21 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
20 April 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবার স্মরণে থাকা - হল খুব মিষ্টি টোলি (প্রসাদ), যা অন্যদেরও ভাগ করে দাও অর্থাৎ অল্ফ আর বে (বাদশাহী) এর পরিচয় দিতে থাকো"
প্রশ্নঃ --
স্থায়ীভাবে স্মরণে থাকার বিধি কোনটি ?
উত্তরঃ -:-
স্থায়ী স্মরণে থাকতে হলে দেহ সহ দেহের যেসব সম্বন্ধ আছে তাকে ভুলে যাও। চলতে-ফিরতে, উঠতে বসতে স্মরণে থাকার অভ্যাস করো। যদি যোগে বসে লাল লাইটও স্মরণে আসে যোগ ছিন্ন হয়ে যাবে। স্থায়ী স্মরণ থাকবে না। যদি কেউ বিশেষ ভাবে যোগ করানোর কথা বলে, তারও যোগ লাগতে পারে না।
গান:-
রাতের পথিক..
ওম্ শান্তি । এখন হচ্ছে যোগের কথা কেননা এখন রাত। কলিযুগকে রাত বলা হয়, দিন বলা হয় সত্যযুগকে। তোমরা এখন কলিযুগের রাত থেকে সত্যযুগের দিনে যেতে চলেছ সেইজন্য রাতকে ভুলে গিয়ে দিনকে স্মরণ করো। নরক থেকে বুদ্ধিকে সরিয়ে নিতে হবে। বুদ্ধি বলছে এটাই প্রকৃত নরক আর কারো বুদ্ধি একথা বলে না। আত্মার মধ্যেই বুদ্ধি আছে। আত্মা এখন জেনেছে যে বাবা এসেছেন রাত থেকে দিনে নিয়ে যাওয়ার জন্য। বাবা বলেন হে আত্মারা তোমাদের স্বর্গে যেতে হবে। কিন্তু প্রথমে শান্তিধাম যেতে হবে তারপর স্বর্গে আসতে হবে। তোমরা হলে যোগী, প্রথমে পরমধাম ঘরের, পরে রাজধানীর। মৃত্যুলোক অর্থাৎ রাত শেষ হতে চলেছে। এখন যেতে হবে দিনে একেই ঈশ্বরীয় যোগ বলা হয়। নিরাকার ঈশ্বর আমাদের যোগ শেখান অথবা আমরা আত্মাদের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ (engagement) করিয়ে থাকেন। এ’হলো আত্মিক যোগ, লৌকিকে শারীরিক যোগ করানো হয়। বাচ্চারা তোমাদের এক জায়গায় বসে যোগ করতে হবে না। মানুষ যেমন নিজে বসে তেমনই সবাইকে বসা শেখায়। এখানে তোমাদের বসা শেখানো হয় না। তবে হ্যাঁ সভায় নিয়মানুযায়ী বসতে হবে। যোগ করতে যেভাবেই বসুক, চলতে-ফিরতে এমনকি শুয়েও যোগযুক্ত হওয়া যায়। আর্টিস্ট যোগে থেকে চিত্রও তৈরি করতে পারে। শিববাবা, যার সাথে যোগ যুক্ত হয়, তাঁর চিত্র তৈরি করে থাকে। জানে যে ইনি আমাদের পিতা নিরাকার দুনিয়া পরমধামে থাকেন। আমরাও ওখানকার নিবাসী। আমরা আত্মাদের যেতে হবে, এটাই চলতে-ফিরতে বুদ্ধিতে থাকা উচিত। এমন নয় যে আমাকে তপস্যা করতে বসাও, যোগ করাও – এটা বলা ভুল। বুদ্ধু এমন বলবে। বাচ্চারা লৌকিক বাবাকে বিশেষভাবে বসে কি স্মরণ করে ? বাবা-বাবা বলতেই থাকে, কখনও ভুলে যায় না। ছোট বাচ্চারা আরও বেশি করে স্মরণ করে। মুখ চলতেই থাকে। এখানে পারলৌকিক বাবাকে কেন ভুলে যায় ? বুদ্ধিযোগ কেন ভেঙে যায় ? মুখ দিয়েও বাবা -বাবা বলার দরকার নেই। আত্মা জানে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যদি বিশেষভাবে বসার অভ্যাস হয় তবে যোগ সিদ্ধ হতে পারে না। এই ঈশ্বরীয় যোগ তোমাদের স্বয়ং ঈশ্বর শেখাচ্ছেন। তাঁকে যোগেশ্বর বলা হয় তাই না! তোমাদের ঈশ্বর যোগ শিখিয়েছেন, আমি বাবা আমাকে স্মরণ করো। এমন নয় যে যখন দিদি যোগে বসায় তখন মজা লাগে। তার যোগ কখনও স্থায়ী হতে পারে না। মনে করো হার্টের সমস্যা হলো তখন কি যোগে বসাতে পারবে ? স্মরণ তো বুদ্ধি দিয়ে করতে হবে। মানুষ যে সমস্ত যোগ শেখায় সেগুলো ভুল। এই দুনিয়াতে একজনও যোগী নেই। এমনিতে তো কাউকে স্মরণ করলেও সেটা যোগযুক্ত হওয়া। আম ভালো লাগে সুতরাং আমের সাথেই যোগ লেগে যায়, লাল আলো ভালো লাগে স্মরণে এলো সুতরাং সেখানেই যোগ লেগে যায়। কিন্তু এখানে দেহ সহ দেহের যত সম্বন্ধ আছে সবকিছু ভুলে গিয়ে একমাত্র আমার সাথে যোগযুক্ত হও তবেই তোমাদের কল্যাণ হবে আর তোমরা বিকর্মাজিত হতে পারবে। বাবাই এসে সদ্গতির পথ বলে দেন। বাবা ছাড়া দ্বিতীয় কেউ-ই সদ্গতি দিতে পারে না। বাকিরা দুর্গতির পথ বলে দেয়। স্বর্গ বলা হয় সদ্গতি আর মুক্তিধামকে, যেখানে আমরা আত্মারা থাকি ওটা হচ্ছে ঘর। এই সময় সবাইকে দুর্গতিতে পৌঁছে দেয় মনুষ্য- মত। নিরাকার বাবা এসে সদ্গতি প্রদান করেন যা অর্ধকল্প ধরে চলে, আমরা আত্মারা সদ্গতিতে থাকি। ওখানে ভগবানের সাথে মিলিত হওয়ার জন্য বা মুক্তি জীবনমুক্তি পাওয়ার জন্য দরজায়-দরজায় ঘোরার প্রয়োজন পড়ে না। যখন থেকে রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখনই দরজায়-দরজায় খুঁজতে শুরু করে দেয়। কারণ তখন নিচে (অধঃপতন ) নামতে হয়। ভক্তিও তখন থেকেই শুরু হয়। তোমরা জানো আমরা এখন শরীর ত্যাগ করে শিবালয়ে যাব। সত্যযুগ হচ্ছে অসীমের শিবালয়। এই সময় বেশ্যালয় হয়ে গেছে। এ’সবই স্মরণ করা উচিত। শিববাবাকে যে স্মরণ করে না, সে যোগী নয়, ভোগী সিদ্ধ হয়। তোমরা কাউকে শোনানোর জন্য যদি আমন্ত্রণ কর তবে ওরা বলে যে আমরা দুটো শব্দ শুনব। এই দুটো শব্দ অতি প্রসিদ্ধ। শব্দ দুটি হলো মন্মনাভব, মধ্যাজীভব। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো আর অবিনাশী উত্তরাধিকারের কথা স্মরণ কর। ঐ দুটি শব্দের দ্বারাই জীবনমুক্তি পাওয়া যায়। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করলে নিরোগী হতে পারবে আর চক্রকে স্মরণ করলে ধনবান হতে পারবে। এই দুটি শব্দের দ্বারা তোমরা এভারহেল্দী আর এভারওয়েল্দী হতে পারবে। সত্য বচনের আধারেই চলতে হয়, তা না হলে বুঝতে হবে বুদ্ধু (বোকা)। অল্ফ আর বে – দুটো কথা। অল্ফ অর্থাৎ আল্লাহ্, বে হলো রচনা। বাবা হলেন অল্ফ আর বে হচ্ছে বাদশাহী। তোমাদের মধ্যেও কেউ বাদশাহী পেয়ে থাকে আবার কেউ প্রজাতে চলে যায়। বাচ্চারা তোমাদের পোতামেল (স্মরণের চার্ট) রাখা উচিত যে সারাদিনে কতটা সময় বাবাকে আর উত্তরাধিকারের কথা স্মরণ করেছি। এই শ্রীমত বাবাই দেন। বাবা আত্মাদের শিখিয়ে থাকেন। মানুষ ধন-সম্পদের জন্য কত মাথা ঠুকে থাকে। টাকাপয়সা তো ব্রহ্মার কাছেও অনেক ছিল। যখন দেখলেন যে অল্ফ থেকে বাদশাহী প্রাপ্ত হয় তখন ধন-ঐশ্বর্য দিয়ে কি করব ? কেন সবকিছু অল্ফের কাছে হস্তান্তর করে বাদশাহী নেব না। বাবা এর উপরে একটা গানও তৈরি করেছিলেন…. অল্ফ কো আল্লাহ্ মিলা…. বে কো মিলি বাদশাহী …. ঐ সময় বুদ্ধিতে এসেছিল আমাকে তো বিষ্ণু চতুর্ভুজ হতে হবে, আমি এই ধন দিয়ে কি করব। বাবাও বুদ্ধির তালা খুলে দিলেন। এই (সাকার) বাবা তো ধন উপার্জনে বিজি ছিলেন, কিন্তু যখন রাজত্ব পাচ্ছেন তখন গাধার কাজ কেন করবেন । বাবা ক্ষুধার্ত হয়ে তো মরে যাননি। বাবার কাছে যে আসত তাকে খুব ভালোভাবে পালন করা হতো। ঘরে না খেয়ে হয়তো মরে যাবে। কিন্তু এখানে যারা বাবার শ্রীমতে চলে তারা বাবার অনেক সাহায্য পেয়ে থাকে। বাবা বলেন সবাইকে পথ বলে দাও যে অসীমের পিতাকে স্মরণ কর আর চক্রকে স্মরণ করলে তোমার তরী পার হয়ে যাবে। মাঝি এসেছেন নৌকা পার করে দিতে। তবেই তো গেয়ে থাকে হে পতিত-পাবন, মাঝি কিন্তু কাকে স্মরণ করবে, সেটা কারো জানা নেই। কেননা তারা বলেছে যে ঈশ্বর সর্বব্যাপী। একই শিবের চিত্রকে বলে ভগবান। তবে লক্ষী-নারায়ণ বা ব্রহ্মা, বিষ্ণু শঙ্করকে ভগবান কেন বলে। যদি সবাই বাবা হয় তবে উত্তরাধিকার কে দেবে। সর্বব্যাপী বললে তো না কেউ দেওয়ার থাকবে, না নেওয়ার জন্য কেউ থাকবে। লেখা আছে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। উপরে শিব দাঁড়িয়ে আছেন। শিববাবা যখন ব্রহ্মার দ্বারা দেবতা করে তোলেন সুতরাং ব্রহ্মাও দেবতা হবেন। এই কাজ একমাত্র বাবার। ওঁনারই মহিমা করা হয়, এক ওঁঙ্কার …অকালমূর্তি, আত্মা অকালমূর্তি হয়। আত্মাকে কাল খেতে পারে না, সুতরাং বাবাও অকালমূর্তি। শরীর তো সবারই শেষ হয়ে যায়। আত্মাকে কাল কখনও খায় না। ওখানে কখনও অকালে মৃত্যু হয় না। ওখানে মনে করে আমাদের এই শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করতে হবে। স্বর্গে আছে যখন পুনর্জন্মও অবশ্যই স্বর্গেই হবে। এখানে সবাই নরকবাসী। কেউ মারা গেলে বলে থাকে অমুকে স্বর্গে গেছে, নিশ্চয়ই প্রথমে নরকে ছিল। এতো সহজ কথাটাও বুঝতে পারে না। সন্ন্যাসীরাও জানে না। ওরা তো জ্যোতিতে জ্যোতি বিলিন হয়ে গেছে বলে থাকে।))))) ভক্ত ভারতবাসী ভগবানকে স্মরণ করে। গৃহস্থিরাও ভক্ত কেননা ভক্তি প্রবৃত্তি মার্গ বাসীদের জন্য। ওরা (সন্ন্যাসীরা) হচ্ছে তত্ত্ব জ্ঞানী। ওরা মনে করে আমরা তত্ত্বের সাথে যোগযুক্ত হয়ে লীন হয়ে যাব। ওরা তো আত্মাকেও বিনাশী বলে মনে করে। সত্য কখনোই বলতে পারে না। এক পরমাত্মাই হলেন সত্য। তোমরা এখন সত্যের সঙ্গ পেয়েছ সুতরাং বাকি সবই মিথ্যা। কলিযুগে সত্যি বলার মতো কোনো মানুষ হয়-ই না। রচয়িতা এবং রচনার সম্পর্কে কেউ-ই সত্য বলে না। বাবা বলেন আমি এখন তোমাদের সমস্ত শাস্ত্রের সার বলে থাকি। প্রধান যে গীতা সেখানেও পরমাত্মার পরিবর্তে মানুষের নাম লেখা হয়েছে, যখন কৃষ্ণ এই সময় শ্যাম বর্ণের হয়ে গেছে। কৃষ্ণেরও এমন চিত্র তৈরি হোক যাতে মানুষ বুঝতে পারে। ডবল শেড দিতে হবে। একদিকে শ্যাম হয়ে যাওয়ার শেড ,অন্যদিকে গৌরবর্ণ হওয়ার শেড তারপর ঐ চিত্র দিয়ে বোঝাতে হবে যে কামনার চিতায় বসলে কালো (কুত্সিত, শ্যাম) হয়ে যেতে হবে। তারপর জ্ঞান রূপী চিতায় বসলে গৌর বর্ণের হবে। নিবৃত্তি এবং প্রবৃত্তি দুই মার্গকেই দেখাতে হবে। আইরন এজের পর গোল্ডেন এজ নির্মাণ হয়। গোল্ডেনের পর সিলভার, কপার এজ হয়ে যায়। আত্মা বলে প্রথমে আমি কামনার চিতায় ছিলাম, এখন আমি জ্ঞানের চিতায় বসে আছি। এখন বাচ্চারা তোমরা জানো যে আমরা পতিত থেকে পরিস্তানী হতে যাচ্ছি। যোগযুক্ত হয়ে তোমরা যে জিনিসই তৈরি কর না কেন কখনও খারাপ হবে না। বুদ্ধি ঠিক থাকলে সহযোগ পাওয়া যায়। কিন্তু মুশকিল হয়। বাবা( ব্রহ্মা) বলেন আমিও ভুলে যাই। স্লিপারি খেলা এটা, এতে খুব ভালো অভ্যাস করতে হয়। স্থায়ী স্মরণ বেশি সময় টেকে না। চলতে-ফিরতে স্মরণে থাকার অভ্যাস করতে হবে। স্মরণ তো যেখানে ইচ্ছা করতে পার,স্মরণেই শক্তি পাওয়া যায়। এই সময় প্রকৃত যোগ কেউ-ই জানে না। বাবা ছাড়া যারাই যোগ করতে শেখায়, সে’সবই ভুল। ভগবান এসে যখন যোগ শিখিয়েছেন তখন এই দুনিয়া স্বর্গ হয়ে গেছে। মানুষ যখন যোগ শিখিয়েছে স্বর্গ থেকে নরক হয়ে গেছে। কেউ যখন উল্টো চলতে শুরু করে বুদ্ধির তালা তখন বন্ধ হয়ে যায়। ১০-১৫ মিনিটও স্মরণে থাকতে পারে না। বৃদ্ধ-বৃদ্ধা, বাচ্চা,অসুস্থ রুগী সবার জন্যই এটা অতি সহজ যোগ। খুব ভালো মিষ্টি। যদিও বোবা,কালা,হয় তারাও ইশারায় বুঝতে পারে। বাবাকে স্মরণ করলে উত্তরাধিকার পাবে। কেউ আসলেই তাকে বল যে আমরা তোমাদের পথ বলে দিচ্ছি। অসীমের পিতা যিনি স্বর্গের রচয়িতা তাঁর কাছ থেকে স্বর্গের সুখের উত্তরাধিকার কিভাবে পাওয়া যায়। ছোট-ছোট লিফলেট বিতরণ করা উচিত। বোঝানোর জন্য অন্তরে প্রচুর উদ্যম ও উদ্দীপনা থাকা উচিত। যে কোনো ধর্মের আসুক না কেন এইভাবে বোঝাব। বাবা বলেন এই দেহের সব ধর্ম ছেড়ে শুধুমাত্র আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে। তোমরা আমার কাছে আসতে পারবে। প্রথমে এটাই নিশ্চিত কর তারপর অন্য কথা, ততক্ষণ আগে যেতেই পারবে না। নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ কর। এটাই হচ্ছে সবচাইতে ফার্স্ট ক্লাস বিষয়। শুধুমাত্র দুটি শব্দ অল্ফ আর বে, বাবা এবং বর্সা। আচ্ছা!
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ স্মরণ আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১) নিজের সবকিছু অল্ফের কাছে হস্তান্তর করে বাদশাহী নিতে হবে। পোতামেল রাখতে হবে যে বাবা এবং উত্তরাধিকার কত সময় স্মরণে থেকেছে।
২) কোনো রকম উল্টো চাল-চলন যেন না হয়। স্থায়ী স্মরণে থাকার অভ্যাস করতে হবে।
বরদানঃ-
ভিতরে যদি কোন রকম কমজোরি থাকে তার কারণকে বুঝে নিবারণ কর কেননা মায়ার নিয়ম হচ্ছে যে কমজোরি তোমাদের মধ্যে থাকবে, সেই কমজোরি দ্বারা মায়া তোমাদের মায়াজীত হতে দেবে না। মায়া সেই কমজোরি থেকে লাভ উঠাবে এবং অন্তিম সময় সেই কমজোরি তোমাদের প্রতারণা করবে। সেইজন্য সর্ব শক্তির স্টক জমা করে, শক্তিশালী আত্মা হও আর যোগের প্রয়োগ দ্বারা প্রতিটি কমপ্লেনকে সমাপ্ত করে কমপ্লিট হয়ে যাও। এই স্লোগান মনে রাখবে ‐ ” এখন নয় তো কখনোই নয়”।
স্লোগানঃ-
মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য – “নিজের প্রকৃত লক্ষ্য কি ? “
সর্বপ্রথম এটা জানা জরুরী যে নিজের প্রকৃত লক্ষ্য কোনটা? সেটাও খুব ভালো করে বুদ্ধিতে ধারণ করতে হবে তবেই পূর্ণ রূপে ঐ লক্ষ্যে উপস্থিত হতে পারবে। নিজের আসল লক্ষ্য হচ্ছে – আমি আত্মা পরমাত্মার সন্তান। প্রকৃতপক্ষে আমি কর্মাতীত কিন্তু আমি নিজেকে ভুলে যাওয়ার কারণে কর্মবন্ধনে এসেছি। পুনরায় সেটা স্মরণে আসার কারণে,এই ঈশ্বরীয় যোগে থেকে নিজের করা বিকর্ম বিনাশ করছি। সুতরাং নিজের লক্ষ্য আমি আত্মা পরমাত্মার সন্তান। বাকি কেউ যদি নিজেকে দেবতা মনে করে সেই লক্ষ্যে স্থির থাকে তবে পরমাত্মার শক্তি গ্রহণ করতে সক্ষম হবে না। না তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে এখন তো সম্পূর্ণ জ্ঞান আছে, আমি আত্মা পরমাত্মার সন্তান কর্মাতীত হয়ে ভবিষ্যতে জীবনমুক্ত দেবী-দেবতা পদ পাব,এই লক্ষ্য থাকলে শক্তি পাওয়া যায়। এই যে মানুষ সুখ, শান্তি পবিত্রতা চায়, সেটা পূর্ণ যোগ হলে তবেই প্রাপ্তি হবে। দেবতা পদ তো ভবিষ্যতের প্রালব্ধ, নিজের পুরুষার্থ আলাদা আর নিজের প্রালব্ধও আলাদা হবে। সুতরাং নিজের লক্ষ্যও ভিন্ন, এই লক্ষ্য যেন না থাকে যে আমি পবিত্র আত্মা শেষে পরমাত্মা হয়ে যাব, না। কিন্তু আমাকে পরমাত্মার সাথে যোগযুক্ত হয়ে পবিত্র আত্মা হতে হবে, কোনো আত্মাই পরমাত্মা হতে পারে না। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!