17 June 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
16 June 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
“মিষ্টি বাচ্চারা - স্মরণে থেকে নিজের বিকর্ম গুলির প্রায়শ্চিত্ত করো তাহলে বিকর্মাজীৎ হয়ে যাবে, পুরানো সমস্ত হিসেব-নিকেশ পরিশোধ হয়ে যাবে”
প্রশ্নঃ --
কোন্ বাচ্চারা সহজেই সবকিছু ত্যাগ করতে পারে ?
উত্তরঃ -:-
যে বাচ্চাদের অন্তর থেকে বৈরাগ্য আসে – তারা প্রতিটি কথার ত্যাগ সহজেই করে নেয়, বাচ্চারা তোমাদের অন্তরে এখন এই ইচ্ছা যেন না থাকে যে – এটা পড়বো, এটা খাবো, এটা করবো… দেহের সাথে সমগ্র পুরানো দুনিয়াকেই ত্যাগ করতে হবে। বাবা এসেছেন তোমাদেরকে হাতের উপর স্বর্গ তুলে দিতে, তাই এই পুরানো দুনিয়ার থেকে বুদ্ধির যোগ সরিয়ে দিতে হবে।
গান:-
মাতা ও মাতা..
ওম্ শান্তি । বাচ্চারা তাদের মায়ের মহিমা শুনেছে। বাচ্চা তো অনেক আছে, বোঝানো হয় – অবশ্যই বাবা যখন আছেন তো অবশ্যই মা-ও আছেন। রচনার জন্য মাতা অবশ্যই চাই। ভারতে মা’কে নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর মহিমা গাওয়া হয়েছে। জগদম্বার অনেক বড় বড় মেলা বসে, নানান রূপে মায়ের পূজা হয়। বাবারও হয়ে থাকে। তিনি হলেন জগদম্বা তো বাবা হলেন জগৎ পিতা। জগদম্বা সাকারে আছেন তো জগৎ পিতাও সাকারে আছেন। এই দু’ জনকে রচয়িতাই বলা হয়। এনারা তো হলেন সাকার তাই না। নিরাকারকেই বলা যায় গড্ ফাদার। মাদার-ফাদারের রহস্য তো বোঝানো হয়েছে। ছোটো মা-ও আছেন তো বড় মা-ও আছেন। মহিমা সবই ছোটো মায়ের, যদিও দত্তক নেন, মা-কেও দত্তক নিয়েছেন, তো ইনি বড় মা হয়ে গেলেন। কিন্তু মহিমা সবই ছোটো মায়ের। বাচ্চারা এটাও জানে যে, প্রত্যেককে নিজের কর্মভোগের হিসেব-নিকেশ পরিশোধ করতে হবে কেননা বিকর্মাজিৎ ছিলে, পুনরায় রাবণ বিকর্মী বানিয়ে দিয়েছে। বিক্রম সম্বৎও যেমন আছে তেমনি বিকর্মাজিৎ সংবতও আছে। প্রথম অর্ধেক কল্পকে বিকর্মাজিৎ বলা হয়, পুনরায় অর্ধেক কল্প বিক্রম সম্বৎ শুরু হয়। বাচ্চারা এখন তোমরা বিকর্মের উপরে বিজয় প্রাপ্ত করে বিকর্মাজিৎ হচ্ছো। যা কিছু পাপ আছে সেগুলি যোগবলের দ্বারা প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে। প্রায়শ্চিত্ত হয় স্মরণের দ্বারা। যেটা বাবা বোঝান যে – স্মরণ করো তো পাপের প্রায়শ্চিত্ত হয়ে যাবে অর্থাৎ জং ছেড়ে যাবে। মাথার উপরে জন্ম জন্মান্তরের পাপের বোঝা অনেক আছে। বোঝানো হয়েছে যে, যে প্রথম নম্বরের পূণ্যাত্মা হয় সে-ই আবার প্রথম নম্বরের পাপাত্মা হয়। তাকে অনেক পরিশ্রম করতে হয় কেননা শিক্ষক হয় শেখনোর জন্য তো অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। অসুস্থ হলে তো নিজেরই কর্মের ফল বলা হয়। অনেক জন্ম বিকর্ম
করেছো, এই কারণে ভোগ করতে হয়, এইজন্য কখনও এর থেকে ভয় পাবেনা। খুশি মনে অতিক্রম করতে হবে, কেননা এসব হল নিজেরই করা হিসাব-পত্র। এক বাবার স্মরণে থেকে প্রায়শ্চিত্ত করতেই হবে। যতক্ষণ জীবিত থাকবে ততক্ষণ বাচ্চারা তোমাদেরকে জ্ঞান অমৃত পান করতে হবে। যোগে থাকতে হবে। বিকর্ম করেছি তবেই তো কাশি ইত্যাদি হয়। খুশি হয়, এখানে সবকিছু হিসেব পরিশোধ হয়ে যাচ্ছে, যদি থেকে যায় তাহলে পাস উইথ অনার হতে পারবো না। জুতো মেরে গরুদান হলেও (আগে শাস্তি খেয়ে তারপর পুরস্কার পাওয়া) তো সেটা অসম্মানের ব্যাপারই হল তাইনা। অনেক প্রকারের দুঃখ ভোগ করতে হয়। এখানে অনেক প্রকারের দুঃখ, তার আর সীমা নেই। সেখানে সুখের সীমা নেই। নামটাই হলো স্বর্গ। খ্রীস্টানরা বলে হেভেন। হেভেনলি গডফাদার – এই কথাটি তোমরাই জানো। নিবৃত্তি মার্গের সন্ন্যাসীরা তো বলে দেয় যে এইসব হলো কাক বিষ্ঠা-সম সুখ। এই দুনিয়া বরাবর এইরকমই থাকে। যদিও যতই কারো অনেক সুখ প্রাপ্ত হোক না কেন, সেসব হল অল্পকালের সুখ। স্থায়ী সুখ তো একেবারেই নেই। বসে বসেই বিপদ এসে যায়, হার্ট ফেল হয়ে যায়। আত্মা এক শরীর ছেড়ে দ্বিতীয় শরীরে প্রবেশ করে, তো শরীর নিজে থেকেই মাটিতে পরিণত হয়ে যায়। জানোয়ারের শরীর তো তবুও কাজে আছে, মানুষের শরীর তো কোনো কাজে আসে না। তমোপ্রধান পতিত শরীর কোনো কাজের নয়। একদম কড়ি তুল্য। দেবতাদের শরীর হিরেতুল্য হয়। তাই দেখো তাদের কতইনা পূজা হয়। বাচ্চারা, এই বোধগম্যতা এখন তোমাদের প্রাপ্ত হয়েছে।
তিনি হলেন অসীম জগতের বাবা, যিনি হলেন অতি প্রিয়, যাকে তোমরা অর্ধেক কল্প স্মরণ করেছ। যারা ব্রাহ্মণ হয় তারাই বাবার থেকে বর্সা (স্বর্গের উত্তরাধিকার) নেওয়ার অধিকারী হয়। সত্য ব্রাহ্মণ অত্যন্ত পবিত্র হওয়া চাই। সত্য গীতা পাঠীকে পবিত্র থাকতেই হয়। মিথ্যা গীতাপাঠীরা পবিত্র থাকে না। এখন গীতাতে তো লেখাই আছে কাম হলো মহাশত্রু। তথাপি যে গীতা শোনায় সে পবিত্র কোথায় থাকে ? গীতা হল সর্বশাস্ত্রের শিরোমণি, যার দ্বারা বাবা তোমাদের কড়ি থেকে হিরে তুল্য বানাচ্ছেন। এটা তোমরাই জানো, গীতা পাঠীরা বুঝতেই পারবে না। তারা তো তোতা পাখির মত পড়তে থাকে। মহিমা সমস্তই হলো এক বাবার আর কোনো জিনিসের মহিমা নেই। ব্রহ্মা বিষ্ণু শংকরেরও নেই। তোমরা তাদের সামনে গিয়ে কতইনা মাথা ঠুকতে থাকো। তাদের সামনে নিজেকে বলিদানও করো তথাপি উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় না। কাশিতে কাশি কলবট খায়, তাই না। এখন সরকার সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। না হলে তো অনেকে কাশি কলবট খেত। কুয়াতে গিয়ে পড়তো। কেউ দেবীর সামনে বলি দেয়, কেউ আবার শিবের সামনে। দেবতাদের সামনে বলি হয়ে কোনো লাভ নেই। কালীর সামনে বলি হয়, কালিকে কতইনা কালো বানিয়ে দিয়েছে। এখন তো হলো সবাই আয়রন এজেড্। যারা প্রথমে গোল্ডেন এজেড্ ছিল। অম্বা একজনকেই বলা যায়। পিতাকে কখনো অম্বা বলা হয় না। এখন এটা কেউই জানেনা। জগদম্বা সরস্বতী হলেন ব্রহ্মার কন্যা। ব্রহ্মা অবশ্যই প্রজাপিতাই হবেন। সূক্ষ্মবতনে তো থাকবেন না। তারা বোঝেও যে সরস্বতী হলেন ব্রহ্মার কন্যা। স্ত্রী তো বলে না। বাবা বোঝাচ্ছেন যে আমি এই ব্রহ্মার দ্বারা কন্যা সরস্বতীকে দত্তক নিয়েছি। কন্যাও জানে যে বাবা তাকে দত্তক নিয়েছেন। ব্রহ্মাকেও দত্তক নিয়েছেন। এসব হলো অত্যন্ত গুপ্তকথা, যেটা কারো বুদ্ধিতে নেই। বাবা বসে নিজের বিষয়ের গভীর রহস্য গুলিকে তোমাদের সামনেই উন্মোচন করবেন, তাও অবশ্যই সামনে বসেই বলবেন। প্রেরণার দ্বারা থোড়াই বলবেন ভগবানুবাচ, হে বাচ্চারা… তো অবশ্যই সাকারে আসবেন তবেই তো বলবেন তাই না। নিরাকার বাবা এনার দ্বারা বসে পড়াচ্ছেন, ব্রহ্মা পড়াচ্ছেন না। ব্রহ্মাকে জ্ঞানের সাগর বলা যায় না, এক বাবাকেই বলা যায়। আত্মা বুঝতে পারে যে এই লৌকিক বাবা পড়াচ্ছেন না, পারলৌকিক বাবা বসে পড়াচ্ছেন। যার দ্বারা তোমরা উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করছো। বৈকুণ্ঠকে পরলোক বলা যায় না। সেটা হল অমরলোক আর এটা হল মৃত্যুলোক। পরলোক অর্থাৎ যেখানে আমরা আত্মারা বসবাস করি, এটা পরলোক নয়। আমরা আত্মারা আসি এই লোকে। পরলোক হলো আমাদের আত্মাদের লোক। তোমরা রাজত্ব এই ভারতেই করেছিলে, পরলোকে নয়। তোমাদেরকে পরলোকের (শান্তিধাম) রাজা বলা হবে না। (গুরুবাণীতে) বলা হয় – এই পৃথিবী যেন একটা আরামের স্থান হয়ে যায় (লোক পরলোক সুহালে হো)। এটা হল স্থূল লোক আর তারপর পরলোকটাই তো আরামের (বিশ্রামের) স্থান হয়ে যায়। এই ভারতই বৈকুণ্ঠ ছিল, পুনরায় হবে। এটা হল মৃত্যুলোক, স্থুললোকে মানুষ থাকে। বলে যে – বৈকুন্ঠলোকে যাবে। দিলওয়ারা মন্দিরেও রয়েছে – নীচে তপস্যায় বসে আছে। উপরে বৈকুণ্ঠের চিত্র বানিয়েছে। মনে করে যে অমুক ব্যক্তি বৈকুণ্ঠে গেছে। কিন্তু বৈকুণ্ঠ তো এখানেই হয়, উপরে নয়। আজ এই যে পতিতলোক আছে, সেটাই পুনরায় পবিত্রলোক হয়ে যাবে। পবিত্রলোক ছিল এখন অতীত হয়ে গেছে। এইজন্য বলা যায় যে পরলোক। পর অর্থাৎ দূরে হয়ে গেছে। ভারত স্বর্গ ছিল এখন নরক হয়ে গেছে। তাই স্বর্গ এখন পর অর্থাৎ দূরে হয়ে গেছে তাইনা। পুনরায় ড্রামা অনুসারে বাম মার্গে যেতে হয়, তো স্বর্গে দূরে হয়ে যায়। এইজন্য পরলোক বলা হয়।
এখন তোমরা বলো যে আমরা এখানে এসে নতুন দুনিয়াতে পুনরায় নিজের রাজত্ব ভাগ্য প্রাপ্ত করবো। প্রত্যেকে নিজের জন্য পুরুষার্থ করছে। যে করবে সেই পাবে। সবাই তো করবে না। যে পড়বে লিখবে সেই হবে বৈকুন্ঠের নবাব অর্থাৎ মালিক হবে। তোমরা এই সৃষ্টিকে সোনার মতো তৈরি করছ। তারা বলে যে – দ্বারকা সোনার ছিল পুনরায় সমুদ্রের নীচে চলে গেছে। কেউ বসে তো নেই যে উদ্ধার করে আনবে। ভারত স্বর্গ ছিল, দেবতারা রাজত্ব করেছিল। এখন তো কিছুই নেই। পুনরায় সবকিছু সোনার বানাতে হবে। এমন নয় যে সেখানে একটা সোনার মহল বের করলেই তো সব মহল বেরিয়ে আসবে। সব কিছু নতুন করে বানাতে হবে। নেশা হওয়া চাই যে আমরাই প্রিন্স প্রিন্সেস তৈরি হচ্ছি। এটা হল প্রিন্স প্রিন্সেস হওয়ার কলেজ। সেখানে হল প্রিন্স-প্রিন্সেসের পড়াশোনার কলেজ। তোমরা রাজত্ব নেওয়ার জন্য পড়াশোনা করছো। তারা পাস্ট জন্মের পূণ্য কর্ম করে রাজার ঘরে জন্ম নিয়ে প্রিন্স হয়। সেই কলেজ কতইনা ভাল হবে। কত সুন্দর কোচ ইত্যাদি থাকবেন। টিচারদের জন্যও ভালো কোচ থাকবে। সত্য যুগ ত্রেতাতে যারা প্রিন্স প্রিন্সেস হবে, তাদের কলেজ কতইনা ভাল হবে। কলেজে তো যাবে তাই না। ভাষা তো শিখবে তাই না। সেই সত্যযুগের প্রিন্স প্রিন্সেসদের কলেজ দেখো, আর দ্বাপরে বিকারী প্রিন্স প্রিন্সেসদের কলেজ দেখো আর তোমাদের প্রিন্স প্রিন্সেস হওয়ার কলেজ দেখো, কিরকম সাধারণ। তিন পা পৃথিবীও প্রাপ্ত হয় না। তোমরা জানো যে সেখানে প্রিন্স কীভাবে কলেজে যায়। সেখানে তো কেউ পায়ে হেঁটে কলেজে যায় না। মহল থেকে বেরিয়ে এরোপ্লেনে চেপে উড়ে চলে যায়। সেখানে কত সুন্দর কলেজ হবে। কত সুন্দর বাগান, মহল ইত্যাদি থাকবে। সেখানকার প্রতিটা জিনিস নতুন সবথেকে শ্রেষ্ঠ, নম্বর ওয়ান হবে। পাঁচ তত্ত্বও সতোপ্রধান হয়ে যাবে। তোমাদের সেবা কে করবে? এই পাঁচ তত্ত্ব ভালোর থেকেও ভালো জিনিস তোমাদের জন্য তৈরী করবে। যখন খুব ভালো ফল কোথাও পাওয়া যায় তো তা রাজা রানীকে উপহার হিসেবে পাঠানো হয়। এখানে তো তোমাদের বাবা শিববাবা হলেন সবথেকে উচ্চ, তাঁকে তোমরা কি খাওয়াবে! ইনি কোনও জিনিসের ইচ্ছা রাখেন না, এটা পড়বো, এটা খাব, এটা করব, বাচ্চারা তোমাদের মধ্যেও এই ইচ্ছা গুলি যেন না থাকে। এখানে এই সব ভোগ করলে তো সেখানে কম হয়ে যাবে। এখন তো সমগ্র দুনিয়াকে ত্যাগ করতে হবে। দেহের সাথে সবকিছুর ত্যাগ। বৈরাগ্য এলেই ত্যাগ হয়ে যায়।
বাবা বলছেন যে বাচ্চারা আমি তোমাদের হাতের উপর স্বর্গ দিতে এসেছি। তোমরা জানো যে বাবা হলেন আমাদের, তো অবশ্যই তাঁকে স্মরণ করতে হবে। যে রকম কন্যাদের বিবাহ হয় বা ভালোবাসা জুড়ে যায় তো কখনো এটা বলবে না যে আমি পতিকে স্মরণ করি না, কেননা সেখানে সারা জীবনের মেলবন্ধন হয়ে যায়। সেরকমই বাবা আর বাচ্চাদেরও মেলবন্ধন হয়ে যায়। কিন্তু মায়া ভুলিয়ে দেয়। বাবা বলেন যে আমাকে স্মরণ করো আর উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। এতেই মুক্তি আর জীবন মুক্তি এসে যাবে। পুনরায় তোমাদের থেকে এই ভুল কেন হয়ে যায়। এটা হল বুদ্ধির কাজ। মুখ দিয়ে কিছু বলতে হয় না, আর নিশ্চয় করতে হয়। আমরা জানি, পবিত্র হয়ে পবিত্র দুনিয়ার উত্তরাধিকার নেবো। এটা হল বোঝার কথা, বলার কথা নয়। আমরা বাবার হয়েছি। শিব বাবা পতিতদেরকে পাবন বানাচ্ছেন। বলেন যে আমাকে স্মরণ করতে থাকো। এর অর্থই হলো মন্মনাভব। তারা পুনরায় কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লিখে দিয়েছে। পতিত-পাবন তো হলেন এক বাবা-ই। সকলের সদ্গতি দাতা হলেন এক, তাই এক বাবাকেই স্মরণ করতে হবে। বলেন যে – আমাকে, এক বাবাকে ভোলার কারণে কতজনকে স্মরণ করছো! এখন তোমরা আমাকে স্মরণ করো তাহলে বিকর্মাজিত রাজা হয়ে যাবে। বিকর্মাজিত রাজা আর বিকর্মী রাজার পার্থক্যও বলেছেন তাই না। পূজ্য থেকে পুজারী হয়ে যায়। নিচে আসতেই হয়। বৈশ্য বংশ, পুনরায় শূদ্র বংশ। বৈশ্য বংশী হওয়া মানে বাম মার্গে আসা। হিস্ট্রি-জিওগ্রাফি তো সবই বুদ্ধিতে আছে। এর উপর কাহিনীও অনেক আছে। সেখানে মোহ-র কোনও কথাই নেই। সেখানে বাচ্চারা অনেক আনন্দে থাকে, অটোমেটিক ভালো ভাবে পালিত হতে থাকে। দাস-দাসীরা তো সামনে থাকেই। তো নিজের ভাগ্যকে দেখো যে আমরা এইরকম কলেজে বসে আছি যেখান থেকে আমরা ভবিষ্যতে প্রিন্স প্রিন্সেস হবো। পার্থক্য তো জানো তাই না। এরা হল কলিযুগের প্রিন্স প্রিন্সেস আর তারা হলেন সত্য যুগের প্রিন্স প্রিন্সেস। তারা হলেন মহারাজা মহারানী আর এরা হল রাজা রানী। অনেকের নামও আছে লক্ষ্মী-নারায়ণ, রাধা-কৃষ্ণ তথাপি সেই লক্ষ্মী-নারায়ণ আর রাধা-কৃষ্ণের পূজা কেন করে! নাম তো একই তাই না। হ্যাঁ, তারা স্বর্গের মালিক ছিলেন, এখন তোমরা জানো যে এই জ্ঞান, শাস্ত্রে নেই। এখন তোমরা বুঝে গেছ যে যজ্ঞ তপস্যা দান পূণ্য ইত্যাদিতে কোনও সার নেই ড্রামা অনুসার দুনিয়াকে পুরানো হতেই হয়। মনুষ্য মাত্রকে তমোপ্রধান হতেই হয়। প্রত্যেক কথাতে তমোপ্রধান, ক্রোধ, লোভ সবকিছুতেই তমোপ্রধান। আমার জায়গার অংশ, এ দখল করে নিয়েছে, গুলি মারো। কতইনা মারামারি করতে থাকে। নিজেদের মধ্যে কতই না লড়াই ঝগড়া করতে থাকে। একে অপরকে খুন করতেও দেরি করেনা। বাচ্চারা মনে করে যে কখন বাবা মারা যাবে, তারপর আমি উত্তরাধিকারী হব। এই রকম তমোপ্রধান দুনিয়ার এখন বিনাশ হতেই হবে। পুনরায় সতোপ্রধান দুনিয়া আসবে। আচ্ছা।
মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মা রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) পূণ্য আত্মা হওয়ার জন্য স্মরণে থাকার পরিশ্রম করতে হবে। সমস্ত হিসেব-নিকেশ পরিশোধ করে পাস উইথ অনার হয়ে সম্মানের সাথে বাড়ি যেতে হবে এইজন্য কর্মভোগকে ভয় পাবেনা, খুশি মনে পরিশোধ করতে হবে।
২ ) সর্বদা এই নেশাতে থাকতে হবে যে আমরা ভবিষ্যতের প্রিন্স-প্রিন্সেস হতে চলেছি। এটাই হল প্রিন্স-প্রিন্সেস হওয়ার কলেজ।
বরদানঃ-
যে অচল স্থিতিতে থাকবে তার অন্তরে এই শুভকামনা, শুভভাবনা উৎপন্ন হবে যে এই আত্মাও অচল হয়ে যাবে। অচল স্থিতিতে থাকা আত্মার বিশেষ গুণ হবে – করুণাময় হৃদয়। প্রত্যেক আত্মার প্রতি সদা দাতা ভাবের ভাবনা থাকবে। তার বিশেষ উপাধিও হবে বিশ্ব কল্যাণকারী। তার অন্তরে কোনো আত্মার প্রতি ঘৃণা ভাব, হিংসাভাব, ঈর্ষা ভাব বা গ্লানী ভাব উৎপন্ন হবে না। সর্বদাই কল্যাণের ভাবনা থাকবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!