19 February 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

18 February 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - সবসময় এই ঈশ্বরীয় নেশাতে থাকো যে জ্ঞানের সাগর বাবা জ্ঞান প্রদান করে আমাদের স্বদর্শন চক্রধারী, ত্রিকালদর্শী বানিয়েছেন, আমরা হলাম ব্রহ্মা বংশী ব্রাহ্মণ"

প্রশ্নঃ --

বাচ্চারা তোমরা ব্রাহ্মণ হওয়ার সাথে সাথেই পদ্মগুণ ভাগ্যশালী হয়ে যাও – কীভাবে ?

উত্তরঃ -:-

ব্রাহ্মণ হওয়া অর্থাৎ সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত করা। বাবার বাচ্চা হয়েছ আর উত্তরাধিকারের অধিকার প্রাপ্ত করেছ। সুতরাং জীবনমুক্তি তোমাদের অধিকার, সেইজন্যই তোমরা পদ্মগুণ ভাগ্যশালী হয়ে যাও। এই মৃত্যুলোকে তো কোনো সৌভাগ্যশালী নেই। অকাল মৃত্যু হতেই থাকে। বাচ্চারা তোমরা এখন কালের উপর জয়লাভ করে থাকো। তোমাদের ত্রিকালদর্শীরও জ্ঞান রয়েছে। শিববাবা ২১ জন্মের জন্য তোমাদের ঝুলি ভরপুর করে দিচ্ছেন।

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা জানে আমরা এখন কাঁটা থেকে ফুল তৈরী হচ্ছি অর্থাৎ মানুষ থেকে দেবতা হচ্ছি। বাচ্চারা জানে এখানে কাঁটার জঙ্গল। এরপর আবারও ফুলের বাগিচায় যেতে হবে। এই দিল্লি কোনো এক সময় পরিস্তান ছিল। বাচ্চারা তোমরা সেখানে রাজত্ব করতে যখন দেবতা ছিলে। কেউ রাজা, মহারাজার রূপে, কেউ প্রজা রূপে। এটা তো সবাই জানে যে পূর্বের মতোই এই সৃষ্টি এখন কবরস্থানে পরিণত হবে। এর উপরেই তোমরা পরিস্তান গড়ে তুলবে। তোমরা জানো এই সম্পূর্ণ দুনিয়াই নতুন রূপে গড়ে উঠবে। যমুনার উপকন্ঠে রাধা-কৃষ্ণ, লক্ষ্মী-নারায়ণ ছিল। এমন নয় যে রাধা কৃষ্ণ রাজত্ব করত, তা নয়। রাধা অন্য রাজধানীর ছিল, কৃষ্ণও অপর রাজধানীর ছিল। তারপর দু’জনের স্বয়ম্বর হয়েছিল। স্বয়ম্বরের পরে এই পরিস্তানে লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে, যমুনার উপকন্ঠে রাজত্ব করে থাকে। এই আসন অনেক পুরানো। আদি সনাতন দেবী-দেবতাদের সিংহাসন তৈরী হয়ে আসছে। কিন্তু এইসব বিষয়ে শুধু তোমরা বাচ্চারাই বুঝেছ। তোমরাই নিজেদের পরিস্তান গড়ে তুলছ। রাজধানী স্থাপন করে চলেছ। কীভাবে ? যোগবলের দ্বারা। দেবী-দেবতাদের রাজধানী লড়াই করে স্থাপন হয়নি। তোমরা এখানে শিখতে এসেছ রাজযোগ, যা ৫ হাজার বছর আগেও শিখেছিলে। তোমরা বলবে হ্যাঁ বাবা কল্প পূর্বেও আজকের দিনে এই সময় আমরা বাবার কাছে ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করেছিলাম। এখানে শুধুমাত্র বাচ্চারাই আসে। বাচ্চারা ছাড়া বাবা আর কারো সাথে কথা বলতে পারেন না। বাবা বলেন আমি বাচ্চাদেরই শিখিয়ে থাকি। তোমাদের কত ঈশ্বরীয় নেশা থাকা উচিত। জ্ঞানের সাগর বাবা, ওঁনাকেই জ্ঞান-জ্ঞানেশ্বর বলা হয়, এর অর্থ হলো ঈশ্বর যিনি জ্ঞানের সাগর, তিনিই এই সময় তোমাদের জ্ঞান প্রদান করেন। কী সেই জ্ঞান ? সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের জ্ঞান। তোমরা বাচ্চারা স্বদর্শন চক্রধারী হয়ে ওঠো। তোমরা হলে ব্রহ্মা বংশী। বিষ্ণুবংশীয় যারা রাজত্ব করবে, তারা স্বদর্শন চক্রধারী, ত্রিকালদর্শী নয়। তোমরা ব্রহ্মা বংশীয় যারা তারাই দেবতা হবে। আমরা যারা সূর্যবংশীয় ছিলাম তারাই পরে চন্দ্রবংশে গেছি তারপর বৈশ্যবংশে এবং সব শেষে শূদ্র বংশী হয়ে গেছি। পুনরায় এখন আমরা ব্রাহ্মণ বংশীয় হয়েছি। তোমরা জানো পূর্বের মতোই আমরা স্বদর্শন চক্রধারী হয়েছি। সম্পূর্ণ সৃষ্টির আদি মধ্য অন্তের জ্ঞান আমাদের মধ্যে রয়েছে। এর দ্বারাই আমরা পুনরায় চক্রবর্তী রাজা রাণী হব। এই নলেজ সমস্ত ধর্মের জন্য। শিববাবা সবাইকে বলেন – এই ব্রহ্মাকেও বলে থাকি, এর আত্মাও এখন শুনছে। তোমরা এখন ব্রাহ্মণ। প্রতিটি মানুষ মাত্রই শিববাবার সন্তান, তেমনই ব্রহ্মা বাবারও সন্তান। ব্রহ্মা হলেন গ্রেট-গ্রেট গ্র্যান্ড ফাদার, সাকার রূপে আর শিববাবা সবার আত্মিক পিতা। শিববাবাকে প্রজাপিতা বলা হয় না। শিববাবা হলেন আত্মাদের পিতা। বাবা বলেন আমি ভারতবাসীদের রাজ্য ভাগ্য দিয়ে থাকি, হীরে তুল্য সুখী করে তুলি, ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার দিয়ে থাকি। তারপর তোমরা যখন পূজ্য থেকে পূজারী হয়ে ওঠো তখন থেকেই আমার গ্লানি করতে শুরু করো। বাবা বলেন – আমি কত উচ্চ থেকে উচ্চতম তোমাদের পিতা, আমিই ভারতকে হেভেন, প্যারাডাইস বানাই। তোমরা তারপর আমাকে সর্বব্যাপী বলে গ্লানি করে থাকো। ৫ হাজার বছর আগে ভারত স্বর্গ ছিল। কালকের কথা। তোমরাই রাজত্ব করতে, উজ্জ্বল আলোকময় ছিল, কিন্তু আজ অন্ধকার। কিন্তু মানুষ মনে করে এটাই স্বর্গ। ভারতবাসীরা গেয়ে থাকে নতুন দুনিয়াতে নতুন ভারত রামরাজ্য হোক। মানুষ তবুও একেই নতুন মনে করে। এটাই তো ড্রামা। এই সময় মায়ার শেষের দিকের জৌলুষ । এখন রাবণ রাজ্য মুর্দাবাদ আর রামরাজ্য জিন্দাবাদ হবে। রামরাজ্য কোনো রাম সীতার রাজ্যকে বলা হয় না। সূর্যবংশীয় রাজ্যকেই রামরাজ্য বলা হয়। তোমরা এসেছ সূর্যবংশীয় রাজা রাণী হওয়ার জন্য। এটা হল রাজযোগ, এই নলেজ ব্রহ্মা বা কৃষ্ণ দেন না। এই নলেজ পরমপিতা পরমাত্মা এসেই দিয়ে থাকেন। বাবা যিনি পতিত-পাবন, তিনিই এসে সম্পূর্ণ বিশ্বকে হেভেন করে তোলেন, সুখ-শান্তি প্রদান করেন। এই ভারত প্রথমে সুখধাম ছিল। সবাই তো শান্তিধাম থেকে আসে। আমি আত্মা শান্তিধাম নিবাসী। আত্মাই পরমাত্মা নয়। আমি আত্মা সূর্যবংশী ছিলাম তারপর ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়ে গেছি। পুনরায় এখন ব্রাহ্মণ বংশে এসেছি। এই চক্র হল ডিগবাজি খেলা। প্রথম শিখর হল ব্রাহ্মণ, তারপর ক্ষত্রিয়, টোটাল ৮৪ জন্ম ভোগ করতে হয়। বাচ্চারা, এতে মুষড়ে পড়ার কোনো বিষয় নেই। সেকেন্ডে জীবনমুক্তি। বাবার সন্তান হওয়ার সাথে-সাথে উত্তরাধিকারের উপযুক্ত হয়ে ওঠো। মায়ের গর্ভ থেকে বের হলে আর উত্তরাধিকার গ্রহণ করলে। এটাও সেকেন্ডের বিষয়। জনক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি পেয়েছিলেন তাইনা। তোমরাও ঈশ্বরের হয়েছ সুতরাং জীবনমুক্তি তোমাদের অধিকার। তোমরা অমরলোকের মালিক হয়ে ওঠো, এটা হলো মৃত্যুলোক।তোমাদের থেকে সৌভাগ্যশালী আর কেউ নেই। এখানে তো অকালে মৃত্যু হয়। এখন তোমরা কালের উপরে জয়লাভ করতে চলেছ। বাবা হলেন কালেরও কাল, সুতরাং ঐ বাবার কাছ থেকে তোমরা কত উত্তরাধিকার পেয়ে থাকো। তোমাদের সব ধর্ম সম্পর্কেও জানা উচিত, সেইজন্যই চিত্র তৈরি করা হয়েছে । এটা হলো পাঠশালা। কে পাচ্ছেন ? ভগবানুবাচ, কৃষ্ণ পড়ান না। জ্ঞানের সাগর কৃষ্ণ নয়। উনি হলেন পরমপিতা পরমাত্মা, তিনিই তোমাদের জ্ঞান প্রদান করছেন। তোমরা হলে জ্ঞান গঙ্গা। দেবতাদের মধ্যে এই জ্ঞান থাকে না। তোমরা ব্রাহ্মণদের এই জ্ঞান রয়েছে, ত্রিকালদর্শী হওয়ার জন্য। তোমরাই এই সময় এই জ্ঞান অর্জন করে উত্তরাধিকার পেয়ে থাকো। রাজযোগ শিখে স্বর্গের রাজা রাণী হও।

তোমরা জানো আমরা বাবার দ্বারা কালের উপর বিজয় প্রাপ্ত করব। ওখানে তোমাদের সাক্ষাৎকার হবে এই পুরানো শরীর ত্যাগ করে ছোট বাচ্চা হবো। সর্পের মতো ….এইসব দৃষ্টান্ত তোমাদের জন্যই দেওয়া হয়েছে। এই ভারত প্রথমে শিবালয় ছিল। চৈতন্য দেবী-দেবতাদের রাজ্য ছিল, যাদের মন্দির তৈরী করা হয়েছে। শিববাবা এসে শিবালয় তৈরি করেন। রাবণ এসে বেশ্যালয় বানায়। বড়ো-বড়ো বিদ্বান পন্ডিতরাও জানে না যে রাবণ কি জিনিস। তোমরা জানো অর্ধকল্প ধরে রাবণের রাজ্য চলে। দিল্লিতে প্রথমে গড গডেজ লক্ষ্মী-নারায়ণের রাজ্য ছিল। বলাও হয়ে থাকে ক্রাইস্টের ৩ হাজার বছর আগে ভারত স্বর্গ ছিল। কিন্তু তারপর ভুলে গেছে। কেউ মারা গেলে বলে থাকে স্বর্গবাসী হয়েছে। মিষ্টি মুখ করিয়ে থাকে। যখন ভারত স্বর্গ ছিল পুনর্জন্ম স্বর্গে হতো। এখন ভারত নরক হয়ে গেছে সুতরাং পুনর্জন্মও নরকেই নিয়ে থাকে। বাবা বলেন বাচ্চারা তোমাদের স্মরণে আছে না – কল্পে-কল্পে আমিই এসে তোমাদের স্বর্গের মালিক করে তুলি। এখন তোমরা পতিত থেকে পবিত্র হচ্ছ। এই কাজ একমাত্র বাবার। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে আছে – উচ্চ থেকে উচ্চতম হলেন শিববাবা, এই ব্রহ্মার দ্বারা সমস্ত বেদ শাস্ত্রের সার বুঝিয়ে থাকেন। ভক্তি মার্গে তো মানুষ খরচ করতে-করতে কানা কড়িহীন হয়ে গেছে। বাবা বলেন আমি তোমাদের হীরে জহরতের মহল বানিয়ে দিয়েছিলাম। তারপর তোমাদের তো নীচে নামতেই হবে। কলা হ্রাস পেতে থাকে। ঐ সময় কেউ-ই উত্তরণের কলায় উঠতে পারে না, কেননা ঐ সময়টা হল নীচে নামার। এই সময় তোমরা সবচেয়ে উচ্চ ঈশ্বরীয় সন্তান হয়েছ এরপর দেবতা ক্ষত্রিয়… হতেই হবে। যতই কেউ দান-পুণ্য ইত্যাদি করুক না কেন, ভক্তি মার্গে খরচ করতে-করতে কলা কমতেই থাকবে। বাবাও বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করেন আমি তোমাদের বিত্তশালী বানিয়েছিলাম, তোমরা সমস্ত ধন কি করেছ ? বাচ্চারা বলে বাবা তোমার মন্দির তৈরি করেছি। এখন আবারও শিব ভোলানাথ বাবা ২১ জন্মের জন্য আমাদের ঝুলি ভরপুর করে দিচ্ছেন। বাবা বলেন আই এম ইয়োর অবিডিয়েন্ট সার্ভেন্ট …মোস্ট অবিডিয়েন্ট ফাদার, মোস্ট অবিডিয়েন্ট টিচার। পারলৌকিক ফাদার, পারলৌকিক টিচার আর পরলোক নিবাসী মোস্ট অবিডিয়েন্ট সদ্গুরুও। তোমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাব আর কোনো গুরু তোমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবে না। এতে ভয়ের কিছু নেই। এখন বাচ্চারা তোমরা জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র পেয়েছ, এই নেত্র দিয়েই তোমরা বাবাকে দেখ, শিববাবাকে তো বুদ্ধি রূপী নেত্র দিয়েই জানা যায়। উত্তরাধিকার শিববাবার কাছ থেকেই পাওয়া যায়। এই ব্রহ্মাও শিববাবার কাছ থেকেই উত্তরাধিকার পেয়ে থাকেন। উচ্চ থেকে উচ্চতম হলেন শিববাবা তারপর ব্রহ্মা বিষ্ণু শঙ্কর, তারপর ব্রহ্মা সরস্বতী এবং লক্ষ্মী-নারায়ণ। ওরা কত অসংখ্য চিত্র তৈরি করেছে। ৬-৮ ভূজধারী কেউ হয় না। এ’সবই হলো ভক্তি মার্গের খেলা। ওয়েস্ট অফ টাইম, ওয়েস্ট অফ এনার্জি….বাস্তবে সর্ব শাস্ত্র শিরোমণি হচ্ছে গীতা। সেখানেও বাবার পরিবর্তে বাচ্চার নাম রেখে মস্ত ভুল করেছে। এটাও ড্রামা। সবার সদ্গতি দাতা, পতিত-পাবন একমাত্র বাবা। তারপর হলেন প্রজাপিতা ব্রহ্মা বাবা, তৃতীয় হলেন লৌকিক বাবা। প্রতিটি জন্মে দুইজন পিতা থাকেন। এই একটাই সময় যখন তিনজন পিতাকে পাওয়া যায়। এতে মুষড়ে পড়ার কোনো ব্যাপার নেই। বলাও হয়ে থাকে, জ্ঞান, ভক্তি আর বৈরাগ্য। বৈরাগ্যও দুই রকমের হয়। এক হচ্ছে সীমিত বৈরাগ্য, দ্বিতীয় হলো অসীমের বৈরাগ্য। সন্ন্যাসীরা তো ঘর পরিবার ছেড়ে জঙ্গলে চলে যায়। এখানে তোমরা পুরানো দুনিয়াকে বুদ্ধির দ্বারা ছেড়ে দাও। ওটা হলো হঠযোগ, এটা রাজযোগ। হঠযোগী কখনও রাজযোগ শেখাতে পারে না। ভালো-ভালো বিষয়গুলো বুঝতে হবে। তোমরা বাচ্চারা এই সময় কাঁটা থেকে ফুল তৈরী হচ্ছো। প্রথম নম্বরে আছে দেহ-অভিমানের বড়ো কাঁটা। একে বাবাই ছাড়াতে পারেন আর কারো মধ্যেই এই শক্তি নেই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্নেহ স্মরণ আর সুপ্রভাত। আত্মিক পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই পুরানো দুনিয়াকে বুদ্ধি দিয়ে ভুলে অসীমের বৈরাগী হতে হবে। দেহ-অভিমানের ভূতকে বের করে দিতে হবে।

২ ) বাবার সমতুল্য অবিডিয়েন্ট হয়ে সেবা করতে হবে। নিজের সমতুল্য করে তুলতে হবে। কোনো ব্যাপারেই মুষড়ে পড়া উচিত নয়।

বরদানঃ-

পরমাত্মার ভালোবাসা এতটাই সুখ প্রদান করে যে তার মধ্যে যদি একাত্ম হয়ে যাও তবে এই দুঃখের দুনিয়াকে ভুলে যাবে। এই জীবনে যা চাই সেই সর্ব কামনা পূর্ণ করে দেওয়া – এটাই তো পরমাত্ম স্নেহের লক্ষণ। বাবা শুধু আমাদের সুখ-শান্তি দেন না, তিনি আমাদের এর ভান্ডারে পরিণত করেন। বাবা যেমন সুখের সাগর, নদী, পুকুর নন তেমনই বাচ্চাদেরও সুখের ভান্ডারের মালিক করে দেন। সেইজন্যই চাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না, শুধু প্রাপ্ত খাজানাকে বিধি অনুসারে প্রতিটি কাজে ব্যবহার করতে হবে।

স্লোগানঃ-

মাতেশ্বরীজির অমূল্য মহাবাক্য –

“নিরাকার পরমাত্মার সাকার ব্রহ্মা শরীরে প্রবেশ হওয়ার বিচিত্র যুক্তি”

দেখো পরমাত্মা তাঁর নিজস্ব যুক্তি রচনা করেছেন অর্থাৎ তিনি তাঁর ভৌতিক শরীরকে ঠিক করেছেন, যে প্রকৃতির আধার নিয়ে তিনি এখানে আসেন। তা না হলে আমরা মনুষ্য আত্মারা নিরাকারের কোলে কীভাবে বসতে পারব, সেইজন্যই পরমাত্মা বলেন, আমি এই সাকার শরীরে প্রবেশ করি যাতে তোমরা আমার কোলে এসে বসতে পারো, এরজন্য কিছু দেওয়ার ব্যাপার নেই। শুধুমাত্র ৫ বিকার যা তোমাদের দুঃখী অশান্ত করে তুলেছে তার সন্ন্যাস (বিকার ত্যাগ) নাও আর আমি পরমাত্মাকে নিরন্তর স্মরণ কর। মন্সা-বাচা-কর্মণা আমার ডায়রেকশন অনুযায়ী চললে তোমাদের পাপকে দগ্ধ করে পরমধামে নিয়ে যাব, এই হলো আমরা আত্মাদের প্রতি পরমাত্মার প্রতিজ্ঞা। এখন ওঁনার আদেশ পালন করতে হবে শুধুমাত্র মাতা-পিতা বললেই হবে না, সম্পূর্ণ রূপে ওঁনার হলেই সম্পূর্ণ প্রাপ্তি হয়, অল্প-স্বল্প সম্বন্ধ জুড়লে অল্পই প্রাপ্তি হবে। এখন বাবার যে ধান্দা বাচ্চাদেরও তাই। এখানে বিচ্ছেদের কোনো বিষয় নেই, এখানে তো ২১ প্রজন্ম সেই প্রপার্টি ভোগ করবে। এখন এটাই জানার যে ওঁনার চাইতেও বড় অথরিটি আর কেউ নেই, সেইজন্যই বলে থাকি আমি যা, আমি যেমন, সেই রূপেই আমাকে স্মরণ করো। এখন বাবা তাঁর কর্তব্য পালন করেছেন সুতরাং বাচ্চাদেরও তাদের কর্তব্য পালন করতে হবে। এই বিকারী ইউনিট অর্থাৎ বিকারগ্রস্ত কুলের লোকলজ্জা মর্যাদা তো জন্ম-জন্মান্তর ধরে পালন করে এসেছ, ওতে আরও বেশি করে কর্ম বন্ধন তৈরি হয়েছে। এখন পারলৌকিক মর্যাদা অর্থাৎ পরমাত্মার সাথে অলৌকিক কাজে সাহায্য করতে হবে। আমাদের সম্বন্ধ এখন হাইয়েস্ট অথরিটির সাথে হয়েছে। আমরা এখন ঐ ভাগ্যবিধাতার সন্তান আর তিনি এসে সাকার শরীরের দ্বারা আমাদের নলেজ দিচ্ছেন, তাহলে কেন আমরা উইথ অনার্স নিয়ে পাশ করব না ? প্রত্যেকের পুরুষার্থের দ্বারা জানা যায় যে ভাগ্যবান নাকি ভাগ্যবান নয়। যদি কেউ পরমাত্মার কোলে গিয়ে দাবি করে যে সে ঈশ্বরের সন্তান এবং উত্তরাধিকারী, তারপর যদি সে বিচ্ছেদ ঘটায় তখন তাকে ভস্মাসুর (যে নিজেকে পুড়িয়ে মারে) বলা হবে না ? উপরে উঠলে উচ্চ পদ, নীচে নামলে ভস্মাসুর হয়ে যাবে। এখন এটাই স্মরণে রাখতে হবে, কার সাথে আমাদের সম্বন্ধ ? যার সাথে সম্বন্ধ জোড়ার জন্য স্বয়ং দেবতারাও ইচ্ছা প্রকাশ করে। আচ্ছা – ওম্ শান্তি।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top