21 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 20, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সুবুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে প্রত্যেক কাজ করো, মায়া যাতে কোন পাপ কর্ম না করিয়ে দেয় সে বিষয়ে সাবধান থাকো”

প্রশ্নঃ --

বাবার নাম মহিমান্বিত করার জন্য কোন্ বিষয়ের ধারণা চাই ?

উত্তরঃ -:-

বাবার নাম মহিমান্বিত করার জন্য বিশ্বস্ত, আজ্ঞাকারী হও। সততার সাথে সেবা করো। প্রবাহমান গঙ্গা হয়ে সবাইকে বাবার সন্দেশ দিতে থাকো। নিজের কর্মেন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল রাখো, আশা আকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করে নিয়ম অনুসারে চলো, অলস হয়ে যেও না। প্রথমে নিজের মধ্যে জ্ঞান-যোগের ধারণা হলে তবেই বাবার নাম মহিমান্বিত করতে পারবে।

গান:-

আজকের মানুষের কী দশা হয়েছে…

ওম্ শান্তি । এই হল ভারতের আজকের অবস্থা। একটি গানে ভারতের নিম্নমুখী অবস্থা দেখানো হয়েছে। অন্য গানে আবার ভারতের মহিমাও করে। দুনিয়ার মানুষ এই কথাগুলি জানেনা। বাচ্চারা তোমাদের মধ্যে কেউ তো এটা বোঝে যে ভারতই ১০০% সুবুদ্ধিসম্পন্ন ছিল আর এখন ১০০% নির্বোধ হয়ে গেছে। ১০০% বুদ্ধিমান ২৫০০ বছর থাকে, তারপর ধীরে ধীরে সম্পূর্ণ নির্বোধ হয়ে যায়। নির্বোধ হতেও পুরো অর্ধেক কল্প লেগে যায়। সম্পূর্ণ নির্বোধকে পুনরায় এক জন্মে বুদ্ধিমান করেন এক বাবা। কেউ নির্বোধের মত কাজ করলে তো তার অনুতাপ হয়, কৃত পাপ কর্ম স্মরণে আসে। এখন তো বুঝে শুনে কাজ করতে হবে। নির্বোধের মতো কাজ যাতে না হয় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। মায়া এমন ভাবে আক্রমণ করে যেটা বোঝাই যায়না। কাম বিকারেরও সেমি নেশা আসে। বাচ্চারা লেখে যে – বাবা তুফান আসে। কামের তুফানও কম নয়, অনেক প্রকারের নেশা মাথা গরম করে দেয়। দেহের প্রতিও ভালবাসা এমন হয়ে যায়, যেখানে বুদ্ধি চলে যায়। সম্পুর্ণ যোগযুক্ত না থাকার কারণে, স্থিতি কাঁচা হওয়ায় অনেক ক্ষতি হতে থাকে। বাবার কাছে রিপোর্ট তো অনেক আসতে থাকে । তুফানও অনেক শক্তিশালী। লোভও অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত করতে থাকে, যার কারনে শ্রীমতের নিয়মবিরুদ্ধ কাজ করতে থাকে। দুনিয়ায় যেরকম সন্ন্যাসী থাকে, তোমরাও হলে সন্ন্যাসী। তারা হল হঠযোগী, তোমরা হলে রাজযোগী। তাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রম থাকে। কেউ তো নিজের কুটীরে থাকে, সেখানেই তার ভোজন পৌঁছে যায় বা চেয়ে নেয়। বিকারের সন্ন্যাস করলে পবিত্রতা মানুষকে আকর্ষণ করে। তাদের মধ্যেও নম্বরের ক্রম থাকে। এক্ষেত্রেও জ্ঞান-যোগের শক্তি চাই। যত যোগযুক্ত হয়ে থাকবে, ততোই এইসব কথার প্রভাব পড়বে না। যোগ হল সুস্থ থাকার লক্ষণ । যদিও পুরানো বিকর্মের ভোগ তো ভুগতেই হবে তথাপি যোগের উপর আধারিত থাকে। এমন নয় যে অমুক জিনিস চাই… সন্ন্যাসীরা কিছু চায় না। যোগের শক্তি থাকে। তত্ত্বযোগীর মধ্যেও শক্তি থাকে। উলঙ্গ সন্ন্যাসীরা তো মাদক জাতীয় জিনিস (ড্রাগস্‌) নিয়ে নিজেদের কন্ট্রোল করে। সেটা হল কৃত্রিম উপায়।

তোমাদের সব কিছুই নির্ভর করছে যোগের উপর। তোমাদের যোগ বাবার সাথে আছে, তাই এর দ্বারা তোমাদের অনেক শ্রেষ্ঠ পদ প্রাপ্ত হয়। তোমাদের দেবী-দেবতা ধর্মে অত্যন্ত সুখ আছে। তার জন্যই তোমাদের এখন শ্রীমৎ প্রাপ্ত হচ্ছে। কিন্তু তাদের কোনো ঈশ্বরীয় মত প্রাপ্ত হয় না। তোমাদেরকে ঈশ্বর এসে মত প্রদান করছেন। কতো শ্রেষ্ঠ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, ২১ জন্মের জন্য প্রাপ্তি হয়। পরমপিতা পরমাত্মা এসে পড়াচ্ছেন। কিন্তু বাচ্চারা বাবাকেই ভুলে যায়। যদি ভালোভাবে যোগযুক্ত থাকে তাহলে এই লোভ, মোহ ইত্যাদি বিকার ব্যতিব্যস্ত করবেনা। অনেককেই ব্যতিব্যস্ত করতে থাকে – এটা চাই, এটা চাই। পাকাপোক্ত সন্ন্যাসীদের মধ্যে এই সংস্কার থাকেনা। একটা জানলা দিয়ে যা কিছু প্রাপ্ত হয় সেটাই তারা গ্রহণ করে। যার কর্মেন্দ্রিয়ের উপর সম্পূর্ণ কন্ট্রোল থাকে সে অন্য কোনও জিনিস কখনও গ্রহণ করে না। কেউ তো আবার নিয়ে নেয়। এখানেও এইরকম আছে। বাস্তবে ঈশ্বরের ভান্ডার থেকে যা কিছু নিয়ম অনুসারে প্রাপ্ত হয়, সেই অনুসারেই চলা উচিৎ। মানুষের আশা অনেক হয়ে থাকে। আশা পূরণ না হওয়ার কারণে হতাশা এসে যায়। এখানে সবাইকে বিশ্বস্ত আর আজ্ঞাকারী হতে হবে। সমস্ত আশা আকাঙ্ক্ষা গুলিকে নিরসন করে দিতে হবে। বাচ্চারা, তোমাদেরকে অনেক শ্রেষ্ঠাচারী হতে হবে।

বাবা তো নানান রীতিতে পুরুষার্থ করাতে থাকেন যাতে বাচ্চাদের নাম মহিমান্বিত হয়। এক হল যোগে থাকা আর জ্ঞান ধারণ করে অন্যদেরকেও করাতে হবে। গঙ্গাদেরকে প্রবাহমান হতে হবে, বোঝাতে হবে যে সত্যিকারের যোগ কাকে বলা যায়। ভগবান হলেন সকলের বাবা, কৃষ্ণ তো গডফাদার নয়। এখন বাবা বলছেন আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমি তোমাদেরকে শান্তি আর সুখের উত্তরাধিকার দেবো। কত সহজ কথা। কারোর বুদ্ধিতে তীর লাগে না, কেননা তার মধ্যে কিছু না কিছু ঘাটতি আছে। সেবা তো অনেক আছে। শ্মশানে যে’সব মানুষ আসে (দেহ সৎকার করাতে) তাদের হাতে কিছুটা সময় থাকে। বাচ্চারা যদি সুবুদ্ধিসম্পন্ন হয়, সেবার শখ থাকে, কোনও বিকার যদি না থাকে, তাহলে গিয়ে তাদেরকে বোঝাতে পারে। তোমাদেরকে বোঝাতে হবে যে এক বাবাকে স্মরণ করো, যার দ্বারাই ফল অর্থাৎ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হতে পারে। সন্ন্যাসী, হটযোগী, গুরু প্রমুখেরা কি দেয় ? যা কিছু শিক্ষা ইত্যাদি প্রদান করেন তা অল্পকালের সুখের জন্য। বাকিরা তো সবাই দুঃখ-ই দিতে থাকে আর বাবা তো সর্বদা সুখের রাস্তা বলেন। এখন বাবা বলছেন যে – আমাকে স্মরণ করো। বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে, আমাকে স্মরণ করলে তো স্বর্গের মালিক হতে পারবে। পবিত্র তো থাকতেই হবে। নিমন্ত্রণ তো দিতেই হবে। দিন-দিন পয়েন্টগুলিকে সহজ করে দেওয়া হচ্ছে। বড় বড় শহরের শ্মশানে অনেকেই আসে। শ্মশানে সেবা অনেক হতে পারে। বাচ্চারা বলে যে, আমার সময় নেই, আচ্ছা ছুটি নিয়ে যাও। সার্ভিসে অনেক লাভ আছে। বিনাশ তো হবেই। ভূমিকম্প ইত্যাদি হবে, সকল জলাধারের গেট ইত্যাদি ফেটে যাবে। বিপর্যয় তো অনেক আসবে। যার মধ্যে জ্ঞান থাকবে সে ডান্স করতে থাকবে। যে সেবাধারী বাচ্চা হবে, সে-ই হনুমানের মত স্থেরিয়ম (অটল ভাবে স্থির) থাকতে পারবে। কেউ তো এমনও আছে যে বম্ব-এর আওয়াজেই মরে যাবে। হনুমান একটা উদাহরণ স্বরূপ, কিন্তু ১০৮ আত্মা তো এইরকমই শক্তিবান হবে, তাই না। সেই শক্তি আসবে সেবা থেকে। বাবা বলেন যে বাচ্চারা সেবা করে উচ্চপদ প্রাপ্ত করো। পরবর্তীকালে অনুতাপ যাতে না করতে হয়, এইজন্য প্রথম থেকেই বলতে থাকেন যে উচ্চ পদ গ্রহণ করো। কাউকে বোঝানো খুবই সহজ। মন্দিরে গিয়ে তোমরা বোঝাতে পারো। এঁনাদেরকে এই রাজ্য কে দিয়েছেন ? তারা শীঘ্রই বলবে ভগবান দিয়েছেন। মানুষকে জিজ্ঞাসা করো তোমাদেরকে এই ধন কে দিয়েছেন ? তো শীঘ্রই বলে দেবে ভগবান দিয়েছেন। লক্ষ্মী-নারায়ণকে ভগবান এই ধন কীভাবে দিয়েছেন – এটাও বোঝাতে হবে। বাবাকে জানার কারণে তোমরাও এই পদ প্রাপ্ত করতে পারবে। চলো তাহলে বোঝাই বা এই ঠিকানায় এসে বুঝে যেও। এখানে কোনও পয়সা ইত্যাদি দিতে হয় না। বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে সমস্ত রহস্যের জ্ঞান আছে। লক্ষ্মী-নারায়ণ, সীতা-রাম ওঁনাদেরকে এই রাজ্য কে দিয়েছেন ? অবশ্যই ভগবানের থেকেই প্রাপ্ত হয়েছে। সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী রাজধানী স্থাপন হচ্ছে। তোমরা সাক্ষাৎকারও করেছ – কীভাবে লক্ষ্মী-নারায়ণ পুনরায় রাম সীতাকে রাজ্য প্রদান করেন।

লক্ষ্মী-নারায়ণ পুনরায় ভগবানের থেকে প্রাপ্ত করেন, বোঝাতে তো পারবে, তাই না। কথা তো খুবই সহজ আর মিষ্টি। বলো উচ্চ থেকে উচ্চতর হলেন বাবা তাই না। সেই পরমপিতা পরমাত্মাকে তোমরা জানো ? বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। কৃষ্ণকে তো বাবা বলা যায়না। কৃষ্ণ তাঁর আগের জন্মে এই রাজযোগের দ্বারা এই পদ প্রাপ্ত করেছেন। এইরকম-এইরকম পয়েন্টস্ নোট করতে হবে, যাতে পরবর্তীকালে ভুলে না যাও। মানুষকে যদি কোনও কথা স্মরণ করতে হয় তাহলে সে তার কাপড়ে বা চুলে গিঁট বেঁধে রাখে। তোমরাও কেবল দুটি কথার গিঁট বেঁধে নাও। কাউকে যদি এই দুটি কথা শোনাতে থাকো যে বাবা বলেন – মন্মনা ভব, মধ্যাজী ভব। প্রদর্শনীতেও অনেক সেবা করতে পারো যে, বাবা আমাদেরকে বলেছেন সবাইকে এই পরিচয় দাও – সকল ধর্ম পরিত্যাগ করে এক আমাকে স্মরণ করো। তোমরা হলে – এক আত্মা। এখন আমাকে অর্থাৎ এক বাবাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে আর তোমরা আমার কাছে এসে যাবে। এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হতে হবে। অমর লোকে যেতে হবে, তাই আমাকে স্মরণ করো। ব্যস্, এটাই বোঝানোর কারবার করো। অর্ধেক কল্প ভক্তির ধাক্কা খেয়েছো। এই জন্মে এই সন্দেশ সবাইকে দিতে হবে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে বলতে পারো যে বাবা কি বলেছেন। বাবার সংবাদ সবাইকে দিতে হবে। বাবা বলছেন যে আমাকে স্মরণ করো, বেশি কিছু বুঝতে হলে এখানে এসে বোঝো। তোমরা অনেক সেবা করতে পারো। খরচা সবকিছুই প্রাপ্ত হয়ে যাবে। রুটি তো নিজের হাতেই বানাতে পারবে। সেবা করতে পারবে। সেবার অনেক পরিসর আছে, কিন্তু ভাগ্যে না থাকলে কি করতে পারবে। আসামীকে অর্থাৎ নেওয়ার উপযুক্ত কিনা তা বুঝে নিতে হবে । বাবা বলেন – আচ্ছা আমি তোমাদেরকে কিটব্যাগ বানিয়ে দেবো, অল্প একটুই রহস্য কাউকে বোঝাতে হবে। বাবা এসেছেন ভক্তির ফল দিতে, বলছেন বাচ্চারা এখন অশরীরী হয়ে পুনরায় বাড়ি ফিরে যেতে হবে, এরজন্য আমাকে স্মরণ করো তাহলে তোমাদের কর্মাতীত অবস্থা হয়ে যাবে। বাবা গ্যারেন্টি করছেন যে তোমরা স্বর্গের মালিক হবে। অনেকের এই পরিচয় প্রাপ্ত হবে। নিজের নিজের গ্রামে গিয়েও সেবা করতে পারো। অথবা বাইরে গিয়েও করো। খরচা তো প্রাপ্ত হয়েই যাবে। কেউ সেবা করে দেখাও। যদি ব্যবসা ইত্যাদিতেও ব্যস্ত থাকো, তথাপি সেবা অনেক হতে পারে। ৮ ঘণ্টা কাজ কারবার করো, ৮ ঘন্টা আরাম করো, তবুও সময় অনেক থাকে। ১ ঘন্টা যদি কেউ সততার সাথে সেবা করে তবুও অনেক ভালো পদ প্রাপ্ত করতে পারে। চারিদিকে ঘুরতে থাকো, কিন্তু এতে নির্ভয়তাও চাই। প্রথমে তাদেরকে বলতে হবে যে আমি কোনো ভিখারি নই। আমি তো আপনাদেরকে ঈশ্বরের কাছে পৌঁছানোর রাস্তা বলে দিতে এসেছি। আমার জন্য এই আদেশ প্রাপ্ত হয়েছে – এক মিনিটের মহামন্ত্র দিয়ে যাবো। এটাই হলো সঞ্জীবনী বুটি। আমি বাবার পরিচয় দিতে এসেছি। বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করো। সেবা তো অনেক আছে কিন্তু নিজেই যদি দেহ অভিমানী হয়ে থাকে তাহলে কারোরই বুদ্ধিতে তীর লাগবে না। বাবার কাছে সত্য হয়ে থাকতে হবে। এমন নয় যে মিত্র সম্বন্ধীদেরকে স্মরণ করতে থাকবে। এটা চাই, সেটা চাই… তোমাদেরকে কিছুই প্রার্থনা করতে হবে না। তোমরা কারো থেকে কিছু নিতে পারবে না। কারোর হাতে খেতে পারবে না। আমরা নিজের হাতে বানিয়ে খাই। নিজের হাতে বানিয়ে খেলে শক্তি অনেক আসবে। কিন্তু এতটা পরিশ্রম কেউ করে না। মায়া অত্যন্ত শক্তিশালী। দেহ অভিমানের অসুখ খুব সহজে যায় না। অনেক পরিশ্রম করতে হয়। যোগে থাকতে পারে না তখন নিজে হাতে বানানোও ছেড়ে দেয়। আচ্ছা যোগযুক্ত হয়ে খেতে তো পারবে। দেহী-অভিমানী অবস্থা জমানোর জন্য অনেক পরিশ্রম চাই। বড় বড় সৎসঙ্গে গিয়ে একটাই কথা বোঝাও – ভগবানুবাচ, আমাকে স্মরণ করো তাহলে পুনরায় স্বর্গে আসতে পারবে। ভারত স্বর্গ ছিল তাই না। অনেক পরিশ্রম করতে হয় – বিশ্বের মালিক হওয়া, এটাই হল সর্বশ্রেষ্ঠ পদ। প্রজাতে আসা কোনো বড় কথা নয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) কোনো কাজই যাতে অবুঝের মতো করে না ফেলো, তার জন্য জ্ঞান-যোগের শক্তি জমা করতে হবে। সময় বের করে সততার সাথে, নির্ভয় হয়ে সেবা অবশ্যই করতে হবে। সেবার দ্বারাই শক্তি আসবে।

২ ) দেহ-অভিমানের অসুখ থেকে বাঁচার জন্য যোগযুক্ত হয়ে আহার গ্রহণ করতে হবে। যদি সম্ভব হয় তাহলে নিজের হাতে বানিয়ে শুদ্ধ আহার গ্রহণ করতে হবে।

বরদানঃ-

যেরকম গোলাপ ফুল দুর্গন্ধ যুক্ত সার থেকে সুগন্ধ ধারণ করে সুগন্ধী গোলাপ হয়ে যায়। এইরকম তোমরা বিশ্ব পরিবর্তক শ্রেষ্ঠ আত্মারা অশুভ, ব্যর্থ, সাধারণ ভাবনা আর ভাবকে শ্রেষ্ঠত্বে, অশুভ ভাব আর ভাবনাকে শুভ ভাব আর ভাবনাতে পরিবর্তন করো, তবে ব্রহ্মা বাবার সমান অব্যক্ত ফরিস্তা হওয়ার লক্ষণ সহজে আর স্বততঃই এসে যাবে । এর দ্বারাই মালার দানা, দানার সমীপে আসবে।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

বাপদাদার বাচ্চাদের প্রতি এতটাই ভালবাসা আছে যে তিনি মনে করেন প্রত্যেক বাচ্চা আমার থেকেও যেন এগিয়ে যায়। দুনিয়াতেও যার প্রতি অধিক ভালবাসা থাকে, তাকে নিজের থেকেও উন্নতির দিকে এগিয়ে দেয়। এটাই হল ভালবাসার লক্ষণ। তাই বাপদাদাও বলছেন যে আমার বাচ্চাদের মধ্যে এখন কোনো ঘাটতি যেন না থাকে, সবাই যেন সম্পুর্ণ, সম্পন্ন আর সমান হয়ে যায়।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top