17 May 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

16 May 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা -- বাবা এসেছেন, তোমাদের অর্থাৎ বাচ্চাদের নিজের সমান মহিমায় মহিমান্বিত করতে, যা বাবার মহিমা তা এখন তোমরা ধারণ করছো"

প্রশ্নঃ --

ভক্তিমার্গে প্রিয়তম পরমাত্মাকে সম্পূর্ণরূপে না জানলেও কোন্ শব্দটি অতি প্রেম-পূর্বক বলে এবং স্মরণ করে ?

উত্তরঃ -:-

অতি প্রেম-পূর্বক বলে এবং স্মরণ করে — হে প্রিয়তম, তুমি যখন আসবে তখন আমরা কেবলমাত্র তোমাকেই স্মরণ করবো এবং সকলের সঙ্গে বুদ্ধির যোগসূত্র ছিন্ন করে তোমার সঙ্গে যুক্ত করবো। এখন বাবা বলেন — হে বাচ্চারা, আমি যখন এসেছি তখন দেহী-অভিমানী হও। তোমাদের প্রথম দায়িত্ব হলো — প্রেম-পূর্বক বাবা স্মরণ করা।

ওম্ শান্তি । মিষ্টি মিষ্টি জীব আত্মাদের, পরমপিতা পরমাত্মা (যিনি এখন শরীরকে ধার হিসাবে নিয়েছেন) বোঝান যে, আমি সাধারণ বৃদ্ধের শরীরে আসি। এসে অসংখ্য বাচ্চাদের শিক্ষা প্রদান করি। ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত ব্রাহ্মণ বাচ্চাদেরকেই বোঝাবেন। অবশ্যই মুখের সাহায্যেই বোঝাবেন আর কাকে বোঝাবেন। তিনি বলেন — বাচ্চারা, ভক্তিমার্গে তোমরা আমাকে আহ্বান করে এসেছো — হে পতিত-পাবন, বিশেষতঃ ভারতে এবং সাধারণতঃ জগতের সকলেই আহ্বান করে থাকে। ভারতই পবিত্র ছিল, বাকি সকলেই শান্তিধামে ছিল। বাচ্চাদের এ’কথা স্মৃতিতে রাখা উচিত যে সত্যযুগ-ত্রেতা কাকে বলে, দ্বাপর-কলিযুগ কাকে বলে। সেখানে কারা-কারা রাজ্য করতো, তোমাদের বুদ্ধিতে সম্পূর্ণ নলেজ রয়েছে। যেমন বাবার কাছে রচনার আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান রয়েছে, তেমন তোমাদের বুদ্ধিতেও রয়েছে। বাবা যে জ্ঞান দান করেন তা বাচ্চাদের মধ্যেও অবশ্যই থাকা উচিত। বাবা এসে বাচ্চাদের নিজ-সম তৈরী করেন। বাবার মহিমা যতখানি, ততখানি বাচ্চাদেরও। বাবা বাচ্চাদের অত্যন্ত মহিমা-সম্পন্ন করে গড়ে তুলেছেন। সর্বদা মনে রাখবে শিববাবা এঁনার মাধ্যমে শিখিয়ে থাকেন। আত্মাই পরস্পরের সঙ্গে বার্তালাপ করে। কিন্তু মানুষ দেহ-অভিমানী হওয়ার কারণে মনে করে অমুকে পড়াচ্ছে। বাস্তবে করে সবকিছুই আত্মা। আত্মাই ভূমিকা(পার্ট) পালন করে। দেহী-অভিমানী হতে হবে। প্রতিমুহূর্তে নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত নিজেকে আত্মা নিশ্চয় করতে পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত বাবাকেও স্মরণ করতে পারবে না। ভুলে যায়। তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হয় — তোমরা কার সন্তান ? তখন বলো যে আমরা শিববাবার সন্তান। ভিজিটার বুকেও লেখা রয়েছে — তোমাদের পিতা কে ? তখন ঝট করে দেহের (লৌকিক) পিতার নাম বলে দেবে। এখন দেহীর(আত্মা) পিতার নাম বলো। তখন কেউ কৃষ্ণের, কেউ হনুমানের নাম লিখবে অথবা লিখবে — আমরা জানি না। আরে, তোমরা লৌকিক পিতাকে জানো আর পারলৌকিক পিতা যাঁকে তোমরা সর্বদা দুঃখে স্মরণ করো, ওঁনাকে জানো না। বলেও — হে ঈশ্বর দয়া করো। হে ঈশ্বর, একটি সন্তান দাও। ভিক্ষা তো করো, তাই না! এখন বাবা একদম সহজ কথা বলেন। তোমরা অত্যন্ত দেহ-অভিমানে থাকো তাই বাবার উত্তরাধিকারের নেশা চড়ে না। তোমাদের তো অত্যন্ত নেশা চড়ে থাকা উচিত। ভক্তি করেই ভগবানের সঙ্গে মিলনের জন্য। জপ, তপ, দান-পুণ্যাদি করা এ’সব হলো ভক্তি। সকলেই অদ্বিতীয় ভগবানকে স্মরণ করে। বাবা বলেন — আমি তোমাদের পতিদেরও পতি, পিতারও পিতা। সকলেই ঈশ্বর-পিতাকে অবশ্যই স্মরণ করে। আত্মারাই স্মরণ করে। যদিও বলে যে ভ্রুকুটির মধ্যভাগে জ্বল-জ্বল করে এক আজব নক্ষত্র…. কিন্তু তারা না বুঝে এমনিই বলে দেয়। রহস্যের কিছুই জানা নেই। তোমরা আত্মাকেই জানো না তো আত্মার বাবাকে কিকরে জানবে। ভক্তিমার্গীয়-দের সাক্ষাৎকার হয়। ভক্তিমার্গে পূজার জন্য বড়-বড় লিঙ্গ রেখে দেয়, কারণ যদি বিন্দুরূপ দর্শন করায় তবে কেউ বুঝতে পারবে না। এ হলো সূক্ষ্ম কথা। পরমাত্মা যাঁকে অখন্ড জ্যোতি-স্বরূপ বলা হয়, মানুষ বলে ওঁনার কোনো অতি বড় রূপ আছে। ব্রহ্মসমাজীয় মঠের অনুগামীরা জ্যোতিকে পরমাত্মা বলে। দুনিয়ায় এ’কথা কারোর জানা নেই যে পরমপিতা পরমাত্মা বিন্দু, তাই বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছে। বাচ্চারাও বলে, বাবা কাকে স্মরণ করবো। আমরা তো শুনেছিলাম তিনি বৃহৎ লিঙ্গাকৃতির, ওঁনাকে স্মরণ করা হয়। এখন বিন্দুকে কিভাবে স্মরণ করবে ? আরে, তোমরা আত্মারাও বিন্দু, বাবাও বিন্দু। আত্মাকে আহ্বান করে, তিনি অবশ্যই এখানে এসে বসবেন। ভক্তিমার্গে যে সাক্ষাৎকারাদি হয়, এ’সমস্ত হলো ভক্তি। ভক্তিও একজনের করে না, অনেককেই ভগবান বানিয়ে দিয়েছে। যারা ভক্ত তারা ভক্তি করতেই থাকে, তাদের ভগবান কিভাবে বলবে। যদি পরমাত্মাকে সর্বব্যাপী বলে তবে ভক্তি কাকে করে। তাও আবার ভিন্নধরণের ভক্তি করে। বাবা বোঝান — বাচ্চারা, এমন মনে কোরো না যে আমাদের অনেক বছর পর্যন্ত বাঁচতে হবে। এখন সময় অত্যন্ত নিকটে আসতে চলেছে। নিশ্চয় রাখতে হবে, বাবাকে ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা করাতে হবে। স্বয়ং বাবা বলেন — আমি এঁনার দ্বারা তোমাদের সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের রহস্য বলি। গাওয়াও হয় — ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা। এটা জানে না যে নতুন দুনিয়াকে বিষ্ণুপুরী বলা হয় অর্থাৎ বিষ্ণুর দুটি-রূপ (লক্ষ্মী-নারায়ণ) রাজত্ব করতেন। কারোর জানা নেই যে বিষ্ণু কে ? তোমরা জানো যে এই ব্রহ্মা-সরস্বতীই পুনরায় বিষ্ণুর দুই-রূপ লক্ষ্মী-নারায়ণ হয়ে পালনা করে। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, বিষ্ণুপুরী অর্থাৎ পরে আবার স্বর্গের পালনা করবেন। তোমাদের বুদ্ধিতে আসা উচিত — বাবা জ্ঞানের সাগর। মনুষ্য-সৃষ্টির বীজরূপ। তিনি এই ড্রামার আদি-মধ্য-অন্তকে জানেন। তিনিই পতিত-পাবন, যা বাবার কর্তব্য, সেটাই তোমাদেরও। তোমরাও পতিত থেকে পবিত্র বানাও। দুনিয়ায় একজন পিতার ৩-৪টি সন্তান হবে। কোনো বাচ্চা অনেক উঁচুতে উঠে গেছে, কেউ একদমই নীচে নেমে গেছে। এখানে বাবা তোমাদের একটাই কর্তব্য শেখান যে তোমরা পতিতদের পবিত্র করো। সকলের জন্য এই লক্ষ্যমাত্রাই নির্দিষ্ট করো যে শিববাবা বলেন — আমায় স্মরণ করো। গীতায় কৃষ্ণ ভগবানুবাচ এই উল্টো কথা লিখে দেওয়া হয়েছে।

তোমাদের বোঝাতে হবে — ভগবান নিরাকার, পুনর্জন্ম-রহিত। ব্যস, এটাই ভুল। বাচ্চারা, এখন তোমরা কৃষ্ণপুরীর মালিক হয়েছো। কেউ রাজধানীতে আসে, কেউ প্রজায়। কৃষ্ণপুরী বলা হয় কারণ কৃষ্ণ সকলেরই অতি প্রিয়। বাচ্চা তো প্রিয়ই হয়, তাই না!

বাচ্চারও মাতা-পিতার প্রতি ভালবাসা হয়ে যায়। সমস্ত ভালবাসা ছড়িয়ে পড়ে। এখন বাবা বোঝান — তোমরা নিজেদের শরীর মনে কোরো না। প্রতিমুহূর্তে নিজেদের আত্মা নিশ্চয় করো। আত্ম-অভিমানী হও। বাবাও নিরাকার। এখানেও শরীর ধারণ করতে হয় — বোঝানোর জন্য। শরীর ব্যতীত তো বোঝাতে পারবে না। তোমাদের তো শরীর আছে, বাবাকে তো পুনরায় লোন নিতে হয়। এছাড়া এর মধ্যে প্রেরণাদির কোনো কথাই নেই। স্বয়ং বাবা বলেন — আমি এই শরীর ধারণ করে বাচ্চাদের পড়াই কারণ তোমাদের আত্মা যা এখন তমোপ্রধান হয়ে গেছে তাকে এখন সতোপ্রধান করতে হবে। গায়নও করে — পতিত-পাবন এসো, কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। এখন তোমরা বোঝ যে — বাবা এসে কিভাবে পবিত্র করেন। এও তোমরা জানো। সত্যযুগে কেবলমাত্র আমাদেরই ছোট বৃক্ষ(ঝাড়) থাকবে। তোমরা স্বর্গে যাবে। বাকি যে এত খন্ড রয়েছে তার নাম ও নিশান(চিহ্ন) থাকবে না। ভারতখন্ডই স্বর্গে পরিণত হবে। পরমপিতাই এসে স্বর্গের স্থাপনা করেন। এখন নরক। প্রাচীন ভারত-ভূখন্ড যেখানে দেবতাদের রাজ্য ছিল, এখন নেই। এখানে ওনাদের মন্দির আছে, চিত্র আছে। তাহলে ভারতের কথাই বলা হয়েছে। এ’কথা কোনো ভারতবাসীর বুদ্ধিতে আসে না যে ভারত স্বর্গ ছিল, এই লক্ষ্মী-নারায়ণই মালিক ছিলেন, আর কোনো খন্ড ছিল না। এখন তো অনেক ধর্ম এসে গেছে। ভারতবাসী ধর্মভ্রষ্ট, কর্মভ্রষ্ট হয়ে গেছে। কৃষ্ণকে শ্যাম-সুন্দর বলে কিন্তু অর্থ কিছুই বোঝে না। অবশ্যই তিনি শ্যামবর্ণ ছিলেন। কথিত রয়েছে, কৃষ্ণকে সর্প দংশন করে তখন কালো হয়ে যায়। এখন তিনি তো সত্যযুগের প্রিন্স ছিলেন, কিভাবে কালো হয়ে গেলো। তোমরা এখন এ’সব কথা জানো। কৃষ্ণের মাতা-পিতাও এখন অধ্যয়নে রত। মাতা-পিতার থেকেও উত্তম, শ্রীকৃষ্ণের উদ্দেশ্যেই গাওয়া হয়। মাতা-পিতার কোনো নাম নেই। তা নাহলে যে মাতা-পিতার কোলে এমন সন্তানের জন্ম হয়েছে সেই মাতা-পিতাও প্রিয় হওয়া উচিত। কিন্তু না, সম্পূর্ণ মহিমা রাধা-কৃষ্ণের। মাতা-পিতার কিছুই নেই। তোমাদের বুদ্ধিতে জ্ঞান রয়েছে। জ্ঞান হলো দিন, ভক্তি হলো রাত। অন্ধকার রাতে ঠোক্কর খেতে থাকে। বাচ্চারা, এখন তোমাদের বোঝানো হয় — ঘরে থাকো আর এই সেবা করতে থাকো। যেকোনজনকে বোঝাও যে তোমরা আধাকল্পের জন্য প্রিয়তমা হয়েছো, এক প্রিয়তমের। ভক্তিমার্গে সকলেই ওঁনাকে স্মরণ করে তাহলে প্রিয়তমাই তো হলো, তাই না! কিন্তু প্রিয়তমকে সম্পূর্ণরূপে জানে না। অত্যন্ত ভালবেসে স্মরণ করে, হে প্রিয়তম তুমি যখন আসবে তখন আমরা কেবলমাত্র তোমাকেই স্মরণ করবো এবং সকলের সঙ্গে বুদ্ধির যোগসূত্র ছিন্ন করে তোমার সঙ্গে যুক্ত করবো। এভাবেই তো গাইতে, তাই না! কিন্তু বাবার থেকে কিসের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয়, তা কারোর জানা নেই। এখন বাবা বোঝান — তোমরা দেহী-অভিমানী হও। বাচ্চারা, বাবাকে স্মরণ করাই তোমাদের প্রথম কর্তব্য। পুত্র সদা বাবাকে, কন্যা মা-কে স্মরণ করে। স্বগোত্রীয় (হামজিন্স) তো, তাই না! পুত্রসন্তানেরা মনে করে, আমরা বাবার উত্তরাধিকারী হবো। কন্যাসন্তানেরা এরকম বলবে নাকি, না এরকম বলবে না। তারা মনে করে যে, আমাদের পিত্রালয় থেকে শ্বশুরালয়ে যেতে হবে। তোমাদের এখন নিরাকার এবং সাকার পিতৃগৃহ রয়েছে। আবাহনও করে — হে পরমপিতা পরমাত্মা দয়া করো। দুঃখ হরণ করে সুখ দাও, আমাদের মুক্ত করো, আমাদের গাইড হও। কিন্তু এর অর্থ বড়-বড় বিদ্বান-আচার্যরাও জানে না। বাবা হলেন সকলের মুক্তিদাতা, তিনিই সকলের জন্য কল্যাণকারী। বাকিরা তো নিজেদের কল্যাণই করতে পারে না তাহলে অন্যদের কল্যাণ কিভাবে করবে। এখানে বাবা বলেন — আমি গুপ্তভাবে আসি, খুদা-দোস্তের গল্প রয়েছে, তাই না! এখন এ হলো কলিযুগ আর সত্যযুগের মধ্যেকার সেতু(পুল), ওই পাড়ে যেতে হবে। এখন খুদা হলেন বাবা, দোস্ত অর্থাৎ বন্ধুও। তিনি মাতা, পিতা, শিক্ষকের ভূমিকাও পালন করেন। এখানে তোমাদের সাক্ষাৎকার হলে বলে থাকে এ হলো জাদু। যারা প্রগাঢ় ভক্তি(নৌধা ভক্তি) করে তাদেরও সাক্ষাৎকার হয়, অনেক গোঁড়া(কট্টর) ভক্তও রয়েছে। তারা বলে, দর্শন দাও তা নাহলে আমরা গলা কেটে দেবো(আত্মঘাতী), তখন তাদের সাক্ষাৎকার হয়। একেই নওধা ভক্তি বলে। এখানে নওধাভক্তির কোনো কথা নেই। ঘরে বসে-বসেও অনেকের সাক্ষাৎকার হতে থাকে। দিব্য-দৃষ্টির চাবি আমার কাছে। অর্জুনকেও আমিই দিব্য-দৃষ্টি দিয়েছিলাম, তাই না! এই বিনাশকে দেখো, নিজের রাজ্যকে দেখো। এখন মামেকম্ স্মরণ করো তবেই এরকম হবে। এখন তোমরা বোঝ যে — বিষ্ণু কে ? মন্দির যারা তৈরী করেছে তারাও জানে না। বিষ্ণুর দ্বারা পালনা, চতুর্ভুজের অর্থই হলো — ২টি পুরুষের, ২টি নারীর। বিষ্ণুর দুটি রূপ হলো লক্ষ্মী-নারায়ণ। কিন্তু কিছুই বোঝে না। কারোর জ্ঞান নেই। না শিববাবার, না বিষ্ণুর। প্রথমে-প্রথমে বাবার প্রতি আকর্ষণ ছিল, অনেকেই আসতো। শুরুতে আঙিনা সম্পূর্ণ ভরে যেতো। জজ, ম্যাজিস্ট্রেট সকলেই আসতো। তারপর বিকারের লড়াই শুরু হয়, বলতে থাকে যে বাচ্চার জন্ম না হলে সৃষ্টি কিভাবে চলবে। এ হলো সৃষ্টি বৃদ্ধির নিয়ম। গীতার কথাও ভুলে গেছে যে ভগবানুবাচ — কাম মহাশত্রু, এর উপর বিজয়প্রাপ্ত করতে হবে। বলে থাকে যে, নারী-পুরুষ দুজনে একত্রে এলে তাদের জ্ঞান দান করো। একাকী থাকলে দিও না। এখন যদি দুজনে আসে তবে তো দেবে, তাই না! একত্রে দুজনকে যদি দেয়ও তবুও কেউ জ্ঞান নেয়, কেউ নেয় না। ভাগ্যে না থাকলে কি আর করা যাবে। একজন হংস, একজন বক হয়ে যায়। এখানে তোমরা হলে ব্রাহ্মণ, দেবতাদের থেকেও উত্তম। তোমরা জানো যে — আমরা ঈশ্বরীয় সন্তান, শিববাবার বাচ্চা। ওখানে স্বর্গে তোমাদের এই জ্ঞান থাকবে না, আর যখন নিরাকারী দুনিয়া মুক্তিধামে থাকবে তখনও এই জ্ঞান থাকবে না। এই জ্ঞান শরীরের সঙ্গেই সমাপ্ত হয়ে যাবে। এখন তোমাদের জ্ঞান রয়েছে যে অদ্বিতীয় পিতাই পড়াচ্ছেন। এখন এই খেলা সম্পূর্ণ হচ্ছে, সমস্ত অভিনেতারাই উপস্থিত রয়েছে। বাবাও এসেছেন। বাকি রয়ে যাওয়া আত্মারাও আসতে থাকে। যখন সকলেই চলে আসবে তখন বিনাশ হবে তারপরে বাবা সকলকে সঙ্গে করে নিয়ে যাবেন। সকলকেই যেতে হবে, এই অপবিত্র দুনিয়ার বিনাশ হবেই। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পতিত থেকে পবিত্র করার যে কর্তব্য বাবার, সেটাই তোমাদেরও করতে হবে। সকলের জন্য এই লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করতে হবে যে বাবাকে স্মরণ করো এবং পবিত্র হও।

২ ) এই ব্রাহ্মণ জীবন দেবতাদের থেকেও উত্তম, এই নেশায় থাকতে হবে। বুদ্ধির যোগসূত্র আর সকলের সঙ্গে ছিন্ন করে একমাত্র প্রিয়তমকেই স্মরণ করতে হবে।

বরদানঃ-

শক্তি-স্বরূপ হওয়ার জন্য আসক্তিকে অনাসক্তিতে পরিবর্তন করো। নিজের দেহে, সম্বন্ধে-সম্পর্কে, কোনও পদার্থে যদি কোথাও আসক্তি রয়ে যায় তবে মায়াও আসতে পারে আর শক্তি-স্বরূপও হতে পারবে না সেইজন্য প্রথমে অনাসক্ত হও তবেই মায়ার বিঘ্নের মোকাবিলা করতে পারবে। বিঘ্ন এলে চিৎকার-চেঁচামেচি করা বা ভীতসন্ত্রস্ত হওয়ার পরিবর্তে শক্তিরূপ ধারণ করে নাও তবেই বিঘ্ন-বিনাশক হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top