20 April 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

April 19, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - যে খুশি নিজে প্রাপ্ত করেছো, তা সকলকে দিতে হবে, তোমাদের সুখ-শান্তি বন্টনের কর্তব্য করতে হবে"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা তোমাদের এই অসীম ড্রামার প্রতিটি দৃশ্য খুবই পছন্দের – কেন ?

উত্তরঃ -:-

কেননা স্বয়ং ক্রিয়েটরের (রচয়িতা) এই ড্রামা পছন্দ। যখন ক্রিয়েটরের পছন্দ তখন বাচ্চাদেরও অবশ্যই পছন্দ হবে। তোমরা কোনো কথাতেও অভিমান করতে পারবে না। তোমরা জানো যে এই দুঃখ-সুখের নাটক অনেক সুন্দর ভাবে তৈরী করা হয়েছে। এতে হার-জিতের খেলা চলতেই থাকে, একে খারাপ বলা যাবে না। দিনও ভালো তাই রাতও ভালো….. এই ড্রামাতে যে পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে, খুশি মনে যারা সেই পার্ট প্লে করে তারা অনেক আনন্দে থাকে। এই অবিনাশী নাটকের নলেজ সুমীরণকারী সর্বদা প্রফুল্লিত থাকে। বুদ্ধি ভরপুর থাকে।

গান:-

আমাদের তীর্থ হল সম্পূর্ণরূপে ভিন্ন..

ওম্ শান্তি । বাস্তবে স্কুলে কোনো গান গাওয়া হয় না। এটা হলো পাঠশালা। তাও এখানে গান কেন গাওয়া হয় ? সত্যযুগে তো এই গান গাওয়া হয় না। এখন আমরা সকলে বসে আছি সঙ্গমে, এইজন্য ভক্তি, গান ইত্যাদির দ্বারা তার অর্থ বোঝানো হয়, মানুষ তো অর্থ বোঝে না। এখন আমরা না এখানে আছি, না ওখানে আছি। মধ্যবর্তী স্থানে বসে আছি, তাই এর সামান্য আধার নেওয়া হয়েছে। বাচ্চাদেরকে জ্ঞান আর ভক্তির রহস্য তো বোঝানো হয়েছে। এই সময় তোমরা জ্ঞান শুনছো, ভবিষ্যতের জন্য। ভবিষ্যতের জন্য পুরুষার্থ করে কেউ প্রালব্ধ বানাবে, এইরকম কোনো মানুষ নেই। তোমরা পুরুষার্থ করছো – ভবিষ্যতের নূতন দুনিয়ার জন্য। মানুষ দান পুণ্য ইত্যাদি করে থাকে পরবর্তী জন্মের জন্য। সেটা হলো ভক্তি, এটা হলো জ্ঞান, কেউ কেউ বলেও থাকে জ্ঞান, ভক্তি আর বৈরাগ্য। সন্ন্যাসীদের হল সীমিত জগতের বৈরাগ্য। তোমাদের হলো অসীম জগতের বৈরাগ্য। তারা ঘর-গৃহস্থের থেকে বৈরাগ্য দিয়ে থাকেন, দুনিয়া থেকে নয়। ওরা জানেই না যে এই সৃষ্টি তমোপ্রধান জড়াজীর্ণ হয়ে গেছে, এর বিনাশ হবেই, কেননা কল্পের আয়ু অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন বাবা বসে বোঝান, বুদ্ধিও বলে যে এই কথাটি হল সম্পূর্ণরূপে সঠিক। প্রধান বিষয় হল পবিত্রতার, তারজন্যই তারা ঘর-গৃহস্থ পরিত্যাগ করে। তোমরা সমগ্র পুরাতন দুনিয়াকে বুদ্ধি থেকে ভুলে যাও। তোমরা পবিত্র হচ্ছো পবিত্র দুনিয়ায় যাওয়ার জন্য। তোমাদের যাত্রা হল বুদ্ধির। কর্মেন্দ্রিয় দিয়ে কোথাও যাওয়ার (যাত্রা করবার) দরকার নেই, তোমাদের শারীরিক কোনো কিছুই চলে না। এখন আমরা আত্মিক বাবার কাছে যাই। ওটা হল দৈহিক যাত্রা, সেই যাত্রা তো অনেক আছে, কখন কোথায় যায় আবার কখন কোথায়। তোমাদের বুদ্ধি একের দিকেই থাকে। একে অব্যভিচারী ভক্তিও বলা যেতে পারে। তোমরা এক-কেই স্মরণ করো। ওদের সকলের ভক্তি হল ব্যভিচারী। অনেককেই স্মরণ করে থাকে। তোমাদের হল অব্যভিচারী রূহানী যাত্রা, যার দ্বারা আমরা ফিরে যাচ্ছি নিজের ঘরে। ওরা নির্মাণধামকে ঘরও মনে করবে না। বলে পার নির্বাণে গেছে। তোমরা জানো যে ওখানে আমরা আত্মারা বাবার সাথে থাকি। এখন বাবা আমাদেরকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছেন। ওরা মনে করে আমরা সকলে হলাম ঈশ্বরের রূপ। অনেক শাস্ত্র ইত্যাদি পড়তে থাকে, এখানে তোমাদেরকে সেগুলির কোনো কিছুই শেখানো হয় না। তোমাদেরকে তো এই কর্ম-কাণ্ড থেকেও সন্ন্যাস দেওয়ানো হয়। এগুলি হলো সব ভক্তির কর্মকাণ্ড। যেমন প্রভুর গতি মতি হল সম্পূর্ণ পৃথক। সর্বপ্রথমে তোমাদেরকে অল্ফের সম্বন্ধে শেখানো হয়। বাবা স্বয়ং দালাল রূপে আসেন। গায়নও আছে, কিন্তু কেউ বুঝতে পারে না। তোমাদের ভক্তির প্রতি কোনো ঘৃণা নেই। কারোর প্রতিই ঘৃণা আসে না, যখন জানে যে ড্রামা পূর্ব নির্ধারিত। হ্যাঁ, বোঝানো অবশ্যই হয় যে এই পুরাতন নোংরা দুনিয়াকে পরিত্যাগ করে ফিরে যেতে হবে। যখন ভক্তিতে ছিলে তখন ভক্তির সাথে ভালোবাসা ছিল। গান ইত্যাদি শোনার ফলে আনন্দ হতো। এখন বোঝা যায় যে সেগুলো কোনো কাজের ছিল না। শুনলে কোন আপত্তি নেই কিন্তু জেনে গেছি, এগুলিও হল ভক্তির আধার। এখন আমাদের ভক্তির সাথে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন হয়ে জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত হয়েছে। জ্ঞান আর ভক্তি উভয়ই তোমরা জানো। মানুষ যতক্ষণ না জ্ঞানপ্রাপ্ত করছে ততক্ষণ ভক্তিতেই অনেক ভালভাবে বুঝতে পারে আমরা জন্ম-জন্মান্তর ভক্তি করে এসেছি। ভক্তির সাথে আমাদের স্নেহ ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে থেকেছে। এখন আমাদের বুদ্ধিতে আছে এই দুঃখ-সুখ হার-জিত সবই হলো পূর্বনির্ধারিত ড্রামা। তাই ওদের উপরে দয়া হয়, যেন ওরাও রচয়িতা আর রচনার জ্ঞান প্রাপ্ত করতে পারে, তাহলে বাবার উত্তরাধিকারও প্রাপ্ত করতে পারবে। সিন্ধবৃতি (বিদেশে গিয়ে যে সব সিন্ধ ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করছে) যখন দেখে অমুক জায়গায় ব্যবসা ভালো চলছে, তখন নিজের মিত্র সম্বন্ধীদের রায় দেয় যে অমুক জায়গায় চলো, ওখানে উপার্জন অনেক ভালো হবে।

তোমরা জানো যে, এই রাবণ রাজ্যে দুঃখ-ই দুঃখ। মানুষ এটাই জানে না জ্ঞান কি। সাধু-সন্তরাও জানে না যে এই জ্ঞানের দ্বারা স্বরাজ্য প্রাপ্ত করা যায়। জিজ্ঞাসা করে এই জ্ঞানের দ্বারা কি প্রাপ্তি হয় ? তাই লেখা হয় সুখ আর শান্তি উভয়ই প্রাপ্ত হয়, তাও আবার অবিনাশী। কারও সুখ-শান্তির ব্যবসা হাতে এসে যায় তো তখন তাতে নিযুক্ত হয়ে যায়। হ্যাঁ কায়িক পরিশ্রমের সার্ভিসও কিছু সময়ের জন্যও করতে হয়। সৎসঙ্গের সময়ও সকালে এবং সন্ধ্যায় হয়ে থাকে। মায়েদের সংসারের বন্ধন থাকে তাই তাদের জন্য দিনের বেলায় রাখা হয়। সকাল বেলার সময় হল সব থেকে ভালো। ফ্রেশ মাইন্ড থাকে। যা যা শোনো তাকে ধারণ করে উগরিয়েও দিতে হবে। জগতের কারোরই জানা নেই যে, নিরাকার পরমাত্মাও পড়াতে আসেন। ভগবানুবাচ – তোমাদেরকে রাজযোগ শিখিয়ে আমি নর থেকে নারায়ণ বানাই। এই যোগ অতি সুখ্যাত। মানুষ বিনাশী ধনের দান পুণ্য করে, পরের জন্মে রাজ পরিবারে ভালো জন্ম হয়। এখানে তো তোমরা ২১ জন্মের উত্তরাধিকার পাচ্ছো। তোমরা সব কিছু দান করে থাকো ২১ জন্মের জন্য । তখন আর কোনো পদ পাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে না । পদ ফিক্সড হয়ে যায়। এখন তোমরা তোমাদের উত্তরাধিকার বাবার কাছ থেকে নিচ্ছো। সেইজন্য বাবা বলেন, ভালো ভাবে পঠন-পাঠন করো যাতে জন্ম-জন্মান্তর রাজা হতে পারো। প্রথম জন্মই হবে সুউচ্চ। প্রজারাও উচ্চ মর্যাদা পাবে। রাজত্বে তো দাস – দাসী সবেরই প্রয়োজন । যত পড়বে, মহাদানী হবে ততই উচ্চ পদ প্রাপ্ত করবে। বাবাও হলেন মহাদানী। সকলকে বিত্তবান বানিয়ে দেন।। সুখ এবং শান্তির উত্তরাধিকার প্রদান করেন। সবার প্রথমে সুখেই আসে। সকলেই সুখী থাকত কেননা প্রথম কাল হল সতোপ্রধান তারপর রজঃ তমঃতে আসে। তাদের পার্ট হল আলাদা, আমাদের পার্ট হল আলাদা। যারা এই ধর্মের, তাদেরই স্যাপলিং (চারা বসে) লাগে। তোমরা যখন সম্পূর্ণ হয়ে যাবে তখন সাথে সাথেই বুঝতে পেরে যাবে যে এ এই ধর্মের নাকি নয়।

বাচ্চারা তোমরা সবাইকে বুঝিয়ে থাকো যে, বাবা নতুন দুনিয়ার রচনা করেন, তো ভারতই উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করেছিল। তারপর হারিয়ে ফেললে। ড্রামা অনুসারে উত্তরাধিকার নিতেও হবে আবার হারাতেও হবে। এই চক্র চলতেই থাকে। এই সময় আমরা উত্তরাধিকার হারিয়ে ফেলেছি, পুনরায় আবার প্রাপ্ত করছি। লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজত্বর কথা তো কারোরই জানা নেই। সেইজন্যই জিজ্ঞাসা করা হয় যে, লক্ষ্মী-নারায়ণ এই রাজত্ব কবে আর কীভাবে প্রাপ্ত করেছিল ? যেমন তারা কৃষ্ণকে সামনে এনে লক্ষ্মী-নারায়ণকে অদৃশ্য করে দিয়েছে আর আমরা তারপর লক্ষ্মী-নারায়ণকে সামনে রেখে কৃষ্ণকে পরে রাখি। লক্ষ্মী-নারায়ণ তো হলেনই সত্যযুগের, নারায়ণ বাচ তো হওয়াই সম্ভব নয় । বাবা বলেন আমি আসিই সঙ্গমযুগে । লক্ষ্মী-নারায়ণ নিশ্চয়ই পূর্ব জন্ম সঙ্গমযুগেই নিয়েছিল। লক্ষ্মী-নারায়ণই ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন অন্তিম জন্মে রয়েছে । লক্ষ্মী-নারায়ণকে রাজ্য প্রদানকারী নিশ্চয়ই কেউ থেকে থাকবে। ভগবানই দিয়েছিলেন। এই সময় তোমরা একেবারেই বেগার (ভিখারি) হয়ে তারপরে প্রিন্স হয়ে যাও। প্রিন্সের তো নিশ্চয়ই রাজা মহারাজার কাছে জন্ম হবে। এখনও কোনো কোনো ভালো রাজা রয়েছেন যারা অত্যন্ত প্রজাবৎসল। এখন তোমরা জানো যে আমরা রাজযোগ শিখছি। যার দ্বারা আমরা রাজ্য ভাগ্য প্রাপ্ত করি। আমাদের এই নিশ্চয় রয়েছে, কেননা এ হল অনাদি ড্রামা। হার আর জিতের খেলা। যেটা হচ্ছে সেটা ঠিকই হচ্ছে। ক্রিয়েটরের কি ড্রামা পছন্দ হবে না ? অবশ্যই পছন্দ হবে। তবে ক্রিয়েটরের বাচ্চাদেরও পছন্দ হবে। আমরা কাউকেই ঘৃণা করতে পারি না। তারা তো মনে করে ভক্তির পার্ট ড্রামাতে নির্ধারিত রয়েছে। সমগ্র ড্রামাই হল উত্তম। খারাপ ড্রামা কেন বলা হবে ! ড্রামার রহস্য বুদ্ধিতে রয়েছে, যা তোমাদেরকে আমি বুঝিয়ে থাকি। এখন ড্রামার পার্ট সম্পূর্ণ হবে। এখন পুরুষার্থ করে বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে। বাবা বলেন এ সব হল আসুরিক সম্প্রদায়। এতে ঘৃণা করার কোনো ব্যাপারই নেই। ঈশ্বরীয় সম্প্রদায় আর আসুরিক সম্প্রদায়েরই তো এই খেলা। তারা কী নিজেদেরকে দুঃখী মনে করে নাকি। ভক্তি করতে থাকে আর মনে করে ভগবান এসে ভক্তির ফল দেবেন। ঘরে বসেই কোনো না কোনো রূপে ভগবান এসে দেখা দেবেন। আর সন্ন্যাসীরা মনে করে আমরা আপনিই নির্বাণধামে চলে যাব। নিজেদের পুরুষার্থের দ্বারা তারা তত্ত্বের সাথে যোগযুক্ত হয় আর মনে করে আমরা লীন হয়ে যাব। দুনিয়াতে অনেক মত রয়েছে। বাবা এসে এক মতের কথা বলেন। তিনি বোঝান যে, এই ড্রামা অনাদি পূর্ব রচিত। খুবই সুন্দর নাটক তৈরি হয়ে রয়েছে। তাহলে তো সকলেরই পছন্দ হওয়া উচিত। দিনও ভালো তেমনি রাতও ভালো। খেলা যে। তোমরা জানো যে এখন রাত শেষ হবে। আমাদের দিনে এসে উচ্চ পদ পেতে হবে। অসন্তোষ কেন আসবে। ড্রামাতে যে পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে সেটা তো প্লে করতেই হবে। খুব সুন্দর ড্রামা, একে খারাপ বলতে পারি না। এই খেলা কখনোই বন্ধ হয় না, অত্যন্ত ফার্স্ট ক্লাস এই খেলা। একে জানার ফলে বুদ্ধি ভরপুর হয়ে গেছে । যেমন বাবা হলেন নলেজফুল তেমনই বাচ্চারাও হল নলেজফুল । কত সময় সুখ, কত সময় দুঃখ পেতে হবে এও তোমরা সব কিছু জেনে গেছ। তবেই তো বলা হয় বাঃ প্রভু তোমার লীলা ! প্রভুর রচনা অবশ্যই ভালোই হবে। তাকে খারাপ কেউই বলতে পারবে না। ড্রামাতে যে পার্ট প্রাপ্ত হয়েছে, তা তো পালন করতেই হবে। এই খেলা কখনো বন্ধ হওয়ারই নয়। একে জানলে মজাই মজা আসতে থাকে। ভক্তিতে সত্যযুগী রাজত্বের বিষয়ে কিছু জানাই নেই। আবার সত্যযুগী রাজত্বে ভক্তির বিষয়ে কিছু জানাই থাকে না। ভক্তিতেও কত সুন্দর গীত গেয়ে থাকে যে, হে প্রভু তোমার লীলা কতো সুন্দর ! তোমরা এই অনন্ত নাটককে তো জানো। তারপর যে পদ প্রাপ্ত হয়, তাকে দেখেও খুশি হতে থাকো। মানুষ নাটক দেখে খুশি হয়, তাই না! ওখানে নানান ধরনের নাটক হয়ে থাকে। এখানে একটাই নাটক হয়। এই নাটককে জানলে আমরা বিশ্বের মালিক হয়ে যাই। কতখানি ওয়ান্ডারফুল কথা ! বাবার থেকে তোমরাই জেনেছো। এই সব কথার মধ্যে রমণ করতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে ২ – ৩ ঘন্টা বের করেও মানুষ নাটক দেখতে যায়। সেই বিষয়ে কাউকে কিছু জিজ্ঞাসা করা হয় কি ? বুদ্ধিতে বসে যায়। সেই রকমই এও হল অবিনাশী নাটক, এটাকে কি কখনো ভোলা উচিত ? এই চক্রের স্মৃতি তো একেবারেই সহজ। একে আর কেউই জানে না। তোমরা বুদ্ধির দ্বারা জানো আর দিব্য দৃষ্টির দ্বারা দেখেও থাকো। পরে গিয়ে আরো অনেক সীন সীনারি দেখতে থাকবে। আচ্ছা !

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা বাচ্চারা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার সমান মহাদানী হতে হবে। সবাইকে সুখ শান্তির উত্তরাধিকার দিতে হবে। জ্ঞানকে ধারণ করে তারপর উদ্গার করতে হবে।

২ ) অবিনাশী নাটককে দেখে সদা প্রফুল্ল থাকতে হবে। প্রভুর লীলা আর এই ড্রামা কতো বিচিত্র – এর সুমীরণ অর্থাৎ মনন করে আনন্দে থাকতে হবে।

বরদানঃ-

পুরুষার্থ ধরনী প্রস্তুত করে, সেটাও জরুরী। কিন্তু পুরুষার্থের সাথে সাথে যোগের প্রয়োগের দ্বারা সকলের বৃত্তিকে পরিবর্তন করো তো সফলতা সমীপে দেখতে পাওয়া যাবে। দৃঢ় নিশ্চয় আর যোগের প্রয়োগের দ্বারা যে কোনো ব্যক্তির বুদ্ধিকে পরিবর্তন করতে পারো। সেবাতে যখন কোনও পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তাতে বিজয় যোগের প্রয়োগের দ্বারাই হয়েছে। সেইজন্য পুরুষার্থের দ্বারা ধরনী প্রস্তুত করো, কিন্তু বীজকে প্রত্যক্ষ করাবার জন্য যোগের প্রয়োগ করো। তবে বিজয়ী ভব’র বরদান প্রাপ্ত হবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top