18 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 17, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা, ভোরবেলা উঠে খুব প্রেমের সঙ্গে বাবাকে স্মরণ করো, বাবাকে স্মরণ করলে বাবাও ভালোবাসবেন, তোমাদেরও আকর্ষণ আসবে ।

গান:-

তোমাকে পেয়ে মোরা সারা জগৎ পেয়ে গেছি..

ওম্ শান্তি । মিষ্টি – মিষ্টি বাচ্চাদের বাবা বার বার বোঝান – হে বাচ্চারা, তোমরা নিজেকে আত্মা মনে করো, এই শরীর আমার নয়, এও শেষ হয়ে যাবে, আমাদের বাবার কাছে যেতে হবে । জ্ঞানের এমন ফুর্তিতে থাকলে তোমাদের মধ্যে অনেক আকর্ষণ আসবে । তোমরা তো একথা জানো যে, এই পুরানো বস্ত্র ত্যাগ করতে হবে । এখানে তোমরা থাকবে না, তাই এই দেহের প্রতি মমত্ব যেন দূর হয়ে যায় । এই দেহে কেবল সেবার কারণেই আছো, এর প্রতি কোনো মমত্ব নেই । ব্যস্, এবার ঘরে ফিরে যেতে হবে । এই সঙ্গমের সময়ও পুরুষার্থের জন্য খুবই আবশ্যক । এখনই তোমরা বুঝতে পারো যে, আমরা ৮৪ র চক্র পরিক্রমা করেছি । বাবা বলেন, তোমরা কাজ – কারবার করো, কিন্তু গৃহস্থ জীবনে থেকেও বুদ্ধিতে এই কথা যেন স্মরণে থাকে যে, এই সবকিছুই তো শেষ হয়ে যাবে, এখন আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে । বাবাও তো সর্বদা ঘরেই থাকেন, তাই না । যদিও তোমরা ৮ ঘণ্টা কাজ – কারবারে লাগাও, ৮ ঘণ্টা আরাম করো, বাকি সময় অসীম জগতের বাবার সঙ্গে এই বার্তালাপ করো, আন্তরিক কথোপকথন (রুহরিহান) করো ।

বাবার শ্রীমৎ হলো — মিষ্টি বাচ্চারা, নিরন্তর স্মরণের যাত্রায় থাকো, যত স্মরণের যাত্রায় থাকবে, প্রকৃতি তোমাদের দাসী হবে । সন্ন্যাসীরা কখনো এ’সব মানতে চাইবে না । তারা তো যোগী, তাই না ! তাদের এই নিশ্চয় থাকে যে, আমাদের ব্রহ্মতে লীন হতে হবে । তারা খুব দৃঢ় থাকে, ব্যস্ তারা জানে যে, আমরা এই শরীর ত্যাগ করে চলে যাবো । তারা খুব পরিশ্রম করে । ভক্তিমার্গে কোনো ভক্ত দেবতার সঙ্গে মিলিত হওয়ার জন্য নিজে জীবঘাত পর্যন্ত করে । আত্মঘাত তো বলা হবে না, সে তো হয় না । জীবঘাত হয় । বাচ্চারা, তোমরা যোগে থাকো তাই তোমরা যেন অমর । তোমাদের কখনোই কোনো খেয়াল আসবে না যে, কিছু করে ফেলি, কিন্তু সেই অবস্থা যেন দৃঢ় থাকে । প্রথমে তো নিজের অন্তর মনে দেখতে হবে যে, আমাদের ভিতর কোনো কমতি বা দুর্বলতা নেই তো ? কমতি না থাকলে সেবাও ভালো করতে পারবে । ফাদার শো’জ সন, সন শো’জ ফাদার । বাবা তোমাদের উপযুক্ত করেছেন, আর বাচ্চারা, তোমাদের নতুনদের বাবার পরিচয় প্রদান করতে হবে । বাবা বাচ্চাদের হুঁশিয়ার করেই দিয়েছেন । বাবা জানেন যে, অনেক ভালো ভালো বাচ্চা আছে যারা সেবা করে আসে । তাদের রাতদিন এই খেয়াল চলতে থাকে যে, আমি এর জীবন কীভাবে তৈরী করবো, এতে আমাদের জীবনেও উন্নতি হবে । এতে খুশীও হয়, প্রত্যেকেরই এই উৎসাহ থাকে যে, আমরা আমাদের গ্রামবাসীদের উদ্ধার করবো । আমাদের আত্মা ভাইদের সেবা করবো । বাবাও বলেন, চ্যারিটি বিগিনস অ্যাট হোম । বাবা বসে বাচ্চাদেরই শিক্ষা দেন যে, বাচ্চারা প্রথমে তোমাদের নিজেদের উন্নতি করতে হবে ।

বাবা জানেন যে, এ হল রুহানী কল্পবৃক্ষ, পূর্ব কল্পের মতোই । এ তো বৃক্ষ, তাই এতে সমস্ত (ধর্মের) সেকশন (বিভাগ) আছে । তোমরা ভবিষ্যতে সমস্ত সাক্ষাৎকার করবে, সবাই কীভাবে থাকে, প্রত্যেকের আলাদা আলাদা সরণী (সিজরা) অবশ্যই আছে, তাই না । বুদ্ধিও বলে যে, ওখান থেকে আত্মারা নম্বরের ক্রমানুসারে এখানে আসে । বাচ্চাদের তাই বিচার সাগর চলতে থাকা উচিত যে, এইভাবে আমরা সেবা করবো, এই করবো, ওই করবো, এর সাথে সাথে বাবার স্মরণও থাকা উচিত, এই স্মরণেই উন্নতি হয় । বাবা বলবেন, ড্রামা প্ল্যান অনুসারে যা অতীত হয়েছে, সে সবই ঠিক ।

প্রিয় বাচ্চারা, ভবিষ্যতে তোমাদের মধ্যে যোগবলের শক্তি এসে যাবে । তখন তোমরা কাউকে অল্প কিছু বোঝালেই তারা চট করে বুঝে যাবে । এও তো জ্ঞান বাণ, তাই না । বাণ লাগলে তো ঘায়েল করে দেয় । প্রথমে ঘায়েল হয়, তারপর বাবার হয়ে যায় । তাই তোমাদের একান্তে বসে যুক্তি বের করা উচিত । এমন নয় যে, রাতে ঘুমিয়ে পড়লে আর ভোরবেলা উঠে পড়লে, তা নয় । ভোরবেলা উঠে বাবাকে খুব প্রেমের সঙ্গে স্মরণ করা উচিত । রাতেও বাবার স্মরণে ঘুমানো উচিত । বাবাকে স্মরণ না করলে বাবা তখন কীভাবে ভালোবাসবেন । আকর্ষণই হবে না । যদিও বাবা জানেন যে, ড্রামাতে সব প্রকারেরই নম্বরের ক্রমানুসারে তৈরী হবে, তবুও চুপ করে তো আর বসে থাকা যায় না । পুরুষার্থ তো করতেই হবে, তাই না । বাচ্চাদের ড্রামা বলে থেমে গেলে চলবে না, নাহলে অন্তিম সময়ে অনেক অনুতাপ করতে হবে, আমরা এমন কেন করলাম ! মায়ার বশীভূত হয়ে গেলাম । বাবার তো দয়া অনুভব হয় । শুধরে না গেলে তাদের কি গতি হবে, কাঁদবে, মার খাবে, সাজা ভোগ করবে, তাই বাবা বাচ্চাদের বার বার শিক্ষা দেন যে, বাচ্চারা তোমাদের পারফেক্ট হতে হবে । বার বার নিজের চেকিং করতে হবে । প্রত্যেক বাচ্চাদের নিজেদের জিজ্ঞেস করতে হবে যে, বাবার থেকে আমরা সবকিছুই পেয়েছি, তাও আমার মধ্যে কি কমতি আছে ? নিজের অন্তর মনে উঁকি মেরে দেখতে হবে । নারদকে যেমন জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো যে, নিজেকে লক্ষ্মীকে বরণের উপযুক্ত মনে করো কি ? বাবাও তোমাদের জিজ্ঞেস করেন, তোমরা লক্ষ্মীকে বরণের উপযুক্ত হয়েছো কি ? তোমাদের কি কি দুর্বলতা থেকে গেছে, যা দূর করার জন্য পুরুষার্থ করতে হবে । নতুন নতুন বাচ্চাদেরও বোঝানো হয় যে – বলো, তোমাদের মধ্যে কোনো দুর্বলতা নেই তো ? কেননা তোমাদের এখনই পারফেক্ট হতে হবে, বাবা আসেনই তোমাদের পারফেক্ট করতে । তাই নিজের অন্তর মনকে প্রশ্ন করো, আমরা লক্ষ্মী – নারায়ণের মতো পারফেক্ট হয়েছি কি ? যদি কোনো কমতি থাকে তাহলে বাবাকে বলে দেওয়া উচিত যে, এই এই দুর্বলতা আমাদের থেকে দূর হচ্ছে না, এর কোনো উপায় বলে দাও । রোগ তো সার্জেন দ্বারাই দূর করা হয় । তাই সত্যতার সঙ্গে, স্বচ্ছতার সঙ্গে দেখো, আমার মধ্যে কি কি দুর্বলতা আছে ! এই দুর্বলতা বলে দিলে বাবা রায় দেবেন । অনেকের মধ্যেই দুর্বলতা আছে । কারোর মধ্যে ক্রোধ থাকলে, লোভ থাকলে বা অপ্রয়োজনীয় চিন্তন থাকলে তার জ্ঞানের ধারণা হতে পারবে না । বাবা রোজ রোজ বোঝান, যদিও এতো বোঝানোর দরকার নেই, কারণ এ হলো ধারণ করার বিষয়। পাঁচ বিকার জয় করার কথা এখনই । তোমাদের মধ্যে কোনো ভূত অর্থাৎ বিভ্রান্ত বুদ্ধি নেই, এই জন্ম – জন্মান্তরের ভূত অর্থাৎ পাঁচ বিকার অন্দরে রয়ে গিয়েছে, যা তোমাদের দুঃখী করেছে । কাম ভূতের জন্য তো রোজ বোঝানো হয় । এই চোখ অনেক ধোঁকা দেয়, তাই আত্মাকে দেখার অভ্যাস খুব ভালোভাবে করা উচিত । আমি আত্মা, আর এও আত্মা । তোমরা আত্মারা তো ভাই – ভাই, তাই না । তাই এই শরীরকে দেখবে না । আমরা আত্মারা সবাই ঘরে ফিরে যাবো । বাবা এসেছেন আমাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য, বাকি এটা দেখতে হবে যে, আমরা সর্বগুণ সম্পন্ন হয়েছি কি ? কোন্ গুণ কম আছে ? আত্মাকে দেখে বলে দেওয়া যায় যে, এই আত্মার মধ্যে এই গুণ কম আছে, তখন বসে কারেন্ট দেওয়া উচিত যাতে তার মধ্যে থেকে সেই অসুখ দূর হয়ে যায় । বাচ্চাদের বাবার সঙ্গে খুব মিষ্টি – মিষ্টি কথা বলা উচিত – বাবা আপনি এমন ! বাবা আপনি কতো মিষ্টি । তাই বাবার স্মরণে, বাবার মহিমা করলে এই ভূত দূর হতে থাকবে আর তোমাদের খুশীও থাকবে ।

তোমরা জানো যে, এই বৃক্ষের ঝাড় ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পায় । মায়া তো চারিদিক থেকে ঘিরে ফেলে, মায়ার ছায়া এমন পড়ে যে একদম হারিয়ে যায় । বাবার হাত ছেড়ে দেয় । তোমাদের প্রত্যেক বাচ্চার কানেকশন বাবার সঙ্গে, বাকি বাচ্চারা তো সবাই নম্বরের ক্রমানুসারে নিমিত্ত হয় । আচ্ছা ।

অতি মিষ্টি, অতি আদরের সর্ব হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার প্রাণ – মন – হৃদয় থেকে প্রেমের সঙ্গে স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

অব্যক্ত মহাবাক্য — অন্তিম সেবার অন্তিম স্বরূপ

নিজের অন্তিম স্বরূপের সাক্ষাৎকার হতে থাকে কি ? কেননা যত নিকটে আসতে থাকবে, ততই এমন অনুভব হবে, যেমন সামনেই কোনো বস্তুকে দেখতে পাওয়া যায় । এমনই অনুভব হবে যে, এখনই এমন হবো । যেমন বৃদ্ধ অবস্থায় যারা থাকে, তাদের এই স্মৃতি থাকে যে, এখন আমি বৃদ্ধ, আবার এখনই গিয়ে বাচ্চা হবো । তেমনই নিজের অন্তিম স্বরূপের স্মৃতি নয়, কিন্তু সম্মুখে যেন স্পষ্ট রূপে সাক্ষাৎকার হয়, এখন এমন, এরপর অমন হবো । শুরুতে যেমন শোনাতেন যে, যখন লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে তখন এমন অনুভব করবে যে, কদম রাখার দেরী আছে । এক পা রেখেছো, কেবল দ্বিতীয় রাখার দেরী । ব্যস্, এতটাই অন্তর । তাই নিজের অন্তিম স্টেজের নৈকট্যের অনুভব হয় কি ? অপরোক্ষ স্পষ্টই সাক্ষাৎকার হয় ? আয়নাতে যেমন নিজের রূপ স্পষ্ট দেখা যায়, তেমনই যেন এই নলেজের দর্পণে এমনই নিজের অন্তিম স্বরূপ স্পষ্ট দেখা যায় । যেমন কোনো সুন্দর বস্ত্র সামনে রাখা আছে, আর মনে হবে যে আমাকে এই বস্ত্র এখনই ধারণ করতে হবে, তাই না চাইতেও ধারণ করার সময় যত নিকটে আসবে, ততই মনোযোগ আসবে কেননা সামনে দেখা যাচ্ছে । এমনভাবেই নিজের অন্তিম স্বরূপ সামনে দেখতে পাচ্ছ কি ? ওই স্বরূপের প্রতি মনোযোগ যায় ? তা লাইটের স্বরূপই বলো বা বস্ত্রই বলো, লাইটই লাইট দেখা যাবে । ফরিস্তার স্বরূপ কি হয় ? লাইট । যে দেখবে সেও এমন অনুভব করবে যে, এ হলো লাইটের বস্ত্রধারী, লাইটই এর মুকুট, লাইটই বস্ত্র, লাইটই এর শৃঙ্গার । যেখানেই দেখবে লাইটই দেখবে । ললাটের উপর দেখবে তো সেখানে লাইটের মুকুট দেখতে পাবে । নয়নেও লাইটের কিরণ নির্গত হচ্ছে দেখা যাবে । তাই এমন রূপ সামনে দেখা যায় ? কেননা মাইট রূপ অর্থাৎ শক্তি রূপের যে পার্ট চলে, তা কিভাবে প্রসিদ্ধ হবে ? লাইট রূপে । কেউ সামনে এলে এক সেকেণ্ডে অশরীরী হয়ে যাওয়া, তা লাইট রূপেই হবে । চলতে – ফিরতে এমন লাইট হাউস হয়ে যাবে যে, কেউই এই শরীর দেখতে পাবে না । বিনাশের সময় পরীক্ষার পেপারে যদি পাস হতে হয় তাহলে সর্ব পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার জন্য লাইট হাউস হতে হবে । চলতে – ফিরতে নিজের সেই রূপ অনুভব হওয়া চাই । তোমাদের এই অভ্যাস করতে হবে । নিজের শরীরকে সম্পূর্ণ ভুলে যাও, যদি কোনো কাজও করতে হয়, চলাফেরা করতে হয়, কথা বলতে হয়, তাও নিমিত্ত আকারী লাইটের রূপ ধারণ করতে হবে । অভিনয় করার সময় যেমন বস্ত্র ধারণ করো, কার্য সমাপ্ত হলে সেই বস্ত্র ত্যাগ করো । এক সেকেণ্ডে ধারণ করবে, এক সেকেণ্ডেই পৃথক হয়ে যাবে । এই অভ্যাস যখন দৃঢ় হয়ে যাবে, তখনই এই কর্মভোগ সমাপ্ত হবে । ইঞ্জেকশন লাগিয়ে যেমন ব্যাথা দূর করা হয় । হঠযোগীরা তো শরীর থেকে পৃথক হওয়ার অভ্যাস করায় । কিন্তু তোমরা এমনভাবেই এই স্মৃতি স্বরূপের ইনজেকশন লাগিয়ে দেহের স্মৃতি থেকে হারিয়ে যাও । স্বয়ং নিজেকে লাইট রূপ অনুভব করো তাহলে অন্যরাও তোমাদের এমনই অনুভব করবে । অন্তিম সেবা হল এটাই, এতে সমস্ত কাজও লাইট অর্থাৎ হাল্কা হয়ে যাবে । এমন কথিত আছে তো যে, পাহাড়ও সর্ষে তুল্য হয়ে যায় । এমনভাবে লাইট রূপ হলে যে কোনো কাজই হাল্কা হয়ে যাবে, তখন বুদ্ধি লাগানোর আবশ্যকতা থাকবে না । হাল্কা কাজে বুদ্ধি লাগাতে হয় না । তাই এই লাইট স্বরূপের স্থিতি, যা মাস্টার জানি জাননহার বা মাস্টার ত্রিকালদর্শীর লক্ষণ, তা এসে যায় । করবো, কি করবো না, এও চিন্তা করতে হবে না । বুদ্ধিতে সেই সঙ্কল্পই উৎপন্ন হবে, যা যথার্থ করতে হবে । ওই অবস্থার মাঝে কোনো কর্মভোগের ভোগান্তি থাকবে না । ইঞ্জেকশনের নেশাতে যেমন মানুষ কথা বলে, দুলতে থাকে, সবকিছু করেও স্মৃতি থাকে না । আমি করছি, এমন স্মৃতিও থাকে না, স্বতঃতই ই হতে থাকে । তেমনই কর্মভোগ আর কর্ম যে কোনো প্রকারের চলতে থাকবে কিন্তু তোমাদের স্মৃতি থাকবে না । তা নিজের প্রতি আকৃষ্ট করবে না । এমন স্টেজকেই অন্তিম স্টেজ বলা হয় । তোমাদের এমন অভ্যাস করতে হবে । এই স্টেজ কতখানি নিকটে ? সম্পূর্ণ সম্মুখে পৌঁছে গেছে কি ? যখন চাইবে তখন লাইট রূপ হয়ে যাবে, যখন চাইবে তখনই শরীরে এসে যাবে অথবা যা কিছু করতে হয় তাই করবে । এই স্থিতি সদাকালের জন্য যতক্ষণ পর্যন্ত থাকতে পারো থাকো, মাঝে মাঝে কিছু সময় তো থাকতে পারলে । এরপর এমন থাকতে থাকতে সদাকালের জন্য হয়ে যাবে । সাকারে যেমন আকারের অনুভব করতে, তাই না । ব্রহ্মা বাবার মধ্যে তোমরা ফরিস্তা স্বরূপের অনুভব করতে । এমন স্টেজ তো আসতেই হবে, তাই না । শুরুতে অনেকেরই এমন সাক্ষাৎকার হতো । লাইট আর লাইটই দেখা যেতো । নিজের লাইটের ক্রাউনেরও অনেকবার সাক্ষাৎকার করতে । আদিতে যা স্যাম্পল ছিলো, তাই অন্তে প্রত্যক্ষ স্বরূপ হবে । সঙ্কল্পের সিদ্ধির সাক্ষাৎকার হবে । বাণীর দ্বারা তোমরা যেমন নির্দেশ দাও, তেমনই সঙ্কল্পের দ্বারা সমস্ত কাজ চালাতে পারো । সায়েন্সের শক্তিতে নীচে পৃথিবী থেকে উপর পর্যন্ত ডায়রেকশন নিতে পারো, তাহলে শ্রেষ্ঠ সঙ্কল্পের দ্বারা কাজ চলতে পারে না কি ? সায়েন্স তো সায়লেন্স থেকেই কপি করেছে । এক্জাম্পল হিসাবে প্রথম থেকেই তোমাদের সামনে রয়েছেন (ব্রহ্মা বাবা) । পূর্ব কল্পেও তোমরা করেছিলে, তাই না ? এরপর বলার তো কোনো আবশ্যকতা নেই । বাণীর দ্বারা বলে যেমন কথাকে স্পষ্ট করা হয়, তেমনই যেন সঙ্কল্পের দ্বারা সমস্ত কারবার চলে । তোমরা যত অনুভব করতে থাকো, একে অপরের নিকটে আসতে থাকো, তখন সঙ্কল্পও একে অপরের সঙ্গে মিলতে থাকে । লাইট রূপ হওয়ার কারণে ব্যর্থ সঙ্কল্প, ব্যর্থ সময় সমাপ্ত হওয়ার পরে সেই সঙ্কল্পই উৎপন্ন হবে যা হতে হবে । তোমাদের বুদ্ধিতেও সেই সঙ্কল্পই উৎপন্ন হবে, আর যে করবে তার বুদ্ধিতেও সেই একই সঙ্কল্প উৎপন্ন হবে যে, এটা করতে হবে । নতুনত্ব তো এটাই, তাই না । এই কাজ যদি কেউ দেখে তাহলে বুঝতে পারবে যে, এদের কাজ বলার দ্বারা নয়, ইশারার দ্বারা চলে । দৃষ্টির দ্বারা দেখলো আর বুঝে গেলো । সূক্ষ্মবতন এখানেই তৈরী হবে । আচ্ছা – ওম্ শান্তি ।

বরদানঃ-

যে বাচ্চারা বাবার স্নেহী, তারা সদা ব্রহ্মা বাবার ভুজ’তে বিলীন হয়ে থাকে । ব্রহ্মা বাবার এই ভুজই বাচ্চারা তোমাদের সেফ্টির সাধন । যারা প্রিয় আর স্নেহী হয়, তারা সদা এই ভুজতে বিলীন হয়ে থাকে । তাই সেবাতে বাপদাদার ভুজ হওয়া অর্থাৎ বাবার ভুজ’তে থাকা । এই দুই দৃশ্যের অনুভব করো — কখনো ভুজ’তে সমায়িত হয়ে যাও, কখনো স্বয়ং ভুজ হয়ে সেবা করো । তোমাদের যেন এই নেশা থাকে যে, আমরা ভগবানের রাইট হ্যান্ড ।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –

বাচ্চাদের প্রতি বাবার এতটাই ভালোবাসা আছে যে, অমৃতবেলা থেকেই তিনি বাচ্চাদের পালনা করেন । দিনের আরম্ভই কতো শ্রেষ্ঠ হয় । স্বয়ং ভগবান মিলিত হওয়ার জন্য ডাকেন, আত্মিক বার্তালাপ করেন, শক্তিতে ভরপুর করেন । বাবার প্রেমের গীত তোমাদের জাগিয়ে তোলে । তিনি কতো স্নেহের সঙ্গে ডাকেন, তোমাদের ওঠান – মিষ্টি বাচ্চারা, প্রিয় বাচ্চারা, এসো… । তাই এই প্রেমের পালনার প্রত্যক্ষ স্বরূপ ‘সহজ যোগী জীবনের’ অনুভব করো ।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top