20 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 19, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - নিজের এই জীবনকে কড়ি থেকে হীরে তুল্য বানাতে হ'লে সময়কে সফল করো, অবগুণ গুলিকে বিতাড়িত করো, আহার, নিদ্রায় সময় নষ্ট ক'রো না"

প্রশ্নঃ --

মানুষ কোন্ একটি শব্দের দ্বারা সকলকে ভগবানের রূপ ভেবে নিয়েছে?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন এই সময় আমি হলাম বহুরূপী, এইরকম নয় যে, এখানে যখন মুরলী চলছে তখন পরমধাম খালি হয়ে যায়, আমায় তো এখন অনেক কাজ করতে হয়, অনেক সার্ভিস চলতে থাকে। বাচ্চাদেরকে, ভক্তদেরকে সাক্ষাৎকার করাতে হয়। এই সময় আমি হলাম বহুরূপী, এই একটি শব্দের জন্যই মানুষ বলে থাকে এ সবই হল ভগবানের রূপ।

প্রশ্নঃ --

বাবার কোন্ শ্রীমৎ পালনকারী বাচ্চারা হল সুসন্তান?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন বাচ্চারা কখনোই ডিস্ সার্ভিস ক’রো না, সময় হল খুবই মূল্যবান, একে নিদ্রাতে অতিবাহিত ক’রো না, কমপক্ষে ৮ ঘন্টা আমার জন্য দাও। এই শ্রীমৎ পালনকারীরাই হল সুসন্তান।

গান:-

তোমরা রাত নষ্ট করলে ঘুমিয়ে, দিন নষ্ট করলে খেয়ে, অমূল্য এ’জীবন বৃথা চলে যায়..

ওম্ শান্তি । বাচ্চাদেরকে বাবা বোঝাচ্ছেন। বাচ্চারা জানে যে – আমরা হলাম সকলে বাবার সন্তান । আমাদের শরীরের পিতা তো হলই শারীরিক কিন্তু আত্মা যেটি হল অশরীরী সেটির পিতাও হলেন অশরীরী। বাবা বুঝিয়েছেন বেহদের পিতার থেকে বেহদের সুখের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়। এখন যেটার শুরু হয় সেটা ত্রেতার শেষ পর্যন্ত চলতে থাকে। তোমরা এখন পুরুষার্থ করছো, ভবিষ্য ২১ জন্মের প্রালব্ধের জন্য। আবার পরবর্তী সময়ে হদের শুরু হবে, বেহদের সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এ হলো গূহ্য কথা তাই না। জানেও অর্ধকল্প আমরা হদের পিতার থেকে উত্তরাধিকার নিয়েছি আর বেহদের পিতাকে স্মরণ করে এসেছি। আত্মার সম্বন্ধে সকলেই হল ভাই। উঁনি হলেন পিতা। বলেও থাকে আমরা আত্মারা হলাম ভাই-ভাই আবার যখন মনুষ্য সৃষ্টির রচনা করা হয় তখন ভাই বোন হয়ে যায়। এটি হলো নতুন রচনা তাই না। পরবর্তী সময়ে পরিবার বৃদ্ধি পেতে থাকে। কাকা, জ্যাঠা, মামা সব পরবর্তী সময়ে হয়। এই সময় বাবা রচনা সৃষ্টি করছেন। পুত্র আর কন্যারা আছে, অন্য কোনো সম্বন্ধ নেই। এখন তোমরা জীবিত অবস্থায় ভাই বোন হয়ে যাও। অন্য কোনো সম্বন্ধের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই। এখন তোমরা নতুন জন্ম প্রাপ্ত করেছো। জানো যে আমরা হলাম এখন ঈশ্বরীয় সন্তান, শিববংশী ব্রহ্মাকুমার কুমারী। ব্রহ্মাকুমার ব্রহ্মাকুমারীদের অন্য কোনো সম্বন্ধ নেই। এই সময় সমগ্র দুনিয়া হল পতিত, এদেরকে পবিত্র বানাতে হবে। বলে বাবা আমরা হলাম আপনার। বাবা বলেন বাচ্চারা, ভবিষ্যতের জন্য পুরুষার্থ করে নিজের জীবন হীরে তুল্য বানাতে হবে। সারাদিন কেবল খাওয়া-দাওয়া, রাতে নিদ্রা আর বাবাকে স্মরণ না করা…… এর দ্বারা কেউই হীরে তুল্য জন্ম প্রাপ্ত করতে পারবে না। বাবা বলেন – শরীর নির্বাহের জন্য কর্ম করে, গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে কমল পুষ্প সমান হতে হবে। বোঝেও যে আমরা কড়ি থেকে হীরে তুল্য অর্থাৎ মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি। মানুষের মধ্যে তো অনেক অবগুণ থাকে। দেবতাদের মধ্যে গুণ থাকে তাই তো মানুষ দেবতাদের সামনে গিয়ে নিজেদের অবগুণের কথা বলে তাই না। আপনারা হলেন সর্বগুণ সম্পন্ন….. আমরা হলাম পাপী নীচ। এখন বাবা বলেন নিজেদের ভিতরের আসুরী গুণ গুলিকে বিতাড়িত করে ঈশ্বরীয় দৈবী গুণ ধারণ করতে হবে। বাবা তো হলেন নিরাকার, মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। উঁনি হলেন সত্য, চৈতন্য, জ্ঞানের সাগর। এই জ্ঞান তো বুদ্ধিতে আছে তাই না। এটা হলো নতুন জ্ঞান। কোনো বেদ শাস্ত্রে এই জ্ঞান নেই। এখন তোমরা যা শুনছো সেটি আবার প্রায়ঃ বিলুপ্ত হয়ে যাবে। এখন তোমরা জানো যে আমরা আসুরী গুণ সম্পন্ন মানুষ থেকে দৈবীগুণ ধারণ করে বাবার দ্বারা দেবতায় পরিণত হচ্ছি। পাপের বোঝা যেটা মাথার উপরে আছে তা বাবার স্মরণের দ্বারা আমরা ভস্ম করছি। ভক্তি মার্গে তো এটাই শুনিয়ে এসেছে যে জলে স্নান করায় পাপ ভস্মীভূত হয়ে যাবে। কিন্তু জলেতে তো পবিত্র হওয়া যায় না। যদি এইরকম হতো তাহলে আবার পতিত-পাবন পিতাকে কেন স্মরণ করে। কিছুই বোঝে না। বুঝদার আর অবুঝ এটাও একটা নাটক হয়ে রয়েছে। এখন তোমরা কত বুঝদার হচ্ছো। সমগ্র সৃষ্টি চক্রকে জানো। হিস্ট্রি-জিওগ্রাফিকে জানা এটার জন্যও বুদ্ধির দরকার তাই না। যদি না জানে না তাহলে তাকে অবুঝ বলা হবে তাই না।

এখন তোমরা বাচ্চারা জানো। বাবার নিজের পরিচয় নিজের বাচ্চাদেরকে দিয়েছেন যে আমি এসেছি তোমাদেরকে হীরে তুল্য বানানোর জন্য। এইরকম নয় যে এখানে শুনলে গিয়ে আহার পানীয় পান করে যেরকম আগে চলছিলে… সেটি তো ছিল কড়ি তুল্য জীবন। দেবতাদের হল হীরে তুল্য জীবন। তারা তো স্বর্গে সুখ ভোগ করে। চিত্রও তো আছে তাই না। আগে তোমরা জানতে না যে আমরাই সুখী ছিলাম, এখন আমরা দুঃখী হয়েছি। আমরা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়েছি – এটা জানতে না। এখন আমি এগুলি বলি। এখন তোমরা অন্যদেরকেও বোঝানোর যোগ্য হয়েছো। বাবা বুঝদার বানিয়েছেন তাহলে অন্যদেরকেও বোঝাতে হবে। এইরকম নয় যে ঘরে ফিরে আবারও সেই পুরাতন আচার আচরণে থেকে যাবে। শিক্ষা প্রাপ্ত করে আবার অন্যদেরকেও শিক্ষা দাও। বাবার পরিচয় দেওয়ার জন্য বাইরে যেতে হয়। বেহদের পিতা সকলেরই হল এক। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীরা ওঁনাকেই আহ্বান করে, হে পরমপিতা পরমাত্মা বা হে প্রভু। এইরকম কেউই নেই যে পরমাত্মাকে স্মরণ করে না। প্রত্যেক ধর্মাবলম্বীদের পিতা হলেন এক। এক-কেই সকলে স্মরণ করে। বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করার জন্য অধিকার সকলেরই আছে । উত্তরাধিকারের বিষয়েও বোঝাতে হবে। বাবা কোন্ উত্তরাধিকার দেন ? মুক্তি আর জীবনমুক্তি। এখানে তো সকলেই জীবনবন্ধে রয়েছে । বাবা এসে সকলকে রাবণের বন্ধন থেকে ছাড়ান। এই সময় কেউই জীবনমুক্ত নেই কেন না এটি হলো রাবণ রাজ্য। সকলেই হল দেহ-অভিমানী। দেবতারা দেহী-অভিমানী হওয়ায় জানেন যে আমরা আত্মারা এক শরীর পরিত্যাগ করে অন্য ধারণ করি। কেবল পরমাত্মাকে জানে না। পরমাত্মাকে জানলে তাহলে সমগ্র সৃষ্টি চক্রকে জেনে যাবে। ত্রিকালদর্শী কেবল তোমরাই হও। ব্রাহ্মণদেরই বাবা বসে ত্রিকালদর্শী বানান। দেবতারাও যখন ত্রিকালদর্শী নন তাহলে তাদের বংশাবলীর মধ্যেও এই জ্ঞান থাকে না, তাহলে অন্যদের মধ্যে এটি কোথা থেকে আসবে। যিনি দেন তিনিও হলেন এক। এই সহজ রাজযোগের জ্ঞান আর অন্য কারোর থাকতে পারে না। দেবী-দেবতা ধর্মের শাস্ত্রও থাকা উচিত। তাই ড্রামা অনুসারে তাদেরকেও শাস্ত্র বানাতে হয়। গীতা ভগবত ইত্যাদি সব এইরকমভাবেই আবারও তৈরী হবে। গ্রন্থও এইভাবেই তৈরী হবে। এখন গ্রন্থ কত বড় হয়ে গেছে। না হলে কত ছোট ছিল – হাতে লেখা হয়েছিল। তারপর বৃদ্ধিতে নিয়ে এসেছে। এটিও হল এইরকম। এটিরও যদি গ্রন্থ বসে বানানো হয় তাহলে অনেক বড় হয়ে যাবে। কিন্তু পরে সেটিকে ছোট বানানো হয়। পরবর্তী সময়ে বাবা দুটি শব্দ বলেছেন – ‘মন্মনা ভব’ । আমি তোমাদেরকে সব শাস্ত্রের সার বোঝাই। তাহলে তো অবশ্যই নাম নিতেই হবে তাই না। অমুক শাস্ত্রে এটা-এটা আছে। সেগুলি কোনো ধর্ম শাস্ত্র নয়। ভারতের শাস্ত্র হলই একটাই। বাকি সেগুলি কোন ধর্মের শাস্ত্র, সেটি কখনোই প্রমাণ করতে পারবে না। ভারতের শাস্ত্র হল একটি গীতা। গীতাও সর্ব শাস্ত্র শিরোমনি গায়ন আছে। গীতার মহিমা তোমরা যথাযথভাবে জানো। যে গীতার আধারে বাবা এসে ভারতকে স্বর্গ বানান। ভারতের শাস্ত্র অনেক সম্মান পায়। কিন্তু গীতার ভগবান কে ছিলেন, ওঁনাকে না জানার কারণে মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করে। এখন সেগুলোকে সঠিক করো।ভগবান তো এইরকম বলেননি যে – আমি সর্বব্যাপী।

বাচ্চারা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করল – শিববাবা যখন এখানে আসেন, মুরলী চালান তখন কি পরমধামেও থাকেন ? বাবা বলেন, এই সময়ে তো আমাকে অনেক কাজ করতে হয়। অনেক সার্ভিস চলতে থাকে। কত বাচ্চাদেরকে, ভক্তদের ইত্যাদির অনেককেই সাক্ষাৎকার করাই। এই সময় আমি হলাম বহুরূপী। বহুরূপী শব্দ থেকেই মানুষ বুঝেছে – সব রূপ হল ওঁনার। মায়া উল্টো পথে চালনা করে দেয়, আবার বাবা সঠিক বানিয়ে দেন। তোমরা বাচ্চারা এখন মুক্তিধামে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছো। তোমাদের বুদ্ধি রয়েছে মুক্তিধামের দিকে। এইরকম কোনো মানুষ পুরুষার্থ করাতে পারবে না যা তোমাদের বাবা করাচ্ছেন। এখন নিজের বুদ্ধিযোগ ওখানে স্থির করো। জীবিত অবস্থাতেই এই শরীরকে ভুলতে থাকো। মানুষ যখন মারা যায় তখন বলে স্বর্গে গেছেন তারপরও কান্নাকাটি করতে থাকে। বাবার যারা সুসন্তান হবে তারাই বাবার সহায়ক হয়ে সার্ভিস করবে। তারা কখনোই ডিসসার্ভিস করবে না। যদি কেউ ডিসসার্ভিস করে তাহলে সে নিজেরই করবে। বাবা বলেন যে মিষ্টি বাচ্চারা এই সময় হল খুবই মূল্যবান। ভবিষ্য ২১ জন্মের জন্য তোমরা উপার্জন করো। তোমরা জানো যে আমরা বিশ্বের বাদশাহী প্রাপ্ত করি, কত ভালো উপার্জন হয় তাহলে তাতে রত থাকা উচিত। বাবাকে স্মরণ করতে হবে। যেরকম গভর্মেন্ট সার্ভিসে ৮ ঘন্টা হয়। বাবাও বলেন আমার জন্য ৮ ঘণ্টা দাও। রাত্রে ঘুমিয়ে নিজের সময় অতিবাহিত করো না। দিন রাত উপার্জন করতে হবে। এ তো হল খুবই সহজ কেবল বুদ্ধির প্রয়োজন। মানুষ যখন ব্যবসা ইত্যাদিতে যায় তখন প্রথমে মন্দিরের সামনে হাতজোড় ক’রে তারপরে দোকানে যায়। ফেরার সময় আবার ভুলে যায়, ঘরের কথা স্মরণে চলে আসে। সেটাও ভালো। কিন্তু তারা অর্থ কিছুই জানে না।

বাচ্চারা তোমাদের কলকাতাতে গিয়ে অনেক ভালভাবে বোঝাতে হবে – কালী মায়ের ওখানে অনেক সম্মান। বাঙালিদের নিজস্ব রীতি-নীতি রয়েছে । ব্রাহ্মণদেরও মাছ অবশ্যই খাওয়ায়। নামীগ্রামী ব্যক্তিত্বরা নিজস্ব পুকুর বানিয়ে তারপর তাতে মাছ প্রতিপালন ক’রে এবং তা ব্রাহ্মণদেরও অবশ্যই খাওয়াবে। এখন তোমরা প্রকৃত বৈষ্ণব হও। বাস্তবে তোমরা বিষ্ণুপুরীতে যাও। এইরকম নয় যে ওখানে চার ভূজযুক্ত মানুষজন থাকবে। লক্ষী-নারায়ণকে বিষ্ণু বলা হয়। দুই ভূজ ওনার আর দুই ভূজ ওনার। তোমরা মহালক্ষ্মীর পূজা করো, বাস্তবে বিষ্ণুরই পূজা করে থাকো। উভয়ই আছেন তাই না। কিন্তু এই সময় মহিমা মাতাদের বেশি হয়। জগৎ অম্বার গায়ন আছে। লক্ষ্মীরও নামের গায়ন আছে। বাবা এসে মাতাদের দ্বারা সকলকে সদ্গতি দেন। জগৎ অম্বাই আবার রাজ রাজেশ্বরী হন। মায়েদের পূজা হয়। বাস্তবে জগৎ অম্বা হলেন একজন।যেরকম শিবের একটি লিঙ্গ বানায় সেইরকম আবার ছোট ছোট শালগ্রাম বানায়। সেইরকমই কালীরও ছোট ছোট মন্দির অনেক আছে। তারা হল যেন মায়েরই সন্তান। এখন বাবা তোমাদেরকে নিজের বানায়, একেই বলা হয় বলি দেওয়া। তোমরা বলিহার হও ওঁনার উপরে, এই ব্রহ্মার উপরে নয়।

তাই বাবা বোঝান যে – এখন সময় অতিবাহিত ক’রো না। চাকরি বাকরি যা করার করো। যদি টাকা পয়সা ঠিকঠাক থাকে, তবে খাওয়া পড়ার জন্য এত বেশী মাথা কেন ঘামাচ্ছো। হ্যাঁ শিববাবার যজ্ঞেও তোমরা দিয়ে থাকো অর্থাৎ বিশ্বের সেবাতেই লাগাও। বাবা বলেন সেন্টার বানাও, যেখানে এই কন্যারা মানুষকে দেবতা বানানোর রাস্তা বলবে। এই পঠন-পাঠন কত সুন্দর। অনেকের কল্যাণ হয়ে যাবে। বাবা বলেন লক্ষ-কোটি উপার্জন করো, কিন্তু কর্ম এমনই করো যাতে ভারত পবিত্র হয়, এভার হেল্থী হয়। তোমরা ভবিষ্যতের জন্য এখন সম্পূর্ণ উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো। ওখানে গরিব তো কেউই হয় না। ওখানেও এখনকার প্রালব্ধ ভোগ করো তাহলে এতটুকু ধারণা তো অবশ্যই করা উচিত। তোমদের এক-এক পয়সা হল হীরে তুল্য, এর দ্বারাই ভারত স্বর্গ হয়। বাকি যা বাঁচবে সেগুলি সবই শেষ হয়ে যাবে। যা কিছু পয়সা বাঁচবে এই সার্ভিসে লাগাও। এ হল বড়’র থেকেও বড় হসপিটাল। কোনো গরীব বাচ্চা বলে আমি আট আনা দিচ্ছি ঘরের ইঁট লাগিয়ে দাও। আমি জানি এখান থেকে মানুষ এভারহেল্দী হয়। এখানে তো অনেকেই আসবে। ক্যু (লাইন) এমন লাগবে যে আগে কেউ এমন দেখেনি। তাহলে কতো খুশী থাকা উচিত, আমরা কি ছিলাম কিসে পরিণত হচ্ছি। আমরা শিববাবার থেকে বেহদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি। বাবা হলেন নিরাকার জ্ঞানের সাগর। তিনি এই রথে প্রবেশ করেন। তাহলে বাচ্চাদের অনেক দয়াশীল হতে হবে। নিজের উপরে আর অন্যদেরও উপরেও দয়া করতে হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

বাবা বলেন এই সময় আমি হলাম বহুরূপী, এইরকম নয় যে, এখানে যখন মুরলী চলছে তখন পরমধাম খালি হয়ে যায়, আমায় তো এখন অনেক কাজ করতে হয়, অনেক সার্ভিস চলতে থাকে। বাচ্চাদেরকে, ভক্তদেরকে সাক্ষাৎকার করাতে হয়। এই সময় আমি হলাম বহুরূপী, এই একটি শব্দের জন্যই মানুষ বলে থাকে এ সবই হল ভগবানের রূপ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ভারতকে পবিত্র বানানোর সেবাতে নিজের তন-মন-ধন সফল করতে হবে। টাকা-পয়সাকে হীরে মনে করে স্বর্গ বানানোর সেবাতে লাগাতে হবে, ব্যর্থ নষ্ট করলে চলবে না।

২ ) ভবিষ্য ২১ জন্মের প্রালব্ধ বানানোর জন্য দিন-রাত উপার্জন জমা করতে হবে, সময় নষ্ট করলে চলবে না। শরীরকে ভুলবার পুরুষার্থ করতে হবে।

বরদানঃ-

অকালতখ্তে আসীন আত্মা সর্বদা আত্মিক নেশায় থাকে। যেমন রাজা রাজত্বের নেশা বিনা রাজ্য চালাতে পারে না, সেইরকম আত্মাও যদি স্বরাজ্যের নেশাতে না থাকে তাহলে কর্মেন্দ্রীয় রুপী প্রজার উপরে রাজত্ব করতে পারবে না। সেইজন্য অকালতখ্তনশীন এবং হৃদয়তখ্তনশীন হও আর যদি এই রূহানী নেশায় থাকো তাহলে কোনো রকম বিঘ্ন অথবা সমস্যা তোমাদের সামনে আসতে পারবে না। প্রকৃতি আর মায়াও আঘাত হানতে পারবে না। তাই তখ্তনশীন হওয়া অর্থাৎ সহজেই প্রকৃতিজীত আর মায়াজীত হওয়া।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top