19 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 18, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- জীবিত অবস্থাতেই এই শরীর থেকে পৃথক হয়ে যাও, অশরীরী হয়ে বাবাকে স্মরণ করো, একেই বলা হয় মৃত্যুর নীরবতা(ডেড সাইলেন্স)"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা, তোমরা এখন নিজেদের ভিত (ফাউন্ডেশন) দৃঢ় করছো, দৃঢ়তা কোন্ আধার থেকে আসে ?

উত্তরঃ -:-

পবিত্রতার আধার থেকে। আত্মা যত পবিত্র অর্থাৎ খাঁটি সোনায় পরিনত হতে থাকে, ততই দৃঢ়তা আসে। এখন বাবা স্বরাজ্যের ভিত এত শক্ত করে স্থাপন করেন যে অর্ধেককল্প পর্যন্ত সেই ভিতকে কেউ নড়বড়ে করে দিতে পারে না। তোমাদের রাজ্যকে কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না।

গান:-

ওঁম নমঃ শিবায়ঃ……

ওম্ শান্তি । বাবা বলেন — আমাকে স্মরণ করো অর্থাৎ অশরীরী হও অর্থাৎ ডেড সাইলেন্স। যেমন মানুষ মারা গেলে ডেড সাইলেন্স হয়ে যায়। বলে যে, এনার শরীর শান্ত হয়ে গেছে। শরীর এবং আত্মা পৃথক হয়ে গেছে, শেষ হয়ে গেছে। বাচ্চারা, এখানেও যখন তোমরা বসো তখন একে ডেড সাইলেন্স বলা হয়। জীবিত থেকেও অশরীরী হয়ে যাও। নিজেকে আত্মা মনে করো, বাবাকে স্মরণ করো। তোমরা জানো যে, এ’টাই হলো সত্যিকারের শান্তি। সেই মানুষেরা (অজ্ঞানীরা) শান্তি কি তা জানে না। ডেড সাইলেন্সের অর্থ তো জানেই না। ডেড সাইলেন্স কেন বলা হয় ? স্মরণ করায় — উনি মারা গেছেন, শান্ত হয়ে গেছেন। তোমরাও মৃতবৎ হয়ে যাও, শান্ত হয়ে যাও। বড়-বড় ব্যক্তিরা গান্ধীজীর সমাধিস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে বলবে — ডেড সাইলেন্স অর্থাৎ শান্তিতে বসো। তোমরাও জানো — আমরা অর্থাৎ আত্মারা শান্ত-স্বরূপ, দুনিয়া এ’সব জানেই না। আমরা নিজেদের স্বরূপে স্থির থাকি, আমাদের স্বধর্ম হলো শান্তি। আমাদের আত্মা শান্ত-স্বরূপ। তাদের এ’সব জানাই নেই সেইজন্য শান্তি চাইতে থাকে। আত্মা বলে — শান্তি চাই। আত্মা নিজের স্বধর্মকে ভুলে গেছে। বাস্তবে আত্মার ধর্মই শান্তি। তাহলে আত্মা কেন বলে — অশান্তি রয়েছে। অশরীরী হয়ে বসে পড়ো। ওরা তো জেদবশতঃ প্রাণায়াম করে যেন মারা গেছে, একে বলা হয় আর্টিফিসিয়াল শান্তি। বাচ্চারা, তোমাদের তো জানা রয়েছে যে আমাদের ধর্ম শান্তি। তোমরা অর্থাৎ আত্মারা স্বরাজ্য গ্রহণ করছো। আত্মাই সর্বকিছু ধারণ করে। আত্মাই ব্যরিস্টার হয়। আত্মা বলে — আমাদের রাজ্য চাই। পূর্বেও বাবার থেকে রাজ্য প্রাপ্ত করেছিলাম, এখন পুনরায় নিতে এসেছি। মানুষ দেহ-অভিমানে রয়েছে সে’জন্য দুঃখে রয়েছে। এখন তোমরা বোঝ যে, আমরা হলাম আত্মা, নিজেদের পরমপিতা পরমাত্মার কাছ থেকে স্বরাজ্য প্রাপ্ত করতে এসেছি। আত্মা-রূপী তোমাদের রাজত্ব চাই। এইসময় আত্মা স্বরাজ্য চায় — অসীম জগতের পিতার থেকে। শ্রীকৃষ্ণের তো স্বরাজ্য ছিল, পরে তা হারিয়ে গেছে। এখন বাবা এসে তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের রাজ্য প্রদান করেন, একেই রাজযোগ বলা হয়। পরমপিতা পরমাত্মা রাজযোগ শেখান। মানুষ দেহ-অভিমানী হওয়ার কারণে বলে যে — আমি অমুক। “আমি” দেহকেই মনে করে থাকে। বাস্তবে “আমি” “আমি” — আত্মা বলে। আত্মা বলে যে আমি এই বস্তুটি তুলছি। ফিমেল বলবে আমি এই তুল । বাস্তবে আত্মা তো পুরুষ। আমি আত্মা, বাবার সন্তান। আত্মা বলে — বাবা আমরা তোমার থেকে স্বরাজ্য গ্রহণ করছি। আত্মাকে স্বরাজ্য দেয় পরমাত্মা। ভক্তি এবং জ্ঞানে দেখো কত পার্থক্য। শিবের মন্দিরও হয়। সর্বাধিক ঘণ্টাধ্বনি শিবের মন্দিরেই বাজে। ওদের জাগায়। জাগরিত করে সকলকেই। সকাল-সকাল ব্যান্ড বাজে। এখানে বাবা বাচ্চাদের জাগরিত করে দেবতায় পরিনত করেন। এখানে ঘন্টাদি বাজানোর কোনো কথাই নেই। বাবা বলেন — তোমরা স্বরাজ্য চাও তো প্রথমে পবিত্র হও। এইম অবজেক্ট বুদ্ধিতে থাকে। স্টুডেন্টরা বলবে — আমরা এই ম্যাট্রিক পাশ করে তারপর এই করবো। সন্ন্যাসীরা চাইবে — আমরা যেন শান্তি পাই। একটি গল্পও রয়েছে, তাই না — রানী গলায় হার পড়ে রয়েছে, আর খুঁজছিল বাইরে। আর ওরাও (সন্ন্যাসী) শান্তি বাইরে খোঁজে। কিন্তু আত্মা তো স্বয়ং শান্ত-স্বরূপ। আত্মা নিজের স্বরূপকে ভুলে স্বয়ং-কে শরীর মনে করে বসে রয়েছে। বাবা পুনরায় স্মৃতি ফেরান যে — তোমরা হলে আত্মা। তোমরা আত্মারা ৮৪ জন্ম ভোগ করেছো। এ’সমস্ত কথা অন্যরা বোঝাতে পারে না। বাবা বলেন — তোমরা নিজেদের জন্মকে জানো না, আমি বলে দিই। তোমরা হলে ব্রহ্মাকুমার-কুমারী। বাবা বোঝান — পবিত্রতার জ্ঞান ব্যতীত ধারণা আসতে পারে না। কথিত রয়েছে, তাই না — বাঘের দুধের জন্য সোনার পাত্র চাই। এখানেও তো সোনার পাত্র চাই। বাবাকে স্মরণ করলেই আত্মা সোনা হয়ে যায়। বাবাও খাঁটি সোনা। আত্মা যখন বাবাকে স্মরণ করে তখন জ্ঞান লাভ করে। তোমরাও খাঁটি সোনা, পবিত্র ছিলে — জ্ঞানের এরকম ফল লাভ কারোরই হয় না। বাবা বলেন — আমি তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের স্বরাজ্য প্রদান করি। এই স্বরাজ্য তখনই পাওয়া যাবে যখন পুরোনো সৃষ্টির অন্ত এবং নতুন সৃষ্টির আদি অর্থাৎ প্রারম্ভ হবে। মানুষের কাছে পার্থিব জগতের রাজত্ব রয়েছে। অসীম জগতের রাজত্ব মানুষ কখনও পায় না। বিশ্বের মালিক হতে পারে না। বাবার মাধ্যমে তোমরা হও। তোমাদের ৮৪ জন্মের কথা কেবল ঈশ্বর-পিতারই জানা রয়েছে। দেবতারা নিজেদের জন্মকে জানতে পারে না। যদি জেনে যায় তবে দুঃখী হয়ে পড়বে, সিড়িতে কি নীচে নেমে যাব ! রাজত্বের সুখই হারিয়ে যাবে। এখানে তোমরা তা জানো। জানো যে আমরা হলাম আত্মা, এখানে সংশয়ের কোনো কথা নেই। একে-অপরের থেকে শুনে-শুনে বৃদ্ধি হতেই থাকে। এ দৈবী ধর্মের বৃক্ষ স্থাপিত হচ্ছে। তোমরা বুঝতে পারো — যে এসেছে সে হলো আমাদের ব্রাহ্মণ কুলের। সে ভক্তি সম্পূর্ণ করেছে সেইজন্য বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করতে এসেছে। জ্ঞান সম্পূর্ণ হয় তারপর ভক্তি শুরু হয়। এ’কথা কারোর জানা নেই। বাড়ীও নতুন-পুরোনো হয়, তাই না! কাঁচা বাড়ীর আয়ু অবশ্যই কম হবে। আজকাল ঘর-বাড়ী অত্যন্ত পাকাপোক্ত করে নির্মাণ করে। ভূমিকম্পাদি এলেও যাতে ঘর-বাড়ী না পড়ে, ক্ষয়ক্ষতি না হয়, তাই অত্যন্ত শক্ত করে তৈরী করা হয়। ভিত(ফাউন্ডেশন) অত্যন্ত পাকা করে তৈরী করে। এখন ফাউন্ডেশন তৈরী হচ্ছে — স্বরাজ্যের। আত্মা ২১ জন্মের জন্য রাজ্য লাভ করে। এখানকার রাজত্বে তো কিছুই নেই। আজ রাজত্ব আছে, কাল কেউ আক্রমণ করলো, সমাপ্ত। কারোরই ফাউন্ডেশন নেই। মানুষেরও ফাউন্ডেশন নেই, আজ আছে কাল মারা যায়। বাবা এখন তোমাদের ফাউন্ডেশন পাকা করে তৈরী করেন, যার ফলে ২১ জন্মের জন্য তোমরা রাজ্য-ভাগ্য লাভ করো। তোমাদের রাজত্বের ফাউন্ডেশন বাবা পাকাপোক্ত করে স্থাপন করেন। জগতের কোনোপ্রকারের ঝড়-ঝঞ্ঝা তোমাদের নাড়িয়ে দিতে পারবে না। গীতাতেও বলা রয়েছে যে বাবা আমাদের স্বরাজ্য প্রদান করেন, যা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এমন বাদশাহী দেন যে তাতে দুঃখের সামান্যতম কথাও থাকে না। আত্মার কত খুশি হওয়া উচিত। নিশ্চয় তো রয়েছে, তাই না! নিশ্চয় না থাকলে সে স্বর্গে যাওয়ার যোগ্য নয়। এত ব্রহ্মাকুমার-কুমারী বৃদ্ধি হতেই থাকে। তোমরা জানো যে, জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন আমাদের পড়িয়ে রাজযোগ শেখাচ্ছেন। ওরা আবার বলে কৃষ্ণ শিখিয়েছে। এ’কথা কিভাবে বুঝবে যে শিববাবা মনুষ্য শরীরে এসে বুঝিয়ে থাকেন। ভারতই পবিত্র ছিল, এখন অপবিত্র পতিত হয়ে গেছে। দেবতাদের সম্মুখে গিয়ে তাদের মহিমা-কীর্তন করে। শিবের সম্মুখে কখনও এভাবে গাইবে না — তুমিই সর্বগুণসম্পন্ন, ১৬ কলা-সম্পূর্ণ। শিবের মহিমা আলাদা। তিনি হলেন জ্ঞানের সাগর, পতিত-পাবন, সকলের সদ্গতিদাতা, সকলের ঝুলি পরিপূর্ণ (মনস্কামনা) করা ভোলানাথ। এমন বাবাকে সকলে ভুলে গেছে। পরমপিতা পরমাত্মাকে আহ্বান করে যে, তুমি এসে দুঃখ দূর করো, সুখ দাও।

দুঃখহরণকারী-সুখপ্রদানকারী তো একজনই। ওঁনার মতই শ্রেষ্ঠ। তা হলো শ্রী-শ্রী ভগবানের মত, যার দ্বারা তোমরা বাচ্চারা শ্রেষ্ঠ হয়ে যাও। গভর্নমেন্টও বলে যে, এ হলো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া। এখন শ্রেষ্ঠ কে বানাবে, তা জানা নেই। মনে করে যে সাধুরা, কিন্তু তারা তো শ্রেষ্ঠে পরিণত করতে পারবে না। এ তো বাবারই কাজ, তাই না! পূর্বে একজন রাজার আদেশানুসারে চলা হতো, সত্যযুগে তোমাদের পরামর্শদাতা ইত্যাদি কেউই থাকে না। রাজাদেরও শক্তি থাকে। পরামর্শদাতার(উজীর) নামের গায়নই হয় না। তোমরা বোঝ যে আমরা বিশ্বের মালিক হয়ে রাজ্য পরিচালনা করেছি। এভাবেই গিয়ে পরিচালনা করতে হবে, যেভাবে পরিচালনা করেছিলাম। সত্যযুগে অবশ্যই লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল, তাই না! প্রত্যেকেই আলাদা-আলাদা রাজধানী পাবে। কৃষ্ণের নিজস্ব রাজধানী থাকবে। অন্য রাজারাও তো থাকে, তাই না! কমপক্ষে ৮ জন তো থাকবে, তাই না! তারপর ৮ বা ১০৮ তা পরে জানতে পারা যাবে। এমনও নয়, যে জ্ঞান পরে দেবেন তা এখনই দিয়ে দেবেন। যে জীবিত থাকবে, বাবা জ্ঞান দান করতে থাকবেন। দিতেই হবে। ড্রামায় নির্ধারিত রয়েছে। পরমাত্মার ভূমিকা এখনই রয়েছে। এই জ্ঞান প্রদানের ভূমিকা এখনই নির্ধারিত করা রয়েছে। বাবা বলেন — ভবিষ্যতে তোমরা অনেককিছু বুঝতে পারবে। প্রতিদিনই বোঝাতে থাকেন। এও জানতে পারবে যে আমরা সেখানে কিভাবে রাজত্ব করি ! স্বয়ম্বর কেমন করে হয়ে থাকে। তোমরা যখন ধ্যানে বসো তখন তো বৈকুন্ঠে গিয়ে দেখেও থাকো। সেখানকার সোনার প্রাসাদ কেমন। সোনাই সোনা। নিজেকে পারশপুরীতে দেখো। সোনার ইঁটের ঘর-বাড়ী নির্মিত হচ্ছে। মনে ভাবে যে — অল্পকিছু ইট নিয়ে যাব। পুনরায় যখন নেমে আসো তখন নিজেকে এখানেই দেখো। ধ্যানে মীরাও নিজেকে দেখতো যে কৃষ্ণের সঙ্গে রাসলীলা করছে। তোমরা সূক্ষ্মলোকে যাও, সেখানে হাড়-মাংস(শরীর) থাকে না, ফরিস্তা হয়ে যায়। ব্রহ্মার সূক্ষ্মশরীরও দেখতে পাওয়া যায়। এখানেই ফরিস্তা হয়ে যায়। তোমরা বাগিচাদি দেখে থাকো। এ’সব বাবা সাক্ষাৎকার করান। তোমরা বলো, বাবা আমাদের শুবীরস(স্বর্গের একপ্রকারের পেয় অমৃত) পান করান। এখন সূক্ষ্মলোকে তো পান করাতে পারবে না। বৈকুন্ঠে ফল-ফুল অতি উৎকৃষ্ট মানের হয়। সূক্ষ্মলোকে তো বাগান থাকে না। তোমরা বলো যে — বাগানে গিয়েছিলাম, সেখানে প্রিন্স ছিল, সে তো বৈকুন্ঠ হয়ে গেলো, তাই না! বৈকুন্ঠের বৈভব এখানে পাওয়া যাবে না। ওখানকার বৈভব অতি উচ্চমানের(ফার্স্টক্লাস)। বাবা বলেন — আমি তোমাদের বৈকুন্ঠের মালিক করে দিই। এখানে তো দুঃখই দুঃখ। কোনো এমন মানুষ নেই যে এরকম বলবে যে — হে ঈশ্বর, দুঃখ থেকে মুক্ত করো। দুঃখেই স্মরণ করে। কৃষ্ণের পূজারীরা বলবে — কৃষ্ণ বলো, হনুমানের পূজারীরা বলবে হনুমানের জয়….. এখানে বাবা বলেন আমায় অর্থাৎ বাবাকে স্মরণ করো। এমনভাবে স্মরণ করো যাতে অন্তিম সময়ে আর কারোর স্মৃতি না আসে। পাপ স্খলনের জন্য কাশীতে গিয়ে কাঁটা, শূল দ্বারা বিশেষভাবে নির্মিত এক কুঁয়ায় ঝাঁপ দিত (কাশী কলবট), সেখানে পূর্বের কৃতপাপের জন্য এমন অনুভব হতো — যেন জন্ম-জন্মান্তরের পাপের সাজাভোগ করছে। অনেক পাপ করেছে। একে বলাই হয় পাপাত্মাদের দুনিয়া। আত্মা হলো পাপী। আত্মাই বাবাকে ডাকে — হে পরমপিতা পরমাত্মা, হে পরমধাম-নিবাসী শিববাবা, ওঁনার প্রকৃত নাম তো একটাই। তিনি হলেন আত্মাদের পিতা। রুদ্রের সঙ্গে শালিগ্রাম শব্দটি শোভনীয় নয়। শিব এবং শালগ্রাম শোভনীয়। মাটি দিয়ে শিবলিঙ্গ তৈরী করে থাকে তখন শালগ্রামও তৈরী করে। পতিত-পাবন তো তিনিই, তাই না! এখানে যজ্ঞও রচনা করে। ভারতই হলো সর্বাপেক্ষা উচ্চ কিন্তু দেবতা ধর্মকে ভুলে গেছে। তোমাদের হলো আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম। সে তো চলতে থাকাই উচিত। হিন্দু কারোর ধর্ম হয় নাকি, না তা হয় না! দেবতা ধর্মাবলম্বীরাই সতো-রজো-তমোতে আসে। যখন তমো-তে আসে তখন আর নিজেদের দেবতা বলতে পারে না। বাস্তবে হিন্দু কোনো ধর্ম নয়। সেইজন্য বোঝানো হয় যে তোমরা দেবী-দেবতা হতে পারো, এসে বোঝ। তখন বলে অবসর কোথায়! বাবা বলেন — আমি তোমাদের আপন করে নিই — শান্তি আর সুখের উত্তরাধিকার দেওয়ার জন্য। কোনো পরিবারে পরস্পর একত্রিত হয়ে থাকে, অত্যন্ত প্রেমপূর্বক চলে। সকলের উপার্জন একত্রিত করা হয়। কোনো গোলমাল হয় না, কিন্তু একে তো স্বর্গ বলা যাবে না, তাই না! সত্যযুগে একটি ঘরেও রোগ, দুঃখ থাকে না। নামই হলো স্বর্গ। সেখানে সকলেই সুখে থাকে। বাবার থেকে তোমরা সর্বদা সুখের উত্তরাধিকার নিতে এসেছো। তোমরা জ্ঞান পেয়েছো। তারা বলে — বাবা তুমি পতিত-পাবন। আমাদেরকেও পবিত্র করো। বাবার সঙ্গে তোমরাও হলে ঈশ্বরের সহযোগী। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) স্বরাজ্য প্রাপ্ত করার জন্য পবিত্রতার ভিতকে এখন থেকেই সুদৃঢ় করতে হবে। বাবা যেমন পতিত-পাবন তেমনই বাবার সমান হতে হবে।

২ ) নিজের শান্ত স্বধর্মে অবস্থান করতে হবে। যতখানি সম্ভব দেহ-অভিমান পরিত্যাগ করে দেহী-অভিমানী হয়ে থাকতে হবে। ডেড সাইলেন্স অর্থাৎ অশরীরী হয়ে থাকার অভ্যাস করতে হবে।

বরদানঃ-

বাবা যেমন (ব্রহ্মা তনকে) ধার নেন তেমনই জীবনে থেকেও মৃতবৎ হয়ে থাকা বাচ্চারা শরীরের, সংস্কারের, স্বভাবের বন্ধন থেকে মুক্ত হও । যখন চাইবে যেমনভাবে চাইবে তেমনভাবেই নিজের সংস্কার গঠন করে ফেলো। বাবা যেমন নির্বন্ধন তেমনই নির্বন্ধন হও। মূললোকের (শান্তিধাম) স্থিতিতে স্থির হয়ে পুনরায় নীচে এসো। নিজের অনাদি-আদি স্বরূপের স্মৃতিতে নিমগ্ন হয়ে থাকো, অবতরিত আত্মা মনে করে কর্ম করো তবেই অন্যরাও তোমাকে অনুসরণ করবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top