17 July 2021 BENGALI Murli Today – Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

July 16, 2021

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

“মিষ্টি বাচ্চারা - জ্ঞান সাগর বাবা তোমাদেরকে জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রদান করতে এসেছেন, যার দ্বারা আত্মার জ্যোতি প্রজ্জ্বলিত হয়ে ওঠে"

প্রশ্নঃ --

বাবাকে করন-করাবনহার কেন বলা হয়েছে ? তিনি কী করেন এবং কী করান ?

উত্তরঃ -:-

বাবা বলেন – আমি তোমাদেরকে মুরলী শোনানোর কাজ করি। মুরলী শোনানো, মন্ত্র দেওয়া, তোমাদেরকে সুযোগ্য বানানো আর তারপর তোমাদের দ্বারা স্বর্গের উদ্ঘাটন করাই। তোমরা পয়গম্বর (বার্তা বাহক) হয়ে সকলকে বার্তা দিয়ে থাকো। বাচ্চারা আমি তোমাদেরকে ডায়রেক্শন দিই, এটাই হল আমার কৃপা বা আশীর্বাদ।

গান:-

কে এল আজ সকাল বেলায়..

ওম্ শান্তি । বাচ্চারা গীত শুনেছে। আমরা বাচ্চাদেরকে সকাল সকাল জাগাতে কে এসেছে – যে আমাদের তৃতীয় জ্ঞান – নেত্র একদম খুলে গেল ? জ্ঞানের সাগর, পরমপিতা পরমাত্মার দ্বারা আমাদের জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র খুলে গেছে। বলাও হয় বাবা জ্যোতি জাগান। কিন্তু তিনি বাবা – সে’কথা কেউই জানে না। ব্রহ্ম – সমাজী বলে, তিনি হলেন বহ্নিশিখা, জ্যোতি। মন্দিরে সব সময় তারা জ্যোতি জ্বালিয়েই রাখেন। কেননা তারা পরমাত্মাকে জ্যোতি স্বরূপ বলে মানে, সেইজন্য সেখানে মন্দিরে দীপ জ্বলতেই থাকে। এখন বিষয় হল বাবা তো কোনো দেশলাইয়ের দ্বারা দীপ জ্বালান না। এই বিষয়টিই তো একেবারে সব কিছুর থেকে আলাদা। গাওয়াও হয়ে থাকে – গতি মতি অনুপম। তোমরা বাচ্চারা এখন বুঝতে পারো বাবা সদ্গতির জন্য এসে জ্ঞান – যোগ শেখান। শেখানোর মতো কাউকে তো থাকতে হবে, তাই না ! শরীর তো শেখাতে পারে না। আত্মাই সব কিছু করে। আত্মাতেই ভালো বা খারাপ সংস্কার থাকে। এই সময় রারণের প্রবেশ ঘটার কারণে মানুষের সংস্কারও খারাপ অর্থাৎ ৫ বিকারের প্রবেশ রয়েছে । দেবতাদের মধ্যে এই ৫ বিকার থাকে না । ভারতে যখন দৈবী স্বরাজ্য ছিল, তখন খারাপ সংস্কার ছিল না। সর্ব গুণ সম্পন্ন ছিল, কতো ভালো সংস্কার ছিল দেবী দেবতার, যা এখন তোমরা ধারণ করছো। বাবাই এসে সেকেন্ডে সকলকে সদ্গতি প্রদান করেন। বাকি গুরু গোসাই ইত্যাদি তো ভক্তি মার্গে চলে আসছে, যারা কিনা একজনকে গতি সদ্গতি করতে পারে না। বাবার আসার কারণেই সকলের সদ্গতি হয়ে থাকে। পরমপিতা পরমাত্মাকে মানুষ আহ্বান করে, সেইজন্যই তিনি এসে পতিত দুনিয়ার বিনাশ করে পবিত্র দুনিয়ার উদ্ঘাটন করো বা দ্বার খোলো। বাবা এসে গেট খোলান – শিব শক্তি মাতাদের দ্বারা । বন্দে মাতরম্ গাওয়া হয়ে থাকে। এই সময় কোনো মাতাদের বন্দনা করা হয় না, কেননা কেউই শ্রেষ্ঠাচারী মাতা নেই। শ্রেষ্ঠাচারী তাদেরকেই বলা হয় যাদের জন্ম যোগবলের দ্বারা হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণকে শ্রেষ্ঠাচারী বলা হয় । ভারতে দেবী – দেবতা যখন ছিল তখন শ্রেষ্ঠাচারী ছিল। এই বিষয় গুলোকে মানুষ জানেই না। তারা নিজেদেরই প্ল্যান বানাচ্ছে। গান্ধী রাম-রাজ্য চাইতেন। এর দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, এখন হল রাবণ রাজ্য। ভারত এখন পতিত। কিন্তু রাম-রাজ্য স্থাপন করবার জন্য তো বেহদের বাপু জী চাই, যিনি রাম-রাজ্য স্থাপন এবং রাবণ রাজ্যের বিনাশ করবেন। বাচ্চারা জানে – রাবণে এখন আগুন লাগবে। সব আত্মারা অজ্ঞান অন্ধকারে ঘুমিয়ে রয়েছে। তোমরা জানো আমরাও ঘুমিয়ে ছিলাম, বাবা এসে আমাদেরকে জাগিয়েছেন। ভক্তির রাত সম্পূর্ণ হয়েছে, দিন শুরু হবে । রাত শেষ হয়ে এখন দিন শুরু হচ্ছে। বাবা সঙ্গমযুগে এসেছেন । বাচ্চাদেরকে দিব্য দৃষ্টি আর জ্ঞানের তৃতীয় নেত্র প্রদান করেন, যার সাহায্যে তোমরা বিশ্বকে জেনেছ। তোমাদের বুদ্ধিতে এখন এটা বসেছে যে, এ হল পূর্ব নির্মিত অবিনাশী ড্রামা, যা আবর্তিত হতেই থাকে। এখন তোমরা কতখানি জেগে উঠেছ, সমগ্র জগৎ এখনও নিদ্রিত।

এখন বাচ্চারা, তোমাদের সমগ্র বিশ্বের আদি – মধ্য – অন্ত, মূল লোক, সূক্ষ্ম লোক, স্থূল লোকের বিষয়ে জানা আছে। বাকি জগৎ তো কুম্ভকর্ণের অজ্ঞান নিদ্রায় নিদ্রিত। এটা কারোরই জানা নেই যে, পতিত পাবন কে। মানুষ ডাকে, হে পতিত পাবন এসো। এটা বলে না যে, এসে সৃষ্টির আদি – মধ্য – অন্তের রহস্য বুঝিয়ে দাও। বাবা বলেন – তোমরা এই সৃষ্টি চক্রকে বুঝতে পারলেই চক্রবর্তী রাজা হতে পার। স্মরণের দ্বারাই পবিত্র হও তোমরা । তোমরা এটাও জানো যে, বিনাশ সামনে উপস্থিত, যুদ্ধও হওয়ারই। কিন্তু কৌরব আর পান্ডবদের কোনো যুদ্ধ হয়নি। পান্ডব কারা ছিল ! এও কারো জানা নেই। সেনা ইত্যাদির কোনো ব্যাপারই নেই। তোমাদের তরফে হলেন সাক্ষাৎ পারলৌকিক পরমপিতা । সেই বাবার থেকেই অবিনাশী উত্তরাধিকার প্রাপ্ত হয় । তোমরা জেনে গেছ যে, কৃষ্ণের আত্মা ৮৪ জন্ম ভোগ করে এখন পুনরায় বাবার থেকে উত্তরাধিকার নিচ্ছে। ওয়ার্ল্ডের হিস্ট্রি জিওগ্রাফি রিপিট হয়। এখন বাচ্চারা তোমাদের সতোপ্রধান অবশ্যই হতে হবে। গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে পদ্ম ফুলের মতো পবিত্র থাকতে হবে। গাওয়াও হয়েছে ভগবানুবাচ : গৃহস্থ ব্যবহারে থেকে এই এক জন্ম পবিত্র হও। পাস্ট ইজ পাস্ট। এ তো ড্রামাতে রয়েছে। সৃষ্টিকে সতোপ্রধান হতেই হবে, এটাই ড্রামার ভবিতব্য। ঈশ্বরের ভবিতব্য নয়, ড্রামার ভবিতব্য এমনই রচিত হয়ে রয়েছে । তাই তো বাবা বসে বোঝাচ্ছেন। অর্ধ কল্প যখন শেষ হয়, তখন বাবা আসেন। শিবরাত্র বলা হয় না ? শিবের পূজারীরা রাত্রিকে মানে। গভর্নমেন্ট তো শিব জয়ন্তীর হলি ডে পর্যন্ত বন্ধ করে দিয়েছে। নাহলে তো কম করে এক মাসের হলি ডে চলা উচিত । কারোরই জানা নেই যে, শিব বাবা হলেন সদ্গতি দাতা। তিনিই সকলের দুঃখ হরণকারী, সুখ প্রদানকারী। ওঁনার জয়ন্তী তো বড়ই ধুমধামের সাথে এক মাস সব ধর্মের মানুষদের পালন করা উচিত। প্রধানতঃ ভারতকে বাবা ডায়রেক্ট এসে সদ্গতি দিয়ে থাকেন । যখন ভারত স্বর্গ ছিল, তখন দেবী – দেবতাদের রাজত্ব ছিল, সেই সময় আর কোনো ধর্ম ছিল না। দেবতারা বিশ্বের মালিক ছিল। কোনো পার্টিশান ইত্যাদি ছিল না, সেইজন্য বলা হয় অটল, অখন্ড, সুখ – শান্তি, সম্পত্তির দৈবী রাজ্য আবারও আমরা প্রাপ্ত করছি। বেহদের বাবার কাছ থেকে বেহদের উত্তরাধিকার ৫ হাজার বছর পূর্বেও প্রাপ্ত হয়েছিল। সূর্যবংশী চন্দ্রবংশী রাজ্যে কোনোই দুঃখের নাম ছিল না। কীর্তনও করা হয় – রাম রাজা, রাম প্রজা, রাম…✭সেখানে অধর্মের কোনো ব্যাপারই নেই। বাবা তোমাদেরকে ব্রহ্মা আর বিষ্ণুর বিষয়েও বুঝিয়েছেন যে, এই দুইয়ের মধ্যে কী সম্বন্ধ রয়েছে। ব্রহ্মার নাভি থেকে বিষ্ণু উৎপন্ন… এটা কেমন বিস্ময়কর চিত্র বানানো হয়েছে। বাবা বুঝিয়েছেন – এই লক্ষ্মী-নারায়ণই শেষে এসে ব্রহ্মা সরস্বতী, জগৎ অম্বা, জগৎ পিতা হন, এই দুইজনই আবার বিষ্ণু অর্থাৎ লক্ষ্মী-নারায়ণ হন। বাবা বসে বোঝান যে, তোমরা যে যে চিত্র গুলি দেখো – এগুলির কোনোটাই যথার্থ নয়। শিবের বড় বড় চিত্র বানায়, সেগুলিও অযথার্থ। ভক্তির কারণে বড় বানিয়েছে। নাহলে বিন্দুর পূজা কীভাবে করবে ! আচ্ছা নাহলে তো ব্রহ্মা, বিষ্ণু, শংকরের বিষয়েও বুঝতে পারবে না। ত্রিমূর্তি ব্রহ্মা বলে দেয়। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, বিষ্ণুর দ্বারা পালন…. এও বলে কিন্তু ব্রহ্মা তো স্থাপনা করেন না। স্বর্গের স্থাপনা ব্রহ্মা করবেন ? না। স্বর্গের স্থাপনা তো পরমপিতা পরমাত্মাই করেন। এই আত্মা তো পতিত, এনাকে ব্যক্ত ব্রহ্মা বলা হয় । এই আত্মাই পবিত্র হয়ে যাবে আর তারপর চলে যাবে। এরপর সত্যযুগে গিয়ে নারায়ণ হবেন। তাহলে প্রজাপিতা ব্রহ্মা তো নিশ্চয়ই এখানেই চাই, তাই না ? কিন্তু চিএ ওখানে দেখিয়ে দিয়েছে। যেমন এই জ্ঞানের অলংকার বাস্তবে হল তোমাদের, কিন্তু বিষ্ণুকে দিয়ে দিয়েছে। নবধা ভক্তিতেও সাক্ষাৎকার হয়। মীরার নামের তো গায়ন করা হয়। পুরুষদের মধ্যে নম্বর ওয়ান ভক্ত হল নারদ। মাতাদের মধ্যে মীরার নাম প্রসিদ্ধ। তোমরা এখন নারায়ণ বা লক্ষ্মীকে বরণ করবার জন্য এই জ্ঞান শুনছো। তোমাদেরই স্বয়ম্বর হয়। নারদের জন্যও দেখানো হয় – সভায় এসে বলে বসে, আমি লক্ষ্মীকে বরণ করতে পারি। এখন লক্ষ্মীকে বরণ করবার জন্য তোমরা তৈরী হচ্ছো। বাদবাকি এ’সবই হল ভক্তি মার্গের কাহিনী। বাবা রিয়্যাল কথা এখন বসে বোঝাচ্ছেন। লক্ষ্মী সত্যযুগে, নারদ ভক্ত দ্বাপরে। সত্যযুগে তাহলে নারদ কোথা থেকে এল ? রাধা – কৃষ্ণেরই স্বয়ম্বরের পরে লক্ষ্মী-নারায়ণ নাম হয়। এও ভারতবাসী জানে না। কতখানি অজ্ঞানতার অন্ধকার রয়েছে । বাবা হলেন কল্যাণকারী । তোমাদেরকেও কল্যাণকারী বানান। এখন বিচার সাগর মন্থন করা উচিত যে, অন্যদেরকেও কীভাবে বোঝাব ? তো বাবা বোঝান যে, চিত্র ইত্যাদি কীভাবে বানানো হয়েছে। গান্ধীর নাভি থেকে নেহেরু বেরিয়েছে, এখন কোথায় সেই বিষ্ণু দেবতা, কোথায় মানব…. এই সব বিষয় গুলিই এখন বাচ্চারা তোমরা জানো। নম্বর অনুক্রমে তোমাদের মধ্যে খুশী থাকে । বেহদের বাবা আমাদেরকে পড়াচ্ছেন । এ’কথা তো কখনো তোমরা শোনোনি, কেননা গীতাতে তো কৃষ্ণ ভগবানুবাচ লিখে দিয়েছে। ভগবান কখন এসেছেন, কখন এসে গীতা শুনিয়েছেন ! তিথি তারিখ তো কিছু নেই। কল্পের আয়ুই লক্ষ বছর বলে দিয়েছে। কারো বুদ্ধিতেই আসে না। এখন বাবা বসে বাচ্চাদেরকে বোঝাচ্ছেন । ব্রাহ্মণদের বৃক্ষ বৃদ্ধি প্রাপ্ত হতে থাকে। অসংখ্য পাতা আসতেই থাকবে। তোমরা বাচ্চারা জানো বর্ণ কীভাবে আবর্তিত হয়। তোমাদের ব্রাহ্মণদের বর্ণ হল সব থেকে উচ্চ। আমরা হলাম ভারতের গুপ্ত সত্যিকারের রুহানী সোস্যাল ওয়ার্কার। পরমপিতা পরমাত্মা আমাদেরকে দিয়ে সেবা করাচ্ছেন। আমরা রুহানী সেবা করি। মানুষ জাগতিক সেবা করে। আর তোমাদেরকে বলে যে, তোমরা ভারতের কী সেবা করো ? তাদেরকে বলো, আমরা হলাম রুহানী সেবাধারী । স্বর্গের উদ্ঘাটন করছি আমরা, স্থাপনা করছি। শিববাবা হলেন করনকরাবনহার, যিনি আমাদেরকে দিয়ে করাচ্ছেন। তিনি নিজেও করেন। মুরলী কে চালায় ? তিনি এই কর্মই করেন। তোমাদেরকেও শেখান যে, এইভাবে চালাও। তিনি মহামন্ত্র দেন – “মন্মনাভব” । এইভাবে কর্ম শেখালেন ! এরপর তোমাদেরকে বলেন অন্যদেরকেও শেখাও। সেইজন্যই ওঁনাকে করন-করাবনহার বলা হয় । তোমরা বাচ্চারাও এই শিক্ষাই প্রদান করে থাকো। বাবাকে স্মরণ করো আর অবিনাশী উত্তরাধিকারকে স্মরণ করো। বাচ্চারা তোমাদেরকে এই বার্তাই (পয়গাম) সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে। এই রকম নয় যে অন্যদেরকে পয়গাম দিলে আর নিজেই স্মরণে থাকলে না, তাহলে কী হবে ! অন্যরা পুরুষার্থ করে উঁচুতে উঠে যাবে আর যে বার্তা দিচ্ছে সে-ই রয়ে গেল ! স্মরণের পুরুষার্থ না করলে এত উচ্চ পদ পেতে পারবে না। অন্যরা স্মরণের যাত্রার দ্বারা পবিত্র হয়ে যায় । যেই রকম বাবা বন্ধনে রয়েছে যারা (বান্ধেলী), তাদের উদাহরণ দেন। তারা স্মরণে বেশী থাকে। বাবাকে না দেখেই পত্র লেখে। বাবা আমি তোমার হয়ে গেছি, আমি অবশ্যই পবিত্র থাকব। বাচ্চারা, তোমাদের হল প্রীত বুদ্ধি তোমাদেরই মালা তৈরী হয়েছে। বিষ্ণুর মালা আর রুদ্রাক্ষের মালাতে উপরে হল মেরু। মালা হাতে নিলেই প্রথমে ফুল দুটি দানা হাতে আসে, তাকে নমস্কার করে। তারপরে হল মালা। তোমরা ভারতকে স্বর্গ বানাচ্ছ, অতএব এই মালাই হল তোমাদের স্মরণিক। বাবা এই গীতা জ্ঞান যজ্ঞ রচনা করেছেন, এতে সমগ্র দুনিয়া স্বাহা হবে। বাবা হলেন মোস্ট বিলাভড ফাদার। তোমাদেরকে ভবিষ্যতের জন্য সদা সুখের উত্তরাধিকার দেন – ২১ জন্মের জন্য । যারা পূর্ব কল্পে বর্সা নিয়েছিল তারা অবশ্যই আসবে, ড্রামার প্ল্যান অনুসারে । বাবা বলেন – বাচ্চারা, সুখধামে যদি যেতে চাও তাহলে পবিত্র হতে হবে। আমাকে স্মরণ করো, কিছুই চাইতে হবে না যে, কৃপা করো বা সাহায্য করো। না। আমি তো সকলকেই সাহায্য করি। পুরুষার্থ তো তোমাকে করতে হবে। আশীর্বাদের কোনো ব্যাপার নেই। বাবা বলেন মামেকম্ স্মরণ করো। স্মরণ করা তোমাদের কাজ। ডায়রেকশন দেওয়া – এটাই হল কৃপা। বাদবাকি খাও – দাও, ঘোরো ফেরো…. পবিত্র আহারই তোমাদের করতে হবে। আমরা দেবী দেবতা হতে চলেছি, সেখানে পেঁয়াজ ইত্যাদি থাকবে নাকি ! এই সব কিছু এখানেই ছাড়তে হবে। এই সব জিনিস ওখানে থাকে না। বীজই নেই। যেমন সত্যযুগে অসুখ বিসুখই হয় না। এখন দেখো কতো অসুখ বিসুখ বেরিয়েছে। ওখানে তমোগুণী কোনো জিনিসই হয় না। প্রতিটি জিনিস সতোপ্রধান। এখানে দেখো মানুষ কীই না খায়। এখন বাবা বাচ্চাদেরকে বলেন – আমাকে স্মরণ করো, অন্য সব সঙ্গকে ত্যাগ করে আমার সঙ্গে সঙ্গ জোড়ো, তাহলে তোমরা পবিত্র হয়ে যাবে । আচ্ছা !

মিষ্টি – মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা – পিতা, বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত । আত্মাদের পিতা ওঁনার আত্মারূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার ।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) পাস্ট ইজ পাস, যা অতিক্রান্ত হয়ে গেছে তাকে ভুলে গিয়ে, গৃহস্থ ব্যবহারে থেকেও সতোপ্রধান হওয়ার পুরুষার্থ করতে হবে । বিনাশের পূর্বে পবিত্র অবশ্যই হতে হবে ।

২ ) ভারতকে স্বর্গ বানানোর সত্যিকারের সেবাতে তৎপর থাকতে হবে । খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত শুদ্ধ রাখতে হবে। পবিত্র আহারই গ্রহণ করতে হবে।

বরদানঃ-

রুহানী রুহে গোলাপ তার আত্মিক (রুহানী) বৃত্তির দ্বারা আত্মিকতার (রূহানিয়ত) সৌরভ অনেক দূর দূরান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়। তাদের দৃষ্টিতে সদা সুপ্রিম আত্মা (রুহ) সমায়িত হয়ে থাকে। আমি আত্মার করাবনহার হলেন সুপ্রিম আত্মা, এই রকম প্রতিটি সেকেন্ড হুজুরকে হাজির অনুভবকারী সদা আত্মিক সৌরভে অবিনাশী আর একরস থাকে। এটাই হল রুহানী সেবাধারীর নম্বর ওয়ান বিশেষত্ব।

স্লোগানঃ-

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top