20 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

20 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

19 October 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমাদেরকে যোগবলের দ্বারা শত্রু রাবণের উপরে জয়লাভ করতে হবে, মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার জন্য দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা সবাই বাবার শ্রীমতে একভাবে চলেনা – কেন ?

উত্তরঃ -:-

কারণ যিনি বাবা,তাঁকে সবাই একভাবে চিনতে পারেনি। যখন সম্পূর্ণ রূপে তাঁকে চিনতে পারবে তখনই শ্রীমত অনুসারে চলবে। ২— শত্রুরূপে মায়া এসে শ্রীমতে বিঘ্ন ঘটায় সেইজন্য বাচ্চারা মাঝে মাঝেই নিজের মতে চলে। তারপর বলে থাকে বাবা মায়ার তুফান আসে, তোমাকে স্মরণ করতে তখন ভুলে যাই। বাবা বলেন বাচ্চারা – মায়া রাবণকে ভয় পেয়ো না। তীব্র পুরুষার্থ করো তবে মায়াও ক্লান্ত হয়ে পড়বে।

গান:-

না সে আমাদের থেকে দূরে সরে যাবে, না আমরা যাব….

ওম্ শান্তি । তোমরা সিঙ্গল (একক) আত্মা। প্রত্যেকে বলবে ওম্ শান্তি। ইনি হলেন ডবল, এনাকে দুই বার বলতে হয় ওম শান্তি, ওম শান্তি। বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান — তোমরা এখানে যুদ্ধের ময়দানে বসে আছ। এমনটা নয় যে যেমন লৌকিকে মানুষ নিজেদের মধ্যে লড়াই করে। এইরকম তো ঘরে-ঘরে লড়াই ঝগড়া করে থাকে। অধিকাংশের কথা বলা হচ্ছে। প্রথম নম্বর হচ্ছে দেহ-অভিমান, দ্বিতীয় হলো কামবাসনা। এখন তোমরা স্মরণ শক্তির দ্বারা ৫ বিকার রূপী রাবণকে পরাস্ত করে জয়ী হয়ে ওঠো। স্মরণ শক্তির দ্বারা তোমরা নীচে নামবে না (অধঃপতন)। তোমাদের যুদ্ধ এক রাবণের সাথেই। লৌকিকে অনেক রকমের কথা হয়। এখানে একটাই কথা। তোমাদের যুদ্ধ রাবণের সাথে। কে তোমাদের শেখাচ্ছেন ? পতিত-পাবন ভগবান। তিনিই পতিত থেকে পাবন করে তোলেন। পবিত্র অর্থাত্ দেবতা, তোমরা বিশ্বের মালিক হয়ে ওঠো। কোনো মানুষ বোঝেনা যে রাবণের দ্বারাই তোমরা পতিত হয়েছ। বাবা বুঝিয়েছেন এই সময় সম্পূর্ণ দুনিয়া রাবণ রাজ্য। রামরাজ্য হয় সত্যযুগ, ত্রেতায়। সুতরাং সম্পূর্ণ দুনিয়াই বলবে। কিন্তু ওখানে এতো জনসংখ্যা থাকে না। তোমরা বিশ্বের রাজ্য অধিগ্রহণ করছ যোগবলের দ্বারা। এমনটা নয় যে এখানে বসেই বাবাকে স্মরণ করবে বা স্বদর্শন চক্র ঘোরাবে। প্রতিটি মুহূর্তে এটা বুদ্ধিতে থাকা উচিত, আমরা অর্ধকল্প স্বর্গে রাজত্ব করেছি তারপর রাবণের অভিশাপে নীচে নেমেছি। নীচে নেমে আসতে সময় তো লাগবে। ৮৪ সিঁড়ি নীচে নামতে হয়। উত্তরণের কলায় সিঁড়ি তো থাকে না, যদি থাকত তবে সেকেন্ডে জীবনমুক্তি কিভাবে বলা যেত ? কোথায় তোমাদের ২৫০০ বছর লাগে নীচে নামতে আর কোথায় তোমরা অল্প কিছু বছরের মধ্যেই উত্তরণের কলায় উঠতে থাকো। তোমাদের হলো যোগবল। ওদের বাহুবল। দ্বাপর থেকে নীচে নামতে হয় আর বাহুবলও শুরু হয়ে যায়। সত্যযুগে মারামারি করার কোনও প্রশ্নই নেই। কৃষ্ণকে দেখানো হয়েছে খুঁটির সাথে বাঁধা। এমন কোনো কিছু ঘটেনি। ওখানে বাচ্চারা কখনও চঞ্চল হয়না। কৃষ্ণ তো সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা সম্পূর্ণ। কৃষ্ণকে কত স্মরণ করে। ভালো জিনিস তো স্মরণে আসে তাইনা। যেমন দুনিয়াতে ৭ম আশ্চর্য আছে যা মানুষ স্মরণ করে থাকে, দেখতে যায়। আবুতে অতীব সুন্দর কি এমন জিনিস আছে যা মানুষ দেখতে যায় ? ধর্মীয় মানুষ আসেই মন্দির দেখতে। ভক্তি মার্গে কত মন্দির। সত্যযুগে ত্রেতায় কোনো মন্দির নেই। মন্দির পরে তৈরি করা হয়, স্মৃতিচারণের জন্য। সত্যযুগে কোনো উত্সব ইত্যাদি পালন করা হয় না। দীপাবলিও এমনভাবে হয়না। তবে হ্যাঁ, সিংহাসনে বসলে রাজ্যাভিষেক পালন করা হয়। ওখানে সবার জ্যোতি জাগ্রত অবস্থায় থাকে (দেহী-অভিমানী, আত্মিক স্থিতি)।

তোমাদের কাছে একটা গান আছে- নবযুগ এসেছে …এটা শুধু তোমরাই জানো যে আমরা নবযুগ অর্থাত্ সত্যযুগে দেবী-দেবতা হওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছি। ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন যথার্থ রীতিতে করা উচিত। জ্ঞান অমৃত পান করতে হবে। এই নলেজ হলো সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তকে জানার। এখানে কোনো ভাষা শেখানো হয়না। শুধুমাত্র বাবাকে স্মরণ করতে হবে আর স্বদর্শন চক্র ঘোরাতে হবে, এটুকুই । এখানে তোমরা বসে আছ, স্বদর্শন চক্রধারী। তোমাদের বুদ্ধিতে আছে-আমাদের ৮৪ জন্মের চক্র সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন পুরানো শরীর, পুরানো সম্বন্ধ ত্যাগ করে নতুন নিতে হবে। বিষ্ণুপুরীর মালিক হওয়ার জন্য বাবা পুরুষার্থ করাচ্ছেন। দুনিয়াতে বাকী সবাই হল আসুরিক সম্প্রদায়। ভগবানুবাচ – এখন গীতার যুগ চলছে। এখন কল্প-কল্পের সঙ্গম যুগ। বাবা বলেন – আমি এই কল্পের সঙ্গম যুগে আসি। আমিই সেই গীতার ভগবান। এখানে আসি নতুন দুনিয়া স্বর্গ রচনা করতে, আমি দ্বাপরে কীভাবে যাব। এটাই মস্ত বড় ভুল। কিছু ছোট কিছু বড় ভুল হয়, কিন্তু এটা সবচেয়ে বড় ভুল। শিব ভগবান তো পুনর্জন্ম রহিত, তাঁর পরিবর্তে ৮৪ জন্ম গ্রহণকারীর নাম লেখা হয়েছে। তোমরা জানো যে শ্রী কৃষ্ণ তো এমনটা বলতে পারেন না যে মামেকম্ স্মরণ করো। সব ধর্মাবলম্বীরা তাকে (কৃষ্ণকে) কি মানবে ! শিব তো নিরাকার। তোমরা শিব শক্তি সেনা। শিববাবার সাথে যোগযুক্ত হয়ে শক্তি নিয়ে থাকো। এখানে পুরুষ-মহিলার কোনো বিষয় নেই। তোমরা আত্মারা সবাই হলে ভাই-ভাই। সবাই বাবার কাছ থেকে শক্তি নিচ্ছে। উত্তরাধিকার তো বাবাই দেবেন, তাই না ! বাবা হলেন সর্বশক্তিমান। এই লক্ষ্মী-নারায়ণকেও সর্বশক্তিমান বলা হয়, কেননা সম্পূর্ণ বিশ্বের মালিক হয়। ওরা এই রাজ্য কীভাবে পেয়েছে ? এখন শুধুমাত্র ভারতই নয় সম্পূর্ণ দুনিয়া রাবণ রাজ্য। কোনো রাজত্ব থাকলে বোঝা যায় যে, এর বড়ো কেউ এই রাজত্ব করেছে, যা পরম্পরা ধরে চলে আসছে। এ’সবই সত্যযুগের প্রথমে চলেছিল তবে নিশ্চয়ই পূর্ব জন্মে এমনই পুরুষার্থ করেছিল। পতিত রাজত্ব প্রাপ্ত হয় দান-পুণ্য করার জন্য। এখানে এই সঙ্গম যুগে জ্ঞান আর যোগবল দ্বারা ২১ জন্মের জন্য রাজ্য পেয়ে থাকো। তোমরা জানো এই পুরানো দুনিয়া সম্পূর্ণ বিনাশ হয়ে যাবে। এই শরীরও থাকবে না, সেইজন্য নিজেকে আত্মা মনে করে বাবাকে স্মরণ করতে হবে। বাবা-বাবা বলতে শেখো। যেমন শরীরধারী বাচ্চাকে শেখানো হয় সেও তখন তার লৌকিক পিতাকে স্মরণ করে। এখন আত্মিক পিতা তোমরা বাচ্চাদের বলছেন হে বাচ্চারা, এটা নতুন কথা। বাবা বলেন – এখন আমি আত্মিক পিতাকে স্মরণ করো কেননা ঘরে ফিরে যেতে হবে। আত্মা তো অবিনাশী, শরীর বিনাশী, সুতরাং শক্তিশালী কে হলো ? শরীর আত্মার উপর নির্ভর করেই চালিত হয়। আত্মা চলে গেলে শরীরকে অগ্নি দ্বারা জ্বালিয়ে দিতে হয়। আত্মা হলো অবিনাশী। বিন্দু স্বরূপ। ঐ আত্মাকে কেউ-ই জানে না। যদিও কারো সাক্ষাত্কার হয় তাতে কি! তার তো জানাই নেই যে আত্মা বিন্দু স্বরূপ, আর তার মধ্যে ৮৪ জন্মের অবিনাশী পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। এসবই তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। রাজযোগ শেখান একমাত্র বাবা। বাকি ব্যারিস্টার, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার ইত্যাদি যারা চলে যায়। এখানে মানুষ থেকে দেবতা হতে হবে। ওরাও মানুষ কিন্তু ওদের দেবতা বলা হয়। দেবতা অর্থাৎ দৈবীগুণ ধারণকারী। তোমাদেরও পুরুষার্থ করে দৈবীগুণ ধারণ করতে হবে। এটাই প্রধান লক্ষ্য। তোমরা জানো এই দেবতাদের মধ্যে কোন্ কোন্ গুণ গুলো আছে ! আমাদেরও এমনটাই হতে হবে। প্রজাও তৈরি হবে। প্রজা তো অসংখ্য হবে। রাজা রাণী হতেই পরিশ্রম করতে হয়। যে অধিক পুরুষার্থ করবে সে-ই রাজা-রাণী হবে, যে অনেককে নলেজ দান করবে প্রত্যেকেই নিজের অবস্থান অন্তর্মন দিয়ে বুঝতে পারবে। আত্মা বলে – আমাকে অসীম জগতের পিতার সন্তান হতেই হবে। ওঁনার কাছেই বলিহারি হব, আত্মসমর্পণ করব। যা কিছু আমার কাছে আছে সব নিবেদন করব।ঈশ্বরকে তো দিয়ে থাকে, তাই না ! তুমি এলে আমরা সমর্পিত হব। তার বিনিময়ে নতুন তন-মন-ধন নেব। নতুন মন কীভাবে নেব ? আত্মাকে নতুন (পবিত্র) করব। তারপর শরীরও নতুন নেব। রাজধানীও নেবে ? এখন তোমরা নিতে চলেছ, তাই না ! আত্মা বলে বাবা এই শরীর সমেত তোমার হয়ে গেছি। বাবা আমরা তোমার আশ্রয়ে আসি। এখানে সবাই রাবণ রাজ্যে দুঃখী, সেইজন্য এর থেকে মুক্ত করে নিজেদের রাজধানীতে নিয়ে চলো। শিববাবাকে পেয়ে গেছি আর কি চাই! তোমরা জান শিববাবার শ্রীমত দ্বারা স্বর্গ স্থাপনা হয়। আসুরি রাবণের মত দ্বারা নরক তৈরি হয়। এখন আবারও শ্রীমত অনুসারে স্বর্গ নির্মাণ করতে হবে। যারা কল্প পূর্বে এসেছিল অবশ্যই তারা আসবে। শ্রীমৎ দ্বারা উচ্চ উত্তরণ হবে। রাবণের মতে চললে নীচে (অধঃপতন) নামতে হবে। তোমাদের এখন উত্তরণের কলা, বাকিরা সবাই নিম্নগামীর কলায়। কতো ধর্ম। সত্যযুগে একটাই দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল। এখন প্রায় লুপ্ত হয়ে গেছে। (বোটানিক্যাল গার্ডেনের বট বৃক্ষের দৃষ্টান্ত)।

তোমরা জানো দেবী-দেবতা ধর্মের চিহ্ন তো আছে। অবশ্যই দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। ৫ হাজার বছরের কথা। তোমরা প্রমাণ করে বলতে পারো এটা ৫ হাজার বছরের চক্র। এতে ৪ টি যুগ আছে। প্রত্যেক যুগের আয়ু ১২৫০ বছর। ওরা তো লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। অনেক পার্থক্য থাকার কারণে কারো বুদ্ধিতে বসে না। ওরা মনে করে যেমন আরও অন্যান্য সংস্থা আছে এটাও ঠিক বি.কে.দের সংস্থা। এরা গীতার কথা বলে। গীতা তো কৃষ্ণ ভগবানের, কিন্তু এখানে তো দাদা জহুরি বসে আছেন সুতরাং বিভ্রান্ত তো হবেই না! বাবা বলেন – আমি যেই হই, যেমন হই এই সময় পর্যন্ত কেউ আমাকে জানেনা। শেষে গিয়ে যথার্থ রীতিতে জানবে। এখানেও নম্বরানুসারে যেতে হবে, তবেই তো শ্রীমৎ অনুসারে চলা বড় কঠিন বলে মনে করে। ভালো-ভালো বাচ্চারাও শ্রীমত অনুসারে চলেনা। রাবণ চলতে দেয় না। নিজের মতে চলে থাকে। সামান্য কিছু আছে যারা শ্রীমৎ অনুসারে চলে। এগিয়ে যেতে যেতে সম্পূর্ণ রূপে বাবাকে জানলে তখন শ্রীমত অনুসারে চলবে। আমি যা এবং যেমন, পরে গিয়ে বুঝতে পারবে। এখন জানার চেষ্টা করছে। সম্পূর্ণ জেনে গেলে আর কি চাই। থাকতেও হবে ঘর-পরিবারে কিন্তু শত্রু রূপী মায়া এমনই যে শ্রীমত অনুসারে চলা থেকে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। বাচ্চারা বলে বাবা ভীষণ মায়ার তুফান আসে। মায়া তোমার স্মরণ ভুলিয়ে দেয়। তবে হ্যাঁ তীব্র পুরুষার্থ করতে-করতে শেষে মায়াও ক্লান্ত হয়ে পড়বে। মালাও মুখ্য ৮ রত্নের। ৮ রত্নের-জুড়ি । নবম রত্ন শিববাবাকে মাঝখানে রাখা হয়। কেউ লাল রঙের তৈরি করে, তো কেউ সাদা রঙের। শিববাবা তো বিন্দু। বিন্দু লাল হয়না। বিন্দু তো সাদাই হয়। অতি সূক্ষ্ম রূপ। দিব্য দৃষ্টি ছাড়া কেউ-ই দেখতে পারবেনা। ডাক্তার ইত্যাদি কত চেষ্টা করে দেখার। কিন্তু দেখতে পায়না কেননা অব্যক্ত বস্তু না সেইজন্য জিজ্ঞাসা করে – তোমরা বল আমরা আত্মা, আচ্ছা আত্মাকে কবে দেখেছ ? নিজেকেই দেখতে পাওনা তবে বাবাকে কিভাবে দেখবে ? আত্মাকে জানতে হবে কিভাবে তার মধ্যে পার্ট সঞ্চিত হয়ে আছে। এ বিষয়ে কেউ-ই কিছু জানেনা। ৮৪ -র পরিবর্তে ৮৪ লক্ষ বলে থাকে। বাবা এসেই বাচ্চাদের কাছে সব বিষয়ে বুঝিয়ে থাকেন। আজকের ভারত কেমন,ভবিষ্যতের ভারত কেমন হবে ! মহাভারতের লড়াইও আছে। তিনি এসে গীতা জ্ঞান দিয়েছেন, এটা রুদ্র যজ্ঞও। সব ধর্মের বিনাশ, এক ধর্মের স্থাপনা হতে চলেছে।

এ’ হলো শিববাবার ভান্ডারা, যেখান থেকে তোমরা পবিত্র ভোজন গ্রহণ করে থাকো। ব্রাহ্মণ-ব্রাহ্মণীরা এই ভোজন তৈরি করে, সেইজন্যই তাদের অপরাম অপার মহিমা। এই ভোজন গ্রহণ করে তোমরা সবাই পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার মালিক হয়ে ওঠো, সেইজন্যই পবিত্র ভোজন গ্রহণ করা ভালো। তোমরা যত উচ্চে উঠতে পারবে ততই শুদ্ধ ভোজন পাবে। যোগযুক্ত হয়ে ভোজন তৈরী করলে অধিক শক্তি পাওয়া যায়, যত এগিয়ে যাবে এই রকম অনেককে দেখতে পাবে। সার্ভিসেবল বাচ্চা যারা সেন্টারে থাকে, তারা নিজের হাতেই ভোজন তৈরী করে যদি গ্রহণ করে তবে অধিক শক্তিশালী হতে পারে। যেমন পতিব্রতা স্ত্রী, তার স্বামী ছাড়া আর কাউকে স্মরণ করেনা। তেমনই বাচ্চারা তোমরাও স্মরণে থেকে ভোজন তৈরি করে খাও তবে অধিক শক্তি পাবে। বাবার স্মরণে থেকে তোমরা বিশ্বের বাদশাহী নিয়ে থাকো। বাবা পরামর্শ তো দিয়ে থাকেন কিন্তু কারো বুদ্ধিতেই আসে না। এগিয়ে যেতে-যেতে হতে পারে – বলবে আমরা নিজের হাতে যোগযুক্ত হয়ে ভোজন তৈরি করলে, সবার কল্যাণ হবে।

বাবা বাচ্চাদেরকে সকল প্রকারের মত দিয়ে থাকেন ! ত্রিমূর্তির চিত্র সামনে রাখো। উত্তরাধিকার শিববাবার কাছ থেকে নিতে হবে। কিছু না কিছু যুক্তি রচনা করো। বাবা(ব্রহ্মা) নিজের দৃষ্টান্ত দিয়ে বলেন — ভক্তি মার্গে আমি নারায়ণের চিত্রকে খুব ভালোবাসতাম। ওঁনাকে স্মরণ করলে চোখে জল এসে যেত। কেননা ঐ সময় বৈরাগ্য এসেছিল। ছোটবেলা থেকেই বৃত্তি বৈরাগ্যর প্রতিই ছিল। এসবই হলো অসীমের বিষয়। আবারও বলেন মন্মনাভব। যোগযুক্ত হয়ে থাকলেই তোমরা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হতে পারবে। স্মরণে থাকার জন্য উৎসাহ থাকতে হবে। তোমরা শ্রীমৎ পেয়ে থাকো, বাবা বলেন স্মরণ করো। আমি সৃষ্টির রচয়িতা সুতরাং তোমরাও তো নতুন দুনিয়ার মালিক হবে তাইনা। নয়তো দন্ডও ভোগ করবে আর পদও ভ্রষ্ট হয়ে যাবে। মৃত্যুর আগে বাচ্চাদের এই উত্সাহ থাকা উচিত যে আমরা সতোপ্রধান কীভাবে হবো।বাবাকে স্মরণ অবশ্যই করতে হবে। এটাই হলো সবচেয়ে বড় উৎসাহ বা নেশা। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদের জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) যোগযুক্ত হয়ে নিজের হাতে ভোজন তৈরী করে খেতে হবে। পবিত্র দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য পবিত্র ভোজন গ্রহণ করতে হবে। ওতেই শক্তি আছে।

২ ) নতুন তন-মন-ধন প্রাপ্ত করার জন্য পুরানো সবকিছুই বাবাকে অর্পণ করে দিতে হবে। এই শরীর সমেত বাবার প্রতি সমর্পিত হতে হবে।

বরদানঃ-

যে মহান আত্মা হয় তার প্রতিটি ব্যবহার সর্ব আত্মাদের সুখ প্রদান করে থাকে। সে সুখ দেয় আর সুখ নিয়ে থাকে। সুতরাং চেক করো মহান আত্মা রূপে সারাদিনে সবাইকে সুখ প্রদান করে পুণ্যের কাজ করেছ ? পুণ্য অর্থাৎ কাউকে এমন জিনিস দেওয়া যাতে ঐ আত্মার থেকে আশীর্বাদ আসে। সুতরাং চেক করো যে প্রত্যেক আত্মার থেকে আশীর্বাদ আসছে। আমি কাউকে দুঃখ দিইনি বা নিইনি তো ! তবেই বলা হবে মহান আত্মা।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top