণে আসবে। সঙ্কল্প চলতে থাকলে তখন বায়ুমন্ডলকে খারাপ করে দেবে। যারা পরিশ্রম করে না তারা বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এ অতি সূক্ষ্ম কথা। তোমরাও এখন জেনেছো — পুনরায় কখনো জানতে পারবে না। বাবা এখনই উত্তরাধিকার প্রদান করেন তারপর অর্ধেক কল্পের জন্য নিশ্চিন্ত হয়ে যান। লৌকিক বাবার চিন্তা আর অসীম জগতের বাবার চিন্তনের মধ্যে কত অন্তর। বাবা বলেন যে ভক্তিমার্গে আমার কত চিন্তা থাকে। ভক্তরা প্রতিমুহূর্তে কত স্মরণ করে। সত্যযুগে কেউই স্মরণ করে না। বাবা বলেন — তোমাদের এত সুখ প্রদান করি যে ওখানে আমায় স্মরণ করার প্রয়োজনই পড়বে না। আমি জানি, আমার বাচ্চারা সুখধাম, শান্তিধামে বসে রয়েছে। অন্য কোনো মানুষ এ’কথা বুঝতে পারে না। এরকম বাবার প্রতি নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন হওয়ার সময় মায়া বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বাবা বলেন, কেবল আমায় স্মরণ করো তাহলেই তোমাদের মধ্যে যে অ্যালয় (খাদ) পড়ে গেছে, রূপো, তামা, লোহার…… তা নিষ্কাশিত হয়ে যাবে। গোল্ডেন এজ থেকে সিলভার এজে আসতেও দুইকলা কম হয়ে যায়। এইকথা তোমরা শোনো এবং বোঝ। যারা সত্যিকারের ব্রাহ্মণ হবে তাদের বুদ্ধিতে সঠিকভাবে বসবে, তা নাহলে বসবে না। স্মরণে থাকতে পারবে না। বাবার স্মরণই সর্বকিছুর আধার। বার-বার বলেন, বাচ্চারা বাবাকে স্মরণ করো। এই বাবাও বলবেন যে শিববাবাকে স্মরণ করো। স্বয়ং শিববাবাও বলেন, আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। আত্মাদের বলেন — হে বাচ্চারা। সেই নিরাকার পরমাত্মাই আত্মাদের বলবে। মূলকথাই হলো এই। কেউ এলে তখন তাকে সর্বপ্রথমে বলো যে অল্ফকে স্মরণ করো আর অন্য কোনো কিছুতে যাওয়ার প্রয়োজনই নেই । কেবল বলো — নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করো। অন্তরে এই মনন-চিন্তনই করতে হবে। আমরা আত্মা, গানও তো করা হয়, তাই না ! তুলসীদাস চন্দন ঘষে, তিলক দেয় রঘুবীর….. তিলক কোনো স্থূল(বস্তু) নাকি, না তা নয়। তোমরা বোঝ যে, তিলক বাস্তবে এইসময়ের স্মৃতি-চিহ্ন। তোমরা স্মরণ করতে থাকো অর্থাৎ রাজ্যাভিষেকের তিলক পড়ো। তোমরা রাজত্বের তিলক পাবে, দ্বিমুকুটধারী হবে। রাজত্বের তিলক প্রাপ্ত করবে অর্থাৎ স্বর্গের মহারাজা-মহারানী হবে। কত সহজ কথা বলেন। ব্যস, শুধু এ’কথা স্মরণ করো — আমরা আত্মা, শরীর নই। আমাদের বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে হবে। তোমরা জানো যে, আমরা আত্মারা হলাম বিন্দু-সদৃশ, বাবাও বিন্দু। বাবা জ্ঞানের সাগর, সুখের সাগর। তিনি আমাদের বরদান প্রদান করেন। এঁনার পাশে এসে বসেন। গুরু নিজের শিষ্যকে পাশে বসিয়ে শেখান। ইনিও পাশে বসে রয়েছেন। কেবল বাচ্চাদের বলেন — নিজেকে আত্মা মনে করো, মামেকম্ স্মরণ করো। সত্যযুগেও তোমরা নিজেদের আত্মা মনে করো, কিন্তু বাবাকে চেনো না। আমরা আত্মারা শরীর পরিত্যাগ করি, পুনরায় অন্য নিতে হবে। ড্রামানুসারে তোমাদের ভূমিকাই এরকম, সেইজন্য তোমাদের আয়ু ওখানে দীর্ঘ হয়, পবিত্র থাকো। সত্যযুগে আয়ু দীর্ঘ হয়, কলিযুগে আয়ু ছোট হয়ে যায়। ওখানে যোগী, এখানে ভোগী। যোগী পবিত্র হয়। ওখানে রাবণ রাজ্যই নেই। আয়ু সুদীর্ঘ হয়। এখানে আয়ু কত স্বল্প হয়ে যায়, একেই কর্মভোগ বলা হয়। ওখানে কখনও অকালমৃত্যু হয় না। সে’জন্য বাবা বলেন, বাবাকে যদি চিনে থাকো তবে শ্রীমতানুসারে চলো। অদ্বিতীয় পিতাকেই স্মরণ করো। নিজেকে আত্মা মনে করো। এখন আমাদের যেতে হবে, এই শরীর ত্যাগ করতে হবে। বাকি সময় সেবায় নিয়োজিত করতে হবে। বাচ্চারা, তোমরা অতি দরিদ্র সেইজন্য বাবার করুণা হয়। তোমাদের অর্থাৎ বৃদ্ধা, কুব্জা প্রভৃতিদের কোনো কষ্ট দিই না। বৃদ্ধাদের(নুয়ে পড়া) কুব্জা বলা হয়। বৃদ্ধাদের বোঝান হয় — বাবাকে স্মরণ করো। তোমাদের কেউ যদি জিজ্ঞাসা করে কোথায় যাও ? বলো, গীতা পাঠশালায় যাই। এখানে সেই কৃষ্ণের আত্মা ৮৪ জন্ম নিয়ে এখন বাবার থেকে জ্ঞান প্রাপ্ত করছে। বাচ্চারা প্রদর্শনী ইত্যাদিতে কত খরচ করে, লেখেও অমুকে অত্যন্ত প্রভাবান্বিত হয়েছে। কিন্তু বাবা বলেন, একজনও এরকম লেখে না যে অবশ্যই এইসময় অসীম জগতের পিতা এই ব্রহ্মার শরীরে এসেছেন, ওঁনার কাছ থেকেই স্বর্গের উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। বাবা বুঝতে পেরে যান যে একজনেরও নিশ্চয় হয় নি। শুধুই প্রভাবান্বিত হয়, এই জ্ঞান অতি ভাল। সিড়ি (চিত্র) সঠিকভাবেই দেখানো হয়েছে। কিন্তু স্বয়ং যোগে থেকে তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হবো, তা কিন্তু করে না। কেবল বলে যে — অত্যন্ত ভালভাবে বোঝানো(জ্ঞান দেওয়া) হয়, পরমাত্মার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার। কিন্তু স্বয়ংও পাই, তা নয়। কিছুই পুরুষার্থ করে না, অসংখ্য প্রজা তৈরী হবে। এছাড়া রাজা হবে, তারজন্য পরিশ্রম করতে হবে। প্রত্যেকেই নিজের অন্তর্মনকে প্রশ্ন করো যে আমরা কতখানি সময় বাবাকে স্মরণ করে প্রফুল্লিত হয়ে থাকি ? আমরাই পুনরায় দেবতা হই। এমন-এমনভাবে নিজের সঙ্গে নিভৃতে বসে কথা বলো, প্রচেষ্টা করে দেখো। বাবাকে স্মরণ করতে থাকো তবেই বাবা গ্যারান্টি দেন — তোমরা অর্ধেককল্প পর্যন্ত কখনও ক্রন্দনরত হবে না। এখন তোমরা বলো যে বাবা এসে আমাদের রাবণ মায়ার উপর বিজয়লাভ করান। যে যতখানি পরিশ্রম করে, নিজের জন্যই করে। পুনরায় তোমরা নতুন দুনিয়ায় আসবে। পুরোনো দুনিয়ার হিসেব-নিকেশও চুক্ত করতে হবে, যেহেতু তোমাদের তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে হবে। পবিত্র হওয়ার যুক্তিও বলে দেন। এ হলো বিনাশের সময়, সকলেই বিনাশপ্রাপ্ত হবে। নতুন দুনিয়া স্থাপিত হবে। তোমরা জানো, আমরা মৃত্যুলোকে এই শরীর পরিত্যাগ করে তারপর নতুন দুনিয়া অমরলোকে যাব। আমরা নতুন দুনিয়ার জন্যই পড়াশোনা করি আর এরকম কোনো পাঠশালা নেই, যেখানে ভবিষ্যতের(জন্ম) জন্য পড়াশোনা করানো হয়। হ্যাঁ, যারা প্রচুর দান-পুণ্যাদি করে তখন তারা রাজার কাছে জন্ম নেয়। সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মেছে (গোল্ডেন স্পুন ইন মাউথ) বলা হয়। সত্যযুগে তোমরা লাভ কর। কলিযুগেও যারা রাজার কাছে জন্ম নেয় তারাও পায় তবুও এখানে তো অনেকপ্রকারের দুঃখ থাকে। ভবিষ্য ২১ জন্মের জন্য তোমাদের কোন দুঃখ থাকবে না। কখনো রোগ হবে না, গোল্ডেন স্পুন ইন স্বর্গ। এখানে হলো অল্পসময়ের রাজত্ব। তোমাদের হলো ২১ জন্মের জন্য। বুদ্ধির দ্বারা ভালভাবে কার্য সম্পন্ন করিয়ে নিতে হবে, পরে বোঝাতে হবে। এমনও নয় যে ভক্তিমার্গে রাজা হতে পারবে না। কেউ কলেজ অথবা হসপিটাল নির্মাণ করলে তারাও ফল প্রাপ্ত করে। হসপিটাল নির্মাণ করলে পরজন্মে স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। বলেও তো, তাই না যে — এর সারা জীবনে জ্বর পর্যন্ত আসে নি। আয়ু সুদীর্ঘ হয়। অনেক দানাদি করেছে, হসপিটাল ইত্যাদি নির্মাণ করেছে সেইজন্য আয়ু বৃদ্ধি পায়। এখানে যোগের দ্বারা তোমরা এভার-হেল্দী-ওয়েল্দী হয়ে যাও। যোগের মাধ্যমে ২১ জন্মের জন্য সুস্বাস্থ্য লাভ কর। এ হলো অতি বৃহৎ হসপিটাল, বড় কলেজ। বাবা প্রতিটি কথা অত্যন্ত ভালভাবে বোঝান। বাবা বলেন — যে যেখানে আনন্দ পাবে, যেখানে হৃদয় আকর্ষিত হবে, সেখানে গিয়ে অধ্যয়ন করতে পারে। এমন নয় যে আমাদের সেন্টারেই আসুক, ওদের কাছে কেন যায়। না, যার যেখানে ইচ্ছা সেখানে যাক। কথা তো একই। মুরলী তো পড়ে শোনায়। সেই মুরলী এখান থেকে যায় তারপর কেউ বিস্তারিতভাবে ভাল করে বোঝায়, কেউ কেবল পড়ে শোনায়। যারা ভাষণ দেয় তারা ভাল চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পারে। কোথাও ভাষণ হলে — সর্বপ্রথমে বলো যে শিববাবা বলেন, নিজেকে আত্মা মনে করে আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ কর তবেই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে এবং পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে যাবে। কত সহজভাবে বোঝান। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন স্মরণ-ভালবাসা আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) বহির্জগতের ব্যর্থ চিন্তন পরিত্যাগ করে নিভৃতে বসে স্মরণের শ্রম করতে হবে। প্রত্যুষে উঠে বিচার-সাগর মন্থন করতে হবে এবং নিজের চার্ট রাখতে হবে।
২ ) যেমন ভক্তিতে দান-পুণ্যের মাহাত্ম্য রয়েছে, তেমনই জ্ঞানমার্গে স্মরণের মাহাত্ম্য রয়েছে। স্মরণের মাধ্যমে আত্মাকে এভার-হেল্দী এবং ওয়েল্দী করতে হবে। অশরীরী হয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে।
বরদানঃ-
যারা বাণীর মাধ্যমে জ্ঞান-রত্ন প্রদান করে তাদের মাস্টার নলেজফুলের বরদান প্রাপ্ত হয়। তাদের এক-একটি শব্দের মূল্য অত্যধিক। তাদের এক-একটি কথা শোনার জন্য অনেক আত্মারা পিপাসার্ত হয়ে থাকে। তাদের প্রতিটি শব্দ সারতত্ব-সম্পন্ন হয়। তারা বিশেষ খুশী প্রাপ্ত করে। তাদের ভান্ডার (খাজানা) ভরপুর থাকে, সেইজন্য তারা সদা সন্তুষ্ট এবং প্রফুল্লিত থাকে। তাদের কথা প্রভাব বিস্তার করে থাকে। বাণীর দান করলে বাণী অত্যন্ত গুণসম্পন্ন হয়ে যায়।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!