17 May 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

May 16, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - অর্ধেক কল্প তোমরা দেহের যাত্রা করেছো, এখন আত্মিক যাত্রা করো, ঘরে বসে বাবার স্মরণে থাকা, এ হলো আশ্চর্যজনক যাত্রা"

প্রশ্নঃ --

বাবা বাচ্চাদের কোন্ একটি বিষয়ে খুবই আশ্চর্য হন ?

উত্তরঃ -:-

যেই সম্পদের জন্য বাচ্চারা অর্ধেক কল্প ধাক্কা খেয়েছে, ডাকতে থেকেছে, সেই সম্পদ প্রদানকারী যখন এসেছেন, তখন তাঁর হয়েও তালাক দিয়ে দেয়, বাবা তখন আশ্চর্য হন, বাচ্চারা চলতে – চলতে উচ্চে যাওয়ার পরিবর্তে সম্পূর্ণ নীচে পড়ে যায়, এও কেমন আশ্চর্যের ।

প্রশ্নঃ --

কোন্ বাচ্চারা বাবার কাছে খুব ভালো দক্ষিণা পায় ?

উত্তরঃ -:-

যে বাচ্চারা বাবার রচিত এই রুদ্র যজ্ঞের খুব ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করে, আর সদা শ্রীমতে চলে, তারা বাবার কাছে খুব ভালো দক্ষিণা পায় ।

গান:-

আমাদের তীর্থ হল অনুপম.

ওম্ শান্তি । আধ্যাত্মিক যাত্রীরা এই গীত শুনেছে । তোমরা বাচ্চারা হলে আত্মা রূপী যাত্রী । ওরা, যারা তীর্থযাত্রা করে, তাদের বলা হয় দেহের যাত্রী । ওই দেহের যাত্রাও অর্ধেক কল্প ধরে চলে । জন্মের পর জন্ম তোমরা এই যাত্রাই করে এসেছো । ওরা দেহের যাত্রা করে তারপর আবার ঘরে ফিরে আসে । তোমাদের এ হলো আধ্যাত্মিক বা আত্মিক যাত্রা । ওরা হলো দেহের পাণ্ডা । তোমরা হলে আত্মা রূপী পাণ্ডা । তোমাদের মতো পাণ্ডাদের মালিক কে ? নিরাকার পরমপিতা পরমাত্মা । তাঁকে বলা হয় পাণ্ডব সেনার আদি পিতা । তোমরা জানো যে, আমরা দেহ বোধে ছিলাম, এখন বাবা এসে আমাদের অর্থাৎ আত্মাদের আবার ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য দেহী – অভিমানী তৈরী করছেন । তোমরা এখন আত্মিক যাত্রায় রয়েছো, এখানে কোনো কর্মেন্দ্রিয়ের কথা থাকে না । তীর্থ যাত্রাতে মানুষ সর্বদা পবিত্র থাকে তারপর ফিরে এসে বিকারী হয়ে যায় । এই তীর্থ যাত্রায় গৃহস্থরাই যায় । নিবৃত্তি মার্গ বাস্তবে হলো গৃহস্থ ধর্ম থেকে পৃথক । তীর্থ যাত্রাতে যে পাণ্ডা নিয়ে যায় তারা সবসময় ব্রাহ্মণই হয় । গীতও আছে – চার ধাম প্রদক্ষিণ করলাম, তবুও বাবার থেকে দূরে রইলাম । বাবা এখন তোমাদের যাত্রাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য পবিত্র বানান । তিনি মুক্তিধাম, জীবনমুক্তিধামে নিয়ে যাবেন, তারপর এই পতিত দুনিয়াতে আসতেই হবে না । ওরা তো দেহের তীর্থ যাত্রা করে আবার ফিরে আসে, এসে মন্দ কাজ করে । তীর্থ যাত্রাতে ক্রোধ করাও মানা করা হয় । বিশেষ করে সেই সময়ে মানুষ পতিত হয় না । চার ধামের যাত্রা করতে তিন – চার মাস লেগে যায় । তোমরা আত্মারা এখন জানো যে, আমরা ফিরে যাচ্ছি । বাবার নির্দেশ হলো, যতটা সম্ভব আমার স্মরণে থাকো । এ হলো মুক্তিধামের যাত্রা । তোমরা ওখানে ফিরে যাচ্ছো । তোমরা ওখানকার অধিবাসী । বাবা প্রত্যেকদিনই বলেন, আমাকে স্মরণ করলে তোমাদের বিকর্ম বিনাশ হবে, আর তোমরা এগিয়ে যেতে থাকবে, ঘরে বসে তোমরা যদি এই যাত্রা করো, তাহলে এ তো আশ্চর্যের যাত্রা হলো, তাই না । যোগ অগ্নির দ্বারা সব পাপ নাশ হয় । অর্ধেক কল্প তোমরা এই দেহের যাত্রা করেছো । প্রথমে অব্যভিচারী যাত্রা ছিলো, তারপর ব্যভিচারী যাত্রা হয়েছে । পূজাও প্রথমে তোমরা এক শিবেরই করো, তারপর ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্করের পূজা হয়, তারপর লক্ষ্মী – নারায়ণ ইত্যাদির পূজা হয় । শিব বাবা আর অন্য দেবী – দেবতার কর্তব্য সম্বন্ধে জানেই না । পুতুলের তো কোনো কর্তব্য হয় না । শিব বাবার কর্তব্য না জানা, সে তো যেন পাথরের পূজা হয়ে গেলো । তবুও তোমাদের কিছু না কিছু মনোকামনা পূরণ হয় । সত্যযুগে কোনো দেহের যাত্রা হয় না । ওখানে মন্দির ইত্যাদি কোথা থেকে আসবে । এ তো হলো ভ্রষ্টাচারী দুনিয়া । মানুষ নিজেকে পতিত মনে করে, তাই তো পবিত্র হওয়ার জন্য গঙ্গা স্নান করে । কুম্ভ মেলার রহস্যও তোমাদের বুঝিয়ে বলা হয়েছে । এই হলো প্রকৃত সঙ্গম । গায়নও আছে যে, আত্মা – পরমাত্মা পৃথক আছে বহুকাল, সুন্দর মেলা করা হয়েছে…. সদ্গুরু, পতিত পাবন দালাল রূপে এসে মিলিত হন । তাঁর তো নিজের শরীর নেই । এই দালালের দ্বারা আত্মাদের নিজের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান, অথবা বাচ্চাদের নিজের পরিচয় প্রদান করেন । বাচ্চারা, আমি এসেছি তোমাদের শান্তিধামের যাত্রাতে নিয়ে যেতে, পাবন দুনিয়াতে নিয়ে যেতে । বাচ্চারা জানে যে, ভারত পবিত্র ছিলো । এখানে একই আদি সনাতন দেবী – দেবতা ধর্ম ছিলো । আর্য ধর্ম ছিলো না । আর্য আর অনার্য । দেবতাদের যদি আর্য বলা হয়, তাহলে আর্য ধর্মে কারা রাজত্ব করতো ? আর্য বলা হয় শিক্ষিতদের । এই সময় সব অনার্য, অশিক্ষিত । বাপদাদাকে জানেই না । উঁচুর থেকে উঁচু হলেনই শিব বাবা, তারপর ব্রহ্মা – বিষ্ণু – শঙ্কর, তারপর প্রজাপিতা ব্রহ্মা, তাহলে জগদম্বাও প্রজামাতা হলেন । এনার দ্বারা ব্রাহ্মণদের রচনা হয় । ইনি হলেন দত্তক সন্তান । কে দত্তক নেন ? পরমপিতা পরমাত্মা । তোমরা জানো যে, আমরা তাঁর সন্তান, কিন্তু বাবাকে ভুলে অনাথ হয়ে গেছো । কেউই গড ফাদারের কর্তব্য সম্বন্ধে জানে না । বাবা এসে এমন সন্তানদেরই পাবন বানান । বাবাই তোমাদের মতো বাচ্চাদের পবিত্রতার শিক্ষা দান করেন । তোমরা যখনই যেখানে যাবে, তাঁকে স্মরণ করতে হবে । মায়া তোমাদের প্রতি মুহূর্তে ভুলিয়ে দেয় । এ তো যুদ্ধের ময়দান, তাই না । তোমরা বাবার হয়ে যাও, মায়া আবার তোমাদের নিজের করে নেয় । এ হলো প্রভু আর মায়ার নাটক । বাবার হয়ে আবার আশ্চর্যবৎ শুনন্তি – ভাগন্তি হয়ে যায় । এই মায়াও অতি বলবান । এই বুদ্ধি যোগ বলের যুদ্ধ বাবা ব্যতীত আর কেউই শেখাতে পারে না । সর্ব শক্তিমান বাবার সঙ্গে যোগযুক্ত হলেই শক্তি পাওয়া যায় । তোমরা জানো যে, এখন পবিত্র হয়ে আবার ঘরে ফিরে যেতে হবে এখানে অভিনয় করার জন্য এই শরীর ধারণ করেছি । আমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি । এ হলো শেষের দিকে ছোটো এবং মহান কল্যাণকারী যুগ । তোমরা সমস্ত জ্ঞান গঙ্গারা জ্ঞান সাগর থেকে নির্গত হয়েছো ।

বাবা বলেন, তোমরা বাবাকে স্মরণ করতে থাকো তাহলে তোমাদের আয়ুও বৃদ্ধি পাবে আর ভবিষ্যৎ ২১ জন্মের জন্য তোমরা অমর হয়ে যাবে । তোমাদের অকালে মৃত্যু কখনোই হবে না । সময় মতো তোমরা নিজেরাই এক শরীর ত্যাগ করে অন্য শরীর ধারণ করো । চলতে – ফিরতে তোমাদের বাবার স্মরণে থাকতে হবে । এই স্মরণের দ্বারাই তোমরা সৃষ্টিকে পবিত্র বানাও । বাবা এসেছেনই তোমাদের পবিত্র বানাতে । চারাও তাদেরই লাগবে যারা দেবতা ছিলেন । এখন যারা শূদ্র হয়ে গেছে, বা অন্য ধর্মে কনভার্ট হয়ে গেছে, তারা সবাই বেরিয়ে আসবে । সকলেরই নিজের – নিজের সেকশন আছে । এখানেও সকলের নিজের নিজের নিয়ম আছে । এ আদি সনাতন দেবী দেবতা ধর্মের চারা লাগানো হচ্ছে । যারা প্রথমে ব্রাহ্মণ হয়েছিলো, তারাই আবার আসবে । ব্রাহ্মণ হওয়া ব্যতীত দেবতা হতে পারবে না । ব্রহ্মার না হলে শিব বাবার সম্পদের অধিকারী হতে পারবে না । যারা দেবতা ধর্মের, তারা অবশ্যই ব্রাহ্মণ ধর্মে আসবে । তোমরা এখন কাঁটা থেকে ফুলে পরিণত হচ্ছো । কাউকেই দুঃখ দাও না । তোমাদের সবথেকে বড় শত্রু হলো রাবণ । এই পাঁচ বিকার রূপী শত্রু গুপ্ত । অর্ধেক কল্প ধরে সবাইকে লড়াই করে ফেলে দিয়ে পতিত বানিয়ে দিয়েছে । বাবা এখন এই যজ্ঞ রচনা করেছেন । অসীম জগতের বাবা এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের রচনা করেছেন, যাতে সবকিছুই স্বাহা করতে হবে । যেই ঘোড়ার উপর আত্মা বিরাজিত আছে, সেই সবকিছুই । নামই হলো – রাজস্ব, রাজত্বের জন্য এই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । স্বর্গ স্থাপনার জন্য বাবা কতো বড় যজ্ঞ রচনা করেছেন । তোমরা জানো যে, এখন এই দুনিয়ার পরিবর্তন হয়ে যাবে । তোমাদের হৃদয়ে এই নেশা থাকে । বাবা এই যজ্ঞ রচনা করেছেন – একে খুব ভালোভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে । যারা শ্রীমতে চলবে তারা খুব ভালো দক্ষিণা পাবে । যজ্ঞের খুব ভালো দেখভাল করলে তোমরা এই বিশ্বের মালিক হতে পারবে । যেই সম্পদের জন্য তোমরা অর্ধেক কল্প ধাক্কা খেয়ে এসেছো, বাবা এসেছেন সেই সম্পদ দান করতে, এমন বাবাকে আবার তালাক দিয়ে দেয় দেখে বাবা আশ্চর্য হয়ে যান । সজনীরা এমন গান গাইতো যে – তোমার প্রতি বলিহারি যাবো । এখন যখন এসেছি, তখন তোমরা আমার হয়েও আবার তালাক দিয়ে দাও । তারা তখন উচ্চে যাওয়ার পরিবর্তে নীচে পড়ে যায় । উঁচুতে চড়লে বৈকুন্ঠের রস চাখতে পারবে…. তফাৎ তো আছেই, তাই না । কোথায় প্রাইম মিনিস্টার ইত্যাদি আর কোথায় ভীল জাতীয় সম্প্রদায় । তাই তোমাদের এখন পুরুষার্থ করে বাবার কাছ থেকে রাজত্ব নেওয়া উচিত । এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । এই যজ্ঞে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । ভক্তিমার্গের জন্য শাস্ত্র ইত্যাদি এইসব জিনিস তৈরী হয়েছে । ভগবান তো একজনই, যাঁকে পতিত পাবন বলা হয় । শান্তিধাম আর সুখধামে কেউই ডাকে না । তাই বাচ্চাদের সম্পূর্ণ নেশা চড়ে যাওয়া উচিত । এ হলো রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞ । এরপরে কোনো যজ্ঞের রচনা করা হয় না । ওরা তো জাগতিক যজ্ঞের রচনা করে বিপদ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য । বাবা অর্ধেক কল্পের জন্য কতো বড় বিপর্যয় দূর করেন । একথা কোনো সাধুসন্তই জানে না । মুখ্য হলো গীতা মাতা, যা ভগবানের মহিমা, তাতে কৃষ্ণের নাম দিয়ে দিয়েছে । তাই এখন মানুষকে সাবধান করতে হবে কারণ তাদের বুদ্ধি যোগ কৃষ্ণের সঙ্গে জুড়ে গেছে । কৃষ্ণ তো এমন বলেন না যে – আমাকে স্মরণ করো তাহলে আমি তোমাদের সঙ্গে করে নিয়ে যাবো । বাবা এখানে বসে তোমাদের উপযুক্ত করেন । তিনি তোমাদের শ্যাম থেকে গোরা তৈরী করেন । তোমরা শ্যাম হয়ে গিয়েছিলে, বাবা আবার তোমাদের সুন্দর করে স্বর্গের উপযুক্ত তৈরী করেন । চলতে – ফিরতে বুদ্ধিতে বাবাকে স্মরণ করতে হবে । ব্যস্, এই অবস্থা দৃঢ় হয়ে গেলে তোমাদের তরী পার হয়ে যাবে । হেল্থ – ওয়েলথ আর হ্যাপিনেস । বাবার থেকে তোমরা এতখানি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করো তাহলে তাঁকে স্মরণ করে তাঁর শিক্ষায় চলা উচিত । কাঁটাকে ফুলে পরিণত করতে হবে । তোমরা এখন ফুলে পরিণত হচ্ছো, এ হলো বাগান । এখন হলো কাঁটার জঙ্গল । অকাসুর, বকাসুর, এ হলো সঙ্গমের নাম । উদ্ধার তো সবাইকেই হতে হবে । যে যতটা পড়বে, পড়াবে, শ্রীমৎ অনুযায়ী চলবে, সে ততটাই ২১ জন্মের জন্য উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে । তোমরা সদা সুখী হয়ে যাবে । তোমাদের এখন ১০০% চড়তি কলা । এরপর কলা কম হতে থাকে । এইসময় কলা সম্পূর্ণ শেষ হয়ে গেছে । এমন গেয়েও থাকে — আমি গুণহীন, আমার মধ্যে কোনো গুণ নেই । বাবাকে তো দয়ালু বলা হয়, তাই না । তিনি প্রতি কল্পের এই সঙ্গম যুগে আসেন । ভারত যখন স্বর্গ হবে তখন সবাই সুখী হয়ে যাবে । বাচ্চাদের এখন শ্রীমতে চলতে হবে, আসুরী মতে নয় । বাবা বলেন, আমার তো সবথেকে বেশী গ্লানি করা হয়, বলে দেয় – আমি নাম – রূপ থেকে পৃথক, নয়তো কোণে – কোণে বিরাজিত । এ সবই ড্রামাতে লিপিবদ্ধ আছে তোমরা এখন ত্রিকালদর্শী হয়েছো আর বাবাকে জেনে বাবার থেকে উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো । এখন তো রক্তের নাটকের খেলা হবে । এই নাটকে কতো বিপর্যয় আসবে, কতো মানুষের মৃত্যু হবে । ভক্তিমার্গে তো কতো দেবীর চিত্র বানানো হয় । কতো খরচ করে । দেবী মূর্তি তৈরী করে, পুজো করে আবার ডুবিয়ে দেয় । তাহলে তো পুতুল খেলা হলো, তাই না । কালীর কেমন চিত্র বানানো হয়, এমন কোনো মানুষ তো হয়ই না । তোমরা এখানে বসে আছো, তো আত্মিক যাত্রাতেই আছো । ট্রেনে বসে থাকলেও আত্মিক যাত্রাতেই থাকে, কেননা বুদ্ধি যাত্রাতেই লেগে থাকে । বুদ্ধির যোগ যদি লেগে না থাকে তাহলে সেই সময় নষ্ট হয়ে যায় । বাবা বলেন, তোমরা সময় নষ্ট করো না । তোমাদের সময় খুবই মূল্যবান । এক সেকেণ্ডও উপার্জন করতে ছেড়ো না । বাবা তো তোমাদের সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করান । বাবা বিশ্বে স্বর্গ রচনা করার জন্য এই যজ্ঞের রচনা করেছেন । তোমাদের বাবা – বাবা করতে হবে, তাহলেই তরী পার হয়ে যাবে । আমরা হলাম ব্রাহ্মণ, আমাদের উপর অনেক বড় দায়িত্ব । বাবা বলেন — বাচ্চারা, আত্ম – অভিমানী হও । মন – বাণী এবং কর্মে কাউকেই দুঃখ দিও না, তোমাদের অতি মিষ্টি হতে হবে । ক্রোধ করলে তোমরা অনেক বড় ডিসসার্ভিস করে ফেলো । সম্পূর্ণ তো এখনো কেউই হয়নি । ভূত হলো খুবই খারাপ । আচ্ছা ।

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) এই সময় খুবই মূল্যবান, তাই এক সেকেণ্ডও এর উপার্জন না করে ছেড়ো না । তোমাদের আত্ম – অভিমানী হয়ে থাকার সম্পূর্ণ পুরুষার্থ করতে হবে ।

২ ) চলতে – ফিরতে বাবাকে স্মরণ করে নিজের স্থিতি সুন্দর করতে হবে । তোমাদের অতি মধুর হতে হবে কাউকেও দুঃখ দেবে না ।

বরদানঃ-

আলোর প্রকাশের দ্বারা যেমন অন্ধকার শীঘ্রই শেষ হয়ে যায়, তেমনই সময়, সঙ্কল্প, শ্বাসকে সফল করলে ব্যর্থ শীঘ্রই সমাপ্ত হয়ে যায়, কেননা সফল করার অর্থই হলো সময় শ্রেষ্ঠর প্রতি লাগানো । তাই যারা শ্রেষ্ঠর প্রতি সময় দেয়, তারা ব্যর্থকে জয় করে এক নম্বরে এসে যায় । তারা ব্যর্থকে স্টপ করার সিদ্ধি প্রাপ্ত করে । এই হলো পরমাত্ম সিদ্ধি । ওই ঋদ্ধি – সিদ্ধি যারা করে, তারা অল্পকালের চমৎকার দেখায়, আর তোমরা যথার্থ বিধির দ্বারা পরমাত্ম সিদ্ধিকে প্রাপ্ত করো ।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top