17 August 2022 Bengali Murli Today | Brahma Kumaris
Read and Listen today’s Gyan Murli in Bengali
16 August 2022
Morning Murli. Om Shanti. Madhuban.
Brahma Kumaris
আজকের শিব বাবার সাকার মুরলি, বাপদাদা, মাধুবন। Brahma Kumaris (BK) Murli for today in Bengali. This is the Official Murli blog to read and listen daily murlis.
"মিষ্টি বাচ্চারা - বাবা তোমাদের অসীম জগতের সমাচার শুনিয়ে থাকেন, তোমরা এখন স্বদর্শন-চক্রধারী হয়েছো, তোমাদের ৮৪ জন্মের স্মৃতিতে থাকতে হবে আর সকলকে এই স্মৃতি মনে করাতে হবে"
প্রশ্নঃ --
শিববাবার প্রথম সন্তান ব্রহ্মাকে বলা হবে, বিষ্ণুকে নয়, কেন ?
উত্তরঃ -:-
কারণ শিববাবা ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় রচনা করেন। যদি বিষ্ণুকে সন্তান বলা হয় তবে ওঁনার দ্বারাও সম্প্রদায়ের জন্ম হওয়া উচিত। কিন্তু ওঁনার দ্বারা কোনো সম্প্রদায় রচিত হয় না। বিষ্ণুকে কেউ মাম্মা, বাবাও বলবে না। তাঁরা যখন লক্ষ্মী-নারায়ণরূপে মহারাজা-মহারানী হন তখন ওঁনাদের সন্তানরাই তাদের মাম্মা-বাবা বলে। ব্রহ্মার থেকে ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় রচিত হয়।
গান:-
তুমিই হলে মাতা পিতা…
ওম্ শান্তি । বাবা বসে বাচ্চাদের বুঝিয়ে থাকেন যে, কোনো গুরু-গোঁসাই এমনভাবে বলতে পারে না যে বাবা বসে বাচ্চাদের বোঝান। বাবা বসে বাচ্চাদের কি বোঝাবেন ? কোন্ বাবা ? এ তো কেবল তোমরাই জানো, আর কোনো সৎসঙ্গে এমনভাবে বলতে পারে না। যদিও বাবা সাঁই, মেহের বাবা বলে, কিন্তু ওরা তো যা বলে তার কিছুই বোঝে না। তোমরা জানো, ইনি হলেন অসীম জগতের পিতা, অসীম জগতের সমাচার শোনান। এক হয় জাগতিক সমাচার, আরেক হয় অসীমের সমাচার। এই দুনিয়ায় কেউ জানেই না। বাবা বলেন – তোমাদের অসীম জগতের সমাচার শুনিয়ে থাকি তবেই সৃষ্টির আদি-মধ্য-অন্তের জ্ঞান তোমাদের বুদ্ধিতে চলে আসে। তোমরা জানো যে বাবা বরাবর নিজের পরিচয় দিয়েছেন আর সৃষ্টিচক্র কিভাবে আবর্তিত হয় সেও যথার্থভাবে বুঝিয়েছেন। তা বুঝে নিয়ে আমরা অন্যান্যদেরকেও বুঝিয়ে থাকি। বীজকে পরমপিতা পরমাত্মা বা বাবা বলা হয়, আমরা আত্মারা হলাম ওঁনার সন্তান। তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে যে আমরা আত্মারা হলাম পরমাত্মার সন্তান। পরমপিতা পরমাত্মা পরমধামে থাকেন। উনি মূলবতনের (পরমধাম) সমাচার বুঝিয়েছেন। কীভাবে সমগ্র এই মালা তৈরী হয়। সর্বপ্রথমে বাবা বুঝিয়ে থাকেন যে আমি হলাম তোমাদের বাবা আর আমি পরমধামে বাস করি। আমাকেই নলেজফুল, ব্লিসফুল বলা হয়ে থাকে। আমি এসে তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের পবিত্রতা, সুখ-শান্তির উত্তরাধিকার প্রদান করি। বাচ্চাদের বুদ্ধিতে এ’সব ঘুরতে থাকে। আমরা আসলে কোথাকার বাসিন্দা। আমাদের অর্থাৎ সকল আত্মাদের (নিজেদের) ভূমিকা পালন করতে হবে। পার্টের রহস্য কেউই বুঝতে পারে না, কেবল বলতে থাকে। পুনর্জন্ম নেবে, আত্মা এত জন্ম নেয়। কেউ ৮৪ লক্ষ জন্ম বলে। কাউকে বোঝাও তাহলে বুঝে যাবে যে ৮৪ জন্মই সঠিক। ৮৪ জন্ম কিভাবে নেয় – তা বুদ্ধিতে থাকা উচিৎ। বরাবর আমরা সতোপ্রধান ছিলাম, তারপর সতো, রজো, তমো-তে এসেছি। এখন সঙ্গমে পুনরায় আমরা সতোপ্রধান হচ্ছি। বাচ্চারা, এ অবশ্যই তোমাদের বুদ্ধিতে থাকবে তবেই তো তোমাদের স্বদর্শন চক্রধারী বলা হয়ে থাকে। এ কথা তো অতি সহজ যা বৃদ্ধাও বোঝাতে পারে যে বরাবর আমরাই ৮৪ জন্ম নিয়েছি, আর কোনো ধর্মাবলম্বীরা নেয়না। এও বোঝাতে হয় – এখন আমরা হলাম ব্রাহ্মণ, তারপর দেবতা, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শূদ্র হয়ে যাই। সর্বোচ্চ হলেন শিববাবা। এ এখন তোমাদের বুদ্ধিতে রয়েছে। এরকমভাবেই আমরা পুনর্জন্ম নিয়ে থাকি। পুনর্জন্মকে তো অবশ্যই মানতে হবে। এখন তোমাদের নিজেদের ৮৪ জন্মের ভূমিকার স্মৃতি এসেছে। বৃদ্ধাদের জন্য এই শিক্ষাও অতি সহজ। তোমাদের কোনো বই-পত্র ইত্যাদি পড়ার প্রয়োজনই থাকে না। বাবা বুঝিয়েছেন যে তোমরা ৮৪ জন্ম কীভাবে নিয়ে থাকো। তোমরাই দেবী-দেবতা ছিলে, তারপর ৮ জন্ম সত্যযুগে, ১২ জন্ম ত্রেতায়, ৬৩ জন্ম দ্বাপর-কলিযুগে নিয়েছো আর এই এক জন্ম হলো সবচেয়ে উঁচু। তাহলে সহজেই বোঝ, তাই না! কুরুক্ষেত্রের বৃদ্ধ মাতারাও বোঝ, তাই না! কুরুক্ষেত্রের নাম তো প্রসিদ্ধ। বাস্তবে এ হলো সবই কর্মক্ষেত্র। ওই কুরুক্ষেত্র তো একটি গ্রাম, এ’সমস্ত হলো কর্ম করার ক্ষেত্র, এখানে এখন লড়াই ইত্যাদি শুরু হয় নি। তোমরা এই সমগ্র কুরুক্ষেত্রকে জানো। বসতে তো এক জায়গাতেই হয়। বাবা বলে থাকেন – সমগ্র এই কর্মক্ষেত্রেই রাবণের রাজ্য রয়েছে। রাবণকে দাহ করেও এখানে, রাবণের জন্মও হয় এখানে। এখানেই শিববাবার জন্ম হয়। এখানেই দেবী-দেবতারা ছিলেন। তারপর তারাই সর্বপ্রথমে বামমার্গে যায়। বাবাও ভারতেই আসেন। ভারতের মহিমা অপার। বাবাও ভারতেই বসে বোঝান। বাচ্চারা, তোমরা ৫ হাজার বছর পূর্বে আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্মের ছিলে, রাজত্ব করতে। তারমধ্যে প্রথম স্থানাধিকারী লক্ষ্মী-নারায়ণ, বিশ্বের উপর রাজত্ব করতেন। তাদের ৫ হাজার বছর হয়ে গেছে। ওঁনাদের বিশ্ব মহারাজন, বিশ্ব মহারানী বলা হতো। ওখানে অন্য কোনো ধর্ম তো নেই। সেইজন্য যারাই রাজা হবে তাঁদের বিশ্ব মহারাজনই বলা হবে, তারপর ইনি অমুকে গ্রামের(রাজ্যের), ইনি অমুক গ্রামের…… বলা হয়ে থাকে। তোমরা জানো যে আমরাই বিশ্ব-রাজ্য প্রাপ্ত করে থাকি। বাবা বুঝিয়েছেন – তোমরা যমুনার তীরে রাজত্ব করে থাকো। সেইজন্য বুদ্ধির দ্বারা এ’টা স্মরণে রাখতে হবে যে ৪ যুগ এবং ৪ বর্ণ রয়েছে। পঞ্চম হলো এই লীপ(সঙ্গম) যুগ, যাকে কেউ জানে না। মুখ্য হলো ব্রাহ্মণ ধর্ম। ব্রহ্মা মুখ-বংশজাত ব্রাহ্মণ। ব্রহ্মা কখন এসেছেন ? অবশ্যই বাবা যখন সৃষ্টি রচনা করবেন তখন প্রথমে ব্রাহ্মণ চাই। এ হলো ডাইরেক্ট ব্রহ্মার মুখ-বংশীয়। ব্রহ্মা হলো শিববাবার প্রথম সন্তান। বিষ্ণুকেও কি সন্তান বলা হবে ? না। যদি সন্তান হয় তাহলে তাঁর থেকেও সম্প্রদায় রচিত হবে। কিন্তু ওঁনার (বিষ্ণু) থেকে তো সম্প্রদায় রচিত হয় না। না ওঁনাকে মাম্মা-বাবা বলা হবে। সে তো মহারাজা-মহারানীর নিজেদেরই একটি সন্তান হয়ে থাকে। এ হলো কর্মভূমি। পরমপিতা পরমাত্মাকেও এসে কর্ম করতে হয়, নাহলে এসে কি করে, যে এত মহিমা করা হয়ে থাকে।
তোমরা দেখো যে শিব জয়ন্তীরও গায়ন আছে। যদিও শিব-পূরাণ লেখা রয়েছে কিন্তু তাতে কোনো কথা বোঝা যায় না। মুখ্য হলোই গীতা। তোমরা ভালভাবে বুঝে গেছো যে শিববাবা কিভাবে আসেন। ব্রহ্মাকেও অবশ্যই চাই। এখন ব্রহ্মা কোথা থেকে আসবে ? সূক্ষ্মলোকে তো সম্পূর্ণ ব্রহ্মা রয়েছে। এই কথাতেই লোকেরা আটকে পড়ে। ব্রহ্মার কর্তব্য কি ? সূক্ষ্মলোকে থেকে কি করে থাকে ? বাবা বোঝান, যখন ইনি ব্যক্তরূপে থাকেন তখন এঁনার মাধ্যমে জ্ঞান প্রদান করে থাকি। তারপর ইনিই জ্ঞান গ্রহণ করতে করতে ফরিস্তা হয়ে যান। ওইটি হলো সম্পূর্ণ রূপ। তেমনই মাম্মারও, তোমাদেরও এমনই সম্পূর্ণ রূপ হয়ে যায়। বৃদ্ধ-বৃদ্ধ মাতারা কেবল এতটুকুই ধারণা করুক যে আমরা ৮৪ জন্ম কিভাবে নিয়ে থাকি, এও বোঝানো হয়ে থাকে যে বাবা কর্মক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে পাঠিয়ে দেন। মুখে কিছু বলতে হবে না। এই ড্রামাও তৈরী করাই রয়েছে। ড্রামানুসারে সকলকেই আপন-আপন সময়ানুসারে আসতে হবে। সেইজন্যই বাবা বসে বোঝান যে সৃষ্টির আদিতে সর্বপ্রথমে কে ছিলেন তারপর শেষে কে ছিলেন। শেষে সমস্ত সম্প্রদায়ের জরাজীর্ণ অবস্থা প্রাপ্ত হয়েছে। এছাড়া এমন নয় যে প্রলয় হয়ে যায় আর শ্রীকৃষ্ণ (বালকৃষ্ণ) আঙ্গুল চুষতে চুষতে আসে। বাবা ব্রহ্মার মাধ্যমে নতুন সম্প্রদায় স্থাপন করেন। পরমপিতা পরমাত্মা এই দৈবী সৃষ্টির রচনা কিভাবে করেন, সে তো তোমরা জানো। ওরা তো কৃষ্ণকে ভেবে বসে আছে। তোমরা জানো বাবাই হলেন পতিত-পাবন। শেষেই আসবেন পবিত্র করে দিতে। যারা কল্প পূর্বে হয়েছিল, তারাই আসবে। এসে ব্রহ্মার মুখবংশীয় হবে আর পুরুষার্থ করে শিববাবার থেকে নিজেদের উত্তরাধিকার প্রাপ্ত করবে। রচয়িতা, নলেজফুল তো হলেন তিনিই, তাই না! উত্তরাধিকার বাবার থেকেই প্রাপ্ত হতে পারে। দাদাও ওঁনার থেকেই পান। ওঁনার মহিমাই গাওয়া হয়ে থাকে। ত্বমেব মাতাশ্চ পিতা…. অবশ্যই প্রকৃত সুখদাতা হলেন তিনিই। এও তোমরাই জানো। দুনিয়া জানে না। যখন রাবণ রাজ্য শুরু হয় তখন থেকেই দুঃখ শুরু হয়। রাবণ অবুঝ বানিয়ে দেয়। বালকদের মধ্যে যতক্ষণ না পর্যন্ত বিকার প্রবেশ করছে ততক্ষণ তাদের মহাত্মা সমান বলা হয়ে থাকে। যখন সাবালক হয় তখন লৌকিক আত্মীয়রা তাদের দুঃখের রাস্তা বলে দেয়। প্রথম রাস্তা বলে, তোমায় বিয়ে করতে হবে। লক্ষ্মী-নারায়ণ এবং রাম-সীতা কি বিয়ে করে নি ? কিন্তু তাদের জানাই নেই যে ওঁনাদের পবিত্র প্রবৃত্তি মার্গ ছিল। এ হলো অপবিত্র প্রবৃত্তিমার্গ। ওঁনারা তো পবিত্র স্বর্গের মালিক ছিলেন। আমরা হলাম পতিত নরকের মালিক। এই খেয়াল বুদ্ধিতে আসে না। তোমরা ভারতের মহিমা শোনাও — এ’টা কি ভুলে গেছো যে ভারত স্বর্গ ছিল, আদি সনাতন দেবী-দেবতা ধর্ম ছিল, পবিত্র ছিল। তবেই তো অপবিত্ররা তাদের সামনে গিয়ে মাথা ঠেকায় (প্রণাম করে)। পতিত-পাবন বাবা-ই পবিত্র দুনিয়া স্থাপন করেন। বরাবর ভারত পবিত্র ছিল। এখন তো মুখে বলে, আমরা অপবিত্র। কোনো যুদ্ধাদি হলে যজ্ঞ রচনা করে শান্তির জন্য। মন্ত্রও এর জন্যই জপ করে। কিন্তু শান্তির অর্থ বোঝে না। হলো অতি সহজ। গডফাদার বলে তাহলে অবশ্যই বাচ্চাই হলো, তাই না! উনি আমাদের সকলের বাবা তাহলে (আমরা) ব্রাদার্স হয়ে গেলাম, তাই না! বরাবর অবশ্যই আমরা প্রজাপিতা ব্রহ্মার মুখ-বংশীয় সন্তান। সত্যযুগে তো মুখবংশীয় হয় না। কেবলমাত্র সঙ্গমেই মুখবংশীয় হওয়ার জন্য ভাই-বোন বলে থাকো। বাবা বলেন – প্রতি কল্পে, কল্পের সঙ্গমযুগে সাধারণ বৃদ্ধের শরীরে প্রবেশ করে থাকি, যাঁর নাম পরে ব্রহ্মা রাখি। যিনি আবার জ্ঞানকে ধারণ করে অব্যক্ত সম্পূর্ণ ব্রহ্মা হয়ে যান। হলেন তিনিই, অন্য কথা নেই। ব্রাহ্মণ তারপর তারাই দেবতা হন, পরিক্রমা করে শেষে এসে শূদ্র হয়ে যায় তারপর ব্রহ্মার দ্বারা ব্রাহ্মণ রচনা করে থাকেন। বৃদ্ধাদের উপরেও ব্রাহ্মণীদের পরিশ্রম করতে হবে। আমরা ৮৪ জন্ম সম্পূর্ণ করেছি, এ তো বুঝতে পারে, তাই না! বাবা বলেন — আমায় স্মরণ করো। এই যোগ অগ্নির দ্বারাই বিকর্ম বিনাশ হবে। তিনি সমস্ত আত্মাদেরকে বলেন, মামেকম্ স্মরণ করো। শিববাবা বলেন – ভাগ্যশালী তারা-রা ! হে শালগ্রামেরা ! তোমাদের অর্থাৎ আত্মাদের বুদ্ধিতে এই জ্ঞান ঢেলে দিই। আত্মা শোনে, পরমাত্মা বাবা শোনান ব্রহ্মার মুখ মাধ্যমে। ব্রহ্মার দ্বারা স্থাপনা, তবে তো অবশ্যই মানুষই হবে আর বৃদ্ধও হবে। ব্রহ্মাকে সর্বদাই বৃদ্ধ দেখানো হয়। কৃষ্ণকে ছোট মনে করে, ব্রহ্মাকে কখনো ছোট বাচ্চা বলবে না। ওঁনার ছোট রূপ রচনা করা হয় না। যেমন লক্ষ্মী-নারায়ণের ছোটরূপ দেখানো হয় না, তেমনই ব্রহ্মারও দেখানো হয় না। বাবা স্বয়ং বলেন – আমি বৃদ্ধের শরীরে আসি। বাচ্চারা, তোমাদেরকেও এই মন্ত্র শোনাতে থাকতে হবে। শিববাবা বলেন – মামেকম্ স্মরণ করো। শিবকে, ব্রহ্মাকে বাবা বলা হয়, শঙ্করকে কখনো বাবা বলা হয় না। ওরা তো শিব-শঙ্করকে মিলিয়ে ফেলে। এও তো বুদ্ধিতে বসাতে হবে। আত্মাদের পিতা পরমপিতা পরমাত্মা এখন এসেছেন। তাই এমন-এমন সহজ কথা বৃদ্ধাদের বোঝানো উচিত ।
বাবা প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন যে পূর্বে তোমাদের কি বানিয়েছিলাম। তখন এতটুকু তো বলো যে স্বদর্শন-চক্রধারী হয়েছিলাম। বাবা আর চক্রকে স্মরণ করতে করতে তোমরা রুহানী বিদেশে (পরমধাম) চলে যাবে। ওই ফরেন তো হলো দূরের দেশ, তাই না! আমরা অর্থাৎ আত্মারা সকলেই হলাম দূরদেশের অধিবাসী। আমাদের ঘর দেখো কোথায়! সূর্য, চাঁদেরও ওপারে। যেখানে কোনো দুঃখ নেই। এখন তোমাদের আত্মাদের ঘরকে মনে পড়েছে। আমরা সেখানে অশরীরী থাকতাম, শরীর ছিল না। এই খুশি থাকা উচিত । আমরা এখন নিজেদের ঘরে ফিরছি। বাবার ঘর তথা আমাদের ঘর। বাবা বলেন – আমায় স্মরণ করো আর মুক্তিধামকে স্মরণ করো। বিজ্ঞান নিয়ে যারা অহংকার করে তারা তো পরমাত্মাকে একদমই জানে না। বাবার দয়া হয় যে ওদের কানেও যেন কিছু পড়ে তবেই শিববাবাকে স্মরণ করবে। দেহ-অভিমান ভেঙে যাবে, নর থেকে নারায়ণ হওয়ার এ হলো সত্য কথা। প্রকৃত পিতাকে স্মরণ করো তবেই সত্য ভূখন্ডের মালিক হয়ে যাবে। প্রকৃত পিতাই স্বর্গ স্থাপন করে থাকেন। তিনি বলেন – আর সমস্ত সঙ্গ থেকে বুদ্ধিযোগ ছিন্ন করো। ৮ ঘন্টা সরকারী চাকুরী করো, এর থেকেও এ হলো অনেক উচ্চদরের উপার্জন। যেখানেই যাও, বুদ্ধির দ্বারা এ’সব স্মরণে রাখতে হবে। তোমরা হলে কর্মযোগী। কত সহজভাবে বোঝান। বৃদ্ধাদের দেখে আমি অত্যন্ত খুশি হই কারণ এরাও আমাদেরই হমজিন্স। আমি মালিক হবো, আর হমজিন্স হবে না তাহলে সেও তো ঠিক নয়। বাবা হলেন অবিনাশী জ্ঞান সার্জেন। সদ্গুরু জ্ঞান ইঞ্জেকশন দিয়েছেন অজ্ঞানতার অন্ধকার বিনাশের জন্য। তোমাদের অজ্ঞানতা দূর হয়ে গেছে। বুদ্ধিতে জ্ঞান এসে গেছে। সবকিছু জেনে গেছো। আচ্ছা!
মিষ্টি মিষ্টি হারানিধি বাচ্চাদের প্রতি মাতা-পিতা বাপদাদার স্মরণের স্নেহ-সুমন আর সুপ্রভাত। আত্মাদের পিতা তাঁর আত্মারূপী সন্তানদের জানাচ্ছেন নমস্কার।
ধারণার জন্যে মুখ্য সারঃ-
১ ) উচ্চ (পদ) উপার্জনের জন্য বুদ্ধির যোগ আর সবকিছু থেকে ছিন্ন করে একমাত্র বাবার সঙ্গেই যুক্ত করতে হবে। সত্য পিতাকে স্মরণ করে সত্য-খন্ডের মালিক হতে হবে।
২ ) যেমন ব্রহ্মাবাবা জ্ঞানকে ধারণ করে সম্পূর্ণ হন তেমনই বাবার সমান সম্পূর্ণ হতে হবে।
বরদানঃ-
নিশ্চয়ের লক্ষণ হলো — মন্সা-বাচা-কর্মণা, সম্বন্ধ-সম্পর্ক প্রতিটি বিষয়ে সহজভাবে বিজয়ী। যেখানে নিশ্চয় অটুট সেখানে বিজয়ের ভবিতব্য টলমল করতে পারে না। এইরকম নিশ্চয়বুদ্ধিসম্পন্ন- রাই সদা প্রফুল্লিত এবং নিশ্চিন্ত থাকে। কোনো বিষয়ে এটা কি, কেন, কিভাবে বলাই হলো চিন্তার নিদর্শন। নিশ্চয়বুদ্ধি, নিশ্চিন্ত আত্মার স্লোগান হলো “যা হয়েছে ভাল হয়েছে, ভাল হচ্ছে আর ভালই হবে।” তারা খারাপের মধ্যেও ভালোর অনুভব করবে। তাদের ‘চিন্তা’ শব্দেরও অবিদ্যা হবে।
স্লোগানঃ-
➤ Daily Murlis in Bengali: Brahma Kumaris Murli Today in Bengali
➤ Email me Murli: Receive Daily Murli on your email. Subscribe!