20 June 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

20 june 2021 Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

19 June 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"সাহসের প্রথম পদক্ষেপ - সমর্পণ ভাব" (ব্রহ্মা বাবার জীবন কাহিনী)

আজ স্নেহের সাগর বাপদাদা তাঁর স্নেহী বাচ্চাদেরকে দেখে উৎফুল্ল হচ্ছেন । প্রত্যেক স্নেহী আত্মাদের একটি দিকেই একাগ্রতা, শ্রেষ্ঠ সংকল্প যে, আমরা সবাই বাবা সম হই আর তাঁর স্নেহে সমায়িত হয়ে যাই। স্নেহে সমায়িত হয়ে যাওয়া অর্থাৎ বাবা সম হওয়া। সকলের হৃদয়ে এই দৃঢ় সংকল্প রয়েছে যে, বাপদাদার দ্বারা প্রাপ্ত হওয়া স্নেহ, শক্তিশালী লালন পালন আর অগাধ অবিনাশী সম্পদ, আমাদেরকে রিটার্ন অবশ্যই করতে হবে । রিটার্নে কী দেবে ? হৃদয়ের স্নেহ ছাড়া তোমাদের কাছে আর আছেই বা কি ? যা কিছু আছে সে সব বাবারই তো দেওয়া, সে সব আর কী দেবে ? বাবা সম হওয়া – এটাই হল রিটার্ন আর এই সবই তোমরা করতে পারো।

বাপদাদা দেখছিলেন যে, আজকাল সকলের হৃদয়ে বিশেষ ভাবে ব্রহ্মা বাবার স্মৃতি অধিক ইমার্জ রয়েছে । স্মৃতি শরীরের নয়, তাঁর চরিত্রের বিশেষত্ব গুলির স্মৃতি রয়েছে ।কেননা অলৌকিক ব্রাহ্মণ জীবন হল জ্ঞান স্বরূপ জীবন, জ্ঞান স্বরূপ হওয়ার কারণে দেহের স্মৃতিও দুঃখের ঢেউ আছড়ে ফেলবে না। অজ্ঞানী জীবনে কাউকে স্মরণ করলে দেহই আগে সামনে এসে উপস্থিত হবে, দেহের সম্বন্ধের কারণে দুঃখ অনুভব হবে। কিন্তু যদি তোমরা ব্রাহ্মণ বাচ্চাদের বাবার স্মৃতি আসে, তবে শক্তি (সমর্থী) এসে যায় যে, আমাকেও “বাবা সম” হতেই হবে। অলৌকিক বাবার স্মৃতি সমর্থী অর্থাৎ শক্তি প্রদান করে। যে কোনো বাচ্চাই, সে যেমনই হোক না কেন, যদি হৃদয়ের স্নেহ নয়নের মুক্তধারার দ্বারাও ব্যক্ত করে, সেটা দুঃখের অশ্রু নয়, বিয়োগের অশ্রু নয়, তা হল স্নেহের মুক্তো ধারা। অন্তরের মিলনের স্নেহ। বিয়োগী নয়, বরং রাজযোগী সে। কেননা অন্তরের সত্যিকারের স্নেহ শক্তি প্রদান করে যে, যত দ্রুত সম্ভব যেন আগে আমি বাবার স্নেহের রিটার্ন দিতে পারি। রিটার্ন দেওয়া অর্থাৎ সমান হওয়া। এই বিধির দ্বারাই তোমরা তোমাদের স্নেহের বাপদাদার সাথে সুইট হোমে রিটার্ন যেতে পারবে অর্থাৎ বাবার সাথে ফিরে যাবে। রিটার্ন করতেও হবে আবার বাবার সাথে রিটার্ন যেতেও হবে। সেইজন্য তোমাদের স্নেহ বা স্মরণ হল জগতের থেকে একেবারে আলাদা আর বাবার প্রিয় হয়ে ওঠার।

অতএব বাপদাদা বাচ্চাদেরকে সমর্থ হওয়ার সংকল্প, সমান হওয়ার উৎসাহকে দেখছিলেন ।ব্রহ্মা বাবার বিশেষত্ব গুলিকে দেখছিলেন । যদি ব্রহ্মা বাবার বিশেষত্ব গুলিকে বর্ণনা করা হয়, তবে তা কত পরিমাণে হবে ? প্রতিটি কদমে বিশেষত্ব ছিল। সংকল্পেও সকলকে বিশেষ বানানোর উৎসাহ সব সময় থাকত। নিজের বৃত্তির দ্বারা কোনো আত্মাকে উৎসাহ উদ্দীপনাতে নিয়ে আসা – এই বিশেষত্ব সর্বদাই তোমরা প্রত্যক্ষ রূপে দেখেছো। বাণীর দ্বারা সাহস প্রদান করা, হতাশাগ্রস্তকে আশার আলো দেখানো, নির্বল আত্মাকে উড়তি কলার বিধির দ্বারা উড়তে শেখানো, সেবার যোগ্য বানানো, উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ অমূল্য, মধুর ও যুক্তিযুক্ত ছিল। তেমনি কর্মের ক্ষেত্রে বাচ্চাদের সাথে সকল কাজের সাথী হয়ে তাকে কর্মযোগী বানিয়েছেন । কেবল সাক্ষী হয়ে দেখা নয়, বরং স্থূল কাজের গুরুত্বকে অনুভব করানোর জন্য কর্মের ক্ষেত্রেও সাথী হতেন। যে কর্ম আমি করব আমাকে দেখে বাচ্চারা স্বতঃতই করবে – এই পাঠকে সদা নিজে কর্ম করে পড়িয়েছেন। সম্বন্ধ – সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথেও নিজে বাচ্চা হয়ে তাদেরকে খুশী করতেন। বয়স্কদেরকেও (বাণপ্রস্থকে) বাণপ্রস্থের রূপে অনুভাবী হয়ে সেইরূপ সম্বন্ধ – সম্পর্কের সাহায্যে তাদেরকে উৎসাহ উদ্দীপনাতে নিয়ে আসতেন। বাচ্চাদের সাথে বাচ্চাদের মতো, যুবাদের সাথে যুবার মতো আর বয়স্কের সাথে বয়স্ক হয়ে তাদেরকে সর্বদা এগিয়ে নিয়ে গেছেন। সদা সম্বন্ধ – সম্পর্কের দ্বারা প্রত্যেককে আপন অনুভব করিয়েছেন । একটি ছোট বাচ্চাও বলবে, “বাবা আমাকে যতখানি ভালোবাসে, এতটা কাউকেই বাসেন না !” তো প্রত্যেককে তিনি এতটাই ভালোবাসা দিয়েছেন যে, যাতে সকলেরই মনে হবে আমার বাবা। এটাই হল সম্বন্ধ – সম্পর্কের বিশেষত্ব । যখন দেখছেন তো সকল আত্মার বিশেষত্ব বা গুণকে দেখছেন। ভাবার ক্ষেত্রে দেখো, সব সময় জানেন যে এই আত্মা হল লাস্ট নম্বর দানা, কিন্তু এই রকম আত্মার প্রতিও সে যাতে এগিয়ে যেতে পারে – এমন প্রত্যেক আত্মার প্রতি শুভ চিন্তক ছিলেন। এমন সব বিশেষত্ব বাচ্চারা তোমরা অনুভব করেছিলে। এই সব বিষয়ে সমান হওয়া অর্থাৎ ফলো ফাদার করতে হবে। এই ফলো করা কোনো কঠিন কিছু কি ? একেই তো স্নেহ, একেই তো রিটার্ন দেওয়া বলা হয়ে থাকে।

তাই বাপদাদা দেখছিলেন যে, প্রতিটি বাচ্চা এখনও পর্যন্ত কতটা রিটার্ন করেছে ? লক্ষ্য তো সকলে রয়েছে, কিন্তু প্রত্যক্ষ জীবনেই নম্বর রয়েছে। সকলে নম্বর ওয়ান হতে চায়। দুই তিন নম্বর হতে কেউই চায় না। এই রকম শক্তিশালী লক্ষ্য অত্যন্ত প্রশংসনীয় কিন্তু লক্ষ্য আর লক্ষণ সমান হওয়া – এটাই হল সমান হওয়া। এর জন্য ব্রহ্মা বাবা সাহসের কোন্ প্রথম কদমটিকে গ্রহণ করেছিলেন, যে পদক্ষেপের দ্বারা নিজেকে পদ্মাপদম ভাগ্যবান আদিকাল থেকেই অনুভব করেছিলেন ? প্রথম কদম সাহসের হল – সকল বিষয়ে সমর্পণ ভাব। তিনি সবকিছু সমর্পণ করেছিলেন। কোনো কিছুই ভাবেননি যে – কী হবে, কীভাবে হবে। এক সেকেন্ডে বাবার শ্রেষ্ঠ মত অনুসারে বাবা যেমন ইশারা করলেন, সেইরূপ বাবার ইশারা আর ব্রহ্মার কর্ম বা কদম ! একে বলা হয় সাহসের প্রথম কদম। তনকেও সমর্পণ করে দিয়েছেন। মনকেও সদা মন্মনাভব’র বিধির দ্বারা সিদ্ধি স্বরূপ বানিয়ে দিয়েছে। সেইজন্য মন অর্থাৎ প্রতিটি সংকল্পে সিদ্ধি অর্থাৎ সফলতা স্বরূপ হয়েছিলেন। ধনকে ভবিষ্যতে কি হবে তার কোনো রূপ চিন্তা না করেই নিশ্চিন্ত মনে ধনকে সমর্পণ করে দিয়েছিলেন। কারণ এই নিশ্চয় ছিল যে, এটা দেওয়া নয়, বরং পদমগুণ নেওয়া। এইভাবে সম্বন্ধকেও সমর্পিত করে দিয়েছিলেন অর্থাৎ লৌকিককে অলৌকিক সম্বন্ধে পরিবর্তন করেছিলেন। ছেড়ে দেননি, কল্যাণ করেছেন, পরিবর্তন করেছেন। আমিত্ব ভাব এর বুদ্ধিকে, অহমিকার বুদ্ধিকে সমর্পিত করেছিলেন। সেইজন্য সদা তন, মন, বুদ্ধির দ্বারা নির্মল, শীতল, সুখ প্রদায়ী হয়ে উঠেছিল। লৌকিক পরিবারের থেকেই হোক বা জগতের অজ্ঞানী আত্মাদের কাছ থেকেই হোক কিম্বা যেমন পরিস্থিতিই আসুক না কেন সংকল্পেও বা স্বপ্নেও কখনোই সংশয়ের সূক্ষ্ম স্বরূপ “সংকল্প মাত্রও” মনকে বিচলিত করতে পারেনি।

ব্রহ্মার এই বিশেষ বিষয়ে বিস্মিত করার মতো বিষয় হল তিনি তোমাদের সকলের সামনে সাকার রূপে উদাহরণ রূপে ছিলেন, কিন্তু ব্রহ্মার সামনে কোনও সাকার এক্জাম্পল ছিল না। শুধুমাত্র অটল নিশ্চয় আর বাবার শ্রীমতের আধার ছিল। তোমাদের কাছে তো খুবই সহজ। আর যে যত পরে এসেছে, তার জন্য তো আরও সহজ হয়েছে। কেননা অনেক অনেক আত্মাদের পরিবর্তীত শ্রেষ্ঠ জীবন তোমাদের সামনে এক্জাম্পল রূপে রয়েছে। এইরূপ করতে হবে, হতে হবে – বিষয়টি ক্লিয়ার। সেইজন্য তোমাদের মনে ‘কেন বা কী’র’ প্রশ্ন উঠতেই পারে না। সব কিছু দেখছো তোমরা। ব্রহ্মার কাছে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক ছিল। কী করতে হবে, এরপর কী হবে, ঠিক করছি নাকি ভুল করছি – এই সংকল্প ওঠা সম্ভব ছিল, কিন্তু তিনি সেই সম্ভাবনাকে নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। এক বল এক ভরসা এর আধারেই নিশ্চয়বুদ্ধি নম্বর ওয়ান বিজয়ী হয়ে গেলেন। এইরূপ সমর্পণ ভাবের কারণে বুদ্ধি সদা হাল্কা ছিল, বুদ্ধির ওপরে কোনো বোঝা ছিল না । মন নিশ্চিন্ত ছিল। চেহারাতে সর্বদাই চিন্তাহীন সম্রাট (বেফিকর বাদশাহ) এর চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। ৩৫০ জন ব্রহ্মা বৎস, এদিকে আটা শেষ অথচ টাইম মতো বাচ্চাদেরকে খাবার দিতে হবে। তাহলে ভাবো, এমতাবস্থায় কেউ চিন্তা মুক্ত কীভাবে থাকতে পারে ! একটার সময় খাওয়ার বেল পড়বে অথচ ১১ টা বেজে গেল, আটা নেই, কারো পক্ষে কি চিন্তা মুক্ত থাকা সম্ভব ? এই রকম অবস্থাতেও প্রফুল্ল, অচল ছিলেন। এটা বাবার দায়িত্ব, আমার নয়, আমি বাবার তো বাচ্চারাও তাহলে বাবার, আমি নিমিত্ত – এই রকম নিশ্চয় আর নিশ্চিন্ত কার পক্ষে থাকা সম্ভব ? মন বুদ্ধির দ্বারা সমর্পিত আত্মা । কিন্তু যদি নিজের বুদ্ধিকে চালাতেন যে, কী জানি কী হবে, সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে না তো ? এই রকম হবে না তো, ওই রকম হবে না তো ? এই রকম ব্যর্থ সংকল্প বা সংশয়ের মার্জিন থাকা সত্ত্বেও সমর্থ সংকল্প চলত যে, সদা বাবা হলেন রক্ষক, কল্যাণকারী ! এই বিশেষত্ব হল সমর্পণের। অতএব যেমন ব্রহ্মা বাবা সমর্পিত হওয়ার প্রথম কদম “সাহস” এর উঠিয়েছিলেন, এই রকম ফলো ফাদার করো। নিশ্চয়ের বিজয় অবশ্যই হয়ে থাকে। তাই টাইমে আটাও এসে গেল, বেলও বেজে গেল আর পাশ হয়ে গেলেন। একেই বলা হয় কোশ্চেন মার্ক অর্থাৎ বাঁকা পথে না চলে সদা কল্যাণের বিন্দু লাগাও। ফুলস্টপ। এই বিধির দ্বারাই সহজেও হবে আর সিদ্ধিও প্রাপ্ত হবে । তো এও হল ব্রহ্মা বাবার মধ্যে বিস্মিত করবার মতো ব্যাপার। আজকে প্রথম একটি কদমের বিষয়ে বললাম তোমাদের। চিন্তার বোঝার থেকেও বোঝাহীন হয়ে যাও। একেই বলা হয় স্নেহের রিটার্ন । আচ্ছা !

সদা প্রতিটি কদমে বাবাকে ফলো করা, প্রতিটি কদমে স্নেহের রিটার্ন দেওয়া, সদা নিশ্চয়বুদ্ধি হয়ে নিশ্চিন্ত চিন্তাহীন সম্রাট হয়ে থাকা, মন – বাণী – কর্ম – সম্বন্ধে বাবা সম হয়ে ওঠা, সদা শুভ চিন্তক, সদা প্রত্যেকের বিশেষত্বকে দেখতে থাকা, সকল আত্মাকে সদা এগিয়ে যেতে সাহায্য করা, এইরূপ বাবা সম বাচ্চাদেরকে স্নেহী বাবার স্নেহ সম্পন্ন স্মরণের স্নেহ-সুমন আর নমস্কার ।

পার্টিদের সাথে সাক্ষাৎ : –

১ ) নিজেকে উচ্চ থেকেও উচ্চ বাবার উচ্চ থেকেও উচ্চ ব্রাহ্মণ আত্মা মনে করো ? ব্রাহ্মণের স্থান হল সর্বোচ্চ – এই রূপ বলা হয়। উচ্চ যে তার চিহ্ন স্বরূপ সব সময় ব্রাহ্মণদের শিখাকে বোঝানো হয়। জগতের লোক নামধারী ব্রাহ্মণদেরকে চিহ্ন স্বরূপ দেখিয়ে দিয়েছে। তো শিখা (টিকি) রাখা ব্রাহ্মণ নয়, শিখা অর্থাৎ উচ্চ স্থিতিতে থাকা ব্রাহ্মণ। তারা তো স্থূল চিহ্ন দেখিয়ে দিয়েছে। বাস্তবে হল উচ্চ স্থিতিতে থাকা। ব্রাহ্মণদেরকেই পুরুষোত্তম বলা হয়। পুরুষোত্তম অর্থাৎ পুরুষদের থেকে উত্তম, সাধারণ মনুষ্য আত্মাদের থেকেও উত্তম। এমন আত্মা তো তোমরা, তাই না ! পুরুষ আত্মাকেও বলা হয়, শ্রেষ্ঠ আত্মা হয়ে ওঠা অর্থাৎ পুরুষদের মধ্যে উত্তম পুরুষ যারা হয়ে উঠবে। দেবতাদেরকেও পুরুষোত্তম বলা হয়, কারণ তারা হলেন দেবাত্মা। তোমরা দেবী – দেবতাদের থেকেও উচ্চ ব্রাহ্মণ – এই নেশা যেন সদা থাকে। অন্য সব নেশার ক্ষেত্রে বলা হয় – কমাও, কিন্তু রুহানী নেশার ক্ষেত্রে বাবা বলেন – বাড়িয়ে যাও। কারণ এই নেশা ক্ষতিকারক নয়। অন্য সব নেশাই হল ক্ষতিকর। তা ওপরে ওঠায় না, নীচে নামিয়ে দেয়। রুহানী নেশা যদি চলে যায়, তবে পুরানো দুনিয়ার স্মৃতি চলে আসবে । রুহানী নেশা চড়ে থাকলে নতুন দুনিয়ার স্মৃতি থাকবে । এই ব্রাহ্মণ সংসারও হল নতুন সংসার। সত্যযুগের থেকেও এই সংসার হল অতি শ্রেষ্ঠ। তাই সদা এই স্মৃতির সাথে এগিয়ে যেতে থাকো।

২ ) সর্বদা নিজেকে বিশ্ব রচয়িতা বাবার শ্রেষ্ঠ রচনা বলে অনুভূত করো ? ব্রাহ্মণ জীবন অর্থাৎ বিশ্ব – রচয়িতার শ্রেষ্ঠ রচনা । আমরা হলাম ডাইরেক্ট বাবার রচনা – এই নেশা রয়েছে ? জগতের মানুষ তো না জেনেই বলে যে, ভগবান আমাদেরকে রচনা করেছেন। তোমরা সবাইও আগে না জেনেই বলতে, কিন্তু এখন তোমরা জানো যে, আমরা হলাম শিব বংশী ব্রহ্মাকুমার – কুমারী। তাই এখন জ্ঞানের আধারে বোধ আসার কারণে বলো যে, ভগবান আমাদের রচনা করেছেন। আমরা হলাম মুখ বংশাবলী। ডাইরেক্ট বাবা ব্রহ্মার দ্বারা রচনা রচিত করেছেন। তাই তোমরা হলে বাপদাদা বা মাতা পিতার রচনা। ডাইরেক্ট ভগবানের রচনা – এটা এখন অনুভবের আধারে তোমরা বলতে পার। তাহলে ভগবানের রচনা কতখানি শ্রেষ্ঠ হয়ে থাকবে ! যেমন রচয়িতা তেমনই তো রচনা হবে, তাই না ! এই নেশা আর খুশী সর্বদা থাকে ? নিজেকে সাধারণ মনে করো না তো ? এই রহস্য যখন বুদ্ধিতে এসে যায়, তখন সদাই রুহানী নেশা আর খুশী চেহারাতে কিম্বা আচরণে স্বতঃতই রয়ে যায়। তোমাদের চেহারা দেখে সকলেরই অনুভব হবে যে, সত্যিই ইনি শ্রেষ্ঠ রচয়িতার শ্রেষ্ঠ রচনা । কোনো রাজার রাজকুমারীর আচার ব্যবহার দেখেই যেমন বোঝা যাবে যে, ইনি রয়্যাল পরিবারের। ইনি বর্ধিষ্ণু পরিবারের অথবা সাধারণ ঘরের। ঠিক তেমনই তোমাদের আচরণ থেকে এবং চেহারার দ্বারা যেন অনুভব হয় যে, ইনি উচ্চ রচনা, উচ্চ পিতার সন্তান !

কুমারীদের প্রতি : – কন্যারা ১০০ ব্রাহ্মণদের থেকেও উত্তম – এই রূপ মহিমা প্রচলিত রয়েছে। কেন এইরূপ মহিমা রয়েছে ? কারণ তোমরা যত বেশী নিজে শ্রেষ্ঠ হবে, ততই অন্যদেরকেও শ্রেষ্ঠ বানাতে সক্ষম হবে। অতএব আমরা শ্রেষ্ঠ আত্মা – এই খুশী থাকে ? তাই কুমারীরা সেবাধারী হয়ে সেবাতে এগিয়ে যেতে থাকো। কেননা এই সঙ্গমযুগ হলই অল্প সময়ের যুগ। এতে যতখানি যে করতে চাও ততই করতে পার। তো এইরকম লক্ষ্য এবং লক্ষণ সম্পন্ন তো তোমরা ? যেখানে লক্ষ্য আর লক্ষণ শ্রেষ্ঠ, সেখানে প্রাপ্তিও শ্রেষ্ঠ অনুভূত হয়। তাই সদা এই ঈশ্বরীয় জীবনের ফল “খুশী” এবং “শক্তি” দুটোই অনুভব করো ? জগতে খুশীতে থাকার জন্য কতই না খরচ করে, তবুও প্রাপ্তির ভাড়ার শূন্যই থেকে যায়। আর যদি হয়ও, তবুও তা স্বল্পকালীন এবং খুশীর সাথে সাথে দুঃখও থাকে। কিন্তু তোমাদের জীবন সদাই খুশীর হয়ে গেছে। জগতের মানুষ খুশীর জন্য ছটফট করে আর তোমরা খুশী তো প্রত্যেক্ষ ফলের রূপেই পেয়ে যাচ্ছ । খুশীই হল তোমাদের জীবনের বিশেষত্ব। যদি খুশী নেই তবে জীবনও নেই। তাই সদা নিজের উন্নতি করবার সাথে সাথে এগিয়েও যাচ্ছ, তাই তো ? বাপদাদা খুশী হচ্ছেন যে, কুমারীরা সময় মতো বেঁচে গেছে। নাহলে উল্টো সিঁড়ি চড়ে তারপর আবার নামতে হত। সিঁড়ি চড়ো আর নামো – পরিশ্রমের, তাই না ! দেখো, যে কোনো প্রবৃত্তিরই হোক, ব্রহ্মাকুমার – কুমারী তো বলতেই হয়। ব্রহ্মা অধরকুমার তো বলা হবে না। তবুও কুমার – কুমারী তো হয়েছ ! তারা সিঁড়ি নেমেছে, কিন্তু তোমাদেরকে নামার প্রয়োজন পড়েনি। অত্যন্ত ভাগ্যবান তোমরা। সময় মতো বাবাকে পেয়ে গেছ। কুমারীকেই পূজা করা হয়। কুমারী যখন গৃহস্থী হয়ে যায়, তখন ছাগের মতো সকলের সামনে মাথা নত করতে হয়। তার থেকে তো বেঁচে গেছ, তাই না ! অতএব সদা নিজেকে এইরূপ ভাগ্যবান মনে করে এগিয়ে যেতে থাকো। আচ্ছা !

মাতাদের প্রতি : – তোমরা সকলে শক্তিশালী মাতা, তাই না ! দুর্বল নও তো ? বাপদাদা মাতাদের কাছ থেকে কী চান ? এক একজন মাতা “জগৎমাতা” হয়ে বিশ্বের কল্যাণ করবে। কিন্তু মাতারা চতুরতা দেখায়। যখন লৌকিক কাজ থাকে তখন কাউকে না কাউকে নিমিত্ত বানিয়ে বেরিয়ে যায় আর যখন ঈশ্বরীয় কার্য থাকে, তখন বলবে – বাচ্চারা রয়েছে, তাদেরকে কে সামলাবে ? পান্ডবদেরকে তো বাপদাদা বলবেন – সামলাতে তো হবেই, কেননা তোমরা হলে রচয়িতা । পান্ডবরা ! তোমরা শক্তিদেরকে ফ্রি করো। ড্রামানুসারে বর্তমান সময়ে মাতাদের কাছে সুযোগ এসেছে, সেইজন্য মাতাদেরকে সামনে রাখতে হবে। এখন অনেক সেবা করার রয়েছে। সমগ্র বিশ্বকে পরিবর্তন করতে হবে, তাহলে এই সেবা কখন তারা শেষ করবে ? তীব্র গতি চাই। অতএব পান্ডব, শক্তিদেরকে ফ্রি করো, যাতে তারা সেবা কেন্দ্র খুলতে পারে আর জোরদার আওয়াজ ছড়িয়ে যেতে পারে। আচ্ছা !

বরদানঃ-

যার প্রতি অত্যন্ত স্নেহ থাকে, সেই স্নেহের জন্য সকলকে সরিয়ে সব কিছু তার সামনে অর্পণ করে দেয় । যেমন বাচ্চাদের প্রতি বাবার স্নেহ রয়েছে, সেইজন্য সদাকালের সুখের প্রাপ্তি স্নেহের বাচ্চাদেরকে করিয়ে থাকেন, বাকি সবাইকে মুক্তিধামে বসিয়ে রাখেন। তেমনি বাবার প্রতি বাচ্চাদের স্নেহের প্রমাণ হল সর্ব রূপের দ্বারা, সর্ব সম্বন্ধের দ্বারা নিজের সবকিছু বাবার সামনে অর্পণ করা। যেখানে স্নেহ আছে, সেখানে যোগ রয়েছে আর যোগ আছে তো সহযোগ রয়েছে। একটি সম্পদকে তোমরা মনমতের দ্বারা ব্যর্থ নষ্ট করতে পার না।

স্লোগানঃ-

সূচনাঃ – আজ মাসের তৃতীয় রবিবার, আন্তর্জাতিক যোগ দিবস, বাবার সকল বাচ্চারা সন্ধ্যা ৬.৩০ থেকে ৭.৩০ মিনিট পর্যন্ত বিশেষতঃ নিজের ইষ্ট দেব, ইষ্ট দেবী (পূজ্য স্বরূপ) স্বরূপে স্থিত হয়ে ভক্ত আত্মাদের আহ্বান শুনুন, তাদের উপকার করুন। দয়াবান দাতা স্বরূপে স্থিত হয়ে তাদেরকে সুখ শান্তির অঞ্জলি দেওয়ার সেবা করুন।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top