2 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

August 1, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - ঈশ্বরীয় পাঠকে মনন করতে থাকো তাহলে কোনো বিষয়েই মুষড়ে পড়বে না। সবসময় এই নেশাই থাকবে যে স্বয়ং নিরাকার ভগবান আমাদের পড়াচ্ছেন"

প্রশ্নঃ --

এই জ্ঞান রত্নের অবিনাশী নেশা কোন্ বাচ্চাদের মধ্যে থাকতে পারে ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা গরিব হয়। গরিব বাচ্চারাই বাবার দ্বারা পদ্ম পদমপতি হয়ে থাকে। তাদের মালায় গাঁথা যেতে পারে। বিত্তবানদের নিজেদের বিনাশী সম্পদের প্রতি নেশা থাকে। বাবার এই সময় কোটিপতি বাচ্চার প্রয়োজন নেই। গরিব বাচ্চাদের এক এক পয়সা দিয়েই স্বর্গের স্থাপনা হয়ে থাকে কেননা গরিবদেরই বিত্তবান হতে হবে।

গান:-

এই পাপের দুনিয়া থেকে..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি-মিষ্টি বাপদাদার বাচ্চারা জানে যে আমরা এখন এমনই জায়গায় যেতে চলেছি, যেখানে দুঃখের লেশ মাত্র নেই, যার নাম হল সুখধাম। আমরা ঐ সুখধাম বা স্বর্গের মালিক ছিলাম। সুখধাম সত্যযুগে ছিল, দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল। এখন তোমরা ব্রাহ্মণ হয়েছ, সুতরাং তোমরা হলে ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী ব্রাহ্মণ। তোমরা লিখে থাকো- শিববাবা কেয়ার অফ ব্রহ্মাকুমারী। এটাও তোমরা এখনই জানতে পারো যে পূর্বের মতোই এখন আমাদের উত্তরণের কলা। উত্তরণের কলা আর নিচে নেমে আসার কলা তোমরা বাচ্চারা ভালোভাবে বুঝতে পেরেছ। তোমরা এটাও বুঝেছ ভারত যখন উত্তরণের কলায় ছিল তখন, সেখানকার মানুষদের দেবী-দেবতা বলা হতো। এখন নিচে নেমে আসার কলায়, সেইজন্য তাদের দেবী-দেবতা বলা হয় না। এখন নিজেদের মানুষ মনে করে। মন্দিরে গিয়ে দেবী-দেবতাদের সামনে মাথা নত করে। তারা বুঝতে পারে যে অতীতে তারা বিদ্যমান ছিল। কবে ? সেটা জানে না। তোমরা যে কোনো কাউকে বোঝাতে পারো – ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর আগে ভারত স্বর্গ ছিল। তোমরা বাচ্চারা বুঝতে পেরেছ চক্রকে এখন ঘুরতেই হবে। পতিত দুনিয়াকে পবিত্র হতেই হবে। এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে আছে যে আমরা বাবার মাধ্যমে মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি। বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন, এই নেশা বৃদ্ধি পাওয়া উচিত তাইনা। গায়নও আছে ভগবানুবাচ – আমি তোমাদের রাজযোগ শেখাই। শুধুমাত্র এটাই ভুল করেছে যে বাবার পরিবর্তে বাচ্চার নাম দিয়ে দিয়েছে। এই ভুল তোমরা বাচ্চারাই বুঝতে পেরেছ আর কেউ বোঝেনি।

এখন বাচ্চারা তোমাদের বুদ্ধিতে এসেছে যে আমরা পুনরায় নিজেদের শান্তিধাম থেকে সুখধামে যাওয়ার জন্য পবিত্র হচ্ছি। গানও গায় হে পতিত-পাবন এসো। পতিত-পাবন তো গডফাদার। কৃষ্ণকে তো বলতে পারো না। এটাই বুদ্ধিতে স্মরণ করতে হবে। স্কুলে বাচ্চাদের বুদ্ধিতে পড়াশোনার মনন (সিমরণ) তো চলে তাই না ! তোমরাও যদি সিমরণ করতে থাকো তবে কখনও মুষড়ে পড়বে না। তোমরা জানো এখন আমাদের উত্তরণের কলা। সেকেন্ডে জীবনমুক্তিও গাওয়া হয়েছে। বাচ্চা জন্ম নেওয়ার সাথে-সাথেই উত্তরাধিকার পাওয়ার অধিকারী হয়। কিন্তু সেটা কোনো জীবনমুক্তির উত্তরাধিকার নয়। এখানে তোমরা জীবনমুক্তির রাজ্য ভাগ্য পেয়ে থাকো। বাবার সাথে অবশ্যই মিলিত হওয়া দরকার। তোমরা এটাও জানো যে অসীমের বাবার কাছ থেকে ভারত অসীমের উত্তরাধিকার পেয়েছিল, এখন আবারও পেতে চলেছে। এখন তোমরা শ্রীমত অনুসারে চলে উত্তরাধিকার পাচ্ছো। ভক্তি মার্গে কাউকে না কাউকে স্মরণ করতেই থাকে। চিত্রও সবার মজুদ আছে, পূজা করা হয় তাই না! এই রহস্যও বাবা বুঝিয়েছেন। এইসব বিষয় সম্পর্কে কোটির মধ্যে কেউ তো যথার্থ রীতিতে বুঝতে পারবে আর দৃঢ় বিশ্বাস থাকবে। আবার কারো কারো মনে সংশয়ও উৎপন্ন করবে। কারো যাতে সংশয় তৈরি না হয় সেইজন্য সম্বন্ধের বিষয় বোঝাতে হবে। গীতাতেও আছে না ‐ অর্জুনকে ভগবান বসে বোঝাচ্ছেন। কিন্তু ঘোড়ার গাড়িতে বসে রাজযোগ শেখাবেন – এটা তো হতেই পারে না। এভাবে বসে কি রাজযোগ শেখাবেন নাকি । এটা বলাই তো মিথ্যা হয়ে গেল। দেখানো হয়েছে বিষ্ণুর নাভি থেকে ব্রহ্মা বেরিয়েছে তারপর ব্রহ্মার হাতে শাস্ত্র দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সূক্ষ্মবতনে তো এ’সব হতে পারে না। সুতরাং এখানেই তার সার (মূল বিষয়) বোঝাবো তাইনা। এমনই সব চিত্রের মাধ্যমে তোমরা বোঝাতে পার। প্রদর্শনীতেও এইসব চিত্র অনেক কাজে অবশ্যই আসবে। সূক্ষ্মবতনের কথা নয় এইসব বিষয়। ব্রহ্মার মুখ দ্বারা কাদের বোঝাব ? ওখানে তো ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শঙ্করই আছে। অতএব শাস্ত্রের সার কাকে বোঝাব ? তোমরা জানো এসবই হলো ভক্তি মার্গের কর্মকাণ্ড। সত্যযুগ এবং ত্রেতায় এইসব ভক্তি তো হতেই পারে না। ওটা হচ্ছে দেবী-দেবতাদের রাজধানী। সেখানে ভক্তি কোথা থেকে আসবে। ভক্তি তো আসে পরে। তোমরা বাচ্চারা জানো নিশ্চয় বুদ্ধিই বিজয়ী হয়, বাবার প্রতি নিশ্চয় থাকলে অবশ্যই বাদশাহী পাবে। বাবা বসে বোঝান আমিই স্বর্গের স্থাপনা করি আর পতিতদের পবিত্র করে তুলি। শিবকে কখনও গৌরবর্ণ, শ্যামবর্ণ বলা হয় না। কৃষ্ণকেই শ্যাম সুন্দর বলা হয়। বাচ্চারা জানে যে – শিব চক্রে (জন্ম-মৃত্যুর) আসেন না। সুতরাং তাঁকে গৌর অথবা শ্যাম বর্ণের দেখাতে পারে না। বাবা বোঝান বাচ্চারা তোমাদের এখন উত্তরণের কলা। শ্যাম থেকে গৌর বর্ণের হতে হবে। ভারত গৌর বর্ণের ছিল – এখন কালো (কুৎসিত)হয়ে গেছে, কাম চিতায় বসে । গায়নও আছে সগর রাজার বাচ্চারা কাম জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিয়েছিল। এখন বাবা তোমাদের জ্ঞানের চিতায় বসাচ্ছেন। তোমাদের উপর জ্ঞানের বর্ষা বর্ষিত হয়। এটাও তোমরা বুঝেছ এখানে হল এই একটাই এই সৎসঙ্গ। পরমপিতা পরমাত্মা যিনি স্বর্গ স্থাপনা করেন, তাঁকে অমরনাথও বলা হয়, নিশ্চয়ই তিনি এখানে বসেই বাচ্চাদের বোঝাবেন তাইনা! পাহাড়ে শুধু একজন পার্বতীকেই বসে শোনাবেন নাকি ? ওঁনাকে তো সম্পূর্ণ পতিত দুনিয়াকে পবিত্র করে তুলতে হবে। একজনের বিষয় নয় এটা। তোমরা জানো আমরা পবিত্র দুনিয়ার মালিক ছিলাম আবারও আমরাই হব। কল্প বৃক্ষের চিত্রের মাধ্যমেও বোঝানো হয়েছে যে পরের দিকে ছোট-ছোট ডালপালা বের হয়। এরা সব ছোট-ছোট মঠ পথ। সর্বপ্রথমে খুব সুন্দর সুন্দর পাতা বের হয়। যখন ঝাড়ের জড়াজীর্ণ অবস্থা হয় তখন না নতুন পাতা বের হয় না ফল হয়। প্রতিটি বিষয়ে বাবা বাচ্চাদের যথার্থ রীতিতে বুঝিয়ে থাকেন। তোমাদের লড়াই হচ্ছে মায়ার সাথে। এতো উচ্চ পদ যখন তখন কিছু তো পরিশ্রম করতেই হবে না ! পড়াশোনাও করতে হবে, পবিত্রও হতে হবে। অর্ধকল্প ধরে রাবণ রাজ্য চলেছে এখন রামরাজ্য হবে। বলেও থাকে রামরাজ্য হোক। কিন্তু এটাই জানা নেই যে কবে আর কীভাবে হবে ? শাস্ত্রে এই বিষয়ে কিছুই নেই। দেখানো হয়েছে পান্ডবরা পাহাড়ে গলে মরে গেছে। আচ্ছা তারপর কি হয়েছে ? প্রলয় তো হয়না। একদিকে দেখায় বাবা রাজযোগ শেখাচ্ছেন। তিনি বলেন তোমরা ভবিষ্যতে রাজারও রাজা হবে আবার দেখাচ্ছে পান্ডবরা শেষ হয়ে গেছে। এটা কিভাবে হতে পারে! নতুন দুনিয়ার স্থাপনা তবে কিভাবে হবে ? শ্রী কৃষ্ণ কোথা থেকে আসবে ? নিশ্চয়ই ব্রাহ্মণ প্রয়োজন হবে।

তোমরা জানো আমরা নতুন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য পুরুষার্থ করছি। এখানে জ্ঞানের সাগরের কাছে রিফ্রেশ হওয়ার জন্য আসি। সেখানে তোমরা জ্ঞান গঙ্গার মাধ্যমে শুনে থাকো। অমরনাথে একটা হ্রদ আছে মানসরোবর নামে। বলে থাকে ওখানে স্নান করলে পরি হয়ে যায়। বাস্তবে এটা হচ্ছে জ্ঞানের মানসরোবর। জ্ঞানের সাগর বাবা বসে জ্ঞান স্নান করান, যার ফলে তোমরা স্বর্গের পরি হয়ে ওঠো। পরি নাম শুনে মানুষ ডানা জুড়ে দিয়েছে। বাস্তবে ডানার কোনো বিষয় নেই। আত্মার উড়ে যাওয়ার মতো ডানা এখন ভেঙে গেছে। শাস্ত্রে তো কত কি বিষয় লিখিত আছে। ব্রহ্মা বাবাও অনেক শাস্ত্র পড়েছেন। এনাকেও বাবা বলেন, তুমি নিজের জন্ম সম্পর্কে জানো না। আমি তোমার অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে তোমার মধ্যে প্রবেশ করি। কৃষ্ণের তো সত্যযুগে প্রথম জন্ম হয়। স্বয়ম্বরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়। সুতরাং যে শ্রী নারায়ণ ছিল, সে-ই অনেক জন্মেরও অন্তিম জন্মে সাধারণ হয়। তার শরীরেই অবশ্যই আসতে হবে। কেউ-কেউ বলে থাকে ভগবান পতিত দুনিয়াতে কীভাবে আসবেন। বুঝতে না পারার কারণে শ্রী কৃষ্ণের নাম রেখে দিয়েছে। যে সবচাইতে পবিত্র। কিন্তু শ্রী কৃষ্ণকে সবাই ভগবান বলে মানবে না। ভগবান তো হলেন নিরাকার। ওঁনার শিব নাম প্রসিদ্ধ। প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো এখানে। সূক্ষ্মবতনে আছে ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর। এটাও ভালোভাবে বোঝা উচিত। এই বিষয়ে খুব ভালো ধারণা থাকা উচিত। নিজেদের মধ্যে একে অপরকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া উচিত। বাবাকে স্মরণ করো, ৮৪ চক্রকে স্মরণ করো। এখন ঘরে যেতে হবে। এই পুরানো দুনিয়া, পুরানো বস্ত্র সব ত্যাগ করতে হবে। এখন আমরা নতুন দুনিয়াতে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছি। পুরানো দুনিয়ার প্রতি নেশা থাকে না। এ’হলো অবিনাশী জ্ঞান রত্নের নেশা, যে নেশা ছাড়া মুশকিল হয়ে পড়ে। গরিবদের হয়ত কেটে যেতে পারে । বাবা বলেন – আমি তো দীনদয়াল, আসেও গরিবরাই। আজকাল তো কোটিপতিদেরই পয়সাওয়ালা (ধনী) বলা হয়। লক্ষ পতিদের পয়সাওয়ালা বলা হয় না। ওরা এই জ্ঞান নিতে ধারণ করতে পারবে না। বাবা বলেন আমার লক্ষ-লক্ষ বিলিয়নের প্রয়োজন নেই। আমি নিয়ে কি করব ! গরিবের এক এক পয়সা দিয়েই আমি স্বরাজ্য স্থাপন করব। আমি একজন পাক্কা ব্যবসায়ী। এমনি কেন নিতে যাব যা ফেরত দিতে হবে। তোমাদের সাথে তাঁর লেনদেন হয় সেইজন্যই তাঁকে ভোলানাথ বলা হয়। গরিব থেকেও গরিবদেরকে মালায় গাঁথা হয়। পুরুষার্থের উপরেই সম্পূর্ণ নির্ভর করছে। এখানে পয়সার কোনো বিষয় নেই। পড়াশোনার ব্যাপারে গরিবরা ভালোভাবে মনোযোগী হবে। পড়াশোনা তো একই। গরিবরাই ভালোভাবে পড়াশোনা করবে কেননা বিত্তবানদের তো পয়সার নেশা থাকে।

তোমরা বাচ্চারা জানো আমরা স্বর্গের মালিক ছিলাম, এখন কাঙাল হয়ে গেছি। এখন বাবা এসেছেন। ৮৪ জন্মের চক্র অবশ্যই ঘুরতে হবে। পুনর্জন্মও প্রমাণিত হবে। তোমরা হারানিধি বাচ্চারাই ৮৪ জন্মের চক্রে আসো। এই বিষয়েও তোমরাই জানো আর কেউ জানেনা। তোমরা জানো চক্র সম্পূর্ণ হতে চলেছে, এখন ঘরে ফিরে যেতে হবে। ঈশ্বরীয় পাঠের রিভিশন করতে হবে। চিত্র রাখা থাকলে চোখ পড়লেই চক্র স্মরণ হবে। কিছু-কিছু গানও আছে খুব ভালো, শুনলে নেশা বৃদ্ধি পায়। তোমরা এখন শিববাবার হয়েছ, অবিনাশী উত্তরাধিকার তোমরা এখন নিরাকার দ্বারাই পাচ্ছো, সাকারের মাধ্যমে। নিরাকার কীভাবে দেবেন যতক্ষণ সাকারে না আসবেন। সুতরাং বলে থাকেন আমি এর মধ্যে অনেক জন্মের অন্তিম জন্মে প্রবেশ করি। এখানেই প্রজাপিতা প্রয়োজন। ব্রহ্মার নাম প্রসিদ্ধ, ব্রহ্মা মুখ বংশাবলী। বাচ্চাদের বাজোলি ডিগবাজি (বাজোলি) সম্পর্কেও বোঝানো হয়েছে । আমরা এখন ব্রাহ্মণ, তারপর দেবতা হব। কেশশিখাও (ব্রাহ্মণ টিকি) দেখা যায় (চিত্রে)। উপরে শিববাবা স্টার, কত সূক্ষ্ম। এতো বড় লিঙ্গ হয়না, পূজার জন্য বড় করে তৈরি করা হয়েছে। তিনি রুদ্র যজ্ঞ রচনা করেন সেইজন্যই একটা বড় শিবলিঙ্গ বাকি সব ছোট-ছোট শালগ্রাম তৈরি করে থাকে। বিত্তশালী মানুষরাই এইসব তৈরি করে থাকে। দ্বাপর থেকেই এই ভক্তি মার্গের শুরু হয়। প্রথমে ১৬ কলা, তারপর ১৪ কলা এইভাবে কলা হ্রাস পেতে-পেতে এখন আর কলাও অবশিষ্ট নেই। এ’সবই বাবা বসে বোঝান। বাবা অন্য কোনো কষ্ট দেন না। নোট করতে থাকো, পতিদেরও পতিকে কত সময় স্মরণ করেছ। অব্যভিচারী বৈবাহিক সম্বন্ধ হওয়া চাই তাই না! আত্মীয পরিজন ইত্যাদি সবাইকে ভুলতে হবে। একজনের প্রতিই ভালোবাসা রাখতে হবে। এই বিষয় সাগর থেকে ক্ষীরসাগরে যেতে হবে। আত্মাদের বৈঠক তো হল ব্রহ্ম তত্ত্ব। ক্ষীরসাগরে বিষ্ণুকে দেখানো হয়। বিষ্ণু আর ব্রহ্মা। ব্রহ্মার মাধ্যমে তোমাদের বোঝানো হয় তারপর তোমরা বিষ্ণুপুরী ক্ষীরসাগরে চলে যাও। এখন বাবা বলছেন মামেকম্ স্মরণ কর আর কোনো কষ্ট দিই না। শুধু বলেন – হে আত্মারা আমাকে স্মরণ কর। আমি তোমাদেরকে পার্ট প্লে করার জন্য পাঠিয়েছিলাম। তোমাদের স্মরণ করিয়ে দিই – তোমরা নগ্ন (অশরীরী) এসেছিলে। সবার প্রথমে তোমরাই দেবতা হয়ে স্বর্গে এসেছিলে। ভগবান যখন সবারই পিতা তখন তো সবারই স্বর্গে আসা উচিত তাইনা! কিন্তু সব ধর্ম তো আসতে পারবে না। ৮৪ জন্ম দেবতারাই নিয়েছে। তাদেরকেই আসতে হবে। এ’সবই কথা তোমরা ছাড়া আর কেউ জানতে পারে না। পরিণত বুদ্ধি সম্পন্নরাই ধারণ করবে। আর অল্প সময়ই বাকী আছে। শুধু নিজেকে আত্মা মনে কর। আমরা এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করি, ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ হয়েছে। এখন এটা হল অন্তিম জন্ম। আত্মা খাঁটি সোনায় পরিণত হবে। সত্যযুগে খাঁটি গহনা ছিল, এখন সব কৃত্রিম (ভেজাল)। তোমরা এখন পুনরায় জ্ঞানের চিতায় বসে গৌরবর্ণ হচ্ছো। প্রতিটি শ্বাসে-শ্বাসে স্মরণ করলে অন্তিমে সেই অবস্থাই হবে। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ক্ষীরসাগরে যাওয়ার জন্য একমাত্র বাবার প্রতিই প্রকৃত ভালোবাসা রাখতে হবে। এক এর প্রতিই অব্যভিচারী স্মরণে থাকতে হবে এবং সবাইকে বাবার স্মরণে থাকার কথা মনে করিয়ে দিতে হবে।

২ ) বিনাশী সম্পদের প্রতি নেশা থাকা উচিত নয়। জ্ঞান ধনের নেশাই স্থায়ী থাকা উচিত। পড়াশোনা( ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন) করে উচ্চ পদ পেতে হবে।

বরদানঃ-

কর্মযোগী বাচ্চাদের কর্মের মধ্যেও বাবার সাথে থাকার কারণে একস্ট্রা সহায়তা প্রাপ্ত হয় । যে কোনো কাজ সে যতই কঠিন হোক না কেন বাবার সাহায্য – উৎসাহ-উদ্দীপনা, সাহস আর ক্লান্ত না হওয়ার শক্তি প্রদান করে। যে কাজে উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকে সেই কাজ অবশ্যই সফল হয়। বাবা নিজের হাতে কাজ করেন না কিন্তু সহযোগ দেওয়ার কাজ অবশ্যই করেন। সুতরাং তুমি আর বাবা – এমনই কর্মযোগী স্থিতি হলে কখনোই ক্লান্তি অনুভব হবে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top