20 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
19 November 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - সবাইকে এক বাবার পরিচয় দাও, এক বাবার সাথেই লেন-দেন রাখো, বাবাকেই নিজের সত্যিকারের পোতামেল (দিনচর্যার রিপোর্ট) দাও"
প্রশ্নঃ --
বাচ্চাদের এখনও পর্যন্ত অনেক প্রকারের ভুল হতে থাকে, তার কারণ কী ?
উত্তরঃ -:-
মুখ্য কারণ হল – যোগে অত্যন্ত কাঁচা। বাবার স্মরণে থাকলে কখনোই খারাপ কাজ করতে পারে না। নাম রূপে যদি ফেঁসে যায়, তখন যোগ লাগে না । তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার ধুন-এ মেতে থাকো। নিরন্তর শিববাবার স্মরণে থাকো, তোমাদের নিজেদের মধ্যে জাগতিক ভালোবাসা রাখা উচিত নয় ।
গান:-
জ্বলে মরবে না কেন বহ্নি-পতঙ্গ..
ওম্ শান্তি । ভক্তি মার্গের এই গীত তোমরা গেয়ে এসেছো। শেষ পর্যন্ত এই সব কিছু বন্ধ হয়ে যাবে, এ’সবের দরকার নেই। গায়নও আছে এক সেকেন্ডে অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । তোমরা জানো যে – বেহদের বাবার কাছ থেকে জীবনমুক্তির অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । জীবনমুক্তি অর্থাৎ এই দুঃখ ধামের থেকে মুক্ত, ভ্রষ্টাচারিতার থেকে মুক্ত। তখন কী হয়ে উঠবে ? তার জন্য এইম অব্জেক্ট তো খুব ভালো ভাবেই বাবা বুঝিয়ে দিয়েছেন। বাবা গতকাল রাতেও বুঝিয়েছিলেন যে, কেউ এলে প্রথমে পরিচয় দাও উচ্চ থেকেও উচ্চ ভগবানের । লোকে জিজ্ঞাসা করে – এখানকার উদ্দেশ্য কী ? তো প্রথমে পরিচয় দেবে অসীম জগতের পিতার । তিনি এখন বলছেন আমাকে তোমরা স্মরণ করো তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । গেয়েও থাকে হে পতিত-পাবন এসো। সুতরাং বাবার নিশ্চিতই কোনো অথরিটি আছে। কোনো পার্ট তো নিশ্চয়ই প্রাপ্ত হয়েছে। তাঁকে বলা হয় – উচ্চ থেকেও উচ্চ পিতা। তিনি ভারতেই আসেন। ভারতকেই এসে উচ্চ থেকেও উচ্চ বানান। বৈকুন্ঠের সওগাত নিয়ে আসেন। মনুষ্য সৃষ্টির মধ্যে উচ্চ থেকেও উচ্চ হল দেবী-দেবতারা। সূর্যবংশী ঘরানা, যারা সত্যযুগে রাজত্ব করতো। সত্যযুগের স্থাপক হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ ভগবানই। তাঁকে বলাও হয় হেভেনের স্থাপনাকারী, হেভেনলী গড ফাদার। তিনি হলেন বাবা। তাঁর বিষয়ে এমন বলা হবে না যে, বাবা হলেন সর্বব্যাপী। সর্বব্যাপী বললে বাবার উত্তরাধিকার বাদ হয়ে যায় । কতো মিষ্টি ব্যাপার, বাবা মানে হল অবিনাশী উত্তরাধিকার। তিনি নিশ্চয়ই তাঁর বাচ্চাদেরকেই বর্সা দেবেন। সকল বাচ্চাদের বাবা হলেন সেই একজনই। তিনি এসে সুখ শান্তির বর্সা দেন, রাজযোগ শেখান। বাকি তো সব আত্মারা হিসাব-পত্র মিটিয়ে দিয়ে পরমধাম গৃহে ফিরে যাবে। এখন পুরানো দুনিয়ার অবসান হবে। তার জন্যই হল এই মহাভারতের যুদ্ধ। অনেক ধর্মের বিনাশ আর একটি ধর্মের স্থাপনা হয়। বুদ্ধিও বলে অবশ্যই কলিযুগের পরে সত্যযুগ আসা উচিত। দেবী-দেবতাদের হিস্ট্রি রিপিট। গাওয়াও হয়ে থাকে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হয়। উচ্চ থেকেও উচ্চ পদ প্রাপ্ত করান।
বাবা বলেন – বাচ্চারা এই অন্তিম জন্মে পবিত্র হও। এখন মৃত্যুলোক মুর্দাবাদ আর অমরলোক জিন্দাবাদ হয়। তোমরা সবাই হলে পার্বতী, অমরকথা শুনছো। পুত্র – কন্যা দুইই অমর হবে। একে অমরকথা বলো, তিজরীর কথা বলো। বেশীরভাগ মাতা’রাই কথা শুনতে যায়। অমরপুরীতে পুরুষ থাকবে না নাকি ? দুইই থাকবে। এ’ কথা বাবা’ই বোঝান যে, ভক্তি মার্গের শাস্ত্র কী বলে আর বাবা কী বলেন। এও বলা হয় ভক্তির ফল ভগবান দিতে আসেন। অবশ্যই সত্যযুগে বিশ্বে দেবী-দেবতাদের রাজত্ব ছিল । তাদেরকে ফল কে দিয়েছিলেন ? সাধু সন্ন্যাসী কেউ তো দিতে পারে না। তোমরা এও জানো যে, ভক্তিও সবাই এক রকম করে না। যারা ভক্তি করবে তাদের ফলও তদনুরূপই প্রাপ্ত হবে। যারা পূজ্য ছিলেন তারাই পূজারী হয়ে আবার পূজ্য হবেন । ভক্তির ফল তো প্রাপ্ত হবেই, তাই না ? এই সব কথাও বোঝাতে হয়। সবার আগে ত্রিমূর্তির কথা বোঝাতে হবে। এমন না হয় যে প্রথমেই সিঁড়ির চিত্রের কাছে নিয়ে গেলে। এ’সব হল ডিটেলের ব্যাপার। সর্ব প্রথমে পরিচয় দিতে হবে বাবার। তিনি হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ । তারপরে ব্রহ্মা – বিষ্ণু শংকরের এরপর লক্ষ্মী-নারায়ণের। ভক্তি মার্গের তো অসংখ্য চিত্র রয়েছে। সবার প্রথমে বলো বেহদের বাবার কথা। ওঁনার থেকে আমরা বেহদ স্বর্গের উত্তরাধিকার নিই। তিনি হলেন উচ্চ থেকেও উচ্চ ভগবান, বর্সাও তাই উচ্চ থেকেও উচ্চ দেবেন। ভারতে শিব জয়ন্তী পালিত হয়ে থাকে, তাহলে নিশ্চয়ই হেভেনলি গড ফাদার এসে হেভেন স্থাপন করেছেন ? বাবা স্বর্গ স্থাপন করেন, তারপর ৫ হাজার বছর পরে সেটা নরক হয়ে যায়। রামকেও আসতে হয় আবার সময় কালে রাবণকেও আসতে হয়। রাম দেন অবিনাশী উত্তরাধিকার, রাবণ দেয় অভিশাপ। জ্ঞান অর্থাৎ দিন শেষ হয়ে রাত হয়ে গেছে। দিন তো কেবল সূর্যবংশী, চন্দ্রবংশী। এই সব কথা নাটশেলে (সার রূপে) বোঝানো খুব সহজ। সবার প্রথমে বাবার পরিচয় দিয়ে পরিপক্ক করা উচিত। মূল কথা তো হল এটাই। সত্যযুগে দেবী-দেবতাদের বংশ ছিল। সতোপ্রধান ছিলে, তারপর সতঃ-রজঃ-তমঃতে এসেছে। এটা হল চক্র । একটাই জিনিস চিরকাল বজায় থাকতে পারে না। বাচ্চারা, তোমাদের বুদ্ধিতে এটাই যেন স্মরণে থাকে যে, উচ্চ থেকে উচ্চ বাবাকে স্মরণ করতে হবে। এই স্মরণেই খুব কাঁচা। বাবাও নিজের অনুভবের কথা বলেন যে, স্মরণ করতে মাঝে মাঝেই ভুলে যায়, কিন্তু এনার খুব খেয়াল থাকে। সেই কারণেই তো বলা হয় যার মাথায় এত দায়িত্বের বোঝা, সে স্মরণে কীভাবে থাকতে পারে ! বাবার তো সারা দিন কতো কতো বিষয় নিয়ে ভাবতে হয়। কতো বিষয় সামনে এসে উপস্থিত হতে থাকে। বাবার সকালে উঠে স্মরণে বসতে বেশী মজা আসে। সাথে নেশাও থাকে যে, ব্যস্, এই স্থাপনা হয়ে যাওয়ার পরে আবার আমি বিশ্বের মহারাজা হবো। বাবা যেমন নিজের অনুভবের কথা বলেন যে, সবার আগে মুখ্য বিষয় হল – বাবার পরিচয়। আর যে কোনো বিষয়েই যে যেটাই বলবে বলো এ’সব কথায় কোনো কাজ নেই। আমরা তোমাদেরকে পরিচয় করাচ্ছি উচ্চ থেকেও উচ্চ বাবার। তিনিই উচ্চ থেকেও উচ্চ উত্তরাধিকার দেন মালিক হওয়ার। আর্য সমাজের লোকেরা দেবতাদের চিত্রকে মানে না। তোমাদের কাছে চিত্র দেখলে তারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। যাদের বর্সা নেওয়ার আছে তারা শান্তিপূর্ণ ভাবে এসে শুনবে। মুখ্য কথা হলই একটিই, তা হল উচ্চ থেকেও উচ্চ ভগবানের । উচ্চ থেকেও উচ্চ ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকরকে বলা যাবে না। উচ্চ থেকেও উচ্চ বাবার থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। তিনিই হলেন পতিত-পাবন । এই কথাটিকে ভালো মতো পাকা করে নাও। গড ইজ ওয়ান। বাবা মানেই হল উত্তরাধিকার। ভারতে এসে তিনি উত্তরাধিকার প্রদান করেন। ব্রহ্মার দ্বারা নতুন দুনিয়ার স্থাপনা, শংকরের দ্বারা বিনাশ। এই মহাভারতের যুদ্ধের দ্বারাই স্বর্গের গেট খোলে। পতিত থেকে পবিত্র হয়। বেহদের বাবার কাছ থেকেই ভারত বর্সা প্রাপ্ত করছে। দ্বিতীয় আর কোনো কথা নয়। এই একটিই কথা, বাবা বলেন – আমাকে স্মরণ করো যাতে তোমাদের মধ্যেকার খাদ বেরিয়ে যায় । এই একটি কথা যখন বুঝে যাবে তখন অন্য বিষয় গুলি বোঝাবে। এই যে সব চিত্র গুলি রয়েছে এসব হল খুচরো বিষয়। আমি তোমাদেরকে বলছি জ্ঞান অমৃত পান করে পবিত্র হও। তারা বলে বিষ চাই । তার ওপরে এই সব চিত্র রয়েছে, তখন তারা বলে অমৃত ফেলে বিষ কেন খাবো। এই রূহানী নলেজ স্পীরিচুয়াল ফাদারই দেন। সেই পিতা সর্বব্যাপী কীকরে হতে পারেন ? তোমরা বাবাকে সর্বব্যাপী মানতে চাও তো মানো, আমরা এখন মানবো না। আগে আমরা মানতাম। এখন বাবা বলছেন এটা হল ভুল। বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া যায়। এখন ভারত হল নরক। তাকে পুনরায় আমরা স্বর্গ অর্থাৎ পবিত্র গার্হস্থ আশ্রম বানাচ্ছি। আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের পবিত্র গার্হস্থ আশ্রম ছিল। এখন হল অপবিত্র ভিশস (অপবিত্র) দুনিয়া । বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। উচ্চ থেকেও উচ্চ শিব বাবা হলেন ক্রিয়েটর, তাঁর কাছ থেকেই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এখন কলিযুগে মানুষের সংখ্যা অসংখ্য, সত্যযুগে মানুষের সংখ্যা খুব কম থাকে। সেই সময় বাকি সব আত্মারা পরমধামে থাকে। তাহলে নিশ্চয়ই এখন যখন যুদ্ধ লাগবে তখনই তো সবাই মুক্তিতে যাবে। এই সব কথা বাচ্চাদের বুদ্ধিতে থাকা উচিত। বাচ্চাদের অবশ্যই সার্ভিস করা উচিত । সার্ভিসের দ্বারাই উচ্চ পদ পাবে। এমন যেন না হয় যে, নিজেদের মধ্যে বনিবনা হল না আর শিব বাবাকে ভুলে গেলে বা শিব বাবার সার্ভিস করা ছেড়ে দিলে। তাহলে তো এই পদ ভ্রষ্ট হয়ে যাবে । তখন এই সার্ভিস করবার পরিবর্তে ডিস্-সার্ভিস করে ফেলবে। নিজেদের মধ্যে লবণাক্ত হয়ে সার্ভিস ছেড়ে দেওয়া, এর থেকে খারাপ কাজ আর কিছু নেই। বাবাকে স্মরণ করো, তাহলে উপার্জনও হবে। এখন জ্ঞান প্রাপ্ত হয়েছে, তাই হোলি হও আর বাবাকে স্মরণ করো। ধুরিয়া (হোলির পরের দিন পিচকারি দিয়ে রঙ খেলা) বলা হয় জ্ঞানের রিমঝিমকে (বাবার জ্ঞানের রঙ লাগা)। বলা হয় জ্ঞান এবং বিজ্ঞান। বিজ্ঞান হল যোগ, জ্ঞান হল সৃষ্টি চক্রের। হোলি – ধুরিয়া এর অর্থ মানুষ কিছুই বোঝে না। বাবাকে স্মরণ করা আর সবাইকে জ্ঞান শোনানো। বাবা বারে বারে বোঝান যে – উচ্চ থেকে উচ্চ বাবাকে সর্বব্যাপী বলা যায় না। তাহলে নিজে কাকে স্মরণ করবে ? বাবা বলেন – নিরন্তর আমাকে স্মরণ করো। কিন্তু রচয়িতাকে না জানলে কী পাবে ? না জানার কারণে সর্বব্যাপী বলে দেয়। সুতরাং তিনি যে উচ্চ থেকেই উচ্চ তা প্রমাণ দিয়ে বুঝিয়ে দিলে তখন সর্বব্যাপীর বিষয়টা বুদ্ধি থেকে দূর হয়ে যাবে। আমরা সবাই হলাম ব্রাদার্স। বাবা প্রতি ৫ হাজার বছর অন্তর এসে বর্সা দেন। তার দ্বারাই আমরা স্বর্গের দেবী-দেবতা হবো। বাকিরা সবাই মুক্তিতে চলে যাবে। সবাইকে বাবার পরিচয় দিতে থাকো। তারা ক্রাইস্টের প্রেয়ার করে। বলো ক্রাইস্ট তো সকলের ফাদার নয় । সকলের ফাদার হলেন নিরাকার । যাকে আত্মা আহ্বান করে – ও গড ফাদার। বলা হয়ে থাকে ক্রাইস্ট হল তাঁর সন। সন এর কাছ থেকে উত্তরাধিকার কীকরে প্রাপ্ত হবে ? ক্রাইস্ট তো হল রচনা। এই রকম কোনো শাস্ত্রেই লেখা নেই যে ক্রাইস্টকে স্মরণ করলে আত্মা তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। একমাত্র গীতাতেই আছে মামেকম্ স্মরণ করো। গড ফাদারের শাস্ত্র হল গীতা। কেবল বাবার নাম বদলে দিয়ে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে। এই ভুল করে দিয়েছে। উচ্চ থেকেও উচ্চ হলেন বাবা, তিনি সুখ শান্তির বর্সা প্রদান করেন। শিবের চিত্র সবাই নিজের কাছে রাখবে (সেবার উদ্দেশ্যে) । শিব বাবা এই বর্সা দেন, তারপর ৮৪ জন্মে আমরা সে সব হারিয়ে ফেলি। সিঁড়ির চিত্রের উপরে বোঝানো উচিত – পতিত-পাবন বাবা’ই এসে পবিত্র হওয়ার যুক্তি বলে দেন। তারা বলে হে কৃষ্ণ ভগবানুবাচ, তোমরা বলে থাকো শিব ভগবানুবাচ। ফার্স্ট ফ্লোরে সর্বোচ্চ শিব বাবা থাকেন, তারপর সেকেন্ড ফ্লোরে হল সূক্ষ্মলোক। আর এটা হল থার্ড ফ্লোর। সৃষ্টি হল এখানে, পরে সূক্ষ্মলোকে যায়। সেখানে ট্রাইব্যুনাল বসে, শাস্তি লাভ হয়। শাস্তি ভোগ করে পবিত্র হয়ে চলে যাবে উপরে। বাবা সব বাচ্চাদেরকে নিয়ে যান। এখন হল সঙ্গমযুগ। একে ১০০ বছর দিতে হবে। বাচ্চারা জিজ্ঞাসা করে স্বর্গে কী কী থাকবে ? বাবা বলেন সে’সব পরে যত এগিয়ে যাবে দেখতে পাবে। আগে তোমরা বাবাকে জানো, পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার ধুনে থাকো। স্বর্গে যা হওয়ার হতে থাকবে। তোমরা এমন পবিত্র হও যাতে বাবার সম্পূর্ণ বর্সা তোমরা পেয়ে যাও নতুন দুনিয়ার জন্য। মাঝে কী হবে না হবে এও পরে গিয়ে দেখতে পাবে। অতএব এ’সব কথা স্মরণে রাখতে হবে। স্মরণে না থাকার কারণে সময় মতো বুঝতে পারো না, ভুলে যাও তোমরা । কর্মও বাচ্চাদের খুব ভালো করতে হবে। বাবার স্মরণে থাকলে তখন খারাপ কর্মও হবে না। অনেকে খারাপ কাজও করে। এমনি কি সেই ব্রাহ্মণীকে ভালো লাগে ? সেই ব্রাহ্মণী চলে গেলে সেও শেষ। ব্রাহ্মণীর কারণে সেও মরে গেল । অর্থাৎ বাবার কাছ থেকে বর্সা নেওয়ার থেকে মরে গেল। এও দুর্ভাগ্য বলা যায়।
কোনো কোনো বাচ্চা একে অপরের নাম রূপে ফেঁসে মরে। এখানে তোমাদের শারীরিক ভালোবাসা থাকা উচিত নয়। নিরন্তর শিব বাবাকে স্মরণ করতে হবে। কারো সাথেই কোনো লেনাদেনা নেই। বলো আমাদেরকে কেন দিচ্ছো ? তোমাদের যোগ তো হল শিব বাবার সাথে, তাই না ? যে ডায়রেক্ট দেয় না, তার শিব বাবার কাছে জমা হয় না। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা হয়, অতএব তাঁর দ্বারাই সব কিছু করতে হবে। মাঝখানে কেউ যদি খেয়ে নেয় তবে তো শিব বাবার কাছে জমা হল না। শিব বাবাকে দিতে হলে দাও থ্রু ব্রহ্মা। সেন্টার থ্রু ব্রহ্মাই খোলো। নিজেই সেন্টার খুললে থোড়াই সেটা সেন্টার হল ? বাপদাদা দু’জনই একসাথে। তাঁর হাতে আসা অর্থাৎ শিব বাবার হাতে আসা। কতো সেন্টার রয়েছে যাদের কোনো খবরই আসে না। লেখা উচিত শিব বাবা এটা হল আপনার সেন্টারের পোতামেল। শেঠের কাছে পোতামেল আসা উচিত তাই না ? অনেকেরই শিব বাবার কাছে জমা হয় না। এই বুদ্ধিটুকুও নেই। হয়ত জ্ঞান অনেক আছে কিন্তু যুক্তি পায় না। ব্যস্ আমরা সেন্টার খুলে দিলাম। তুমি যাকে দিলে সে সেন্টার খুলল। সেটা থোড়াই শিব বাবা খুললেন ! সেই সেন্টার তখন তীব্র গতিতে এগোতেও পারে না। সেন্টার যদি খুলতে হয়, তবে শিব বাবার থ্রু। শিব বাবা আমরা এটা দিচ্ছি, এটাকে (যজ্ঞে) লাগিয়ে দেবেন। বাচ্চারা ভুলও অনেক করে। যোগে তারা খুব কাঁচা। আচ্ছা !
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) জ্ঞানের সাথে সাথে নিজের ভবিষ্যৎ তৈরী করবার যুক্তিও শিখতে হবে। একমাত্র বাবার কাছ থেকে বর্সা নিতে হবে। কোনো দেহধারীর কারণে হতভাগ্য হয়ো না।
২ ) নিজেদের মধ্যে কোনো কিছুর কারণেই বাবার সার্ভিস ছেড়ে দেবে না। ভোর বেলায় উঠে নিজের সাথে কথা বলতে হবে। স্মরণ করবার পরিশ্রম করতে হবে।
বরদানঃ-
সব থেকে পাওয়ারফুল স্টেজ হল নিজের অনুভব । অনুভাবী আত্মা নিজের অনুভবের উইল পাওয়ারের দ্বারা মায়ার যে কোনো পাওয়ারের, যে কোনো কথা বা বিষয়কে, সকল সমস্যাকে সহজেই মুখোমুখি করতে পারে আর অন্য সব আত্মাদেরকে সন্তুষ্টও করতে পারবে। মুখোমুখি হতে পারার শক্তির দ্বারা সকলকে সন্তুষ্ট করবার শক্তি অনুভবের উইল পাওয়ারের দ্বারা সহজেই প্রাপ্ত হয়ে থাকে । সেইজন্য সকল খাজানাকে অনুভবে নিয়ে এসে অনুভবী মূর্তি হও।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!