20 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

20 December 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

19 December 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা যা কিছুই শুনেছো, তার উপর বিচার সাগর মন্থন করো তবেই সারাদিন বুদ্ধিতে এই জ্ঞানের বর্ষণ হতে থাকবে"

প্রশ্নঃ --

এখানের কোন্ দক্ষতা নতুন দুনিয়া স্থাপনে কাজে আসবে ?

উত্তরঃ -:-

এখানে বিজ্ঞানের যে দক্ষতা রয়েছে – যার দ্বারা এরোপ্লেন, ঘর-বাড়ী ইত্যাদি নির্মাণ করে, এই সংস্কার সঙ্গে করে ওখানেও নিয়ে যাবে। যদি এখানে জ্ঞান গ্রহণ না-ও করে, কিন্তু ওখানে এই দক্ষতা সাথে করে নিয়ে যাবে। তোমরা এখন সত্যযুগ থেকে নিয়ে কলিযুগের অন্তের হিস্ট্রী-জিওগ্রাফী জানো। তোমরা জানো যে এই নয়ন দ্বারা পুরোনো দুনিয়ার যা কিছু দেখো, সে’সব এখন সমাপ্ত হয়ে যাবে।

গান:-

তুমি রাত নষ্ট করলে শুয়ে, দিন নষ্ট করলে খেয়ে..

ওম্ শান্তি । বাবা বসে থেকে বাচ্চাদের বোঝান। হুবহু যেমনভাবে ৫ হাজার বছর পূর্বে বুঝিয়েছিল, তেমনভাবেই পুনরায় বোঝাচ্ছেন যে পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ এবং নতুন দুনিয়া সত্যযুগের স্থাপনা কীভাবে হচ্ছে। এখন হলো পুরোনো দুনিয়া আর নতুন দুনিয়ার সঙ্গমযুগ। বাবা বুঝিয়েছেন যে নতুন দুনিয়া সত্যযুগ থেকে নিয়ে এখন কলিযুগের অন্ত পর্যন্ত কি-কি হচ্ছে। কি-কি সামগ্রী আছে। কি-কি দেখো। যজ্ঞ, তপস্যা, দান-পুণ্য ইত্যাদি কি-কি করে। এ’সব যা কিছু দেখতে পাওয়া যায় এর কিছুই থাকবে না। পুরোনো কোনো বস্তুই থাকবার নয়। যেমন পুরোনো ঘর ভাঙা হয় তখন তাতে যে মার্বেলের পাথর ইত্যাদি ভাল-ভাল জিনিস থাকে, সেগুলো রেখে দেয়। বাকি ভেঙে-চুড়ে দেয়। বাচ্চারা, তোমরা জানো যে পুরোনো সবকিছুকে শেষ হতে হবে। এ’ছাড়া বিজ্ঞানের যে দক্ষতা(গুণ) আছে, তা বলবৎ থাকবে। তোমরা সবই জানো যে এই সৃষ্টি-চক্র কিভাবে আবর্তিত হয়। সত্যযুগ থেকে কলিযুগের অন্ত পর্যন্ত কি-কি হয়। এই বিজ্ঞানও একধরণের বিদ্যা, এর দ্বারা এরোপ্লেন, বিদ্যুৎ ইত্যাদি সবকিছু তৈরী হয়েছে। প্রথমে এ’সব ছিল না, এখন তৈরী হয়েছে। দুনিয়া তো চলতেই থাকে। ভারত হলো অবিনাশী খন্ড, প্রলয় তো হয় না। এই বিজ্ঞান যার দ্বারা এখন এত সুখ প্রাপ্ত হয়, সেই গুণও ওখানে থাকে। শেখা হওয়া জিনিস পরজন্মেও কাজে আসে। কিছু না কিছু থেকেই যায়। এখানেও ভূমিকম্প যেখানে হয় পুনরায় শীঘ্রই সবকিছু নতুন করে তৈরী করে দেয়। ওখানে নতুন দুনিয়ায় বিমান ইত্যাদি ইত্যাদি নির্মাণকারীরাও থাকবে। সৃষ্টি তো চলতেই থাকে। এই নির্মাণকারীরা আবারও আসবে। অন্তে যেমন মতি তেমনই গতি হবে। যদিও তাদের এই জ্ঞান নেই কিন্তু তার আসবে অবশ্যই আর এসে নতুন নতুন জিনিস নির্মাণ করবে। এই খেয়াল এখন তোমাদের বুদ্ধিতে আছে। এখন সবকিছু সমাপ্ত হয়ে যাবে, বাকি কেবল ভারতখন্ডই থাকবে। তোমরা হলে যোদ্ধা। নিজেদের জন্য যোগবলের দ্বারা স্বরাজ্য স্থাপন করছো। ওখানে সবকিছু নতুন হবে। তত্বও যা তমোপ্রধান ছিল তা সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তোমরাও নতুন পবিত্র দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য এখন পবিত্র হচ্ছো। তোমরা জানো, আমরা বাচ্চারা এ’সব শিখে অত্যন্ত হুশিয়ার হয়ে যাব। অতি মিষ্টি ফুল হয়ে যাব। তোমরা কাউকে এ’কথা শোনালে তখন সে অত্যন্ত খুশি হয়। যে যত ভালভাবে বোঝায়, তার উপর অত্যন্ত খুশি হয়। বলে — এ তো অত্যন্ত ভাল বোঝায়, যখন মতামত লেখার জন্য বলা হয় তখন বলে বিচার-বিবেচনা করব। এতটুকুতেই কিভাবে লিখে দিই। একবার শুনে বাবার সাথে যোগ কিভাবে রাখবে, তা শিখতে পারা যায় না। ভাল তো লাগে। এ’কথা তোমরা অবশ্যই বোঝাও যে এখন পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হয়ে যাবে। মাথার উপর অনেক পাপের বোঝা রয়েছে। এ হলো পতিত দুনিয়া, অনেক পাপ করেছে। রাবণ-রাজ্যে সকলেই পতিত তবেই তো পতিত-পাবন বাবাকে আবাহন করা হয়। এই জ্ঞান এখন তোমাদের আছে। সত্যযুগে এ’টা কেউ জানে না যে এর পর ত্রেতা আসবে। ওখানে প্রালব্ধ ভোগ করে। বাচ্চারা, এখন তোমরা কত বুদ্ধিমান হয়ে যাও, জানো যে আধ্যাত্মিক বাবা আমাদের পড়ান। বাবা হলেন বিশ্বের ওয়ার্ল্ড অলমাইটি অথরিটি (সর্বময়কর্তা)। ওদের(শাস্ত্রজ্ঞ) রয়েছে শাস্ত্রের অথরিটি। সেই শাস্ত্র পঠনকারীদের অলমাইটি বলা হয় না। এ’সব ভক্তিমার্গের শাস্ত্র। বাকি বাবা যে এ’সমস্ত তোমাদের পড়াচ্ছেন, এ হলো নতুন দুনিয়ার জন্য নতুন কথা (বিষয়)। বাচ্চারা, তাই তোমাদের অত্যন্ত খুশি হওয়া উচিত। বুদ্ধিতে সারাদিন যেন সারাদিন টপটপ করে পড়তে থাকে। স্টুডেন্ট যা কিছু পড়ে তা পরে রিভাইজও করে, যাকে বিচার সাগর মন্থন বলা হয়ে থাকে। তোমরা এ’টা বোঝো যে বাবা আমাদের অসীম জগতের পড়া বা সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের সমস্ত রহস্য বসে থেকে বোঝাচ্ছেন, যা তোমরা ছাড়া কেউই বুঝতে পারেনা, সেইজন্য তোমাদের অত্যন্ত খুশি থাকা উচিত। তোমরা হলে অতি উচ্চ বর্গের মানুষ। তোমাদের যিনি পড়ান, তিনি হলেন সর্বোচ্চ পিতা। তাই তোমাদের পারদ সদা ঊর্ধ্বমুখী হয়ে থাকা উচিত। সর্বদা বুদ্ধিতে এ’কথা রিভাইজ করো যে সর্বপ্রথমে আমরাই পবিত্র ছিলাম। তারপর ৮৪ জন্ম নিয়ে পতিত হয়ে গেছি। এখন ড্রামা প্ল্যান অনুসারে বাবা পবিত্র বানাচ্ছেন। সাধু-সন্ত সকলেই বলে যে আমরা রচয়িতা এবং রচনার আদি-মধ্য-অন্তকে জানি না। তোমরা জানো যে খ্রাইস্ট পুনরায় নিজের সময়ানুসারেই আসবে। খ্রীস্টানদের যেমন সারা পৃথিবীর উপর রাজত্ব ছিল, এখন সকলেই আলাদা-আলাদা হয়ে গেছে, পরস্পর লড়াই-ঝগড়া করছে‌। এখন বলে, এক রাজ্য, এক ভাষা হোক। মতভেদ হবে না, তা কি করে হতে পারে! এখন তো পরস্পর লড়াই-ঝগড়া করে আরোই পাকা হয়ে গেছে। এখন এ তো হতে পারে না যে সকলের এক দিব্য-মত হয়ে যাবে। যদিও বলে রাম-রাজ্য চাই কিন্তু বোঝে না কিছুই। তোমরাও প্রথমে কিছুই বুঝতে না। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছো, তোমরা জানো যে আমাদের যুগই আলাদা। এই সঙ্গমযুগে ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত ব্রাহ্মণ ধর্মের স্থাপনা হয়। তোমরা ব্রাহ্মণেরা হলে রাজঋষি। তোমরা পবিত্র হও আর শিববাবার থেকে রাজ্য প্রাপ্ত করো। তারা যোগ রাখে ব্রহ্ম-র সাথে, অদ্বিতীয় বাবার সঙ্গে রাখে না। কেউ কারোর সঙ্গে রাখে, কেউ কারোর সঙ্গে। কেউ কারোর পূজারী, কেউ (অন্য) কারোর। এ’কথা কারোর জানাই নেই যে উচ্চ থেকেও উচ্চ কে সেইজন্য বাবা বলেন — এরা সকলেই হলো আসুরীয় সম্প্রদায়ের, তুচ্ছবুদ্ধিসম্পন্ন। রাবণের গোলাম। তোমরা এখন শিববাবার হয়েছো। তোমরা বাবার থেকে উত্তরাধিকার পাও নতুন দুনিয়া সত্যযুগের। বাবা বলেন — হে আত্মারা, তোমাদের এখন তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান অবশ্যই হতে হবে সেইজন্য আমায় স্মরণ করো। কত সহজ কথা। গীতায় কৃষ্ণের নাম দিয়ে তারপর তাঁকে দ্বাপরে নিয়ে গেছে। ভুল তো অনেক হয়েছে কিন্তু এ’কথা তাদের বুদ্ধিতেই বসবে যারা স্থায়ীভাবে এখানে আসতে থাকবে। মেলায় আসে তো অনেকেই, দেখো তাদের মধ্যে থেকে চারাগাছ কিভাবে রোপণ হয়। অনেক ধর্মাবলম্বীরা আসে, তাদের মধ্যে অধিকমাত্রায় হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা আসে, যারা দেবী-দেবতাদের পূজারী হবে। আমরাই পূজ্য তথা আমরাই পূজারী….. এর অর্থও বোঝাতে হয়। মেলা-প্রদর্শনীতে এত বেশি বোঝাতে পারবে না। কেউ ৪-৫ মাস আসে, বোঝে। কেউ একটু ভালভাবে বোঝে। তোমরা যত বেশি প্রদর্শনী, মেলা ইত্যাদি করবে ততই অধিকমাত্রায় আসবে। মনে করবে জ্ঞান অতি ভাল, গিয়ে বুঝি। সেন্টারগুলিতে এত চিত্র থাকে না। প্রদর্শনীতে অনেক চিত্র থাকে। তোমরা বোঝাও — তখন তাদের ভালোও লাগে কিন্তু বাইরে গেলেই মায়ার বায়ুমন্ডল থাকে, নিজেদের ধান্ধা অর্থাৎ কাজকর্ম করতে লেগে পড়ে। এখন এই পুরোনো দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে নতুন হবে আর বাবা আমাদের জন্য স্বর্গের বাদশাহী স্থাপন করছেন। নতুন দুনিয়ায় আমরা গিয়ে নতুন মহল নির্মাণ করবো। এইরকম নয় যে নীচে থেকে মহল বেরিয়ে আসবে। সর্বপ্রথমে এই মুখ্য কথা নিশ্চয় করতে হবে যে তিনি আমাদের বাবাও, শিক্ষকও। তিনি মনুষ্য সৃষ্টির বীজরূপ। ওঁনার মধ্যেই সমগ্র নলেজ রয়েছে, তবেই তো মহিমা কীর্তন করা হয় জ্ঞানের সাগর….., ওই বীজ তো জড়(বস্তু), ও’টি বলতে পারে না। এ হলো চৈতন্য। বাবা তোমাদের সমগ্র নলেজ দিয়েছেন যে অন্যদেরকেও যথার্থভাবে বোঝাতে হবে। মেলা বা প্রদর্শনীতে অগণিত মানুষ আসে। বেরিয়ে আসে কোটির মধ্যে কেউ। ৭-৮ দিন আসার পর উধাও হয়ে যায়। এরকম করতে-করতে কেউ না কেউ বেরিয়ে আসবে। সময় অল্প, বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কর্মাতীত অবস্থা অবশ্যই পেতে হবে। পতিত থেকে পবিত্র হওয়ার জন্য স্মরণ অত্যন্ত জরুরী। নিজের দেখভাল করতে হবে। আমাকে সতোপ্রধান হতে হবে — এই চিন্তা যেন লেগে থাকে কারণ মাথার উপর জন্ম-জন্মানতরের বোঝা রয়েছে। রাবণ-রাজ্য হওয়ার কারণে সিঁড়িতে নেমেই এসেছো। এখন যোগবলের দ্বারা চড়তে হবে। রাত-দিন এই চিন্তাই যেন থাকে যে আমায় সতোপ্রধান হতে হবে আর সৃষ্টিচক্রের নলেজও বুদ্ধিতে চাই। স্কুলেও এ’টা থাকে যে আমরা অমুক-অমুক সাবজেক্টে পাশ করে যাব, এতে মুখ্য সাবজেক্ট হলো স্মরণের। সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞানও চাই। তোমাদের বুদ্ধিতে সিড়ির সমগ্র জ্ঞান রয়েছে যে এখন আমরা বাবাকে স্মরণের দ্বারা সত্যযুগী সূর্যবংশীয় ঘরানার সিড়ি চড়ি। ৮৪ জন্ম নুিয়ে সিড়িতে নেমে এসেছো, এখন অতি শীঘ্র চড়ে যেতে হবে। গায়ন আছে, তাই না – সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। এই জন্মেই বাবার থেকে জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার নিয়ে তারপর দেবতা হয়ে যাব। বাবা বলেন – বাচ্চারা, তোমরাই সূর্যবংশীয় ছিলে, তারপর চন্দ্রবংশীয়, বৈশ্য‍বংশীয় হয়েছো। এখন তোমাদের ব্রাহ্মণ বানাই। ব্রাহ্মণ হলো শিখা (টিকি)। সর্বোচ্চ পরমপিতা পরমাত্মা এসে ব্রাহ্মণ, দেবতা, ক্ষত্রিয় — তিন ধর্মের স্থাপনা করেন। তোমরা জানো যে এখন আমরা ব্রাহ্মণ বর্ণে রয়েছি। তারপর দেবতা ধর্মে আসবো। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে রোজ কত জ্ঞান ভরপুর হতে থাকে, যা ধারণ করতে হবে। না হলে নিজ-সম তৈরী করবে কিভাবে? সূর্যবংশীয় ঘরানায় অতি অল্পসংখ্যক আসবে, যারা ভালভাবে পড়বে এবং পড়াবে। এইসময় তোমাদের গতি-মতি জগতের থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র(ন্যারী)। যেমন বলা হয়, ঈশ্বরের গতি-মতি স্বতন্ত্র। তোমরা ছাড়া কেউই বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হয় না। প্রদর্শনীতে আসে আবার চলেও যায়। তারা হয়ে যায় প্রজা। বাকি যারা ভালভাবে পড়বে, পড়াবে, তারা ভাল পদ প্রাপ্ত করতে পারে। পুনরায় তোমাদের এই মিশনারীও সবল হতে থাকবে। অনেকের আকর্ষণ হবে, আসতে থাকবে। নতুন কথার প্রচার হতে সময় তো লাগে, তাই না। তৎক্ষণাৎ অনেক চিত্রও তৈরী হয়ে যাবে। দিনে-দিনে মানুষও(সংখ্যা) বৃদ্ধি পেতে থাকে। তোমরা জানো, এই যে বোমা ইত্যাদির লড়াই হবে তারপর কি হবে। দিনে-দিনে অপরিসীম দুঃখ হতে থাকবে। শেষে এই দুঃখের দুনিয়া সমাপ্ত হয়ে যাবে। সম্পূর্ণ বিনাশ হবে না। শাস্তে গায়ন আছে যে এই ভারত হলো অবিনাশী খন্ড। তোমরা জানো যে আমাদের অবিকল এমন স্মারকচিহ্ন আবুতে আছে। তার উপর বোঝানো উচিত, ও’টা হলো জড় স্মারক চিহ্ন। এখানে প্র্যাকটিক্যালি স্থাপনা হচ্ছে। বৈকুন্ঠের জন্য রাজযোগ শিখছো। দিলওয়াড়া মন্দির কত সুন্দরভাবে নির্মিত হয়েছে। আমরাও এখানে এসে বসেছি। প্রথম থেকেই আমাদের স্মারকচিহ্ন তৈরী হয়েই রয়েছে। তোমরা স্বর্গের রাজত্ব পাওয়ার জন্য এখানে বসেছো। বলে যে, বাবা আমরা তোমার থেকে রাজ্য নিয়েই ছাড়বো। যারা ভালভাবে সারাদিন স্মরণ করে এবং করায়, খুশিও তাদেরই থাকে। স্টুডেন্ট নিজেই বোঝে, আমরা পাশ হবো কি হবো না। লক্ষ-লক্ষ, কোটি-কোটির মধ্যে থেকে স্কলারশিপ কত অল্পসংখ্যকই পায়। মুখ্য হলো ৮ জন সোনা’র, তারপর ১০৮ রূপোর, বাকি ১৬০০০ তামার। দেখো যেমন পোপ মেডেলস দিত তখন সকলকে সোনার দিতো নাকি! কাউকে সোনার, কাউকে রূপোর। মালাও এ’ভাবেই হয়ে থাকে। তোমরা চাও গোল্ডেন প্রাইজ নেব। রূপোর নিলে চন্দ্রবংশে চলে আসবে। বাবা বলেন, আমায় স্মরণ করো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে আর কোনো উপায়ই নেই। পাশ করার জন্য এই উৎসাহ রাখো। লড়াই-এ কম-বেশি ঝামেলা থাকবে পুনরায় তীব্রভাবে পুরুষার্থ করতে লেগে যাবে। পরীক্ষার সময় স্টুডেন্টও তীব্রগতিতে ছোটার জন্য পুরুষার্থ করতে শুরু করে দেয়। এ হলো অসীম জগতের স্কুল। প্রদর্শনীতে খুব প্র্যাকটিস করতে থাকো। প্রজেক্টরের দ্বারা এতখানি প্রভাবিত হয় না, যতখানি প্রদর্শনী দেখে বিস্মিত হয়। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পুরোনো দুনিয়ার বিনাশ হোক, তার পূর্বেই নিজের কর্মাতীত অবস্থা তৈরী করতে হবে, স্মরণে যেন থাকে যে সতোপ্রধান হতে হবে।

২ ) সদা এই খুশিই যেন থাকে যে আমাদের শিক্ষা প্রদানকারী হলেন সর্বোচ্চ পিতা। পড়া ভালভাবে পড়তে এবং পড়াতে হবে। শুনে বিচার সাগর মন্থন করতে হবে।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা আত্ম-অভিমানী হয় তারা সহজেই নির্বিকারী হয়ে যায়। আত্ম-অভিমানী স্থিতির দ্বারা মন্সাতেও(মনেও) নির্বিকারীভাব অবস্থার অনুভব হয়। এ’রকম নির্বিকারী, যাদের কোনো প্রকারের অপবিত্রতা বা ৫ তত্ত্বের আকর্ষণ আকৃষ্ট করে না – তাদেরকেই ফরিস্তা বলা হয়ে থাকে। এরজন্য সাকারে থেকে নিজের নিরাকারী আত্ম-অভিমানী স্থিতিতে স্থিত হও।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top
Scroll to Top