19 October 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
18 October 2021
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - অসীম জগতের পিতা এসেছেন তোমাদের মতো বাচ্চাদের নিজের সঙ্গে করে নিয়ে যেতে, তাই এখন বাবার হয়ে তাঁর শ্রীমতে চলতে থাকো"
প্রশ্নঃ --
বাবা তাঁর নিজের বাচ্চাদের উচ্চ ভাগ্য বানানোর জন্য কোন্ শ্রেষ্ঠ মত দেন ?
উত্তরঃ -:-
মিষ্টি বাচ্চারা, মৃত্যুর পূর্বে যতটা সম্ভব স্মরণে থাকার পুরুষার্থ করে নাও, এতেই তোমাদের উপার্জন । আমার সন্তান হয়ে ভুল করেও কোনো পাপ কর্ম করো না । মায়ার যতই ঝড় আসুক না কেন, কিন্তু কখনোই পতিত হয়ো না ।
ওম্ শান্তি । শিব ভগবান উবাচঃ । বাচ্চারা, তোমরা তো বুঝতে পারবে যে, শিব বাবা আমাদের বোঝাচ্ছেন । তোমরা হলে সঙ্গমযুগী । তোমরা শিব বাবার সম্মুখে বসে আছো । কলিযুগী মানুষ শিব বাবার জড় মন্দিরে গিয়ে বসে । তফাৎ তো বুঝতে পারো, তাই না । বুদ্ধির তালা কিছু তো খোলো । তোমরা বুঝতে পারো, আমরা চৈতন্য শিব বাবার সম্মুখে বসে আছি । বাবা আমাদের সঙ্গে সম্মুখে বার্তালাপ করছেন । শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা রাজযোগ শেখাচ্ছেন, আর অন্যদিকে দেখো, মানুষ শিব বাবার পূজা করছে । অমরনাথ, কাশীতে যাচ্ছে তাঁকে খুঁজতে । তবুও তোমরা এ কথা প্রতি মুহূর্তে ভুলে যাও যে, আমরা শিব বাবার কাছে বসে আছি, যাঁকে পরমপিতা পরমাত্মা বলা হয় । তাঁর কতো মহিমা । তোমরা তাঁকে ‘বাবা – বাবা’ বলে ডাকো । তোমরা জানো যে, আমরা শিব বাবার মতে চলে বিশ্বের মালিক হওয়ার উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছি । ওরা মন্দির, তীর্থাদিতে ধাক্কা খেতে থাকে, আর তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো । দেখো, এতে কতো তফাৎ । তোমাদের তুলনায় ওরা কতো বুদ্ধু । শিব বাবা বলেন, আমি তোমাদের অনুগত সেবক । আমি তোমাদের উত্তরাধিকার প্রদান করতে এসেছি । ওরা গড ফাদারকে ডাকতে থাকে । এখানে তো তোমরা গড ফাদারের সম্মুখে বসে আছো । এখানে তোমাদের বুদ্ধিতে বসে, তাহলে ঘরে গেলে আবার কেন ভুলে যাও ? এখানে হলো তোমাদের দিন, ওখানে ওদের জন্য রাত । ওরা চিৎকার করতে থাকে, আর তোমরা সম্মুখে বসে থাকো আর বলো, তোমার কাছেই বসবো, তোমার কাছেই শুনবো, কিন্তু ঘরে গিয়ে আবার ভুলে যাও । মায়া বড় প্রবল । শিব বাবার সন্তান হয়ে পূজারী থেকে পূজ্য হওয়ার পুরুষার্থও করে, আবার বাইরে গিয়ে পূজারী হয়ে যায় । শিব বাবার জড় মন্দিরে যেতে থাকে ।
এখানে বাবা বোঝান – বাচ্চারা, শ্রীমতে চললেই তোমরা শ্রেষ্ঠ হতে পারবে । মূখ্য হলো পবিত্রতা । ওখানে ওরা জড় চিত্রের সামনে গিয়ে কাশী কলবট খায় । এখানে তোমরা তো চৈতন্যের কাছে বসে আছো । এখানে কাশী কলবট খাওয়ার কোনো ব্যাপারই নেই । এখানে হলো জীবন্মৃত হয়ে যাওয়া । বাবা বলেন – তোমরা শ্রীমতে চলো । এখান থেকে বাইরে গেলেই বাবাকে ভুলে যায় । কখনো চিঠি ইত্যাদিও লেখে না । কেউ তো এমনও আছে, যাকে কখনো দেখাই যায়নি । তারা ছটফট করতে করতে চিঠি লেখে, আর যারা একসাথে সম্মুখে যায়, তারা বাইরে এসে আবার একদম ভুলে যায় । তোমাদের তো শিব বাবার কাছে বলিহারি যেতে হবে, তাই না । ভক্তিমার্গে শিব বাবার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য কাশী কলবট ( ঝাঁপ দিয়ে প্রাণত্যাগ করতো ) খেতো, কিন্তু ওভাবে তো ওরা মিলিত হতে পারতো না । বাবা এখন চৈতন্যে এসে বলছেন – বাচ্চারা, তোমরা আমার হও । আমি তোমাদের নিয়ে যেতে এসেছি । পবিত্র হওয়া ব্যতীত তোমরা তো যেতে পারবে না । তোমাদের পবিত্র বানাতে আমাকেই আসতে হয় । সর্বের সদগতিদাতা বাবা তোমাদের পাশে বসে আছেন । তিনি তোমাদের রাজযোগ শেখাচ্ছেন, যা গীতার ভগবান শিখিয়েছিলেন । ওরা তো কৃষ্ণকে ভগবান বলে দিয়েছে । তোমরা জানো যে, গীতার ভগবান হলেন শিব বাবা । তোমরা চিঠিও এভাবে লিখে থাকো — শিব বাবা, কেয়ার অফ ব্রহ্মা বাবা । বাবা তোমাদের সম্মুখে বসে বোঝান । তবুও তোমাদের নেশা চড়ে না । আহা ! শিব বাবা তোমাদের দত্তক নিয়েছেন । তোমাদের তিনি ধর্মের সন্তান করেছেন কিন্তু সবাইকে তো তিনি এখানে রাখবেন না । তাঁর হাজার সন্তান আছে । সবাইকে তিনি এখানে কিভাবে রাখবেন, এতো জায়গা কোথায় ! বাবা বলেন — তোমাদের নিজেদের ঘরেই থাকতে হবে । কেবল বাবাকে স্মরণ করতে হবে । সবথেকে মিষ্টি যে অসীম জগতের বাবা, তোমরা তাঁর সন্তান হয়েছো ।
বাবা বোঝান – বাচ্চারা, তোমরা কাম চিতায় বসে জ্বলে মরেছো । এখন তোমরা জ্ঞান চিতায় বসে দেবতা হও । মানুষ দেবতাদের পুজো করে, অথচ কিছুই বুঝতে পারে না । এও ড্রামার ভবিতব্য বলা হবে । তোমরা এখন চৈতন্য শিব বাবার পাশে বসে আছো । এমন গায়নও আছে যে – শিব বাবা ব্রহ্মার দ্বারা বিষ্ণুপুরীর স্থাপনা করেন । বাবা বোঝান যে – বাচ্চারা, কোনো পাপ কর্ম করো না । দেহবোধে এসো না । তোমাদের তো চলতে ফিরতে সাজনকে (প্রেমিক) স্মরণ করতে হবে । যাঁকে তোমরা অর্ধেক কল্প ধরে স্মরণ করতে, তিনি এখন তোমাদের সেবায় উপস্থিত । তিনি হলেন আত্মিক সোস্যাল ওয়ার্কার । তোমাদের তিনি আত্মিক সেবা শেখান । সোস্যাল ওয়ার্কের হেডও তো হয়, তাই না । এ হলো আধ্যাত্মিক । ওরা হলো মনুষ্য সমাজের দেহের সেবাধারী । এখন দেখো ওরাও বলে গো হত্যা বন্ধ করো । তোমরা লিখতে পারো –একে অপরের ওপরে কাম কাটারি চালানো, এ হলো সবথেকে বড় অপরাধ । প্রথমে তো এসব বন্ধ করো । যার জন্য ভগবান বলেছেন — কাম হলো মহাশত্রু, আদি – মধ্য – অন্ত দুঃখ দেয় । তোমরা গীতার ভগবানকে ভুলে গেছো । বাবা তো আশ্চর্য হয়ে যান । এক তো মানুষ অমরনাথে, পাহাড়ে ধাক্কা খেতে থাকে, তারা মনে করে পার্বতীকে ওখানে অমরকথা শোনানো হয়েছিলো । এখন একজন পার্বতীকে শোনালে কি হবে ! বাবা বোঝান, এরা সবাই হলো পার্বতী । সবাইকে তিনি অমর কথা শোনাচ্ছেন । বাবা বলেন — বাচ্চারা, তোমরা ৮৪ জন্ম নিতে নিতে এখন মৃত্যুলোকে এসে পৌঁছেছো । আচ্ছা, লক্ষ্মী – নারায়ণ কোথায় গেলেন, তাঁরা কি আবার জন্মেছেন, নাকি জ্যোতিতে মিলিয়ে গেছেন ? সূর্যবংশী রাজা – রানী, প্রজা, তারা সব কোথায় গেলেন ? অবশ্যই তারা সতোপ্রধান থেকে ৮৪ জন্ম নিতে নিতে তমোপ্রধান হয়ে গেছেন । তোমরা তো বুঝতে পারছো, তাই না । এই ব্রহ্মার দ্বারা শিব বাবা বসে বোঝান । বাচ্চারা, আমি এখন তোমাদের ভাগ্য বানাতে এসেছি, তবুও তোমরা সেই ভাগ্যে গণ্ডি কেন টানো ! কিছু তো বোঝো । আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক বানাতে এসেছি । তোমরা কি আমার মতে চলবে না ? তাহলে ঘরে গিয়ে কেন স্মরণ করতে ভুলে যাও । বাবা বার বার বোঝান বাচ্চারা, তোমরা এখন সঙ্গমযুগী । ওরা হলো কলিযুগী । তোমরা হলে পূজ্য আর ওরা পূজারী । তোমাদের বিভ্রান্তি এখন বন্ধ হয়েছে । যদিও ওরা তোমাদের নাস্তিক মনে করে, তোমরাও ওদের নাস্তিক বলো । ওরা বলে, তোমরা ভক্তি করো না, তাই নাস্তিক । তোমরা বলো, তোমরা বাবাকে জানো না, তাই তোমরা নাস্তিক । তোমরা বলো, আমরা হলাম আস্তিক । বাবাকে জেনে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করি । তোমরা জানো না তাই ধাক্কা খেতে থাকো । কুম্ভমেলাতেও কতো লোক যায়, আবার দান – পুণ্য করে । বাবা এখন বলেন, তোমরা এইসব কথা ছাড়ো । তোমরা জ্ঞানের সাগরকে পেয়েছো, তাহলে আর কোথায় যাবে ? ইনি হলেন জ্ঞান নদী । জ্ঞান সাগরের কাছে তোমাদের জ্ঞান স্নান করাতে নিয়ে আসে । কতো ভালো ভালো বাচ্চা বাবার কাছে এসে আবার ফিরে গিয়ে পতিত হয়ে যায় । কেউ কেউ আবার বাবার মতে চলে । তারা জিজ্ঞেস করে বাবা, বিনাশী ধন কিভাবে সফল করবো । তখন তাদের বোঝানো হয় — ডুবন্ত নৌকা থেকে যেটুকু পাওয়া যায় তাই ভালো । ভারতের সেবাতে লাগিয়ে তা সফল করো, কোনো সেন্টার খোলো । এই চিত্রও কতো বানানো হতে থাকে । বাবার কাছে এমন – এমন বাচ্চা আছে যারা বলে – যখন প্রয়োজন পড়বে তখন বাবা, আমাদের মনে করো, আমরা সাহায্য করার জন্য হাজির থাকবো । যজ্ঞের ভালো – ভালো কাজের জন্য দরকার
হলে আমাদের বলো । বাবা বলেন – আমি কাউকে বলি না, যা করার তাই করো । আমি তো দাতা । আমি তো ভারতকে স্বর্গ বানাতে এসেছি, তোমরাও সেই স্বর্গে যাবে । যতো করবে, তত পাবে কিন্তু যে জন্ম – জন্মান্তরের পাপের বোঝা মাথার উপরে আছে, তা দূর করতে হবে । না হলে এর অনেক সাজা । স্বর্গে তো যাবে কিন্তু সাজা ভোগ করা বাকি থাকলে উচ্চ পদ পেতে পারবে না । এই গায়ন তো রয়েছে – বাবার ধন হলো অফুরন্ত, অঢেল, উপচে পড়ছে । কোনো কিছুরই এনার পরোয়া নেই । বাবা বলেন – হুন্ডি আপনিই ভরে যাবে ।
বাচ্চারা, তোমাদের শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে, এতেই কল্যাণ । কখনোই অকল্যাণ মনে করো না । মনে করো, দিল্লী যাওয়ার সময় রাস্তায় যদি পা ভেঙ্গেও যায়, এতেও মনে করবে কল্যাণ আছে । আত্মা তো আর ভেঙ্গে যায় নি, পা ভেঙ্গে গেছে এতে ক্ষতি নেই । আমি তো তোমাদের আত্মার সঙ্গে কথা বলি । বাবা বোঝান যে, এ হলো রাবণ রাজ্য, তাই মানুষ জ্বালায় । আমরা কি ছিলাম আর বাবা আমাদের কি থেকে কি বানিয়ে দিয়েছে । দুনিয়ার পরিস্থিতি দেখো কি । বাবা এখন তোমাদের স্বর্গের মালিক বানাচ্ছেন, তাই তাঁর মতে চলা উচিত । তোমাদের কোনো পাপ কাজ করা উচিত নয় । গৃহস্থ জীবনে থেকে পবিত্র থাকো । ব্যস, এই সত্যনারায়ণের কথা শুনতে থাকো । এই কথা কতো লম্বা । সম্পূর্ণ সাগরকে যদি কালি বানাও, তাও এ শেষ করা যাবে না । তাই বাবার মতে তো চলতে হবে, তাই না । তোমরা জানো, আমরা ভগবানের শ্রীমতে চলে রাজত্বের পদ পাই, মনুষ্য থেকে দেবতা হই । মৃত্যু তো সামনে উপস্থিত । হঠাৎ করে মানুষের হার্ট ফেল হয়, দুর্ঘটনায় মৃত্যুও হয় । বাবা বলেন – মৃত্যুর পূর্বে তোমরা খুব পুরুষার্থ করো । বাবাকে স্মরণ করতে করতে তোমরা তোমাদের উপার্জন করে নাও । অসীম জগতের পিতার হয়ে যদি কোনো পাপ কর্ম করো তাহলে একের শত গুণ দণ্ড ভোগ করতে হবে । আবার লজ্জাও করবে যে, লোকে কি বলবে ? শিব বাবা বলেন – আমি ধর্মরাজের দ্বারা তোমাদের কড়া সাজা ভোগ করাই । তখন সেই সময় তো বলবেনই না যে, এ
আমার বাচ্চা । এ হলো কড়া নিয়ম । জজের বাচ্চা পাপ করলেও তো কিছুই করা যাবে না । সাজা ভোগ করতেই হবে । তাই বাবা রোজ বোঝান – বাচ্চারা, পাপ কাজ কখনোই করো না । সবথেকে বড় পাপ হলো বিকারের । যদিও ঝড় অনেকই আসবে, বাইরে তো পাপ কাজ লেগেই আছে । একথা আর জিজ্ঞেস করো না । এ হলো বেশ্যালয় । মনে করো কোনো বড় মানুষকে তোমরা বোঝালে, আর সে স্টুডেন্ট হয়ে গেলো, তখন বলবে, এর ব্রহ্মাকুমারীর জাদু লেগেছে । বড় – বড় মানুষ এসে লেখেও, বরাবর আপনারা সত্যি কথা বলছেন । গীতার ভগবান বরাবর শিব, নাকি শ্রীকৃষ্ণ । আচ্ছা, এরপর বাড়িতে ফিরে গিয়েই সব ভুলে যায় । এখানে খুব পরিশ্রম করতে হয় ।
বাবা বোঝান — মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা, তোমরা ভুলে যেও না । মায়া বড় প্রবল । বাবার স্মরণ হলো পারদের মতো, চট করে ভুলে যায় । বাবা বলেন – যদিও তোমরা গৃহস্থ জীবনে থাকো কিন্তু পবিত্র থাকো । পুরুষার্থ তো করতে হবে তাই না । বাবা তো এক একজন বাচ্চাকে খুব আদর করে বলেন – এখন আমার সন্তান হয়ে আর কোনো পাপ কাজ ক’রো না । বাবাকে তো জেনে গেছো, তাই না । এই সৃষ্টিচক্রের রহস্যও তোমাদের বুদ্ধিতে আছে । বিদ্বান, পণ্ডিত, আচার্য তো নিজেকে ‘শিবোহম’ বলে পুজো করায় অনেক সন্ন্যাসীরা হরিদ্বারে গিয়ে থাকে । তারা সারাদিন বলতে থাকে, শিব কাশী বিশ্বনাথ গঙ্গা । বাবা কতো ভালোভাবে বসে তোমাদের বোঝান । এমন মহিমাও আছে যে, অকালমূর্তি ।অকাল সিংহাসন কোনো অবিনাশী সিংহাসন নয় । অকালমূর্তি বাবার এই রথ হলো আসন । তোমাদের যেমন এই দেহ হলো রথ । বাবাও বলেন, আমি এই রথ নিয়েছি ভ্রুকুটিতে একদিকে চেলা আর একদিকে গুরু বসে আছে । অবশ্যই এর পাশে এসে বসবো তাই না । আমিও হলাম বিন্দু । এতো বড় কিছু নই ।
মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চারা, এ হলো তোমাদের সত্যি – সত্যি স্মরণের চৈতন্য যাত্রা । বাপদাদা দুজনেই একত্রিত হয়ে আছেন । বাপদাদার অর্থ কেউই বুঝতে পারে না । টেলিগ্রামে সই করা হয় ‘বাপদাদা’ । কেউই বুঝতে পারে না । আরে, শিববাবা তোমাদের বাবা । প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো দাদা হলেন, তাই না । তাহলে ‘বাপদাদা’ হলো, তাই না । বাবা এখন বলছেন – আমি এসেছি এনার দ্বারা তোমাদের উত্তরাধিকার প্রদান করতে । শিববাবা তোমাদেরও । প্রজাপিতা ব্রহ্মাও সকলের বাবা হয়ে গেলেন । উত্তরাধিকার শিববাবার থেকেই পাওয়া যায় । তাহলে সই তো এভাবেই করবেন । তাঁদের বাপদাদা বলা হয় । শিববাবা বলেন, তোমরা আমাকে (মামেকম্) স্মরণ করো, তাও বুদ্ধিতে বসে না । প্রদর্শনীতে হাজার মানুষ আসে । তাদের মধ্যে ৮ বা ১০ জন বোঝার জন্য আসে । তাদের মধ্যেও পরবর্তীকালে ধীরে – ধীরে এক – দুইজন অবশিষ্ট থাকে । কোটিতে কয়েকজন, এমন গায়ন আছে । তাহলে কতো প্রদর্শনী করা দরকার যাতে কোটিতে কয়েকজন বের হবে কেউ তো আবার চার – পাঁচ বছর এসে আবার হারিয়ে যায় । বাবাকে তালাক দিয়ে দেয় । আচ্ছা ।
মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতাপিতা বাপদাদার স্মরণে স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে নমস্কার জানাচ্ছেন ।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) শিব বাবার কাছে সম্পূর্ণ সমর্পণ করতে হবে অর্থাৎ জীবন্মৃত হতে হবে । শ্রীমৎ অনুযায়ী চলতে হবে ।
২ ) শিব বাবার সন্তান যখন হয়েছো তখন কোনো পাপ কর্ম করা চলবে না । পবিত্র হয়ে নিজের কল্যাণ করতে হবে ।
বরদানঃ-
যদি কোনো আত্মা ইচ্ছুক হয়, কিন্তু সাহস না থাকার কারণে ইচ্ছা থাকা সত্বেও প্রাপ্তি না করতে পারে, এমন আত্মাদের জন্য বিধাতা অর্থাৎ জ্ঞান দাতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দয়ালু হয়ে বরদাতা হও, তাদের নিজের শুভ ভাবনার অতিরিক্ত শক্তি প্রদান করো, কিন্তু এমন বরদানী মূর্তি তখনই হতে পারবে, যখন তোমাদের প্রতিটি সঙ্কল্প বাবার প্রতি সমর্পিত হবে । প্রতিটি সময়, প্রতিটি সঙ্কল্প, প্রতিটি কর্মে বলিহারি যাও, যাতে যে প্রতিজ্ঞা করেছো তার পালন যেন করতে পারো ।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!