21 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

21 August 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

20 August 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা তোমাদের যোগবলের দ্বারা এই পুরানো দুনিয়াকে পরিবর্তন করে নতুন বানিয়ে থাকো, তোমরা প্রকট হয়েছো আধ্যাত্মিক (রূহানী) সেবার জন্য"

প্রশ্নঃ --

তোমরা ন্যায়বান (ঈমানদার) সৎ পুরুষার্থী বাচ্চাদের লক্ষণ গুলি কী হবে ?

উত্তরঃ -:-

ন্যায়বান বাচ্চারা কখনোই নিজের ভুলকে লুকাবে না। তৎক্ষণাৎ বাবাকে বলে দেবে। তারা অত্যন্ত নিরহংকারী হয়, তাদের বুদ্ধিতে সর্বদা এই ভাবনাই থাকে যে, যেমন কর্ম আমি করব…। ২ ) তারা কখনো কারও ডিস্-সার্ভিসের ব্যাখ্যান করবে না। নিজের সেবাতেই নিমগ্ন থাকে । তারা কারো অবগুণকে দেখে নিজের মাথা খারাপ করে না।

গান:-

ধৈর্য ধর রে মন.

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি রূহানী বাচ্চাদের উদ্দেশ্য রূহানী বাবা ধৈর্য ধরার জন্য বলছেন। লৌকিক বাবা যেমন ধৈর্য ধরতে বলেন। কেউ অসুস্থ হলে তাকে আস্বস্ত করে। তোমাদের অসুখের দুঃখের দিন বদলে সুখের দিন আসবে। জাগতিক বাবা তো সীমিত ধৈর্য দেন, আর ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা। তিনি বাচ্চাদেরকে অসীমের ধৈর্য দিচ্ছেন – বাচ্চারা, এখন তোমাদের সুখের দিন আসছে। আর অল্প দিনই বাকি। এখন তোমরা বাবার স্মরণে থেকে অন্যদেরকেও শেখাও। তোমরাও তো শিব শক্তি, তাই না ? শিব বাবার শক্তি সেনা পুনরায় প্রকট হয়েছে। এই গোপরাও হল আত্মা। এরা সবাই শিবের থেকে শক্তি নেয়। তোমরাও শক্তি নিয়ে থাকো। বাবা তোমাদেরকে বুঝিয়েছেন, এতে কৃপা বা আশীর্বাদের কোনো ব্যপার নেই। স্মরণে থেকে শক্তি নিতে থাকো। স্মরণের দ্বারাই তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে আর তোমরা শক্তিবান হতে থাকবে। শিবের শক্তিসেনা এত সর্বশক্তিবান ছিল, যারা কিনা পুরানো দুনিয়াকে পাল্টে দিয়ে নতুন বানিয়ে দিয়েছে। তোমরা জানো যে, যোগাযোগের দ্বারা আমরা এই পুরানো দুনিয়াকে পাল্টাই। আঙুলের দ্বারাও মানুষ এই ভাবে ইশারা করে, আল্লাহ’কে, গড’কে স্মরণ করো। বাচ্চারা এখন বুঝতে পারে – বাবার স্মরণের দ্বারা এই পাথরের স্তূপ অর্থাৎ দুনিয়া বদলে যাবে। এখন আমরা পরিস্তান স্থাপন করছি। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান – প্রদর্শনীতে খুব সার্ভিস করো, পরিশ্রম করো, যেটুকু সময় পাও সেই সময় বসে শেখো। খুবই সহজ ব্যাপার। বাচ্চারা এখানে সব প্রকারের শিক্ষা পেয়ে থাকে । প্রত্যেকের কর্মের হিসাব রয়েছে। কন্যাদের কর্ম ভালো। যাদের বিবাহ হয়ে গেছে তারা এখন বলে, এই সময় আমরা যদি কুমারী থাকতাম তাহলে এই সব শৃঙ্খল থেকে মুক্ত, ফ্রি বার্ড হতাম। কন্যারা হল ফ্রি বার্ড। কিন্তু খারাপ সঙ্গে ক্ষতি হয়ে যায়। নারীর, স্বামী সন্তানাদির কতো শৃঙ্খল, এতে রীতি নীতি নিয়মের কতো কতো বন্ধন থাকে। কন্যাদের কোনো বন্ধনাদি নেই । এখানে বম্বেতেও কন্যারা তৈরী হচ্ছে। তারা বলছে আমরা আমাদের রাজ্যকে নিজেরাই সামলাবো। সকলে নিজের নিজের রাজ্যের জন্য কতো পরিশ্রম করে। বলে আমাদের গুজরাত, আমাদের ইউ. পি…. তোমরা এখন নিজেদের স্বরাজ্য নিয়ে থাকো, এতে আমি অমুক, আমি অমুক রাজ্যের, এ’সব কিছুই থাকে না। কারো প্রতিই তোমাদের ঈর্ষা রাখা উচিত নয় । কারো অবগুণ দেখে তোমাদের মাথা খারাপ করা উচিত নয়। নিজেকে দেখা উচিত যে, আমি কতজন আত্মাকে, ভাইকে বোনকে সুখের রাস্তা দেখিয়েছি ! যদি রাস্তা দেখাতে না পারে তবে সে কোনো কাজের নয়। বাবার হৃদয়ে বসতে পারবে না। বাপদাদার হৃদয়ে না চড়তে পারা মানে রাজ সিংহাসনেও বসতে না পারা। বাবা জানেন যে, কোনো কোনো বাচ্চার সার্ভিসের খুব নেশা রয়েছে। এতটুকুও দেহের অভিমান নেই। কেউ কেউ তো খুবই অহংকারে থাকে। মনে করে নিজের ওপরে নয়, বাবার ওপরে কৃপা করেছে। কখনোই কারো অবগুণকে দেখা উচিত নয়। অমুকে এই রকম, এই এই করে। আজকাল এমন এমন চালাকও আছে যারা অন্যদের ডিস্-সার্ভিসের ব্যাখ্যানও করতে থাকে। অমুকে এই রকম করে, অমুকে এইরকম । আরে তুমি নিজের সার্ভিস করো। ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের কাজ হল সার্ভিসে লেগে যাওয়া। বাবা বসে আছেন। বাবার কাছে সব সমাচার আসে। প্রত্যেকের অবস্থাকে বাবা জানেন । সার্ভিসকে দেখে মহিমাও করেন। বাচ্চাদের মধ্যে সার্ভিসের নেশা চলে আসা উচিত। প্রত্যেককে নিজের নিজের কল্যাণ করতে হবে – এই রূহানী সার্ভিসের দ্বারা । জাগতিক চাকরি বা ব্যবসাপত্র তো জন্ম জন্মান্তর ধরে করে আসছো। এই কারবার তো বিরলই কোনো ব্যাপারী করবে। বাবা অত্যন্ত সহজ পদ্ধতি বলে দিতে থাকেন সার্ভিসের। কখনো অন্যদের নিন্দা কোরো না। এই রকম অনেকেই করে। ভালো ভালো মহারথীদেরকেও মায়া নাক চেপে ধরে। বাবাকে স্মরণ না করলে মায়া পাকড়াও করে নেবে। বাবাও বলেন না – আমাকে সাধারণ তনে আসতে দেখে চিনতে পারে না। বাবাকে পরামর্শ দিতে থাকে – এইভাবে এইভাবে করা উচিত। তাদের অবস্থা এমন যে, বাবা যদি সামান্যও এই রকম করেন তখন ট্রেটর হয়ে যাবে । বাবাকেও নিজের মতামত পাঠিয়ে দেয়। কথায় আছে না – ইঁদুর পেয়ে গেল হলুদের বস্তা, ভাবল আমি তো পানসারি (মুদি) হয়ে গেছি ! এটা ভাবে না যে, আমি ডিস্-সার্ভিস করছি। ভুল তো অনেকের দ্বারাই হতে থাকে। অবস্থা কখনো উপরে কখনো নীচে, এই রকম তো চলেই আসছে। প্রত্যেকে নিজের নিজের অবস্থাকে দেখো। ন্যায়বান বাচ্চারা নিজের অবস্থাকে (স্থিতি) দ্রুত বদলে নেবে। কেউ কেউ নিজের ভুলকে লুকায়ও। এতে অত্যন্ত নিরহংকারী ভাব থাকা চাই। সার্ভিসের বৃদ্ধির জন্য তৎপর হওয়া উচিত। সব সময় এই ভাবনা থাকা উচিত – যেমন কর্ম আমি করব আমাকে দেখে অন্যরা করবে। আমি কারো নিন্দা করলে অন্যরাও করতে শুরু করে দেবে। অনেকেই এ’সব চিন্তা করে না। বাবা বাচ্চাদেরকে বোঝান – তুমি তোমার সার্ভিসে তৎপর থাকো। নইলে অনেক পছতাবে। শত্রুও অনেক তৈরী হয়ে যায়।

এখন তোমরা শূদ্র থেকে ট্রান্সফার হয়ে ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ হয়ে গেছ। যার মধ্যে বিকার রয়েছে – তারা হল আসুরিক সম্প্রদায়, তোমরা হলে দৈবী সম্প্রদায়। তোমরা দেবতা হওয়ার জন্য বিকারের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করছো।দেবতারা তো এখানে নেই। দেবতারা থাকবে সত্যযুগে । তোমরা এখন দৈবী সম্প্রদায়ের হচ্ছো।

বাচ্চারা, তোমাদের এখন বোঝানোর জন্য চান্স রয়েছে। প্রদর্শনীতে বোঝাতে থাকো। প্রদর্শনীতে, মেলাতে এক একজনের নাড়ী দেখে বুঝতে পারা যায়। প্রজেক্টরে তো কাউকে বোঝাতে পারবে না। সামনাসামনি বোঝানো হলেই বুঝতে পারবে তারা। প্রদর্শনী, মেলা এগুলো ভালো, তাতে তোমাদের লেখাও দিতে পারো। প্রদর্শনীর, মেলার এগুলিকর শখ থাকা উচিত। রেগুলার পড়লে তবেই নেশা চড়বে। বন্ধনে আবদ্ধ রয়েছো যারা (বান্ধেলী), তারা ঘরে বসেও বাবাকে স্মরণ করতে থাকো, তাহলে বিকর্ম বিনাশ হয়ে যাবে । ঘরে বসে স্মরণ করা ভালো। কিন্তু স্মরণ করা – এটা বাচ্চাদের জন্য কঠিন কাজ হয়ে গেছে। বাবাকে, যার কাছ থেকে ২১ জন্মের অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তাকেই স্মরণ করে না। না ভোর বেলায় উঠতে পারে ! উঠলেও বসে বসে ঢুলতে থাকে। স্মরণ করবার জন্য ভোরের সময়টাই উত্তম। ভক্তি মার্গেও ভোর বেলায় উঠে প্রভুকে স্মরণ করে। তাদের তো হল অবতরণ কলা। এখানে তো হলই চড়ার ব্যাপার। মায়া কতো বিঘ্ন সৃষ্টি করে। ভোর বেলা উঠে বাবাকে স্মরণ না করলে ধারণা কীভাবে হবে, বিকর্ম কীভাবে বিনাশ হবে ? বাকি কেবল মুরলী চালানো – সেটা তো ছোট বাচ্চাও শিখে নিয়ে বোঝাতে পারে। এই পড়াশোনা হল বড়দের জন্য। কত বড় ইউনিভার্সিটি এটা। আমাদেরকে কে পড়াচ্ছেন – এই নেশা বাচ্চাদের থাকে না। মায়া কাউকে ধোঁকা দিলে তাকে না দেখে নিজের সার্ভিসে নিযুক্ত থাকো। বাবার কাছে সব সমাচার আসতে থাকে। কেউ কেউ দেহ-অভিমানে এসে মনে করে, অমুকে এই রকম করে, এই করে সেই করে, অন্যের নিন্দা করে টাইম ওয়েস্ট করে। তোমাদের কাজ হল সার্ভিসে থাকা। যা কিছুই হোক না কেন বাবাকে ইশারা করে দাও ব্যস্। পরচিন্তন করা উচিত নয়। সার্ভিসে বাচ্চাদের দিন রাত লেগে থাকতে হবে। তোমাদের কারবারই হল এটাই। রোজ প্রদর্শনীতে বোঝাও – ইনি হলেন শিব বাবা, ইনি প্রজাপিতা ব্রহ্মা। কল্প পূর্বেও প্রজাপিতা ব্রহ্মা গাওয়া হয়েছে যে, প্রজাপিতা ব্রহ্মার দ্বারা সৃষ্টি রচিত হয়। এমন নয় যে মানুষ ছিলই না। তিনি মনুষ্য সৃষ্টির রচনা করেন অর্থাৎ কাঁটাদেরকে ফুল বানান । ব্রহ্মার দ্বারা সৃষ্টির রচনা করেন যখন, তখন কি উপরে রচনা করবেন নাকি ! ব্রহ্মা তো এখানেই হবেন, তাই না ? কতো ক্লিয়ার ভাবে বোঝানো হয়।

বাবা বলেন – আমি অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে প্রবেশ করে মানবকে দেবতা বানাই। সুতরাং বাচ্চাদের সার্ভিসে পরিশ্রম করা উচিত। কাজ কারবারের থেকে কিছুটা সময় বের করে এতে লেগে পড়া উচিত। এমন নয় যে সময় পাওয়া যায় না। অসুস্থ হয়ে পড়লে তখন কি বলবে যে সময় নেই ! পুরুষার্থ করা উচিত। প্রেরণার দ্বারা কাজ হতে পারে না, তাহলে অন্যরা কীভাবে করাবে ? মানুষ মনে করে ভগবান কী না করতে পারে। মৃত মানুষকে বাঁচিয়ে দিতে পারে। আরে ভগবানকে তোমরা বলো, হে পতিত পাবন, আমাদেরকে এসে পতিত থেকে পবিত্র বানাও, ব্যস্ আর কিছু না। এমন কি বলে নাকি যে, এসে মৃতকে প্রাণ ফিরিয়ে দাও। তিনি তো হলেনই পতিত পাবন। ভারত তো পবিত্র ছিল, তাই না ! বাবা বলেন – আমি প্রতি কল্পে এসে পবিত্র বানিয়ে থাকি। মায়া আবার এসে পতিত বানায়। এখন আবার আমি এসেছি পবিত্র বানাতে। বাবা কতো সহজ কথা বুঝিয়ে বলেন। বৈদ্যরা (হাকিম) কতো কঠিন কঠিন অসুখকে শিকড় বাকড় প্রয়োগ করে ঠিক করে দেয়, তারপর তার কত সুখ্যাতি হয়। কারো সন্তান লাভ কিম্বা ধন লাভ হলে বলে গুরু কৃপা। আচ্ছা, বাচ্চা মারা গেলে তখন বলে ভবিতব্য। এই সব কথা গুলি তোমরা এখন বুঝতে পারো। সন্ন্যাসীরা পবিত্র হলে তখন তাদের মান্য তাদের বাড়ে। কিন্তু তারা হল হঠ যোগী। তারা রাজযোগ শেখাতে পারে না। তারা হল সন্ন্যাসী আর আমরা হলাম গৃহী। তাহলে নিজেকে তাদের ফলোয়ার্স কী করে বলতে পারে ? বাবা তো বলেন বাচ্চাদেরকে সম্পূর্ণ ফলো করতে হবে – মন্মনাভব। আমাকে স্মরণ করো, তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে আর আমার সাথে ফিরে যাবে। আমি তো এভার পিওর। মানুষ পতিত বানায়, বাবা এসে পবিত্র বানান। তিনি হলেন পবিত্রতা, শান্তি, সূখের সাগর। তোমাদেরকেও এই রকম বানাচ্ছেন। তোমরা যোগবলের দ্বারা আত্মাকে পবিত্র বানিয়ে থাকো। তোমরা জানো যে, আমরা ফার্স্ট ক্লাস শরীর পাবো। মানবে দেবতা প্র্যাক্টিক্যালে বানাতে হবে। এমন থোড়াই হবে নাকি যে দেবত্বের পোশাক পড়ে নিলাম! নিজের ওপরে সম্পূর্ণ নজর দিতে হবে যাতে দেহ-অভিমান না আসে। বাবা আমরা আপনার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিয়েই ছাড়বো। তোমরাও বলে থাকো যে, আমরা ভারতকে শ্রেষ্ঠাচারী বানিয়েই ছাড়বো। নিশ্চয় যাদের আছে তারাই এ’কথা বলতে পারে। কেউ কেউ আবার বলে এতটুকু সময়ের মধ্যে কীভাবে হবে ? বাস্তবে কখনোই এই রকম সংশয় আসা উচিতই নয়। মনে সংশয় এলে তখন পুরুষার্থে ঢিলেমি এসে যায়। টাইপম খুব কম। যতখানি সম্ভব পুরুষার্থ বেশী করে করা উচিত। সামান্য লড়াই ইত্যাদির ঝামেলা কোথাও শুরু হলে তখন কত পরিশ্রম শুরু হয়ে যায়। তখন বুঝতে পারে – আমরা যদি পুরোপুরি স্মরণে না থাকি তবে সেই সময় জুঝতে পারবো না। সেই সময় তো অনেক ঝুট ঝামেলা চলতে থাকে, সেইজন্যই বাবা বলেন, যতদূর সময় লাফিয়ে লাফিয়ে এগিয়ে যাও। এ হল আত্মাদের রেস। বাবা কতো ভালো ভাবে বুঝিয়ে দেন। লক্ষ্যে গিয়ে পৌঁছে অর্থাৎ বাবার গৃহে গিয়ে তারপর চলে আসতে হবে নতুন দুনিয়াতে। অত্যন্ত ফাইন রেস। বাবা বলেন – আমাকে টাচ্ করে অর্থাৎ মূল লোকে গিয়ে তারপর আসতে হবে। সবার আগে তারাই আসবে যারা যোগযুক্ত হবে। সকলের ইচ্ছা মুক্তিধামে যাওয়ার। তাই বাবা বলেন, আমাকে স্মরণ করো, তাহলে চলে যাবে । মুক্তিধাম তো শকলের পছন্দ, তারপর চলে আসবে নিজের নিজের পার্ট প্লে করতে। মোক্ষ কেউই পায় না। ঈশ্বরীয় হিস্ট্রি জিওগ্রাফিতে মোক্ষ শব্দটাই নেই। এক সেকেন্ডে তোমাদের জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়, বাকি সবাই মুক্ত হয়ে যাবে। রাবণ রাজ্যের থেকে মুক্ত হতেই হবে। যে পুরুষার্থ করবে সে উঁচু পদ পাবে। বাচ্চাদেরকে খুব মিষ্টি হতে হবে। স্বভাব খুব মধুর হওয়া চাই। ক্রোধ হওয়া যাবে না, দুর্বাসার নাম আছে নো ! এই রাজঋষিদের মধ্যে কেউ কেউ এমন রয়েছে। সব সময় নিজের বুকে হাত রেখে দেখা উচিত আমি কি করছি ? বাবা বলেন – আমি এসেছি বাচ্চাদেরকে ফুল বাদশাহী দিতে। তাই সাহস রেখে তোমাদের দেখানো উচিত। কেবল কথনীর দ্বারা তা হবে না। বাবার সার্ভিসে তো প্রতিটি হাড়কে নিয়োজিত করতে হবে। সেটা করেও, তারপর কথা থেকে যেন দেহ-অভিমান চলে আসে আর পতন ঘটে। মায়াও কম পালোয়ান নয়। বাবার শ্রীমতে না চলার ফলে মায়া প্রহার করতে থাকে, আর তখন বাবাকে ডিভোর্স দিয়ে দেয়। বাবা সুখ ধামের মালিক বানান, তাই নিজের প্রতিই দয়া আশা উচিত। বাবা অত্যন্ত সিম্পল রায় দেন। মায়ার ঝড় ঝাপটা তো অনেক আসবে কিন্তু মহাবীর হতে হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা তাঁর আত্মা-রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) সার্ভিসের প্রবল ইচ্ছা রেখে নিজের আর অন্যদের কল্যাণ করতে হবে । পরচিন্তনে নিজের সময় নষ্ট করবে না।

২ ) ন্যায়নিষ্ঠ এবং নিরহংকারী হয় সেবার অগ্রগতি করতে হবে। ভোর বেলায় উঠে বাবাকে ভালোবাসার সাথে স্মরণ করতে হবে। কথন আর কর্ম এক করতে হবে।

বরদানঃ-

 প্রত্যেককে তিনটি সার্টিফিকেট নিতে হবে – বাবার, নিজের আর পরিবারের। পরিবারকে সন্তুষ্ট করার জন্য একটা ছোট্ট বিষয়কে স্মরণে রাখো যে, রিগার্ড দেওয়ার রেকর্ড যেন সদা চলতে থাকে, এতে নিষ্কাম হও। বাবকে সন্তুষ্ট করবার জন্য সৎ (স্বচ্ছ মন) থাকো। আর নিজের প্রতি নিজে সন্তুষ্ট থাকার জন্য সদা শ্রীমতের রেখার মধ্যে থাকো। এই তিনটি সার্টিফিকেট উচ্চ পদের অধিকারী বানিয়ে দেবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top