18 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 17, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - তোমরা প্রকৃত সত্য আশিক হয়ে আমি একমাত্র মাশুককে স্মরণ করলে তোমাদের আয়ু বৃদ্ধি হবে, যোগ আর ঈশ্বরীয় পঠন-পাঠন করে তোমরা উচ্চ পদ পেতে পারবে"

প্রশ্নঃ --

ভারতকে স্বর্গ করে তোলার জন্য বাবা বাচ্চাদের কাছে কি সাহায্য চান ?

উত্তরঃ -:-

বাচ্চারা, আমার পবিত্রতার সাহায্য চাই। তোমরা প্রতিজ্ঞা কর – আমরা কাম বিকারকে পদাঘাত করে অবশ্যই পবিত্র হব। অমৃতবেলায় উঠে নিজের সাথে কথা বলো – মিষ্টি বাবা আমরা তোমাকে সাহায্য করার জন্য তৈরি। আমরা পবিত্র হয়ে ভারতকে অবশ্যই পবিত্র করে তুলব। আমরা তোমার শিক্ষার আধারে অবশ্যই চলব। কোনো পাপ কর্ম করব না। বাবা তোমার চমৎকার এটাই, স্বপ্নেও ছিল না যে আমরা কখনো বিশ্বের মালিক হব। তুমি আমাদের কি থেকে কি তৈরি করছ।

গান:-

তোমাকে ডাকতে মন বড় চায়..

ওম্ শান্তি । প্রিয় বাচ্চারা জানে যে, আমরা আত্মারা সবাই সেই প্রিয়তম (মাশুক) পিতার প্রিয়তমা (আশিক) । বাচ্চারা জানে আশিক আর মাশুকের সম্বন্ধ কত গভীর হয়। যারা শরীরধারী আশিক হয় তারা শরীরের প্রতি আশিক হয়, কিন্তু বিকারের জন্য নয়। বাচ্চারা জানে যখন কারো বিবাহ হয় যদিও তাদের স্ত্রী-পুরুষ বলা হয় কিন্তু ওরা পরস্পরের আশিক এবং মাশুক হয় একে অপরকে পতিত করে তোলার জন্য। প্রথম থেকেই তারা জানে যে, বিকারগ্রস্ত হয়ে যাব। এখন তোমরা বাচ্চারা আশিক হয়েছ এক মাশুকের প্রতি, যিনি সকল আত্মাদের মাশুক। সবাই ঐ একজনের আশিক। সমস্ত ভক্তরাই এক ভগবানের আশিক। কিন্তু ভক্তরা ভগবান সম্পর্কে জানে না। ভগবানকে না জানার কারণে কোনও শক্তি ইত্যাদি তারা প্রাপ্ত করতে পারে না। সাধু-সন্তরা পবিত্র থাকার কারণে কিছু না কিছু অল্প সময়ের জন্য পেয়ে থাকে। তোমরা স্মরণ কর একমাত্র মাশুককে। তাঁর সাথে বুদ্ধিযোগ জুড়তে হয়। যিনি বাবা, শিক্ষক, পতিত-পাবন সর্বশক্তিমান। ঐ বাবার সাথে তোমরা যোগযুক্ত হয়ে শক্তি গ্রহণ করে থাকো। তোমাদের জ্ঞান সম্পূর্ণ আলাদা, তোমরা শক্তি নাও মায়াকে জয় করার জন্য। এমনই যিনি বিশ্বের মালিক প্রদানকারী মাশুক, তিনি কত মিষ্টি। যারাই বাবাকে নিজের করেছে তারাই জানে তিনি কত মিষ্টি মাশুক, যাঁকে সবাই অর্ধকল্প ধরে স্মরণ করে আসছে। ঐ শরীরধারী আশিক আর মাশুক তো এক জন্মের জন্য হয়। তোমরা তো অর্ধকল্প ধরে স্মরণ করেছ। এখন তোমরা বাবাকে জেনেছ সুতরাং তোমরা কত শক্তি প্রাপ্ত করছ। তোমরা শ্রীমত অনুসারে চলে স্বর্গের শ্রেষ্ঠ থেকে শ্রেষ্ঠ মালিক হচ্ছ। আশিক হলো আত্মা, আত্মাই কর্তব্য পালন করে থাকে – কর্মেন্দ্রিয়ের দ্বারা।

এখন বাচ্চারা তোমাদের একটাই ধুন (সুর) চলছে যে বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিতে হবে। বিষ লেন-দেনের জন্য যে গাঁটছড়া বাঁধা ছিল বাবা এসে সেটা ক্যানসেল করে দিয়েছেন। তিনি বলছেন এ’সব বিষয় ছেড়ে এখন আমাকে স্মরণ করো। শরীরধারী আশিকেরও প্রতিটি সময় খেতে, উঠতে-বসতে মাশুকের স্মরণ থাকে, তাই না! তাদের মধ্যে মন্দ ভাবনা থাকে না। এটা বিকারের বিষয় নয়। এখন তোমরা স্মরণ করছ একজনকেই। স্মরণের পুরুষার্থ অনুসারে তোমরা নিজের আয়ু বৃদ্ধি করতে পার। মনে করো কোনো ব্রাহ্মণ বলছে তোমার আয়ু ৫০ বছর, এখন বাবা বলছেন তুমি এখন যোগবলের দ্বারা নিজের আয়ু বৃদ্ধি করতে পারো। যোগে যত বেশি সময় থাকবে ততই আয়ু বৃদ্ধি পাবে। তারপর ভবিষ্যতেও জন্ম-জন্মান্তর ধরে দীর্ঘায়ু হতে পারবে। যোগ না থাকলে সাজা ভোগ করতে হবে, তারপর পদও কম হয়ে যাবে। যদিও সুখি সবাই হবে কিন্তু যোগ আর ঈশ্বরীয় পড়াশোনার মাধ্যমে। পদের পার্থক্য তো থাকবেই, তাই না ! যত পুরুষার্থ করবে ততই উচ্চ পদ পাবে। ধন( সম্পদ) তো নম্বরানুসারেই হবে ! একইরকম ধনী তো সবাই হবে না। সেইজন্যই বাবা বোঝান বাচ্চারা যতটা সম্ভব আমার মতে চলো। কেউ আজ জন্ম নিল, আগামী কাল মরে গেল। দান-পুণ্য করলে বড় ঘরে জন্ম নেয় তাইনা। এখন বাবা তোমাদের অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দান করে ঝুলি ভরপুর করে দিচ্ছেন। তোমরা কত বিত্তবান হয়ে যাও। এই অবিনাশী জ্ঞান রত্ন দান বলো অথবা বর্সা বলো বাবার কাছ থেকে পাচ্ছ। তোমরা বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছ সুতরাং অন্যদেরও পথ বলে দিতে হবে। আমরা ভগবানের সন্তান সুতরাং অবশ্যই আমাদের ভগবান ভগবতী পদ পাওয়া উচিত। ভারতে মহিমা করা হয় ভগবতী লক্ষ্মী, ভগবান নারায়ণ। নতুন দুনিয়াতে ভগবান ভগবতীরাই রাজত্ব করে থাকে কেননা ভগবান দ্বারাই ঐ পদ তারা প্রাপ্ত করেছে। কিন্তু বাবা বোঝান যদি তাদের গড গডেজ বলা হয় তবে তো যথা রাজা রাণী তথা প্রজাদেরও গড গডেজ বলতে হবে, সেইজন্যই দেবী-দেবতা বলা হয়।

তোমরা জানো আমরা ভারতকে স্বর্গ করে তুলছি। পরমপিতা পরমাত্মার শ্রীমতের দ্বারা আমরা রাজযোগ শিখি। তারপর রাজ্য ভাগ্যের অধিকারী হই। পরমাত্মাই স্বর্গের স্থাপনা করেন তবে তো অবশ্যই তিনি নরকে আসবেন তারপরেই তো নরককে স্বর্গ করে তুলবেন। কল্প পূর্বেও যা তৈরি হয়েছিল তারই নির্মাণ হবে। সবারই তো একরস স্থিতি হয়না, নম্বরানুসারে পুরুষার্থ করে থাকে। আজকাল তো বাচ্চারা সাহস করে কাউকে সাহায্য করার দায়িত্বও নিয়ে থাকে – বলে বাবা অমুক বাচ্চা খুব মারধোর খায়, তাকে বাঁচানোর জন্য বিবাহ করে নিই। বাবা বলেন আচ্ছা এতো ঠিকই আছে কিন্তু তোমার যোগের শক্তির প্রয়োজন এবং জ্ঞানও ভালোভাবে আত্মস্থ করতে হবে। যত বেশি উত্তরাধিকারী এবং প্রজা তৈরি করবে, কাঁটাকে ফুলে পরিণত করার সেবা করবে ততই উচ্চ পদ পাবে। কত পরিশ্রম করতে হয়। বিলেতেও এমন অনেক দম্পতি আছে, একসাথে থাকে কিন্তু পবিত্র থাকে তারপর সমস্ত সম্পত্তি স্ত্রী অথবা কোনো দাতব্য প্রতিষ্ঠানে দান করে দেয়। এখন তোমরা বাচ্চারা পরমপিতা পরমাত্মা মাশুককে পেয়েছ, যিনি তোমাদেরকে বিশ্বের মালিক করে তোলেন সুতরাং তাঁকে কতখানি স্মরণ করা উচিত। এমন বাবাকে তো খুব স্মরণ করা উচিত। তোমরাই বাবাকে জানো আর কোনো সাধু-সন্তরা বাবাকে জানেই না। এখানে বাবা বাচ্চাদের সামনে বসে আছেন। এই সময় যদি কেউ পবিত্র থাকেও কিন্তু পবিত্রতার শক্তি তারা পায় না। তোমরা যতটা পতিত-পাবন বাবার কাছ থেকে পেয়ে থাকো, ওরা তো বাবাকে জানেই না। আত্মাই পরমাত্মা অথবা ব্রহ্মই পরমাত্মা – এমনটাই বলে থাকে। অনেক মত-মতান্তর আছে। এখানে তোমাদের সবারই এক অদ্বৈত মত। এখানে তোমরা বাবার কাছ থেকে মানুষ থেকে দেবতা হওয়ার শ্রীমত পেয়ে থাকো। পূর্বের মতোই মানুষ থেকে দেবতা তৈরি করতে দেরি হয়না। বাবা পূতিগন্ধময় মানুষদের এসে পবিত্র করে তোলেন। তাঁর মহিমা তো আছে না ! শাস্ত্র তো অনেক শুনেছে, পড়ে আসছে কিন্তু ওতে কোনো ফল পাওয়া যায় না। এখন বাবা এসেছেন সুতরাং প্রকৃতপক্ষেই ওঁনার আশিক হতে হবে। বুদ্ধিযোগ অন্য কোথাও যেন দৌড়ে না বেড়ায়। গৃহস্থ পরিবারে থাকো কিন্তু কমল ফুলের মতো পবিত্র থাকো। ভক্তি মার্গে তো কেউ হনুমানকে, কেউ গনেশকে আঁকড়ে ধরে চলে। কিন্তু ওরা তো কেউ ভগবান নয়। যদিও শিববাবার নাম স্মরণে আছে, কিন্তু কিছুই বোঝেনা। পরমাত্মাকে পাথর, নুড়ির মধ্যে ঠেলে দিয়েছে। সবকিছুই জট পাকিয়ে গেছে, বাবা ছাড়া কেউ এই জট খুলতে পারবে না। কারো ভগবান প্রাপ্তি হয়না। স্বয়ং ভগবান বলেন ভক্তি সম্পূর্ণ হলে তবেই আমি আসি। অর্ধকল্প ধরে ভক্তি মার্গ চলে, দিন আর রাত। শুরুতে যখন প্রবেশ (ব্রহ্মা তনে) হয় তখন দেওয়ালের মধ্যে নানান সব চক্র আঁকতেন, ঠিক যেমন ছোট বাচ্চারা করে। কিছুই বোধগম্য হতো না। আমি এবং তোমরা সবাই বেবি’স ছিলাম, তারপর ধীরে-ধীরে বুদ্ধিতে এসেছে। এখন তোমরা ঈশ্বরীয় পড়াশোনা করে বিচক্ষণ হয়ে গেছ সুতরাং খুব সহজ রীতিতেই বোঝাতে পার। এমন মনে করবে না যে এই বাচ্চা অনেক পুরানো, সেইজন্যই আমার থেকেও হুশিয়ার। আমি তো এতো পড়াশোনা করতে পারব না। বাবা বলেন ‐- শেষে যারা আসবে তারাও এগিয়ে যেতে পারে। দেরিতে আসবে যারা তারা আরও বেশি করে দিন-রাত উৎসাহের সাথে যোগযুক্ত হবে। প্রতিদিনই খুব ভালো-ভালো পয়েন্টস পাওয়া যায়। পরমপিতা পরমাত্মা স্বর্গের রচয়িতা সুতরাং তাঁর কাছ থেকে উত্তরাধিকার পাওয়া উচিত তাইনা। সত্যযুগে ছিল। এখন নেই, তবেই তো বাবা আবার এসেছেন বর্সা দিতে। কত রকম ভাবে উপায় বের করা হয় যাতে বাচ্চারা কিছু সময়ের জন্য এসে যোগে বসে। কেউ বলে আমার সময় নেই। বাবার স্মরণেই তোমরা সবসময়ের জন্য নিরোগী হতে পারবে। সুতরাং ঐ কাজে লেগে পড়া উচিত। এতে স্থূল রূপে কিছুই করতে হবে না। লৌকিক বাবাকে তো মনে থাকে, পারলৌকিক বাবাকে কেন ভুলে যাও। বাবা বলেন তোমরা ভারতবাসীদের ৫ হাজার বছর আগেও বর্সা দিয়েছিলাম তাইনা। তোমরা বিশ্বের মালিক ছিলে – এটা কি ভুলে গেছ ? তোমরাই সূর্যবংশীয় ছিলে, তারপর চন্দ্রবংশীয়, বৈশ্যবংশীয় হলে। এখন আবার তোমাদের ব্রাহ্মণ বংশীয় করতে এসেছি। ব্রাহ্মণ হলে তবেই তো যজ্ঞের রক্ষণাবক্ষেণ করতে পারবে। ব্রাহ্মণ কখনও বিকারগ্রস্ত হতে পারে না। শেষ পর্যন্ত পবিত্র থাকতে হবে তবেই নতুন দুনিয়ার মালিক হতে পারবে। কত বড় এই প্রাপ্তি। তাও তোমরা বাবাকে স্মরণ কর না। বাচ্চা হয়ে বাবাকে স্মরণ করবেনা এ তো হতেই পারে না। বাবাকে ভুলে গেলে উত্তরাধিকার কিভাবে পাবে ? এটা তো আমদানি তাইনা। সাধু-সন্তদের কাছে প্রাপ্তি তো কিছুই হয়না। শুধুমাত্র পবিত্রতার শক্তি আছে, ঈশ্বরীয় শক্তি ওদের নেই। ঈশ্বরকে জানেই না সুতরাং শক্তি কোথা থেকে পাবে ? শক্তি তোমরা পেয়েছ। বাবা স্বয়ং বলছেন আমি তোমাদের স্বর্গের মালিক বানাতে এসেছি। তোমরা অল্প সময়ের জন্য পবিত্র থাকতে পারছ না? ক্রোধ হল দ্বিতীয় নম্বরের ভূত। সবচেয়ে বড় ভূত হচ্ছে কাম বাসনা। সত্যযুগে ভারত নির্বিকারী ছিল, কত সুখি ছিল। এখন বিকারগ্রস্ত হয়ে ভারতের অবস্থা দেখ কি হয়েছে। বাবা পুনরায় ভারতকে নির্বিকারী করার জন্য এসেছেন, এমন বাবাকে স্মরণ করতে তোমরা ভুলে যাও ? মায়া চট করে তোমাদের বিকর্ম করিয়ে দেয়। অনেক উচ্চ লক্ষ্য। তোমরা এমন বাবার শ্রীমতে চলতে পার না! এমন বাবার প্রতি তোমাদের ভালবাসা নেই ! বলে থাকো ভুলে যাই, আচ্ছা এক ঘন্টা, আধা ঘন্টা….কম করে এটুকু চেষ্টা তো কর যাতে অন্তিম সময় শুধু বাবাই স্মরণে থাকে। এটা শেষ সময় তাইনা। শেষ মুহূর্তে যারা নারায়ণকে স্মরণ করে …আমি নারায়ণ হতে চলেছি। তোমরাও তাই হচ্ছো। বাবা বলেন সম্পূর্ণ আশিক হয়ে যাও। বাবা তো দাতা। বাবাকে নিজের করলে বাবাও পরামর্শ বা মত দেবেন। সৎ সন্তান, (এখানে অবাধ্যদের কথা বলা হয়েছে) বাবা মত দেবেন না। বাবা তো দাতা। তোমাদের কাছ থেকে তিনি কিছু নেন ? তোমরা যা কিছু করছ নিজের জন্য করছ। আমি তো বিশ্বের মালিক হইনা। এমনটা কখনোই ভাববে না যে আমরা শিববাবাকে দান দিই। না, শিববাবার থেকে আমরা বর্সা নিই। মৃত্যুর সময় দান করে না! ব্রাহ্মণ পুরোহিতকে সবকিছু দিয়ে থাকে। তোমাদের কাছে কি আছে ? তোমরা পরমাত্মাকে নুড়ি, পাথর দান কর। তোমাদের এ’সব কিছুই শেষ হয়ে যাবে। তোমরা মৃত্যুকে ভয় পাওনা তো ! বাবা বলেন এই ছিঃছিঃ দুনিয়াতে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো। ৫ হাজার বছর আগেও মশার ঝাঁকের মতো সবাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি তোমাদের কালেরও কাল পিতা। তোমাদের অর্ধকল্পের জন্য খাঁচা থেকে মুক্ত করে থাকি। ওখানে আত্মারা স্বতন্ত্র রূপে থাকে। যখন শরীর পুরানো হয়ে যায় তখনই শরীর ত্যাগ করে নতুন শরীর ধারণ করে। এখনও যদি মনে কর বাবার কাছে যাব তবে ভোরবেলায় উঠে বাবার সাথে কথা বল। বাবা তুমি তো অবাক করে দিয়েছ, স্বপ্নেও ছিল না যে তুমি এসে আমাদের স্বর্গের মালিক করে তুলবে। আমরা তো সম্পূর্ণ রূপে অন্ধকারে ছিলাম। বাবা সব তোমার চমৎকার । তোমার শিক্ষা অনুযায়ী নিশ্চয়ই চলব। কোনো পাপ কর্ম করব না। কামবাসনার ভূতকে প্রথমে তাড়াব। পবিত্রতার প্রতিজ্ঞা করো। বাবা, মিষ্টি বাবা, আমরা তোমাকে সাহায্য করার জন্য হাজির…. এমনই সব বার্তালাপ করতে হবে। যেমন বাবা পুরুষার্থ করেন, বাচ্চাদের শোনান। বাবা আমরা অশরীরী এসেছিলাম, এখন মনে পড়েছে…এই পুরানো দুনিয়াকে ভুলে যাওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে। শিববাবার এতো অসংখ্য বাচ্চা। ভাববেন তো তাইনা। ব্রহ্মাও ভাববেন। কত অসংখ্য বাচ্চা, তাদের খুব ভালোভাবে দেখাশোনা করতে হয়, যাতে বাচ্চারা আরামে থাকে। এখানে তোমরা ঈশ্বরের ঘরে আছ তাইনা। এখানে কোনো খারাপ সঙ্গ নেই। বাবা তোমাদের সামনে বসে আছেন। তোমার সাথে খাই, তোমার সাথে বসি। তোমরা জানো শিববাবা ব্রহ্মার শরীরে প্রবেশ করে বাচ্চারা-বাচ্চারা বলতে থাকেন। তিনি বলেন আমার প্রিয় বাচ্চারা তোমরা প্রতিজ্ঞা করো যে কখনোই বিকারে যাবে না। পবিত্রতার দ্বারা আমাকে সাহায্য করলে আমি ভারতকে পবিত্র করে তুলব। বাচ্চারা সাহস রাখলে বাবা সহায়তা করবেন (হিম্মতে বচ্চে মদদে বাপ) ….এ’কথা স্মরণে আসে না। কল্পে-কল্পে আমি এসে এই কর্তব্যই করি, ভারতকে স্বর্গ করে তুলি। যে পরিশ্রম করবে সে-ই স্বর্গের মালিক হবে। কংগ্রেসিরা বাপুকে কত সাহায্য করেছে। এখন দেখ রাজ্য পেয়েছে …কিন্তু রাম রাজ্য তো হয়নি। প্রতিদিন আরও তমোপ্রধান হয়ে যাচ্ছে। বাবা এসে সুখধামের মালিক বানাচ্ছেন। অর্ধকল্প তোমরা সুখে থাকো। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) প্রকৃতপক্ষে সত্যিকারের আশিক হতে হবে। বুদ্ধিযোগ এক প্রিয়তমের (মাশুকের) সাথেই জুড়তে হবে। বুদ্ধি যেন এদিক-ওদিক না ছুটে বেড়ায় এর প্রতি অ্যাটেনশন দিতে হবে।

২ ) প্রাপ্তিকে সামনে রেখে নিরন্তর বাবাকে স্মরণ করতে হবে। অবশ্যই পবিত্র হতে হবে। ভারতকে স্বর্গ করে তোলার জন্য কাজ করতে হবে।

বরদানঃ-

যে মহাবীর হবে সে কখনোই বাহানা দেখিয়ে বলবে না যে সারকামটেন্স (পরিস্থিতি)এমনই ছিল, সমস্যা এমনই ছিল সেইজন্যই হেরে গেছি। সমস্যার কাজ হচ্ছে আসা আর মহাবীরের কাজ হচ্ছে সমস্যার সমাধান করা নাকি হেরে যাওয়া। মহাবীর সে-ই যে সবসময় নির্ভয় হয়ে বিজয়ী হয়, ছোট-ছোট ব্যাপারে দুর্বল হয়ে পড়ে না। মহাবীর বিজয়ী আত্মারা প্রতি পদক্ষেপে শরীরে, মনে খুশি অনুভব করে কখনোই উদাস হয়ে পড়ে না, তাদের কাছে দুঃখের ঢেউ স্বপ্নেও আসতে পারে না।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top