17 January 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris

Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali

January 16, 2022

Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.

Brahma Kumaris

আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.

"মিষ্টি বাচ্চারা - প্রেম-পূর্বক মুরলী শোনো এবং শোনাও, জ্ঞান-রত্নের দ্বারা নিজের ঝুলি ভরপুর করো, তবেই ভবিষ্যতে রাজ্য অধিকারী হবে"

প্রশ্নঃ --

শিববাবাকে ভোলানাথ কেন বলা হয় ?

উত্তরঃ -:-

কারণ শিববাবা সমস্ত বাচ্চাদের দুর্ভাগ্যকে এক সেকেন্ডে (সৌভাগ্যে পরিণত করেন) তৈরী করে দেন। কথিত আছে, রাজা জনকের এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়েছিল, তাই একজন জনকের কথা নয়, তোমাদের সকলকে বাবা এক সেকেন্ডে জীবনমুক্তি দিয়ে দেন। ভারতের দুর্ভাগ্যকেও সৌভাগ্যে পরিণত করে দেন। দুঃখী বাচ্চাদের সদাকালের জন্য সুখী করে দেন, সেইজন্য ওঁনাকে সকলেই ভোলানাথ বলে স্মরণ করে। শঙ্করকে ভোলানাথ বলা যাবে না।

ওম্ শান্তি । ভোলানাথ বাবার বাচ্চাদের উদ্দেশ্যে সর্বপ্রথম ডায়রেক্শন হলো এই যে ভোলানাথের স্মরণে থাকো। মানুষকে ভোলা বলা যায় না। ভোলানাথ শিববাবাকেই বলা হবে। শঙ্করকেও ভোলানাথ বলতে পারবে না। যিনি দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করেন বা দুঃখীকে সুখী করে দেন তাঁকেই ভোলানাথ বলা হয়ে থাকে। দুর্ভাগ্যও হয় ভারতবাসীদের, তাই ভারতের দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণতকারীও অবশ্যই ভারতেই আসবে, তাই না! দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করার যুক্তি সেকেন্ডে বলে দেন। জনককেও যুক্তি বলে দিয়েছিলেন। কোনো একজনের দুর্ভাগ্য সৌভাগ্যে পরিণত হয় না। যদি জনকের দুর্ভাগ্যকে সৌভাগ্যে পরিণত করে থাকেন আর উনি জীবনমুক্তি পেয়ে থাকেন তবে তো অবশ্যই ওনার রাজধানী থাকবে। ওনার সঙ্গে অনেকের জীবনমুক্তি প্রাপ্ত হয়েছে। ভারতবাসীরা এও জানে যে ভারত জীবন্মুক্ত ছিল। জীবনমুক্ত বলা হয় স্বর্গকে, জীবনবন্ধ বলা হয় নরককে। এ হলো রাজযোগ। রাজযোগের দ্বারা রাজত্ব স্থাপিত হয়। এক জনকের কথা নয়। ভগবান যখন রাজযোগ শিখিয়েছেন তখন রাজত্বও দিয়েছেন। বরাবরই দেখা যায় যে সত্যযুগের লক্ষ্মী-নারায়ণ কীভাবে রাজত্ব প্রাপ্ত করেছিলেন। এখন হলো কলিযুগ। প্রজার উপর প্রজার রাজ্য স্থাপিত হয়ে গেছে। এ হলো পঞ্চায়েতী রাজ্য। এর পর আসে সত্যযুগ। তোমরা জানো — লক্ষ্মী-নারায়ণ পূর্বজন্মে এইরকম কর্ম করেছিল তবেই সূর্যবংশীয় রাজত্ব প্রাপ্ত করেছে। তারপর হলো চন্দ্রবংশ। সে তো রাজ্য স্থানান্তরিত হয়। তোমরা জানো — গীতা হলো সর্বোত্তম ধর্ম শাস্ত্র, যার দ্বারা তিন ধর্ম স্থাপিত হয়। আর প্রত্যেক ধর্মের একটি করেই শাস্ত্র হয়। সঙ্গমেরও একটিই শাস্ত্র। মহিমাও গীতারই করা হয়, যার দ্বারা সকলের সদ্গতি হয়ে যায়। তাহলে সদ্গতি প্রদানকারী হলেন একজনই। গীতায় বরাবরই রুদ্র জ্ঞান যজ্ঞের বর্ণনা রয়েছে, যার দ্বারা এই পুরোনো নরকের বিনাশ হয়ে যায় আর স্বর্গের স্থাপনাও হয়। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার মতন কোনো কথাই নেই। বাবা বুঝিয়েছেন — সর্বপ্রথমে বাবার পরিচয় দিতে হবে যে বিশ্বে স্বর্গ স্থাপনকারী অবশ্যই বিশ্বের মালিকই হবেন। তিনি হলেন সকলের পিতা পুনরায় বিশ্বের মালিক হলেন এই লক্ষ্মী-নারায়ণ। তাদের অবশ্যই শিববাবাই রাজ্য দিয়েছেন। এখন হলো কলিযুগ। ভারত হলো কড়িতুল্য, ঋণ বেড়েই চলেছে সেইজন্য সোনা নেওয়ার(জমা করা) ব্যবস্থা করে থাকে। ভারত পুনরায় কিভাবে হীরেতুল্য হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণের স্বর্গের রাজত্ব প্রাপ্তি হয়েছে, তাই না! বাচ্চারা, তোমরা এও জানো – গালি তো খেতেই হবে। ভারতে দেবতারাও গালি খেয়েছেন (মানহানি হয়েছে) আর অন্যান্য দেশীয়রা প্রচুর মহিমা কীর্তন করে থাকে, তারা জানে যে এরাই প্রাচীন ভারতের মালিক ছিলেন। বাচ্চারা, তোমরা এখন প্র্যাকটিক্যালি দেখছো। বাচ্চারা, তোমাদের মধ্যে যারা বিশালবুদ্ধিসম্পন্ন তাদেরই খুশি বজায় থাকবে। বিশালবুদ্ধিসম্পন্ন তারাই যারা নিজেরা ধারণ করে আর তারপর অন্যদেরকেও ধারণ করায়। এইরকম মনে করো না ওখানে সৎসঙ্গাদিতে তো ৫-১০ হাজার মানুষ রোজ যায়, এখানে এত আসে না। ভক্তি তো অবশ্যই বৃদ্ধি পেতেই থাকবে। ওদের থেকেই এই কলম লাগতে থাকবে। যারা কল্প-পূর্বে বুঝেছিল তারাই এইসমস্ত কথা বুঝতে পারবে। লোকেরা তো কথা শোনাতে থাকে আর শ্রবণকারী শুনে ঘরে চলে যায়, ব্যস। এখানে তো কত পরিশ্রম করতে হয়। পবিত্রতার উপর কত গোলমাল হয়। গভর্নমেন্টও কিছু করতে পারে না। এই পান্ডব গভর্নমেন্ট হলো গুপ্ত। একটি নাম আছে আন্ডারগ্রাউন্ড সেনা। তোমরা শক্তিসেনারা হলে গুপ্ত। তোমাদের কেউ বুঝতে পারে না। তোমরা হলে অহিংস শক্তিসেনা, এর অর্থ কেউ বুঝতে পারে না। গীতার শব্দ গুলির অর্থ বুঝতে পারে না। বাবা স্বয়ং বলেন – এই জ্ঞান প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যায়। লক্ষ্মী-নারায়ণের মধ্যেও এই জ্ঞান থাকে না। আমি যে এই জ্ঞান শুনিয়ে রাজধানী স্থাপন করি, তা কারোর বুদ্ধিতে নেই। এই বাবাও গীতা ইত্যাদি পড়তেন। কিন্তু এইসমস্ত কথা বুদ্ধিতে ছিল নাকি! এখন দেখ, সেন্টার্সও কত খুলে যাচ্ছে। প্র্যাকটিক্যালি পবিত্রতার উপরেই বিঘ্ন পড়ছে। পূর্বেও পড়ত। ওই (পার্থিব জগতের পাঠশালা) গীতা পাঠশালাগুলিতে বিঘ্নের কোনো কথাই থাকে না। এখানে তোমরা ব্রহ্মাকুমার-কুমারী হয়ে যাও। এই শব্দ গীতাতেও নেই। এও বোঝার মতন কথা। প্রজাপিতার সন্তান, প্রত্যেক মানুষই হলো ব্রহ্মাকুমার-কুমারী, না কেবল ভারতবাসীরাই, কিন্তু সকলেই হলো সমগ্র সৃষ্টির মানুষ। সকলেই প্রজাপিতা ব্রহ্মাকে অ্যাডম বলে থাকে। তারা জানে যে তিনি হলেন মনুষ্য সৃষ্টির প্রথম প্রধান (প্রথম/আদি পুরুষ)। মানবতার (হিউম্যানিটি) স্থাপনাকার। এরকম নয় যে সৃষ্টি হয়ই না তারপর ব্রহ্মার জন্ম হয়েছে, ওঁনার মুখ দ্বারা মানুষ রচনা করা হয়েছে। না, যদি কোনও মানুষ না থাকে তবে তো মুখবংশীয়দেরও জন্ম হতে পারে না। না হতে পারে ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত, না ব্রহ্মা গর্ভজাত। সবই হলো সৃষ্টি, তারই কলম লাগানো হয়ে থাকে। এ হলো নতুন নতুন বুঝবার মতন কথা। কারোর বুদ্ধিতে বসতে সময় লাগে। কেউ তো এক মাসেই দাঁড়িয়ে যায়। যেমন দেখ, ব্যাঙ্গালোরের কন্যা অঙ্গনার কত নেশা চড়ে ছিল। আমার কাছে থাকা ২০ বছরেরও সেই নেশা নেই। খুশিতে নাচ করতো। ঈশ্বর প্রাপ্তি হয়েছে, খুশির কথা, তাই না! ভগবান এসে মায়ার থেকে রক্ষা করে। তারপর স্বর্গের রাজত্ব স্থাপন করেন। বাবা অত্যন্ত পরিষ্কার করে বোঝান। বাচ্চারা, আমি এই সাধারণ শরীরে তোমাদের সেই সহজ রাজযোগ আর সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান শেখাই। তোমরা বলতে পারো – আসুন তাহলে আমরা আপনাদেরকে সত্যযুগ থেকে নিয়ে কলিযুগের অন্ত পর্যন্তের হিস্ট্রি শোনাই যে এখন পুনরায় কীভাবে সত্যযুগ আসবে। অবশ্যই শিক্ষা প্রদানকারীরও থাকা উচিত । আমাদের শেখান তবেই তো আমরা বোঝাতে পারি, তাই না! এছাড়া যারা গীতা শোনায়, তাদের থেকে আপনারা অনেক শুনেছেন। ভাষণ অনেক হতে থাকে। কিন্তু তারা এই ধর্মের না হওয়ার কারণে এইদিকে আকৃষ্ট হয় না। যখন তোমাদের প্রভাব ছড়িয়ে পড়বে তখন বৃদ্ধি হবে। ধীরে-ধীরে বৃদ্ধি হতে থাকবে। এ তো জানা রয়েছে – ভারত কত কাঙ্গাল। ক্ষুধায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়। দুঃখী হয়ে যায়। ভগবানের ভক্তি করে, বলে এসে দুঃখ থেকে মুক্ত করো। বাচ্চারা, তোমরা জানো সুখী সৃষ্টি কখন হয়। বাচ্চারা, এখানে অবিনাশী জ্ঞান-রত্নের দ্বারা তোমাদের ঝুলি ভরপুর হচ্ছে। আগে তো সব শুনতে-শোনাতে কিন্তু এতে ঝুলি ভরপুর করার প্রশ্ন নেই। এখন কেবল তোমাদের ঝুলি ভরপুর হচ্ছে আর যারা টেপ শুনবে বা মুরলী পড়বে বা শুনছে তারাও ঝুলি ভরপুর করছে। তোমরা হলে শিব শক্তিসেনা, ভারতের ঝুলি পরিপূর্ণকারী। ভারত অত্যন্ত ঐশ্বর্যশালী হয়ে যাবে। কিন্তু যারা ঝুলি ভরপুর করে, রাজ্য তো কেবল তারাই করবে, তাই না! ভারত সোনার পাখি ছিল, পুনরায় হয়ে যাবে। সকলেই সুখী থাকবে। কিন্তু ভারতে কত কোটি মানুষ রয়েছে, এত সব তো ওখানে থাকবে না। যে ঝুলি ভরপুর করে নেয়, রাজ্য-ভাগ্য তো সেই নেবে। এতে বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো কথাই নেই যে কীভাবে হবে। আরে, এই লক্ষ্মী-নারায়ণকে দেখ না! এনারা সত্যযুগের মালিক, তাই না! স্বর্গের রচয়িতা হলেন শিববাবা আর এই লক্ষ্মী-নারায়ণ হলেন সত্যযুগের মালিক। অবশ্যই পূর্বজন্মে পুরুষার্থ করেছে। আগের জন্ম ছিল সঙ্গমে। সঙ্গম কল্যাণকারী, তাই না ! কারণ সঙ্গমযুগেই দুনিয়া বদল হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই কলিযুগ আর সত্যযুগের মাঝেই জ্ঞান প্রদান করেছেন। তেমনই এখন পুনরায় দিচ্ছেন। কেউ আবার বলে যে নিরাকার পরমাত্মা কীভাবে এসে রাজযোগ শেখাবেন। তখন তোমরা ত্রিমূর্তি দেখাও। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা…..তাহলে যিনি স্থাপনা করবেন তিনিই পালনাও করবেন। যেমন খ্রাইস্ট স্থাপনা করেছেন, তারপর পালনার জন্য পোপও অবশ্যই ওনাকেই হতে হবে। ফিরে তো কেউ-ই যেতে পারে না। লালন-পালনও অবশ্যই করতে হবে। পুনর্জন্ম তো নিতেই হবে, নাহলে সৃষ্টি বৃদ্ধি হবে কীভাবে। যখন সত্যযুগ-ত্রেতায় প্রথমে দেবতাদের রাজ্য ছিল তাহলে সবচেয়ে অধিক জনসংখ্যা এঁদেরই হওয়া উচিত । তাহলে খ্রীস্টানদের অধিক কেন ? তবে তো লক্ষ-লক্ষ বছরেরও কোনো কথা নেই। এ’সমস্ত কথা বুঝবে সে-ই যে এই ঘরানার (কুলের) হবে। অন্যদের তীর লাগবে না। এ হলো জ্ঞানের তীর, তাই না! বাবা বলেন, যদি কাউকে নিয়েও আসো তাহলে জ্ঞান-বাণ বিদ্ধ করে এনো। ব্রাহ্মণ কুলের হলে তীর বিঁধবে। শাস্ত্রতে দেখানো হয়েছে — যুদ্ধে যাদব-কৌরব মারা গেছে, পান্ডবেরা ৫ জন ছিল। পরে হিমালয়ে গিয়ে পচে-গলে মারা গেছে। এখন এইরকম তো হতে পারে না। গায়নও আছে যে জীব-ঘাতক, মহা-পাতক। আত্মার কখনো ঘাত(হত্যা) হয় না। আত্মা স্বয়ং গিয়ে শরীরের হত্যা বা বিনাশ করে। এখন পান্ডব, যাদের শ্রীমৎ প্রদানকারী ছিলেন পরমাত্মা তারা পাহাড়ে গিয়ে পচে-গলে মারা যায়, এ তো হতে পারে না। আচ্ছা, তারা তো ৫ পান্ডব ছিল। বাকি আর পান্ডবেরা কোথায় গেল? সৈন্যদল তো দেখানো হয়নি। তোমরা জানো, বিনাশ কীভাবে হবে। তোমরা দেখবেও। বাচ্চারা, তোমাদের সাক্ষাৎকারও হবে। শুরুতে তোমাদের অনেক সাক্ষাৎকার হতো। কখনও লক্ষ্মীকে, কখনও নারায়ণকে আমন্ত্রণ জানাতে। কত সাক্ষাৎকার হতো তারপর শেষসময়ে যখন হাহাকার হবে তখন পুনরায় তোমাদের সাক্ষাৎকার হবে। গোলমাল হবে আর বাচ্চারা, তোমরা এসে এখানে একত্রিত হবে। সেইজন্য মধুবনে অনেক ঘর-বাড়ী তৈরী হতেই থাকে। বাচ্চারা, তারপর তোমরা এই সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে আনন্দিত হতে থাকবে। কিন্তু এ মাসীর বাড়ি যাওয়ার মতো সহজ ব্যাপার নয় যে সকলেই এখানে চলে আসবে। যে সুপুত্ররা বাবার সাহায্যকারী হবে তারাই আসবে। যদি পান্ডবদের গলে যাওয়ার কথা থাকত তাহলে ঘর কেন তৈরী করেছিল ! কোনো কথায় বিভ্রান্ত হয়ে পড়লে তখন বিশিষ্ট অনন্য (বিশিষ্ট) বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করতে পারো। নাহলে এই ব্রহ্মাবাবা বসে রয়েছেন। ইনি (ব্রহ্মা) বলতে না পারলে তখন বড় বাবা (শিববাবা) বসে আছেন। এ তো বোঝানো হয়েছে নাকি এখনও বোঝার অনেককিছু বাকি আছে ? সমগ্র চক্রের রহস্য বাবা বুঝিয়ে থাকেন। কত পয়েন্টস্ বেরিয়ে আসতে থাকে। এখনও সময় পড়ে রয়েছে তাহলে অবশ্যই আরো বোঝাতে হবে। কিন্তু প্রথমে অবশ্যই মুখ্য এই কথা লেখাতে হবে, একদম রক্ত (অন্তর থেকে) দিয়ে লেখাতে হবে যে আমাদের নিশ্চয় রয়েছে যে অবশ্যই পরমপিতা পরমাত্মা পড়ান। এইরকমও নয় যে লিখলেই বদলে যায়। বলে যে আমরা তো এমনিই লিখে দিয়েছি। বেশি-বেশি করে কারোর কাছে মাথা কুটতে যেও না। বলো ভগবানুবাচ — আমরা ভগবান শিববাবাকেই মানি। উনি হলেন জ্ঞানের সাগর, সৎ-চিৎ। ওঁনার নিজের শরীর তো নেই। তাহলে অবশ্যই সাধারণ শরীরের আধার নেবেন, তাই না! তাই সর্বপ্রথমে বাবা বলেন — মামেকম্ স্মরণ করো। দেহের সর্ব ধর্মকে পরিত্যাগ করে আমাকে স্মরণ করো তবেই বিকর্ম বিনাশ হবে আর আমার কাছে চলে আসবে, আর চক্রকে স্মরণ করলে তোমরা চক্রবর্তী রাজা হবে। বাবা কত মিষ্টি আর দেখো, বানানও কত মিষ্টি। সত্যযুগের যে’সকল নিদর্শন রয়েছে তা পুনরায় রিপীট অবশ্যই হবে। কলিযুগও রয়েছে। এখন তোমরা রাজযোগ শিখছ, বিনাশ সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে, আর কি প্রমাণ দেব। আচ্ছা!

মিষ্টি-মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মা-রূপী বাচ্চাদেরকে জানাচ্ছেন নমস্কার।

ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-

১ ) বাবার সমান হতে হবে। ভগবান এসে মায়ার থেকে আমাদের রক্ষা করেন, এই খুশিতেই থাকতে হবে।

২ ) কোনো কথায় বিভ্রান্ত হবে না, সুপুত্র হয়ে সম্পূর্ণরূপে বাবার সাহায্যকারী হয়ে উঠতে হবে।

বরদানঃ-

যেমন ব্রহ্মাবাবা নিজের যে সংস্কার তৈরী করেছেন, তা অন্তিম সময়ে সকল বাচ্চাদের স্মরণ করাবে — নিরাকারী, নির্বিকারী এবং নিরহঙ্কারী — তাই ব্রহ্মাবাবার এই সংস্কারই ব্রাহ্মণদের ন্যাচারাল সংস্কার হোক। সদা এই শ্রেষ্ঠ সংস্কারকেই সামনে রাখো। সারাদিনে প্রতিটি কর্মের সময় চেক্ করো যে, তিনটি সংস্কারই ইমার্জ রূপে রয়েছে ? এই সমস্ত সংস্কার ধারণ করলে স্ব-পরিবর্তক তথা বিশ্ব-পরিবর্তক হয়ে যাবে।

স্লোগানঃ-

লভলীন স্থিতির অনুভব করুন –
বাচ্চারা, তোমাদের প্রতি বাবার এত ভালবাসা, যার জন্য জীবনের সুখ-শান্তির সব কামনাগুলি পরিপূর্ণ করে দেন। বাবা কেবল সুখই প্রদান করেন না বরং সুখের ভান্ডারের মালিক করে দেন। তার সাথে-সাথে শ্রেষ্ঠ ভাগ্যের রেখা টানার কলম দেন, যত চাও তত ভাগ্য গঠন করতে পারো – এ’টাই হলো পরমাত্ম প্রেম। এই প্রেমেই সমাহিত হয়ে থাকো।

Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali

Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top