19 November 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

November 18, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - সার্ভিস করার সাথে-সাথে স্মরণের যাত্রাও করতে হবে, এই রূহানী যাত্রায় কখনও নিস্তেজ হয়ে পড়ো না”

প্রশ্নঃ --

বাচ্চাদের যদি সার্ভিস করতে মন না চায় তবে তার কারণ কি ?

উত্তরঃ -:-

যদি আত্মাদের সার্ভিস করতে মন না চায় তবে নিশ্চয়ই দেহ-অভিমানের গ্রহণ লেগেছে। চলতে-চলতে দেহ-অভিমানের কারণে যখন নিজেদের মধ্যে রুষ্ট হও তখনই সার্ভিস করা বন্ধ হয়। একে অপরের মুখোমুখি হওয়া মাত্রই সার্ভিসের ভাবনা লোপ পায়, তাই বাবা বলেন এইরূপ গ্রহণ থেকে নিজেকে রক্ষা করো।

গান:-

আমাদের তীর্থ হল অনুপম…

ওম্ শান্তি । এই গীতের লাইন গুলি বাচ্চাদেরকে সতর্ক করেছে। কি বলেছে ? বুদ্ধিতে এই কথা স্মরণে রাখো যে আমরা তীর্থ যাত্রায় আছি এবং আমাদের এই তীর্থযাত্রা হল সবচেয়ে পৃথক। এই যাত্রাটির কথা ভুলবে না। যাত্রার উপরেই সবকিছু নির্ভর করছে। অন্যরা তো দেহের জাগতিক যাত্রায় গিয়ে আবার ফিরে আসে , জন্ম-জন্মান্তর যাত্রা করেই এসেছে। আমাদের তীর্থ ঐগুলি নয়। অমরনাথে গিয়ে আবার মৃত্যুলোকে ফিরে আসা। তোমাদের ওই যাত্রা নয়, অন্য সব মানুষের হল ওই যাত্রা। তীর্থে গিয়ে যাত্রা করে ফিরে এসে পুনরায় পতিত হয়। বিভিন্ন রকমের যাত্রা আছে, তাইনা। দেবীর মন্দিরও অসংখ্য আছে। বিকারীদের সঙ্গে অনেকে যাত্রা করতে যায়। তোমরা বাচ্চারা তো প্রতিজ্ঞা করেছো – নির্বিকারী থাকার। তোমরা নির্বিকারী, তোমাদের হল এই যাত্রা। নির্বিকারী বাবা হলেন এভার পিওর, তাঁকেই স্মরণ করতে হবে। জলের সাগরকে বিকারী বা নির্বিকারী বলবে না। আর না তার থেকে যে গঙ্গা নদী বেরিয়েছে সেই নদী কাউকে নির্বিকারী বানাবে। মানুষ মাত্রই এমন পতিত হয়েছে যে কিছুই বোঝে না। সেসব হল দেহের জাগতিক যাত্রা – অল্পকালের ক্ষণ ভঙ্গুর যাত্রা। আর এই যাত্রা হল বিশাল। বাচ্চারা তোমাদের উঠতে বসতে যাত্রার চিন্তন চলা উচিত। যাত্রা করতে গিয়ে ব্যবসা গৃহস্থ ইত্যাদি সব ভুলে থাকতে হয়। অমর নাথের জয়…. শুধু এইরকম বলতে থাকে। মাস দুই তীর্থ যাত্রা করে পুনরায় আবর্জনায় ফিরে আসে। তারপরে যায় গঙ্গা স্নান করতে। তাদের এই জ্ঞান নেই যে, আমরা রোজ পতিত হই। গঙ্গা যমুনার তীরে বসবাসকারীরাও রোজ পতিত হয়। রোজ গঙ্গায় গিয়ে স্নান করে। এক তো হল নিয়মিত ভাবে গঙ্গা স্নান, দ্বিতীয় হল বিশেষ বিশেষ দিনে স্নান। তারা ভাবে গঙ্গা হল পতিত-পাবনী। এমন তো নয় কোনো বিশেষ এক দিনে গঙ্গা পবিত্র করে, অন্য দিনে নয়। যে দিনে মেলার আয়োজন হয় সেই দিন পতিত-পাবনী হয়ে যায়। গঙ্গা তো সদাই রয়েছে। রোজ যায় স্নান করতে। মেলায় বিশেষ দিনেই যায়। কোনো অর্থ নেই । গঙ্গা যমুনা নদী তো একই আছে। তাতে শব ইত্যাদিও ভাসানো হয়।

বাচ্চারা, এখন তোমাদেরকে রূহানী যাত্রায় থাকতে হবে। এখন আমরা ফিরে যাব ঘরে অর্থাৎ পরমধাম। এর জন্য গঙ্গা স্নান বা শাস্ত্র পাঠ করার কোনো কথাই নেই। বাবা আসেনও একবার। সম্পূর্ণ দুনিয়া পতিত থেকে পবিত্র একবারই হয়। এই কথাও জানে সত্য যুগ হল নতুন দুনিয়া, কলিযুগ হল পুরানো দুনিয়া। বাবাকে নিশ্চয়ই আসতে হবে। নতুন দুনিয়ার স্থাপনা ও পুরানো দুনিয়ার বিনাশ করতে। এই কর্তব্য একমাত্র বাবার । কিন্তু মায়া এমন তমোপ্রধান বুদ্ধি বানিয়েছে যে কিছুই বুঝতে পারে না। প্রদর্শনীতে অসংখ্য উচ্চ বর্গের মানুষ আসে। সন্ন্যাসীরাও আসবে, তবুও বুঝবে কেবল কোটিতে কয়েকজন। তোমরা লক্ষ কোটি মানুষকে বোঝাও তখন বিশেষ কেউ একজন আসে। অনেককে বোঝাতে হবে। শেষ পর্যন্ত তোমাদের এই বোঝানোর বক্তব্য এবং চিত্র ইত্যাদি সব খবরের কাগজে ছাপানো হবে। সিঁড়ির চিত্রও কাগজে বেরোবে। বলবে এই সব হল ভারতের জন্য, অন্য ধর্মের মানুষ কোথায় যাবে। বিনাশের সময়ের গায়নও আছে। বিনাশ অর্থাৎ ফিরে যাওয়ার সময়। পুরানো দুনিয়ার বিনাশ নতুন দুনিয়ার স্থাপনা হবে তখন নিশ্চয়ই সবাই ফিরে যাবে তাইনা। সবার বিনাশ হবে। নতুন দুনিয়া স্থাপন হচ্ছে। তোমরা বাচ্চারা ছাড়া এইসব কথা কেউ জানেনা । তোমরা জানো নরকবাসীদের বিনাশ, স্বর্গবাসীদের স্থাপনা হচ্ছে। কল্প কল্প এমন হয়েছে। এখন যেটুকু সময় আছে, এই সময়েও অনেকে বুঝতে পারবে। মেলা হতেই থাকবে। চারদিক থেকে লিখবে যাতে আমরা মেলার আয়োজন করি, প্রদর্শনী করি। কিন্তু তারই সাথে সাথে স্মরণের যাত্রাও করে যেতে হবে, ভুলে যাবে না। বাচ্চারা একেবারেই নিস্তেজ হয়ে চলছে। এমন করে যাত্রা করে যেন তারা বৃদ্ধ মানুষ। যেন শক্তি নেই, কিছু খায়নি। বাবার চিন্তন চলে। চিন্তা করতে করতে চোখে ঘুম আসে না। বিচার সাগর মন্থন তো সবাইকে করা উচিত, তাইনা। বাচ্চারা জানে আমাদেরকে অসীম জগতের পিতা পড়ান। বাচ্চাদের অপার খুশী হওয়া উচিত। এই পড়াশোনার দ্বারা আমরা বিশ্বের মালিক হই। কারো এমন চাল চলন থাকে – যেন কাঁকড়া। কাঁকড়াকে দেবতায় পরিণত করেন বাবা। তা সত্ত্বেও চাল চলন ঠিক হয় না। এই সিঁড়ির চিত্রে খুব ভালো জ্ঞান আছে। কিন্তু বাচ্চারা এতো কাজ করে না। যাত্রা করেই না। বাবাকে স্মরণ করলে তো বুদ্ধির তালাও খুলবে। গোল্ডেন বুদ্ধি হবে। বাচ্চারা, তোমাদের পারস বুদ্ধি হওয়া উচিত, অনেকের কল্যাণ করা উচিত। তোমরা সতোপ্রধান থেকে এখন তমোপ্রধান হয়েছো, পুনরায় সতোপ্রধান হতে হবে। বাবা বলেন আমাকে স্মরণ করো। কৃষ্ণকে ভগবান বলা হবে না। কৃষ্ণকে বলা হয় শ্যাম অর্থাৎ শ্যাম বর্ণ। বাবা শ্যামের আত্মাকে বসে বুঝিয়েছেন। এই আত্মা জানে যে, বাবা আমাদের বিশ্বের মালিক বানান সুতরাং খুশীর অনুভূতিতে বুদ্ধি কতখানি ভরপুর থাকা উচিত। এতে অহংকারের কোনো ব্যাপার নেই। বাবা হলেন নিরহংকারী। বুদ্ধিতে কতখানি খুশী থাকে। আগামীতে আমরা হীরে জহরতের মহল বানাবো। নতুন দুনিয়ায় রাজধানী চালাবো। এটা হল একেবারেই পতিত দুনিয়া। এই দুনিয়ার মানুষ তো কোনো কাজের নয়, কিছুই জানে না। এও দেখানো উচিত – হীরা সম জীবন ছিল। তারাই আবার ৮৪ জন্ম গ্রহণ করে কড়ি সম হয়ে যায়। এই সিঁড়ির চিত্রটি হল এক নম্বর। দ্বিতীয় নম্বরে হল ত্রিমূর্তির চিত্র।

তোমরা বলো – নিকট ভবিষ্যতে ভারত শ্রেষ্ঠাচারী হবে। শ্রেষ্ঠাচারী দুনিয়ায় মানুষের সংখ্যা থাকবে কম, এখন অসংখ্য মানুষ আছে। মহাভারতের যুদ্ধ সামনে আছে। সব আত্মারা মশার মতন ফিরে যাবে। আগুন লেগে গেছে। যত চেষ্টা করে সঠিক করার, ততই বিগড়ে যায়। বাবা বাচ্চাদেরকে রাজযোগের শিক্ষা দিচ্ছেন। বাচ্চাদের নেশা বৃদ্ধি করেন। কেউ তো এখান থেকে বাইরে বেরোলেই তার সম্পূর্ণ জ্ঞান উড়ে যায়। স্মৃতিতে কিছু থাকে না। তা নাহলে তো শখ থাকবে যে সার্ভিস করি। বাবাও গুণ দেখে সার্ভিসে পাঠাবেন তাইনা। এতে খুব খুশীতে থাকতে হবে। সার্ভিসে খুশীর পারদ ঊর্ধ্বে থাকবে। ভালো ভালো পুরানো বাচ্চারা নিজেদের মধ্যে রুষ্ট হয়ে পড়ে ছোট ছোট কথায়। এইটুকু কথার অজুহাত দেখিয়ে সার্ভিস করবে না এমন হয় না। সার্ভিস তো খুশী হয়ে করা উচিত। যার সঙ্গে বনাবনি নেই, তার চেহারা দেখলেই সার্ভিসের ভাবনা লোপ পায়। সার্ভিসে মনোযোগ থাকে না তখন, এড়িয়ে চলে। তাহলে তো জ্ঞানযুক্ত এবং জ্ঞানশূন্য অবস্থায় কোনো তফাৎ থাকে না। দেহ-অভিমানের গ্রহণ লাগে। এটা হল সর্ব প্রথম ব্যাধি। বাবা বলেন – বাচ্চারা দেহী-অভিমানী হও। আত্মাই সবকিছু করে তাইনা। আত্মাই বিকারী ও নির্বিকারী হয়। স্বর্গে নির্বিকারী ছিল। রাবণের রাজ্যে আত্মাই বিকারী হয়েছে। এই ড্রামাও এমনই নির্দিষ্ট আছে, তাই আহ্বান করে হে পতিত-পাবন এসো। যারা নির্বিকারী ছিল, তারাই পতিত বিকারী হয়েছে। এই কথা কারো বুদ্ধিতে নেই যে, আমরাই নির্বিকারী ছিলাম, এখন বিকারী হয়েছি। আমরা আত্মারা মুলবতনের নিবাসী। সেখানে তো আমরা আত্মারা নির্বিকারী থাকবো। এখানে শরীরে প্রবেশ করে পার্ট প্লে করতে করতে বিকারী হয়েছি। এই কথা বাবা বসে বোঝান। আত্মা, শান্তিধাম থেকে আসে তখন নিশ্চয়ই পবিত্র থাকে পরে অপবিত্র হয়। পবিত্র দুনিয়ায় ৯ লক্ষ থাকে। তাহলে এত আত্মারা এলো কোথা থেকে ? নিশ্চয়ই শান্তিধাম থেকে। ওটা হল পীসফুল ইনকর্পোরিয়াল ওয়ার্ল্ড। সেখানে সব আত্মারা পবিত্র থাকে তারপরে পার্ট প্লে করতে করতে, সতো-রজো- তমোতে আসে। পবিত্র থেকে অপবিত্র হতে হবে। পরে বাবা এসে সবাইকে পবিত্র করবেন। এই ড্রামা চলতেই থাকে। ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বাবা ব্যতীত অন্য কেউ বলতে পারে না। পিতাকে কেউ জানেনা। ঋষি-মুনিরা ও নেতি নেতি বলে গেছে। আমরা ভগবানকে এবং তাঁর রচনাকে জানি না। যদিও বলে – গডফাদার ইজ নলেজফুল। পরমাত্মা হলেন সর্ব আত্মাদের পিতা, বীজ রূপ। তিনি হলেন আত্মাদের বীজ রূপ এবং প্রজাপিতা ব্রহ্মা হলেন মনুষ্য সৃষ্টির বীজ রূপ। তিনি নিরাকার পিতা ব্রহ্মা বাবার মধ্যে প্রবেশিত হয়ে মানুষকে বোঝান, মানুষের দ্বারা। তাঁকে মনুষ্য সৃষ্টির বীজ রূপ বলা হবে না। তিনি হলেন আত্মাদের পিতা এবং এই ব্রহ্মা হলেন মনুষ্য সৃষ্টির প্রজাপিতা, যার দ্বারা শিববাবা এসে জ্ঞান প্রদান করেন। শরীর আলাদা, আত্মাও আলাদা তাইনা। মন-বুদ্ধি চিত্ত আত্মাতে আছে। আত্মা এসে শরীরে প্রবেশ করে, পার্ট প্লে করার জন্য।

তোমরা জানো কেউ শরীর ত্যাগ করলে গিয়ে অন্যত্র অন্য পার্ট প্লে করবে, এতে কেঁদে কি হবে। যে যাওয়ার সে গেছে, সে আর এসে আমাদের মামা কাকা হবে না। কেঁদে কি লাভ। তোমাদের মাম্মা চলে গেলেন, ড্রামা অনুসারে পার্ট প্লে করছে। এমন অনেকেই চলে যায়। অন্য কোথাও গিয়ে জন্ম নেয়। এটা তো বোঝাই যায় যে, যে যেমন আজ্ঞাকারী বাচ্চা হবে ততই ভালো ঘরে জন্ম নেবে। এখান থেকে ভালো ঘরে যাবে। নম্বর অনুসারেই তো হবে, তাইনা। যে যেমন কর্ম করে – তেমন ঘরে যায়। শেষে তোমরা গিয়ে রাজার ঘরে জন্ম নাও। কে রাজার কাছে যাবে, সে নিজেই বুঝতে পারে, তাইনা। তবুও দিব্য সংস্কার তো নিয়েই যায়, তাইনা। এতেই বিশাল বুদ্ধির দ্বারা বিচার সাগর মন্থন করতে হয়। বাবা হলেন জ্ঞানের সাগর। অতএব বাচ্চাদেরও জ্ঞানের সাগর হতে হবে। নম্বর অনুযায়ী তো আছেই। বুঝতে পারা যায় – ভবিষ্যতে উন্নতি হতে থাকবে । হতে পারে যে আজ কাজ করতে পারে না, সে আগামীকাল অনেকের চেয়ে তীক্ষ্ণ গতিতে এগিয়ে যাবে। গ্রহণ মিটে যাবে। কারো উপরে রাহুর দশা বা গ্রহণ লাগলে নর্দমায় গিয়ে পড়ে। হাড়গোড় ভেঙে যায়। অসীম জগতের পিতার কাছে প্রতিজ্ঞা করে পতিত হলে ধর্ম রাজের দ্বারা দন্ডও অনেক প্রাপ্ত হয়। ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা, অসীমের ধর্মরাজ, তাই অসীমের দন্ড প্রাপ্ত হয়। কোনো বিষয়ে বাহানা দেখালে বা উল্টো কর্ম করলে তখন দন্ড নিশ্চয়ই ভোগ করবে। বুঝতে পারে না যে আমরা ভগবানের অবজ্ঞা করি। এত সব কথা বাবা বুঝিয়ে দেন । শ্রীমৎ অনুসারে চলো, সার্ভিসে সহযোগী হও। যোগের যাত্রায় থাকো। চিত্রের দ্বারা বোঝানো প্র্যাক্টিস করলে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে। তা নাহলে উচ্চ পদ প্রাপ্ত হবে কীভাবে। অজ্ঞান কালে কারো সন্তান সুপুত্র হয়, কারো কুপুত্রও হয়। এখানেও তেমন কেউ ঝটপট বাবার কাজ করেও দেখায়। সুতরাং বাচ্চাদেরকে অসীমের সার্ভিস করতে হবে। অসীম জগতের আত্মাদের কল্যাণ করতে হবে। সংবাদ দিতে হবে – মন্মনাভব। বাবাকে স্মরণ করলে তোমাদের বুদ্ধি তমোপ্রধান থেকে সতোপ্রধান হয়ে যাবে। এখন হল কলিযুগী তমোপ্রধান দুনিয়ার সমাপ্তির সময়। এখন সতোপ্রধান হতে হবে। আত্মাদেরও সেখানে নম্বর অনুযায়ী দুনিয়া আছে তাইনা, যারা ক্রম অনুসারে এসে পার্ট প্লে করে। আসবেও নম্বর অনুযায়ী ড্রামা অনুসারে। এখন সব আত্মারাই রাবণের রাজ্যে দুঃখী হয়ে আছে। যদিও তারা বোঝে না। যদি কাউকে বলো তোমরা হলে পতিত তখন রেগে যাবে। বাবা বোঝান এটা হল অপবিত্র দুনিয়া। বাবা বলেন – তোমরা নিজের রাজ্য-ভাগ্য প্রাপ্ত করবে। বাকিরা সব বিনাশ হয়ে ফিরে যাবে। এই কথা তো গায়ন আছে মহাভারতের যুদ্ধ লাগবে, যাতে সব ধর্মের বিনাশ হয়ে একটি ধর্ম থাকবে। এই যুদ্ধের পরে স্বর্গের দ্বার খুলে যায়। বাবা কতো সহজ করে বাচ্চাদের বোঝান। ভবিষ্যতে তোমাদের কথা শুনবে আরও আসতে থাকবে । সূর্য বংশী চন্দ্র বংশী যারা পতিত হয়েছে তারাই এসে নম্বর অনুযায়ী নিজের বর্সা (স্বর্গের অধিকার) প্রাপ্ত করবে। প্রজা তো অসংখ্য তৈরী হবে। আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) ভগবানের আজ্ঞা বা আদেশের অবজ্ঞা কখনও করবে না। অসীম জগতের সেবায় সুসন্তান রূপে সহযোগী হতে হবে।

২ ) জ্ঞান ধনের গুপ্ত খুশী দিয়ে বুদ্ধি ভরপুর রাখতে হবে। নিজেদের মধ্যে কখনও রুষ্ট হবে না।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা সর্ব শক্তির সম্পত্তিতে সমৃদ্ধ – তারাই সম্পন্ন এবং সম্পূর্ণ স্থিতির সমীপত্ব অনুভব করে। তাদের মধ্যে কোনো ভক্ত রূপ বা ভিখারি রূপের সংস্কার ইমার্জ হয় না। বাবার সাহায্য চাই, আশীর্বাদ চাই, সহযোগিতা চাই, শক্তি চাই – এই ‘চাই’ শব্দটি দাতা বিধাতা, বরদাতা বাচ্চাদের জন্য শোভনীয় নয়। তারা তো বিশ্বের প্রত্যেকটি আত্মাকে কিছু না কিছু দান বা বরদান দিতে সক্ষম হয়।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top